যে_শহরে_এখনো_ফুল_ফোটে #পর্ব১২ +পর্ব ১৩

0
222

#যে_শহরে_এখনো_ফুল_ফোটে
#পর্ব১২ +পর্ব ১৩

“মরিয়ম আপা, আমি তিতলিকে নিয়ে কাল সকালেই সিফট করতে চাইছি। কর্মজীবী হোস্টেলে কী বাচ্চাসহ রুম দেয়? বা তোমার বাসায় আমরা মা মেয়ে সাবলেট থাকতে পারব? ভাড়া দেব আপু।”

“রুমি কী হলো হঠাৎ? এসব কি কথা?”

“আপা দেখা হলে তখন খুলে বলব, আপাততঃ এতটুকু বলি আগামীকালই মেয়েকে নিয়ে নিরাপদ কোন জায়গায় উঠতে চাই। আপা আমার কোন বান্ধবীর সাথে এখন তেমন সখ্যতা নেই যে সরাসরি তাদের কারও বাসায় ওঠা যাবে। তাছাড়া সবাই এখন বিবাহিত, তাদের শ্বশুরবাড়ির মানুষেরা হয়তো সহজ ভাবে নেবে না। আপা অন্তত কয়েকদিন কী আপনার বাসায় থাকতে পারব ? তিতলি রুমনকে কোন বিরক্ত করবে না। এরমাঝে বাসা খুঁজে পেলে চলে যাব।”

মরিয়ম সহসা কী জবাব দেবে বোঝে না। শ্বশুরবাড়ি না হোক, শাশুড়ি তো তারও আছে। তিনি কী এটা সহজ ভাবে নেবেন!

“রুমি আমি একটু পর ফোন দিচ্ছি। তুমি কান্না থামাও প্লিজ। ধৈর্য ধরো, আমি জানাচ্ছি।”

রুমি তখন রাগ করে বলে তো দিয়েছে যে মেয়ে নিয়ে আর এক মুহূর্ত থাকবে না। কিন্তু সহসা যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে সে অনুভব করে এই বিশাল শহরে তার হুট করে চলে যাওয়ার কোন নিরাপদ জায়গা নেই। মেয়েরা শ্বশুরবাড়ি থেকে অভিমান করে বাবার বাড়ি আসে, কিন্তু বাড়ির বাড়ি থেকে অভিমান করে যাওয়ার জায়গা এত সহজ নয়। মামা চাচা খালা ফুপু সবাই তো বাবার বাড়িরই অংশ, অভিমান করে সেই তাদের কাছেই আশ্রয় চাইতে যাওয়া রুমির পক্ষে এখন সম্ভব না। মামা মামীর সাথে কথাকাটাকাটিতে শুরু হওয়া মনোমালিন্য এতদূর চলে গিয়েছে যে এখন এখান থেকে বের হয়ে খালার বাসায় গেলে সেটা হাস্যকর হবে! আর চাচাদের কারও সাথে অতটা ঘনিষ্ঠতা এখন নেই, তাছাড়া পারিবারিক মহলে সবমিলিয়ে কেমন বিব্রতকর পরিস্থিতি হবে।

