#মি_পার্ফেক্ট,০৭,০৮,০৯
আতাউর রহমান হৃদয়
পর্বঃ ৭
— কি হলো রাগ করলে বুঝি…(ওনি আদুরে গলায়)
— উহুহু..(মাথা ঝাঁকিয়ে) (লজ্জা করছে করছে ভিষণ)
— হায়রে আমার বউটা লজ্জাও পায় দেখছি….
(ওনি কথা টা বলেই হুট করে আমাকে…বাগানের মাঝে পাজো কোলে তুলে নিলেন…)
— এই এই কি করছেন…?(আমি বিস্মিত হয়ে গেলাম ওনার এমন কাজে)
— কি করছি দেখতেই পাচ্ছো। আমার বউকে আমিই কোলে নিয়েছি…এখানে এত বিস্ময়কর কিছু ঘটে নি…(এমন একটা ভাব নিয়ে কথা বলছেন ওনি যেনো কোনো কিছুই ঘটে নি)
— নিয়েছেন ভালো কথা.. নিবেন তাই বলে এই খোলা জায়গায়…যদি কেউ দেখে ফেলে।। তখন কি হবে….?(অবুঝ ভাষায়)
— কেউ দেখলে কি হয়েছে..? আমি কি খারাপ কিছু করছি নাকি…?(ব্যাটার কি ভাব)
— খারাপ কিছু নয় তো কি…?(ওনার কোলে আমি বিদ্যমান)
— কিসের খারাপ…?তোমাকে কি আমি কোলে নিতে পারি না…?
— কেনো নিবেন..? ( কঠোর গলায়)
— ওকেহ…তাহলে তোমার কয়েকটা কাজিনকে দেখলাম না আজ…নেক্সট টাইম তোমাদের বাসায় গেলে ওদের কাউকে কোলে নিয়ে ঘুরবো নি…?(অন্যরকম ভাবে…তবে এখনো আমি তার কোলেই আছি)
— ওই একদম খুন করে ফেলবো..যদি আমি ছাড়া কোনো মেয়ের দিকে চোখ তুলে তাকিয়েছেন তো…?
(অনেক টা অধিকারী ভাব আসলো মনের মাঝে। ওনার কথাটা যেনো আমাকে বাহুবালীর তীরের মত আঘাত করেছে। মনে হচ্ছে ওনি আমার একান্তই আমার। তাকে আমি পেয়েছি। ধরে রাখবো অন্তত কাল আমার মনের পিঞ্জিরাতে। ছুটতে দিবো না এই জনমে যতনা আছে এই দেহে মন)
— তো সব কথা তো তুমিই বলছো…?(ওনি)
— বলেছি বলে কি আপনি অন্য কাউকে কোলে নেওয়ার কথা ভাবতে পারেন..?(মন খারাপের অভিনয় করে দোষটা তো আমারই…ওনি আমাকে কোলে নিয়েছেন এতে ওনি যতটা ভালো লাগায় আসক্ত হচ্ছেন এর চেয়েও বেশি আসক্তির অনুভাবিত হচ্ছি)
— তো কও করবো…?(ওনি)
— আমাকে নিয়েছেন..নিবেন…তবে তাই বলে কি এভাবে এমন একটা জায়গায়।যদি কেউ এসে পড়ে…?(অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো কিছুর আশঙ্কায়)
— আসবে না কেউ জেনেই তো নিয়েছি তোমায় আমি…(মধুর স্বরে…)
এমন ভাষায় যদি কোনো বর তার বউয়ের সাথে কথা বলে আমি নিশ্চিত সেই স্ত্রী ভাগ্যবতী কারণ সব পুরুষ এমন ভাষায় কথা বলতে পারেনা…কিছু পুরুষ শুধু নিজের দৈহিক চাহিদার জন্যই বউকে স্বরণ করে। সব পুরুষ এমন করে বউয়ের সাথে রোমান্টিকতা করতে জানে তবে করে না এরা বউয়ের ইচ্ছার চাইতে নিজের চাহিদা টাকে বেশি খুঁজে। আর কিছু পুরুষ এমনও আছে তারা সময়ে বউকে ব্যবহার করবে ব্যবহার শেষে এরা বউকে লাথি উষ্ঠা যা আছে সবই মারে তবুও বউয়েরা এদের সংসার করে। তবে মেয়েরাও ভিন্ন ভিন্ন রকমের হয়)
— আমার অন্য মনস্ক হয়ে থাকা দেখে মিস্টার আমাকে জিজ্ঞেস করলেন…
— কি গো কি হয়েছে কি ভাবছো এত…?
