#মেঘের_পালক,০৪,০৫
সুমাইয়া আমান নিতু
পর্ব-৪
অরিনকে সাইকেলওয়ালা কাছের ডিসপেনসারিতে নিয়ে গেল। বেশ খানিকটা রক্ত বের হয়ে গেছে। এত রক্ত দেখে অরিনের মাথা ঘুরছে। সে সাইকেলওয়ালাকে ধন্যবাদ জানিয়ে নিজের পথ ধরল। বাসায় চলে যাবে। বিকেলে ক্লাস ছিল, অর্নব বলেছিল শাড়ি আনবে, যেতে ইচ্ছে করছে না। সে অর্নবকে মেসেজ করে দিল।
রিকশা বা অটোর জন্য অপেক্ষা করছে, এমন সময় হাঁপাতে হাঁপাতে এসে উপস্থিত হলো প্লাবন। তার সাদা শার্ট ঘেমে লেপ্টে আছে শরীরের সাথে। সত্যি পরিশ্রম করেছে বোঝা যাচ্ছে। এই অবস্থা থেকে অরিন ঠিক রাগও করতে পারল না৷ সে কিছুক্ষণ ভ্রুকুটি করে তাকিয়ে রইল। তারপর প্লাবনকে সম্পূর্ণ অগ্রাহ্য করার ভান করে রিকশা ডাকল। কিন্তু দুপুরবেলা রিকশা অতদূর যাবে না।
প্লাবন এতক্ষণে কথা বলার অবস্থায় এসেছে। জোরে নিঃশ্বাস নিতে নিতেই বলল, “আমি..
আমি….স্যরি অরিন! ভেরি স্যরি! আমি ইচ্ছে করে লেট করিনি!”
অরিন রাগ করে থাকতে পারছে না। ঘর্মাক্ত মুখটা দেখেই ওর রাগ গলে গেছে। তবু একটু গম্ভীর হয়ে বলল, “কী করছিলেন? সময়-জ্ঞান বলে একটা জিনিস থাকে!”
“তা তো জানিই। আমি তো আগেই এসেছিলাম। মানে সাড়ে দশটায়। আপনিই লেট করছিলেন৷ পৌনে এগারোটা পর্যন্ত বসেও ছিলাম। তারপরই ফোনটা এলো।”
“কিসের ফোন? কার ফোন?”
“আমার এক বন্ধুর। তার মা অসুস্থ। রক্ত লাগবে ও নেগেটিভ গ্রুপের। বন্ধুদের মধ্যে একমাত্র আমার রক্তই ও নেগেটিভ। আমি তাই সেখানে ছুটেছি। আপনাকে যে একটা ফোন করে জানাব বা মেসেজ করব সেটা ভুলে গেছি। খুব ভুল হয়ে গেছে!”
“রক্ত দিতে এতক্ষণ লাগল?”
“হাসপাতালটা দূরে। আর মোবাইলও সাইলেন্ট ছিল, কলগুলো দেখিনি। যখন দেখেছি তখন আর এসব ব্যাখ্যা করার জন্য ফোন করতে ইচ্ছে করেনি।”
“রক্ত দেবার পর এভাবে ছুটে আসলেন কেমন করে?”
“এসেছিলাম তো গাড়িতেই। আপনাকে না পেয়ে ভেবেছি চলে গেছেন হয়তো। কিন্তু দূর থেকে দেখলাম এদিক দিয়ে যাচ্ছেন। ধরার জন্য দৌড় দিলাম৷ এখন মাথা ঘুরছে।” বলতে বলতে মাটিতেই বসে পড়ল প্লাবন।
অরিন তাকে ধরার চেষ্টা করল, কিন্তু একটু আড়ষ্ট হয়ে রইল। নিজেও প্লাবনের পাশে মাটিতে বসে পড়ল। পানির বোতল বের করে তাকে খেতে দিল।
প্লাবন স্বাভাবিক হয়ে এলে দু’জন গিয়ে বসল একটা বেঞ্চিতে।
প্লাবন এতক্ষণে অরিনের হাতের ব্যান্ডেজ খেয়াল করেছে। সে আঁতকে উঠে বলল, “একি! কী করে হলে এটা?”