স্বামীর সাথে যখন সম্পর্ক শেষ হয়ে যায়, তখন প্রাক্তন স্বামীর আত্মীয় স্বজনদের সাথেও আর কোন সম্পর্ক রাখাটা কেমন জানি নিষিদ্ধ হয়ে যায়। রুমির স্বামী হিমেলের ছোটোখালার বয়স কম, রুমিকে খুব আদর করতেন, বান্ধবীর মতো সম্পর্ক ছিল। হিমেলের ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর তিনি দুইরাত রুমির সাথে ঘুমিয়েছিলেন। রাতে উঠে যখন রুমি কান্না করতো, খালা শক্ত করে রুমিকে জড়িয়ে ধরতেন। সেই সময়,সেই আলিঙ্গন ভঙ্গুর রুমির যে কতোবড় একটা শক্তি হয়ে পাশে ছিল। ছেলের ঘটনায় বিব্রত হলেও রুমির শাশুড়ি একমাত্র ছেলের বিরুদ্ধে গিয়ে রুমির পাশে দাঁড়াননি। বরং বারবার রুমিকে সব চেপে যেতে চাপ দিয়েছিলেন। কিন্তু হিমেলের সাথে ডিভোর্সের পর আর চাইলেও আগের মতো ছোটোখালার শরণাপন্ন হতে পারে না রুমি, এখন যে তিনি প্রাক্তন স্বামীর খালা। তার সাথে সম্পর্ক রাখাটা সমাজের চোখে অশোভনীয়! তাই কোথায় যাবে ভাবতে ভাবতে মরিয়ম আপার কথাই মাথায় আসে রুমির।

****
রুমিকে ফোন দেবে তো বলেছে মরিয়ম আপা কিন্তু ভেবে পায় না শাশুড়ি বা স্বামী শিহাবকে কী বলবে। অবশ্য শাশুড়ি মা খুব খুশি এখন। আজ সন্ধ্যায় মরিয়ম শাশুড়িকে জানিয়েছে যে তিনি আবার মা হতে চলেছেন। দীর্ঘদিনের আশা পূরণ হওয়ার সংবাদে শাশুড়ি ভীষণ আনন্দিত।

সাঁইত্রিশ বছর বয়সে দ্বিতীয় বার গর্ভধারণ করেছে মরিয়ম, দীর্ঘ বিরতিতে বেশি বয়সে সন্তান নিলে বেশ ঝুঁকি থাকে সন্তান জন্মদানে। আর তাই বাসার সবাই মরিয়মকে একদম বেড রেস্টে থাকতে চাপ দিচ্ছে। দরকার হলে শুরুর তিন মাস অফিস থেকে ছুটি নিতে বলছেন পরিবারের সবাই। শাশুড়ি মা জোর করে রাতের রান্নাও করেছেন। মরিয়মকে খাইয়ে দিয়ে তাড়াতাড়ি শুতে পাঠিয়েছেন। মরিয়ম যেন শান্তিতে ঘুমাতে পারে তাই শিহাব রুমনকে নিয়ে পাশের ঘরে ঘুমিয়েছে। শিহাবও যে নতুন সদস্যের আগমনের সংবাদে ভীষণ খুশি তা বুঝতে পারে মরিয়ম। যদিও একটু অভিমান ছিল, কেন সবার আগে শিহাবকে বলেনি মরিয়ম। রুমনকে নিয়ে মরিয়ম তার মনের ভয়টুকু প্রকাশ করলে অবশ্য অভিমান ভুলে সাহস দিয়েছেন শিহাব। সবার এত যত্ন দেখে কিছুক্ষণের জন্য মরিয়মের মনের দুঃশ্চিন্তার কালো মেঘ সরে গিয়ে খুশি এসেছে। বালিশে মাথা দিয়ে ঘুমও চলে এসেছিল। কিন্তু হঠাৎ রুমির ফোন এসে চিন্তায় ফেলে দিল। এখন বাজে প্রায় রাত একটা, এসময় শিহাব বা শাশুড়িকে জাগানো কী ঠিক হবে! আবার রুমিও ওর ফোনের অপেক্ষায় বসে থাকবে।
কী বলবে মরিময়!

“কার সাথে কথা বললা মরিয়ম?”

দরজা ঠেলে ভেতরে ঢুকেন শিহাব সাহেবের আম্মা।

“আম্মা, এতরাতে জেগে আছেন?”

“তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ার জন্য অপেক্ষা করতেছিলাম। গভীর রাতে আল্লাহরে ডাকলে আল্লাহ বান্দার উপর খুশি হোন। এতবড় খুশির খবর দিলেন আল্লাহ, শুকরিয়া জানাব না?”

