মহব্বত❤️,Part-18,19,20
Writer-❤️ Israt_Jahan_Isu❤️
Part-18-19-20
মাইশা নাস্তা গুলো খেতে লাগে বেশ মজা হয়েছে,,আকাশ অতি আগ্রহ নিয়ে তাকিয়ে আছে মাইশার দিকে কি বলে তা শুনার জন্য,,আর মাইশা চুপচাপ খেয়েই যাচ্ছে সব গুলো খারাপ সে টেস্ট করে হাত দিয়ে ইশারা করে জানায় অনেক ইয়ামি হয়েছে,ব্যস আকাশের মুখের হাসি যেন দিগুন হয়ে যায়,,,
আকাশ বসে পড়ে মাইশার দিকে হা করে বলে
আকাশঃ খাইয়ে দাও আমায়
মাইশাঃ বাচ্চা বুজি?
আকাশঃ বউয়ের হাতে খেতে বাচ্চা হতে হয় না ম্যাডাম
মাইশাঃ অহ তাই বুজি?
আকাশঃ হ্যাঁ আচ্ছা খাইয়ে দিবে কি?
মাইশাঃ হুম হা করো
মাইশা আকাশকে খাইয়ে দেয়,,দুইজনে বেশ ভালো সময় কাটায় এক সাথে,,,
এইদিকে
তারেক সোফায় বসে বসে কফি খাচ্ছে আর বাহিরের দিকে তাকাচ্ছে,,,শাহেদা বেশ কিছু ক্ষন ধরে খেয়াল করছে এইটা,,
শাহেদাঃ কি ব্যাপার তারেক অনেক ক্ষন ধরে বাহিরে তাকাচ্ছো?কেউ আসবে নাকি?
তারেকঃ আম্মা আসলে আমার এক ফ্রেন্ড আসার কথা তাই
শাহেদাঃ অহ আচ্ছা,,
তারেকঃ আম্মা
শাহেদাঃ জ্বি
তারেকঃ আকাশ কে দেখছি না?কোথাও কি গিয়েছে?
শাহেদাঃ হ্যাঁ আকাশ আর মাইশা কয়েকদিনের জন্য বাহিরে গিয়েছে,,,
তারেকঃ কেন???(উঠে দাঁড়িয়ে)
শাহেদাঃ ঘুরতে গেছে আর কেন,,
তারেকঃ আসবে কবে ওরা?আর কই গেছে?
শাহেদাঃ তা আমি জানি না,,আকাশ বলেছে সে কিছু দিন ঘরে আসতে চায়,,,
কথাটা শুনা মতই তারেকের মুখে এক বিরক্তি ভাব যেন জন্ম নেয় যা শাহেদার বুজতে বাকি রইলো না,,শাহেদা কিচেনে যায় অই সময় রুপা ও কিচেনে গিয়ে পানি খাচ্ছে ফ্রিজ থেকে বের করে,,
শাহেদাঃ রুপা
রুপাঃ জ্বি আম্মু
শাহেদাঃ তারেকের কি হলো?
রুপাঃ কেন?
শাহেদাঃ আকাশের জন্য এতো চিন্তা? মানে সে তো কখনও আকাশ কই যায় কখন আসবে না কি করে এইসব জিজ্ঞেস করে না আজ কেন করলো??
রুপাঃ না এমনি হয়তো,, তারেক হয়তো আকাশের জন্য চিন্তা করছে দুই বছর ধরে এইভাবে রুমে বন্ধ ছিলো হুট করে বের হইছে তাই মেবি,,
রুপা কথা ঘুরিয়ে নেয়,,,রুপার মনে ও এক সন্দেহ জন্ম নেয় এই ভেবে যে তারেক কি মাইশার উপরে কুনজর দিয়েছে?নাকি তারেকের অন্য কোনো চিন্তা বা প্লেন আছে এই ভেবে রুপা অনেক চিন্তিত হয়ে পড়ে,,,
এইদিকে
আকাশ আর মাইশা ঘুরতে বের হয়,,দুইজনে পার্কে ঘুরে অনেক গুলো কাপেল সেখানে ঘুরচ্ছে,,একটা ছোট বেবি দেখতে পায় দুইজন কি মিষ্টি দেখতে,,,
মাইশাঃ ওহ কি কিউট বাচ্চাটা তাই না?
আকাশঃ হ্যাঁ কি সুন্দর করে হাঁটছে,,,আর দেখো হাসিটা ও মাশাল্লাহ অনেক সুন্দর তাই না?
মাইশাঃ হ্যাঁ পুরো পুতুল যেন,,,ওকে গিয়ে কোলে নিবো?
আকাশঃ আরে কিছু বললে?
মাইশাঃ দূর বলবে না তো চলো
মাইশা আর আকাশ মিলে বেবিটার কাছে যায় দুইজনে বেবিটার সাথে কথা বলছে বেশ মিষ্টি দেখতে ছোট একটা বাচ্চা হাসিটা অনেক সুন্দর,,বাচ্চাটার মা-বাবা বসে আছে মাইশা কোলে নিয়ে অনেক আদর করছে আকাশ তার ফোনে পিকচার তুলে রাখে এই মুহূর্ত টুকু,,মাইশা বাচ্চা বেশ পছন্দ করে বাচ্চাদের সাথে যেন পুরো বাচ্চা হয়ে যায় সে,,
অনেক সময় বাচ্চাটার সাথে সময় কাটিয়ে বাড়ি ফিরে,,,
মাইশাঃ আকাশ আমরা আমাদের বাড়ি যাবো কবে?
আকাশঃ কাল চলে যাবো ব্যস আজকের রাত টা এইখানে থাকবো এই,,,
মাইশাঃ আচ্ছা
আকাশঃ তুমি ফ্রেশ হয়ে নাও আমি গিয়ে কফি বানিয়ে আনি কেমন
মাইশাঃ আমি নিয়ে আসছি
আকাশঃ একদম না আমার বউকে সেবা করবো যত দিন আমার বউ আমাকে মিষ্টি একটা কিউট বেবি না দেয়,,,
মাইশাঃকিই? পাগল হলা নাকি?
আকাশ এসে মাইশার সামনে দাঁড়ায় হাত টা ধরে বলে
আকাশঃ মাইশা আমার না একটা কিউট মেয়ে বেবি চাই ঠিক তোমার মত মিষ্টি,,,
মাইশাঃ অহ তাহলে এতো সেবা বুজি বেবির জন্য? তার মানে দাঁড়ায় বেবি পেলে আর আমার সেবা করবে না?
আকাশঃ দূর পাগলি আমার বউয়ের সেবা আমি আজীবন করতে পারবো আমি আমার বউয়ের যত্ন না নিলে নিবে কে হু?
মাইশাঃ বুজলাম এখন যাও
আকাশঃ আচ্ছা শুনতে
মাইশাঃ কি?
