#যদি_দেখা_না_হতো Season_02,পর্ব_১৪,১৫
#Writer_Tanisha_Esu
পর্ব_১৪
★
শুভ্র বাড়ি ফিরে এসে দেখে তানিশার ফ্লোরের উপর বসে আছে।
শুভ্রঃ পেপারে সাইন করেছো
তানিশাঃ আমার দোষটা কি সেটা বলেন আগে তারপর আমি সাইন করে দিবো
শুভ্রঃ আমি একজন কে ভালোবাসি
তানিশাঃ তাহলে আগে বা এখন য আমার প্রতি যে ভালোবাসা ছিলো সেগুলো নকল??
শুভ্রঃ তুমি যা ভাববে বাট আমি আর দুই নৌকায় পা দিয়ে চলতে পারবো না
তানিশা পেপারে সাইন করে শুভ্রের হাতে দিয়ে দিলো,,,
তানিশাঃ এই নিন আপনার পেপার,,, এবার হয়তো আপনি আপনার ভালোবাসার মানুষটিকে বিয়ে করতে পারবেন
শুভ্রঃ তো কোথায় যাবে তুমি
তানিশাঃ যেদিকে দুই চোখ যাই
শুভ্রঃ এখানেই থেকে যাও,,,আমি তোমার কাজে কখনোই বাধা দিবোনা
তানিশাঃ তা আর সম্ভব না,,আর আপনি কিছু টাকা দিয়েছিলেন মনে আছে নিশ্চয়,,সেগুলো আজ রাখলাম সময় মতো ফিরিয়ে দিবো
তানিশা ব্যাগটা নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেলো,,শুভ্রের অনেক টেনশন হচ্ছে তানিশার জন্য,কোথাই যাবে ও এখন।
শুভ্রঃ আমারকে ক্ষমা করে দিও তানিশা এছাড়া আমার কোন উপায় ছিলো না
Flashback……..
শুভ্র সেই ঠিকানায় চলে এসে সামনে একটা বাড়ি দেখতে পেলো,,,ফোনে ম্যাসেজ আসলো বাড়ির মধ্যে চলে আসেন।বাড়ির ভেতরে গিয়ে,, শুভ্র আশেপাশে তাকিয়ে যাকে দেখলো তা দেখার জন্য প্রস্তুত ছিলো না।।।
সাবরিনাঃ চলে এসেছেন তাহলে
শুভ্রঃ আপনি এখানে তার মানে আপনি??
সাবরিনাঃ হ্যাঁ আমিই,,এগুলো করতাম না যদি তুমি রেষ্টুরেন্ট আমার কথায় রাজি হয়ে যেতে
শুভ্রঃ তা কখনোই সম্ভব নয়,,আর তানিশা কোথায়??
সাবরিনাঃ এই রিয়ন পর্দাটা সরা
রিয়ন নামের ছেলেটি পর্দা সরিয়ে দেয়,,তানিশা একটা চেয়ারে বাধা আছে আর আরেকটা ছেলে তানিশার মাথায় বন্দুক ধরে আছে,,,
শুভ্রঃ তানিশাআআআ
সাবরিনাঃ এই এই আগাবে না,,নাহলে গুলিটা তানিশা মাথা ছেদ করবে
শুভ্রঃ আপনি কি চান??
সাবরিনাঃ তানিশাকে ডিভোর্স দিয়ে আমাকে বিয়ে করতে হবে??
