মেঘ_রোদ্দুর পর্বঃ৭

0
2404

মেঘ_রোদ্দুর পর্বঃ৭
#লেখিকা_তাজরিয়ান_সরকার

?
?

তিয়াশা শুয়ে আছে বেডের এক পাশে। মিফতা ঘুমিয়ে পড়েছে। তিয়াশা উঠে আলমারিতে থেকে একটা ডায়েরি বের করে। ডায়েরিটা হাতে নিয়ে বেলকনিতে যায়।

কমবেশি সবারই ডায়েরি লেখার শখ আছে। তিয়াশারও একটা সময় ছিল। এটা একটা অভ্যাস। কারো কাছে এটা ভালোবাসা। কারো কাছে এটা ভালোলাগা।

তিয়াশা আগে নিয়মিত ডায়েরি লিখত। এখন সময়ের জন্য লেখা হয়ে উঠেনা। ডায়েরিটা বেশ পুরনো। অনেকদিন খোলাও হয় না।

তিয়াশা এটা নিয়ে বেলকনিতে গিয়ে ডিভানে বসে। তার শরীর কাঁপছে। কাঁপা কাঁপা হাতে তিয়াশা ডায়েরিটা খোলে। খুলে পড়তে শুরু করে।

প্রথম পৃষ্ঠা

ভালোবাসার অনুভূতি কেমন তা জানিনা। হয়তো জানি। প্রথম দেখাতেই তার সত্তার প্রেমে পড়ে গেলাম। চিনি না সে কে! জানিনা কি তার পরিচয়। হয়তো আর দেখাও হবে না।

তিয়াশার সাথে আয়াশের দেখাটা হঠাৎ করেই। তিয়াশা তখন এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে ভর্তির জন্য বিভিন্ন কলেজে দৌড়াদৌড়ি করছিল। তখনই পানি কিনতে গিয়ে একটা শপে আয়াশকে প্রথম দেখে।

আয়াশ তখন কিছু একটা নিতে শপে আসে। দুজনের চোখাচোখি হয়ে যায়। আয়াশ একটা মুচকি হাসি দিয়ে চলে যায়।

তিয়াশা কলেজে ভর্তি হয়। প্রথমদিনই কলেজে আয়াশকে দেখে। আয়াশ অনার্স ২য় বর্ষে আর তিয়াশা ১ম বর্ষে।

কলেজের নবীন বরণ অনুষ্ঠানে আয়াশের সাথে একটা দলীয় কাজের জন্য কথা হয় তিয়াশার। তার মধ্যে বেশ কয়েকবার একে অপরের দেখা হয়েছে। দেখা দুজনই মুচকি হেসে চলে যেতো। কখনো প্রয়োজন হয়নি তাই কেউ কারো সাথে কথা বলেনি। আয়াশ তখনো তিয়াশাকে খুব ভালো ভাবে দেখেনি।

নবীন বরণ অনুষ্ঠানে তিয়াশা একটা নীল শাড়ি পড়েছিল। হাত ভর্তি চুড়ি। গলায় নেকলেস। মাথা খোঁপা করে ফুল দিয়ে বাঁধা। সামনে ছোট চুলগুলো বাতাসে দুলছিলো।

তিয়াশা আয়াশের সামনে দিয়েই স্টেজে উঠে তখনই আয়াশ তিয়াশার সেই লজ্জা মিশ্রিত হাসির প্রেমে পড়ে। আয়াশরা সিনিয়র হওয়াতে ব্যাকস্টেজে ছিল।

সেদিনই তাদের মধ্যে প্রথম কথা হয়। প্রথমদিন খুব বেশি কথা হয় নি। শুধু কুশল বিনিময়। তারপর তারা বাসায় চলে যায়।

পরেরদিন কলেজে এসে তিয়াশার চোখ শুধু আয়াশকেই খুঁজছিলো। আয়াশকে না পেয়ে তিয়াশা মন খারাপ করে ক্লাসে চলে যায়। ক্লাস শেষ করে বাসায় এসে পরে।

