#যদি_দেখা_না_হতো Season_02,#পর্ব_০৫,০৬
#Writer_Tanisha_Esu
#পর্ব_০৫
★
ডাক্তারনিঃ আচ্ছা শুনেছি তুমি নাকি বই পড়তে খুব ভালোবাসো,,তাই তোমাকে আমি এখানে এনেছি,,আমিও খুব ভালোবাসি বই পড়তে
আজ তিনি আমাকে ফোন দিয়ে লাইব্রেরিতে ডাকেন।তার কথা শুনে আমি বেশ অবাক হলাম কারণ,,আব্বু আম্মু ছাড়া কেউ জানেনা আমি বই পড়তে ভালোবাসি।এভাবে আমার খুটিনাটি সব বিষয় আপু খেয়াল রাখেন,
,ইতিমধ্যে আমরা অনেক ক্লোজ হয়ে গেছি।কোথাও শপিং করতে গেলেও আমি আর আপু একসাথে যায় আবার ক্লাস শুরু করি বেশ স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে।এরই মধ্যে জানতে পারি আমার যে ফুপ্পা বিদেশ ছিলো তাকে কেউ খুন করেছেন,,খুন শব্দটা শুনতেই আমার শুভ্রের কথা মনে পরে গেলো,,সব শুকানো ঘা আমার টকটকে হয়ে গেলো আর আপুর চেষ্টা সব পানি হতে লাগলো
আমাকে আব্বু আম্মু কিছুতেই আর দাদুবাড়িতে নিয়ে গেলো না সম্পূর্ণ দায়িত্ব দিয়ে গেলো আপুর উপর।আপু আমাকে আবার নানান ভঙ্গিতে ঠিক করতে লাগলো।
সকালে,,
ডাক্তারনিঃ তানিশা রেডি হয়ছিস তুই
তানিশাঃ হুম,,আচ্ছা কই যাচ্ছি আমরা?
ডাক্তারনিঃ আমার ভাইকে পিকআপ করতে।
আমি আর আপু চলে আসলাম এয়ারপোর্টে,,, এসে দেখি আপুর ভাই আগেই ওয়েট করছে।
ডাক্তারনিঃ সরি সরি সরি,,কাব্য লেট হয়ে গেছে আসলে লেট তো তাই
কাব্যঃ থাক আর এক্সকিউজ দিতে হবেনা(অভিমানী সুরে)
ডাক্তারনিঃ সরি বাবা, তোর সব পছন্দের রান্না আমি করে খাওয়াবো আর অভিমান করিসনা
কাব্যঃ ওকে এবার চলো
আমরা চলে আসলাম,,, এতোটুকু বুঝলাম তার নাম কাব্য আর সে আমেরিকায় ছিলেন।দেখতে অনেক সুন্দর,, যেমন লম্বা ঠিক সেইরকম ফর্সা।
কাব্যঃ বাই দা ওয়ে,,আপু এই মেয়েটা কে??
ডাক্তারনিঃ ও আমার আরেক বোন,,পরিচয় হো ওর নাম তানিশা,,,,,,তানিশা এ আমার একমাত্র সম্ভল আমার ভাই কাব্য
তানিশাঃ নাইস টু মিট ইউ ভাইয়া
কাব্যঃ হুয়াট ,, আমি অনলি আপুর ভাইয়া অন্য কারোর নাহহ ওকে।
তানিশাঃ কি আজব লোকরে বাবা,,ভাইয়াও বলা পাপ নাকি(মনে মনে)
বাড়িতে পৌছে,,,
সবাই সবার মতো রেষ্টে চলে গেলেন,,আর আমি বেলকনিতে বসে আজব ভাবনার মধ্যে চলে আসলাম।
অন্যদিকে,,,
ডাক্তারনিঃ আরে কাব্য রাগ করিসনা,,ভাইয়া ই তো বলছে ও তো জানেনা আমি কেন তোকে এখানে এনেছি
কাব্যঃ হুম তাও কেন ভাইয়া বলল,,আমি ওর ভাইয়া লাগি।আচ্ছা ও এতো কিউট কেন গো,,,
ডাক্তারনিঃ আমি এতোদিন পর তোর জন্য উপযুক্ত একটা মেয়ে পেয়েছি,,হয়তো ওর একটা পাস্ট আছে কিন্তু ওর লাইফে একজনকে খুব দরকার।
কাব্যঃ কিন্তু ও কি মানবে??