শুভ্রঃ তাহলে তানিশাকে ছেড়ে দিবেন তো
সাবরিনাঃ হ্যাঁ
শুভ্রঃ আমি রাজি
সাবরিনাঃ এভাবে হবেনা মি. শুভ্র,,এই কন্টাক্ট পেপারে সাইন করতে হবে
শুভ্রঃ কি আছে এই পেপারে
সাবরিনাঃ এই পেপারে লিখা আছে আপনি স্ব-ইচ্ছায় তানিশাকে ডিভোর্স দিয়ে আমাকে বিয়ে করবেন,, আর যদি না করেন তাহলে আমি তানিশাকে মেরে ফেলবো আর যদি নাও সাইন করতে রাজি হন তবুও তানিশা মরবো
শুভ্রের মাথায় আর কোন কাজ করছেনা,,,কি করবে বুঝতে পারছেনা।লক্ষ্য একটাই তা হলো তানিশাকে বাঁচানো,,তাই বেশি কিছু ভাবলো না শুভ্র
শুভ্রঃ এই পেপারে সাইন করতে আমি রাজি বাট আমারও কিছু সর্ত আছে
সাবরিনাঃ আমি সব সর্ত মানতে রাজি
শুভ্রঃ ফাইন,,,আমার আর তানিশার ডিভোর্স এর ব্যাপার আমাদের পরিবার,প্রতিবেশি জানবে না আর ডিভোর্সের পর দুই বছরের জন্য আমাকে সময় দিতে হবে
সাবরিনাঃ আমিও রাজি
শুভ্রঃ কন্টাক্ট পেপারে আগে আপনি সাইন করবেন দেন আমি
শুভ্রের কথা অনুযায়ী আরেকটা কন্টাক্ট পেপার তৈরি করা হলো সেখানে সাবরিনা সাইন করলো,,তারপর শুভ্র সাবরিনার দেওয়া পেপারে সাইন করলো,,,সাবরিনার দেওয়া ডিভোর্স পেপার ও তানিশাকে নিয়ে বাড়ি চলে আসলো তারপর বাকি কাহিনী ঘটতে লাগলো,,
অন্যদিকে,,,
আয়ুশিঃ তুই চলে এসেছিস তানিশা
তানিশাঃ হুম,
আয়ুশিঃ আমরা কাল এখান থেকে অনেক দূরে চলে যাব
তানিশাঃ হুম,,,
আয়ুশিঃ আগে ফ্রেস হয়ে নে
তানিশা আয়ুশির কথা মতো ফ্রেস হতে গেলো,,
তানিশা আয়ুশিকে সব বলে,,আয়ুশি নিজের কাছে আসতে বলে,,, আয়ুশি এখান থেকে অনেক দূরে চলে আসার প্লান করে কারণ আকাশ,,,আকাশকে খুব ভালোবাসতো এমনকি বিয়ের কথাও হয়ে গেছিলো কিন্তু আকাশ অন্য মেয়ের সাথে সম্পর্ক থাকায় আয়ুশি সিন্ধ্যান্ত নেয় চলে যাবে অনেক দূরে,, তানিশার জন্য সঙ্গি পেয়ে গেলো।
তানিশা ফ্রেস হয়ে নিচে চলে আসে,,আয়ুশি টেবিলে খাবার রাখছে।
আয়ুশিঃ খেয়ে নে তানিশা
তানিশাঃ আমার খিদা নেই
আয়ুশিঃ খিদা নেই বললে হবেনা তানিশা,, তোর মধ্যে একটা অস্তিত্ব বড় হয়ে উঠছে,,সে তো কোন অপরাধ করেনি।এখন সব চিন্তা বাদ দিয়ে নিজেকে শক্ত কর শুধু তোর বেবিটার জন্য
তানিশা আয়ুশিকে জড়িয়ে কাঁদতে লাগলো, আর আয়ুশি তানিশা আয়ুশিকে শান্তনা দিয়েই যাচ্ছে। কিন্তু এদিকে আয়ুশির ও খুব কষ্ট হচ্ছে। আয়ুশি বুঝিয়ে তানিশাকে খাইয়ে ঘুম পারিয়ে দিলো।তারপর বেলকনিতে দাড়িয়ে ভাবতে লাগলো,,,
আয়ুশিঃ এ কেমন বিচার তোমার,,আমার কথা না হয় বাদ ই দিলাম তানিশার সংসার শেষ হয়ে গেলো,,শুভ্র ভাইয়া এমন কেনো করলো??(আকাশের দিকে তাকিয়ে)
তার পরের দিন তানিশা আর আয়ুশি কাউকে কিছু না জানিয়ে চলে আসলো নতুন পরিবেশ নতুন শহর।যেখানে পরিচিত কেউ নেই,,,ফ্লাট ভাড়া নিয়ে বাস করতে লাগলো।
”
”
”
”
”
”
”
”
পাঁচ মাস পর,,,,,
তানিশা এখন সাত মাসের গর্ভবতী,,,কিছুদিন আগেও একটা জব করতো আয়ুশির বকার কারণে বাদ দিয়ে আপাতত রেষ্টে আছে।শুভ্রের সাথে কোন রকম যোগাযোগ করেনি তানিশা।
আয়ুশিও এখন জব করে,,আর ওর জীবনেও একজন মনের মতো মানুষ এসেছে যে শুধু আয়ুশিকেই ভালোবাসে।তার নাম আদি,,আদিও তানিশাকে অনেক সম্মান করে।
আয়ুশিঃ তানিশা তোর না আজ চেকআপ আছে,,চল আমিও যাব
তানিশাঃ নো তুই যাবি আদি ভাইয়ার সাথে,,
আয়ুশিঃ কিন্তু
তানিশাঃ তুই যাবি মানে যাবি।আচ্ছা আমি এখন আসি
এই বলে তানিশা বেড়িয়ে পরলো,,,হাসপাতালে এসে সিরিয়াল নিয়ে বসে আছে আর একটা বই পড়ছে।
অন্যদিকে,,,
শুভ্রঃ আন্টি আপনি চিন্তা করবেননা,,আপনার ছেলের কিছু হবেনা, আমি আছি তো
শুভ্রের বন্ধু এক্সিডেন্ট করে হাসপাতালে ভর্তি হয়ছে।তার আম্মুকে বুঝাতে বুঝাতে হঠাৎ তানিশার উপর নজর পরলো,,,
শুভ্রঃ তানিশাআআ(অবাক হয়ে)
”
”
”
চলবে….