— না তো কিছু না…(আমি)
— তাই…
— হুম… তো এভাবে আর কতক্ষণ কোলে নিয়ে দাড়িয়ে থাকবেন….?(আমি)
— কেনো কোলে থাকতে কি কোনো অসুবিধা হচ্ছে…?(ওনি)
— নাহ…তো আমার কাছে তো অন্যরকম ভালো লাগছে ইচ্ছে করছে সারারাত আপনার কোলেই থাকি আপনার…?(সত্যিই বরের কোলে ছড়ে থাকতে অন্যরকম এক অনুভুতি দাসত্ব করে)
— তাই…?(মুচকি হেসে কথাটা বললেন ওনি)
— হ্যাঁ.. কিন্তু আমি ভাবছি আপনার কথা…আপনি পারবেন তো এভাবে সারারাত আমাকে রাখতে…?(আমি একটু সংকোচের ইশারায় বললাম)
— হুম পারবো…তোমার যে সাইজ…আর ওজন…মনে হচ্ছে যেনো আমি ৩ বছরের একটা বাচ্চা কোলে নিয়ে দাড়িয়ে আছি….?(ওনি আমাকে অপমান করছে…এই জ্বালা তো সহ্য করা যায় না…)
— কিহ আমি ৩ বছরের বাচ্চা…?(আমি)
— তা বোই কি?(ওনি..)
— শোনেন আমি মোটেও বাচ্ছা নই…ওজন একটু বয়সের তুলনায় কম আর কি…?(ভাব নিয়ে)
— বয়সও বা আর কত হবে..?(তাচ্ছিল্যের সাথে)
— আমার বয়স ১৯ বছর ২ মাস ১৭ দিন।। আর আমার ওজন ৩৯কেজি ৬৩৫গ্রাম.. (ভাব নিয়ে)
— বিশ্বাস হয় না…আমার তো মনে হয় তুমি ১৪ বছরের পিচ্চি একটা… (মজার ছলে)
(ব্যাটা দেখি আমাকে রাগাচ্ছে আমায়…দারা আমি বুঝাচ্ছি)
— তো পিচ্ছি হলে বিয়ে করছেন আমায় হ্যাঁ… পিচ্চি দের বিয়ে করতে হয় না.. জানেন না আপনি… জানবেন কি করে সারা জীবন তো স্কুল ফাঁকি দিয়ে বেড়াইছেন…(ব্যাটা আমারে রাগায়। দিলাম তো কথা শুনিয়ে।। একদম জিতার মত ভাবে আছি)
— বিয়ে তো আমি করছি তোমার… (বলেই থেমে গেলেন)
— আমার কি হ্যা বলুন বলুন…?(আগ্রহের সাথে)
— নাহ কিছু না…(যাহ শালা বললো না আর)
— ওওও…তো আর কতক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকবেন…শুনি…?(মুচকি হেসে)
— তুমি না বললে সারারাত থাকবে…(ওনি)
— ওকে তাহলে আমি আর নামছিনা…(বলেই ওনার গলা জড়িয়ে ধরলাম )
— হুম ওকে.. এখানে আর বেশিক্ষণ থাকা ঠিক হবে না…(ওনি)<
-- এইতো ফুস হয়ে গেলো নাকি আপনার শক্তির ভাব...?(হাসি দিয়ে বললাম...আর ওনার কোল থেকে নামতে যাবো.. তখনি ওনি আমাকে আরো শক্ত করে ধরে বললেন..
-- তোমাকে কোলে নিয়েছি.. একবার যেহেতু বলছি সারারাত রাখবো এভাবে...সো রাখবো...
(বলেই ওনি হাঁটা ধরলেন।)
ওনার গলা জড়িয়ে ধরে আছি...ওনি হাটছেন...তার শরীর থেকে ধেয়ে আসা স্মেইল টা অনুভব করছি...এই প্রথম ওনার শরীরের দিকে চোখ গেলো আমার। শক্ত শরীর তার। হয়তো জিম করে। তার মাঝে আসক্ত হয়ে পড়ছি ক্রমশেই...তাতে আমার কোনো বিদ্রুপ নেই..হচ্ছি তো কি হয়েছে সে তো আমারই... আমি যে তার। বলতে কোনো বাঁধা দিচ্ছে মন। কারণ হয়তো সে আমার স্বপ্নের রাজ কুমার যাকে আমি চেয়েছি মনে মনে এতদিন ধরে। তার প্রেমে মুগ্ধ হতে কোনো বাধা নেই কারণ এই মন বলছে সে যে মি. পার্ফেক্ট। যাকে আমি চাই।
রুমে এসে ওনি যে এমন একটা কাজ শুরু করে দিবেন যা আমার কল্পনার বাহিরে ছিলো...এমনটা আশা তার কাছে আমার ছিলো না...