ডাক্তারনিঃ মানবে না মানাতে হবে,,তোর সেই ভালোবাসা ওকে দিতে হবে যেটা একজন মেয়ে স্বপ্ন দেখে।
কাব্যঃ আমি পারবতো আপু
ডাক্তারনিঃ হুম অবশ্যয় পারবি,,আমি তানিশার মা-বাবার সাথেও কথা বলে রেখেছি,,তারাও চায় তানিশা ঠিক হয়ে যাক।
রাতে,,,
ছাদের দোলনায় বসে আকাশের তারা দেখছে তানিশা।গায়ে চাদর বেনুনী করা চুল সামনে রেখে আছে চোখের চাহনি আকাশের দিকে
তানিশাঃ আচ্ছা মানুষ মারা গেলে নাকি আকাশের তারা হয়ে যায়,,তাহলে তুমিও কি ওই ওখানে আছো শুভ্র,,,, এক মাস তিন সপ্তাহে বিবাহের ইতি এ কেমন বিচার করলো আমার সাথে (মনে মনে)
কাব্যঃ আপনি এতো রাতে এখানে ঠান্ডা লাগছেনা
কারোর কথা শুনে তানিশা কিছুটা ভয় পায়,,পিছে তাকিয়ে দেখে ডাক্তারনির ভাইয়া।
তানিশাঃ কিছুই হবেনা আমার,,আমার কথা বাদ দিন আপনি এখানে কেনো
কাব্যঃ এমনিই (মুচকি হেসে) আচ্ছা আপনার সম্পর্কে অনেক শুনেছি
তানিশাঃ কি শুনেছেন
কাব্যঃ আপনার পাস্ট সম্পর্কে,, তো নিউ লাইফ শুরু করতে ইচ্ছে করে না
তানিশাঃ নিউ লাইফেই তো আছি,,
কাব্যঃ মানে তোমার লাইফে নতুন কেউ আসার অধিকার নাই
তানিশাঃ যে আসবে সে শত বাধার পরও আসবে,,ইচ্ছে না থাকা সত্ত্বেও,, তাকে আমি আটকাতে পারবোনা
এই বলে তানিশা নিচে চলে আসলো আর কাব্য মন খারাপ করে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকলো।তানিশার সম্পর্কে সব জানে তবুও যেন তানিশাকে ভালোবেসে ফেলেছে।যেতই হোক ছোটবেলার ক্রাস বলে কথা,,বিচ্ছেদ হলো শুধু কাব্যের আম্মু মারা যাওয়ার জন্য,জোর করে বিদেশ পাঠিয়ে দিলো।
বেশ কিছুদিন পর,,
হঠাৎ তানিশা খুব অসুস্থ হয়ে পরলো,,অতিরিক্ত ঘুমের মেডিসিন আর অনিয়মের জন্য তানিশা এতো অসুস্থ হলো।সেলাইন চলছে এখন,,, এখন থেকে তানিশার সব দায়িত্ব নিলো কাব্য।
কাব্যঃ তানিশা,,এই তানিশা
তানিশা চোখ খুলে দেখে হাতে খাবার নিয়ে দাড়িয়ে আছে কাব্য,,ইচ্ছে না থাকা সত্ত্বেও উঠে বসলো।
তানিশাঃ কিছু বলবেন
কাব্যঃ কিছু বলবেন মানে,,এগুলো এখন তুমি খাবে
তানিশাঃ এতো খাবার কেন
কাব্যঃ এতোই খেতে হবে,,শরীরের হাড্ডি তো সব বের হয়ে গেছে।নিজেকে আয়নার দেখেছো,,এবার হা করো
তানিশাঃ আমি খাবো,,,,
কিছু বলার আগেই এক লোকমা তানিশার মুখের দিয়ে দিছে।তানিশা কাব্যের দিকে তাকিয়েই মুখ নাড়াতে থাকলো।
খাওয়া শেষে মেডিসিন খেয়ে তানিশা শুয়ে পরলো,,,আর কাব্য রুম থেকে চলে আসলো।
কাব্যঃ তোমাকে আমি স্বাভাবিক ও সুস্থ করবোই,,যে করেই হোক না কেন,,,অনেক ভালোবাসি তানিশা।
এই কয়েকটা দিনে তানিশা কাব্যের কথা শুনতে বাধ্য হয়েছে,,আর জেদ খাটালেই ধমক দেয়,,সেটার ভয়ে তানিশা সব কথা শুনে। সুস্থ ও হয়ে উঠেছে….
