#মুখোশের অন্তরালে
#পর্ব ৭,৮
#কঠোরভাবে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য
#সম্প্রীতি রায়
০৭
১৩
ঘড়িতে তখন রাত্রি দশটা বেজে পনেরো মিনিট… চার দেওয়ালের সাউন্ডপ্রুফ ঘরটায় অঘোষিত যুদ্ধে লিপ্ত দুটো শরীর..
লাস্যময়ীর স্ফুরিত অধর,নদীবাঁকসম নরম দেহলতা, ক্রমবর্ধমান শীৎকার রতিক্রিয়ার বেগ বাড়াচ্ছে ক্রমশ,যদিও মিলনসুখ অপেক্ষা নিংড়ে নেওয়ার অভিপ্রায়ই বেশি..
শ্রান্ত ঘর্মাক্ত শরীরের পুরুষদেহটি মিলন শেষে উঠে দাঁড়ায়.. মেঝেতে ছড়ানো-ছিটানো জামাকাপড় পড়তে পড়তেই এক বান্ডিল নোট ছুড়ে মারে শায়িত নগ্ন নারীদেহটির দিকে…
মুখটা ভালোভাবে ঢেকে দীর্ঘদেহী অবয়বটা চারদিকে একবার দেখে নিল সতর্ক দৃষ্টিতে, তারপর পা বাড়ালো পার্কিং লটের দিকে…
ঘণ্টাখানেকের কন্ট্রাক্টে মন না ভরলেও আর রিস্ক নিতে রাজি নয় রিক্ত, সময়টা বড়ই খারাপ যাচ্ছে তার..
Key হোলে চাবিটা ঢোকাতেই পকেটে রাখা মুঠোফোনটা ভাইব্রেট করে ওঠে,
~”হ্যাঁ বল দুর্জয়.. বাড়ি পৌঁছালি?
সেকি! এক্ষুনি আসছি ..”
হসপিটাল লাউঞ্জে অস্থিরভাবে পায়চারি করছে রিক্ত..সুদীর্ঘ করিডোরটা ছয়বার চষে ফেলেছে ইতিমধ্যে,
~”ধুর!এখানে তো সিগারেটও খাওয়া যাবে না..’
অস্থিরতা কাটাতে ফোন করে বসল দিয়াকে,রিং বেজে বেজে কেটে গেলো,ওপ্রান্তে কেউ রিসিভ করলোনা..
~”সবেতো এগারোটা বাজে.. ঘুমিয়ে পড়লো নাকি মেয়েটা!”
সেদিন বাড়ি পৌঁছে একটা ছোট্ট মেসেজ ছাড়া নিজে থেকে একটা ফোন অব্ধি করেনি..অদ্ভুত মেয়ে তো,
বিরক্ত হয়ে কেবিনে উঁকি মারতেই দুর্জয় ডেকে উঠল,”আয়,ভিতরে আয়..”
সযত্নে হেড ব্যান্ডেজটা বেঁধে নার্স চলে যেতেই দুর্জয়কে পাকড়াও করে বসলো রিক্ত..
~”আমার বাড়ি থেকে বেরিয়ে সোজা অ্যাক্সিডেন্ট করে বসলি! মরে গেলে তো আমাকেই টানাহেঁচড়া করা হতো!নাকি কালকের রঙিন তরলের প্রভাব এখনো কাটেনি..” রসিকতা করে উঠলো রিক্ত।
~”ভুলভাল বকিস না তো! ডিউটি কি টলতে-টলতে করব!
তোর মত প্যাশনেট ড্রাইভার না হলেও ড্রাইভিং টা আমিও ভালোই পারি,পিছনের গাড়িটা এমন এলেবেলে চালাচ্ছিল যে আমি সামলাতে পারিনি!”
~”মানে?কোন গাড়ি?”
~”আরে একটা ব্ল্যাক Sedan..কোন পাঁড় মাতাল চালাচ্ছিল কে জানে!ওর গাড়ি ওর নিজের পিছনেই গুঁজে দিতে হয়.. শালা শুওরের বাচ্চা!”একটা অশ্রাব্য গালিগালাজ বেরিয়ে এলো দুর্জয়ের মুখ চিরে..