অরিন লজ্জা পেয়ে বলল, “কেটে গেছে।”
“কিভাবে কাটল?”
অরিনকে অগত্যা সবটা বলতে হলো। প্লাবন বলল, “ইশ্ কতখানি কেটেছে! সব আমার জন্য। আপনার লাইফে আমি একটা কুফা হয়ে এলাম।”
অরিনের ইচ্ছে হলো প্লাবনের মুখ চেপে বলে, “এমন কথা বলে না লক্ষীটি, তুমি আমার জীবনের আলো।”
ভাবনাটা নিজেকেই লজ্জা দিল। অরিনের গাল লাল হয়ে গেল। প্লাবন সেটা খেয়াল করে বলল, “কী হয়েছে?”
“কিছু না।”
“আপনি সকালে কিছু খেয়েছেন? দেখে তো মনে হয় না।”
অরিন না সূচক মাথা নাড়ল। প্লাবন বলল, “আমারও রক্তদানের পর ক্ষুধা লেগে গেছে। চলুন কিছু খেয়ে আসি। এদিকে ভালো একটা ভাতের হোটেল আছে।”
অরিন রাজি হয়ে গেল। আসলে তার পেটে ছুঁচোর দল দৌড়াদৌড়ি করছে। কিছু না খেয়ে বাসায় গেলে রাস্তায় পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও আছে।
।
ভাতের হোটেলের নাম ‘বাংলার স্বাদ’। বড় সাইজের স্বরপুটির ঝোল, চিংড়ির মালাইকারি, মুরগি ভুনা, গরুর মাংস, শিং মাছের ঝোল, ছোটো মাছের ঝাল তরকারি, কচুরমুখী দিয়ে ছোটো চিংড়ি ইত্যাদি নানা আইটেম রয়েছে মেন্যুতে। দেখেই খিদেটা বেড়ে গেল।
খাবার খাওয়ার সময় বিপত্তি বাঁধল। অরিনের কেটেছে ডান হাত। সে চেষ্টা করছে চামচ দিয়ে খেতে। কিন্তু কাটা হাতে সে ঠিকমতো চামচও ধরতে পারছে না৷ একটুখানি হাত ভাজ করার চেষ্টা করলেই প্রচন্ড জ্বলে উঠছে কাটা জায়গাটা৷ ব্যথায় বিকৃত হয়ে যাচ্ছে মুখ।
প্লাবন খেতে খেতে সেটা লক্ষ্য করল৷ তারপর একসময় বলল, “আপনি কিছু মনে না করলে আমি একটা কাজ করতে পারি।”
“কী?”
“আপনার ভাতটা মাখিয়ে দেই, খেতে সুবিধা হবে।”
অরিনের অস্বস্তি হলেও এটা সে হ্যাঁ বলল। এটা হলে খুব সুবিধা হয়। প্লাবন উঠছে দেখে সে বলল, “যান কোথায়?”
