১.
আজ তাহসানের বিয়ে৷ একদম অচেনা, অপরিচিত একটা মেয়ের সাথে। ওর সম্মতিতে বিয়েটা হলেও ওর মনের মধ্যে ছিলো অন্য কেউ। যার সাথে চারটা বছরের দীর্ঘ সম্পর্ক ছিলো। যে ছিলো ওর চির চেনা আর অনেক দিনের পরিচিত। কিন্তু সে তাহসানের বউ হতে চায় নি৷ কারণ সে কখনোই তাহসানকে ভালবাসে নি। সবটাই ছিলো নাকি আবেগ আর মিথ্যে অভিনয়। তাহসানের ভালবাসা এতটাই সরল ছিলো যে ও কখনো বুঝতেই পারে নি, ও যাকে পাগলের মতো এতটা সময় ধরে ভালবেসে এসেছে সে কখনোই ওকে ভালবাসে নি। টাইমপাস করেছে ওর সাথে আর ওর মনের সাথে। যার দরুন আজ তাহসানকে অপরিচিত একটা মেয়েকে বিয়ে করতে হচ্ছে৷
তাহসানের মুখে কোন হাসি নেই। কিন্তু একটা সময় ওর চোখেমুখে এতটা হাসি ছিলো যে আশেপাশের মানুষের মন খারাপ থাকলে তার মনটাও ভালো হয়ে যেত ওকে দেখে, ওর কথা শুনে৷ তবে এখন তাহসান আর আগের মতো নেই। চোখে মুখে ভীষণ গম্ভীরতা। আর খুব অল্প কথা বলে৷ আসলে ওর ভিতরে কঠিন কষ্ট আর রাগ জমে আছে৷ ও ভেবেছিলো কখনোই বিয়ে করবে না৷ সারাটা জীবন একাই থাকবে৷ কিন্তু মায়ের মুখের দিকে তাকিয়ে ওকে রাজি হতে হয়। ও এখন ওর বড়ো ভাইয়ের সাথে গাড়িতে করে হলে যাচ্ছে৷ ওর বড়ো ভাই রাহুল বলে উঠে,
– কিরে তোর মুখটা এমন হয়ে আছে কেন? আজ তোর বিয়ে। কই একটু হাসি খুশী থাকবি, তা না উলটা মেয়েদের মতো মুখ ভার করে আছিস কেন?
তাহসান বাইরে তাকিয়েই গম্ভীর কণ্ঠে বলে,
– ভাইয়া তুমি কিন্তু সব জানো। তাও কেন জিজ্ঞেস করছো?
– হ্যাঁ আমি জানি। কিন্তু তুই যদি ওর জন্য তোর সুন্দর সময়গুলো এভাবে মন খারাপ করে নষ্ট করিস তা তো আমি মানতে পারি না ভাই।
– ভাবী যদি এমন করতো তোমার সাথে, তুমি কি হাসতে হাসতে অন্য কাউকে বিয়ে করতে পারতে?
রাহুল চুপ হয়ে যায়৷ কারণ ও সাথীকে ভালবেসে বিয়ে করেছে। সাথী এমন করলে রাহুল কখনোই মানতে পারতো না। একদম ভেঙে পড়তো। সাথী এমন করবে ভেবেই রাহুলের ভিতরটা কেঁপে উঠে। রাহুল শান্ত গলায় তাহসানকে বলে,
– ঠিক বলেছিস। আসলে তোর কষ্টটা কেউই বুঝতে পারবে না৷ তবে ভাই যার সাথে তোর বিয়ে হচ্ছে না, দেখিস সে তোর সব কষ্ট নিমিষেই শেষ করে দিবে। তোর মুখে আবার সেই মুচকি হাসিটা ফিরে আসবে। তুই আবার আমাদের মাঝে ফিরে আসবি। দেখিস তুই।
তাহসান কিছু বলে না। কারণ ওর এসব কিছুই ভালো লাগছে না৷ রাহুল ঠিকই বলেছে, ওর কষ্ট কেউই বুঝবে না। নতুন যে আসছে সেও না।
২.