নাতি নাতনির আগমনের খবরে কতটা খুশি হয়েছেন বোঝে মরিয়ম। মাথা নেড়ে শাশুড়ির কথা সায় দেয়।

“বললে না তো কে ফোন দিল? কোন সমস্যা?”

ধীরে ধীরে যতটুকু জানে তা খুলে বলে মরিয়ম। শিহাব সাহেবের আম্মা মরিয়মের মাথায় হাত বুলিয়ে দোয়া পড়ে ফুঁ দিয়ে দেন। তারপর ধীর কণ্ঠে বলেন,

“না করে দাও বৌ। আমার ছেলে ভালো, তুমি ভালো, ঐ মেয়েও নিশ্চয়ই খুব ভালো। কিন্তু শয়তান খুব খারাপ। সারাক্ষণ কুমন্ত্রণা দেয়। কমবয়সী একটা মেয়ে ঘরে আশ্রয় দেওয়ার চিন্তা যদি তোমার ভালোমানুষি হয়, তবে শয়তান তাকে সতীন বানাতে সময় নিবে না। দিনে দিনে দুনিয়া কম দেখি নাই। এমনিও শিহাবরে সময় দিতে পার না রুমনের জন্য, তারউপর এখন বাচ্চা হবে তোমার। এরপরও একটা কমবয়সী মেয়েকে আশ্রয় দেওয়ার কথা মাথায় আসে কিভাবে? আমারে খারাপ ভাবলে খারাপ, কিন্তু পরিবারের ভালোমন্দ দেখা আমার কাজ।”

***
টুং করে মেসেজের শব্দ আসে রুমির ফোনে।

“স্যরি রুমি।”

দুই শব্দে অপারগতা জানায় মরিয়ম।

#যে_শহরে_এখনো_ফুল_ফোটে
#পর্ব১৩

“সাহেদা, কাঁদছ কেন?”

“রুমির এত বড় বেয়াদবিটা চোখের সামনে দেখেও এই প্রশ্ন করলে? অবশ্য করবে না কেন, বেয়াদবি করেছে তো আমার ভাইয়ের সাথে, তোমার ভাইয়ের সাথে তো না।”

“আমার তোমার তো কথা না সাহেদা। আর আমার ভাই রুমির কী হয় বলো? চাচা হয় তাই না? তোমার ভাই রুমির মামা হয়। তাহলে দু’জনই গুরুজন, আপনজন। অর্থাৎ চাচা হোক বা মামা কারও সাথেই রুমির বেয়াদবি করা উচিত নয়। তাই ভাগাভাগি করার প্রশ্নই আসে না।”

“এত বুঝলে মেয়েকে শাসন করলে না যে?”

“কারণ মেয়ে শুধু মামা মামীর সাথে তর্ক করেছে তা তো নয়। এর সাথে আরও অনেক ঘটনা আছে।”

“তা তো আছেই। আমাদের নামেও দুনিয়ার অভিযোগ করেছে। অথচ কী না করলাম এই মেয়ের জন্য। ভালো জায়গায় পড়ালেখা করালাম, ধুমধাম করে বিয়ে দিলাম, সেই বিয়ে না টেকার দায় এখন আমাদের দেয়, ওর মামা মামীকে দেয়। তেজ দেখিয়ে ঘর ছেড়েছে রুমি নিজে। আসার পর রুমি আর তিতলির দেখাশোনাও তো আমরা করছি। তারপরও এত অভিযোগ কিসের? ”

“আমিও শুরুতে তোমার মতোই ক্ষিপ্ত ছিলাম। এটাই ভাবছিলাম যে কোথায় কম রাখলাম।”

“আমরা কোন কম রাখি নাই। মেয়েই বেয়াদব। এই তেজের জন্য সংসার হয় নাই। ভাবি তো মিথ্যা বলে নাই। এই যে বললো বাড়ি ছেড়ে যাবে। দেখি এখন বাপের বাড়ি ছেড়ে কই যায়। আমি আটকাবো না। দেখুক কে জায়গা দেয় ওকে মেয়ে নিয়ে। দুনিয়া এত সহজ ভাবে, মানুষের কথায় বাপ মা কে শত্রু মনে হয় এখন। সেই মানুষেরা কেউ ওকে জায়গা দেয় কিনা আজ ও দেখবে।”

