#যখন_সে_আসে
#অন্তিম_পর্ব
#শারমিন_আক্তার_বর্ষা
_________
মধ্যরাতে হঠাৎ এমন হচ্ছে আয়ান শূন্যে ভাসছে, ঘুমের ঘোরে স্বপ্নে দেখছে ভেবে তেমন তোয়াক্কা করেনি। কিন্তু তার এখন মনে হচ্ছে শূন্যে ভাসার সঙ্গে সে ঘুরছে৷ তার পাশে একটা ছায়ামূর্তি দাঁড়িয়ে শব্দ করে হাসছে। ভয় পেয়ে আয়ান চোখ খুলে দেয়। চোখ খুলে সে নিজেকে বিছানার উপরই পায়৷ তবে তার এখনও মনে হচ্ছে সে এতক্ষণ শূন্যে ছিল। ভয়ে গলা শুকিয়ে গেছে, কপালে ঘাম জড় হয়েছে। শুকনো এক ঢোক গিলে সেও ঘুমিয়ে যায়।
সকালে ঘুম থেকে উঠে খায়রুল বেগম অবাক হন তার ছেলে বাড়ির উঠানে শুয়ে আছে। তা দেখে সে চিৎকার দিয়ে আয়ানের কাছে আসে। আয়ানের মাথা নিজের কোলের উপর রাখলা, খায়রুল বেগমের চিৎকার শুনে আশেপাশে থেকে কিছু প্রতিবেশি ছুটে আসে। সব কিছুই তাদের উপর দিয়ে যাচ্ছে৷ সব কিছুই সবাই স্বাভাবিক ভাবেই নেয়। প্রতিবেশীরা আয়ানের মাকে বোঝান৷ রাতে বের হয়েছিল তৎপর এখানে পরে গেছে নয়তো ঘুমিয়ে পরেছিল। কথাটা মানতে চাইলেন না তিনি। প্রতি মাসেই তো তার ছেলে বাড়িতে আসে কিন্তু এমন তো কোনো বারও হয়নি। আয়ান বাড়ি আসছে আজ আজ দিন সম্পূর্ণ হলো। কিন্তু একটা দিনও তাকে স্বাভাবিক লাগেনি। উনার মনে খুদখুদ করছে যখন থেকে আয়ান আসছে সেদিন থেকেই তার প্রতি পরিবর্তন লক্ষ্য করেন কিন্তু তেমন গুরুত্ব দেয়নি।
(ওইদিন ফেরার পথে, ইমাম সাব যে পানির বোতল টা দিয়েছিল সেটা সেদিন ওই রাস্তায় হারিয়ে যায়। যার জন্য আয়ানের কাছে তারা আসতে পারছে।)
প্রতিদিন রাতে সে অনূভব করে কেউ তাকে তার আষ্টেপৃষ্টের সাথে জড়িয়ে ধরে ঠোঁট জোড়া দখল করে নিয়েছে। তাছাড়া রুমে অদৃশ্য কিছু আছে যার উপস্থিতি টের পায় আয়ান৷ রুমেই দাঁড়িয়ে আছে আর ঘুড়ে ঘুড়ে তাকে দেখছে।
হঠাৎ করে বুকের উপর থেকে ভাড়ি জিনিসটা সরে যায়। আয়ান তড়িঘড়ি করে উঠে বসে বুকের উপর একহাত রেখে মুখ ভাড়ি করে দীর্ঘ শ্বাস ফেলতে যাবে তখন সে দেখল, রুমের দরজার দিক থেকে কিছু একটা উড়ে তার দিকে আসছে। মুখটা খুবই বিচ ছিঁড়ি খুবই খারাপ দেখতে একটা চেহারা আয়ান রীতিমতো ভয় পেয়ে চুপসে যায়। উড়ন্ত জিনিসটা আয়ানের সামনে এসে কিছুটা দূরত্ব বজায় রেখে ভয়ংকর কন্ঠে বলল, ‘ আয়ান ‘