সুন্দর ডিজাইন করা সোফাতে মাইরা বসে আছে৷ প্রফেশনাল ফটোগ্রাফাররা বিভিন্ন পোসে ওর ছবি তুলছে৷ সবার দৃষ্টি মাইরার দিকে৷ ও ভিতরে ভিতরে লজ্জায় মরে যাচ্ছে। আর অজানা এক উত্তেজনা ওর হৃদস্পন্দন ক্রমশ বাড়িয়ে দিচ্ছে। আজ থেকে সম্পূর্ণ নতুন এক জীবন ও শুরু করবে৷ মাইরা সদ্য আঠারোতে পা দিয়েছে৷ সবসময় বাবা-মার আদর আর প্রচুর ভালবাসায় ও বড়ো হয়েছে৷ তাই বিয়ে সংসার সম্পর্কে ওর জ্ঞান খুব অল্প। গত দুদিনে ওর দুষ্ট বান্ধবীরা ওকে যা শিখিয়েছে সব শুনে মেয়েটা ভয়ে শেষ। তবে অন্যরকম একটা অনুভূতি আর কৌতূহল ওর মধ্যে কাজ করছে। ও কখনো প্রেম ভালবাসায় জড়ায় নি৷ কারণ ওর বাবা-মা সবসময় ওর পাশে থাকতো। বলতে গেলে মাইরা খুবই আহ্লাদী একটা মেয়ে৷ খুব নরম আর ইনোসেন্ট। ও কখনো কষ্ট পেলে মুখ ফুটে বলে না। ওর চোখগুলো নোনা জলে ভিজে গিয়ে ওর কষ্টের জানানি দেয়৷ বাবা-মা একমাত্র মেয়ে এমনই হবে, এটাই স্বাভাবিক। ওকে দেখতে একদম ছোট্ট একটা মেয়ে লাগে। যেন অপরূপ সুন্দরী একটা পুতুল। ভীষণ মায়া ওর চোখে মুখে। মাইরার বাবা-মার কাছে তো অনেকে এও বলছে, যে এত ছোট মেয়েকে কেন বিয়ে দিচ্ছেন? কিন্তু ওর বাবা-মা জানে, মাইরা দেখতে ছোট হলেও ও এখন অনেকটা বড়ো। তাই আর দেরি না করে মাইরার বাবার বন্ধু মানে তাহসানের বাবাকে বলে মাইরা আর তাহসানের বিয়ে ঠিক করে। এতে করে বন্ধুত্ব আত্নীতে রূপান্তর হয়। দুই পরিবারই ভীষণ খুশী। মাইরার ফটো সেশন শেষ হলে ও আলাদা একটা রুমে বসে আছে। হঠাৎই ওর বেস্ট ফ্রেন্ড অনু ওর কাছে এসে বলে,
~ কিরে কেমন ফিল হচ্ছে বান্ধপী? হিহি।
~ খুব নার্ভাস লাগছে৷ আর কদিন পর বিয়েটা যদি দিতো।
~ তাই? আমাদের দুলাভাই কিন্তু অনেক হ্যান্ডসাম। তুই বিয়ে না করলে বল আমি করে ফেলি। হাহা৷
মাইরা অনুর দিকে অবাক হয়ে তাকায়। অনু হাসতে হাসতে বলে,
~ ভয় নাই তুই ই করিস। মনে আছে না কি কি বলছি। বিয়ের স্বাদ মন ভরে নিয়েন আপনি। আমার এখন সখ নাই। হিহি।
মাইরা অসহায় ভাবে অনুর দিকে তাকায়৷ অনু হাসতে হাসতে শেষ মাইরার ভীতু মুখখানা দেখে৷ ও মাইরার হাতটা জড়িয়ে ধরে আস্তে করে বলে,
~ দুলাভাই তোকে আগলে রাখবে ভয় পাস না। হাসিখুশী থাক। আজ দিনটা শুধু তোর আর দুলাভাইয়ের। সো ইঞ্জয় কর পাগলি।
মাইরা লজ্জা পায় অনেক। ও এখন শুধু অপেক্ষায় আছে তাহসানের। হঠাৎই কে যেন দৌড়ে এসে বললো,
– বর আসছে বর আসছে৷