#যদি_দেখা_না_হতো
#পর্ব_১৫ (#Season_02)
#Writer_Tanisha_Esu
শুভ্রঃ তানিশাআআ (অবাক হয়ে) কতো খুঁজেছি তোমাকে,,কিন্তু কোথাও পায়নি আর আমার দেওয়া ফোনটাও নিয়ে যাওনি যে যোগাযোগ করবো,,,আমার যে কোন অন্যায় ছিলোনা সেটাও তোমাকে বলতে পারিনি(মনে মনে)
শুভ্র যেই যেতে গেলো তখনি তানিশার ডাক পরলো,,তানিশা ডাক্তারের চেম্বারে চলে গেলেন।
ডাক্তার আল্টাসনো করে বললেন,,আপনার ছেলে বেবি হবে,,
তানিশাঃ আমার ছেলে হবে কিনা মেয়ে সেটা জানতে চায়না,,আমার বেবি হেলদি আছে তো আর পজিশন কেমন
ডাক্তারঃ হুম বেবির ওয়েট ঠিক আছে আর পজিশন নরমাল,,,আর একমাস পরেই আপনার সন্তান আপনার কোলে থাকবে
তানিশাঃ থ্যাংকিউ ডাক্তার(খুশি হয়ে)
ডাক্তারঃ ওয়েলকাম,, মিসেস তানিশা
মিসেস শুনেই কেমন জানি বুকের মাঝে চিন করে উঠলো,, সেদিকে পাত্তা না দিয়ে তানিশা ঠিকঠাক করে বাইরে চলে আসলো,,আর পেটে হাত দিয়ে বলতে থাকলো,,
তানিশাঃ কি রে দুষ্টু,, আর কয়েকদিন পরেই তো আমার কোলে আসবি,,,খুব ক্লান্ত হয়ে গেছিস তাইনা আর একমাস ওয়েট কর,,তারপরেই তুই এই পৃথিবীর আলো দেখতে পারবি
শুভ্রঃ তানিশা (পেছন থেকে)
তানিশার কাছে কন্ঠটা পরিচিত লাগলো তাই পেছনে তাকিয়ে একটা বড় শকড খেলো,,,চোখ বড় বড় করে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে শুভ্রের দিকে,,,
শুভ্রঃ কোনো খোজ নেই তোমার,,,কতো খুঁজেছি জানো,,মোবাইলটাও তো নেওনি
তানিশাঃ নিশ্চুপ
শুভ্রঃ কি হলো কিছু বলছোনা কেনো,,
যেই তানিশাকে ছুতে যাবে তখনি তানিশা সামনে হাত দিয়ে বুঝিয়ে দিলো আমাকে ছুবেননা।শুভ্র কিছুটা দূরে সরে যায়,,
শুভ্রঃ তুমি কি নতুন জীবন শুরু করেছো(পেটের দিকে তাকিয়ে)
তানিশাঃ আপনিও তো নতুন জীবন শুরু করেছেন তাই আমি কেনো বাদ থাকবো
শুভ্রঃ শোনওও,,,,
শুভ্র যেই কিছু বলতে যাবে তখনি আদি চলে আসলো,,আদি তানিশা থেকে বড় ছিলো তাই নাম ধরেই ডাকতো,,,,
আদিঃ তানিশা ডাক্তার দেখানো হয়ছে
তানিশাঃ হুম
আদিঃ চলো তাহলে
তানিশা আর একবারও শুভ্রের দিকে তাকালো না আদির সাথে গাড়িতে উঠে পরলো,,,
শুভ্রঃ তুমি অনেক বদলে গেছো,,নতুন জীবন আবার এখন তুমি অন্যের বাচ্চার মা,, এখন আমাকেও পাল্টাতে হবে,,ভুলে যাব এখন থেকে, সব আশা নষ্ট হয়ে গেলো,,তাতে তোমার কোন দোষ নেই হয়তো অন্য কাউকে বিয়ে করতে তুমি বাধ্য(মনে মনে দীর্ঘশ্বাস ফেলে)
অন্যদিকে,,
আদিঃ তানিশা ওই লোকটা কে ছিলো??