এভাবেই কাটতে থাকে প্রহর চলতে থাকে দিন। তারা একে অপরের সাথে মিশতে থাকে। কথা বলে। তিয়াশার সব ফ্রেন্ডরা জানতো তাদের ব্যাপারটা। তিয়াশারই ভালো লেগেছিলো আয়াশকে কিন্তু সে বলেনি কারণ আয়াশের চোখে সে তার প্রতি তেমন কিছুই দেখেনি।

কিন্তু মনে মনে আয়াশ তিয়াশাকে পছন্দ করতো। তিয়াশাকে ভালোবেসে ফেলেছিলো আয়াশ কিন্তু কখনো প্রকাশ করেনি। একে অপরের অনেক কেয়ার করতো।

কুরবানির ইদের দ্বিতীয় দিন,,

বিকেল বেলা আয়াশ, তিয়াশা, আতিকা, নাহিন, নাতাশা আর আয়াশের কয়েকটা বন্ধু মিলে ঘুরতে যায়। ওইদিন আয়াশকে তিয়াশা একটি লাল পাঞ্জাবি আর একটি ঘরি দিয়ে প্রপোজ করে। আয়াশ কিছুক্ষণ ভেবে এক্সেপ্ট ও করে নেয় তিয়াশার দেওয়া প্রপোজালটা।

শুরু হয় নতুন সম্পর্ক। তখন তাদের সম্পর্কের নতুন নাম। আগে ছিল শুধু মাত্র বন্ধু এখন একে অপরের প্রিয় মানুষ।

রাত জেগে পড়তো তিয়াশা আর আয়াশ তখন ভিডিও কল দিয়ে বসে থাকতে থাকতে ঘুমিয়ে পড়তো।

চলতে থাকে তাদের ভালোবাসার পথচলা। ঝগড়া, খুনসুটি, আড্ডা, মজা সবকিছু নিয়েই তারা চলতে থাকে। একে অপরের প্রতি যথেষ্ট শ্রদ্ধাশীল ছিল। তাদের সম্পর্কে বিশ্বাস ছিলো। আস্থা ছিলো একে অপরের প্রতি।

আয়াশের ইন্টার ফাইনাল এক্সাম শেষ। তিয়াশা ২য় বর্ষে উঠে। আয়াশ চট্টগ্রামের একটা ইউভার্সিটিতে চান্স পায়। সেখানেই চলে যায় সে।
তিয়াশারা তখন অনেকটা স্ট্রাগলে করছে তার বাবাও তখন এতটা সফল নয়। আয়াশের পরিবার থাকতো ঢাকাতে আর আয়াশ চট্টগ্রামে থেকে সেখানকার ভার্সিটিতে পড়ালেখা করতো।

কয়েকমাস পর পর তাদের দেখা হতো যখন আয়াশ ঢাকায় আসতো। তিয়াশার সাথে আয়াশের ফোনে সবসময় কথা হতো।

ইদের সময় আয়াশ যখন ঢাকায় আসতো তিয়াশাকে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যেতো। নদীর পাড়ে বসে সূর্যাস্ত দেখা। বালুচরে খালি পায়ে হাতে হাত রেখে দুজনে অনেকটা পথ হাঁটা। রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে ফুচকা খাওয়া। হঠাৎ শীতের সকালে চায়ের দোকানে বসে দুজনে মিলে চা খাওয়া। এগুলোই ছিল তাদের প্রতি এক অপরের ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ।

কয়েকদিন পরেই তিয়াশার ফাইনাল পরীক্ষা। তিয়াশার সাথে শুরু হয় আয়াশের দূরত্ব। দূরত্বের শুরুটা আয়াশই করেছিলো। তিয়াশা মনে করেছিলো হয়তো আয়াশের পড়ার চাপ তাই এমন করছে। তিয়াশাও তেমন সময় দিতে পারতো না তার পরীক্ষা থাকায়।

অপরদিকে আয়াশের বাবা তাদের বিষয়টি জেনে যায়। তিনি তার পরিবারের কাউকে আর জানাননি। তিয়াশার বাবা যেহেতু তখন দেশের কোনো নামকরা বিজনেসম্যান না তাই আয়াশের বাবার তাদের পরিবারকে ভালো লাগেনি। উনার সাথে যায়না তাদের স্ট্যাটাস।