আকাশঃ আচ্ছা কফি এনে বলছি কেমন,,,
মাইশা হেসে দেয় আকাশের এমন করে বলা দেখে,,আকাশ চলে যায় মাইশা ফ্রেশ হয়ে বারান্দায় দাঁড়ায় বেশ সুন্দর বারান্দা টা,,চারপাশে ফুলের গাছ লাগানো অনেক বেশ লাগছে গাছ গুলো লাগাতে,,,আকাশ টাও মেঘলা ঝুমঝুম করে বৃষ্টি শুরু হয়ে যায় হুট করেই,,,
কফি কাফটা ছোট টি-টেবিলে রেখে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে আকাশ মাইশাকে,,,ঘাড়ে চুমু দিয়ে শক্ত করে ধরে চোখ বন্ধ করে বলে
আকাশঃ তোমার এই ঘ্রান যা আমাকে মাতাল করতেই যথেষ্ট,,,
মাইশাঃ আর কিছু?
আকাশঃ হুম অনেক কিছু তবে মাইশা সত্যি আমি তোমার এই ঘ্রাণে মুগ্ধ হই যতবারই এই ঘ্রান আমি পাই,,
মাইশাঃ আজ অনেক ভালো লাগছে তাই না?বাহিরে অনেক সুন্দর বৃষ্টি হচ্ছে বেশ ইচ্ছে করছে ভিজতে
আকাশঃ ভিজবে??
মাইশাঃ হুম ইচ্ছে করছে অনেক,,,
আকাশঃ চলো ছাদে সেখানে ভিজবো দুইজন মিলে,,,
মাইশাঃ সত্তিই?
আকাশঃ হুম
দুইজন মিলে ছাদে যায় গিয়ে ভিজতে থাকে,,,,আকাশ মাইশার গালে হাত রাখে দুইজনে ভিজে চুপচুপ অবস্থা,,মাইশার ঠোঁট দুটো কাঁপছে আকাশ আলতো করে ঠোঁটে স্পর্শ করে,,,ভালোবাসায় দুইজনে রঙ্গিত আজ,,,
কিছু দিন পর,,,
মাইশা নিজের রুমে কাপড় গুলো ভাজ করে আলমারিতে রাখছে ওমন সময় রুপা আসে
রুপাঃ মাইশা
মাইশাঃ আরে আপু আসো
রুপাঃ তোমায় একটা কথা বলতে এসেছি,,
মাইশাঃ জ্বি আপু বলো
রুপাঃ আমরা সামনের সপ্তাহে চলে যাবো
মাইশাঃ কেন আপু?এতো তাড়াতাড়ি কেন যাবে?
রুপাঃ বাচ্চাদের স্কুল আছে আর যেকারণে এসেছিলাম তা তো হয়েছে তাই না?
মাইশাঃ আপু অনেক মিস করবো তোমায়
রুপা উঠে জড়িয়ে ধরে
রুপাঃ তুমি আমার ভাইয়ের জন্য একদম পারফেক্ট একজন জীবন সাথী সত্যি মাইশা তোমার মত এতো ভালো বউ আমার ভাই আর পেতো না,,,
মাইশা হেসে দেয়,,রুপা মাইশাকে আরো শক্ত করে ধরে বলে
রুপাঃ যত কিছু হোক না কেন মাইশা কখনও আমার ভাইকে ছেড়ে যেও না,,তোমার আর আমার ভাইয়ের সুখ দেখেই আমরা সবাই খুশি হই,,আমরা সবাই চাই তোমরা দুইজন আজীবন সুখে থাকো আর হ্যাঁ সব সময় মনে করবে আমি তোমার বড় বোন বুজলে
মাইশাঃ জ্বি আপু,,,
রুপা বেশ কিছু সময় মাইশার সাথে কাটায় গল্প করে,,,
দুইদিন পর,,,আকাশ সকাল থেকেই অনেক ব্যস্ত সে একটি বার ও আজ মাইশার সামনে আসে নাই যা মাইশার কাছে খারাপ লাগে,,ঘুম থেকে উঠে এখনো পর্যন্ত সে আকাশকে দেখে নাই মনটা তার চটপট করছে সে কখন থেকেই,,,
মাইশা শাহেদার কাছে যায়
মাইশাঃ মাম্মা
শাহেদাঃ হ্যাঁ
মাইশাঃ আকাশ কি সকালে আপনার সাথে কথা বলেছে?
শাহেদাঃ হ্যাঁ বলেছে
মাইশাঃ অহ
শাহেদাঃ অহ বলতে ভুলেই গেলাম
মাইশাঃ কি?
শাহেদাঃ আকাশ কিছু দিনের জন্য রাজশাহীতে গেছে,,,
মাইশাঃ কেন?
শাহেদাঃ অফিসের কাজে,,তুমি ঘুমিয়ে ছিলে তাই ডাকে নাই নাকি,,,
মাইশা সেখান থেকে এসে যায়,,মনটা পুরো ছোট হয়ে যায় এইভেবে যে আকাশ তাকে না বলে কিছু দিনের জন্য বাহিরে গেছে,,,চোখে পানি এসে জমে যায়
তারেক যখন শুনে আকাশ কিছু দিনের জন্য বাড়ির বাহিরে গেছে এই শুনে যেন তার খুশিতে নাচতে ইচ্ছে করে মনের খুশিতে সে মাইশার কাছে যায়,,
তারেকঃ হে বিউটিফুল
মাইশাঃ আপনি?
তারেকঃ হাজবেন্ড কিছু দিন নাই বলে মন খারাপ বুজি? সমস্যা নাই আমি আছি তো,,,
মাইশা মুচকি হেসে তারেককে উত্তর দেয়
মাইশাঃ হ্যাঁ বড় ভাইয়ার দায়িত্ব যে আপনারই করতে হবে,,,
তারেকঃ বড় ভাই?
মাইশাঃ অহ হ্যাঁ বড় ভাই কেন হবেন?আসলে কি জানেন যারা অতি মাত্রায় লুচ্চা লম্পট হয় তাদের আবার এই ভাই শব্দ টা একটু বেশি গায়ে লাগে,,,
তারেকঃ কি বললে তুমি?? (রেগে গিয়ে)
মাইশাঃ আরে যা আপনি রাগ করেছেন বুজি ইশ আমি আবার আপনাকে কিছু বলি নাই আসলে আমি তো আপনাকে বড় ভাই ভাবি আর আপনি ও আমাকে বোন ভাবেন সেখানে আর কি,,,আমি তাদের লুচ্ছা লম্পট বলেছি যারা অন্যের বউয়ের দিকে কুনজর দেয় নিজের বউ থাকা শর্তে ও,,,
মাইশা বেশ কড়া ভাবেই উত্তর গুলো দেয়,,,,মাইশা সেখান থেকে চলে যায় রাগে তারেক পাশে থাকা গ্লাস ফেলে দেয়,,,
তারেকঃ বড্ড বেশি উড়ছে এই মাইশা,,,ওকে শায়েস্তা করতেই হবে ভেবেছি সুন্দর ভাবে নিজের করবো কিন্তু না এইবার দেখি এই মাইশার ডানা দুটো কেটে ফেলতে হবে,,,আকাশ ও নেই এই সুযোগ
সন্ধ্যায়,,
সবাই এক সাথে চা খাচ্ছে মাইশা শুধু বারবার ফোনের দিকে তাকাচ্ছে এই ভেবে যে হয়তো আকাশ এখন কল দিবে,,,কিন্তু আকাশ সারাদিনে একটা বারও কল দেয় নাই,,
রিমাঃ কি ব্যাপার মাইশা বারবার ফোনে কি দেখো?