চলবে।।।
প্রিয় পাঠক-পাঠিকা গন গল্প লিখতে বসলে মনে একটা কথা বারে বারে ঘুরে যে আপনারা আমার পানে চেয়ে আছেন। কারণ আপনারা আমাকে অনুপ্রাণিত করেন। কিন্তু ঠিক ভাবে অনুপ্রেরণায় অনুপ্রাণিত না হই তখন গল্প তো লিখি ঠিকই তবে গল্পে মাধুর্যতা হয়তো ঠিক হয়ে উঠে না...তাই বলছি আপনাদের একেকটা কমেন্ট আমাকে হাজারো অনুপ্রেরণা যোগায়।
#মি_পার্ফেক্ট
পর্বঃ ৮.
রুমে এসে ওনি যে এমন একটা কাজ শুরু করে দিবেন যা আমার কল্পনার বাহিরে ছিলো...
এই এই কি করছেন কি আপনি...?
(ওনি আমাকে বিছানায় রেখে ওনার গায়ে থাকা টিশার্ট টা খুলে ফেলছেন... ওনার এই কাজে যদিও কিছুটা ভয়ের আভাস পাচ্ছি তবে এর চেয়েও বেশি বিস্মিত হয়েছি। ওনার বডি টা দেখে। তখন শরীর টা শক্ত লেগেছিলো বটে তবে ওনার যে এমন প্যাক থাকবে বুঝে উঠতে পারি নি। আমাকে নেশা ধরিয়ে ফেলছে ওনার এমন শরীর।)
-- কি করছি দেখতেই পাচ্ছো...?(ওনি)
-- কি করছেন..?
-- দেখতে পাচ্ছো না....(একটা সেন্টু গেঞ্জি পড়তে পড়তে বললেন)
-- হুম বুঝলাম...
-- রাত অনেক হয়েছে ঘুমিয়ে পড়ো।।আমার ভোরে কাজ আছে।
রুমের লাইট টা অফ করে ওনি বিছানায় এসে শুয়ে পড়লেন। আমিও ঘুমানোর চেস্টা করছি তবে ঘুম বাবাজী আসছেন কই....
-- ঘুম আসছে না...?(ওনি)
-- উঁহু...
আমাকে আলতো করে কাছে টেনে নিয়ে বললেন...
-- বললেই তো পারো বুকটা চাই...?(ওনি আমার মাথা টা ওনার বুকে রাখলেন)
-- সব কথা কি বলা যায়... কিছু কথা তো বুঝে নিতে হবে তাই না...(ইসস ইচ্ছে করছে ওনার বুকে কয়েকটা কিস করতে)
-- শোনো সবসময় যে আমার মেজাজ টা এমন নরম থাকবে তা কিন্তু নয়...বাহিরের কাজের অনেক চাপ থাকে আমার তাই মেজাজ টাও খিটখিটে হয়ে থাকে তখন আমি তো তোমার ইচ্ছে গুলো বুঝে উঠতে পারবো না তখন তো নিজেই করে নিতে পূরণ তোমার ইচ্ছে গুলো... (ওনি)
-- হুম...
ওনার বুকে মাথা রাখার পর কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছি নিজেরই কোনো হুশ নেই...
সকালে নিজেকে বিছানায় একা আবিস্কার করলাম।
ফ্রেস হয়ে। শাশুড়ির কাছে গেলাম।
-- কিগো উঠেছো বউমা...?(শাশুড়ী)
-- হুম...
-- এখন তুমি অসুস্থ তাই একটু লেটে উঠেছো...তবে সবসময় এমন হলে কি চলবে...?(শাশুড়ী)
-- রাতে ঘুমানোর আগে কি ইফতি তোমাকে কিছু বলেছে....?(শাশুড়ী)
-- ওনি তো অনেক কথাই বলেছেন... (বেকুবের মত উত্তর দিলাম...জ্ঞান বুদ্ধি তো কিছুই হয় নি আমার...)