~”তোর গাড়ি ঠুকে দিয়ে চলে গেল,আর তুই ফ্যালফ্যাল করে চেয়ে দেখলি!”
শ্লেষমিশ্রিত গলায় বলে উঠলো রিক্ত..
~”ড্যাশবোর্ডে মাথাটা ঠুকে সেন্সলেস না হলে ওখানেই ওর ভবলীলা সাঙ্গ করে দিতাম!
আর হ্যাঁ বিকালে যেমন কথা হল সেটার নড়চড় হচ্ছে না বস! আর্মহাস্ট স্ট্রীটে যে বাড়িটায় ভাড়া থাকতো তার বাড়িওয়ালাকে investigate করলেই সব খবর সুরসুর করে বেরিয়ে যাবে..”
~”investigate? তুই কি ইউনিফর্মে যাবি নাকি?”
~”ক্ষেপেছিস? ওর বন্ধু বলে পরিচয় দেবো নিজেকে…”
দুর্জয় কে বিদায় জানিয়ে অডিটায় উঠে বসল রিক্ত..ফোনটা চেক করে নিল একবার, মায়ের কোন call নেই, একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে সিটবেল্টটা বেঁধে নিল সে…
ড্রাইভ করতে করতেই রাতের সৌন্দর্য তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করছে রিক্ত..রাত্রিরও একটা আলাদা মাধুর্য থাকে,
আজ পূর্ণিমা বোধহয় চারিদিকে জ্যোৎস্নায় থৈ থৈ করছে..রাস্তার দুপাশে যতদূর চোখ যায় শুধু জঙ্গল আর জঙ্গল।
প্রথম প্রথম ফিল্ম রিলিজ এর পরপরই অহনা আর ওর এরকম নাইট আউটিং লেগেই থাকতো.. জোৎস্নায় বসে গঙ্গার সৌন্দর্য দেখা,একসাথে দুজনের আকাশকুসুম স্বপ্নের জাল বুনতে বুনতে রাতগুলো কেটে যেত…
গভীর রাতে বাড়ি ফিরলেও অনুসূয়া দেবীর চোখে কখনো বিরক্তি বা অনুযোগ ছিল না বরং তাতে প্রশ্রয়মিশ্রিত ভালোবাসাই খুঁজে পেতো রিক্ত..
হঠাৎই হর্নের কর্কশ আওয়াজে স্মৃতিসুখের জাল ছিঁড়ে বাস্তবের মাটিতে ফিরে গেল রিক্ত..
একটা গাড়ি ক্রমাগত হর্ন বাজিয়ে চলছে,
একি! জায়গা দেওয়া সত্ত্বেও হর্ন বাজিয়ে যাচ্ছে যে! হঠাৎই rear view mirror এ দৃষ্টি চলে গেল ওর..
একটা ব্ল্যাক সেডান!
শিরদাঁড়া বেয়ে নামা ঠান্ডা স্রোতটা বেশ বুঝতে পারলো রিক্ত.. দুর্জয় এই গাড়িটার কথাই বলে নি তো!
হঠাৎ রাগটা চেপে বসলো ওর…
~”এর শেষ দেখে ছাড়ব”গাড়িটাকে স্পীড কমাতে যেতেই মনের মধ্যে একটা অজানা শঙ্কা ডেকে উঠল ..এই শুনশান হাইওয়েতে যদি তাকে কেউ মেরে পুঁতে রেখে দেয়,কেউ কিছু টের পাবে না..
লাইসেন্সেড রিভলবারটা তো বাড়িতে রেখে এসেছে..!
~”কুল ডাউন রিক্ত কুল ডাউন “নিজেকে সামলানোর আপ্রাণ চেষ্টা করে উঠলো রিক্ত..