তিনি আয়াশের সাথে কথা বলে। আয়াশ অনেক চেষ্টা করে তার বাবাকে বুঝানোর কিন্তু পারেনি। একটা সময় নিজের বাবার কথার প্রভাব তার উপরেও পড়তে থাকে। তার মনেও প্রশ্ন আসে তিয়াশার যোগ্যতা নিয়ে! এই টাকা দিয়ে যোগ্যতা মাপতে গিয়ে তিয়াশার ভালোবাসা নামক বস্তুটি ধামাচাপা পড়ে যায়।

আয়াশও তখন তিয়াশাকে তার যোগ্যতা নিয়ে অনেক বাজে কথা বলে। তিয়াশার লাস্ট পরীক্ষার আগের রাতে আয়াশ তিয়াশাকে কল দেয়।

রাত ২ টা,,

তিয়াশাঃ হ্যাঁ। বলুন

আয়াশঃ কি করছো?

তিয়াশাঃ পড়ছি। কাল তো শেষ পরীক্ষা।

আয়াশঃ ভালো করে পরীক্ষা দিও।

তিয়াশাঃ দোয়া করবেন। আপনার সাথে কবে দেখা হবে আবার?? কবে আসবেন ঢাকায়??

আয়াশঃ ঢাকায় আর আসবো না। এখানেই থাকব। আমি এই সম্পর্কটাকে আর সামনে নিয়ে যেতে চাই না।

তিয়াশাঃ মজা করছেন! যদি মজা করে থাকেন তাহলে বলব প্লিজ এসব নিয়ে মজা করা ঠিক না।

আয়াশঃ মজা করছি না। আমি সত্যি বলছি। তোমার কোনো যোগ্যতা নেই আয়াশ আহমেদের স্ত্রী হওয়ার। তোমার পরিবারের সাথে আমার পরিবারের স্ট্যাটাস ম্যাচ করে না। কি আছে তোমার বাবার?

তিয়াশাঃ আচ্ছা। আজ যখন আমার আর আমার বাবার যোগ্যতা নিয়ে ই প্রশ্ন উঠেছে তাহলে থাক। প্রয়োজন নেই এমন সম্পর্কের। চাই না আমি আপনার মতো জীবনসঙ্গী। উপরে একজন আছেন। কার যোগ্যতা কতটুকু তার বিচার তিনি ই করবেন। অপেক্ষা করুন। আল্লাহ হাফেজ।

তিয়াশা কথা শেষ করে মোবাইল রেখে মুখে হাত চেপে কাঁদতে থাকে। বেশ কয়েকঘন্টা কাঁদার পর সে পড়ায় মনোযোগ দেয়। নিজেকে বুঝায় এমন হলে চলবে না। তাকে ভালো করে পড়তে হবে। নিজেকে শক্ত রাখতে হবে। ঘুরে দাঁড়াতেই হবে। তিয়াশা ওয়াশরুমে গিয়ে মুখে পানির ঝাপটা দিয়ে এসে আবার পড়তে বসে। নিজেকে পারছে না সে শক্ত করতে। ২ বছরের একটা সম্পর্ক শেষ হয়ে গেলো। সময়টা বড় কথা নয় স্মৃতিটাই আসল। একে অপরের প্রতি বিশ্বাস, সম্মান, কেয়ার এসবই বার বার মনে পড়ে যায়।

তিয়াশা সারারাত পড়ে। সকালে পরীক্ষা দিতে যায়। খুব ভালোভাবে তার পরীক্ষা শেষ হয়। বাসায় এসে আতিকাকে আর নাতাশাকে কল দেয়।

আতিকাঃ বল।

তিয়াশাঃ বাসায় আসতে পারবি??

আতিকাঃ আজকে?

তিয়াশাঃ নাহ কালকে বিকেলে।

আতিকাঃ আচ্ছা। শোন তোর কি মন খারাপ?

