#মি_পার্ফেক্ট
৪১ তথা অন্তিম
সারাদিন সবার সাথে এদিক সেদিক ঘুরে আর হইহুইল্লোই ব্যস্ততায় দিনটা কেটে গেলো।। এর মাঝে ওনার সাথে বার কয়েক কথাও হয়েছে।।।
বিকেল বেলায় বাড়ির। উঠোনে চেয়ার উপর বসে আছি। পেয়ারা খাচ্ছি।।নিজেদের গাছের।।বিয়ের আগে লাগিয়েছিলাম নিজের হাতে।।মিস্টি খেতে অনেক।। আম্মু প্রায় বলেন আমার হাতের রান্না আর যা কিছুই নিজে করি সবগুলোই খেতে সুস্বাদু হয়।।বিশ্বাস হতো না আজ কেনো জানি হচ্ছে।
— আচ্ছা আম্মু একটা কথা বলো তো…?(হুট করেই আম্মু কে প্রশ্ন করে উঠলাম)
— কি কথা৷ বল…?(আম্মু
— তুমি যখন আব্বু কে রাগ দেখিয়ে কখনো কোনো কথা (আমি)
— তোর বাপকে রাগ দেখাবো আবার আমি…?(আম্মু তো দেখি এখনি ভয় পাচ্ছে)
— কেনো রাগ হয় না তোমার…?(আমি)
— রাগ তো হয়ই তবে দেখানোর সাহস টা আমার নেই…(আম্মু)
— কেনো বলোতো…?(আমি)
— তোর বাপের সামনে থাকলেই তো ভয় হয়…(আম্মু)
— ওওও এখনও এই অবস্থা বিয়ের প্রথম প্রথম কি করেছো..?(আমি)
— আরে তখন তো আমি তোর বাপের সামনে যেতাম না….(আম্মু কথা গুলো বলছে আর লজ্জায় লাল হচ্ছে।। বোধয় পুরনো দিনের কথা গুলো মনে পড়ে গেছে)
আম্মুকে আর কিছু বললাম না।।। আনমনে বসে পেয়ারা খাচ্ছি আর ভাবছি।।।যেসময় টায় আমার মা বাবার সামনে যেতে ভয় পেতেন।।।ওই সময় টা আমি আমার বরের সাথে রাগ দেখিয়ে কথা বলি।।তাও আবার ওনি আমার রাগ সহ্য করেন।।।একটা বরই পেয়েছি জীবনে আর কি চাই এই জনমে।।
সন্ধে নামার আগে ওনি এসে হাজির হলেন আমার বাবার বাড়ির উঠোনে।।দেখা মাত্রই চমকে গেলাম ভাবি নি ওনি আসিবেন।।ওনার এমন কাজে মুগ্ধ হয়েছি বটে।।।
রুমে বসে আছেন ওনি।।। ওনার পাশে বসতেই ওনি আমাকে ওনার বাহুডোরে জড়িয়ে নিয়ে বললেন।
— হাতে যদি মেহেদী পড়তে তবে লাগিতো ভীষন ভালো তোমায়..ছুয়ে যেতো এই মন।।।আলতো ছোঁয়ায় রাখিতাম তোমার ঐ দুটো হাত।।।মন ভরে দেখিতাম অবাক করা আখিতে।। কি আছে এতে ভাভিতাম কেনো এত সুন্দর তোমার এই মহিতে…(আমার হাতের দিকে তাকিয়ে বললেন)
— মেহেদী যে নাই এখন…(আমি)
— এই যে নিয়ে এলাম( বলেই পেছন থেকে একটা মেহেদী বের করলেন তিনি)
ওনার হাত থেকে মেহেদী টা নিয়ে নিলাম।।।
আমি মেহেদী পড়ছি আর ওনি অপলক চেয়ে রইলেন আমার দিকে।।।।
রাতে ঘুমানোর চেস্টা করছি এমন সময় ওনি বলে উঠলেন…
— কালকে যাবে বাড়িতে…?(ওনি)
— আপনি না বললেও যেতাম…
ওনার বুকে শুয়ে আছি।।।আর ওনি আমার হাত গুলো কে দেখছেন আর বলছেন…
— জানো মেহেদী রাঙা হাত না আমার খুব প্রিয়…মন চায় চেয়ে থাকি অপলক।।।সেই অনেক আগ থেকেই।।তুমি মাঝে মাঝে মেহেদী পড়তে না কলেজে থাকতে। তোমার বোরকার হাতার শেষে হাতের তালু তে যতখানি দেখা যেতো ততটুকু দেখে মনের মাঝে অন্য রকম এক ভালো লাগা শুরু করত।।তোমার হাত গুলোর সৌন্দর্য হাজার গুনে বেয়ে যায় যখন মেহেদী পড়ো।।।জানো মাঝে মাঝে মেয়েদের মেহেদী পড়তে হয়।।।(ওনি)
— তাই বুঝও হুম তাই….
