মামাতো_বোন_যখন_বউ.part_1
#writer_মুজাহিদুল_ইসলাম
সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠেই মনের ভিতর খুশি খুশি লাগতেছে,কারন আজ অনেকদিন পর মামার বাসায় যাবো,তাই বিছানা থেকে উঠে ওয়াসরুমে গেলাম ফ্রেস হতে,
তারপর ফ্রেস হয়ে চলে গেলাম খেতে,খাবার টেবিলে দেখি আম্মু বসে আছে,মনে হয় আমার জন্যই বসে আছে,
আম্মু,কিরে তোর ঘুম ভাঙলো..? আজ না তুই তোর মামার বাসায় যাবি,
মাহফুজ, হা যাবো তো মামার বাসায়? আজ দুপুরেই রওনা দিবো,এখন খাবার দাও তো ক্ষুদা লাগছে,
আম্মু, ঠিক আছে সাবধানে যাবি,এখন টেবিলে বস আমি খাবার দিচ্ছি,
মাহফুজ,আমাকে খাইয়ে দাও তুমি,আমি তোমার হাত ছাড়া খাইনা তাতো জানোই,
আম্মু,আচ্ছা আয় আমি খাইয়ে দিচ্ছি,
তারপর আম্মুর হাতে খাবার খেয়ে রুমে চলে গেলাম,ধুররর আমার পরিচয় দিতেই গো ভুলে গেছি,
(বরাবরের মতো আমি আপনাদের মাহফুজ আছি,এবার অনার্স ২য় বর্ষে,বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান)
বাকি তথ্যগুলো আমার আইডিতে পেয়ে যাবেন,
তারপর মামাকে ফোন দিলাম,একবার বাজতেই ফোন ধরে ফেললো,
মামা, হা মাহফুজ বল তোর কি খবর,আর আজ না তোর আমার বাসায় আসার কথা..?
মাহফুজ,হা আসবো তো আজকেই আসবো,কিন্তু তোমার বাসা তো আমি চিনি না,সেই কতো দিন আগে ছোটবেলায় গিয়েছিলাম..?
মামা,হা তুই বাসে উঠে নিউ সিটির উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পর,তারপর নিউ সিটিতে নেমে আমাকে ফোন দিবি,
মাহফুজ,আচ্ছা ঠিক আছে আমি আজ দুপুরেই রওনা দিবো,কিন্তু মামা তোমার মেয়েটার কি খবর হো..!?
মামা,হা অনেক ভালো আছে,তোরা সেই ছোটবেলায় কতো খেলা করতি,আআ্ছা বাসায় আয় তারপর দুইজন মিলে গল্প করবি..?
মাহফুজ, ওকে মামা?
তারপর কথা শেষ করে রেডি হয়ে গেলাম,ওহহ আমার মামাতো বোনের নাম জারা,এবার অনার্স ১ম বর্ষে পরে,সেই ছোট বেলায় দেখছি ওকে,এখন যে কেমন চেহারা হয়েছে আল্লাই জানে,মামার বাসায় গিয়ে দেখবো ওকে?
তারপর আম্মু থেকে বিদায় নিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে গেলাম মামার বাসায় উদ্দেশ্যে,
সোজা বাস স্টেশনে গিয়ে নিউ সিটির উদ্দেশ্যে টিকিট কাটলাম,
বাসের ভিতর বসে আছি,কিছুক্ষন পর বাস রওনা দিলো,বাসের ভিতর বসে ইয়ারফোনটা কানে দিয়ে গান শুনছি কারন যেতে যেতে ২ ঘন্টা লাগবে,গান শুনতে শুনতে কখন যে চোখটা লেগে গেছে বুঝতেই পারি নাই,
হঠাৎ হেলপারের ডাকে ঘুম ভাংলো,তারপর দেখি আমি নিউ সিটিতে পৌছে গেছি,তারপর বাস থেকে নেমে মামাকে ফোন দিলাম,
মামা, হা কোথায় তুই,
মাহফুজ,মামা আমিতে নিউ সিটিতে পৌছে গেছি,এখন কোথায় যাবো..? কিছুই তো চিনি না,
মামা,চিন্তা করিস না তুই রিক্সাকে বলে এলিফ্যান্ট রোডে চলে আয়,আর আমি তোর ফোনে আমার বাসায় ঠিকানা দিয়ে দিচ্ছি,
মাহফুজ, ওকে মামা তুমি ঠিকানা পাঠিয়ে দাও,
তারপর একটা রিক্সা নিয়ে এলিফ্যান্ট রোডের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম,রিক্সায় বসে শহরের চারপাশ দেখতে লাগলাম,শহরটা বেশ সুন্দর সাজানো গোছানো..! আমার অনেক ভালো লাগলো এই পরিবেশটা?