তানিশাঃ শুভ্র
আদি ব্রেক করে তানিশার দিকে তাকালো,,,,
আদিঃ তুমি ওকে আটকালে না কেনো
তানিশাঃ সে নতুন জীবন শুরু করেছে,,আর সে ভেবেছে আমার বাচ্চাটা অন্য কারোর আমিও আর এই ভুল ভাঙ্গাতে চাইনা
আদিঃ কিন্তু তানিশা,, তুমি কিভাবে বাঁচবে কিভাবে কাটাবে জীবন
তানিশাঃ সিঙ্গেল মার্দার হিসেবে
আদি আর কিছু বললো না গাড়ি স্টার্ট দিয়ে বাড়িতে চলে আসলো,,,আয়ুশি কখন থেকে তানিশার জন্য অপেক্ষা করছে,,,
আয়ুশিঃ বেবি ঠিক আছে তো তানিশা
তানিশাঃ হুম,,,তো তোরা বিয়ে করছিস কবে??
আয়ুশিঃ আদি যখন চাই
আদিঃ আমার একটু সময় লাগবে
তানিশাঃ হারিয়ে ফেলার পরে আপসোস করবেন
আদিঃ হারাবো মানে??
তানিশাঃ কোন এক্সিডেন্টে
এই বলে তানিশা চলে গেলো,,আয়ুশি আর আদি একে অপরের দিকে তাকিয়ে আছে।
কিছুক্ষণ পর,,,
আয়ুশিঃ আমাদের বিয়েটা করা উচিত
আদিঃ তানিশার বেবি হওয়ার পর করলে কেমন হয়
আয়ুশিঃ তানিশা যদি জানতে পারে ওর জন্য আমরা বিয়ে করছিনা এই বাড়ি থেকে চলে যাবে
আদিঃ তাহলে এই মাসের ২৭ তারিখে করলে কেমন হয়,,দু দিন পরে আমার পরিবার চলে আসবে
আয়ুশিঃ আমার আপত্তি নেই,,,তুমি তোমার ফ্যামিলির সাথে কথা বলে দেখ
আদিঃ আচ্ছা আর একটা কথা বলতে ভুলে গেছি,,আজ তানিশার সাথে শুভ্র ভাইয়ার দেখা হয়েছিলো
আয়ুশিঃ শুভ্র ভাইয়া,,কোথায় কিভাবে??
আদি আয়ুশিকে সব খুলে বলে,,আয়ুশিও আজ অবাক হয়ে যায়,,এতোদিন পর শুভ্রের নামটা শুনতে পারলো,,তানিশা আর কখনোই শুভ্রের নাম নি নাই মুখে,,হয়তো মনে তারই প্রতিচ্ছবি নিয়ে বেঁচে ছিলো মেয়েটা,,,
আয়ুশিঃ এই জন্যই ওর মুডটা এমন হয়ে আছে,,আচ্ছা তুমি কি এখন থাকবে??
আদিঃ নাহহ,,আর আমি সব রাতে বলবোনে
আয়ুশিঃ আচ্ছা
আদি এই বলে চলে গেলো,,,তানিশা রুমে গিয়ে কান্না করতে করতে বেলকনিতে এসে বসেছে,,এই বেলকনিই ছিলো তানিশার মন ভালো করার একটা জায়গা এই পাঁচ মাসে…..