সকালে ওনাদের বাড়িতে এসেছি।।আসার সময় আম্মু শাশুড়ীর জন্য টিপিন বক্স ভরে খাবার পাঠিয়েছেন।। ওনি তো নিতেই চাচ্ছিলেন না।।।কিন্ত তিনি তার শাশুড়ীর কথা তো আর ফেলতে পারবেন না তাই নিতে হলো।।।
শাশুড়ী মাকে সালাম দিতেই তিনি বলে উঠলেন..
— তোমাদের বাড়ির সবাই কেমন আছে…?
— এই তো সবাই ভালো…
দিনটা ভালোই গেলো।। বিশেষ করে নিলু দুস্টুমিতে ভরা কথা গুলো…এই পুচকি টাও পাকা পাকা কথা বলে ভীষন।।ওর কথার চাইতে ওর কথা বলার সময় এক্সপ্রেশন টা জোস লাগে।।।
রাতে খেতে বসেছি।।
— মামা তোমাকে এতটা কথা বলি….?(নীলু মুখে খাবার রেখে কথা বলছে)
— হুম বলো…?(ওনি)
— আমার বরকে কবে আমি আদর করতে পারব…?(বাপরে এ তো বিয়ের জন্য উঠে পড়ে লেগেছে)
— যদিন তোমার বিয়ে হবে সেদিন…? (ওনি)
— ওহো আমি আমার বরকে কোলে নিবো।।।ওর সাথে খেলব…আর কতকিছু করবো…আর এসব করতে বিয়ে করতে হবে না…(নীলু)
— ওওও তো কাকে বিয়ে করবে…?(ওনি)
— তোমার ছেলে কে…(নীলু)
— ওওও
— হুম কবে আসবে সে…?(নীলু)
— তোমার মামিকে জিজ্ঞেস করো…(ওনি)
— মামিকে জিজ্ঞেস করলাম ওনি তোমাকে বলতে এখন তুমি মামিকে বলতে…কি শুরু করেছো তোমরা…? তাড়াতাড়ি আমার বর কে এনে দাও না হয় তোমাদের এ বাড়িতে কোন জায়গা হবে না…(নীলু রেগে গেলো।। পুচকি টা দেখি রাগ ও করতে জানে)
— ওকে রাজমাতা…(ওনি)
— ওও আচ্ছা ভাইয়া…তোরা কাল বের হবি কখন..?(আপু)
— সকালে..(ওনি)
— কোথায় যাবে আপু…?(আমি আপুর কথাটার অর্থ বুঝতে পারলাম না)
— আমরা যাচ্ছি না…তুমি আর ভাইয়া যাচ্ছো….?(আপু)
— কোথায়..?(আমি)
— কক্সবাজার… (আপু)
— আমরা একা যাবো কেনো…তোমরা..(আমাকে আর বাড়তি কথা বলতে দিলেন না)
— এটা আমার পক্ষ থেকে তোমাদের জন্য একটা ট্রিপ উপহার…(আপু)
সকালে ভোরেই বেরিয়ে পড়েছি।।।বাসে করে যাচ্ছি।।ওনার কাঁধে মাথা রেখে বসে আছি।।বাহিরে প্রকৃতি অনুভব করছি।। পলকেই একটা একটা করে গাছকে পিছনে রেখে গাড়ি নিজ গন্তব্যে ছুটে চলেছে।।।সারাদিন জার্নি করে কক্সবাজার এসে পৌঁছেছি।।। শুনেছি আমাদের এই ট্রিপের সম্পূর্ণ খরচ আপু বহন করতেছেন।।।
রাতে আর বের হওয়া হয় নি।।শরীর ক্লান্ত দুজনেরই।।।
পরের দিন সকালে একটা রেস্টুরেন্টে নাস্তা করে হাটতে বেরিয়েছি দু’
জনে।।
ওনার হাত ধরে সমুদ্রের কিনারায়….খালি পায়ে বালির উপর হাটতে ভালোই লাগছে। খানিক বাদে বাদে সমুদ্রের নোনতা পানির ঢেউ এসপ ছুয়ে যাচ্ছে পায়ে।।
