মি_পার্ফেক্ট সিজন ২,পর্ব:০৩,০৪,০৫

0
1007

#মি_পার্ফেক্ট সিজন ২,পর্ব:০৩,০৪,০৫
আতাউর রহমান হৃদয়
০৩

ডায়েরি নিয়ে বসেছে অনু
পৃষ্টা ১৬

গভীর রাতে বউয়ের হাত ধরে খালি পায়ে হাটার মজাই আলাদা। এর মাঝে অন্য রকম একটা অনুভুতি আছে। জীবনে কারো বা কোনো মেয়ের হাত ধরে এমন অনুভুতি নিয়ে হাঁটি নি। তাই হয়ত এমন অনুভুতি গুলো নতুন লাগছে। শুনেছি বিয়ের আগের গল্প গুলো বিয়ের মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটে। এই কথাটির বিন্দুমাত্রও সত্যতা নেই। আসল প্রেম তো বিয়ের পর শুরু হয়। যেই প্রেম জন্ম জন্মান্তরের জন্য বিদ্যমান।

আজ একটা বিষয় লক্ষ করলাম অনুদের বাড়িতে। অনু যখন তার কাজিনদের সাথে কথা বলছিলো বিষয়টা আমায় রাগাচ্ছিলো। কেনো তা আমি জানি না। তবে এটা তো বুঝতে পারছি প্রিয় মানুষটাকে অয কারোর পাশে আমি কেনো কোনো মানুষই বোধয় সহ্য করতে পারে না। এটাই হয়ত ভালবাসার এক অসীম চিত্র।

বউটা আমার খুবই সরল সোজা টাইপের। তবে যদি একবার তার মেজাজ টা বিগড়ে যায় তাহলে তো ভারত-পাকিস্তানের ক্রিকেট ম্যাচের উত্তজনাকেও হার মানায়।

অনু তো এটাই বুঝে বসে আছে সে আমার মনের রাজ্যের রানী হয়েছে আজ তিনদিন হলো। তবে সে তো এটা জানে না যে সে আমার মনের রানী বহু আগে থেকেই হয়ে আছে।

কোথায়ও যেনো শুনেছি নিয়মিত জিমে না গিয়ে দু-বেলা বউকে কোলে নিও এতে ব্যায়ামও করা হলো বউয়ের প্রতি ভালবাসাও বাড়লো। তবে আপসুস একটা আমার রয়েই গেলো। আমার বউকে কোলে নিলে আমাদের ভালবাসা তো বাড়বে ঠিক আছে তবে আমার আর ব্যায়াম করা হবে না। আমার বউয়ের যে সাইজ আর ওয়েট।

আমার বউয়ের তো প্রতিহিংসার প্রভাবটাও আছে। যখন বললাম তাকে কোলে না নিয়ে তার কাজিনদের নিবো ওয়ারে বাহ তখন তার রিয়েকশন টা দেখা মত ছিলো।

বাপরে মেয়েরা যে তাদের বয়স আর ওজনের ব্যপারে সেনসেটিভ থাকে জানতাম তবে এতটা সেনসেটিভ সে আমার জানা ছিলো না। আমার বউ তো তার বয়স দিন-খন মাস-বছর সহ মনে রেখেছে সাথে ওজন টা একদম টন হতে কেজি আর গ্রামসহ-ই মনে রেখেছে।

(অনুর ঠোঁটে হালকা হাসির আভা দেখা গেলো। হয়ত এটা ভেবে হাসছে তার ঐ অনুভুতি গুলো মনে পড়ছে যখন তার নাম তিন বান্দা মিন তাকে প্রথম কোলে তুলেছিলো। বাগানের মাঝে। সারারাত কোলে নিয়ে থাকতে বললে সেটাও রাজি ছিলো নাম তিন মানুষটা। বরের কোলে প্রথম উঠেছিলো সেদিন সে কি করে ভুলবে ঐদিনের অনুভুতি গুলো।)

বউকে কোলে করে যখন রুমে এনে বিছানায় রেখে নিজের টি-শার্ট টা খুলতে যাবো সে তো ভিন্ন কিছু ভেবপ বসলো। তবে সে এমন টা ভাবলো কি করে আমি এমন কিছু করবো যেটা তো তার ক্ষতি হবে। সে কি জানে না, সে অসুস্থ এমনটা জেনেও আমি কেনো করব এসব।