মাইশাঃ না ভাবি তেমন কিছু না,,,
রিমাঃ হুম বুজি বুজি সব বুজি,,,
সবাই হেসে দেয়,,,
রুপাঃ তুমি কল দাও মাইশা
মাইশাঃ দিয়েছিলাম ধরে নাই,,,
রুপাঃ হয়তো ব্যস্ত আছে ফ্রি হলে ঠিক কল দিবে চিন্তা করিও না কেমন,,,
মাইশা ফোন রেখে দেয়,,মনটা মলিন হয়ে যায় ভাবে আকাশ কি তাকে একটুও মিস করছে না একটা মেসেজ পর্যন্ত আজ দিলো না,,,
মাইশাঃ( এতো কিসের ব্যস্ততা কে জানে আসুক তারপর বোজাব তাকে ব্যস্ততা হু)
মাইশা খেয়ে নিজের রুমে যায় আজ ঘুম আসছে না কিছুতে,আকাশের বুকে মাথা রেখে ঘুমাতে ঘুমাতে অভ্যাস হয়ে যায় এখন তার কিছুতে ঘুম আসছে না,,,বই পড়ছে আর বারবার ফোনের দিকে তাকাচ্ছে
রাত ১২ টা বাজবে অমন সময় কারেন্ট চলে যায় এই প্রথম এই বাড়িতে কারেন্ট যায় যা মাইশার মনে ভয় কাজ শুরু করে দেয়,,,এক আকাশ নাই এর উপরে তারেকের কুনজর তার উপরে এই ভেবে ভয়ে তার অবস্থা খারাপ,,,
চলবে,,,
❤️ #মহব্বত❤️
Writer-❤️ #Israt_Jahan_Isu❤️
Part-19
রাত ১২ টা বাজবে অমন সময় কারেন্ট চলে যায় এই প্রথম এই বাড়িতে কারেন্ট যায় যা মাইশার মনে ভয় কাজ শুরু করে দেয়,,,এক আকাশ নাই এর উপরে তারেকের কুনজর তার উপরে এই ভেবে ভয়ে তার অবস্থা খারাপ,,,
ফোনের লাইট অন করে দরজার দিকে দেখে দরজা বন্ধ দীর্ঘ শ্বাস ফেলে চুপচাপ বসে থাকে,,,
মাইশাঃ এই সময় কারেন্ট গেলো কেন?এমন তো কখনও হয় নাই আর আজ আকাশ ও নেই আর এমন হলো,,,
মাইশার গলা শুকিয়ে যায়,,ভয় করছে তার ভয় আরো বেড়ে যায় যখন দরজায় কেউ নক করে,,,।
মাইশাঃ কে,,, কে(কাঁপা কাঁপা কণ্ঠে)
তবুও দরজায় কড়া নাড়ছে কেউ,,একটা শব্দ পর্যন্ত আসছে না শুধু কড়া নাড়িয়েই যাচ্ছে,,,,মাইশার অবস্থা খুব খারাপ হয়ে যায়,,,, মাইশা তাড়াতাড়ি তার ফোন নেই শাহেদাকে কল দিচ্ছে কিন্তু ধরছে না,, মিরাজ আর বাকি সবাই কে এক এক করে কল দিতেই থাকে তবুও কেউ ধরছে না,,
মাইশাঃ উফফফ আল্লাহ কেউ কেন ধরছে না কল?আর কে এইভাবে দরজা নক করছে এই ভেবেই মাইশার বুক কাঁপছে,, তাড়াতাড়ি বিছানার এক কোণায় গিয়ে পা দুটো চেপে ধরে বসে আছে ভয়ে,,,
মাইশাঃ তা,,,রেক নয় তো??উফফ আল্লাহ এই আকাশ টাও এই মুহূর্তে নেই আর না কেউ ধরছে আল্লাহ প্লিজ আমাকে সাহায্য করুন প্লিজ
মাইশা কেঁদে দেয় ভয়ে এই মুহূর্তে কেউ তার পাশে নেই যদি কেউ তার পাশে থাকতো হয়তো এতো ভয় তার লাগতো না,,আকাশকে কল দিচ্ছে কিন্তু আকাশ ও সেম সেও ধরছে না,,দরজার কড়া এইবার আরো জোরে নাড়া হয় এতো জোরে যে মাইশা এইবার ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠে
মাইশাঃ আ,,কাশ কই গেলে তুমি? আমার বড্ড বেশি ভয় করছে,,, তুমি কই গেলে আকাশ,,,,(কান্না করে করে)
বাহিরে প্রচুর বাতাস বইছে,,,অনেক জোরে বজ্রপাত বুকের ভিতর টা এইবার আরও মুচড়ে যায় ভয়ে মাইশার,,,হাত পা কাঁপছে কি করবে কাকে ডাকবে এই মুহূর্তে কেউ যে ফোন ধরছেই না,,,,
হঠাৎ মনে হলো কেউ যেন বাহির থেকে দরজা খুলছে চাবি দিয়ে,,এখন কি হবে এই ভেবে চারপাশে তাকায় কিছু যেন পাচ্ছে না তাড়াতাড়ি উঠে আলমারির পাশের বড় ফুলদানি রয়েছে অনেক বারি তবুও সেটা নেয় কি করবে নিজেকে নিজেই রক্ষা যে করতে হবেই,,,
মাইশাঃ মাইশা ভয় পেলে হবে না সাহস করে এইটার মোকাবেলা করতেই হবে,,,আজ যাই হোক না কেন আমাকে ভয় পেলে চলবে না,,
চোখের পানি মুছে নিজেকে শান্তনা দেয়,,বাহির থেকে দরজা খুলে ফেলে কারো পায়ের আওয়াজ শুনা যাচ্ছে তবে চেহারা যেন দেখাই যাচ্ছে না কিভাবে যাবে পুরো রুম যে অন্ধকার,,,,
মাইশাঃ কে,,,কে(কাঁপা কাঁপা কণ্ঠে)কে অইখানে?
কারো সাড়াশব্দ যেন নেই, শুধু পায়ের আওয়াজ যা মাইশার দিকে এগিয়ে আসছে,,,হাতের ফুলদানি টা ও শক্ত করে ধরে পিছনে যাচ্ছে,,পিছনে যেতে যেতে খেয়াল করে আর যাওয়া যাবে না কারণ পিছনে দেওয়াল,,,
মাইশাঃ যেই হোন না কেন অইখানে দাঁড়ান আমার সামনে আসলে কিন্তু সমস্যা আছে,,,সত্যি বলছি আমি
হঠাৎ লাইট জ্বলে উঠে,,কারেন্ট হুট করে আসায় মাইশা দেখে পুরো পরিবার তার সামনে
সবাইঃ সারপ্রাইজ
আকাশঃ শুভ জন্মদিন মায়াবতী,,,,
পরিবারের সবাইঃ শুভ জন্মদিন মাইশা
পরিবারের সবাই কে আর আকাশকে দেখে মাইশা একটু শান্তি পায়,,সবাই এই দেখে পুরো অবাক যে মাইশার হাতে ফুলদানি আর সে অনেক ভয়াবহ অবস্থায় আছে,,,
মাইশা হাতের ফুলদানি টা রেখেই ঝাপটা মেরে আকাশকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে উঠে,,,
আকাশঃ আরে পাগলি কান্না কেন করছো?এই দেখো আমি এইখানে,,,
বাড়ির সবাই বুজতে পারে মাইশা অনেক ভয় পেয়েছে,,,
শাহেদাঃ আমি আগেই বলেছি এমন সারপ্রাইজ না দিতে মাইশা ভয় পাবে,দেখলে তো মেয়েটা কত ভয় পেয়েছে,,,তার কি অবস্থা হয়েছে,,
রিমাঃ ছোট মা সারপ্রাইজের আসল মজা তো এইটাই হুট করে এইভাবে সারপ্রাইজ দেওয়া,,,
আকাশ মাইশাকে সরিয়ে গালে হাত দিয়ে আসতে করে বলে
আকাশঃ অই কিছু হয় নাই ওকে,,আমরা সবাই আছি এইখানে আর এইভাবে কেউ ভয় পায় বুজি?