তিয়াশাঃ না তো। তুই কালকে নাতাশাকে নিয়ে বাসায় চলে আসিস।

পরেরদিন বিকেলে নাতাশা আর আতিকা বাসায় এলে সব খুলে বলে তাদেরকে। নাহিনকেও কল দিয়ে নাতাশা পরে জানায়।

তিয়াশার পরিবারের কেউ জানতো না ব্যাপারটা। শুধু মিফতা জানতো এই ব্যাপারটা। তিয়াশা মিফতাকেও বলে।

সবাই তাকে অনেক স্বান্তনা দেয়। শক্ত হতে বলে। নিজেকে সামলে নিতে বলে। সবাই তার পাশে ছিলো।

তিয়াশার ফাইনাল পরীক্ষার রেজাল্ট দেয়। তিয়াশা তাদের কলেজের রেকর্ড মার্ক পায়। তার আগে এত নাম্বার কেউ পায়নি। খুব ভালো রেজাল্ট করে সে।

তারা বাবারও সেদিন অনেক বড় একটি ডিল ফাইনাল হয়। তাদের পরিবারে নেমে আসে আনন্দ। তিয়াশার অনেক ইচ্ছে হচ্ছিল আয়াশকে জানানোর। কিন্তু সে জানায়নি। নিজেকে শক্ত করে। সেদিনের পর থেকে তিয়াশা আর কোনো রকমের যোগাযোগ করেনি আয়াশের সাথে। আয়াশও যেন না করতে পারে সেসব রাস্তা সে বন্ধ করে দিয়েছিল।

তিয়াশার সামনে অফার আসে কানাডা গিয়ে পড়ালেখা করার। তার মা রাজি ছিলেন না কখনো। বাবা রাজি ছিলেন তবু তার ভয় করছিলো। মা-বাবার একমাত্র মেয়ে এত দূরে যাবে।

তিয়াশা অনেক কষ্টে তাদের বুঝিয়ে কানাডা যায়। সেখান থেকে পড়ালেখা শেষ করে ডাক্তার হয়ে একেবারে দেশে ফিরে। মা-বাবাকে ছাড়া এত দূরে থাকতে সবারই কষ্ট হয় তেমনি তিয়াশারও অনেক কষ্ট হয়েছে। অনেক রাত কেঁদেছে তাদের একটিবার জড়িয়ে ধরার জন্য। কিন্তু সে দেশে আসেনি। একেবারে যোগ্যতা অর্জন করেই দেশে ফিরেছে।

_________________________

ডায়েরিটা বুকে জড়িয়ে কাঁদছে তিয়াশা। প্রিয় মানুষটাকে সামনে দেখেও তার সামনে নিজেকে সামলে রাখতে শক্ত রাখতে বড্ড কষ্ট হয়।

ডায়েরিটা তিয়াশা দেশে আসার দিন লিখে শেষ করে। শেষপাতায় বড় বড় অক্ষরে লেখা আছে “আমি পেরেছি।”

তিয়াশা উঠে দাঁড়ায়। রুমে গিয়ে ডায়েরিটাতে একটা চুমু দিয়ে সেটা আলমারির ভিতর আগের জায়গাতেই রেখে দেয় আবার।

ওয়াশরুমে গিয়ে মুখ ধুয়ে এসে শুয়ে পড়ে। এই রাতটা তার নির্ঘুমই কেটে যায়। পরেরদিন সকালে মিফতার ডাকে তার ঘুম ভাঙে। মিফতা তিয়াশাকে বেড থেকে টেনে তুলে করিডোরে নিয়ে যায়। তিয়াশা করিডোরে দাঁড়িয়ে নিচে তাকিয়ে দেখে নাহিন তার পরিবার নিয়ে বসে আছে। নাহিনের সাথে তার বাবা মা আরো দুইজন মানুষ। তাদেরকে তিয়াশা চিনে না।

তিয়াশা একবার নিচে তাকায় আবার মিফতার দিকে তাকায়। মিফতা হাবলার মতো তিয়াশার দিকে তাকিয়ে আছে। তা দেখে তিয়াশা ফিক করে হেসে দেয়। নাহিন কারো হাসির শব্দ শুনে উপরে তাকিয়ে কাউকে দেখতে পায় না। তিয়াশা আর মিফতা দৌঁড়ে রুমে চলে এসছে।

তিয়াশার চাচি রুমে আসে,,

তিয়াশাঃ চাচি নাহিনরা কেন এসেছে?