-- আরে অনেক কথার কথা আমি জিজ্ঞেস করি নি আমি...ওকি তোমাকে ঘুমানোর আগে বলেনি ওর সকালে কাজ আছে???
-- হুম বলেছেন তো...(আমি)
-- এটা কখনো বলে থাকলে ফজর পড়ে তাড়াতাড়ি নাস্তা টা তৈরি করে নিও...সকালে না খেয়ে যেনো বের না হয় সে...তোমার বিয়ের আগে আমি কখনো ওকে না খেয়ে বেরুতো দেয় নি...(শাশুড়ী)
-- আজ কি না খেয়েই বেরিয়েছেন..?(একটু জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকিয়ে)
-- না.. আমি যদি না দেখতাম তাই করতো...তবুও আমি কেনো নাস্তা বানাতে গেছি...সেজন্যে আমাকে বকুনি শুনতে হয়েছে...
আচ্ছা যাই হোক.. আামাদের জন্য কিছু একটা করতে হবে।।(শাশুড়ী)
-- কি তৈরি করবো আম্মু..?(আমি)
-- নুডলস করো...নীলুর প্রিয়...(আমার দিকে অবাক হয়ে তাকালেন হয়তো আম্মু বলেছি বলে ওনার কাছে ভালো লেগেছে)
সারাদিন আম্মু আর আপুদের(ননদী) সাথে কাজে ব্যস্ত ছিলাম।
(লেখক আতাউর রহমান হৃদয়)
সন্ধ্যায় সবাই বসে আছি। কিন্তু আমার কাছে ভালো লাগছে না... ওনাকে দু'চোখ খুঁজছে আমার নিজের অজান্তে।
-- আচ্ছা আপু...?(আমি)
-- হুম বলো ভাবি...?(ননদী)
-- আপনার ভাই কি কাজে বেরিয়েছেন...?(আমি)
-- ওওহ..ওতো মুরগি দেখতে গেছে...?(ননদী)
-- কিসের মুরগি...?(আমি..অবাক হলাম..)
-- ওইযে ওর তো অনেক গুলো খামার আছে মুরগির ওগুলা লোক দিয়ে কাজ করায়...আর প্রতিদিন একবার একবার দেখে আসে...আর কিছু আছে অন্যদের তবে ওগুলো তো বাচ্ছা, খাদ্য আর ঔষধ ওই সাপ্লাই দেয়...ওগুলা দেখতে গেছে আজ...কয়েকদিন পরপর ওগুলা ও গিয়ে দেখে আসে...
-- এর মানে ওনি মুরগির ব্যবসায়ী... (ঠাট্টা করে)
-- ও কথা ভাইয়ার সামনে বইলো না ভাবি...আর ওর আরো কিসের ব্যবসা আছে জানি না..অনেক ধরনেরই আছে সেটা জানি... তবে আমাদের বাজারে তিনটা ব্যাংক আছে ওই তিনটার শেয়ারদার ও...?(ননদী)
রাত ১০ টায় আসছেন ওনি..খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছেন..সারাদিন কাজ করে হয়তো ক্লান্ত... তবে আমাকে বুকে নিয়ে ঘুমাতে ভুল করেন নি....
ওনি প্রতিদিনই একই নিয়মে বেরিয়ে পড়েন ওনি সারাদিন কোনো খোঁজ থাকে না...রাতে এক ঝলক দেখা পাই ওনার...
আমাদের বিয়ের আজ ১০ দিন পেরিয়ে গেলো...
রাতে
মুখটা গোমরা করে রুমে বসে আছি...
বাবার বাড়ি যেতে খুব ইচ্ছে করছে। বাড়ির সবার কথা খুব মনে পড়ছে... বাবা মা কে দেখতে ইচ্ছে করছে খুব...
-- কি ব্যাপার শরীর খারাপ নাকি...?(ওনি রুমে এসে টেবিলের উপর একটা ফাইল রেখে কথা টা বললেন)
-- নাহ..(আমার পাশে বসে পড়লেন)
-- বুঝতে পারছি... বাবার বাড়ি যেতে ইচ্ছে করছে ...(বুঝে নিলেন..)
-- হুহ...(মাথা ঝাকিয়ে বললাম।মাথা টা নিচু করে আছি)
-- ব্যাংকের কিছু ঝামেলা হয়েছিলো ওগুলার কারণে একটু বেশিই বিজি ছিলাম...কালকে তোমাদের বাড়ি যাচ্ছি...(ওনি)
-- সত্যি... (অনেকটা খুশি হয়ে ওনার দিকে তাকালাম...)