ডায়েরী টা বুকের মাঝে লাগিয়ে অনু নিজেই বলে উঠছে।

— জানেন মি. আপনি আজ আমার কাছে নেই তবুও আপনার প্রতিটা ছোঁয়া আমি চোখ বন্ধ করে অনুভব করতে। আপনার সেই কেয়ার গুলো। আপনার ভালবাসা। আপনার মত পার্ফেক্ট মানুষ কে পেয়েও কেনো কি করে আমি হারালাম। আপনাকে ছাড়া না আমার একটা মুহুর্ত চলছে না। আজ আপনি না থেকেও আপনার কাছে থাকার অনুভুতি গুলো আমাকে দিচ্ছেন। আচ্ছা আপনি কি জেনে বুঝেই এই ডায়েরি টা লিখেছেন। যাতে আপনার অনুপস্থিতে আপনাকে আমার কাছে অনুভব করতে পারি। হয়ত তাই তো আজ আপনাকে এতটা কাছে অনুভব করছি। (অনু কথাগুলো নিজে নিজেই বলছে আর চোখের অশ্রু ঝরাচ্ছে।)

ইফতির বাইকটায় ধুলো বালি জমে আছে। অনেক দিন ধরেই যে পড়ে আছে। মালিকের ছোঁয়া লাগে না।

— জানো বউমা আমার ছেলেটার বহু শখ ছিলো বাইকের প্রতি…(বাইক টার দিকে এক নিমিশে তাকিয়ে থেকে কথা টা বললো ইফতি মা)
— দেখলে কি মনে হয় আজ ৪ বছর ধরে ভাইয়ের বাইক টা….কত যত্ন করে রাখে এটাকে…বাইক টা তো তার জায়গায় ঠিকই আছে কিন্তু আজ ভাইটা কোথায় আছে? কেমন আছে? কি করছে কিছু জানি না….(বলে আপু কান্না শুরু করলেন..)

নীলু বল উঠলো….
— আরে মামা তো…

চলবে..

#আতাউর_রহমান_হৃদয়

#মি_পার্ফেক্ট২

আতাউর রহমান হৃদয়

— দেখলে কি মনে হয় আজ ৪ বছর ধরে ভাইয়ের বাইক টা….কত যত্ন করে রাখে এটাকে…বাইক টা তো তার জায়গায় ঠিকই আছে কিন্তু আজ ভাইটা কোথায় আছে? কেমন আছে? কি করছে কিছু জানি না….(বলে আপু কান্না শুরু করলেন..)

— আম্মু তোমরা এত চিন্তা করো না তো…আমার মন বলছে মামা আসবে…(নীলুর মুখে হাসির আভা দেখা গেলো)

বারান্দায় বেঞ্চিটায় বসে আছি….

বিয়ের দ্বিতীয় দিন ওনার সাথে এখানে বসে অনেক কথা বলেছি।।।সেদিন কতটা ভয়ই না পেয়েছিলাম।। অসুস্থ ছিলাম তবুও ওওনার ভঙ্গিতে কিছু টা আমি কাছে পাওয়ার আভাস পেয়েছিলাম।। অনেক টা ভয়েই পড়ে গেছিলাম। কিন্তু মানুষটা এমন টা একদমই চায় নি।।যতবার অসুস্থ হয়েছি ততবারই সে আমার থেকে শারীরিক দুরত্ব বজায় রেখেছে। তবে যত্ন নিতে ভুলে নি।। অনেকের কাছে শুনেছি তাদের বরেরা নাকি অসুস্থতায় নিজেদের নিয়ন্ত্রণ করে না।। ইচ্ছে হলে কাছে টানে ইচ্ছে দুরে ঠেলে। তবে আমার মানুষ টা সব দিক থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন।। আমার অসুস্থতায় নিজেকে সংযত রাখেন বরং আমার যত্ন টাও খুব নিখুতভাবে নেন।।এমন টা পাবো কোথায়?

এই বেঞ্চিটাতে বসে কত রাত যে তার সাথে জোৎসনা বিলাস করেছি তার কোন হিসেব নেই। চাঁদের আলোয় তার ঐ শ্যাম বর্ণের উজ্জল নিখুত সুখের মুচকি হাসি টা আদো মনের মাঝে কড়া নেড়ে উঠে। কতটা নিখুত মনের হলে তার ঠোঁটের কোণের হাসি টা পুরো মুখে চোখে ভেসে উঠে।

লোকটা যে আমাকে এতটা ভালবাসতো সে আমার থেকে দুরে কি করে আছে?? যেখানে আমার দু-মাসের ভালবাসায় আমি নিজেকে সামলাতে পারছি না তারে বিহীন।।।

লোকে বলে ভালবাসা যত পুরনো হয় ততই ভালবাসা বাড়ে…কিন্তু আমার তো দু-মাসের ভালবাসা তবুও এত কেনো ভালবাসি….?