মাইশাঃ কই ছিলে সারাদিন? কত কল মেসেজ দিয়েছি সবাইকেও দিয়েছি কল আর কেউ ধরে নাই,,,আর এইভাবে কেউ দরজা নক করে?এতো জোরে কেউ আওয়াজ পর্যন্ত করছে না,,,
রিমাঃ আরে মাইশা এইখানে ভয় পাওয়ার কি আছে?বাড়িতে তো আর চোর ডাকাত নেই যে এসেই তোমায় ধরে নিয়ে যাবে,,,,
মাইশা তারেকের দিকে তাকায়,,আকাশ এইবার বুজতে পারে মাইশার আসল ভয় পাওয়ার কারণ সে রিমাকে উদ্দেশ্য করে বলে উঠে
আকাশঃ ভাবি চোর ডাকাত হতে হয় না,,বন্ধু রুপে এমন হাজার ও শত্রু আমাদের চারপাশে ঘুরে বেড়ায় যে আমরা সহজে বুজতে পারি না তবে যখন টের পাই তখন তাদের থেকে দূরে থাকার হাজার চেস্টা করি,,,
আকাশ এইসব যে তারেক কে বলেছে সে ঠিক বুজতে পারে,,,
শাহেদাঃ আকাশ এইবার মাইশাকে নিচে নিয়ে আয়,,
রুপাঃ আকাশ আমরা নিচে যাই মাইশাকে নিচে নিয়ে আয়
সবাই চলে যায় রুম থেকে মাইশাকে আকাশকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে রাখে,,
মাইশাঃ আমি অনেক ভয় পেয়েছি জানো?
আকাশঃ পাগলি একটা এইখানে কেউ তোমার কিছু করতে পারবে না বুজলে,,,
মাইশাঃ সারাদিন কই ছিলে?সকাল থেকে তোমায় দেখি নাই আর না একটা কল মেসেজ কিছু দিলে
আকাশঃ একটা মেয়ের সাথে দেখা করতে গেছিলাম
আকাশের এই কথা শুনে মাইশা আকাশকে হালকা ধাক্কা দিয়ে রাগী ভাবে তাকিয়ে বলে
মাইশাঃ আসার কি দরকার ছিলো অই মেয়ের কাছে গেলে তো হয়,,,,
আকাশঃ অহ তাই বুজি ওকে গেলাম আর কি
মাইশা রেগে আকাশের বুকে ঘুষি দিতে থাকে
আকাশঃ পাগলি একটা পুরো (মাইশাকে বুকে টেনে নিয়ে)আমি শুধু আমার বউকে ভালোবাসি আর শুধু আমার বউয়ের দিকে তাকাবো বুজলে
মাইশাঃ হু
আকাশঃ আচ্ছা চলো এখন গিয়ে রেডি হবে
মাইশাঃ কেন?
আকাশঃ এমনি তোমায় শাড়ি আমি পড়িয়ে দিবো এক মিনিট শাড়ি না গ্রাউন
মাইশাঃ কিসের গ্রাউন
আকাশ একটা প্যাকেট থেকে গ্রাউন বের করে পুরো সাদা গ্রাউন বেশ সুন্দর,,,
কিছু ক্ষন পর মাইশা গ্রাউন পরে আসে,হালকা মেকাপ করে চুল গুলো সুন্দর করে খোপা করে আকাশ শুধু তাকিয়ে আছে বেশ সুন্দর লাগছে থাকে
আকাশঃ মারার প্লেন বুজি?
মাইশাঃ কেন?খারাপ লাগছে কি?
আকাশঃ আমার বউকে পরী লাগছে
মাইশাঃ তা সব সময় বলো
আকাশঃ যাও পেত্নী লাগছে এইবার খুশি?
মাইশা হেসে দেয়,,আকাশ মাইশাকে নিয়ে নিচে যায় সিড়ি দিয়ে নিচে নামতেই লাইট অন করে পুরো হলরুম এতো সুন্দর করে সাজিয়েছে যে মাইশা শুধু তাকিয়ে আছে কি সুন্দর করে চারপাশ সাজিয়েছে,,মাহের রাইশা দৌড়ে আসে
মাইশাঃ আরে তোরা
মাইশার মাঃ শুভ জন্মদিন মাইশা মা
মাইশার মুখের হাসি যেন বেড়ে যায়,,,তার পরিবারের সবাই আছে,,,অনেক সুন্দর লাইটিং করা
আকাশ মাইশার হাত ধরে আরো সামনে নিয়ে যায় একটা চেয়ারে বসায় হাত দিয়ে চুটকি বাজানোর সাথে সাথে লাইট যায় একটা দিকে যেখানে দাদিমা আছে,,গ্রাউন পড়া হাতে একটা গোলাপ ফুল,,,
একটা গান বাজানো হয় গানের তালে তালে দাদিমা কোমড় দুলিয়ে দুলিয়ে মাইশার কাছে আসে হাত থেকে ফুল দিয়ে গালে একটা চুমু দিয়ে আসতে করে বলে
দাদিমাঃ শুভ জন্মদিন
আকাশ আবার চুটকি বাজায় অন্য দিকে এইবার লাইট যায় শাহেদা তাও সেম গ্রাউন পড়া যা দাদিমা পড়েছে এক রকমের এক কালারের গ্রাউন,,শাহেদার হাতে ও গোলাপ ফুল শাহেদাও একটু একটু নেচে নেচে এসে মাইশার কপালে চুমু দিয়ে ফুল দেয়,,,
একে একে সবাই এইভাবে ফুল দেয়,,তারেক যখন ফুল দিতে আসে আকাশ তারেকের হাত থেকে ফুল নিয়ে আইভিকে দেয়
আকাশঃ আইভি একটা ফুল দিবে তোমার ছোট আম্মুকে?
আইভিঃ একদম না চাচ্চু
আকাশঃ তাহলে আর কি দুইটা দিয়ে আসো
আইভি দৌড়ে গিয়ে অনেক গুলো চুমু দিয়ে ফুল দেয়,,তারেকের রাগ উঠে যায় সে ভাবে সবার মত সেও মাইশার অনেক টা কাছে যেতে পারবে কিন্তু আকাশ যেন যেতেই দিলো না,,,
মাইশাকে টেনে সবাই ডান্স শুরু করে কিন্তু মাইশা শুধু চারপাশে তাকাচ্ছে আকাশ আবার গায়েব কই গেলো আকাশ?