সারাদিন অনেক ঘুরেছি।।জীবনের আরো একটা অপূর্ণ ইচ্ছে পূর্ণ হলো আমার। ওনার সাথে এই পরিবেশে সময় কাটাচ্ছি এটা যে আমার জন্য অনেক বড় প্রাপ্তি।।।
রাতে হোটেল রুমের বারান্দায় বসে দুজন কক্সবাজার সমুদ্রের সৌন্দর্য উপভোগ করছি। মাঝে মাঝে শীতল হাওয়া এসে স্পর্শ দিয়ে যাচ্ছে মোদের।। আহ এ যেন পরম সুখের মুহুর্ত এর চেয়ে বেশি সুখ যে আমি চোখ খুলে অনুভব করতে পারবো না।।।
ওনার একটা কল আসাতে তিনি একাই বেরিয়ে পড়লেন।।আমি রুমেই আছি। সময়টা রাত সাড়ে আটটা।।
মোবাইল নিয়েই ব্যস্ত আছি।।।ওনার সাথে তোলা একটা পিক ফেসবুকে মাই স্টোরি তে দিলাম।।।কখনো নিজের পিক আপলোড করা হয় আজই প্রথম।।।তবে আমার হিজাব পড়া পিক কেউ দেখে আমাকে চিনতে পারবে না।।। বান্ধবীদের খোছানো মেসেজ গুলোর রিপ্লাই দিচ্ছি।।।কখন যে ঘড়ির কাটা টা দশটায় অতিক্রম হয়ে গেছে খেয়ালই করি নি।।।ওনি যে বেরিয়েছেন ফিরার তো কোনো খবরই নেই।।।
ওনাকে কল দিলাম ওমা দেখি ওনার ফোনটা বন্ধ।।ওনার ফোন বন্ধ দেখে আমার কলিজার পানি শুকিয়ে আসলো।।।ওনার ফোন তো কখনো অপ করেন না।।ফোনের চার্জ সবসময় ফুল থাকে।।ওনার দুটো ফোন।।একটা ফোনে ডাটা রাখেন না।।ওটা দিয়ে সবার সাথে কথা বলেন। অন্য টায় নেট চালান।।।
তাই ওনার কথা বলার ফোনটা কখনো বন্ধ থাকে না।।। কিন্তু আজ কি হলো।।।দশটা থেকে কল দিচ্ছি এখন সাড়ে এগারো টা বাজে…আপু কে কল দিয়ে কথাটা জানালাম…আমার মাথায় কিছু আসছে না…
হোটেল রেসিপসনে গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম ওনারাও কোনো খোঁজ বলতে পারছে না।।। রাত বারোটা বাজে ওনার কোনো হুদিস নেই।।।আমার মাথায় কিছু আসছে না।।।
এতটা টেনশন মাথয় আসতো না যদি ওনি কেয়ারলেস কোনো মানুষ হতেন।।।ওনি অনেক কেয়ারপুল একজন মানুষ।।নিজে যেখানেই থাকুক সবসময় কল দিয়ে বলতেন ওনার মাকে।।তাই বাড়িতে থাকতে ওনি যত রাতেই আসুক না কেনো টেনশন হতো না। কিন্তু এখানে তো ওনার কোনো কাজ থাকার কথা নয়।।।
সবাই আমাকে কিছু সময় পর পর কল করছে।। আপু আর অনিক বারে বারে কল করছে আমাকে।।সবাই মিলে ওনার ফোনেও ট্রাই করছে।। কারো কলই তার ফোনে ডুকছে না।।।
রাত ফেরিয়ে সকাল হয়ে গেলো তার কোনো খবর নেই।।।আমার মুখ দিয়ে কোনো কথা বের হচ্ছে না।।। অনেকটা বোবা হয়ে রুমে বসে আছি।।।সকাল থেকে কয়েকবার করে সমুদ্রের চারিপাশে খুজে দেখেছি।।এর চেয়ে বেশি কিছু আমি চিনি না।।
ওনার ছোট মামা পুলিশের ওসি হিসেবে কর্মরত আছেন চট্টগ্রামে।। ওনি খবর পেয়ে চলে আসছেন।।।আমি ওনাকে দেখতে পেয়ে কিছুটা স্বস্তি পেলাম…