ভালবাসতে বেশিদিন সময়ের প্রয়োজন পড়ে না…ভালবাসা যদি সঠিক মনের হয় দু-দিনের ভালবাসার জন্যেও সারাজনম প্রতিক্ষা করে থাকা যায়।।
সে তো আমার এমনই একজন যারে একজনমে ভালবেসে ভরবে না এ-মন।
শুনেছি ২০ বছরের ভালবাসায়ও বিচ্ছেদ ঘটে…আবার দু-মাসের ভালবাসাও পূর্ণতা পায়।

সব কিছুই যে বিধাতার ইচ্ছে।

তবে মাঝে মাঝে আমাদের কর্মের দোষেও অনেক কিছু ঘটে।

আকাশের পানে চেয়ে রই…নীল আকাশে কালো ঘন মেঘের আভাস। মন খারাপ করেছে গায়ের। ভিষণ্ন মনে হয়েছে চাঁদের জগৎ। তাই তো সে লুকিয়েছে কালো ঘন মেঘের আড়ালে।

হালকা ঠান্ডা দখিনা বাতাস বয়ে যায়। চুয়ে যায় আলতো করে আমার দেহ। তবে মন চুয় না। কি করে মন চুয়ে যাবে মন চুয়ে যেতে হলে যে লাগে মনের ঔষধ সে আজ কই তা-যে মনের অজানা।

চাঁদ মামার প্রহরী আজ যুদ্ধ করছে মেঘের সাথে তাকে রক্ষা করবে বলে। কিন্তু আমার রাজা কই???কবে সে আমায় উদ্ধার করিবে মনের এই উদাসীনতার হাত থেকে?? সে আসবে বলে তার-ই পথ চেয়ে রই??
এই তো সেদিন এখান টায় বসে তার কাঁধে মাথা রেখে চাঁদ মামার আলোয় আলোকিত হয়েছিলো আমাদের ভুবন…আজ সেই নেই বলে কি…চাঁদও রাগ করে মেঘের আড়ালে লুকিয়েছে নিজেকে আমি একলা এসেছি বলে??

— কি ভাবছো এত..?(ওনার গলার আওয়াজ শুনতে পেলাম)
— [অবাক হয়ে চেয়ে রইলাম….আমি কি আদো স্বপ্নে আছি নাকি বাস্তবেই এমন…?(পাশে তাকাতেই তাকে আবিস্কার করলাম)]
— আরে এত অবাক হয়ে দেখছো কি গো….?(মুচকি আলতো করে আমার গালটা চুয়ে)
— [আমার চোখ বেড়ে পানি পড়ছে অঝোরে..মুখ দিয়ে কোনো কথা নাহি বের হয়]
— আরে পাগলী বউটা আমার এত কাঁদতে নেই….পরে চোখের জল শুকিয়ে যাবে তো….(আমার চোখের অশ্রু মুছে দিয়ে বললো)
— আপনি সত্যিই এসেছেন নাকি সবই আমার মোহ…(কান্নাজরিত গলায়)
— তোমার কি মনে হয় গো??(ওনি)
— আমার তো….
— ভাবি-ই তুমি কার সাথে কথা বলছো…?(আমি কিছু বলব তার আগেই ননদী এসে কথা টা বলে উঠলো….আশে পাশে তাকিয়ে দেখি আমি আর ননদী ব্যতীত কেউ-ই নেই এই বেলকনিতে তার সবই আমার মোহ ছিলো যার ফলে আমি তার অস্তিত্ব আমার পাশে অনুভব করছি)
— কিছু না আপু….(আমি)
— চলো রাত হয়েছে খেতে চলো…(আপু)

কত যে নির্ঘুমে কাটে রাত।।তার হিসেব নাহি রয়। সঙ্গি হারা নাগ রানীর মতই আমি দিশেহারা হয়ে ঘুরে বেড়াই। প্রতিটি ক্ষণে মনে হয় এ-ই তো ওনি এলেন…বললেন আমায়…আরে পাগলি এসেছি আমি আর ভয় কি রয়…? সময় পেরোয় আসে নতুন ভোর তিনি আসেন না। বলেন না তো কিছুই….আমি তো শুধু অপেক্ষার প্রহর গুনি।