“হাত ধুয়ে আসি।”
“আরে লাগবে না৷ এই হাতেই মেখে দিন আমারটা।”
প্লাবন কাঁধ ঝাঁকিয়ে বসে পড়ল। এঁটো হাতেই অরিনের ভাত মাখাল সুন্দর করে। তারপর কী মনে করে এক লোকমা ভাত সে অরিনের মুখের সামনে ধরল।
অরিন হতভম্ব হয়ে গেল। কয়েক সেকেন্ড সময় যেন থমকে রইল। সম্বিত ফিরে পেলে সে মুখ হা করল। খেয়ে নিল লোকমাটা। মনে হলো অমৃতের কাছাকাছি কিছু খাচ্ছে।
প্রথম ধাপ পেরুলে বাকিগুলো সহজ। প্রথম লোকমার পর আর অস্বস্তি রইল না। বাকি পুরো ভাতটুকু অরিন অনায়েসে খেয়ে নিল প্লাবনের হাতে।
ওকে খাওয়ানো শেষে প্লাবন নিজের ভাত শেষ করল।
খাওয়া সেরে ওরা বসেছে একটা পদ্মপুকুরের পাশে৷ পদ্মগুলো মরে গেছে, পুকুরটা বিধ্বস্ত দেখাচ্ছে। দু’জন কথা খুঁজে পাচ্ছে না৷ অরিনের মন ভালোলাগায় আচ্ছন্ন হয়ে আছে। তার মনে হচ্ছে সে আর কোনোদিন কিছু বলতে পারবে না।
প্লাবনের অবস্থাও খুব একটা সুবিধের নয়। সে কী বলবে ভেবে না পেয়ে বোকার মতো জিজ্ঞেস করল, “আপনার প্রিয় ফুল কী?” বলেই আবার নিজের কথা বলতে শুরু করল, “আমার তো প্রিয় ফুল জারুল। জারুলের বেগুনীতে এক ধরণের মিষ্টি ভাব আছে…”
অরিন তেমন কিছুই শুনছে না। শুধু হু হা করে যাচ্ছে। প্লাবন এলোমেলো কথা বলে গেল শুধু৷ বিকেল হয়ে আসছে, এমন সময়ে অরিন উঠে দাঁড়িয়ে বলল, “বাসায় যাব।”
প্লাবন বলল, “আচ্ছা। সাবধানে চলবেন।”
অরিন যেতে যেতে হুট করে বলল, “একটা কথা বলুন তো, আমরা এত নাটক করছি কেন?”
প্লাবন বলল, “কিসের নাটক?”
“এইযে আপনি আজ্ঞা করছি, অথচ দুজনেই বুঝতে পারছি যে আমরা…”
কথাটা শেষ করতে পারল না অরিন। লজ্জা পেয়ে থেমে গেল।
প্লাবন হেসে ফেলল। অরিনের বামাপাশে এসে ওর বাম হাত মুঠির মধ্যে শক্ত করে ধরে বলল, “চলো, বাড়ি পৌঁছে দেই।”
(চলবে)
সুমাইয়া আমান নিতু
#মেঘের_পালক
পর্ব-৫
অনেক সময় এমন হয় না, একসাথে সব বাদ্যযন্ত্র বেজে যাচ্ছে, অথচ কোনো সুর নেই? তাল নেই? সেরকম হয়েছে অবস্থা। বাড়ি ফিরে অরিনের মনে হলো সে পারলে একটা গার্তে ঢুকে যায়৷ এমনিতে তো সে ভালোই থাকে। ওই ছেলের আশেপাশে গেলে অমন নির্লজ্জ হয়ে যায় কেন? আজ কত কথা হলো! নিজের থেকে সে হাতটা পর্যন্ত বাড়াল প্লাবনের দিকে। অথচ ঠিকভাবে পরিচয় জানা হলো না। তাকে সত্যিই ভালোবাসে কি না সেসব কিছুই জিজ্ঞেস করা হলো না। এরকম আজগুবি কান্ড সে করবে এমন নিজেও কখনো ভাবেনি।
মনের মধ্যে অফুরন্ত ভালো লাগার সাথে কাজ করছে দ্বিধা, ভয় আর লজ্জা। কে জানে কিসের সাথে জড়িয়ে পড়ছে সে!
পরদিন ক্লাসে গেলে সবাই তার দিকে অদ্ভূত চোখে তাকাল। যেন সে চিড়িয়াখানার জীব! মনিকা চোখ মটকে জিজ্ঞেস করল, “কিরে, তোর হিরোর কী খবর?”
