#মি_পার্ফেক্ট,৩৭,৩৮
আতাউর রহমান হৃদয়
৩৭
বৌভাতে এসে মাইয়াটারে না বেডি টারে খুঁজতেছি…হুট করেই কোথাকে এসে ওনাকে জড়িয়ে ধরে বসলো….এই অবস্থা তো দেখে তো আমার সেন্টিমিটার হাই বোল্টেজে রূপান্তরিত মাইয়াটার চুলের মুস্টি ধরে টান দিতে যাবো তখনই…
ওনি আমার হাত টা ধরে ফেললেন….কিছু বলার ভাষা নেই ওনার এমন বাধা পেয়ে।।।
কি হলো এটা…?আমি নির্বাক হয়ে দাড়িয়ে আছি।।। ঠাঁই হয়ে দাঁড়িয়ে তো আছি ঠিকই তবে আমার ভিতর টা ভেঙ্গেছে যে,,,
এটা বোধয় কেউ টের পেলো না….শেষ মেষ এই ছিলো তার আসল পরিচয়…? বাহ দুদিনের দেখায় একটা মেয়েকে কতটা ঘনিষ্টতায় চলে গেলেন ওনি আজো কি তার ভালবাসায় আমি ছিলাম…নাকি মাত্র চাহিদা মাত্র….
— আরে ছাড়ো তো লোকে দেখছে…?(ওনি মেয়েটা কতটা মিস্টি ভাষায় বললেন…আহ হা মন জুড়িয়ে যায় এমন ভাষায় কথা শুনলে…তবে আজ আমার জুড়ছে না পুড়ছে…)
— দেখলে কি হয়েছে…. আমি তো আমার জানেমানকেই ধরেছি….তাতে লোকের কি…?(মেয়েটা ওনাকে এতটাও আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে নেই…ওনিও নিজ থেকে ধরে রাখেন….দুর থেকে দেখলে কেউ ব্যাপার বুঝতে পারবে না…চোখে দেখতি পাচ্ছি না…হয়ত চোখের কোণে জল জমেছে…জমবেই না কেনো…? এতটা ভালবাসার পরেও কেউ যদি নিজের সামনেই অন্য কাউকে এভাবে জড়িয়ে ধরে রাখে তাহলে কি আর ঠিক থাকা যায়…)
— আরে ছাড়ো তো….(খুব যত্ন সহকারে মেয়েটা ছাড়িয়ে নিলেন নিজের কাছ থেকে হয়ত তিনি বুঝতে পেরেছেন আমি উপস্থিতি এতক্ষন বোধয় ওনার জানা ছিলো না যে আমি এখানে উপস্থিত আছি)
— আচ্ছা জান…তোমাকে এই মেয়েটা কি চিঠিটা দিয়েছিলো…?(ওমাগো কি তুরু লাভ..)
— হ্যাঁ দিয়েছিলো তো….(আমি কিছু বলতে যাবো তার আগেই ওনি আমাকে চোখ দিয়ে ইশারায় বুঝিয়ে দিলেন কিছু না বলতে….আচ্ছা এখনকার মেয়েরা মর্ডান বলতে কি এটা কে বুঝায়…যে বিয়ের আগে যাকে তাকে জড়িয়ে ধরা….বেপর্দায় নিজেকে সবার সামনে তুলে ধরা….যদিও মেয়েটা খুব শালীন একটা বোরকা পড়ে আছে… সাথে হিজাবও)
— মেয়ে টা কে গো…সারাক্ষণ তোমার পেছনে লেগে থাকে….?(বাহ…আমি নাকি তার পেছনে লেগে থাকি)
— কেউ নাহ…গত কাল তুমি যে চিঠি দিয়েছিলো আমি তো জানতাম না জানতো সে…তাই তার মাধ্যমে তোমাকে খুজতে ছিলাম..কিন্তু তার আগেই তো তুমি আমাকে.. (বাহ এখন আমি তার কেউ না….)