আজকের ভোরটা নতুন লাগছে। কেনো জানি না মুখের কোণে হাসিটাও জমেছে।শাশুড়ির মনটাও অনেক ভাল দেখাচ্ছে। নীলু কেও বেশ খুশি লাগছে আজ।।< হঠাৎ বাড়ির উঠোনে একটা সিএনজির শব্দে নীলু দৌড়ে গেলো...হুট করেই সে চিৎকার দিয়ে বললো -- নানু দেখো কে এসেছে...?(দৌড়ে গেলাম) ছোট মামা শ্বশুরের কে দেখতে পেলাম।।তবে সিএনজি থেকে কেউ একজন বেরোলো...তাকে দেখে তো আমার চোখে কোণে অশ্রু জমে...সে আমার।। চলবে.... #আতাউর_রহমান_হৃদয় #মি_পার্ফেক্ট২ ৫ আতাউর রহমান হৃদয় হঠাৎ বাড়ির উঠোনে একটা সিএনজির শব্দে নীলু দৌড়ে গেলো...হুট করেই সে চিৎকার দিয়ে বললো -- নানু দেখো কে এসেছে...?(দৌড়ে গেলাম) ছোট মামা শ্বশুরের কে দেখতে পেলাম।।তবে সিএনজি থেকে কেউ একজন বেরোলো.. হয়ত অন্য কেউ যদি আমাদের জায়গায় তাহলে বোধয় তাদের তাকে চিনিতে একটুক্ষণ লাগিতো সময়।।।আমাদের চিনতে লাগে নি সময় অতি আপনজন বলে যে কথা। যার ফিরে আসার প্রতিক্ষায় কেটে রয় আমার প্রতিটা ক্ষন। একটি বার দেখার জন্য যে আমার থমকে দাড়িয়ে রয় আমার ঘড়ির কাটা। শাশুড়ী মা তাকে জড়িয়ে ধরে আছেন। কেঁদে চলেছেন তিনি তার বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন কে ফিরে পেয়ে অতি আনন্দে কেঁদে চলেছেন।। একটা তার হারানো সন্তান কে ফিরে পেয়ে কতটা খুশি হতে পারে আজ আমি আমার শাশুড়ী মাকে না দেখলে বুঝতে পারতাম না। ওনার শরীর টা বোধয় অনেক দুর্বল হয়ে আছে। মামা ওনাকে ধরে রুমে নিয়ে এসেছেন। গভীর ঘুম তার। অনেক দিন ঘুমান নি বোধয়। চেহারা টাও অনেক পরিবর্তন হয়ে গেছে। শরীরে রোগা টাইপের ভাবটাও বিদ্যমান। তার পাশে বসে আছি। সেদিন রাতে যে টাওজার টা পড়ে রুম থেকে বেরিয়ে ছিলেন ওই টাওজার টাই এখনো পড়োনে আছে। টি-শার্ট টা বোধয় মামার। শরীরটা একটু ক্লান্তি লাগাতে তার পাশেই শুয়ে পড়েছি।।।আছরের আযানের শব্দে ঘুম টা ভাঙলো।।নিজেকে তার বাহু ডোরে আবিস্কৃত করলাম।।।অধির ঘুমে ঘুমিয়ে আছে সে। এ-যে কতরাত না ঘুমিয়ে থাকার পর শত শান্তির এক নিদ্রা। চেহারায় তার আগের মত মালিন্যতা নেই। নেই সেই আগের মত মৃস্কৃত মুখের হাসি। সে যে কতটা ভেঙেছে তা তার চেহারা দেখলেই বুঝা যায়। রাতে খেতে বসেছি। ওনি নিঃশব্দে তৃপ্তি নিয়ে খাচ্ছেন। পাশেই নীলু বসা। সে তার মামাকে মাঝে মাঝে নিজ হাতে লোকমা তুলে খাওয়াচ্ছে। রাতে রুমে... -- কেমন আছো...?(ওনি) -- ছিলাম না ভালো তবে এখন আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো আছি...?(আমি) -- তা কেনো..?(ওনার কথা বলতে কস্ট হচ্ছে বুঝতে পারছি) -- প্রাণ ভোমরা টা যে এতদিন কাছে ছিলো না....?(আমি) -- কোথায় ছিলো..?(ওনার কথা বলতে কস্ট হচ্ছে তবুও বলছেন...?) -- তাকে সাথে করে ঘুরতে গিয়েছিলাম হুট করেই সে উদাও হয়ে গেলো...