কিছু ক্ষন পর মিরাজ আর সিরাজ মিলে একটা বড় বক্স নিয়ে আসে মাইশার সামনে রাখা হয়
মিরাজঃ মাইশা খুলে দেখো
মাইশা বক্সের ফিতা খুলে আস্তে আস্তে বক্সের ডাকনা খুলে অনেক গুলো বেলুন বের হয়ে আসে বক্স থেকে,,বেলুন সরে যাওয়ার পর দেখে আকাশ একটা ছোট রিং নিয়ে মাইশার দিকে তাকিয়ে আছে
আকাশঃ আজ আমার জীবনের সব চেয়ে স্পেশাল দিন,কারণ আজকের এই দিনটিতে আমার ভালোবাসা যে আগমন করেছে দুনিয়ায়,,,
সবাই জোরে করতালি দেওয়ায় আকাশ আর কিছু বলতে পারে নাই মুচকি হেসে ইশারা করে হাত দিতে মাইশাকে,,হাত বারিয়ে দেয় মাইশা রিং পড়ানোর সাথে সাথে সবাই অনেক চিল্লায় উঠে,,,
সবাই এক সাথে নাচা শুরু করে দেয়,,আকাশ মাইশার হাত ধরে নিজের বুকে টেনে নেয়,,
।
রুপাঃ এই আকাশ আজ তো অবশ্যই তোর বউয়ের জন্য গান গাইবি?
আকাশঃ অবশ্যই আপু এই কি মিস যাবে আবার
সবাই এক পাশে বসে মাইশা যখনই বসতে যাবে আকাশ মাইশাকে এক পাশে নেয়,,একটা ফুলের দোলনা যা অসাধারণ ভাবে সাজিয়েছে আকাশ,,,
মাইশাকে সেখানে বসায় মাইশার জীবনে এই প্রথম সারপ্রাইজ তার জন্মদিনের,সব কিছু খুব সুন্দর করে আকাশ সাজায় যা মুগ্ধকর,,,
আকাশ একটা চেয়ারে বসে হাতে গিটার নিয়ে,,,গিটারের সুর তুলে
আকাশঃ
যেন রোদেলা কোন দুপুরে
ছায়া হয়ে দাঁড়ালে বন্ধুর মতো
আঁধারে, দিন ভুলে
নতুন গল্পে দিলে প্রেরণা শত
ও প্রিয় আমার প্রিয়জন
শ্রাবণও দিনের শীতের ভোরে,
থেকো এমন
বন্ধু হও যদি তবে সঙ্গি হব আমি,
হাতে হাত রেখে এসো
আমার গল্পে তুমি
যেন এলে ছুঁতে এ মনে আছে
অনুভূতি যত
শেষ রাতের প্রার্থনায় তোমায়
চেয়ে যাই অবিরত
ও প্রিয় আমার প্রিয়জন
শ্রাবণও দিনের শীতের ভোরে,
থাকবো দুজন
বন্ধু হও যদি তবে সঙ্গি হব আমি,
হাতে হাত রেখে এসো
আমার গল্পে তুমি
যেন নতুন গল্পের শুরু এখানেই
নিয়ে আশা শত,
নতুন আলো হয়ে দাড়িয়ে
দুজন রঙ ছড়াবো পারি যত ।
ও প্রিয় আমার প্রিয়জন
শ্রাবণও দিনের শীতের ভোরে,
থাকবো দুজন
আকাশের গান শুনে মাইশা মুগ্ধ হয়ে যায়,,মুগ্ধ হয়ে শুধু তাকিয়ে আছে আকাশের দিকে,,,চোখের পলক যেন সরছেই না,,,
সবাই এক সাথে করতালি দেয় যার কারনে মাইশার নজর সরে,,আকাশ গিটার রেখে মাইশার দিকে ভ্রু কুচকে জিজ্ঞেস করে কেমন লেগেছে হাত দিয়ে ইশারা করে ফ্লাই কিস ছুড়ে দিয়ে বলে অসাধারণ হয়েছে,,,
আকাশঃ মাইশা সামনে এসো
মাইশা উঠে আকাশের সামনে আসে,,সবাই এক সাথে দাঁড়ায় রুপা আর রিমা মিলে কেক নিয়ে আসে কেকটা বেশ সুন্দর,,,
মাইশাকে ঘিরে সবাই দাঁড়ায় মাইশা কেক কাটে সবাই হাত তালি দেয়,,প্রথম পিছটা আকাশকে খাইয়ে দেয় আকাশ ও মাইশাকে খাইয়ে দেয় মাইশা সবাইকে খেইয়ে দিতে লাগে,,যখনই তারেকের পালা আসে মাইশা তার হাতে দিয়ে আবার আকাশের কাছে এসে যায় যা তারেকের ইগোতে লাগে,,,,
তারেকের রাগ এইবার আকাশ ও মাইশার উপরে জমে,,,
কেক কাটা থেকে শুরু করে পুরো অনুষ্ঠান যেন মাইশার জন্য অনেক স্পেশাল আকাশ তার জন্য কতটা স্পেশাল করে তুলে এই দিনটি,,রাত ও অনেক হয়ে আসে
শাহেদাঃ আকাশ এখন ঘুমানো উচিত,,, কাল পার্টি আছে মাইশার জন্মদিনের অনুষ্ঠান অনেক ধুমধামে হবে আমাদের ঘরের বউয়ের জন্মদিন বলে কথা,,,
আকাশঃ ওকে
সবাই নিজ নিজ রুমে চলে যায়,,,মাইশা ফ্রেশ হয়ে বের হয়ে এসে দেখে রুমে আকাশ নেই
মাইশাঃ এতো রাতে আবার কই গেলো?
মাইশা একটু সামনে এগিয়ে যায় চোখ যায় বারান্দায়,,,বারান্দায় একটা সাদা বিছানা করা হয়,,বালিশ গুলো সুন্দর করে সাজাচ্ছে
মাইশাঃ কি করছো?
আকাশঃ আজ রাত আমরা দুইজন এইখানে অনেক গল্প করবো
মাইশাঃ অহ এতো কিছু বাহা
আকাশ মাইশাকে টেনে বসায়,,হাতে নুডুলসের বাটি দিয়ে বলে
আকাশঃ খেয়ে দেখো কেমন হয়েছে শর্টকাট করলাম তাই,,
মাইশাঃ এই সময়ে তুমি এই করলে?
আকাশঃ কফিও আছে
মাইশাঃ বাহা আমার বর দেখি বউয়ের অনেক কেয়ার করে
আকাশঃ বউ যেহেতু আমার কেয়ার তো আমাকেই করতেই হবে তাই না ম্যাডাম?