— তাই নাকি….? কিন্তু তুমি আমাকে খোঁজা লাগতো না…আমিই তোমাকে খুজে নিতাম..ভালবাসার টানে…পৃথিবীর যে কোণেই থাকো না কেনো…আমি আমার ভালবাসা দিয়ে তোমাকে ঠিকই খুজে নিতাম…একে আর দরকার পড়তো তোমার…? (বাহ আমি কতটা তুচ্ছ এদের প্রেম লীলার মাঝে….নিজেকে আর ধরে রাখতে পারলাম…খুব কস্ট হচ্ছে এদের এমন প্রেমালাপ শুনতে…ওনার বারণে কিছু বলতেও পারছি না..এই জন সম্মুখে কিছু বলতেও পারছি না….)
আর দাড়িয়ে না থেকে দৌড়ে চলে এলাম একদম নির্জনে….
কান্না পাচ্ছে খুব…কেঁদেই চলেছি…ওনি বোধয় মেয়েটার সাথে প্রাইভেট টাইম স্পেন্ড করছেন… পৃথিবীর কোন মানুষই সহ্য করতে পারেনা।।।
তার ভালবাসার মানুষ যখন অন্য কারো সাথে এমন করে আসক্ত থাকে….আমিও তো মানুষ… আমি কি করে সহ্য করি…তাও নিজের চোখে সব দেখা…নিজের কানে তাদের প্রেমআলাপ শোনা…
আবার আমি-ই কাল নিজের হাতেই মেয়েটার প্রেমপত্র পড়ে শুনিয়েছি ওনাকে।।।
বাহ কত মহান আমি…নিজের বরকে প্রেম করার জন্য তাকে কতটা হেল্প করলাম…
ওনি এক কোনায় দাড়িয়ে দিব্বি মেয়েটার সাথে হেসে কথা বলে যাচ্ছেন…. আর কখনো দেখিনি তাকে এমন করে হাসতে…ওনার হাসি দেখে মনে হচ্ছে ওনি নতুন করে প্রাণ ফিরে পেয়েছেন।।।।
আমি কি তাহলে এতদিন অসস্তিতে রেখেছিলাম তাকে??? যার কারনে ওনাকে এমন করে হাসতে দেখি নি…?
আহ কতটা সুখী ভেবেছিলাম নিজেকে এখানে আসার আগ পর্যন্ত…. কতটা ভাগ্যবতী মনে হচ্ছিলো নিজেকে…
কিন্তু আমার সকল মনে হওয়া এক নিমিষেই শেষ…মনের সকল ভালবাসা এক মুহুর্তেই শেষ হয়ে গেলো….আমার মনে থাকা যত ভালবাসা ওনার জন্য ছিলো সব তো হয়ে গেলো ঘৃণায় পরিনিত।।।।
এখানে আর থাকতে ইচ্ছে করছে না….অনিক কে কল দিয়ে বললাম আমাকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করতে…..
যাওয়ার আগে ওনাকে একনজর দেখে যাই….
বিয়ে বাড়ির এক কোণে ওনি আর মেয়েটা সাথে একজন পুরুষও আছে।।।পুরুষ বলতে ওনার বয়সীই।।।তার কোলে একটা বেবিও আছে…
ওনার থেকে দুরুত্ব বজায় রেখে..ওনাকে মেসেজ লিখলাম…
bye…ami bari jacci… R ha apnk r amadr bari aste hove na..mye ta ke akbare biye kore bow kore nia jaiyen…ami paper phathiye divo..tention niyn na..apndr valobashar pothe kata hoye darabo na….Happy life enjoy koren….
Anurima.
ওনি আমার মেসেজ টা পেয়ে আশে পাশে তাকালেন…আমাকে দেখতে পেয়ে সোজা দৌড়ে আসলেন আমার সামনে।।।তার দিকে না তাকিয়ে আমি পিছন ফিরে হাঁটা ধরলাম।।।
ওনি আমার হাতটা ধরে আছেন..