এ কথা শুনে মাইরার বুকের ধরফরানি আরো বেড়ে গিয়েছে। পাশ থেকে অনু বলে উঠে,
~ যাই তোর বরের পকেট খালি করে আসি। হিহি।
বলেই ও চলে যায়৷ মাইরা এখন একা বসে আছে। খুব লজ্জা আর ভয় কাজ করছে ওর মধ্যে এখন। অস্থির হয়ে যাচ্ছে ও৷ ১০ মিনিট হয়ে গিয়েছে। বাইরে কি হচ্ছে কে জানে৷ ওর মা এখনো ওকে নিতে আসে নি। ওর মধ্যে অস্থিরতা আরো বেড়ে যাচ্ছে৷ কিন্তু হঠাৎই ওর সব অস্থিরতা শেষ করে ওর মা আর বান্ধবীরা ওকে নিতে আসে। প্রচুর নার্ভাসনেস নিয়ে আরো একবার নিজেকে ঠিক করে সবার সাথে স্টেইজের দিকে যাচ্ছে মাইরা। ওর প্রতিটি হৃদস্পন্দন ও নিজে শুনতে পাচ্ছে। লজ্জা মাখা মুখখানা নিয়ে আস্তে আস্তে তাহসানের কাছে যাচ্ছে ও। সবার সামনে আসতেই মাইরার প্রথম নজর যায় তাহসানের দিকে। দামী কাজ করা ইন্ডিয়ান স্যারোয়ানি পরে আছে তাহসান। অসম্ভব সুন্দর লাগছে ওকে। মাইরা তাহসানের ছবি দেখলেও আজ দ্বিতীয়বার তাহসানকে সামনাসামনি দেখছে৷ একবার তাকিয়ে লজ্জায় মাথা নিচু করে তাহসানের পাশে এসে গিয়ে দাঁড়ায় মাইরা৷ ওর হাত গুলো বরফ হয়ে গিয়েছে। এ যেন কেমন এক অনুভূতি। কাউকে বলে বুঝাতে পারবে না ও। মাইরা আস্তে করে তাহসানকে সালাম দেয়। তাহসান সালামের উত্তর দেয়।
৩.
তাহসান নিষ্প্রাণ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। ওর মধ্যে যেন ও নেই। চোখের সামনে শুধু তমার বিষাক্ত স্মৃতিগুলো ভাসছে। সবার সাথে ভালো থাকার মিথ্যে অভিনয় করতে হচ্ছে ওকে৷ হঠাৎই সবার সোরগোলে তাহসান ওর মধ্যে ফিরে আসে। ও তাকিয়ে দেখে, লাল বেনারসি পরিহিত অসম্ভব সুন্দরী যেন কোন রাজকন্যা ওর দিকেই আসছে। ওদের একবার চোখাচোখি হয়। তাহসানের কিছুক্ষণের জন্য মনে হলো, এটা যেন মাইরা না ওর হারানো ভালবাসা, তমা। কিন্তু মুহূর্তেই সবার সোরগোলে সে ঘোরটাও কেটে যায়। মাইরা মানে ওর হবু স্ত্রী ওর পাশে এসে দাঁড়ায়। ওকে সালাম দেয়। ও আস্তে করে উত্তর দেয়। মাইরার জায়গায় তমা হলে তাহসান আজ খুশীতে আত্নহারা হতো। ওর মধ্যে অনেক কিছু কাজ করতো। কিন্তু এখন ওর কাছে এসব বিরক্ত লাগছে৷ তবে এতগুলো লোকের সামনে ও এভাবে থাকলে সবাই বুঝে যাবে। তাই ওকে অভিনয় করতে হবে৷ বাবা-মা ভাইয়ের সম্মান রক্ষার্থে ওকে অভিনয়টা করতেই হবে। ভালো থাকার মিথ্যে অভিনয়।
তাহসান আর মাইরা একসাথে বসে। ওদের ফটোশুট হয় কতক্ষণ। মাইরার বান্ধবীরা তাহসানের কাছে এসে বলে,
~ কেমন আছেন জিজু? আপনার মন খারাপ কেন?