মাইশাঃ আচ্ছা তাই বুজি তাহলে খাইয়ে দাও
আকাশঃ হাহা পাগলি আচ্ছা খাইয়ে দিচ্ছি,,,,,
আকাশ মাইশাকে খাইয়ে দেয়,,, মাইশা বেশ মজা করেই খাচ্ছে,,সত্যি সে যে এমন কেয়ারিং আর লাভিং হাজবেন্ড পাবে সে কখনও কল্পনা করতে পারে নাই,,,মাইশা আকাশের হাত শক্ত করে ধরে বলে
মাইশাঃ ভালোবাসি তোমায় অনেক,,,সত্যি আমি তোমায় অনেক ভালোবাসি আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না যে কত খুশি আমি,,,তুমি আমার জীবনের সব চেয়ে মুল্যবান উপহার আল্লাহর পক্ষ থেকে যা আমার জন্য অনেক অনেক স্পেশাল,,,,
চলবে,,,
❤️ #মহব্বত❤️
Writer-❤️ #Israt_Jahan_Isu❤️
Part-20
মাইশাঃ ভালোবাসি তোমায় অনেক,,,সত্যি আমি তোমায় অনেক ভালোবাসি আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না যে কত খুশি আমি,,,তুমি আমার জীবনের সব চেয়ে মুল্যবান উপহার আল্লাহর পক্ষ থেকে যা আমার জন্য অনেক অনেক স্পেশাল,,,,
মাইশা আকাশের হাত ধরে চুমু দিয়ে বলে
মাইশাঃ আকাশ আমাকে কখনও ছেড়ে যাবে না তো???
আকাশঃ দূর পাগলি আমি আমার ভালোবাসাকে ছেড়ে যাবো কই?তুমি যে আমার হার্ট বিট যদি হার্ট বিট না থাকে তাহলে কিভাবে বাঁচবো হ্যাঁ???
মাইশাঃ জানি না খুব ভয় করে মনে এক অস্তিরতা কাজ করছে,,,জানো এমন টা আমার আর কখনও হয় নাই কিন্তু ইদানীং কেন জানি খুব ভয় করছে,,,
আকাশঃ দূর পাগলি কিছু হবে না যাই হবে ভালোই হবে,,একটা কথা মনে রাখবে আমি সব সময় তোমার পাশে থাকবো তোমার হাত কখনও ছাড়বো না সব সময় তোমার হাত শক্ত করে রাখবো,,,
মাইশাঃ হুম,,,আচ্ছা এখন বলো নুডুলস এতো ইয়ামি কিভাবে হইছে?এতো কি দিলে?
আকাশঃ আর কি অনেক গুলো ভালোবাসা আমার বউয়ের জন্মদিন বলে কথা ইয়ামি করে রান্না করতে হবেই,,,
মাইশাঃ হুম শুধু পাম দেওয়ার বেলায় আছে,,,
আকাশঃ যা নিজের বউ তারিফ বুজে না হু,,,
মাইশাঃ আচ্ছা আমার খাওয়া শেষ এইবার কি ঘুমানো যায় স্যার?
আকাশঃ একদম না আজকের রাত দিন সব আমার,,,
মাইশাঃ মানে?
আকাশঃ মানে আমার বউ তাই আমার বউয়ের জন্মদিন পুরো আমার তাই আমি আমার বউয়ের সাথে অনেক অনেক সময় কাটাবো অনেক রোমাঞ্চ করবো মানে আমি আমার বউয়ের সাথে অনেক সময় কাটাবো মানে আমার দিন আর কি অই বুজাতে চাচ্ছি বারবার কেন বুজো না উফ
মাইশা গালে হাত দিয়ে শুধু শুনছে আকাশের এইসব,,হাসছে প্রচুর কি করবে আকাশ মুখটা পুরো বানিয়ে বলছে কথাটা তাই মাইশার খুব ভালো লাগছে,,,,
মাইশাঃ আচ্ছা তাই বুজি,,,
আকাশঃ হ্যাঁ
মাইশা উঠে আকাশের কাছে আসে,,আকাশের সামনে বসে গালে হাত রেখে দুই চোখে আলতো করে চুমু দেয়,,হয়তো এই প্রথম মাইশা নিজ থেকে আকাশকে এইভাবে কাছে টেনে নিলো,,,আকাশ তার চোখ দুটো বন্ধ করে ফেলে মাইশা আরো কাছে যায়,,গালে চুমু দেয় আকাশ মাইশার কোমড় শক্ত করে ধরে রাখে,,,
মাইশা আজ এইভাবে আকাশকে নিজের করে নিবে আকাশ নিজেও ভাবে নাই,,,
ভালোবাসায় আজ দুইজনে মুগ্ধ,,,
পরের দিন,,,
মাইশার জন্মদিন উপলক্ষে অনেক বড় পার্টি রাখা হয়,,,নামি-দামি অনেক উপহার আসে আজ মাইশার নামে,,মাইশার পরিবার ও আছে সবার মুখের হাসি অনেক বেশি,,,মাইশাও অনেক খুশি সে খুশি এই ভেবে না যে তার জন্য এত উপহার এতো বড় পার্টি এমন জন্মদিন এইজন্য নয়,,,সে সব চেয়ে বেশি খুশি এই ভেবে যে আকাশ তাকে এতো ভালোবাসে আকাশ তার পাশে আছে,,,
নামি-দামি গিফট এইসব কিছু না যদি ভালোবাসার মানুষ দশটাকা দিয়ে একটা লাল গোলাপ কিনে দেয় তা ও সব চেয়ে দামী উপহার হয়ে যায়,,,যদি ভালোবাসার মানুষ হাতটি ধরে রাস্তায় হাটতে হাটতে ফুচকার দোকানে নিয়ে ফুচকা ও খাওয়ায় তাহলে দামী রেস্টুরেন্টের খাবারের চেয়েও মজাদার হয়,,,,ভালোবাসার মানুষ পাশে থাকলে আর কি লাগে জীবনে?
পুরো পার্টিতে আজ আকাশ মাইশার হাত শক্ত করে ধরে রাখে যা মাইশার বেশ ভালো লাগে,,,
কয়েক দিন পর,,,
আজ মাইশার শরীর টা একটু খারাপ,,,ঘুম থেকে উঠে বসে আছে মাথায় হাত দিয়ে এইদিকে আকাশ ফ্রেশ হয়ে রেডি হচ্ছে অফিসের জন্য
আকাশঃ কি হলো মাথা ব্যাথা করছে কি? কফি এনে দিবো?
মাইশাঃ না নিচে গিয়ে খেয়ে নিবো,,,
আকাশঃ আচ্ছা শুনো আজ একটা মিটিং আছে খুব ইম্পর্ট্যান্ট আমার আসতে দেরি হবে আর একটু ব্যস্ত থাকবো
মাইশাঃ আচ্ছা সমস্যা নেই বাড়িতে সবাই আছে এতে সমস্যা কি,,,
আকাশঃ হুম আর শুনো বেশি খারাপ লাগলে কল দিও চেস্টা করবো তাড়াতাড়ি আসার
আকাশ মাইশার কপালে চুমু দিয়ে চলে যায়,,,উঠে ফ্রেশ হয়ে নিচে নামে দেখে সবাই বসে নাস্তা করছে,,,
শাহেদাঃ মাইশা জলদি নাস্তা করে রেডি হয়ে নিও
মাইশাঃ কেন?