— ওই বউ রাগ করলে বুঝি…?(ওনি আমার হাতটা ধরেই রেখেছেন)
— জ্বি না রাগ তো তার উপরই করা যায় যার উপর অধিকার থাকে…(কান্নাজড়িত কন্ঠে…)
— দেখেছো তার অবস্থা একটুতেই কেঁদে কন্ঠ টা পর্যন্ত ভেঙ্গে ফেলছে….(টান দিয়ে ওনার সাথে মিশিয়ে নিলেন…ওনার ছোঁয়া গুলো আমার কাছে এখন বিরক্তি ছাড়া কিছুই লাগছে না…ইচ্ছে করছে ওনাকে খুন করে এখান থেকে যাই)
— ছাড়ুন আমাকে…? (ওনার থেকে ছাড় পাওয়ার ব্যর্থ চেস্টা করছি)
— কি হয়েছে এমন করছো কেনো…?(ওনি এমন ভাব নিয়ে কথা বলছেন যেনো কিছুই হয় নি)
— দেখুন ছাড়ুন বলছি নাহয় আমি ব্যবহার খারাপ করবো নাহয় চেচামেচি করবো…?(খুব কঠোর গলায় বললাম)
— যা করার করো…আমি তো তোমাকে ছাড়ছি না…(ওনি আমাকে আরো শক্ত ভাবে জড়িয়ে ধরলেন)
— ঐ তোরে ছাড়তে বলছি না….কয়টা লাগে তোর…? কি নেই আমার মাঝে…যেটা তুই ঐ মাইয়ার কাছে পেয়েছিস….কি দিই নি তোকে আমি….ঐ মাইয়া কি আমার থেকেও বেশিই সুন্দরী…এই ছিলো তোর ভালবাসা..খুব তো বলতিস…আমাকে তুই ভালবাসিস….এই তুই না আমার চোখ গুলো দেখে আমার প্রেমে পড়েছিলি….তোর তো দেহ কিংবা রূপ পছন্দ না তবুও কেনো ঐ মাইয়ার রূপের পাগল হইলি..???. নাকি আমাকে আর ভাল লাগছে না…না লাগলে বলে দে।। মুক্ত করে দিবো..তোকে..(খুব কড়া গলায় কথা বলছি…কান্না ধরে রাখতে পারছি না…কান্না আর কঠোরতা দুটোই ভিড় করেছে আমার মাঝে…)
— সরি বুঝতে পারি নি তুমি এমন ভাবে বিষয় টা নিয়ে যাবে….(ওনি দেখি ভাঙা গলায় কথা বলছেন…ওনার চোখের কোণেও জলের চাপ দেখতে পেলাম…কিন্তু কেনো ওনারও তো খুশি হওয়ার কথা…)
— কি বুঝতে পারেন নি….বলুন কি বুঝতে পারেন নি…আর কত ভালবাসা লাগবে আপনার যে অন্য কারো দিকে নজর না যেতে….?(ওনার কলার ধরে বললাম…কি থেকে কি করছি নিজেও জানি না…কেমন ভাষায় কথা বলছি বুঝতেও পারছি না।।।যার মন টা এভাবে ভেঙে গেছে বলতে পারবে এমন মুহুর্তে শরীর মন আর মাথা কেমন থাকে…এর চেয়ে যন্ত্রণা দায়ক মুহুর্ত বোধয় আর উপলব্ধি করার মত নেই)
— চলো তোমাকে এদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিই…(বলেই আমার হাত ধরে টানতে টানতে নিয়ে যাচ্ছেন)
— আমি যাবো না…কি বলে পরিচয় করিয়ে দিবেন…আমার সতীন বলে…আমি এটা সহ্য করতে পারবো না….মরে যাবো প্লিজ ছাড়ুন আমাকে…(ওনি আমার কোন কথাই শুনছেন না…সোজা তাদের সামনে নিয়ে গেলেন)
— আরে তুমি মেয়েটাকে এমন করে টেনে আনছো কেনো…?(মেয়েটা সেই স্বরেই কথা বলছে…ইচ্ছা করছে তাকে এখুনি কলা টিপে মেরে ফেলি..)
— ঐ মেয়ে মানে….আমি ওনার বউ…আমার বরের দিকে নজর দিস আজ তোকে মেরে ফেলবো…(রাগ টাকে আর কন্টোল করতে পারলাম না মাইয়া টার গলা টিপে ধরেই ফেললাম)
ওনি অনেক কস্ট করে আমার হাত টা ছাড়ালেন মাইয়া টার গলা থেকে।।
— ইফতি তুই কি মেয়েরে বিয়ে করলি রে ভাই এটা তো এক জল্লাদ…(কাশতে কাশতে বললো মেয়েটা..)