“কেউ পাশে থাকবে না সাহেদা। কেউ থাকেও না। কিন্তু সেটা বোঝার জন্য মেয়েকে যেতে দিলে আমরা কেমন বাবা মা হলাম? ও যে জায়গায় জায়গায় ফোন দিচ্ছে বারান্দায় বসে আমি ঠিক শুনতে পাচ্ছিলাম। যাওয়ার জায়গা পেলে এতক্ষণে বের হয়ে যেত, আমিও আটকাতাম না হয়তো রাগ থেকে। তবে ভালো হয়েছে ও জায়গা পায়নি। আমারও রাগটা শান্ত হয়ে মাথা পরিষ্কার হয়েছে। এখন পরিষ্কার করে ভাবতে পারছি। শুনো আমরা মেয়েকে পড়ালেখা করালাম, বিয়ে দিলাম সব ঠিক আছে। তারপরও মেয়ের মনে এত কষ্ট কেন আমাদের নিয়ে জানো?”

সাহেদা বেগম চোখ মুছে উঠে বসেন। বহুদিন পর সানোয়ার সাহেব এত কথা বলছেন, একটু অবাকও হয়েছেন সাহেদা বেগম। তাই শোনার ইচ্ছে আছে স্বামী কী বলে, “কেন কষ্ট সেটা আমি জানি না তা কিন্তু না, আমিও জানি রুমির আব্বা। ঐ যে রুমি বললো, আমরা ওর সাথে বিরক্ত দেখাই, আমাদের দেখাদেখি রশ্মি আর আদিলও ওকে সম্মান দেয় না। ওর আত্মীয় স্বজনরা আমাদের জন্য কথা শোনানোর সুযোগ পায়। সব ঠিক আছে। কিন্তু রুমি কী আমাদের দিক টা ভাবে? যদিও রুমি পরিবারের বড় মেয়ে, কিন্তু পরিবারের আগে নিজের জিদটাকেই রাখে।”

“সাহেদা, রুমির জেদটা তো অহেতুক না। ও কী করলে আত্মীয় স্বজনের কাছে আমরা বড় থাকতাম? মাটি কামড়ে সংসার করলে? তুমি সারাজীবন আমাকে সন্দেহ করে সংসার করে সুখে আছ? না আমি সুখে আছি? আর হিমেলের ঘটনা হাতেনাতে প্রমাণ হওয়া, সেখানে আজকের দিনের একটা মেয়ে কিভাবে মেনে নেয়?”

“আমাদের দিন চলে গিয়েছে। সন্দেহ ছিল না সত্য ছিল, আল্লাহ আর তুমি জানো। তবে আমি কিন্তু তিন বাচ্চা বুকে নিয়ে সংসার করে গিয়েছি। নিজে সুখ পেয়েছি কিনা জানি না। বাচ্চাদের তো বঞ্চিত করিনাই।”

“হিমেল তো কয়টা টাকা পাঠিয়ে খালাস।মেয়ের জন্য কোন ভালোবাসা তো দেখি না। দেখলে বুঝতাম রুমি মেয়েকে বাবার আদর থেকে বঞ্চিত করছে। শুনো আমরা রুমির সাথে এমন ভাব করতেছি গত কয়েক মাস ধরে যেন ওকে আর তিতলিকে থাকতে দিয়ে দয়া করছি। এটা তো মিথ্যা বলে নাই রুমি। এই যে রোজ রোজ ও বাসায় আসলে তুমি জিদ দেখাও, আমি বিরক্ত মুখ করে থাকি, ও বাসায় ক্লান্ত হয়ে ফিরলে, আমরা তিতলির নামে বিচার দেই। কিন্তু এগুলো হতো যদি রুমি আর দশটা মেয়ের মতো বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসতো? মোটেও না। তখন আমি ওর পছন্দের বাজার আনতাম, তুমি নাতনির জন্য রান্না করতে, আদিল আর রশ্মি ভাগ্নিকে নিয়ে আহ্লাদ করতো। অথচ আমরা সবাই এখন কেমন ব্যবহার করি? আজ রুমি চিল্লাতে চিল্লাতে এগুলো বলেছে বলে বেয়াদব মনে হচ্ছে। কিন্তু কথা তো ভুল না।”