শাহেদাঃ আমার বড় ভাইয়া আমেরিকা থেকে এসেছে উনার পুরো পরিবারের সাথে আর আমার আম্মাও খুব অসুস্থ তাই আর সবাই কে একসাথে যেতে হবে
মাইশাঃ অহ আচ্ছা
শাহেদাঃ রেডি হয়ে নিও
মাইশাঃ আকাশ?
শাহেদাঃ আকাশ ওর বাবা চাচা সবাই রাতে যাবে অফিস থেকেই আমরা সবাই এইখান থেকেই যাবো একটু পর
মাইশা কিছু বলে না,,নাস্তা করতে বসেও সে ঠিক মত করতে পারছে না,,কেমন যেন তার লাগছে সেজন্য না খেয়েই উঠে রুমে চলে যায়,,কয়েকবার বমিও করে সে তার শরীর এতো ক্লান্ত লাগছে যে বিছানায় হেলান দিয়ে বসে আছে সে,,,
রিমা আর রুপা রেডি হয়ে আসে মাইশার রুমে এসে দেখে মাইশা রেডি না হয়ে বসে আছে খুব ক্লান্ত লাগছে,,চোখ মুখ অন্য রকম চোখ গুলো ও লাল
রিমাঃ কি হলো মাইশা শরীর খারাপ কি?
রুপাঃ চোখ গুলো ও লাল হয়ে আছে,,
রুপা মাইশার কপালে হাত দিয়ে দেখে হালকা জ্বর
রুপাঃ তোমার তো গায়ে জ্বর,,,
রিমাঃমাইশা তুমি কাউকে কেন বলো নাই যে তোমার শরীর খারাপ??
মাইশাঃ ভাবি আসলে আমি ঠিক আছি জাস্ট অল্প
রুপাঃ ব্যস অনেক হয়েছে মাইশা এমন হলে হবে?সব সময় অন্যের চিন্তা করো নিজের চিন্তা কেন করো না,,
মাইশাঃ আপু সত্যি আমি ঠিক আছি তেমন কিছু না,,,
রিমাঃ আমি গিয়ে সবাই কে বলি আসি
মাইশাঃ ভাবি না প্লিজ এখন না সত্যি আমি ঠিক আছি,,,
রুপাঃ তা দেখতেই পারছি আমরা কত ভালো তুমি আছো
রুপা আর রিমা গিয়ে নিচে বলে আসে,,শাহেদা তাড়াতাড়ি উপরে আসে মাইশাকে ওষুধ দেয় জ্বর হালকা হওয়ায় মাইশা অনেক জোর দিয়ে বলে
মাইশাঃ মাম্মা আমি সত্যি ঠিক আছি শুধু হালকা জ্বর আর কিছু না,,,
শাহেদাঃ এই অবস্থায় তুমি যেতে পারবে না আর আমায় এই অবস্থায় রেখে ও যেতে পারবো না,,,এক কাজ করি আজ না যাই এই বেটার
মাইশাঃ মাম্মা প্লিজ এমন করো না,,মামা আর নানুর খারাপ লাগবে সবাই যাও আমি বাসায় একা থাকতে পারবো সত্যি,৷
রুপাঃ মাম্মা আমি আজ থেকে যাই,,আমি মাইশাকে নিয়ে অন্য একদিন না হয় যাবো আজ আমি মাইশার কাছেই থাকি তোমরা সবাই যাও
মাইশাঃ না আপু তুমি ও যাও আমি সত্যি একা থাকতে পারবো
রুপাঃ চুপ একদম একা এতো বড় বাড়িতে উনি একা থাকবে আর আকাশ আমাদের যাতে দুনিয়ার কথা শুনায় তার বউকে এইভাবে একা রাখায়
রুপা অনেক জোর করে থেকে যায়,,বাকি সবাই চলে যায়,,মাইশা বসে আছে বই নিয়ে রুপা সুপ বানিয়ে এনে দিয়ে বলে
রুপাঃ এই নাও খাও
মাইশাঃ আপু সত্যি ইচ্ছে করছে না
রুপাঃ মাইশা একদম না শুনতে চাই না এখন খাবে চুপচাপ কেমন
মাইশাঃ হুম
রুপা জোর করে মাইশাকে খাইয়ে দেয়,,
রুপার ছেলে মেয়ে ও চলে যায় শাহেদার সাথে,,,পুরো বাড়িতে শুধু মাইশা আর রুপা আছে কাজের লোক গুলো ও আছে তারা নিজ নিজ কাজে ব্যস্ত,
এইদিকে
তারেক নিজের ফোন টিপছে সে কখন থেকে সুযোগ খুজছে বের হওয়ার,,ওমন সময় ফোন আসে তার ফোনে কথা বলেই শাহেদাকে বলে
তারেকঃআমার একটু কাজ আছে পাশের যে রেস্টুরেন্ট আছে সেখানে একটু যেতে হবে
শাহেদাঃ এখন? খেয়ে যাও
তারেকঃ সেখানে খেয়ে নিবো আসলে যাওয়া খুব দরকার কাজ শেষ হলেই এসে যাবো সত্যি,,
শাহেদাঃ আচ্ছা
তারেক সুযোগ বুজে বের হয়ে যায়,,
তারেক ড্রাইভ করছে আর ভাবছে
তারেকঃ আজ তোমায় কে বাঁচাবে মাইশা?এতো দিনের প্রতিশোধ আজ তুলবোই,,,তুমি আমায় এখনো চিনো না কিন্তু আজ সব অপমানের প্রতিশোধ আমি নিবোই,,,
এইদিকে
মাইশা ঘুমিয়ে যায়,,,রুপা তার গায়ে কাঁথা মুড়িয়ে নিজের রুমে যায়,,,রাতে ভালো করে ঘুম হয় নাই তার ও বাচ্চাদের জন্য সে শুতে না শুতে ঘুমিয়ে পড়ে,,,
এইদিকে
বেশ কিছু সময়ের মধ্যে তারেক বাড়ি চলে আসে,,,বাড়ি এসে দেখে কাজের মেয়েটা কিচেনে কাজ করছে সে কিচেনে গিয়ে মেয়েটাকে কিছু টাকা দিয়ে বলে বাজারে গিয়ে কিছু জিনিস আনতে,,,,
তারেক ভাবে বাড়ি পুরো ফাঁকা এই সময় মাইশার থেকে প্রতিশোধ নেওয়ার,,,কিন্তু এখন শুধু রুপা ওকে সামলাতে হবে
তারেক উপরে যায় রুপার রুমে গিয়ে দেখে রুপা ঘুমিয়ে গেছে,,সে বাহির থেকে দরজা লাগিয়ে দেয়,,,,
তারেকঃ এইবার তোমায় আমি ছাড়বো না মাইশা(অট্টহাসি দিয়ে)
তারেক আসতে আসতে মাইশার রুমে যায়,,মাইশা ঘুমিয়ে আছে গিয়ে মাইশার পাশে বসে,,মাইশার চুলের ঘ্রান নিচ্ছে
তারেকঃ আহা মাইশা তুমি তো অনেক বেশি আর্কষনী অই মাহি থেকেও,,চেহারা মিল হলে কি হইছে তোমাদের দুইজনের মধ্যে আসলেই অনেক তফাত,,,তোমার চেহারা আরো বেশি মায়াবী
তারেক মাইশার হাত আসতে আসতে সাইল্ড করতে থাকে,,,হঠাৎ ঘুম ভেঙ্গে যায় মাইশার কার স্পর্শে,,স্পর্শ টা পেয়েই মাইশার হাত কাঁপা শুরু হয়ে যায় তাড়াতাড়ি ফিরে দেখে তারেক,,
মাইশাঃ আ,,পনি?
