#মি_পার্ফেক্ট ২,২১,২২ শেষ
আতাউর রহমান হৃদয়
২১
আয়নার সামনে দাড়িয়ে গুন গুন করে গান গাইছি আর চুল আঁচড়াচ্ছি।
— ম্যাডাম দেখি আজ খুশি খুশি…(উনি)
— তা বৈ কি…সবাইকে এমন একসাথে দেখে মনটা আজ ভরে গেলো…(আমি)
— তাই নাকি…আমি তো ভাবছি…(বলেই থেমে গেলেন…..)
— কি ভেবেছেন…?(আমি)
— কারো প্রেমে টেমে পড়লে নাকি….?(উনি)
— হুম তা তো পড়েছি-ই প্রতিদিন নতুন করে নতুন ভাবে একই মানুষের প্রেমে হচ্ছি আমি বিভোর… (অনেক টা অনুভুতি এসে পাড়ি দিলো আমার মনের রাজ্যে….ইসস মানুষ প্রেমে পড়ে…আমিও পড়েছি। তবে প্রেমে পড়ার মত স্নিগ্ধ অনুভুতি পৃথিবীতে দ্বিতীয় টি আর নেই। এই যে মনে হচ্ছে আমার এই মুহুর্তে।)
— তাই নাকি….তো কে সেই ভাগ্যবান..?(উনি বুঝেও না বুঝার ভান ধরছেন।)
— আছে কোন এক পুরুষ। যে আমার রাজ্যে এক মহাপুরুষ। যাকে চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করতে পারি…(আমি)
— অতিরিক্ত বিশ্বাস করা টা কিন্তু ঠিক নয়…(উনি)
— তাতে কি…যার সাথে সারা জনম রইবো…তাকে যদি বিশ্বাস টাই না করি তাহলে কি করে থাকিবো…(আমি)
— এতটা রঙিন কথা আসিতেছে কোথায় হইয়া গো জনাবা…?(উনি খুব অবাক হয়ে কথাটা জিজ্ঞেস করলেন….)
— আরে মানুষ যখন প্রেমে পড়ে তখন রঙিন কথা কেনো…তার মনে কত যে রঙিন স্বপ্ন ঘুরে সে কি জানা আছে আপনার…?(আমি)
— হুহ তা বৈ কি…? কিছুটা হলেও তো ধারণা রাখি….তবে কখনো কাউকে এতটা ভালবাসা উচিত নয়… (উনি)
— হুহ… তাহলে বোধয় আপনি জানেন না…(আমি)
— কি জানি না…?(উনি)
— চলচ্চিত্র জগতের সেরা এক অভিনেতা হুমায়ুন ফরিদীর বলা কথা টা সম্পর্কে… (আমি)
— কি কথা….?আমি)
— কাউকে ভালবাসতে হলে এক বুক সমুদ্র পরিমান কস্ট সহ্য করার ক্ষমতা নিয়ে তাকে ভালবাসতে হয়…(আমি)
— ওহ তাই নাকি….তোমারও কি সেই ক্ষমতা আছে নাকি….?(উনি অবাক হয়ে কথাটা বললেন)
— হুহ আছে বলেই তো ভালবাসি….ভালবেসে যাবো সারাজনম ভর…(আমি)
— ওহ আচ্ছা.. এদিকে আসো তো একটু।। আমি দেখি তোমার বুকে কোথায় সমুদ্র আছে….(উনি দুস্টু মার্কা হাসি দিয়ে বললেন)
— ওরে ফাজিল রে… মাথায় কি আর কিছু আছে নাকি শুধু এসব ফাইজলামি মার্কা কথা বার্তা ঘুরে সারাক্ষণ… (আমি)
— যখন বউ আমার।। সময় আমার।। সব আমার।। তখন আমি এসব ছাড়া আর অন্য কোন কিছু ভাববো কেনো…?(উনি)
— হহহ ভাববেনই বা কেনো….?এসব ভাবার জন্য পা ভেঙে বসে আছেন….??(আমি)
— কেনো পা ভালো থাকলে… এখন কি করতে…?(উনি)
— আপনার হাতে হাত রেখে চাঁদনী রাতে শহর জুড়ে ঘুরে বেড়াতাম…(আমি)
— তোমাকে নিয়ে এত রাতে শহরে যেতো কেডা…?(উনি)
— দুর বাল…এই এলাকায়ই ঘুরতাম…আপনাকে কেউ বলছে নাকি যে শহরে নিয়ে যেতে হবে…(বিরক্ত হয়ে বললাম)
— তুমিই তো বললে আমার হাতে হাত রেখে শহর জুড়ে ঘুরে বেড়াতে…(উনি)
— উপস ওটা তো আমি কথার কথা বলছি….(আমি)
— ওও..তবে আপসুস এই মুহুর্তে যেতে পারচো না….(আমার চুল আছড়ানো শেষে রুমের লাইট টা অফ করে ওনার পাশে শুয়ে পড়লাম….