তানিশার আব্বু আম্মু নিতে এসেছে কিন্তু ডাক্তারনি যেতে দিলো না।আজ ঘুরতে যাবে,,তানিশা না না করলেও কাব্য জোর করেই নিয়ে আসলো।
একটু গ্রাম সাইডে আসলো কারণ তানিশা গ্রামের পরিবেশ পছন্দ করে।চারিদেকের সুন্দর্য আজ বেশিই সুন্দর লাগছে কাব্যের কাছে শুধু মাএ তানিশার জন্য।তানিশাও অনেকদিন পর হাসি মুখটাকে দেখা যাচ্ছে
ডাক্তারনিঃ কি বলো কাব্য তানিশা নৌকায় ভ্রমণ করা যাক
তানিশাঃ হুম অবশ্যয়,,আপনার ভাই না গেলেও আমি যাব
কাব্যঃ কেনো মনে হলো আমি যাব না
তানিশাঃ আপনি কি আমার সাথে ঝগড়া করতে চান
কাব্য তানিশার নিউ রূপ দেখে কিছুটা অবাক।তানিশার এমন কথা শুনে ডাক্তারনি হাসছে
কাব্যঃ তুমি আবার ঝগড়াও করতে পারো
তানিশাঃ হুম,,আসেন শুরু করি
ডাক্তারনিঃ এই তোরা ঝগড়া করা বন্ধ কর,,চল তাড়াতাড়ি
তানিশাঃ ওকে।
তারপর আমরা নদীর কাছে গিয়ে নৌকায় উঠলাম,,,তিনজনে মিলে সুন্দর্যের এক চরম পর্যায়ে হারিয়ে গেছি।কাব্য শুধু তানিশাকে দেখছে,,আর তানিশা নৌকার কিনারায় গিয়ে টাইটানিক মুভির মতো দুহাত দুপাশে দিয়ে চোখ বন্ধ আছে কিন্তু কোন কিছুর কমতি আছে তা হলো নায়ক,,এটা মনে করতেই মুচকি মুচকি হাসতে থাকে
ডাক্তারনিঃ কি হলো হাসিস কেন(ফিস ফিস করে) তানিশাকে খুব দেখা হচ্ছে তাইনা
কাব্য এবার লজ্জা পেয়ে গেলো,,,আর তার বোন তাকে নানা কথায় লজ্জা দিচ্ছে।।
অনেকক্ষণ ঘুরাঘুরির পর,,রাতে বাড়িতে ফিরছে।কাব্য ড্রাইভ করছে আর পেছনে তানিশা আর ডাক্তরনি বসে আছে
কাব্যঃ তো আজকের দিন কেমন কাটলো মিস, তানিশা
তানিশাঃ ভালো না না খুবই ভালো(মুচকি হেসে)
বাড়িতে পৌছে,,
তিনজনই ক্লান্ত,, ডাক্তারনি তো ঘুমিয়ে গেলো,,কিন্তু কাব্য জোর করে তানিশাকে খাইয়ে মেডিসিন খাইয়ে ঘুমাতে বলল।তানিশা যেহেতু ক্লান্ত আর অসুস্থ ছিলো তাই আজ খুব তারাতারি ঘুমিয়ে পরলো।কাব্যও নিজের রুমে গিয়ে ঘুমিয়ে পরলো
”
”
”
চলবে…
#যদি_দেখা_না_হতো
#পর্ব_০৬ (#Season_02)
#Writer_Tanisha_Esu
তানিশাঃ মেহেন্তা আপু তুমি এখানে আর তোমার এই অবস্থা কেনো??
