মেঘদিঘির পাড়ে – ২১(বর্ধিতাংশ),২২

0
456

মেঘদিঘির পাড়ে – ২১(বর্ধিতাংশ),২২
মালিহা খান
পার্ট-২১(বর্ধিতাংশ)

৪০.
ধবধবে নরম লেপটা দুপুরেই নামানো হয়েছিলো। কড়া রোদে দিয়ে, ঝেড়েঝুড়ে পরিষ্কারও করে রাখা হয়েছে। সন্ধ্যার দিকে যৎকিন্চিৎ ঠান্ডা ঠান্ডা অনুভব হওয়ামাত্র আলুথালু হয়ে আপাদমস্তক তার ভিতর ঢুকে পড়েছে তন্দ্রা। সেই যে ঢুকুছে, আর বেরোয়নি।
প্রাপ্তবয়স্ক সহধর্মিনীর চেনাজানা শিশুসুলভ আচরণে ঘরে ঢুকেই শব্দ করে হেসে ফেললো সরফরাজ। দরাজ কন্ঠের হাসি! নিশ্চুপ ভোরের প্রথম কলরবের মতোন পবিত্র।
সরফরাজের হাসি কর্ণগোচর হতে পারেনা, লেপের ভেতর থেকেই রাগে থিঁতিয়ে উঠা মেয়েলি কন্ঠ শোনা যায়,

-“খবরদার হাসবেন না সরফরাজ।”

যাকে উদ্দেশ্য করে রাগ ঝাড়া হলো সে খুব বিশেষ একটা তোয়াক্কা করলো বলে মনে হলোনা। বরং আরেক ঝলক চওড়া হাসি তার ঠোঁট বরাবর ছুঁয়ে গেলো। জোর করে ধমক দেয়া মেয়েলি কন্ঠটা ঠি ক বুক বরাবর ছুঁয়ে গেলো।
মাথার উপর দিয়ে লেপ টেনে ভিতরে বসে ছিলো তন্দ্রা। সরফরাজ লেপের উপর দিয়েই বারদুয়েক হাত বুলিয়ে দিলো তার মাথায়। বললো,

-“আচ্ছা হাসলামনা। তোমার বেশি শীত করছে তনু?”

লেপের ভিতরে তন্দ্রা ঠি ক টের পেলো সেই মোলায়েম স্পর্শ। মুখে অবশ্য বললোনা কিছু। এদিক ওদিক মাথা নেড়ে ‘না’ বোঝানো কেবল। লেপসহ ছোট্ট মাথাটা এদিক ওদিক দুলে উঠতেই কি যে তুলতুলে একটা অনুভূতি হলো সরফরাজের। সহ্য করতে না পেরে সে আবার হেসে ফেলল। তবে এবার আর শব্দ হলোনা। নিভৃত চাপা হাসি অনেকক্ষণ একটানা একদিকে স্হির থেকে ধীরে ধীরে মিলিয়ে গেলো।

হাল্কা গোলাপি রংয়ের উলের বলটা গড়াতে গড়াতে মেঝের মাঝবরাবর চলে গেছে। সরফরাজ হাতের কাগজগুলো আলমারিতে রেখে ফিরে এলো। উলের বলটা মেঝে থেকে তুলে খোলা উলের রশিটা বলের সাথে পেঁচাতে পেঁচাতে ঠিক যেয়ে দাড়ালো বিছানার সামনে। উলের উৎস্য লেপের নিচ। খুব যতনে দু’টো মমতামাখা হাত নিঁখুত কুশিকাটায় ব্যস্ত।
সরফরাজ অল্প করে লেপটা তুলে, ঝুঁকে গিয়ে ভেতরে মাথা ঢোকায়।

নিজের বানানো কৃত্রিম উষ্ণরাজ্য আকস্মিক সরফরাজের আগমন কিয়ৎক্ষণ চোখ বড় বড় করে হতচকিত হয়ে চেয়ে রইলো তন্দ্রা। তারপর মাথা নামিয়ে বিরবির করে স্বগতোক্তি করলো,

-“দৈত্য এলো কোথা থেকে?”