বুঝতেই পারলাম সে কোথায় গেলো...?(আমি) -- খোঁজার চেস্টা করনি...?(ওনি) -- খোঁজার তো কোনো ত্রুটি ছিলো না...(আমি) -- তবুও কেনো পাওনি...?(ওনি) -- উহু...(আমি) -- চলো বাহিরে গিয়ে বসি...(বারান্দার দিকে ইশারা করো বললেন) -- আপনি অনেক ক্লান্ত সাথে আপনার শরীর টাও দুর্বল হয়ে আছে রেস্ট নেওয়া দরকার আপনার....(আমি) -- জানো ইসলাম কি বলে...?(ওনি) -- কি..?(আমি) -- যখন তুমি ক্লান্তি অনুভব করো তখন তুমি তোমার বেগমের নিকট যাও ক্লান্তি দুর হয়ে যাবে...(ওনি) -- তাই বলে...?(আমাকে আর বলতে না দিয়ে উঠে গেলেন ওনি) খাট থেকে বারান্দার দরজা পর্যন্ত যেতেই ওনি ঠলে পড়ে ধরলেন...আমি না ধরলে হয়ত ওনি পড়েই যেতেন।। -- এতটা দুর্বলতা নিয়েও আপনি..? -- হুম... -- কেমন করে হলো..?(আমি) -- শেষ খাবার টা তোমার সাথেই খেয়েছিলাম.....(ওনি) -- কিহ...(অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলাম ওনার মুখের দিকে আমার সাথে তো সেদিন দুপুরে খেয়ে ছিলেন রাতের খাওয়ার সময়ই তো এসব হয়ে গেলো) -- হুম...(ওনি) -- এর মাঝে কি কিছুই খান নি...?(আমি) -- খেয়েছিলাম...বন-রুটি আরো কি কি খেয়েছি মনে নেই....(ওনি) -- ওহ...আচ্ছা সেদিন কি হয়েছিলো??(আমি) -- আজ না শুনলেই কি নয়...?(ওনি) -- ওকে।।।(বলেই ওনার বাহু জড়িয়ে ধরলাম...আকাশের দিকে চেয়ে আছি। বর্ষা ঘনিয়ে এসেছে তবুও আজ আকাশে মেঘ। আকাশ টাও আজ আমার মন বুঝেছে। সে আজ আমার মত খুশি তাই তো চাঁদ কে তার পূর্ণতা দিয়েছে। দিয়েছে স্বাধীনতা চাঁদের প্রহরীদের।) -- আজ চাঁদ টা দেখেছেন....?(আমি) -- হুম ঠিক তোমার ছেড়ে একটু সৌন্দর্যের অধিকারী হয়ে আছে সে...আমার মনে হয় কি জানো...?(ওনি) -- কি..?(আমি) -- চাঁদ টা না তোমাকে হিংসে করছে...?(ওনি) -- কেনো?(আম) -- ঐ যে তোমার চেয়েও একটু কম সৌন্দর্য তার...(ওনি) -- এখনও দেখি কথার রস কমে নি...?(লজ্জিত হয়ে বললাম) -- যার এমন একটা বউ থাকে তার মনের প্রেম শত কস্টের পরও থেকে যায়...?(ওনি) -- তাই না-কি... তবে জানেন কি..?(আমি) -- কি...?(ওনি) -- খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম..?(আমি) -- কেনো..?(ওনি) -- বুঝেন না বুঝি...?(আমি) -- ফিরে আসার আশা টা কি ছেড়ে দিয়েছিলে বুঝি...?(ওনি) -- নাহ..বিশ্বাস ছিলো...?(আমি) -- যদি নিজেই হারিয়ে যেতাম...? (ওনি) -- এমন টা কখনো হওয়ার ছিলো না.।।। না হবে...(আমি) -- এতটা সিওর কি করে...?(ওনি) -- ঐ যে বললাম বিশ্বাস ছিলো আছে..(আমি) -- এতটা বিশ্বাস..? (ওনি) -- হুম... বিশ্বাস আছে বলেই ভালবাসি...(আমি) -- কাকে..?(ওনি) -- কাকপ আবার আমার বরকে... কথা বলতেই ওনি আমাকে.... চলবে... #আতাউর_রহমান_হৃদয়

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here