মেহেন্তাঃ আমাকে বাঁচা তানিশা ওও আমাকে মেরে ফেলবে
তানিশাঃ ও কে??
মেহেন্তাঃ শুভ্র
তানিশাঃ কিহহহ,, শুভ্র আমার হাজবেন্ড ভদ্র ভাবে কথা বলো
মেহেন্তাঃ তোর হাজবেন্ড মানে?? ও একটা খারাপ লোক,,
তানিশাঃ সেদিন তুমি পালিয়ে যাওয়ার পর,,শুভ্র আমাকে বিয়ে করেছে
মেহেন্তাঃ এসব কি বলছিস তানিশা,,ওইদিন আমি পালিয়ে যাইনি আমাকে কিডনাপ করা হয়ছে।আর কিডনাপ করেছে ওই শুভ্র
তানিশাঃ নিশ্চুপ
মেহেন্তাঃ আমি প্রেগনেন্ট তানিশা,,,আর আমার সন্তানের বাবা শুভ্র
কথাটা শোনা মাএই তানিশার মাথা ঘুরতে লাগলো,,তার জমে থাকা ভালোবাসাও আজ প্রশ্ন করছে এগুলো সে কি শুনছে।
মেহেন্তাঃ তানিশা তুই ঠিক আছিস তো
তানিশাঃ শুভ্র মারা গেছে আপু,,,আমি তার ওয়াইফ।ও তোমার সাথে এগুলো করতে পারেনা কারণ ও আমাকে ভালোবাসে,,তুই ওর নামে মিথ্যা বলছিস
মেহেন্তাঃ একটা কথা কি জানিস,,একটা নারী অসহায় হলে কখনো তাকে সাহায্য করেনা
এই বলে মেহেন্তা আপু চলে গেলো আর আমি তার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থাকলাম।
তানিশাঃ আমি জানি তুই মিথ্যা কথা বলছিস ও ওমন করতে পারেনা(মনে মনে)
আমি নিজের বাসায় চলে আসলাম কিন্তু কিছুতেই মেহেন্তা আপুর কথা ভুলতে পারছিনা।দরজা বন্ধ করে ভাবতে থাকলো তানিশা।
তানিশাঃ শুভ্র যদি মেহেন্তা আপুর সাথে ওইসব করবে তাহলে বিয়েতে কিডনাপ করে আমাকে বিয়ে করার কি দরকার।মেহেন্তা আপুকে বিয়ে করে তো সুখে সংসার করতে পারতো।নাহহ কিছু তো গোলমাল আছেই,,,উফফ কিছুই ভাবতে পারছিনা(মনে মনে)
এমন সময় তানিশার আম্মু দরজা নক করতে লাগলো।তানিশা একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে দরজা খুলে ফেললো।
তানিশাঃ কিছু বলবা
তানিশা আম্মুঃ তোর সাথে আমার কিছু দরকার ছিলো
এই বলে আম্মু আর আমি বেডে বসলাম।আম্মু আমার দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে বলা শুরু করতে লাগলো
তানিশার আম্মুঃ এইভাবে তো জীবন চলেনা তানিশা।তোর তাজবিহা আপুর ভাই কাব্য,, ছেলেটা অনেক ভালো।কাব্য বিয়ের প্রস্তাব দিছে।আমি চায় তুই ঠান্ডা মাথায় ভেবে একটা সিন্ধ্যান্ত আমাকে বল
তানিশা কিছুক্ষণ চুপ থাকলো,,কি বলবে ভেবে পাচ্ছেনা।
তানিশাঃ আমাকে সময় দাও
তানিশার আম্মুঃ আচ্ছা,,, তুই ভাব আমি তোর আব্বুর সাথে কথা বলে দেখি
এই বলে আম্মু চলে গেলো আর আমি যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছি।