তার ডাকে আয়ানের হুশ ফিরে আসে, সে উত্তেজিত হয়ে জোরে চিৎকার দিয়ে বসে। সাথে সাথে বেহুশ হয়ে পরে, আজ রাতেও তার মা দুয়ারে বসে রাত পার করে দেয়৷ ছেলের চিৎকারে সে রুম থেকে উঠে আসে কিন্তু ছেলের পরবর্তী তে আর কোনো সাড়াশব্দ পায়নি৷ আজ আর রাতে সে ঘুমায়নি। কিন্তু ফজরের আজানের একটু আগ দিয়ে তার চোখ সে আর খুলে রাখতে পারছিল না। ঘুম পাচ্ছিল অতি তার। সে দরজার সাথে মাথা ঠেকিয়ে চোখ জোড়া বন্ধ করলেন।
ভোর তখন ৬টা বাজে, চোখ খুলে সামনে উঠানের দিকে তাকাতে খায়রুল বেগম আতঙ্কে চিৎকার দিয়ে উঠলেন। দুয়ার থেকে দৌঁড়ে উঠানে চলে আসে, ছেলে তার মাটিতে পরে আছে, তার থেকেও বড় কথা শরীরে আয়ানের শতশত ক্ষত, আজকেও খায়রুল বেগমের চিৎকার শুনে সবাই ঘুম থেকে উঠে ছুটে আসে। সবাই বিষ্ময়কর দৃষ্টি নিক্ষেপ করে একে অপরের দিকে চোখাচোখি করছে। আয়ানের পরিধানে শুধু একটা সাদা লুঙ্গি, ফর্সা গায়ে বড় বড় চোখের আঁচড় স্পষ্ট, প্রতিটা আঁচড় থেকে রক্ত জড়ছে কয়েক জায়গা তে বড় বড় দুইটা দাঁতের কামড় বসানো। গালে কপালে হাতে উন্মুক্ত বুকে পিঠে পায়ে শুধু নখের আঁচড়, সে যে মা ছেলেকে বুকের সাথে জড়িয়ে চিৎকার করে কাঁদতে লাগল, আশে পাশের সকলে হতভম্ব হয়ে তাকিয়ে আছে। আয়ানের কোনো হুশ নেই, তখন সেখানে উপস্থিত হলো এক মুরব্বি।
সে আয়ানের এই অবস্থা দেখে, প্রতিবেশিদের সকলকে বাড়ি থেকে চলে যেতে বলল। আর ফিরে জেনো এদিকে না আসে শাসিয়ে দিলো। উনি গ্রামের মুরব্বি সবাই তাকে শুদ্ধা ও সম্মান করে তার এক কোথায় সকলে চলে যায়। তিনি খায়রুল বেগমের মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বলে, ‘ তোর ছেলের উপর কারো নজর লেগেছে, সে তোর ছেলের ক্ষতি চাইছে। কি কি ঘটেছে এই পর্যন্ত সবটা আমাকে বল। ‘
খায়রুল বেগম যতটুকু জানতেন এবং আন্দাজ করে ছিলেন সবটা তাকে জানালো। সেও দীর্ঘক্ষণ চুপ থেকে বলল, ‘ আমার জানা মতে একজন ভালো কবিরাজ আছে সেখানে আমরা আয়ানকে নিয়ে যাবো। দেখিস আল্লাহর রহমতে তোর ছেলে সুস্থ হয়ে যাবে। ‘
খায়রুল বেগম কৃতজ্ঞতা জানাতে তার পা ধরে নিলেন। কাঁদতে কাঁদতে বললেন, ‘ আল্লাহর অসিস রহমত দাদা আপনি আজ আমার কুটিরের দিকে আসছেন। ‘
সে আর প্রত্যত্তর করল না, দুইজন শক্তি শালী চোয়াল শক্ত করা লোক সাথে নিয়ে নিলেন রওনা দিলেন পাঁচ জন।
মাঝপথে জঙ্গল পাড়ি দিয়ে যেতে হবে। হঠাৎ করেই গাছপালা উপড়ে পরছে। অতিরিক্ত বাতাস বইছে এক গাছ আরেক গাছের উপর গিয়ে পরছে কিছু গাছ গুঁড়া থেকে উঠে আপনা আপনি পরে যাচ্ছে। মুরব্বি সকলের উদ্দেশ্য বললেন, ‘ ভয় পেয়ো না কেউই সে আমাদের কিছুই করতে পারবে না তাই সে তার জেদ কমানোর জন্য গাছের সাথে যুদ্ধ করছে। তোমরা তোমাদের লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে চলো। আশপাশ থেকে যাইহোক না কেনো কেউ তাকাবে না লক্ষ্য স্থির রাখো। ‘