— বৌমা ইফতি বের হয়েছে কখন…?(মামা এসে আমাকে অস্থিরতার কন্ঠে বললেন)
— এই রাত আট টা কি সাড়ে আটটায় ওনার একটা কল আসল ওনি আমাকে বলল যে ওনি একটু বাহিরে যাচ্ছেন।। আমিও কিছু জিজ্ঞেস করি নি…(আমি কান্না ধরে রাখতে পারছি না…)
— ওও…এখানে ওকে কল করার মত তো কেউ নেই..আর আসার আগে তো আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম আর সে বলেছিলো যে, “এখানে ব্যবসায়ের কোনো কাজ নেই..ঘুরতেই আসছে” আর আমাকে তো ইফতি কখনো মিথ্যা বলে না…তাই ব্যাবসার কাজে কেউ কল করার মত নেই…কিন্তু কল টা করলো কে আর সেও কল আসাতে বাহিরে গেলো কেনো…?(মামাও খুব চিন্তিত)
— আমাকে তো ওনি কিছু বলে বের হন নি..(আমি)
সকাল ফেরিয়ে দুপুর হলো ওনার কোনো হুদিস নেই।।।কক্সবাজারের পুলিশের সাথে ছোট মামাও পুরো কক্সবাজার খুঁজে ফেলেছেন তন্নতন্ন করে কোথায়ও তার কোন সন্ধান নেই।।ওনাকে একের পর এক কল করেই যাচ্ছি।।।বিকেলের দিকে অনিক আর আব্বুও আসলো।।
দুদিন হয়ে গেলো তার কোনো সন্ধান পাওয়া গেলো না।।। ছোট মামাও বোধয় আজ দু’দিন ঠিক মত খাওয়া দাওয়াও করছেন না।।।ওনি নিজেই যে তার এই ভাগনে কে মানুষ করেছেন।।শুনেছি এই মামার আদর্শে গড়ে উঠেছে ইফতি।। ওনি নাকি ছোট বেলায় ঠিক মত গুছিয়ে কথাও বলতে পারতেন না।।ওনার ছোট মামাই নাকি ওনাকে সুন্দর মত কথা বলা শিখিয়েছেন।।
ওনি যদি পৃথিবীতে কোনো মানুষ কে সম্মানের দৃষ্টিতে ভয় পেয়ে থাকেন ছোট মামাকেই ভয় পান।।
কক্সবাজার আসার আগে মামার সাথে ওনার কথা হয়েছিল।। মামাকে বলেছিলো বৌমাকে নিয়ে ঘুরতে যাছিস নাকি ব্যবসার কোন কাজে যাচ্ছি।।প্রতি উত্তরে ওনি বলেছিলো ঘুরতে যাচ্ছিস।।।ওনি কখনোই মিথ্যে বলেন না।।
বাড়িতে নিয়ে এসেছে আমাকে।।।পুলিশ কেস হয়েছে। পুলিশ তাকে খুজেছেন।।ছোট মামার তো চেস্টার কোনো ত্রুটি নেই।।
শাশুড়ী মায়ের তো কথা বলাই বন্ধ হয়ে গেছে।। একমাত্র ছেলে।। স্বামী হারিয়ে একমাত্র ছেলেকে বুকে আঁকড়ে বেচেছিলেন তিনি।।সারাজীবন সংগ্রাম করে যখনই সুখের দেখা পেলেন তখনই এমনটা হয়ে গেলো।।
আমার চোখের জল শুকিয়ে এসেছে।।এখন কাঁদলেও চোখ দিয়ে পানি বের হয় না।।। প্রতিবেশি এক চাচী এসে আমাকে অনেক কথা শোনালো।। শাশুড়ী মা সহ্য করেন নি।।মহিলাটির কথার প্রতিউত্তর তিনি করেছেন।।
আপু তো নিজেকেই দোষী ভাবছেন এই বলে তিনি যদি ভাইকে এমন ট্রিপে না পাঠাতেন কখনোই যে এমন টা হতো না। ভাইয়ের জন্য কাঁদতে কাঁদতে অনেক ভেঙ্গে পড়েছেন।।।