চট করে লোকেশন টা দেখে নিন গুগল ম্যাপে..এখনো মিনিট পাঁচেক বাকি লোকালয় আসতে..
প্রানপনে চাপ দিয়ে বসলো এক্সিলেটরে ,নিজের ড্রাইভিং স্কিলের উপর তার পুরো ভরসা আছে..
সামনের mirror এর দিকে তাকাতেই দেখল গাড়িটা মুখ ফিরিয়ে পিছনের পথ ধরেছে…
এসব কি হচ্ছে কিছুই বোধগম্য হচ্ছে না যে!
হঠাৎই ফোনটা দুবার ভাইব্রেট করে উঠলো..ড্রাইভিং করতে করতেই মোবাইল টাকে হাতড়ে বার করলো সে…নিশ্চই দিয়া..
নাহ্..একটা প্রাইভেট নাম্বার দিয়ে মেসেজ এসেছে, “ব্লু ব্ল্যাক কম্বিনেশনে আপনাকে মারকাটারি লাগে, সাবধানে বাড়ি যাবেন..রাস্তা টা খুব একটা সুবিধার নয়!”
Sampriti Roy
#মুখোশের অন্তরালে
#পর্ব ৮
#কঠোরভাবে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য
#সম্প্রীতি রায়
১৪
বহুতল বিল্ডিং-এর সেভেন্থ ফ্লোরের নিজস্ব বিলাসবহুল কেবিনে অস্থিরভাবে পায়চারী করছে রিক্ত…
শ্রাবণের অঝোর ধারায় চরাচর ধূসরিত প্রায়.. ট্রান্সপারেন্ট মিরর ওয়াল বেয়ে অবিশ্রান্ত জলধারা চুঁইয়ে নামছে রূপোলী রেখায়.. টপমোস্ট ফ্লোরিং হওয়ার সুবাদে আকাশটা যেন হাতের মুঠোয় চলে এসেছে..
কিন্তু প্রকৃতিপ্রেমিক হলেও সৌন্দর্য সুধা পান করার অবকাশ নেই রিক্তর,বিগত কয়েকদিনের ঝুটঝামেলা তার দৈনন্দিন জীবনযাত্রার প্রভাব ফেলেছে ভালোমতোই..
গতরাতে ঘুম হয় নি ঠিকঠাক,চোখটা ক্লান্তিতে বুজে আসছে যেন..একে কালকের রাতের সেই বিভীষিকা তারপর গোদের উপর বিষফোঁড়ার মত সেই স্বপ্নটা!
ব্ল্যাক সেডানটা নিয়ে রীতিমতো ধাঁধায় পড়ে গেছে রিক্ত.. আর যাই হোক তাকে প্রত্যক্ষভাবে কোন ক্ষতি করার উদ্দেশ্য হয়ত ছিল না, নইলে গাড়িটা তাকে chase করতেই পারত,ফিরতি পথ ধরতো না..
কিন্তু এইসব ঘটনাগুলো তার মনের উপর চাপ ফেলছে বড্ড..কাজে ঠিকমত মন বসানো তো দূরের কথা রীতিমতো আতঙ্ক চেপে বসছে তার মনের মধ্যে,
রিভলভিং চেয়ার এর উপর ধপ করে বসে পড়লো রিক্ত..
প্রোডাকশন হাউসের হাজিরাতেও বেশ কয়েকদিন বিরতি পড়ে গেছে..প্রফেশনালিজম ব্যাপারটাই যেন চলে যাচ্ছে তার মধ্য থেকে..
এর জন্যই বোধহয় পার্টনারশিপ টার্মিনেট করতে চাইছেন যোশী সাহেব..