— ঐ শোনো…? (উনি)
— হুহ…বলুন…(আমি)
— ঘুমিয়ে পড়লে নাকি…?(উনি)
— নাহ…কিছু বলবেন….(আমি)
— নাহহ…তবে ভালো লাগছে না….(উনি চটপট করছেন।।। কি হয়েছে উনার।।।)
— শরীর খারাপ নাকি…?(আমি)
— নাহ শরীর ঠিক আছে….(উনি)
— তাহলে এমন করছেন কেনো….(আমি)
— এত দুরে কেনো তুমি..(উনি)
— কই কত দুরে…একই বিছানায়ই তো আছি…?(আমি)
— একই বিছানায়ই তো সবসময় থাকো…তবে আলাদা বালিশে কেনো…?(উনি)
— উপস সরিই…
বলেই উনার বুকে মাথা ঘুঝালাম। এ এক অনন্য অনুভুতি। উনার মাঝেই হারিয়ে আছি আমি। এমন অনুভুতি পাওয়া সত্যি কঠিন ব্যাপার। হয়ত সবার ক্ষেত্রে এমনটা হয় না। আমার হয়েছে। অনেকের চাহিদা পূরণ হয়। আবার অনেকের ভালবাসার অভাব।
কিন্তু আমার কোন অভাব নেই। কারণ আমি পরিপূর্ণ। উনার ভালবাসায়। উনার ভালাবাসার সাগরে ভাসছি আমি। এত গভীর অনুভুতি অনুভব করাটাও যে ভাগ্যের।
— ধন্যবাদ…. (উনি)
— কেনো…?(আমি)
— এই যে কাছে এসেছো…(উনি)
— আরে পাগল বর আমার…আপনার কাছেই তো আসতে চাই।। আপনি যতটা না তার থেকে বেশি আমি চাই…(তার কপালে চুমু খেয়ে বললাম)
— তাহলে …
চলবে।
#আতাউর_রহমান_হৃদয়
#মি_পার্ফেক্ট২
২২ শেষ
আতাউর রহমান হৃদয়
★ অনেকটাই সুস্থ তিনি। বলা যেতে পারে তার মাঝে অসুস্থতা বলতে কোন শব্দ বিরাজ করছে না। উনার ব্যস্ততা ঠিক আগের ছেড়েও অনেক বেড়ে গেছে। সকাল বেলা বের হন তো রাতে ফেরেন বাসায়। একটু সময় পাচ্ছি না তার কাছ হতে। যে একটু সময় বসে তার সাথে সুখ দুঃখের গল্প করব। যদিও এখন দুঃখ বলতে শুধু উনার সময় না দেওয়াটাই। একটু সময় যদি উনার নিকট হতে পাই তবে তো আমি সব ভুলে তারই কাছে ফিরে যাই।
আজ শুক্রবার। উনি তুখুড়ে ঘুমাচ্ছেন। ডাকছি না তাকে। সারা সপ্তাহ ধরে তুখর পরিশ্রম করে বেড়ান।
— আপনার ব্যস্ততা কি কমেছে..?(আমি)
— আমি আবার ব্যস্ত ছিলাম কবে..?(অবাক হয়ে বললেন
— ব্যস্ত ছিলেন না আপনি….গত ১০- ১৫ দিন আপনি তাহলে কোথায় ছিলেন…?(আমি)
— কেনো তুমি জানো না…?(উনি)
— জানলে কি আর জিজ্ঞেস করতাম…?(আমি)