-- হুম...(ওনি)
-- ধাংকু..(ওনার গালটা টেনে দিলাম)
-- সুস্থ তো তুমি এখন...?(মুচকি একটা হাসি দিয়ে বললেন)
-- হুম...(ওনার কথাটা জিজ্ঞেস করার অর্থটা বুঝতে পেরেছি। লজ্জায় আমি মাথা টা নিচু করে আছি)
-- এত লজ্জা যে কোথাও পাও আমি বুঝি না..জিজ্ঞেস করলাম ভালো আছো..ওনি লজ্জায় মাথা নিচু করে ফেলছেন৷... সবসময় কি মাথায় উল্টা পাল্টা কথা গুরে নাকি..?(ওনি)
-- আরে নাহ..উল্টা পাল্টা কি ভাবছি...(আমতাআমতা করে)
-- যাই ভাবছো তা যদি করতে যাই...তাহলে কি কোনো অসুবিধা আছে...(মুচকি হেসে আমাকে নিজের বাহুডোরে জড়িয়ে ধরলেন)
-- (কি বলবো আমি...কোন কথাই বলছি না)
-- কি আর করার কোন উত্তর যদি না পাই তাহলে হতাশ হয়েই আমাকে শুয়ে থাকতে হবে...(বলেই ওনি শুয়ে পড়লেন)
-- ওই আমি কি নিষেধ করেছি..(ওনার বুকের শুয়ে পড়লাম আমার মুখটা ওনার মুখের কাছে)
-- তাই...এর মানে কি..?(ওনি)
-- মানে বুঝেন না...খোকা বাবু একটা...বউয়ের অধিকার ফলাবো আজ থেকে...(আমি ওনার নাকের সাথে আমার নাক টা ঘষা দিয়ে বললাম)
-- তা কেনো...?(ওনি)
-- ভালবাসি তাই...কোনো অসুবিধা আছে..? (আমি ওনাকে একটা কিস করলাম...আমার লজ্জা শরম সব কই গেলো রে...আরে দুর লজ্জা কিসের ওনি তো আমার বর ই...রুমের ভিতর ওনার সাথে কোনো লজ্জা থাকছে না হি হি হি)
-- তাই বুঝি..নাহ তো আমার কোনো অসুবিধা নেই... (বলেই আমাকে ওনার উপর থেকে নামিয়ে দিলেন)
-- অসুবিধা নেই বলেই কি উঠে গেলেন...(আলমারি থেকে কিছু একটা এনে আমার হাতে দিলেন)
-- এই নাও...?(ওনি)
-- কিহ এটা...?(খুলে দেখি ১০০০ টাকার বান্ডেল)
-- দেনমোহরের টাকা..অর্ধেকটা দিলাম.. বাকিটা সারাজনম ধরে ধীরে ধীরে শোধ করবো...চলবে নাকি...?(ওনি)
-- চলবে না দৌড়াবে।।আপনি দিছেন আমি পাইছি। এখন এগুলা আপনার কাছেই রাখেন আমার এগুলোর দরকার নেই...(আমি)
-- তো এখন কি দরকার..?(হাসি দিয়ে)
-- আপনাকে দরকার কাছে আসেন...?(নেশা ধরেছে আমায়)
-- ওমা তাই বুঝি...আমি তো আসছি না...?(ওনি)
-- আসবেন না মানে...(বলেই ওনাকেটান দিয়ে বিছানায় ফেলে দিলাম..ওনার বুকের উপর চড়ে বসলাম...)
-- আরে বুঝলাম তো সব.. লাইট টাতো অফ করো...(ওনি)
লাইট টা অফ করে দিলাম... ওনাকে নিজের মত করে কাছে পাচ্ছি। তার প্রতিটি ছোঁয়া আমাকে তার প্রতি আসক্ত কর তুলছে...এটাই হয়তো স্বামী স্ত্রীর সবচেয়ে সুখের মুহুর্ত। যেখানে দুজনই চায় তাদের। আর কি চাই মনের মত মানুষ। তার সাথে কাটানো সেরা সব মুহূর্ত।
রাতে ওনার বুকে শুয়েই ঘুমিয়েছি...
সকালে ঘুম ভেঙে দেখি ওনার বুকেই আছি।।।
ওনাকে একটা কিস করে উঠতে যাবো তখনই ওনি....
...
to be continue...