তার কথায় সকলে ভরসা পেলো৷ গাছ পালা গুলো জেনো আজ ছন্নছাড়া হয়েগেছে। মনে হচ্ছে এখনই জড় তুফান আসবে। বারবার কারো কন্ঠশ্বর তাদের কানে ভেসে আসছে, মাত্রারিতিক্ত রাগ ও ক্ষোভ নিয়ে গাছ ঘোরা থেকে তুলে মাটিতে আঁচড়ে ফেলছে। এদিকে চারজন নানান দোয়া পাঠ করছে। আয়ান সে এখনো বেহুশ। রাস্তায় তারা একবার কালো বিড়াল তো পেঁচা দেখতে পায়। মুরব্বি সে জানে এসবের থেকে বের হওয়ার উপায়। কারন সেও জুয়ান বয়সে একজন ভালো কবি-রা ছিল৷ কিন্তু এখন তার বয়স হয়েছে তাই সে এসব বাদ দিয়েছে।
অনেক ঝড় ঝাপটা পার করে তাদের গন্তব্যে পৌঁছালো। মুরব্বি নিজে কবিরাজের সাথে কথা বলল, সব কিছুই তাকে বলল, সে শুধু মুরব্বির জন্য রাজি হয়। আয়ানকে দেখে সে রীতিমতো চমকে উঠে, হাতে ছোট একটা কলস নিয়ে ডান হাতের তর্জনী তে পানি নেয়। মুখে বিড়বিড় করে পানিতে ফু দেয়। সব টা পানি আয়ানের উপর ছড়িয়ে ছিটিয়ে দেয়। মুহূর্তের মধ্যেই আয়ানের ফর্সা শরীরের চামড়া কুচকুচে কালো হয়ে যায়।
সে কিছুক্ষণ চোখ বন্ধ করে রাখে আবারও কিছু দোয়া পাঠ করে সেই একই ভাবে পানি আয়ানের উপরে ছিটিয়ে দেয়৷ এবার আয়ানের শরীর আরও আগের থেকেও অধিক ফর্সা হয়ে যায়। কবিরাজ গুরুগম্ভীর দৃষ্টিতে তাকিয়ে কর্কশস্বরে বললেন, ‘ ওর উপর দুইটা অদৃশ্য জিনিসের আবির্ভাব রয়েছে, একটা খুবই ভয়ানক ও খারাপ। সে প্রতিনিয়ত আয়ানকে মেরে ফেলার চেষ্টা করে চলেছে, আর এই সকল আঁচড়ের দাগ তারই দেওয়া। আর একজন আছে সে আমার মতে একজন পরী, আয়ান কে তার ভালো লেগেছে তাই সে আয়ানকে খারাপ জ্বীনের হাত থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে। সে প্রতিনিয়ত আয়ানকে তার থেকে রক্ষা করছে। ‘
খায়রুল বেগম মিনতি স্বরে বলল, ‘ আল্লাহ জেনো তার ভালা করে। ‘
কবিরাজ মুখে কৃত্রিম হাসি দিয়ে বলল, ‘ উঁহু! কোনো পরী বিনা কারণে কোনো মানুষ কে রক্ষা করে না তাও নিজের কথা না ভেবে। সে আপনার ছেলেকে রক্ষা করছে তার পেছনে একটাই কারণ, সেটা হচ্ছে, জ্বীনের হাত থেকে সে আপনার ছেলেকে রক্ষা করে তার সাথে পরী রাজ্যে নিয়ে যাবে। সেজন্যই সে আয়ানকে সবসময় সুরক্ষা দিচ্ছে। জ্বীন পুরুষ অধিক শক্তিশালি হওয়ায় পরী তার সাথে পেরে উঠে না, তার ফল স্বরুপ তার শরীরে এত ক্ষত। আপনাদের কথা অনুযায়ী রোজ রাতে তাকে বাড়ি থেকে বের করে নিয়ে যায়। যদি একবার নিতে পারতো তাহলে অবশ্যই মেরে ফেলতো শুধু পরীটার জন্য পারে নাই। ‘