— ফার্মে ছিলাম…ব্যাংকিং শেয়ার হোল্ডার নিয়ে ঝামেলা ছিলো ওসব ঝামেলা শেষ করতে হয়েছে…..(উনি)
— ওওও…আচ্ছা…(আমি)
— তুমি কি একটা বিষয় বুঝতে লক্ষ করেছো…?(আমাকে উনার বাহুতে জড়িয়ে নিলেন)
— কি বিষয়? (আমি)
— তোমার মাঝে অনেক টা পরিবর্তন এসেছে….?(উনি)
— আমার মাঝে আবার কিসের পরিবর্তন… আমি তো ঠিকই আছি….হয়ত আপনার চোখে কিংবা আপনার মাঝে পরিবর্তন এসেছে যার জন্য আমাকে পরিবর্তিত মনে হচ্ছে আপনার….(আমি)
— ওরে আমার বউরে….তুমি তো সম্পর্কের মাঝে চলে গেলে…তুমি আমি সব ঠিক আছে। তবে তোমার শারীরিক পরিবর্তন হয়েছে আমি সেটা বলেছি….(উনি আমার গায়ে তার নাক ঘষে চলেছেন…)
— উহু বুঝতে পারছি না আমি কিছুই…(আমি বিরক্ত নিয়ে বললাম)
— এই নাও…এই জিনিস টা কাজে লাগিয়ে দেখো….(আমার হাতে একটা প্রেগন্যান্সি টেস্ট কিট দিয়ে বললেন)
— এটা দিয়ে আমি কি করবো…?(অবাক হয়ে বললাম)
— আমার মনে হচ্ছে এই জিনিসটা তোমার ব্যবহার করে দেখার সময় হয়েছে… (উনি)
— বুঝলাম না…(আমি)
— তোমার বুঝতে হবে না….একবার টেস্ট টা করে দেখো বুঝতে পারবে….(আমার ডান গালে একটা আলতো চুমুর পরশ একে দিলেন)
রান্না ঘরে কাজ করছি।।তখন আপু এসে বললেন…
— ভাবি কি হয়েছে তোমার…?(আপু)
— কই কি হয়েছে..? (আমি)
— সকাল থেকে উদাসীন মনে হচ্ছে তোমাকে…?(আপু)
— কিসের উদাসীনতা…আমি তো একদমই ঠিক আছি….(আমি)
— উহু আমি বুঝতে পারছি তোমার কিছু একটা তো হয়েছে….নিশ্চয়ই ভাইয়া কিছু বলছে তোমাকে…?(আপু)
— আপনার ভাই আমাকে কি বলবেন….উনি তো কখনো আমার সাথে উঁচু গলায় কথাও বলেন না থাকতো তো অন্যভাবে বলবে…(আমি)
— তা নাহয় বুঝলাম…তবে তোমাকে এমন দেখাচ্ছে কেনো…?(আপু)
— কেমন?(আমি)
— চেহারাটা ফ্যাকাসে হয়ে আছে….?(আপু)
— রাতে বোধয় ঘুম হয় নি বলে…(কি আর বলব…উনাকে বুঝ দেওয়ার মত কোন ভাষাই আমার নেই)
আপু কিন্তু ঠিকই ধরেছেন…সকালে যখন উনি আমাকে কীট টা দিয়েছেন তার পর থেকেই টেনশনে আছি। উনি কতই না আশা নিয়ে আমাকে কীট টা দিয়েছেন। যদি উনার আশাটা পূর্ণ না হয়…তবে উনি যে কস্ট পাবেন….
উনার কস্ট যে আমার সইবে না….