সরফরাজ বিস্ময় নিয়ে প্রশ্ন ছুঁড়লো,”আমি দৈত্য তন্দ্রাবতী?”

-“কম কি?” মুখটা আগিয়ে আনে তন্দ্রা। সরফরাজ ভ্রু উঁচায়। হঠাৎই সামনের কালো চোখের মনিতে তন্ময় হয়ে চেয়ে কি যেনো ভাবে। বেশক্ষণ। অত:পর হাতের উলের বলটা তন্দ্রার কোলের উপর রেখে খুব ধীর হেয়ালিস্বরে বলে,

-“সামলে রাখো তন্দ্রাবতী। সামলে রাখো।”

তন্দ্রা একপলক কোলের দিকে তাকায়। উলের বলটা দেখে। পরমূহুর্তেই চোখ তুলে বলে,”হয়েছে যান, বাতাস ঢোকাচ্ছেন। ইশ!” তার কন্ঠ হু হু করে কেঁপে উঠে।

তন্দ্রার বলার ধরণে আবারো হেসে ফেলে সরফরাজ। তন্দ্রা ভীষণ রেগে যায়, ঝাঁঝিয়ে উঠে বলে,

-“আপনি আবার হাসছেন! চুপ করুন সরফরাজ। আপনার শীত লাগেনা?”

-“লাগেনাতো, কখনো দেখেছ?”সরফরাজ ভ্রু নাচালো।

তন্দ্রা ঠেলে ধাক্কিয়ে সরফরাজকে বের করে দেয়। তারপর লেপের নিচে বসে একা একাই হাসে কতক্ষণ। অনেকক্ষণ, বহুক্ষণ।

৪১.
ইউসুফ ঠিক পাথরের ন্যায় বসে রয়েছে। কঠিন চোখদুটো বহুক্ষণ পরপর একবার পলক ফেলছে। হাত মুষ্টিবদ্ধ। বিভা নরম হাতদুটো দিয়ে বারকয়েক খুব নেড়েচেড়ে তার শক্ত হাতের মুঠো ছাড়ানোর চেষ্টা করলো। পারলোনা। ভীষণ আক্ষেপের সুরে বললো,

-“আপনি এতো জেদ করেন কেনো?”

ইউসুফ তার আক্ষেপ বিন্দুমাত্র আমলে নেয়না। হাতের মুঠো আরো শক্ত করে ফেলে। বিভা তার মুষ্টিবদ্ধ হাতটাই আঁকড়ে ধরে। মৃদু স্বরে বলে,

-“ভালোবাসবেন না ভালো কথা। ভালোবাসতে তো দিবেন?”

ইউসুফ চুপ করে রইলো। কতগুলো কথা কন্ঠনালি অবধি এসে শেষমেষ তুমুল বাধাপ্রাপ্ত হলো। ঠোঁট অবধি পৌঁছোতে পারলোনা।
আচ্ছা, সে যে এই হাঁড়কাপানো ঠান্ডায় পাতলা শার্ট গায়ে মেয়েটার অহেতুক অদ্ভুত পাগলামির সঙ্গ দিচ্ছে, হাত জড়িয়ে বসে থাকতে দিচ্ছে, এতেই কি ভালোবাসতে দেয়া হচ্ছেনা? সে যে কখনো বিভাকে বকা দেয়না, চোখে চোখ রেখে কথা বলতে পারেনা, ভীষণ রেগেও একটু শক্ত করে বিভার হাত ধরতে পারেনা, এতেই কি ভালোবাসা হচ্ছেনা?
ঠি কআছে তাদের ভালোবাসা পূর্ণতা পাবে না। তবুও তো সে ভালোবাসছে। বাসছেনা?