~” নাহ্! আগরওয়াল-এর ওপর সবকিছু ছেড়ে দেওয়াটা বড্ড ভুল হয়ে গেছে,”সুখটান দিয়ে বলে উঠল সে..কানে বেশ কিছু খবর আসলেও অফিস পলিটিক্স ভেবে ব্যাপারগুলোকে সযত্নে এড়িয়ে গেছিলো সে নিজেই…
“আচ্ছা একটু বেশি কি চাপ নিয়ে ফেলছি আমি! এর থেকে তো আরো বড় বড় সিচুয়েশন হ্যান্ডেল করেছি smoothly..তখন তো এত ডিপ্রেসড লাগেনি নিজেকে, নাকি দিনকে দিন কনফিডেন্ট কমে যাচ্ছে আমার!”আপন মনে বলে উঠল সে…
অবশ্য মিস্টার যোশীকে দোষ দিয়ে লাভ নেই, ও নিজেই নিজের জালে জড়িয়ে গেছে.. এতটা unprofessionalism দিয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে টেকা যায়না সেটা নিজেও জানে ও.. আজকাল তো শুটিং স্পটে যেতেও ভুলে গেছে ,
~”আমি কি একা একা আদৌ প্রোডাকশন হাউজ টানতে পারবো!.. জেনারেল পার্টনারশিপ টার্মিনেট করার গ্রাউন্ডে আদালতে গিয়েও তো লাভ নেই..”বিড়বিড় করে ওঠে রিক্ত,
হঠাৎই মায়ের মুখটা ভেসে উঠলো চোখের সামনে…দেশের বাড়িতে যা সম্পত্তি আছে তা বিক্রি বাটা করে দিলে হয়ত ব্যাপারটা ফেস করা যাবে..যেমন ভাবা তেমন কাজ…
ফোন করার জন্য মুঠোফোনটা দিকে হাত বাড়াতেই,ফোনটা ভাইব্রেট করে উঠলো..
একি!এ যে মেঘ না চাইতে জল..
~”হ্যাঁ মা বলো, কেমন আছো,আসলে আমি নিজেই ফোন করতাম তোমায়.. মিস্টার যোশী পার্টনারশিপ টার্মিনেট করতে চাইছেন..বেশকিছু টাকার এখন আমার অবশ্য প্রয়োজন,”একদমে বলে গেলো রিক্ত..
ওপ্রান্তে চুপ দেখে আবারও বলে উঠলো,”অহনার নামে যে জমি বাড়ি আছে সেগুলো বিক্রি করে টাকা তুললে অনেকটাই সুরাহা হবে..”
~”ছি বাবু !এতটা নিচে নেমে গেছিস তুই..অবশেষে থাকতে না পেরে মুখ খুললেন অনুসুয়া দেবী.. “গতকাল মেয়েটার মৃত্যুবার্ষিকী ছিল.. একটা বারও তো ফোন করার প্রয়োজন বোধ করনি!এখন তারই সম্পত্তি ভিক্ষা চাইছো!
ওর সব সম্পত্তি ওর ইচ্ছানুযায়ী অনাথ আশ্রমকে দান করা হবে..এটা জানাবার জন্যই ফোন করেছিলাম তোমাকে..
আর হ্যাঁ এটা আমার ফাইনাল ডিসিশনই ধরে নিতে পারো,কারন নমিনি আমিই ছিলাম..এখন সময়মতো উকিলবাবু এলেই ব্যাপারটা ভালোভাবে মিটে যায়..”কেটে কেটে বলে উঠলেন তিনি..
~”মা!” হাহাকার করে ওঠে রিক্ত”আমার যে তাহলে পথে বসতে হবে!”
~”অহনার কানাকড়ি পাওয়ার যোগ্য নও তুমি!গর্জে ওঠেন তিনি..
“হয়ত সহায় সম্বলহীন মেয়েটাকে বিয়ে করে স্ত্রীর সম্মান দেওয়া তোমার তথাকথিত ইমেজ রাখার একটা ভালো উপায় ছিল,
কিন্তু নিজের ইমেজ অহংবোধ কেরিয়ার-এর থেকে বড় কিছুই নেই তোমার জীবনে..” রিক্তর আর্তনাদকে সম্পূর্ণ অগ্রাহ্য করে গেলেন অনাসুয়া দেবী..”তাই নিজের বাচ্চাটাকে abort করতে একবারও তোমার বিবেকে বাঁধে নি!