— জল্লাদই বিয়ে করছে..প্রয়োজনে আজ তোকে খুন করে ওনাকেও খুন করবো পরে নিজে মরব…তুই আমার কলিজায় হাত দিস তাই না…(বলেই আবার ধরতে যাবো তখনই ওনি আমাকে জড়িয়ে ধরে ফেললেন)
— প্লিজ সোন বউ আমার শান্ত হও আমি তোমাকে বিষয় টা বুঝিয়ে বলছি…(আমার কপালে চুমু খেলেন।।।ওনার এই চুমু তে আমি অনেক ভালবাসা দেখতে পাচ্ছি তবে আমার কাছে ওনার এসব কিছু ঘুণিতই মনে হচ্ছে)
— কি বুঝিয়ে বলবেন এই পেত্নী টা আমার সতীন হতে যাচ্ছে…?(কান্না করছি না তবে হেঁচকি উঠতেই আছে)
— ঐ চুপ করো আমাকে বলতে দাও…(ধমক দিয়ে বললেন)
— তুই চুপ কর…কি বলবি তুই…তোর কোনো কথাই আমি শুনতে চাই না….(ওনাকে উল্টো ধমক দিয়ে বললাম আমি)
— আরে এরা হলো আমার ছোট বেলার….
ওনার কথা টা শুনে আমার মাথায় ভাজ ভেঙ্গে পড়লো… এ আমি কি করছি….???
চলবে…
#মি_পার্ফেক্ট
৩৮
— তুই চুপ কর…কি বলবি তুই…তোর কোনো কথাই আমি শুনতে চাই না….(ওনাকে উল্টো ধমক দিয়ে বললাম আমি)
— আরে এরা হলো আমার ছোট বেলার বন্ধু….(ওনি)
ওনার কথা টা শুনে আমার মাথায় ভাজ ভেঙ্গে পড়লো… এ আমি কি করছি….???
— কিহ….?(আমি অনেক অবাক হয়ে বললাম)
— হুম যা শুনেছো তাই…?(ওনি)
— আপনি আমাকে আগে বলেছেন কখনো….?(আমি)
— বলার মত কখনো সুযোগ কিংবা প্রয়োজন পড়ে নি তাই বলিও নি…(ওনি)
— ওও…তবে গত দুদিন আর আজকে ঘটে যাওয়া এতকিছু কি ছিলো..?(আমি)
— ঐ যে এনার সাজানো নাটক….(ওনি পাশে থাকা লোকটিকে উদ্দেশ্য করে বললেন)
— ওনি…কে…?(আমি)
— আমার বর…(মেয়েটি বলল)
— ওও তাহলে ওনি…এই যে মি. আপনার কিভাবে সহ্য হলো এসব…?(লোকটাকে উদ্দেশ্য করে বললাম)
— কি সহ্য হবে…?(লোকটা)
— এই যে নিজের বউ অন্য ছেলের সাথে ইটিস পিটিস করছে…তাও আবার নিজেই তার মাস্টার প্লেনার…(আমি)
— এটা তো নতুন কিছু না….(লোকটা)
— তার মানে এনাদের এমন ইটিস পিটিস সবসময় চলে…?(রাগী ভাবে)
— হুম তাই তো অবশ্যই…?(লোকটা)
— রিয়াজ্জা ভাই অনেক ঝামেলায় জড়িয়ে দিয়েছিস…দোহাই লাগে আর আগুন লাগাইস না…(ওনি তার বন্ধু কে বললেন)
— ঐ তুমি থামো তো….তোমার আউল পাউল বুদ্ধি তে আমি আজ মরতে বসছিলাম…বাপরে ইফতি তুই এই কেমন মেয়েরে বিয়ে করলি রে…?(মেয়েটা)
— কেমন মেয়ে..?(ওনি)
— কি জল্লাত…?(মেয়েটা)
— ওর এমন রূপ আমিও আজ প্রথম জানলাম…(খুব বড় একটা শ্বাস নিয়ে ওনি বললেন)
— তবে যাই বলিস ভাবিকে আমার খুব পছন্দ হয়েছে.. তবে তার চেয়েও বেশি খুশি হয়েছি তোর প্রতি তার ভালবাসা দেখে…দোয়া করি তোদের এমন ভালবাসা যে জন্মজন্মান্তরে থাকে…(আমার মুখ ধরে আদর করে বললেন কথা গুলো)