খায়রুল বেগম কবিরাজের পায়ে ধরে কাঁদতে কাঁদতে বলে, তার একটাই ছেলে যে কোনো কিছুর বিনিময়ে সে তার ছেলেকে সুস্থ করতে চায়।
কবি রাজের প্রতিত্তোর শুনে বুক কেঁপে উঠে খায়রুল বেগমের সে ছেলের মুখ পানে তাকিয়ে রইল। চোখের কার্নিশ গড়িয়ে এক ফোঁটা জল গড়িয়ে পরল। ছেলেকে জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কেঁদে উঠেন তিনি।
(তারপরে কি ঘটেছিলো তা জানি না। কবিরাজ কি করেছিল তাও জানি না সবটাই অজ্ঞ)
সন্ধ্যার দিকে আয়ানের জ্ঞান ফিরে আসে। সে চোখ জোড়া মেলে নিজেকে তার রুমে আবিস্কার করে। বিছানায় উঠে বসতে তার মা পাশ থেকে কাঁদতে কাঁদতে ছেলেকে জড়িয়ে ধরে। আয়ান তার মাকে জড়িয়ে ধরে ইতস্ততভাবে বলে, ‘ মা আমার শরীরে এত যন্ত্রণা করছে কেন মা? ‘
সে প্রতিত্তোরে বলেছিল, ‘ আজকের পর থেকে আর করবে না বাবা৷ ‘
আয়ানকে সেদিন রাতে তার মা নিজে হাতে খাইয়ে দেয়। অর্ধেক রাত পর্যন্ত ছেলের মাথা কোলে নিয়ে মাথার চুলে সিতি কেটে দেয়। যখন আয়ান ৫/৬ বছরের ছিল তখন যেভাবে আদরে আহ্লাদে ঘুম পাড়িয়ে দিতো ঠিক সেভাবে তাকে ঘুম পাড়িয়ে দেয়। তৎপর সে নিজের রুমে চলে যায়।
________
ভোর সকালে ফজরের আজান পরে কিন্তু আজ খায়রুল বেগম আজ আর উঠেন না। সকাল আটটার দিকে আয়ানের ঘুম ভাঙে সে ঘুম থেকে আজ আগের মতো স্বাভাবিক ভাবেই জাগে। আজ ঘুমটাও শান্তি তে হয়েছে। মনের মধ্যে এক খুশির উচ্ছ্বাস। সে ঘুম থেকে উঠে রুমের বাহিরে যায়। বের হয়ে সবার আগে উঠান পার হয়ে তার মাকে খুঁজতে লাগে। উঠানের শেষ মাথায় মাটির রান্না ঘর সেখানে গিয়ে তার মার সন্ধান করেন। কিন্তু সেখানে তাকে পায়নি। তারপর তার চোখ যায় তার মার রুমের দিকে দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। প্রথমত আয়ান ভাবে, কাল রাতে অনেক রাত জেগে ছিল তাই হয়তো ঘুমাতে দেরি হয়েছে। সেজন্য সকালে উঠতে পারে নাই। আয়ান দৌঁড়ে গিয়ে তার মায়ের দরজায় কড়া নাড়ছে সাথে মা বলে ডাকছে,
আজ আয়ানের নিজেকে নিজের কাছে ফুড়ফুড়ে লাগছে না। মনে তার শান্তি লাগছে মনে হচ্ছে এতদিনে তার উপর থেকে একটা বড় পাথর সরে গেছে।
