মামাতো_বোন_যখন_বউ part_5

0
3054

মামাতো_বোন_যখন_বউ part_5
#writer_মুজাহিদুল_ইসলাম

#collected
তারপর আর কি..! জারাকে কোলে তুলে নিলাম,জারা আমার কোলে উঠে আমার বুকে মাথা রাখলো,তারপর ছাদে চলে গেলাম,ছাদে একটা সোফা রাখা,দুইজন গিয়ে সেটাতে বসলাম,তারপর জারা আমার কাধে মাথা রাখলো,

তখন আমার খুব ভালো লাগছে,প্রিয় মানুষটার ছোয়া পেলে সবারই অনেক ভালো লাগে,দুজন দুজনের হাত ধরে রাতের চাদ দেখতে লাগলাম,আজ চাদের আলোটাও অনেক বেশি,

চাদের আলো এসে সোজা জারার মুখের উপর পরছে,তখন জারার মুখটা অনেক মায়াবী লাগছিলো,মনে হচ্ছিলো ওকে আপন করে নিই,কিন্তু না সেটা এখন সম্ভব নয়,

এভাবে দুজন অনেক সময় ধরে চাদের দিকে তাকিয়ে থাকলাম,কিছুক্ষন পর জরার আমার কোলে উঠে বুকে মাথা রাখলো,

জারা,এভাবেই আমাকে সারাজীবন ভালোবাসবি তো..?

মাহফুজ,হা যতোদিন বেচে থাকবো সব সময় ভালোবাসবো,

জারা,কখোনোই আমাকে ছেড়ে যাবি না তো,

মাহফুজ, পাগল নাকি..! যে কষ্ট করে তোকে পেয়েছি,ছাড়ি কেমনে☺

জারা,ধুররর ফাজিল কোথাকার,

মাহফুজ,আচ্ছা অনেক রাত হয়ে গেছে এখন রুমে চল,

জারা,কেউ যদি আমাকে কোলে করে নিয়ে যায় তবে যেতে পারি?

তারপর জারাকে কোলে তুলে নিলাম,ঠিক যেন একটা আটার বস্তা কোলে নিলাম? যা বুঝলাম তাতে এভাবে সারাজীবন কোলে করে রাখতে হবে,তারপর জারাকে নিয়ে সিড়ি বেয়ে নামতে লাগলাম,

জারার পিচ্চি মুখটার দিকে তাকিয়ে থাকলাম,অনেক সুন্দর লাগতেছে,হঠাৎ এই জারা আমার ঠোট জোড়া ওর দখলে করে নিলো,এমনিতেই কোলে করে সিড়ি দিয়ে নামছি তার উপর এই কাহিনী করে বসলো,এবার দুইজনেই একসাথে পরবো,

একটু পর আমাকে ছেড়ে দিলো,আমি ততক্ষন সিড়িতেই দাড়িয়ে ছিলাম,

জারা,সিড়িতে দাড়িয়ে আছিস কেন..?

মাহফুজ,তুই যা শুরু করছিলি তাতে দুজনেই একসাথে পরে যেতাম?

জারা, আসলে তোর লাল ঠোট দেখে নিজেকে সামলাতে পারি নাই?

তারপর ওকে নিয়ে রুমে চলে গেলাম,আমার কোলেই ছিলো তাই বিছানায় নামিয়ে দিলাম,

মাহফুজ,আচ্ছা এখন তো আমরা স্বামী স্ত্রী,তাহলে তুমি করেই তো বলা যায়,

জারা,না আমি তোকে তুই করেই বলবো,

মাহফুজ,অন্তত আব্বু আম্মুর সামনে তুমি করেই বলিস,

জারা,ওকে ঠিক আছে,

তারপর দুজনে শুয়ে পরলাম,খুনশুটি করতে করতে কখন যে ঘুমিয়ে পরলাম মনে নাই,সকালে ঘুম ভাংতেই বুকের উপর ভারি কিছু অনুভব করলাম,ভালো করে চোখ খুলতেই দেখি পাগলিটা আমার বুকের উপর শুয়ে আছে,

পাগলিটার মুখের দিকে তাকিয়ে দেখি একদম পিচ্চি বাচ্চাদের মতো ঘুমিয়ে আছে,তাই ওর ঘুমটা ভাঙালাম না,কি নিষ্পাপ একটা মেয়ে ঘুমিয়ে থাকলে,আর জেগে থাকলে যেন দাজ্জাল,

জারার মুখের দিকে তাকিয়ে এসব ভাবতেছিলাম,হঠাৎ জারা ঘুম থেকে উঠে গেলো,আমি তখনও ওর দিকে তাকিয়ে ছিলাম,

জারা,ওই এভাবে তাকিয়ে কি দেখিস..?