#মি_পার্ফেক্ট
পর্বঃ ০৯
লাইট টা অফ করে দিলাম... ওনাকে নিজের মত করে কাছে পাচ্ছি। তার প্রতিটি ছোঁয়া আমাকে তার প্রতি আসক্ত কর তুলছে...এটাই হয়তো স্বামী স্ত্রীর সবচেয়ে সুখের মুহুর্ত। যেখানে দুজনই চায় তাদের। আর কি চাই মনের মত মানুষ। তার সাথে কাটানো সেরা সব মুহূর্ত।
রাতে ওনার বুকে শুয়েই ঘুমিয়েছি..
সকালে ঘুম ভেঙে দেখি ওনার বুকেই আছি।।
ওনাকে একটা কিস করে উঠতে যাবো তখনই ওনি আমাকে টান দিয়ে নিজের সাথে মিশিয়ে নিলেন...
-- আরে করছেন টা..? (আমি)
-- কি করছো..আমার বউকে আদর করছি আপনার কোনো সমস্যা আছে নাকি...?(চোখ বন্ধ করে আছেন)
-- সারারাত করেও কি মন ভরে নি...?এখন আবার শুরু করে দিয়েছেন... (নেশাক্ত ভাষায়)
-- উহু..তা কি আর ভরে...বিয়ের ১০ দিন পর গিয়ে কাছে পেলাম এক রাতে কি আর মন ভরে...(ওনি)
-- ১০ দিন পরে পেলে কি হয়েছে সারাজনম তো করতে পারবেন...(বলেই ওনার মুখে কিস দিতে শুরু করলাম)
ওনাকে চুমু খেতে ভালোই লাগছে...মনটা চায় এভাবে সারাক্ষণ শুয়ে থাকি ওনার সাথে...
-- হুম তাই তো সহজে ছাড়া পেয়েছো...(ওনি)
-- আচ্ছা আমার তো কাজ আছে তাই না...আম্মুকে হেল্প করতে হবে না...(কপালে চুমু খেলাম)
-- হুম যাও...আর নাস্তা শেষে তৈরি থেকো...(ওনি)
-- কেনো..?
-- ওমা ভুলে গেলে নাকি...নিজেকে খুবই বুদ্ধিমতী ভাবো রাতের কথা সকালেই ভুলে গেলেন...?(কিসের কথা বলছেন আমি বুঝছি না)
-- আপনি রাতে যে পরিমান আদর ভালবাসা দিয়েছেন এতে কি দুনিয়ার কথা মনে থাকে...?(আমি)
-- ওমা তাই বুঝি...
-- হুম তাই..(আমি)
-- আচ্ছা এখন যাও নাস্তা রেডী করো...?
রুম থেকে বেরুতো যাবো তখনই..
-- ওই...?(ওনি)
-- হুম...
-- মাথায় কি কিছু আছে তোমার..?
-- কি...(আমি)
-- ফ্রেস হইছো তুমি..?
-- নাহ..(আমি)
-- গোসল টা করবে কে শুনি...কিচ্ছু তো শিখো নাই জীবনে শুধু ফাঁকি বাজিই করছো।।আর আমাকে বলে ওনি আমি নাকি ফাঁকিবাজি করছি....(ওনি)
-- ইসস রে...আপনি করছেন তো..?(আমার জিহ্বায় কামড়)
-- আমি করছি..নামাজও পড়ছি...আর হ্যাঁ আজ নামাজ পড়ো নাই কিছু বলি নি...পরের ওয়াক্ত থেকে এক ওয়াক্ত নামাজ মিস হবে তো...মাথায় তুলে আচাড় মারবো...(একটু রাগী ভাবেই বললেন...তবে ওনার এ কথাটায় খারাপ লাগে নি..কারণ হয়তো ওনি ভালো কথা বলেছেন বলে)
নাস্তা শেষে তৈরি হতে আসছি। এসে দেখি ওনি নেই...হয়তো কোথায়ও বেরিয়েছেন। মুরগির ওয়ালা মুরগি দেখতে গেছেন... বাবা আমারে শেষ মেষ মুরগিওয়ালার কাছে বিয়ে দিলেন..এহ হ্যা। তবে মুরগিওয়ালা হলে কি হয়েছে আমারই তো ওনি...বাবার চয়েস আছে বলতে হবে...
শাড়ী পড়তে পারি। তবে এতটাও না।
শাড়ী পড়ার চেস্টা করতেছি এমন সময় ওনি রুমে আসলেন....