ইউসুফ দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললো,

-“তোমার মন খারাপ শেষ হলো? ভেতরে যাই?।”

কথাটা শোনামাত্র বিভা ঝুপ করে ইউসুফের হাত ছেড়ে দেয়। থমথমে গলায় আপত্তি করে বলে,

-“আমি যাবোনা। আপনি যান।”

-“আমি না, তুমি খুব জেদি বিভা, আমার কোনো কথা শোনোনা।” শান্ত গলায় কথাটা বলে একটু থামলো ইউসুফ। বসা থেকে উঠে দাড়ালো। খুক খুক করে গলা ঝেড়ে বললো,

-“এখনও সময় আছে। চলো আমার সাথে। একা একা কতক্ষণ বসে থাকবে?”

বিভার প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেলোনা। ইউসুফও গেলোনা। পকেটে হাত ঢুকিয়ে দাড়িয়ে রইলো।
গাছের পাতাগুলো হঠাৎ দুলে উঠে। দূরে কোথাও শিয়াল ডাকছে। শীতের সময় শিয়ালের উপদ্রব বেড়ে যায় গ্রামে।
শিয়ালের ডাক ভয় পায় বিভা। সে হুট করে দাড়িয়ে গেলো। ইউসুফের শার্ট টেনে ধরে বললো,”আমাকে একা রেখে যাচ্ছেন, আপনি এতো নিষ্ঠুর কেনো?”

ইউসুফ হাসল। মেয়েটা কখন কি বলে বোঝা মুশকিল! বড্ড দূর্বোধ্য রমণী।

বাড়ির পেছনটা ঠিকঠাক পেরোনোও গেলোনা। দূর থেকে আতশবাজির শব্দে এতক্ষণে চকচক করে উঠলো বিভার বিশাদমলিন চোখদুটো। ইউসুফের শার্টে মারাত্বক টান দিয়ে হাসি হাসি কন্ঠে বললো,

-“হায় আল্লাহ! আমি তো ভুলেই গেছিলাম। উওরপাড়ায় না বড়মেলা হচ্ছে? যাবেন?”

ইউসুফ আগাগোড়া চমকে উঠলো,”এই রাতের বেলা? অসম্ভব।”

-“আমি যাবো।”

-“যাও।”ভাবলেশহীন উওরটা দিয়েই এগিয়ে যেতে চাচ্ছিলো ইউসুফ। বিভা দিলোনা। শার্টে দ্বিতীয় মারাত্বক টানটা দিয়ে বললো,

-“আপনি নিয়ে যাবেন।”

-“অসম্ভব।”

-“সম্ভব। চলুন।”

ইউসুফ আস্তে করে বলে,
-“কাল নিয়ে যাবো। এখন না।”

-“আমি বলেছিনা এখন?”

বিভার জেদ অটুট থাকে। মিনিটদশেকের মাথায় সরফরাজের থেকে চূড়ান্ত অনুমতি নিয়ে সে বিস্তর হাসি নিয়ে গাড়িতে বসে।

চলবে

মেঘদিঘির পাড়ে – ২২
মালিহা খান

৪২.
নেওয়াজ সাহেব বসার ঘরের সোফায় বসে ব্যবসার কাগজপত্র দেখছিলেন। ইকবাল গরম চায়ের কাপ নিয়ে ভাইয়ের মুখোমুখি বসে আছে। একটু পরপর নেওয়াজ সাহেব এটা ওটা জিজ্ঞেস করলে আস্তেধীরে বুঝিয়ে দিচ্ছেন। ইকবাল ইভার ছোটচাচা। ইউসুফের বাবা।
ইভা খাবার টেবিলে বসে আছে। সামনের প্লেটে গুড় নারকেলে ভরা ধোঁয়া ওঠা ভাপাপিঠা। কোলের উপর বাহাদুর। নিজে খাচ্ছে সাথে অভ্যাসবশত বাহাদুরকেও খাইয়ে দিচ্ছে ইভা। বাহাদুর ধীরেসুস্থে খাবার চিবাতে চিবাতে অভ্যস্তহাতে ইভার ছেড়ে দেয়া ওড়নার আচঁল নিয়ে দুষ্টামি করছে। এই ঘূর্নিপাকের মতো ঘোরাচ্ছে আবার ইভার নাকপর্যন্ত ঘোমটা টেনে দিচ্ছে।