মাহফুজ,তোর মায়াবী মুখটা দেখি?

জারা,অনেক দেখা হইছে এখন ছাড় আমাকে, ওয়াসরুমে যাবো,

মাহফুজ,আমি কি ধরে রাখছি নাকি তোকে,তুই তো নিজেই আমার উপরে শুয়ে আছিস,

জারা,আমার কথা শুনে মুখ ভেংচি কেটে ওয়াসরুমে চলে গেলো,

তারপর আমিও বিছানা থেকে উঠে জানালার সামনে গিয়ে দাড়ালাম,সকালের মিষ্টি রোদ উঠেছে বাইরে,বাইরের পরিবেশটাও অনেক ভালো লাগছে,

একটু পর জারা ওয়াসরুম থেকে বের হলো,তারপর আমি গেলাম,ফ্রেস হয়ে বাইরে আসলাম,দেখি জারা টাওয়াল নিয়ে দাড়িয়ে আছে,
তারপর আমাকে টাওয়েল টা দিলো,হাত মুখ মুছে দুজন মিলে নিচে গেলাম,

নিচে গিয়ে দেখি আত্মীয়রা সবাই বসে গল্প করতেছে,আমাদেরকে দেখে সবাই অনেক খুশি হলো,

আম্মু,তোদের দুইজনকে তো অনেক সুন্দর লাগতেছে,কি বলো মাহফুজের আব্বু,

আব্বু,হা একদম ঠিক বলছো,খুব সুন্দর মানিয়েছে,

একথা বলতেই দেখি জারা লজ্জায় লাল হয়ে গেলো,তারপর আত্মীদের সাথে বসে সবাই মিলে গল্প করতে লাগলাম,সবাই আমাদের জন্য অনেক দোয়া করলেন,

একটু পর আমাদের খেতে যাওয়ার জন্য আম্মু বলে গেলো,তারপর সবাই মিলে খেতে চলে গেলাম,টেবিলে বসে খাবার খাচ্ছি,তখন দেখি আম্মু জারাকে নিজ হাতে খাইয়ে দিচ্ছে,তখন খুব হিংসা হতে লাগলো,

এখন ছেলের বউ পেয়ে নিজের ছেলেকেই ভুলে গেছে,ঠিক আছে আমারও সময় আসবে,
আমার এমন অবস্তা দেখে আম্মু বললো,

আম্মু,কিরে তোর মনে হয় হিংসা হচ্ছে,থাক আর হিংসা করতে হবে না,কাছে এসে বস তোকেও খাইছে দিচ্ছি,
তারপর আম্মু আমাদের দুইজনকেই নিজ হাতে খাইয়ে দিলো,আসলে আম্মুর হাতে খাওয়ার মজাটাই আলাদা?

খাওয়ার পর্ব শেষ করে সবাই আমাদেরকে নিয়ে গল্প করতে বসলো,আমাদের মাঝখানে বসিয়ে সবাই গোল হয়ে গল্প করতে লাগলো,
এতো গল্প যে কেমনে করতে পারে আল্লাই ভালো যানে,আমার তো অশান্তি ধরে যাচ্ছিলো,

এভাবে গল্প করতে করতে দুপুর হয়ে গেলো,তখন সবাই ফ্রেস হতে চলে গেলো,যাক বাবা এতোক্ষনে মুক্তি পেলাম,জারার দিকে তাকিয়ে দেখি জারাও বিরক্ত হয়ে গেছে,
তারপর জারার হাত ধরে ওখান থেকে উপরে চলে আসলাম,

রুমে গিয়েই জারা দরজা আটকে দিলো,তারপর আস্তে আস্তে আমার দিকে এগোতে লাগলো,জারার মতিগতি ভালো বুঝলাম না,তাই আমিও পিছনের দিকে যেতে লাগলাম,

হঠাৎ করে জারা আমাকে খাটের উপর ফেলে দিলো,তারপর আমার বুকের উপর উঠে গেলো,কি হচ্ছে কিছুই তো বুঝতে পারতেছি না,

মাহফুজ,এই জরা কি করতেছো..?

জারা,আমার কথা না শুনে আমার ঠোটের দিকে এগোতে লাগলো,আস্তে আস্তে একদম আমার ঠোটের কাছে চলে আসলো,

আমার মুখ দিয়ে তো কোনো কথায় বের হচ্ছে না,হঠাৎ জারা দুই ঠোট এক করে দিলো,আমি তো জারার এইরকম ব্যবহারে একদম অবাক হয়ে গেছি,আমাকে বললেই হতো যে আদর লাগবে?