তানিশাঃ কতোটা সহজ তাইনা একজনকে ভুলে আরেকজনের সাথে সম্পর্কে জড়ানো,,
তানিশা চিন্তায় চিন্তায় মুখ চোখ শুকিয়ে গেছে,,,বারেবার একটা কথায় মাথায় আসছে ” আমি প্রেগনেন্ট,,আর তার বাবা শুভ্র””
কিছুতেই হিসেব মিলাতে পারছেনা,,
আমরা যাকে ভালোবাসি তার হাজার অপরাধ ও ক্ষমা করতে পারি তারপরও ভালোবেসেই যায়।আবার,,প্রথম তার ভুলগুলো বিশ্বাস করতে খুব কষ্ট হয় মনে হয় যেন বিষ পান করছি শরীরের ভেতরে জ্বলছে তবুও মরছিনা
রাতে,,,
শীতকালে শহরের মানুষেরা ভীড় থাকবেই,,,যেখানে গ্রামে রাত দশ’টা মানে অনেক রাত।ফোন বাজতে লাগলো অনেক দিন পর ফোনের রিংটন শুনতে পারলাম,, আগে তো দিনে দু-তিনবারও শুনেছি।
এসব ভাবনায় ফোন কেটে আবার ফোন আসলো বুঝলাম কোম্পানি দি নাই,,, বেলকনি থেকে নিজের রুমে গিয়ে ফোনেটা ধরলাম।স্কিনে কাব্য নামটা ভেসে উঠলো।রিসিভ করলাম
তানিশাঃ আসসালামু আলাইকুম
কাব্যঃ ওয়ালাইকুম আসসালাম,,কেমন আছো
তানিশাঃ আলহামদুলিল্লাহ আপনি
কাব্যঃ ভালোই,,,
তানিশাঃ কিছু বলবেন
কাব্যঃ আন্টি কি কিছু বলেছে তোমাকে??
তানিশাঃ জ্বী
কাব্যঃ কাল দেখা করতে পারবা
তানিশাঃ কিন্তু কেনো
কাব্যঃ প্লিজ দেখা করো,, কিছু কথা আছে যা ফোনে বলা সম্ভব না
তানিশাঃ ভার্সিটি ছুটির পর,, ওকে
কাব্যঃ আচ্ছা
তানিশাঃ আল্লাহ হাফেজ
এই বলে তানিশা ফোন কেটে দিলো,,আবার আজব আজব চিন্তা করতে করতে ঘুমাই গেলো
অন্যদিকে,,
কাব্যঃ কালই আমি আমার মনের কথা বলবো তোমাকে,,,আমি তোমাকে নিজের করে নিবোই তানিশা(মনে মনে খুশি হয়ে)
সকালে,,
এই ভার্সিটিতে এসে আরও কয়েকজন আমার বেষ্টফ্রেন্ড হয়ে গেছে যার মধ্যে সবচেয়ে ক্লোজ দুইজন তিথি,,তনিমা দুইবোন,,, তারাও এতো ক্লোজ যে মনে হয় টুইস
তিথীঃ তানিশা তোর চোখমুখ শুকনো লাগছে কেনো
তানিশাঃ আসলে কাল রাতে ঘুম হয়নি তাই
তিথীঃ ওও
তনিমাঃ চল বাসায় যাবো,
তিথীঃ হুম চল,,,
তানিশাঃ তোরা যা আমার একজন আসবে পরে যাবো
তিথীঃ আচ্ছা বাই,,বাড়িতে গিয়ে কল দিস
তানিশাঃ আচ্ছা
তিথী তনিমা চলে গেলো,,ভার্সিটির গেটের কাছে যেতেই কাব্যকে দেখলাম দাড়িয়ে আছে।
কাব্যঃ তো কই যাবা বলো
তানিশাঃ মার্কেটে
কাব্যঃ ওকে চলো
কাব্য আর আমি মার্কেটে যেতে লাগলাম এখান থেকে জাস্ট কিছুদূর।
কথা বলতে বলতে হাফ পথ চলে আসলাম হঠাৎ কেউ যেন আমাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো…….
”
”
”
”
”
”
”
”
”
চলবে….