সাহেদা বেগম চুপ করে থাকেন। মনের ভেতর কোথাও না কোথাও তিনিও জানেন, রুমির দীর্ঘদিনের চাপা অভিমান আর কষ্ট আজ অভিযোগ হয়ে বের হয়েছে। তবে তিনি সহসাই জবাব খুঁজে পান, “আমি কী করবো? মাপা টাকা, আদিলটাও চাকরি পেল না, রশ্মির বিয়ে আটকে আছে, সংসারের কাজ। সবকিছু মিলে হাসিমুখে থাকতে তো পারি না। আর তুমি একটা মানুষ বাড়িতে আছ কী নাই তাই বুঝি না। নাতনিটাকে তুমি দেখ?”

সাহেদা বেগম ভেবেছিলেন সানোয়ার সাহেব ঝগড়া করবেন, কিন্তু তা না করে সানোয়ার সাহেব সায় দেন, “সাহেদা তোমার উপর সংসারের অনেক বোঝা, আমি এখন বুঝতে পারছি। আর এমন হবে না। দেখবা সব ঠিক হবে। রুমি তো ওর আর তিতলির খরচ দিচ্ছেই, আমাদের তো চাপ দেয় না। আর এটা রুমির নিজেরও বাসা, বিয়ে হয়েছিল বলে ওকে যেন আমরা পর করে দিলাম। কিন্তু এই শেষ, এমনটা আর করা যাবে না। রশ্মি আর আদিলের সাথে কথা বলতে হবে, ওরা যেন তিতলি আর রুমির সাথে কোন খারাপ ব্যবহার না করে। রুমিকে আমি বলবো, ও মামা মামীর কাছে মাফ চাইবে।”

সানোয়ার সাহেব নিজ থেকে পরিবারের ভালোমন্দের দায়দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিচ্ছেন দেখে সাহেদা বেগমের মনটা ভালো হয়ে যায়।

“সাহেদা আরেকটা কথা, রশ্মিকে যারা দেখতে আসবে তারা যদি রুমির ব্যাপারটা মেনে নেয়, তাহলেই যেন সামনে আগায়। এই কথাটা তুমি বড় ভাইকে বলে দিও। এখন অনেক রাত হয়েছে, সকালে আমি রুমির সাথে কথা বলবো।”

*****
রুমি সারারাত চোখের পাতা এক করতে পারেনি। রাত একটার দিকে মরিয়মের ম্যাসেজটা এসে যেন ওর আত্মবিশ্বাসটা একেবারেই শেষ করে দেয়। এলোমেলো নানা ভাবনা আসে মনে, একবার মনে হয় আত্মহত্যা করবে। কিন্তু পরমুহূর্তে নিজেকে ধিক্কার দেয় এমন একটা কথা মনে আসার জন্য। তিতলির এত কিছু বোঝার বয়স হয়নি, তবে সব ঠিক নেই এইটা বুঝেছে। তাই অন্য দিনের মতো খাওয়া নিয়ে বিরক্ত না করে চুপচাপ খেয়ে নিয়েছে। রুমি খায় নি। সানোয়ার সাহেব বারোটার দিকে দরজা নক করেছিলেন, কিন্তু রুমি জবাব না দেওয়ায় আর ডাকাডাকি করেননি। সকালে ঠান্ডা মাথায় কথা বলবেন।

(চলবে)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here