তাহসান দ্রুত হাসি দিয়ে বলে,
– এই তো ভালো আছি। তোমরা? আর মন খারাপ হবে কেন? ঠিক আছি তো।
~ আরে ভয় নাই জিজু। আমাদের বান্ধবী অনেক ভালো। আপনাকে জ্বালাবে না। পিচ্চি মেয়ে একটা। হিহি।
তাহসান মাইরার দিকে তাকায়। আসলেই ওর ও মনে হয় মাইরা অনেক ছোট। মাইরা ওদের কথা শুনে লজ্জায় মরে যাচ্ছে৷ আর মাইরার বান্ধবীরা হাসাহাসি করছে তাহসানের সাথে। তাহসান ওর মিথ্যে অভিনয়টা চালিয়ে যাচ্ছে। এরপর দুটি পরিবার এক হয়ে সবাইকে সাথে নিয়ে তাহসান আর মাইরার বিয়ে সম্পূর্ণ করে। সবাই অনেক খুশী। খাওয়া দাওয়ার পর্ব শুরু হলে আস্ত খাসি একটা ওদের সামনে রাখা হয়। তাহসানের ফ্রেন্ডরা আর মাইরার ফ্রেন্ডরা মিলে ওদের খাইয়ে দেয়। সব মিলিয়ে অনেক মজা আর আনন্দ করে ওদের বিয়েটা সম্পূর্ণ হয়।
এবার মাইরার বিদায়ের পালা। যে বাবা-মার কাছে আঠারোটা বছর বড়ো হয়েছে আজ তাদেরকে ছেড়ে অন্য আরেকটা পরিবারে যেতে হবে ওকে। মাইরা আর ওর বাবা-মা কান্নায় ভেঙে পড়ে। মাইরার কান্না দেখে তাহসান স্তব্ধ হয়ে যায়। একদম বাচ্চা মেয়েদের মতো মাইরা কাঁদছে। তাহসান অজান্তেই মাইরার হাতটা ধরে৷ মাইরা তাহসানের দিকে কান্নাসিক্ত ভাবে তাকায়৷ তাকিয়ে ও লজ্জা পায়৷ মাইরার বাবা-মা তাহসানের কাছে এসে বলে,
– বাবা আমাদের একমাত্র আদরের মেয়েটাকে তোমার কাছে দিচ্ছি, ওকে দেখে রেখো। আজ থেকে ওর সব দায়িত্ব তোমার। কি রাখবে তো দেখে?
– অবশ্যই আঙ্কেল। আপনারা কোন চিন্তা করবেন না।
– যাক আলহামদুলিল্লাহ।
– বেয়াইসাব আমার ছেলে অনেক ভালো। আপনার মেয়ে আজ থেকে আমাদেরও মেয়ে। আপনারা কোন চিন্তা কইরেন না। আসেন হাসিখুশী ভাবে আমাদের বিদায় দেন৷
– আচ্ছা আচ্ছা চলেন।
তাহসান মাইরাকে নিয়ে ওর প্রাইভেট কারে উঠে। মাইরা ওর বাবা-মার দিকে তাকিয়ে কাঁদছে৷ তাদের বিদায় দিলে তাহসানের আদেশে ড্রাইভার গাড়ি স্টার্ট করে বাসার দিকে রওনা হয়৷ সাথে তাহসানের পরিবারের বাকি সদস্যরাও একসাথে বিদায় নিয়ে বাসার দিকে রওনা হয়। মাইরা নিঃশব্দে কাঁদছে। তাহসান কি করবে কিছু ভেবে পাচ্ছে না৷ এমনিই ওর কিছু ভালো লাগছে না৷ তাহসান আস্তে করে স্বান্ত্বনার স্বরে বলে,
– এভাবে কেঁদো না৷ আঙ্কেল আন্টির সাথে যখন ইচ্ছা দেখা করতে পারবে সমস্যা নেই।
মাইরা কাঁদতে কাঁদতে তাহসানের দিকে তাকায়। ওকে দেখে আর ওর কথা শুনে মাইরা একদম চুপ হয়ে যায়। ও লজ্জা পায় খুব৷ তবে মাইরা মনে মনে ভাবে, তাহসান হয়তো ওর কান্না দেখতে পারছে না৷ তাই ওকে স্বান্ত্বনা দিলো। মাইরা খেয়াল করে তাহসান গাড়ির জানালার বাইরে তাকিয়ে আছে৷ মাইরা তাহসানের দিকে আড়চোখে একবার তাকিয়ে চুপচাপ বসে থাকে। ওর মনে এখন অনেক কিছু ঘুরছে। সবটা শুধু তাহসানকে নিয়ে৷ আর লজ্জায় লাল হয়ে যাচ্ছে সেসব ভেবে।
৪.