একটু পরে রিক্সা এসে এলিফ্যান্ট রোডে থামলো,তারপর রিক্সা থেকে নেমে ওয়ালেট টা বের করে ভাড়া দিলাম,
তারপর হাটতে লাগলাম মামার বাসার দিকে,
মামা আমার ফোনে তার বাসার ঠিকানা দিয়ে দিয়েছে,আমি চারপাশের পরিবেশ দেখতে দেখতে এগোতে লাগলাম,আমার হাটতে ভালো লাগছিলো কারন নতুন জায়গার সবকিছু দেখতে আমার অনেক ভালো লাগে..!
মামার দেওয়া ঠিকানা অনুযায়ী হাটতে লাগলাম,কিন্তু অনেক সময় হাটার পরেও ঠিকানাটা খুজে পাচ্ছিলাম না,এগিয়ে অনেক ক্লান্তও হয়ে গেছি,কিযে করি এখন..?
এসব ভাবতে ভাবতে হাটতেছিলামনিআের দিকে তাকিয়ে,কিন্তু হঠাৎ করে কিছু একটার সাথে বেশ জোড়েই ধাক্কা খেলাম,কিন্তু ধাক্কাটা খেলাম কিসের সাথে..?
আর তখন এই ঠাসসস করে ডান গালে একটা চড় মেরে দিলো,
তারপর ভালো করে তাকিয়ে একটা মেয়ে আমার সামনে দাড়িয়ে আছে,
মেয়েটি,ওই মিয়া দেখে চলতে পারেন না..? মেয়ে দেখলেই গায়ে পরতে ইচ্ছে করে নাকি..!
মাহফুজ,এমনিতেই ঠিকানা খুজতে খুজতে ক্লান্ত হয়ে গেছি,তার উপর মেয়েটা বিনা কারনে আমাকে চড় মারলো,আমি কি ইচ্ছা করে ধাক্কা দিয়েছি নাকি..?
আমারও রাগ উঠে গেলো?
তারপর আমিও ঠাসসস ঠাসসসস করে মেয়েটির দুই গালে দুইটা চড় মেরে দিলাম,
মেয়েটি,ওই কুত্তা তুই আমাকে চড় মারলি কেন?
মাহফুজ,ওই কুত্তী আগে বল তুই আমাকে চড় মারলি কেন..?
মেয়েটি,তুই আমাকে ধাক্কা মারলি কেন..? তাইতো চড় মেরেছি,
মাহফুজ,এহহহ..! তুই মনে হচ্ছে বিশ্ব সুন্দরী যে তোকে ধাক্কা মারতে যাবো, পেতনির মতো চেহারা তার আবার এতো দেমাগ?
মেয়েটি,ওই কি বললি তুই আমি পেতনির মতো দেখতে..?
মাহফুজ,পেতনি মানে..! পেতনির থেকেও খারাপ চেহারা,যাই হোক এখন ঝগড়া বাদ দাও আর আমার এই ঠিকানাটা কোথায় একটু বলে দাও
মেয়েটি, আমি কি জন্য তোকে ঠিকানা বলতে যাবো হা?তুই আমাকে পেতনি বললি কেন,
আমি এখন এক জায়গায় জরুরি কাজে যাচ্ছি তাই কিছুই বললাম না,না হলে এখানেই তোর অবস্থা খারাপ করে দিতাম বলেই আমার পাশ কাটিয়ে চলে গেলো,
মাহফুজ, হি হি হি মেয়েটাকে হেব্বি রাগিয়ে দিয়েছি,তবে হা মেয়েটি মোটেও পেতনির মতো দেখতে নয়,মেয়েটি একটা বোরকার উপর সুন্দর করে হিজাব পরছে,মুখটা খোলা আর চোখে কাজল দেওয়া, মেয়েটির চোখে অসম্ভব রকমের মায়া আছে,
যা যোকোনো ছেলেকেই আকর্ষনের জন্য যথেষ্ট,
যাই হোক আবার হাটতে শুরু করলাম,অনেক খুজার পর অবেশেষে মামার দেওয়া ঠিকানায় এসে পৌছালাম, কিন্তু অনেকগুলো বাসার মধ্যে কোনটা মামার বাসা সেটা খুজে পাচ্ছিলাম না,
তাই মামাকে ফোন দিলাম,একবারেই ফোনটা ধরলো,
মাহফুজ,মামা তোমার ঠিকানায় আসছি কিন্তু তোমার বাসাটা খুজে পাচ্ছি না,
মামা,তুই এক মিনিট দাড়া আমি বের হচ্ছি,
মাহফুজ,তারপর দাড়িয়ে ওয়েট করতে লাগলাম,একটু পর মামা একটা বাসা থেকে বের হয়ে আসলো,আমাকে দেখেই জড়িয়ে ধরলো,
মামা,কতো বড় গয়ে গেছিস তুই,অনেকদিন পর তোকে দেখলাম,
মাহফুজ,চমাকে কি এভাবে বাইরেরই দাড় করিয়ে রাখবে নাকি..?ভিতরে নিবে না নাকি..?