তন্দ্রা মাথায় লেপ নিয়েই ঘুমিয়ে পড়েছে। সরফরাজ যেয়ে আস্তে করে লেপ সরিয়ে দিলো। হাতের ধরা উল, উলের কাঁটা, ছোট্ট সোয়াটারের আধবোনা অংশটা একমূহুর্ত দেখে নিয়ে পাশে সরিয়ে রাখলো। তাদের প্রথম বাচ্চাটা নষ্ট হয়ে গেছিলো। চারমাসে পড়তে না পড়তেই তন্দ্রার হঠাৎ মিসক্যারেজ হয়ে যায়। তন্দ্রা কেমন চুপচাপ হয়ে গেছিলো। রাতদিন শুধু চোখ দিয়ে পানি পড়তো। থামানো যেত না। হাসিহীন তন্দ্রাকে সামলে রাখার সময়টা বেশ বিভৎস্য একটা অধ্যায় হয়ে সেঁটে আছে সরফরাজের ভেতর।
তারপর যখন আবার অন্তসত্তা হলো তখন থেকে মেয়েটা একটু একটু স্বাভাবিক হলো। কথাবার্তা এলো মুখে। হাসলো।
এইযে এখন তার সাথে কত দুষ্টামি করে, সে কখনো থামায়?

সরফরাজ দীর্ঘশ্বাস ফেলে তন্দ্রাকে একহাতে আগলে ধরলো। পিঠের পিছের বালিশটা বিছানায় নামিয়ে শুইয়ে দিতে দিতেই চোখ পিটপিট করে আড়মোড়া দিলো তন্দ্রা। ঘুমজড়ানো কন্ঠে সরফরাজকে বললো,

-“কি হয়েছে?”

সরফরাজ মৃদুস্বরে বললো ,”কিছু হয়নি। দেখি তনু, ঠি ক করে শোও, ঘাড় সোজা করো।”

তন্দ্রা ঘাড় সোজা করেনা, আরো কাত করে বলে,

-“আপনি জেগে আছেন কেনো?”

সরফরাজ সাঁয় দিয়ে বললো, “এইতো আমিও ঘুমাবো। চোখটা বন্ধ করো দেখি তো তন্দ্রাবতী।”

তন্দ্রা চোখ বুজে। মিনিট পনেরোর মাঝে গভীর ঘুমে তলিয়ে যায়। সে ঘুমোতেই ঘর অন্ধকার করে নিচে নেমে আসে সরফরাজ। ইকবাল কিজন্য যেনো উপরে গিয়েছে, নেওয়াজ সাহেব একাই বসে আছেন কাঁচের টেবিলে কাগজপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে। সরফরাজ ভ্রু কুঁচকে বলো,

-“কিছু হয়েছে আব্বা?”

নেওয়াজ সাহেব মাথা তুলে তাকান। ছেলেকে দেখে মাথা নাড়িয়ে স্মিত হেসে বলে,”কিছু হয়নি বাবা। চিন্তার কিছু নেই।”

ইভা তখনো পিঠা খাচ্ছে। ভাপাপিঠা তার খুব পছন্দের। শীতটা জেঁকে বসেছে খুব। সারাক্ষণ ঘুম ঘুম লাগে। অলস লাগে। বাহাদুর আর খাবেনা বলে তার গলা জড়িয়ে কাঁধে মুখ গুঁজে আছে। হয়তো ঘুমিয়েও গেছে। সরফরাজ এসে চেয়ারে বসলো। কিন্চিৎ গলা বাড়িয়ে বললো,

-“চাচী, ভাত দিও তো টেবিলে। ক্ষুধা লেগেছে।”

জাহানারা রান্নাঘর থেকে,”এইতো দিচ্ছি বাবা।” বলতেই ইভার দিকে তাকালো সে। বলল,”তুই খেয়েছিস? ভাত খাবার সময় পিঠা খাচ্ছিস কেনো?”