ভেতর থেকে কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে আয়ান কিছুটা চিন্তিত হয়ে পরল। ভাবলো, মা তার অসুস্থ হয়ে পরেছে। তাই আরও জোরে ডাকতে থাকে তবুও আয়ান কোনো সাড়াশব্দ পেলো না। তখন তার মনে ভয় ভড় করলো। বিচলিত হয়ে পরলো তার মন কারণ অজানা। মা মা বলে চিৎকার করে ডাকায় প্রতিবেশী’রা ছুটে আসে। সকলে একসাথে দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। খায়রুল বেগম মৃত পায় আয়ান। ‘ মা ‘ বলে এক চিৎকার দিয়ে নিস্তেজ দেহ টাকে জড়িয়ে ধরে। আয়ানের চিৎকারে মনে হলো বাড়ি খানা কেঁপে উঠল৷
সবশেষে খায়রুল বেগমের জানাজা শেষ করে কবরস্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। বাড়ির উঠানে বসে আয়ান নিস্তব্ধ হয়ে বসে রয়। মুরুব্বি আয়ানের পাশে মাটিতে বসে। কাঁধে হাত রেখে বলে, ‘ তোমাকে বাঁচানোর জন্য তোমার মায়ের গত হওয়া। ‘
এতক্ষণ শুষ্ক মাটির দিকে দৃষ্টি স্থির ছিলো তার। মুরব্বির কথা শুনে মাথা তুলে তার দিকে তাকিয়ে বলল, ‘ কি বললেন বুঝলাম না। ‘
মুরব্বি এক চাপা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল, ‘ তোমাকে কবিরাজের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। সে বলে তোমাকে বাঁচাতে হলে, জানের বদলে জান দিতে হবে। আর সেজন্যই, তোমার মা তোমার জান বাঁচানোর জন্য নিজের জান দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে। সে জ্বীন প্রথমে নাকচ করে পরবর্তী তে সে রাজি হয়ে যায়। তোমার মায়ের বদলে তোমাকে রক্ষা দিবে। সাথে তোমার উপরে যে পরীর নজর ছিল তাকেও সাথে নিয়ে যাবে। তাতেও সে রাজি হয়, আর কাল রাতেই সে তার কথা রক্ষা করে। তোমাকে চিরতরপ ছেড়ে দেয় তবে যাওয়ার আগে তোমার মাকে সাথে নিয়ে যায়। নিজেকে সংযত করো আর যদি পারো এই গ্রাম ছেড়ে চলে যাও। ‘
সেদিন মায়ের জন্য বাড়ির উঠানে গড়াগড়ি খেয়ে কেঁদেছিল, একজন মায়ের তার সন্তানের প্রতি নিঃস্বার্থ ভালোবাসা। নিজের জীবন দিয়ে সন্তানের জীবন বাঁচিয়ে গেছেন। মায়েদের ভালোবাসা এমনই হয় তার সন্তানের প্রতি তাই বলে কিন্তু পৃথিবীর সকল মা, মা নয়, সকল মেয়ে মা হয়ে উঠতে পারে না। পৃথিবীতে কিছু এমনও মেয়ে আছে যারা নিজেদের সুখের কথা চিন্তা করে নিজের সন্তান কে মেরে ফেলে আর নয়তো ফেলে দেয় কোনো নির্জন ময়লা জায়গাতে, তারা মা নয় তারা মা নামে কলঙ্ক।
আয়ান নিজেকে ধিক্কার জানায়। তার জন্য তার মা পৃথিবী ছেড়ে চলে যায়। ভাবতেই তার জীবন দিয়ে দিতে ইচ্ছে করে। তৎপর সে সেই গ্রাম ছেড়ে চিরতরে চলে যায়। যাওয়ার আগে গ্রামের বাড়ি জমি সব বিক্রি করে চলে যায়। যেখানে তার মা নেই সেখানে সে থাকতে পারবে না।
_________সমাপ্ত________