মায়াঃ মিফতাকে দেখতে এসেছে। সেদিন দেখেই নাকি মিফতাকে খুব ভালো লেগেছে তার। আগেও নাকি মিফতাকে দেখেছে। যেহেতু পরিবার নিয়ে এসেছে আমরা আর মানা করিনি। আমার তো বেশ লেগেছে তাকে। খুব ভালো ছেলে নাহিন। আমাদের সবার পছন্দ হয়েছে। এখন মিফতাকে ওদের পছন্দ হলেই আলহামদুলিল্লাহ। ওদের পরিবারটা অনেক ভালো। পরিবারের মানুষগুলোও খুব মিশুক। আমরা মনে করি মিফতা তাদের পরিবারে গেলে ও ভালো থাকবে।তুমি ফ্রেশ হয়ে রেডি হও আর মিফতাকে একটি শাড়ি পড়িয়ে রেডি করো। আমি দুইজনের ব্রেকফাস্ট রুমে পাঠিয়ে দিচ্ছি। তাড়াতাড়ি নিচে আসবে দুই বোন।

তিয়াশাঃ আচ্ছা। তুমি যাও।

তিয়াশার চাচি চলে যায়। তিয়াশা মিফতার দিকে তাকিয়ে একটা শয়তানি হাসি দেয়।

মিফতাঃ ঠিক করে হাসতে পারিস না?? এটা কেমন হাসি??

তিয়াশাঃ চুপ কর। গাধী। গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আসি। তুই তো আমার আগেই ফ্রেশ হয়ে গেছিস। উহুম উহুম। যা গিয়ে পিঙ্ক কালারের তাঁতের শাড়িটা বের করে পড় আর ড্রয়েরে কসমেটিকস আছে যা ইচ্ছে পড়। আমি ফ্রেশ হয়ে আসি। হিহি

তিয়াশা ফ্রেশ হতে চলে যায়। মিফতা গিয়ে শাড়ি বের করে সেটার সাথে জুয়েলারি বের করে। শাড়িটা পড়ে মিফতা একটু মেকআপ করতে বসে। তিয়াশা ফ্রেশ হয়ে বেড়িয়ে পুরোপুরি রেডি করে মিফতাকে আর তিয়াশা নিজেও রেডি হয়। তারপর সার্ভেন্ট এসে ব্রেকফাস্ট দিয়ে যায়। দুজনেই ব্রেকফাস্ট করে নিচে যায়। নিচে গিয়ে দেখে সবাই বসে খুব হাসাহাসিতে মেতেছে। সিফাত খান খুব খুশি। মিফতাকে নাহিনের পরিবারের সবারই পছন্দ হয়।

নাহিন এতক্ষণ নিচে তাকিয়ে ছিল। মায়ের কথায় সামনে তাকিয়ে দেখে একটি হুর বসে আছে। পিঙ্ক কালারের তাঁতের শাড়ি সাথে গলায় হার। হাতে চুড়ি। কানে ঝুমকো। চোখে কাজল আর ঠোঁটে লিপস্টিক লাল কালারের। এতেই মিফতাকে অসম্ভব সুন্দর লাগছে। নাহিন একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে মিফতার দিকে। মিফতার ভীষণ লজ্জা লাগছে।

তিয়াশা গিয়ে নাহিনের মায়ের পাশে বসে। উনি অনেকবছর পর তিয়াশাকে পেয়ে কান্না করে দেন। নিজের মেয়ের মতো দেখে তিয়াশাকে।

উনারা হালকা নাস্তা করে। তারপর আগামী সপ্তাহে বিয়ের তারিখ ঠিক করে। আরো কিছুক্ষণ বসে গল্প করে।

তিয়াশার কল আসে হসপিটাল থেকে তাই তিয়াশা সবাইকে বিদায় জানিয়ে চলে যায়। আর মিফতা রুমে গিয়ে ল্যাপটপ নিয়ে বসে মুভি দেখছে আর পপকর্ণ খাচ্ছে।

তিয়াশা হসপিটালে এসে নিজের কেবিনে ঢুকে দেখে….

চলবে…!!

[আগামীকাল গল্প না দেওয়ার জন্য দুঃখিত। ভুল-ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। ধন্যবাদ সবাইকে ]

ষষ্ঠ পর্বের লিংকঃ

https://www.facebook.com/groups/2401232686772136/permalink/2893421594219907/

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here