তারেকঃ বাহা জেগে গেলে?আসলে খুব চিন্তা হচ্ছিলো তাই তোমার কাছে এসে গেলাম যাতে তোমার খেয়াল রাখতে পারি দেখি কত জ্বর
তারেক মাইশার কপালে হাত রাখে,,মাইশা হাত টা ছুড়ে বলে
মাইশাঃ এখন বের হন রুম থেকে,,আপনার সাহস হয় কি করে রুমে ঢোকার???
মাইশা তাড়াতাড়ি উঠে দাঁড়ায়,,তার শরীর টা অনেক দূর্বল জ্বরের কারনে,,,ঠিক মত সে দাঁড়াতেও পারছে না,,অনেক কষ্টে নিজেকে সামলিয়ে দাঁড়ায়
তারেকঃ আরে আরে এতো হাইপার কেম হচ্ছো?দেখো মাইশা আমি ব্যস এসেছি তোমার সাথে কথা বলতে নরমালি তুমি এইভাবে হাইপার হলে কিন্তু আমার রাগ উঠবে আর আমার একবার রাগ উঠে গেলে কিন্তু তোমার জন্য অনেক খারাপ হতে পারে,,,
মাইশাঃ দেখুন মাত্রা ছেড়ে যাচ্ছেন আপনি,,, আকাশ জানতে পারলে খুন করে ফেলবে আপনাকে ভালো করে জানেন,,
তারেক এইবার রেগে যায় আকাশের কথা শুনায়,,সে এসে মাইশার মুখ চেপে ধরে অনেক শক্ত করে যার কারনে মাইশা খুব ব্যাথা পাচ্ছে,,,চোখের পানি পর্যন্ত এসে যায় তার,,
তারেকঃ বলেছিলাম আমাকে না রাগাতে তবুও তুই আমাকে রাগালি?কি করবে অই আকাশ হ্যাঁ? অই আকাশ কিছু করতে পারবে না কিছু না,,,মাহিকে দিয়ে ওর জীবন তেজপাত বানিয়ে দিয়েছি আমি,,আমার প্লেন অনুযায়ী মাহি ওর সাথে রিলেশন করেছে শুধু মাত্র আমি আর মাহি যেন আরামে নিজেদের সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি,,আমাদের সম্পর্কে যেন কেউ টের না পায়,,
মাইশা নিজের সব টুকু শক্তি দিয়ে তারেককে ধাক্কা মারে,,,
তারেক গিয়ে দেওয়ালে বারি খায়,,মাথায় আঘাত লাগে পাশে থাকা ছবির প্রেমের কোণায়,,,
মাইশাঃ ছি লজ্জা করে না এইসব নোংরামি করতে?এতো সুন্দর বউ আছে দুইটা ফুটফুটে বাচ্চা আছে তবুও এদের ছেলে এমন ছ্যাছড়ামি করতে কি একটুও বিবেকে বাধা দেই নাই?এতো নিচে কেউ কিভাবে নামতে পারে,,,
।
তারেক নিজের মাথায় হাত দিয়ে দেখে কিছু টা কেটে গেছে,,,সে রেগে মাইশার দিকে আসছে আর বলেছে
তারেকঃ অনেক হয়েছে তোর লেকচার শুনার মত এত ইচ্ছে আমার নেই,,আজ সব প্রতিশোধ তুলবো তোর থেকে
মাইশা পালাতে চায় কিন্তু পারে না এর আগেই তারেক তাকে ধরে ফেলে আর গালে অনেক জোরে চড় মারে যার ফলে মাইশা নিচে পড়ে যায়,,চড়ের সাথে সাথে ঠোঁট ফেটে যায়,,,চুল চেপে ধরে মাথা তুলে বলে
তারেকঃ আজকের পর মুখ দেখানোর অবস্থায় রাখবো না তোকে আজকে বুজবি এই তারেক আসলে কি,,,
মাইশার চোখের পানি পড়ছেই,,,তারেক তাকে তুলে বিছানায় শুয়ে দেয়,,তার দিকে এগিয়ে আসছে আর কিছু না পেরে ছোট টেবিলে এলার্ম-ঘড়ি থাকায় তা দিয়ে অনেক জোরে তারেকের মাথায় বারি মারে,,,মাথা থেকে থরথর করে রক্ত বেয়ে পড়ছে তার,,,মাইশা তারেককে আঘাত করে নিজের সব শক্তি দিয়ে রুম থেকে পাকায়,,,তারেক ও তার পিছনে পিছনে যায়,,রুপার রুমের সামনে এসে মাইশা অনেক জোরে ডাকছে রুপাকে হঠাৎ এইভাবে মাইশার আওয়াজ পেয়ে উঠে তাড়াতাড়ি দরজা খুলতে যায় কিন্তু খুলতে পারছে না,বাহির থেকে লোক করা,,,জানালা দিয়ে তাকিয়ে দেখে মাইশার অবস্থা খারাপ অনেক
রুপাঃ মাইশা কি হয়েছে তোমার?
মাইশাঃ আ,,পু তা,,,,
মাইশা সেখানে পড়ে যায়,,,,তারেক অনেক রেগে আসছে রুপা যখন তারেককে দেখে তার কলিজা পুরো শুকিয়ে যায়,,,রুপার আর বুজতে বাকি রইলো না তারেক মাইশার সাথে কিছু একটা করতে চাচ্ছে,,,
রুপাঃ তারেক তুমি করছো টা কি??প্লিজ মাইশাকে ছেড়ে দাও ওর ক্ষতি করিও না তারেক অনেক খারাপ হয়ে যাবে
তারেকঃ আরে দূর কি খারাপ হবে হ্যাঁ?? তোর ভাইকে বলিস এই তারেক এতো দিন চুপ ছিলো কারণ মাইশাকে আমার চাই,,মাইশাকে আমি প্রথমেঅপার করেছিলাম কিন্তু সে মাহি নয় যে সহজে মেনে নিবে,,,
রুপাঃমাহি?
তারেকঃ হ্যাঁ মাহি,,মাহি আর আমার সম্পর্ক অনেক অনেক বছরের ধরতে গেলে মাহি অনেক ছোট ছিলো তখন থেকে,আমার প্লেন অনুযায়ী আকাশের জীবনে মাহি আসে কিন্তু শালা আকাশ আসলেই শালা সে সব জেনে যায়,,,
রুপার মাথায় যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়লো এইসব শুনেই,,তার হাজবেন্ড তার ভাইয়ের জীবন নষ্ট করতে উঠে পড়েছিল আকাশ কত বললো তাকে যে তারেক ভালো নয় তারেক তাকে সুখী রাখবে না বাচ্চাদের জন্য চুপ ছিলো কিন্তু আজ এইসব দেখে রুপা কেঁদে দেয়,,,
চলবে,,,