-- কিগো মুরগিওয়ালা...কোথায় গিয়েছেন..?(আমি।।)
আমার যে বুকে ওড়না বা কাপড় নেই। শুধু ব্লাউজ আছে। সেদিকে এতটা বিদ্রুপ করলাম না। ওনি রুমে ডুকেই আগে দরজাটা অফ করে দিলেন। দরজার সামনেই দাড়িয়ে আমার দিকে নেসাক্ত নয়নে তাকিয়ে আছেন।
-- কি হলো এমন ভাবে রোবটের মত দাঁড়িয়ে আছেন কেনো.? (আমি)
-- হুহ..(ব্যাটার হুশ ফিরলো.)
-- দরজাটা লক করো নি কেনো...?(ওনি)
-- বাসায় কি আপনি ছাড়া অন্য কোনো পুরুষ আছে৷.? (আমি)
-- আমি তো আছি...?(ওনি আমার কাছে আসলেন)
-- তাতে কি হয়েছে?(আমি..)
-- আমি যে তোমায় এমন ভাবে দেখতেছি এতে তোমার লজ্জা করছে না...?(ওনি)
-- হুহ লজ্জা তো কাল রাতেই আপনি আমার কেড়ে নিয়েছেন..নাহ কেড়ে নেন নি আমি ঝেড়ে ফেলে দিয়েছি...অন্তত এই রুমের ভিতর আমার কোনো লজ্জা নেই..আর আপনি দেখছেন তো কি হয়েছে??? আমি তো আপনারই..(আমি কথাটা গুলো সাধারণ ভাবেই বললাম)
-- তাই নাকি...(রহস্য করে)
-- তাই...এখন দাড়িয়ে না থেকে আমারে হেল্প করেন...(বলেই ওনার হাতে শাড়ীর আচল ধরিয়ে দিলাম)
-- উপস তুমি তো দেখি আমাকে নরমাল থাকতে দিবে না...(চোখা জোড়া বন্ধ করে)
-- থাকতে বলছে কে শুনি...?(আমি)
-- হুম সেটাই তো...
-- তো এখন এতটা অন নরমাল হওয়ার কাহীনি কি শুনি...?(আমি)
-- ওমা তুমি বুঝছো না...রাতে তো অন্ধকারে তোমার সৌন্দর্যের কিছুই দেখি নি...?(ওনি)
-- এখন কি দেখছেন...?
হুট করেই ওনাকে একটা কিস করতে মন চাইলো...মন যা চায় তা কি না করে পারা যায়। ব্যস দিয়ে দিলাম--লেখক আতাউর রহমান হৃদয়-- একটা কিস। কিন্তু ওনি বোধয় একটা তে খুশি হন নি যার ফলে আমাকে টেনে ধরে ঠোঁটের স্বাদ নিতে লাগলেন। ইস লোকটা যতই কাছে আসে ততই অনুভুতি কাজ করে ইচ্ছে করে ওনাকে আমার সাথে মিশিয়ে নিই। হৃৎস্পন্দন বেড়ে গেছে আমার। ধুক ধুক করে শব্দ করছে আমার বুকে। ঠাঁয় দিয়েছে মন তাকে আমার মনের রাজ্যের সিংহাসনে।
-- কি করলেন এটা..?(আমি)
-- কি করছি...?(ওনি)
-- আচল টা ফেলে দিলেন কেনো.?