নিজের ক্যারিয়ারের দোহাই দিয়ে একটা প্রাণ কেড়ে নিলে তুমি..
অহনা সমাজের চোখে সুইসাইড করলেও আমার চোখ সেটা একটা পরিকল্পিত খুন…ছি!
কিন্তু পরে যখন শুনলাম তুমি উইমেন্স wellfare অর্গানাইজেশন এর যুক্ত হয়েছে তখন
গর্বে বুকটা ভরে গেছিল আমার.. এখন বুঝতে পারছি তোমাকে নিয়ে আমার ধারণাটা কতটা ভুল ছিল..!
~”মা”!উত্তেজনায় হাতে ধরা পেনটা যে তালুতে গেঁথে বসছে সেটা তখন রিক্তর অনুভূতির বাইরেই আপাতত…
~”আর একটাও কথা না, যতদিন না নিজের ভুল স্বীকার করবে ততদিন আমার সাথে কোন প্রকার যোগাযোগ রাখবে না।”
ফোনটা হাতে নিয়ে হতভম্বের মত দাড়িয়ে রইল রিক্ত..তাকে কিছুই বলার সুযোগ না দিয়ে ততক্ষনে ফোন কেটে দিয়েছেন অনুসূয়া দেবী..
১৫
~”মেসবাড়িটায় গেছিলাম বুঝলি! রাজেশ ওখানেই শেয়ারে থাকতো..”একটা সিপ দিতে দিতে বলে উঠলো দুর্জয়..
~”কিন্তু তোকে দেখে কোনো রকম সন্দেহ করেনি?”
~”সন্দেহ করলে কী ওর বাড়ির এড্রেস জানতে পারতাম?যখন রয় interiors’ এর কার্ড দিয়ে
ওর সহকর্মী বলে পরিচয় দিয়েছিলাম মেসমালিক তো বসার জন্য টুলও অফার করেছিলেন..”মিটিমিটি হাসতে লাগলো দুর্জয়..
ওর কথা বলার ভঙ্গিতে হাসিটা এসেই যাচ্ছিল প্রায়..মেকি গাম্ভীর্য এনে বলে উঠলো রিক্ত
“হেঁয়ালি না করে বলতো!”
~”আরে আমি যখন বললাম, রয় interiors’ এর টাকা-পয়সা সরিয়েছে তখন তো ভদ্রলোক উগরে দিলেন প্রায় সব..”
~”মানে”?
~”মানে অ্যাডভান্স ভাড়া দিয়ে রাখলেও রাজেশের হঠাৎ মেস ছেড়ে দেওয়াটা উনার মনে সন্দেহ বাসা বাঁধাতে দেরি করেনি.. তারপর যখন শুনলেন কোম্পানির টাকা তছরুপে ওর নাম জড়িয়ে গেছে তখন অক্লেশে সেটাই বিশ্বাস করে বলে বসলেন..”
হোহো করে হেসে উঠলো ওরা দুজনেই…
“দাঁড়া আরেক পেগ বানিয়ে আনি..”বলে উঠে গেল রিক্ত… অনেকটা হালকা লাগছে এখন নিজেকে, কম তো ঝড় যাচ্ছেনা ওর উপর দিয়ে! একটা রহস্যের তো জট খুলছে! এখন ছেলেটার বাড়ি গিয়ে ওকে চেপে ধরলেই ব্যাস..ষড়যন্ত্রের মাথা তখন রিক্তর হাতের মুঠোয়
হাসি হাসি মুখে দুটো গ্লাস নিয়ে ফিরে আসতে দেখে,দুর্জয় ডিভানে বিদ্যুৎপৃষ্টের মতো বসে..
মুখটা মৃত মানুষের মতো অভিব্যক্তিহীন.. হাতের শক্ত করে চেপে ধরা মুঠোফোনটা।
~”আগরওয়াল ওর নিজের বাড়িতে খুন হয়েছে..!”অস্ফুটে বলে উঠলো দুর্জয়।।
Sampriti roy