#মুখোশের আড়ালে তুমি
কাহিনী ঃ ফারহানা কবীর মানাল
পার্ট -৪
সব আশা যেন শেষ হয়ে গেছে। মিতাও আগের মতো চুপচাপ আছে। তার মানে কি মিতা এইসব কিছুর কিছুঈ জানে না। কিন্তু মিতার নাম করে। নাহ কিছু ভাবতেই পারছি না। তুলি থাকলে হয়তো কিছু জানা যেতো কিন্তু তুলি তো মারা গেছে।
।
।
সকালে কারো ডাকে ঘুম ভাঙলো। বাইরে থেকে কেউ আমার নাম ধরে ডাকছে। উঠে বাইরে গিয়ে দেখলাম একটা ছেলে দাঁড়িয়ে আছে। আমি দেখে স্মিত হেসে বললো ঃ- আপনি কি নাজিম?
–” হুম আমিই নাজিম। বলেন কি সমস্যা আপনার?
–” আমি কি ভিতরে গিয়ে কথা বলতে পারি? ( সর্বদা চারদিকে খেয়াল করছে)
–” হুম আসুন।
–” ধন্যবাদ। আমি পিয়াস। তুলির বর। কাল যে মারা গেছে তার স্বামী।
–” ওহ আমি দুঃখিত। কিন্তু আমার কিছু করার ছিলো না। আমরা সময়মতো ওকে নিে হাসপাতালে যেতে পারিনি। পারলে হয়তো আল্লাহ রহমত করতেন৷
–” তুলির ক্যান্সার ছিলো। লাস্ট স্টেজে। ও এমনিও বেশিদিন বাঁচতো না।
–” ওহ আমি জানতাম না। তা হঠাৎ আমার কাছে কেন এসেছেন?
–” আপনাকে অনেক সত্যি জানাতে।
–” কি সত্যি?
–” আসলে তুলির মা অনেক অসুস্থ ওনার চিকিৎসা করানোর জন্য তুলি নিজের চেহারা পরিবর্তন করছে। কিছু লোক ওকে অনেক টাকা দিয়েছে। আমিও ওদের সাথে হাত মিলিয়ে ছিলাম। কিন্তু তুলিকে মারা যাওয়ার পর থেকে এসব ভালো লাগছে না।
–” ওহ। ( কথাগুলো আমার ঠিক বিশ্বাস হচ্ছে না কিন্তু এখন আর কোনো উপারও নেই। তাই ওর সাহায্যে আমাকে সত্যি পর্যন্ত যেতে হবে। কে এসব করছে আমাকে জানতেই হবে।)
–” আপনি যদি আমার সাথে বিকালে দেখা করেন তাহলে ওখানে সব খুলে বলবো আপনাকে। এখন আমাকে যেতে হবে।
–” কোথায় দেখা করতে হবে বলেন? আমি চলে যাবো।
–” নদীর পাড়ে বিকাল তিনটায়। আর একা আসবেন।
পিয়াস চলে যাওয়ার সময় ওর পিছু নিলাম। কিছু দূর গিয়ে কাকে ফোনে বললো শিকার টোপ গিলেছে।
বুঝতে পারলাম আমার কথাই বলছে। কিন্তু নিজের জীবন দিয়ে হলেও আমার এই রহস্য খুঁজে বের করতে হবে।
।
।
আজ অনেকদিন পর মিতার হাতের রান্না খেলাম। মিতার আজকাল কেমন চুপচাপ থাকে। কি এর কারণটা? নাহ এতো কিছু ভালো লাগছে না। বিকালে যাওয়ার আগে মিতাকে জড়িয়ে ধরে বললাম ঃ- আমার কিছু হলে তুমি ভালো থেকো। নিজের খেয়াল রেখো।
–” তোমাকে অনেকদিন ধরে একটা কথা বললো বললো বলা হয় না। (মিতা)
— কি কথা বলো?
–” আমার শরীরটা বিশেষ ভালো না। অনেক খারাপ লাগে।
–” আমি একটা কাজে যাচ্ছি। এসে তোমাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবো। আর আমি না ফিরলে একাই চলে যেও।
মিতাকে কিছু বলতে না দিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে আসলাম। মনিরকে সব কিছু বলে রাখলাম কোথায় কি যাচ্ছি আমি। মনির অনেকবার নিষেধ করলেও আমি গেলাম।
নদীর পাড়ে কেউ নেই। হঠাৎ পিছন থেকে মাথায় কেউ বাড়ি মারলো। তারপর আর কিছু মনে নেই। চোখ খুলে চোখের সামনে নিজের মা কে দেখে চমকে উঠলাম আমি। মা তো মারা গেছে তাহলে আমি মার সামনে কি করে?
চলবে
—