মামা,ওওও হা ভুলেই তে গিয়েছিলাম যে তুই বাইরে দাড়িয়ে আছিস,চল ভিতরে চল..!
মাহফুজ,হা চলো..!
তারপর বাসার ভিতরে গেলাম,মামার বাসাটা দোতলায়,সিড়ি দিয়ে উঠে গেলাম দোতলায়,তারপর কলিংবেল দিতেই মামি এসে দরহা খুলে দিলো,
আমাকে দেখে মামি জড়িয়ে ধরেও কেদে দিলো,
মামি, আমার কথা তো তুই ভুলেই গেছিস..! সেই কবে ছোটবেলায় তোকে দেখেছিলাম আর আজ দেখলাম,অনেক বড় হয়ে গেছিস তুই?
মাহফুজ,তুমিও শুরু করলে মামি..? আমাকে কি দরজার বাইরেই দাড় করিয়ে রাখবে নাকি,ভিতরে নিয়ে যাবে না..?
মামি,সে কিরে তুই বাইরে দাড়িয়ে থাকবি মানে..? তুই হলো আমার ছেলে,তোকে কি বাইরে রাখবো নাকি,আয় ভিতরে আয়☺
মাহফুজ,হা চলো?
তারপর মামা মামির সাথে ভিতরে গেলাম,বাহহহ ভিতরটা তো অনেক সুন্দর করে সাজানো?
মামি সোফায় বসতে বলে ফ্যানটা অন করে দিলো,তারপর আব্বু আম্মুর শরীর কেমন আছে জিজ্ঞাসা করলেন,
আরো কতো কিছু জিজ্ঞাসা করলেন অতো মনে নাই?
মামি, মাহফুজ যা ফ্রেস হয়ে আয়,তোর খাবার দিচ্ছি আমি,
মাহফুজ,আচ্ছা ঠিক আছে,কিন্তু তোমার মেয়েকে তো দেখছি না,কই তোমার মেয়ে..?
মামি,দেখবি কেমন করে..?একটু আগেই কলেজে গেছে,কি একটা কাজ আছে বললো,তবে একটু পরেই চলে আসবে,
মাহফুজ,হুমমম
তারপর মামি ওয়াসরুমটা দেখিয়ে দিলো,আমিও ফ্রেস হতে চলে গেলাম,
ফ্রেস হয়ে বাইরে এসে বাড়িটার চারপাশ ঘুরে ঘুরে দেখতে লাগলাম,মামার বাসায় চারটা রুম,
সবগুলোই অনেক সুন্দর করে গোছানো,তবে একটা রুম সবথেকে বেশি সুন্দর করে গোছানো,আমি সেই রুমেই গেলাম,
তারপর রুমের দরজা আটকে দিয়ে রুমটা দেখতে লাগলাম,রুমের দেয়াল বরাবর একটা খাট রাখা,বিছানাটা খুব সুন্দর করে সাজানো,বিছানা দেখেই ঘুম চলে আসছে আমার?রুমের একপাশে একটা পড়ার টেবিল,তাতে অনেক গুলো বই সুন্দর করে সাজানো,
এগুলো দেখে বেশ ভালোভাবেই নিশ্চিত হয়ে গেলাম যে এটা মামার মেয়ের রুম,তাতে আমার কি..! আমি এখন বিছানায় বসে বিশ্রাম করি,
তারপর বিছানায় হেলান দিয়ে বসে ফেসবুকিং করতে লাগলাম,এমন সময় দরজায় কে যেন নক করলো,ধুররর এমন সময় আবার কে আসবে..!
অনেক বিরক্তি ভাব নিয়ে বিছানা থেকে উঠে দরজার কাছে গেলাম,তারপর দরজা খুলতেই তো আমার চোখ কপালে উঠে গেলো….!
চলবে…….
ভুলত্রুটি গুলো ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
#part_2
https://m.facebook.com/groups/459470204903112?view=permalink&id=691351005048363