রাতে,,,
শুভ্র সাবরিনাকে কল করার সাথে সাথেই সাবরিনা ফোন রিসিভ করলো,,
শুভ্রঃ আমি আপনাকে বিয়ে করতে রাজি(শক্ত ভাবে)
সাবরিনাঃ আমি জানতাম তুমি খুব তারাতারিই আমাকে কল করবে,,,তো কবে বিয়ে করবে সামনে বছরে বাপি বলেছে
শুভ্রঃ আমি এই বছরের মধ্যেই বিয়ে করতে চায়,,, না হলে আর কখনোই বিয়ে করবো না
সাবরিনাঃ আমি বাপির সাথে কথা বলে দেখছি
শুভ্র কল কেটে দিলো,,গভীর রাতে আকাশের দিকে তাকিয়ে আন-মনে তানিশারই ছবি একে যাচ্ছে কিন্তু একটা ভুল করতে যাচ্ছে নিজের সাথে
”
”
”
”
”
সাবরিনাঃ অবশেষে আমার প্লান সাকসেসফুল,,, খুব তারাতারিই আমি তোমাকে পেতে চলেছি শুভ্র।আমার জীবনের প্রথম ক্রাস তোমাকে কিভাবে হাত ছাড়া করতে পারি আমি(খুশি হয়ে)
অন্যদিকে,,,
তানিশাঃ আমার সন্তানের জন্য আমি বেঁচে থাকতে চায়,,সবাই মরে গেছে আমার কাছে। আর কারোর সাথে নতুন করে জীবন শুরু করার মতো শক্তি আমার নেই(চোখ থেকে পানি পরছে শুধু)
সকালে,,,
তানিশা তখন ও ঘুমিয়ে ছিলো,,আয়ুশি হেলথ-ড্রিংকস বানিয়ে তানিশাকে ডাক দিলো।তানিশা চোখ কচলাতে কচলাতে উঠে পরলো,,,,
আয়ুশিঃ গুড নিউজ আছে
তানিশাঃ কিসের??
আয়ুশিঃ আমার আর আদির বিয়ে এই মাসের ২৭ তারিখে ঠিক হয়ে গেছে,,ওর আম্মুরাও রাজি।
তানিশাঃ সত্যি (খুশি হয়ে)
আয়ুশিঃ হুম সত্যি
তানিশাঃ আজ তো ২০ তারিখ আর মাএ ৭ দিন ,,, শপিং করতে হবে আজ থেকে(উত্তেজিত হয়ে)
আয়ুশিঃ হুম তার সাথে তোর বেবিরও শপিং করতে হবে
তানিশাঃ আজকেই বের হতে হবে
আয়ুশিঃ হুম আদি আসবে আমাদের নিতে
তানিশাঃ ওও আচ্ছা
এই বলে হেলথ ড্রিংকসে এক চুমুক দিলো,,,তানিশাকে খুশি দেখে আয়ুশিও খুশি হয়ে গেলো,,
আয়ুশিঃ অনেক দিন ওর তোর মুখে একটু হাসি দেখতে পারলাম,,ধন্যবাদ আদি,,তুমি আমার লাইফে না এলে এমন কখনোই হতো না(মনে মনে)
এই পাঁচটা মাস তানিশাকে আগলে রেখেছে আয়ুশি,,,তানিশার সাথে থাকলে আয়ুশি ডিপ্রেশন ভুলে যেতো,,তানিশাও কিছুটা ভালো থাকতো।সবাই বলতো তানিশা আর আয়ুশি দুই বোন ইভেন আদিও প্রথমে তাই মনে করেছিলো।বন্ধুত্ব এমনই হওয়া উচিত যেখানে একজনের জন্য আরেকজনের জীবন ও হাসি মুখে উৎসর্গ করা যায়,,,
বিকেলে,,,
আদি গাড়ি করে তানিশা আর আয়ুশিকে নিয়ে গেলো,,,তানিশার চয়েজ অনেক সুন্দর তাই বিয়ের কাপড় কিনতে বেশি ছোটাছুটি করা লাগেনি।সব কেনাকাটার পর তানিশা তার বেবির জন্য দরকারী জিনিসপত্র কিনতে লাগলো কারণ আর একটা মাস পরেই সে পৃথিবীতে আলো করে আসবে,,,,