দুপুরে খাওয়ার পর রুমে এসে দেখি উনি শুয়ে আছেন।
— ম্যাম রিপোর্ট টা পাওয়া হয় নি….(উনি)
— কিসের রিপোর্ট.? (আমি)
— সকালে কিছু একটা দিয়েছিলাম…সেটার রিপোর্ট.. (উনি)
— বলছি কি শুনুন না…?(উনার বুকে মাথা রেখে শুয়ে পড়লাম)
— হুম বলো…(উনি)
— যদি রিপোর্ট টা নেগেটিভ আসে আপনি খুব কস্ট পাবেন…?(আমি)
— কস্ট কেনো পাবো…আমার মনে হলো হয়ত তোমার মাঝে কিছু একটা ঘটেছে তাই নিয়ে আসলাম ওটা…এখানে পজেটিভ আসলে খুশি তো হবোই তবে নেগেটিভে আমার বিন্দুমাত্র কস্ট থাকবে না…আর এমন টাও না আমি সন্তানের জন্য উতলা হয়ে আছি….(উনি)
— তবুও আমার কেনো জানি খুব ভয় হচ্ছে…(আমি)
— দুর পাগলী…এত ভয় পাওয়ার কিছু নেই….(উনি)
সন্ধ্যায় উনি বাহিরে বেরিয়েছেন।
আপু আম্মু আর নীলু মিলে শাশুড়ীর বিছানায় শুয়ে আছি। নীলু তার মায়ের ফোনে গেমস খেলছে। আপু আম্মুকে জড়িয়ে ধরে আছেন। আমিও অন্য পাশ দিয়ে শাশুড়ী আম্মুকে জড়িয়ে ধরে আছি।
— আচ্ছা আম্মু একটা কথা বলি…?(আমি)
— হুহ মা বল…(আম্মু)
— বকতে পারবে না কিন্তু…. (আহ্লাদী হয়ে বললাম)
— দুর পাগলী বল তো…(আম্মু)
— আচ্ছা ধরো যদি শুনতে পাও তুমি দাদী হতে চললে তাহলে তোমার কেমন লাগবে…?(আমি)
— বুঝলাম না…(আম্মু)
— ভাবী সত্যি নাকি…?(আপু বোধয় কিছুটা বুঝতে পেরেছেন)
— নাহ সত্যি নয়…তবে মায়ের অনুভুতি টা জানতে ইচ্ছে করছে আরকি….(আমি)
— আমার অনুভুতি আর কি….নিজের জীবনের সার্থকতা পেলে একজন মানুষের যে অনুভুতিটা হয় আমার সেই অনুভুতিটা হবে….(আম্মু)
— জীবন সার্থক কেনো হবে…?(আমি)
— কারণ আমি আমার ছেলে মেয়ে দুজনকে মানুষ করে তাদের পরিপূর্ণ করতে পেরেছি। আমার মৃত্যুর পর আমি তোমার শ্বশুর কে বলতে পারব আপনার অপূর্ণ কাজ গুলো আমি পরিপূর্ণ করে এসেছি। তাই এটাই আমার জীবনের সার্থকতা। (আম্মু গভীরভাবে কথা গুলো বললেন)
— হুহ বুঝতে পারছি…(আম্মুর সামনে হাতের মুঠো থেকে টেস্ট করা কীট টা বের করে তুলে ধরলাম)
আম্মু বিষয়টা শিউর হয়ে তৎক্ষনাৎ আমাকে জড়িয়ে ধরলেন….
যতটা খুশি লাগছে নিজে মা হতে চলেছি এই বিষয়টা ভেবে তার থেকে বহুগুন খুশি লাগছে। শাশুড়ী মায়ের মুখের হাসি দেখে। এতটা খুশি আমি উনাকে কখনোই দেখি নি। বিয়ের পর থেকে। খুশি তে আত্মহারা হয়ে আছেন তিনি।
যদিও বিষয়টা আমার প্রথমপ উনাকে জানানোর কথা তবে উনার ছেড়ে শাশুড়ী কে সবার প্রথমে জানানো টা হলো আমার কর্তব্য। কেনো না তিনিই আমার গুরুজন। উনার জন্মদাত্রীনী। উনার সকল খুশির হকদার এবং সকল খুশির উৎস উনার মা-ই। তাইতো সবার প্রথমে উনার মাকেই জানালাম।
রাতে খেতে বসেছি সবাই। মা আর আপুর মুখের হাসির রেশ টা লেগেই আছে।
বিষয়টা বোধয় উনার চোখ এড়ালো না। তা-ই তো উনি প্রশ্ন টা করেই বসলেন।।।
— কি হয়েছে সবাইকে বেশ খুশি খুশি লাগছে….কাহীনি কি…?(উনি)
— কিছু হয় নি…তুই আগে খাওয়া শেষ কর।।।(আপু)
আপু হয়ত বুঝতে পেরেছেন উনি যদি খবর টা শোনেন তবে উনি ঠিকমত খাওয়াই শেষ করবে না….)