রাস্তা ফাঁকা থাকায় আধা ঘণ্টার মধ্যে ওরা তাহসানের বাসায় চলে আসে। তাহসানের গাড়ি থামতেই ওর ভাইয়াও পিছনে এসে গাড়ি থামায়৷ একে একে সবাই গাড়ি থেকে নামে। তাহসানের ভাবি, সাথী এসে মাইরাকে নিয়ে চলে যায়। তাহসানের বাবা আর মা ওকে দোয়া করে দিয়ে ভিতরে চলে যান। তাহসানের বড়ো ভাই রাহুল এসে ওর কাঁধে হাত রেখে বলে,
– মাইরা মেয়েটা ভীষণ নাজুক। ওকে কোন কষ্ট দিস না৷ পারলে নতুন করে ওকে ভালবাসিস। আজ থেকে ওই তোর সব৷ কংগ্রেস ছোট ভাই। আয় কোলাকুলি করি।
রাহুল তাহসানকে জড়িয়ে ধরে। তাহসান আস্তে করে বলে,
– কিছু ক্ষত সহজে যায় না ভাইয়া৷ মাঝে মাঝে কখনোই যায় না। চিরকাল থেকে যায়৷
– মাইরা তোর সব ক্ষত ভালো করে দিবে দেখিস৷ ওকে শুধু একবার সুযোগ দিস ভাই।
তাহসান কিছু বলে না। ওর কিছু বলার নেই। রাহুল তাহসানকে ছেড়ে বলে,
– আচ্ছা চল ভিতরে যাই।
তাহসান চুপচাপ ভাইয়ের সাথে বাসার ভিতরে যায়৷ ও জানে ও তমাকে ছাড়া আর কখনো কাউকে ভালবাসতে পারবে না। রাহুল আর তাহসান আসতেই ভাবী এসে তাহসানকে গুতো দিয়ে বলে,
~ এই যে মিস্টার আমার বোনটার খেয়াল রাখবা কিন্তু। তোমার জন্য রেখে আসছি। তাড়াতাড়ি যাও৷ একা বসে আছে তোমার অপেক্ষায়৷
তাহসান নিষ্প্রাণ মুখ নিয়ে ওদের বাসর ঘরে চলে যায়। সাথী অসহায় ভাবে রাহুলের দিকে তাকায়। রাহুল মুচকি একটা হাসি দিয়ে সাথীর গাল দুটো ধরে বলে,
– চিন্তা করো না মাইরা ওকে আবার ফিরিয়ে আনবে সেই আগের তাহসানে।
~ তোমার কথা যেন সত্য হয়।
– হবে হবে৷ এখন চলো আজ আমাদেরও আরো একবার বাসর হয়ে যাক। হিহি৷
~ এই ছাড়ো…
রাহুল আর সাথী ওদের রুমে চলে যায়৷ তাহসান ওর রুমে ঢুকে….
চলবে..?
মিথ্যে অভিনয় পর্বঃ ০১
লেখকঃ আবির খান
সবার ভালো সাড়া চাই। আর কেমন লেগেছে জানাবেন কিন্তু। সাথে থাকবেন সবসময়।
পরবর্তী পর্বের লিংক কমেন্টে দেওয়া হবে৷