সব কেনাকাটা শেষ করে একবারে ডিনার করে ফিরলো তিনজনে,,,আদি তানিশা আর আয়ুশিকে বাড়িতে পৌছে দিয়ে নিজের বাড়িতে চলে গেলো,,,
তানিশা কেবলি রুমে এসে শুয়ে পরলো এমন সময় আয়ুশি আসলো,,,
আয়ুশিঃ তানিশা তোর সাথে কিছু কথা ছিলো আমার
তানিশাঃ হুম বল কি বলবি
আয়ুশিঃ আমার বিয়ের আর ছয়দিন আছে,,,আমি না থাকলে তুই একা হয়ে যাবি,,প্লিজ আরেকবার নিজের জীবন নতুন ভাবে শুরু কর
তানিশাঃ আমি তো নতুন করেই শুরু করবো,,আমার বেবি আছে তো।
আয়ুশিঃ আমি ওই শুরু কথা বলিনি আমার কথার মানে লাইফ পার্টনার নিয়ে জীবন শুরু কর
তানিশাঃ আর সম্ভব না (মাথা নিচু করে)
আয়ুশিঃ শুভ্র ভাইয়া তো নতুন করে সব শুরু করেছে,,সে পারলে তুই কেনো পারবিনা
তানিশাঃ আমি কাউকে ধোকা দি নাই,,, ধোকা পেয়েছি,,আর কাউকে বিশ্বাস করার মতো আমার পরিস্থিতি নাই
আয়ুশিঃ আমিও তো ধোকা পেয়েছি,,,তবুও দেখ আমি আদিকে এখন অনেক বেশি ভালোবাসি
তানিশাঃ তোর কাহিনী আর আমার কাহিনী সেম না,,আমার বিয়ে একজনের সাথেই দুইবার হয়েছে,,আর আমি তাকে এতোটাই ভালোবাসি যে অন্য কাউকে ভাবাও ই সম্ভব না
আয়ুশি আর তানিশার সাথে পেরে উঠলো না তাই নিজের রুমে চলে আসলো,,,
আয়ুশিঃ আমি যে তোকে কিভাবে বোঝাবো,,,উফফ(মাথায় হাত দিয়ে)
তানিশা দিনে হাসিখুশি থাকলেও রাতে তার বিপরীত,,,রাত কারোর কাছে মধুর মতো আর কারোর কাছে বিষের ছুরির মতো,,যা আঘাত করলে মৃত্যুর মতো যন্ত্রণা শুরু হয়,,,,,
এইভাবেই আদি আর আয়ুশির বিয়ের তারিখ এগিয়ে আসছে,,আর আয়ুশির চিন্তু বাড়তেই আছে তানিশার জন্য।
অন্যদিকে,,
শুভ্র এখানে তার কাজিনের বাসায় রয়ে গেছে একপলক প্রতিদিন তানিশাকে দেখার জন্য।
শুভ্রঃ জীবন শেষ হয়েই তো গেছে একদম শেষ করে দিবো,, আমার আর সাবরিনার বিয়ের দিন।এ জীবনে তানিশা ছাড়া অন্য কাউকে ভাবা ইম্পসিবল,, আমি বেঁচে না থাকলে সাবরিনা কাকে বিয়ে করবে আর তানিশাকেই বা ক্ষতি করবে কিভাবে।এই বছরই হবে আমার জীবনের শেষ বছর,,তানিশা আমার বউ ছিলো,,আছে এবং থাকবেও(মনে মনে,, আকাশের দিকে তাকিয়ে)
অবশেষে আদি আর আয়ুশির গায়ে হলুদের দিন,,,
বাড়িটা খুব সুন্দর করে সাজানো হয়েছে,,,বিভিন্ন কালারের ফুল দিয়ে সাজানো।তানিশাও আজ সব দিকে নজর রাখতে গিয়ে ক্লান্ত এই শরীর নিয়ে।আজ আয়ুশিকে খুব সুন্দর লাগছে।বিয়েটা অনেক বড় করে হচ্ছে।
কিছুক্ষণ পর,,
সবাই মিলে আয়ুশিকে হলুদ মাখানো শুরু করলো,,,তানিশাও আয়ুশিকে হলুদ মাখিয়ে দিলো,,আয়ুশি তানিশাকে।অনেক লাউডে বক্স বাজছে আত্নীয় -স্বজনে ভরপুর।
”
”
”
চলবে……