শিমুল হাসতে হাসতে বলল, “যে স্পিডে সেদিন পালিয়ে গেলি, আমি তো ভেবেছিলাম এতক্ষণে এন্টার্কটিকা পৌঁছে গেছিস।
তাজমিন ফোঁড়ন কাটল, “এন্টার্কটিকা গেলে অত হ্যান্ডসাম ছেলেটার সাথে প্রেম করবে কে?”
অরিনের গা জ্বলে যাচ্ছিল। সে একটা কথারও জবাব না দিয়ে খালি সিট পেয়ে বসে পড়ল। একটু পরেই তার পাশের জায়গা দখল করল মৌটুসী। বোধহয় হেঁটে এসেছে অনেকদূর, হাঁপাচ্ছে।
একটু ঠান্ডা হয়ে মৌটুসী বলল, “আর কথা হয়েছে প্লাবনের সাথে?”
“হুম।”
“কবে?”
“সেদিন রাতেই।”
“বাহ! কী বলল?”
“দেখা করতে চেয়েছে।”
“করবি?”
“অলরেডি করে ফেলেছি।”
“বলিস কী! প্রেম জমছে নাকি সব ভন্ডুল?”
“উফ! এত বকিস না। সবার কান এদিকে। ক্লাসের পর বলব।”
যদিও মৌটুসী “আচ্ছা” বলল, তবে তার মুখ দেখে মনে হলো ভেতরে ভেতরে আগ্রহে ফেটে পড়ছে।
অর্নবের দেখা পাওয়া গেল এরপর। তার আগমনে প্রতিদিনই একটা ছোটোখাটো সিনেমা হয়। মানে সিনেমার পর্দায় দেখা দৃশ্যের মতো কিছু হ্যাংলা মেয়ে এগিয়ে গিয়ে অভ্যর্থনা জানায় আর সে গাড়ির চাবি ঘোরাতে ঘোরাতে সানগ্লাস চোখে ক্লাসে ঢোকে।
আজ অর্নব ঢুকে মেয়েমহলের কাছে না গিয়ে সোজা অরিনের কাছে চলে এলো। তার সামনের একটা চেয়ারে বসে পায়ের ওপর পা তুলে ব্যাগ খুলে শাড়ির প্যাকেট বের করে তাকে দিল।
কিছু মেয়েদের কাছ থেকে বিস্ময় সূচক ধ্বনি ভেসে এলো। অর্নব এবার একটু ঝুঁকে এসে ফিসফিস করে বলল, “তোর কাহিনীটা কী বল তো? আমার ভাইটাকে পটালি কেমন করে? ওটা যা জিনিস, জীবনে প্রেমফ্রেম করে নাই৷ তোর সামনে এরকম ড্রপ খেয়ে গেল কী করে?”
অরিন বিরক্ত মুখে বলল, “জানি না।”
“আরে, না জানলে তো চলবে না। ও আমাকে কিচ্ছু বলছে না। তোকে বলতে হবে। কবে থেকে পরিচয় তোদের?”
অরিন আকাশ থেকে পড়ল। “কবে থেকে মানে? ওকে প্রথম দেখেছি তোর পার্টিতে।”
অর্নব দ্বিগুণ বিষ্মিত হয়ে বলল, “বলিস কী!” তারপর রেগে গিয়ে বলল, “একদম মিথ্যে বলবি না। পার্টিতে তো তোদের কথা বলতে দেখিনি একবারও। তাহলে ভালোবাসাবাসিটা হলো কখন?”
অরিন লাল হলো। সেও বুঝতে পারছে না কিছু। বলল, “হয়তো লাভ অ্যাট ফার্স্ট সাইট ছিল!”
“মোটেও না! ও ওরকম ছেলেই না। এর আগে আমার এক আগুন সুন্দরী বান্ধবীর সাথে বাজি ধরেছিলাম ওর সাথে প্রেম করে দেখাতে হবে। কিন্তু শালা এত কারসাজির পরেও পটে নাই! শেষে বাজিতে হারলাম। সেই মেয়ের তুলনায় তুই কিছুই না!”