— হুম তোদের থেকে বেশি না…?(ওনি)
— তাদের ভালবাসা কেমন আমার জানা আছে তাদের থেকে আমার টা কম কেমনে হয়…(আমি)
— এই যে মিস ইফতি শুনুন…ইফতি আমাদের দুজনের বন্ধু কম ভাই বেশি….আমাদের দুরসময়ে সে আমাদের যতটা সাপোর্ট দিয়েছে তা বোধয় পৃথিবীর কোন বন্ধু বন্ধু কে দেয় না….জানো ভাবি আমরা পালিয়ে বিয়ে করেছি।। পরিবার মেনে নেয় নি…আমারও জব ছিলো না…এই ইফতিই আমাদের সংসার টা গড়ে দিয়েছে….সকল খরচ সে-ই বহন করেছে…যতবার তাকে আমি খরচ গুলো ফেরত দিতে চেয়েছি ততবারই আমার কিডনি আর হৃদপিণ্ড টা চেয়েছে।।। কেনো জানো যার কারণ সে কখনোই সে ফেরত নিবে না….তবে তার এই ঋণ আমরা কখনোই শোধ করতে পারবো না…সুসময়ে হাজার টাকার সাহায্যের চেয়ে দুসময়ে একটার সাহায্য হাজার গুনে ভালো…ইফতির সাথে জান্নাতের এমন মিশা আমার কিছুই মনে হয় না কেনো জানো তাদের প্রতি আমার অঘাত বিশ্বাস আছে…আরে যে ছেলেটা কখনো কোনো মেয়ের প্রতি চোখ তুলেই তাকায় নি একজন ছাড়া…সে ছেলে আবার বিয়ের পর অন্য মেয়ের প্রতি আকর্ষিত হবে…এটা যে ভাববে সে পাগল ছাড়া বোধয় আর কিছু নয়।।।যাই হোক তুমি অনেক ভাগ্য বতী ভাগ্য করে এমন ছেলে পেয়েছো…(ওনার বন্ধু কথা গুলো বললেন)
— ভাবি এটা আমার তরপ থেকে তোমার জন্য সামান্য উপহার…(আমাকে একটা হার পড়িয়ে দিয়ে জান্নাত আপু বললেন)
— আরে এটা কেনো..?(আমি)
— আরে রাখোই তো…(জান্নাত)
— আপনারা বন্ধু সবাই…তবে বিয়ে…টা সমবয়সী হয়ে গেলো না…(আমি)
— তোমাদের সম্পর্কের মজা অন্যরকম ঠিক আমাদের টা তার ভিন্ন তবুও ভালবাসার কমতি নেই…(ভাইয়া টা বললো)
— বাবু টা..?(ভাইয়ার কোলের বাবুকে দেখিয়ে বললাম)
— আমাদের সন্তান…(আপু)
— ওহ নাম কি ওর…?(বাবুটাকে কোলে নিয়ে বললাম)
— ইসতিয়াক….(আপু)
— বাহ মাশাল্লাহ খুব সুন্দর নাম তো৷৷ (আমি)
— হুম তোমার বরের নামের সাথেই মিলিয়ে রাখা…(আপু)
— তাই তো দেখছি…
ওনা দের সাথে কথা বলে বুঝতে পারলাম তারা অনেক ঘনিষ্ট বন্ধু।। ভাইয়া টার না রিয়াজ আর আপুর নাম জান্নাত।।।জান্নাত আপুর ভাইয়ের সাথেই আমার কাজিনের বিয়ে হলো।।।জান্নাত আপুর পরিবারের সবাই ওনাকে অনেক ভালোবাসেন।।।যা আমি তাদের কথার ভাজে বুঝতে পারলাম।।।তবে এখানের পরিবেশ দেখে বুঝতে পারলাম জান্নাত আপুর বিষয়টা তাদের সাজানো হলেও জান্নাত আপুর কিছু কাজিন ওনাকে নিয়ে অনেক সিরিয়াস।।।
সেখানে আরো অনেক কিছুই হলো কোনো কিছুই গায়ে মাখালাম না।।।ওনি তো আমারই।।।তবুও আজ ওমার খবর আছে…
রুমে এসে শাড়ী খুলতেছি তখনই ওনি এসে আমাকে….
চলবে