জারা এমনভাবে ঠোট জোড়া চুষতেছে,যেন কতোদিনের না খাওয়া মানুষ,হঠাৎ করে ঠোটে একটা কামড় মেরে দিলো,আমি তো ব্যথায় উহহ করে উঠলাম,কিন্তু জারা কিস করেই যাচ্ছে,পুরো ১০ মিনিট পর ছারলো,আমার দম যেন বন্ধ হয়ে গেছিলো,দুজনেই হাপাচ্ছি?

মাহফুজ,ওই..! এভাবে কেউ কিস করে..?

জারা,সরি আসলে তোর ঠোট দুটো এটো নরম যে ছাড়তে ইচ্ছা করছিলো না,

মাহফুজ,তাই বলে কামড় মারতে হবে..!?

জারা,ইয়ে মানে আসলে?

মাহফুজ,ধুররর আমি গোসলে গেলাম? তারপর গোসল করতে ওয়াসরুমে চলে গেলাম,মনের মতো করে শাওয়ার নিলাম,আমার পর জারা গোসল করবে তাই তাড়াতাড়ি বের হয়ে গেলাম,

ওয়াসরুমে থেকে বেরিয়ে দেখি জারার টাওয়েল হাতে করে দাড়িয়ে আছে,তারপর টাওয়েল নিয়ে শরীর মুছতে লাগলাম,আর জারা ফ্রেস হতে গেলো,তারপর জারা গোসল করে বের হয়ে আসলে দুজনে নিচে চলে গেলাম,দুপুরের খাবার খেতে,

নিচে গিয়ে দেখি সবাই আমাদের জন্য বসে ওয়েট করছে,তারপর দুজন তাদের সাথে বসলাম খাবার খেতে,অনেক গল্প আর মজার ভিতর দিয়ে খাওয়ার পর্ব শেষ হলো,খাওয়া শেষ হতেই আব্বু বললো,

আব্বু,কিরে মাহফুজ জারা মাকে কি তোর কলেজেই ভর্তি করবি..?

মাহফুজ,হা আব্বু এখানেই ভর্তি করবো,যাতে ওর খেয়াল রাখতে পারি সবসময়,

আব্বু,তো কবে ভর্তি করবি ওকে..?

মাহফুজ,আগামিকাল এই ভর্তি করবো জারাকে,

আব্বু,আচ্ছা ঠিক আছে,

তারপর সবার সাথে আর কিছুক্ষন গল্প করে আমার রুমে চলে আসলাম,বিছানায় শরীরটা এলিয়ে দিলাম,অনেক ঘুম পাচ্ছে এখন,
চোখটা বন্ধ করতেই জারা আমার বুকের উপর এসে শুয়ে পরলো,

মাহফুজ,ওই পাগলি সারাজীবন কি এভাবেই আমার বুকটাকে বালিশ বানাবে নাকি.?

জারা,হা ওই জন্যই তো বিয়ের সময় কবুল বলছিলাম,যাতে সারাজীবনের জন্য বুকটাতে মাথা রাখতে পারি,এই বলে আমাকে অনেক শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো,

আমিও জারাকে জড়িয়ে ধরলাম,মেয়েটা আসলেই অনেক পাগলি? তবে রাগ থাকলেও মনটা অনেক ভালো আর খুব কিউট?
এভাবেই জরাকে নিয়ে ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে গেলাম,

বিকালে জারার ডাকে ঘুম ভাংলো,

জারা,ওই আর কতো ঘুমাবি..? বিকাল হয়ে গেছে উঠে পর,

মাহফুজ,এখন যা তো এখান থেকে? আমাকে ঘুমাতে দে,একটু শান্তিমতো কি ঘুমাতেও পারবো না..?

জারা,তখনই আমার নাক চেপে ধরলো,আর দুইঠোট এক করে দিলো,

কিছুক্ষন পর মনে হলো দম আটকে মরে যাবো,হাত পা ছুটাতে লাগলাম,তখন জারা ছেড়ে দিলো,

মাহফুজ,ওই তুই আমার বউ নাকি অন্যকিছু,অল্প বয়সে বিধবা হওয়ার সখ হইছে নাকি,এভাবে কেউ নাক মুখ চেপে ধরে..? ধরে মরে যেতাম?

জারা,মরে গেলে কিস করে বাচিয়ে নিতাম?