অরিনের এবার অপমান বোধ হলো। সে রুক্ষ স্বরে বলল, “যা আমার সামনে থেকে!”
“আমি আবার কী করলাম?”
“তুই যাবি এখান থেকে?”
অর্নব উঠল। যাওয়ার আগে বলল, “আমার কী মনে হয় জানিস? প্লাবন তোকে একটু বাজিয়ে দেখছে। প্রেমফ্রেম কিচ্ছু না৷ সেদিন তোকে প্রপোজ করেছিল আমাদের সাথে বাজি ধরে। শালা ড্রিঙ্ক করে না। বাজিতে হারলে পুরো বোতল শেষ করতে হতো। সেটা পারবে না দেখে তোর কাছে গেছে। তুই ভাবছিস এই চেহারা নিয়ে অমন ছেলে পটিয়ে ফেলবি? হেহ!” বিদ্রুপের হাসি হাসতে হাসতে চলে গেল অর্নব।
পুরো ক্লাস এখন চেয়ে আছে অরিনের দিকে। অরিনের চোখ পানিতে ভর্তি হয়ে আসছে। ভাগ্যিস স্যার চলে এলো, সবার চোখ সরে গেল তার থেকে। আর অরিন আলগোছে মুছে নিল চোখের পানি।
★
লাঞ্চ ব্রেকে সে সবটা খুলে বলল মৌটুসীকে। মৌটুসীও দেখা গেল রেগে গেছে। বলল, “তুই ভালো করে চিনিস না জানিস না, সেই ছেলের হাতে ভাত খেয়ে ফেললি? তোর হাত ধরে তোকে বাসায় দিয়ে গেছে? তোর মাথা খারাপ হয়ে গেছে না ওই ছেলে জাদুটোনা করেছে বল তো? আমি এত ছাগলের মতো কাহিনী করতে কোনো মেয়েকে দেখি নাই। ওইযে মেয়েগুলা যারা জামাকাপড়ের মতো বয়ফ্রেন্ড বলদায়, ওরাও এত সহজে স্লিপ খায় না!”
“আমি কী করব? নিজের ওপর কোনো কন্ট্রোল ছিল না আমার!”
“ঘোড়ার ডিম! তুই একটা বেকুব!”
অরিন কিছু বলল না। শুধু নাক দিয়ে একটা শব্দ করল।
মৌটুসী তাকে বলদ, শিম্পাঞ্জি, ছাগলের তিন নাম্বার বাচ্চা ইত্যাদি আরও বহু বিশেষণে বিশেষায়িত শেষে বলল, “এবার কী করবি সেটা বল।”
অরিনের চোখের কোল এখনো ভেসে যাচ্ছে। সে চোখ মুছে বলল, “আমি তো আর জানতাম না এসব বাজি ধরে করেছে। প্লাবন নাটক করছে জানলে আমি তো আর এরকম মোমের মতো গলতাম না। এখন যা হবার হয়েছে, আমি আর কিছুতে নেই।”
“যাক ভালো একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছিস।”
“হুম।”
“আর ফোন ধরিস না ওর। কে কোন উদ্দ্যেশ্যে ঘোরে ঠিক আছে? এখনকার ছেলেরা সবই অর্নবের মতো ফোর টুয়েন্টি। ওরই তো ভাই!”
“ঠিক বলেছিস।”
★
দুপুরের পর থেকে প্লাবনের ফোন থেকে অনবরত ফোন আসতে থাকল। ধরল না অরিন। বিকেলে ক্লাস শেষে বের হবে, এমন সময় মেসেজ এলো, “আমি তোমার ক্যাম্পাসের বাইরে দাঁড়িয়ে আছি। চলো একটু ঘুরব।”
অরিন উত্তর দিল না। সোজা পথে না বের হয়ে উল্টোদিক দিয়ে বের হয়ে বাড়ির পথ ধরল।
(চলবে)