নীলু আজ দুদিন হলো কারো সাথে কথা বলে না।।।নীলুর একটা ফোন আছে। ওটাতে ওর আর ওর মামার পিকই বেশি।। পিক গুলো দেখছে আর কাঁদছে।।।
এলাকার লোকজনও ওনার নিখোঁজ হওয়ার সংবাদে অনেকটা আপসেট হয়ে আছে।।। কয়েকজন মুরুব্বি এসেছেন।। যাদের কে ওনি খুব সম্মান করতেন।।।
একটা লোক যে শুধু পরিবারের সম্মান অর্জন করেছেন তা নয়।।এলাকার ছোট বড় সবাইর মন জয় করে নিয়েছেন।। সবার বিপদে নাকি ওনাকে পাশে পেতো।।
আজ ১০ দিন হয়ে গেলো ওনার কোনো সন্ধান নেই।।।পুলিশও কোনো হুদিস পেলো না।।।
ছোট মামাও দেখলাম অনেক আপসেট হয়ে আছেন।।।ভাগিনা অনেক ভালবাসেন।।
একমাস পর পুলিশ এসে বললো আল্লাহর উপর চেয়ে দিতে।।।এখন সবকিছু আল্লাহর হাতে।।।ওনাদের সকল চেস্টা ব্যর্থ।।
নিজেকে কেনো জানি অপরাধী লাগছে।।সেদিন যদি আমি ওনাকে একা বের হতে না দিতাম তাহলে অন্তত ওনার সাথে তো থাকতে পারতাম।। ওনার শূন্যতা টাতো আর থাকতো না।।।
জানিনা কখন আবার ওনি আমার #মি_পার্ফেক্ট হয়ে ফিরে আসবেন কি না??
আমি প্রতিক্ষায় থাকবো ওনার জন্য…
এতো শেষ নয় যেনো শুরু।।।
এক অর্ধাঙ্গিনীর প্রতিক্ষার।
একবার যদি এসে ছুয়ে যেতেন তিনি
একবার যদি এসে আবারো বলতেন
তোমার ঐ হাত গুলো রাঙাবে
মেহেদী রাঙা হাতে।
আমি অবাক নয়নে চেয়ে থাকিবো।
আর একবার যদি এসে বলতেন
হাজার জনের ভিড়ে চাই গো তোমায়।
আর একবার যদি যদি তিনি এসে
চেয়ে থাকিতেন আমার আঁখি জোড়ায়।
আমি আছি তারই প্রতিক্ষায়।
কবে এসে তিনি ছুয়ে দিবেন আমায়।।
#সমাপ্ত
#হয়ত_আবার_চলিবে_হয়ত_নাও
কিছুকথাঃ-
গল্প টা যদিও শুরু করেছিলাম ভালো ভাবে তবে শেষটা ভালো হয়নি।।তবে গল্পটা এখানে শেষ ছিলো না।।কখনো যদি গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র ফিরে আসে তবেই আবার শুরু হবে নতুন করে।।
অনেকের চাওয়া ছিলো গল্পটার ইন্ডিংটা ভালোভাবে হোক।।তবে আমি যে শেষ টা ভেবেই শুরু করেছি।।।
ধন্যবাদ জানাই প্রিয়া পাঠক-পাঠিকাদের আমাকে গল্প টা লিখায় অনুপ্রাণিত করার জন্যে।।
আবার আসিবো ফিরে আপনাদের ভিড়ে নতুন কোন গল্প নিয়ে…আশাদূতো আছি আপনাদের পাবো পাশে এমন করে যেমন টা পেয়েছিলাম এতদিন ধরে।।
বিঃদ্রঃ গল্পটার শেষটা ভেবে কার কেমন লাগলো জানাবেন। আর কারো যদি আমাকে বকা দেওয়ার ইচ্ছে করে বকে দিতে পারেন।।।দোয়া হিসেবে গ্রহন করে নিবো।।
পুরো গল্পটা কেমন লাগলো জানবেন হে প্রিয় পাঠক-পাঠিকা গন।।যদি না জানান তাহলে আমার লিখা যে সার্থকতা পাবে না।।
ধন্যবাদ