মাহফুজ,সরে যা আমি ওয়াসরুমে যাবো,তারপর ফ্রেস হতে চলে গেলাম,

জারা আমার রাগ দেখে মিটমিট করে হাসতে লাগলো,তখন যে ওর উপর কি রাগ হচ্ছিলো তা আর কি বলবো?

তারপর ফ্রেস হয়ে বাইরে আসলাম,এসে দেখি জারা অনেক সুন্দর করে সেজেছে,অনেক ভালো লাগছে ওকে,

মাহফুজ,কিরে কোথাও যাবি নাকি..?

জারা,আমার বরটার সাথে বাইরে একটু ঘুরতে যাবো?

মাহফুজ,কই যাবি..?

জারা,বরটা যেখানে নিয়ে যায় সেখানেই যাবো,

তারপর জারাকে নিয়ে বাইরে ঘুরতে বের হলাম,প্রথমে একটা পার্কে গিয়ে বসলাম দুজনে,ওখানের পরিবেশটা অনেক ভালো,অনেক সময় পার্কে কাটিয়ে দুজন পার্ক থেকে বের হলাম,তারপর একটা রেস্টুরেন্টে গিয়ে জারার সব পছন্দের খাবার খাওয়ালাম,

জারা,ওই আমাকে আইসক্রিম খাওয়াবে কে..?

মাহফুজ,ওহহ তাইতো? আসল জিনিসটাই কিনতে ভুলে গেছি,

তারপর জারার জন্য চকলেট আইসক্রিম কিনে দিলাম,তখন সন্ধ্যা হয়ে গেছে,আমি আর জারা দুজনের হাত ধরে হাটছি,জারা ওর মাথাটা আমার কাধের পর দিয়ে রাখছে,

জারা,জানিস আজ আমার অনেকদিনের ইচ্ছাটা পুরন হলো,

মাহফুজ,কি ইচ্ছা..!

জারা,এইযে প্রিয় মানুষটার হাত ধরে রাতের বেলা রাস্তা দিয়ে হাটা?

মাহফুজ,ওহহহ?

তারপর আমরা হাটতে হাটতে বাসায় চলে গেলাম,বাসায় গিয়ে কলিংবেল দিতেই আম্মু এসে দরজা খুজে দিলো, তারপর রুমে চলে গেলাম,দুজনে ফ্রেস হয়ে রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে গেলাম,

পরদিন সকালে জারার ডাকে ঘুম ভাংলো,

জারা,ওই ঘুম থেকে ওঠ,আজ আমাকে কলেজে ভর্তি করবি না..?

মাহফুজ,হা করবো,তুই সব কাগজ পত্র নিয়ে নে,

জারা,হুমম

তারপর উঠে ফ্রেস হয়ে নিলাম,নিচে গিয়ে সকালের নাস্তাটা করে নিলাম,

আব্বু,মাহফুজ আমি তোর প্রিন্সিপাল স্যারকে বলে দিয়েছি,তুই গিয়ে জারা মাকে ভর্তি কর,

মাহফুজ,ওকে আব্বু,

তারপর জারাকে নিয়ে বেরিয়ে গেলাম,কলেজের উদ্দেশ্যে,আজকে বাইকটা সাথে করে নিয়ে গেলাম,সারা রাস্তা জুরে জারা বকবক করছে,
তারপর কলেজে পৌছে সোজা প্রিন্সিপাল স্যারের রুমে চলে গেলাম,

মাহফুজ,স্যার আসতে পারি..?

প্রিন্সিপাল,হা এসো মাহফুজ,তোমার আব্বু ফোন করে ভর্তির ব্যাপারে জানিয়ে দিয়েছে,

মাহফুজ,জারা কাগজগুলো দাও,

তারপর জারা কাগজগুলো জমা দিলো,

প্রিন্সিপাল,জারা মা তুমি শুধু এখানে একটা সাইন করে দাও,তাতেই হবে,

তারপর জারা সাইনটা করে দিলো,সবকিছু শেষ হলে স্যারের রুম থেকে বের হলাম,কলেজ ক্যাম্পাসে আসতেই জারা তো অবাক আর সাথে অনেক খুশিও……

চলবে……
ভুলত্রুটি গুলো ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।

সবাইকে ঈদের অগ্রিম শুভেচ্ছা?সবাই আমাকে আপনাদের বাসায় দাওয়াত দিবেন?

#part_6
https://m.facebook.com/groups/459470204903112?view=permalink&id=692475488269248

#part_4
https://m.facebook.com/groups/459470204903112?view=permalink&id=691821198334677

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here