খাওয়া শেষে সবাই বসে আছি…
— ভাইয়া তুই আমাদের ট্রিট দিচ্ছিস কবে রে…?( আপু)
— কিসের ট্রিট….?(উনি কিছুই বুঝতে পারেন নি হয়তো)
— পরিবারে নতুন সদস্যের আগমন ঘটতে চলেছে যে…তাই…(আপু)
কিছু সময় উনি নিশ্চুপ হয়ে বসে ছিলেন। ভেবেছিলেন হয়ত উনার ধারণা ভুল হবে। কিন্তু এভাবে যে সত্যিই হয়ে যাবে এমন কিছু উনি হয়তো ভাবতেও পারেন নি…
হুট করে গিয়ে মাকে জড়িয়ে ধরলেন। সবার মুখে হাসি। এটা যে এক পরিপূর্ণতার হাসি। এমন হাসির নায়ক হয়ত আমিই। তাই-তো তাদের মুখে হাসি দেখে আমি লজ্জিত।
রুমে এসে ডুকার সাথেই উনার শরীরের উষ্ণতা অনুভব করতে পারলাম। লজ্জা লাগছে ভীষণ। লজ্জার তার বুকে মুখ লুকালাম
ভীষণ খুশি লাগছে আজ। উনার চেহারা দেখে মনে হচ্ছে আমার থেকে হাজার গুন বেশি খুশি আজ তিনি।
বারান্দায় তার বুকে মাথা রেখে চাঁদ দেখছি।
— আই লাভ ইউ।(উনি)
— বাবা হওয়ার আনন্দে… (আমি)
— তোমার কি মনে হয়…? (উনি)
— এমনটাই তো মনে হচ্ছে… (আমি)
— এর মানে কি জানো…? আমি তোমায় স্বার্থের জন্য ভালবাসি…(উনি খুবই গম্ভীর গলায় বললেন)
— সরি সরি…আমি এমন টা বুঝাই নি….আমি তো শুধু এখনকার জন্য বলেছি…(খুবই অস্থির লাগছে নিজেকে।। কি থেকে কি বলে ফেললাম। আমি তো জানি উনি আমাকে নিঃস্বার্থভাবে ভালবাসেন)
— তোমাকে আমি কতটা ভালবাসি জানিনা…তবে আমার ভালবাসার বিনিময়ে আমি কিছুই চাই না… শুধু তোমাকে আমার পাশে সারাজনমভর চাই(উনি আমাকে নিজের সাথে জড়িয়ে ধরে মিশিয়ে নিলেন)
– আমিও আপনাকে ভিষণ রকমের ভালবাসি..আপনার পাশে আমি আপনার সারাজীবন থাকতে চাই…(আমি)
আজ প্রকৃতিতে এক অনন্য রকম পরিপূর্ণ তা প্রকাশ পেয়েছে। জীবনের সবচেয়ে সুখের মুহুর্ত আমাদের মাঝে বিরাজ করছে। সারাজীবন এমন সুখেই থাকতেই তার পাশে।
শুধু যে সুখের ভাগীদার হতে চাই তা কিন্তু নয়। তার সকল দুখের ভাগীদারও হবো।।।
সমাপ্ত।।।।
কিছুকথাঃ ক্ষমা করবেন সবাই।।অনেকের মনের মত হয় নি হয়ত গল্প টা। সিজন ২ লিখার মত কোন কনসেপ্ট আমার মাঝে ছিলো না তবুও পাঠক-পাঠিকাদের অনুরোধে বা চাহিদা মতে লিখেছি। নিজের কাছে কনসেপ্ট না থাকাতে হয়ত সিজন টু টা ভালো হয় নি।
ধন্যবাদ জানাই তাদেরকে যারা পাশে থেকে সবসময় অনুপ্রেরণা দিয়েছেন।
#মি_পার্ফেক্ট গল্পের জন্য আল্লাহ হাফেজ।
ধন্যবাদ
#আতাউর_রহমান_হৃদয়