-“আমি আগেই ভাত খেয়েছি ভাইজান। আপনি ঘড়ি দেখেন, এগারোটা বাজে।”

সরফরাজ ঘড়ি দেখলো,”সবাই খেয়ে নিয়েছে? আমিই বাকি শুধু?”

-“না, শুধু আমি আর বাহাদুর খেয়েছি। আর কেও খায়নি। ভাইজান? আপাদের আসতে কি খুব দেরি হবে?”

সরফরাজ মাথা নাড়িয়ে বললো,

-“বারোটা, সাড়ে বারোটা বাজতে পারে। দূরের রাস্তা তো।”

তারপর নেওয়াজ সাহেবের দিকে চেয়ে বললো,”আব্বা? আপনিও খেয়ে নিন। চাচা কোথায়?”

নেওয়াজ সাহেব কাগজপত্র রেখে টেবিলে এসে বসলেন। জাহানারা খাবার নিয়ে এসেছে। ভাত- তরকারি সাজিয়ে রাখছে।
বাহাদুর সত্যি সত্যিই ঘুমিয়ে পড়েছে। তাকে এখনই শুইয়ে দেয়া দরকার। এখন উঠে গেলে আর ঘুমোতে চাইবে না। ইভা পিঠা শেষ করে তাড়াতাড়ি করে পানির গ্লাস টেনে নিলো। নেওয়াজ সাহেব আলতো করে মেয়ের মাথায় হাত বুলিয়ে দিলেন। ইভা একটু হাসলো। নেওয়াজ সাহেব কি যেনো ভাবলেন। তারপর ধীরগতিতে হাত বুলিয়ে দিলেন ঘুমন্ত বাহাদুরের মাথায়ও।

৪৩.
গায়ের ওড়নাটা শালের মতো জড়িয়ে নিয়েছে বিভা। চুলগুলো ছেড়ে দেয়া তাতেই সারা গা ঢেকে আছে। চাঁদের পূর্ণিমা জোরদার হয়েছে।
গাড়ি এঁকেবেঁকে দুলছে। এমন ভাঙা রাস্তা এদিকে। বিভা নড়েচড়ে বসলো। পাশের লৌহমানবের দিকে একবার তাকালো। চাঁদের আলোতেও রাস্তাটা খুব অন্ধকার। চওড়া রাস্তা, তবু এমন ভাঙা কেনো?
আশেপাশেই কোথায় যেনো শিয়ালের দল ডেকে উঠলো। এমন কাছ থেকে শিয়ালের ডাক শুনে অন্তরাত্মা অবধি জমে গেলো বিভার। স্টেয়ারিং ঘোরাতে থাকা বলিষ্ঠ হাত দুটোর একটা খপ করে টেনে ধরে বললো,

-“আপনি একহাতে গাড়ি চালান, এটা আমি ধরবো।”

ইউসুফ নিরব সম্মতি দিলো হয়তো। বিভার কথার আপত্তি করলোনা।

অন্ধকার পথ মাড়িয়ে এগিয়ে চলা ধবধবে সাদা গাড়িটা থমকে গেলো অকস্যাৎ। বিভাকে হতভম্ব করে দিয়ে গাড়ি থেকে বেরিয়ে গেলো ইউসুফ। বিভার পাশের দরজা খুলে জলদগম্ভীর গলায় বললো,

-“বেরিয়ে এসো।”

চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here