-- তো কি করবো হুশ ছিলো নাকি...? (ওনি)
-- হুশ কোথায় যায় শুনি...?(আমি)
-- বউ যদি এতটা কাছে এসে আদর দেয় আবার বেষে তাহলে কি কারো মাথা ঠিক থাকে।(ওনি)
-- তাই বলে এমন করবেন। জানেন আমার কত কস্ট হয়েছে কুঁচি গুলো ঠিক করতে এখন আপনি আঁচল টা ছেড়ে দিয়ে কুঁচি গুলো ও নস্ট হয়ে গেলো...?(কান্নার ভাব এসে গেলো)
-- এই যে মিস...কার সাথে বিয়ে হয়েছে আপনি..?(ওনি)
-- কার সাথে আবার একটা মুরগিওয়ালার সাথে...?(আমি)
-- মুরগিওয়ালা বলবা না কিন্ত। আর মুরগিওয়ালা হলেও সে নিজের বউকে কাজে হেল্প করবে বলে... (ওনি)
-- ওমা তাই বুঝি.. তো শুনি কি কি শিখছে...?(আমি)
-- শাড়ী পড়ানো...শিখছে...আপাতত এটাই জেনে রেখো...?(ওনি)
-- তো পড়িয়ে দিন...(আমি)
-- হুম তা তো অবশ্যই..আমি তো ভাবছি তোমাকে শাড়ী পড়ানোর জন্যে হলেও প্রতি মাসে একবার হাত ভাঙবো...(ওনি)
-- কার...?(আমি অবাক হয়ে)
-- কেনো তোমার..?(ওনি)
-- ওমা গো দরকার নেই..আমার শাড়ী পড়ার আমি প্রয়োজনে মেচকি(কার ভাষায় কি বলে জানি না) পড়ে থাকবো....তবুও আমি একটু খানি আঘাত সহ্য করতে পারবো না...(আমি)
-- এত অস্থির হচ্ছো কেনো..? আমি তো ভাঙবো বলেছি ভাঙ্গি নি...আর তুমি যদি সবসময় পড়িয়ে দিতে দাও ভাঙার আর কি দরকার...?(ওনি)
-- হুম দিবো...শুধু শাড়ী নয় আপনি যদি আরো কিছু পড়িয়ে দিতে চান দিয়েন তবুও হাত ভাইঙ্গেন প্লিজ...(আমি)
-- আরে পাগলী বউ আমার অস্থির হচ্ছো কেনো...? তোমাকে কি কখনো আঘাত করতে পারি বলো...?(ওনি)(কথাটা বলেই আমার উন্মুক্ত পেটে একটা কিস খেলেন)
-- হুম...
শাড়ী পড়াচ্ছেন ওনি...আর আমার পেটে বারবার টাচ করছেন। ভালোই লাগছে ওনার ছোয়া গুলো..
--ঐ দাড়ান তো দেখি(আমি)
-- কেনো..?(ওনি)
-- আরে দাড়ানই না৷... (আমি)
-- হুম
ওনি দাঁড়াতেই একটা চুমু খেয়ে বললাম...
-- এবার আপনি আপনার কাজ করেন...(আমি)
-- পাগলি একটা।।।
-- ওই আমার পাগলি টাগলি কইবেন না কইলাম৷..
-- তো কি কমু...?
-- বেগম সাহেবা কইবেন...(আমি)
-- যথাআজ্ঞা..
নিজ হাতে কুঁচি গুলো ঘুছে দিলেন ওনি।।।
শাড়ী পড়ানো শেষে। আমাকে আয়নার সামনে দাঁড় করিয়ে বললেন।
-- আমার রানী টাকে একদম রাজরানীর মতো লাগছে...?
-- কেনো আমি কি রাজরানী নই...? (আমি)
-- হুম আমার রাজ্যের...?(ওনি)
-- অনেক সুন্দর হয়েছে..কোথা থেকে শিখছেন...?(আমি)
-- ইউটিউব দেখে... (ওনি)
-- তার মানে আপনি ইউটিউবে ঐ মেয়ে গুলোর উন্মুক্ত পেটের দিকে তাকিয়েছেন...?(আমি)
-- মেয়ে নয় তে পুতুল ছিলো...রাগছো কেনো তুমি...?(ওনি)
-- সে যাই হোক তাকাবেন কেনো..?আপনি শুধু আমার দিকে তাকাবেন..(আমি)
-- ওকেহ সরি আমার ভুল হয়ে গেছে...এখন তুমি বোরকা টা পড়ে তৈরি হয়ে নাও আমি ওয়েট করছি... (ওনি)
-- ওই শুনুন..(আমি)
-- হুম বলো..
-- আপনার না বাইক আছে...? (আমি)
-- হুম..আছে তো...?(ওনি)
-- বাইকে যাবো...?(আমি)
আম্মু আর আপুকে বলে বেরিয়েছি।
ওনার বাইকের পিছনে বসে আছি। খুবই সাবধানে বাইক চালাচ্ছে। ভেবেছিলাম বউকে বাইকের পিছনে বসিয়ে হিরোপান্থি দেখাবেন। নাহ দায়িত্ববোধকতা আছে তার মাঝে।
খুব শখ ছিলো বরের বাইকে পিছনে চড়ার তাও পূরণ হলো। ওনাকে আস্ঠপিস্টে জড়িয়ে ধরতে ইচ্ছে করছে। কিন্ত এখন ধরা যাবে দিনের বেলা রাস্তার মানুষজন বাজে মন্তব্য করতে পারে।
বাবার বাড়ির সামনে এসে দাড়াতেই আমি অবাক....
to be চলবে..