রক্ত,পর্ব_৩

0
1828

রক্ত,পর্ব_৩
লেখক:সোলাইমান রানা

রানার জ্ঞান ফিরলে নিজেকে হাসপাতালের বিছানায় দেখলো। সকাল হলো কখন কে আনছে তাকে হাসপাতাল।একটু পর রিয়া রুমে আসলো। রানা রিয়াকে কিছু বলবে তখনই রিয়া বলে,,,এখন কেমন লাগছে।
রানা বলে,, ভাল। রিয়া বলে রাতে কি এমন হলো যে জ্ঞান হারিয়ে ফেললে। রানা আর কিছু না বলে চুপ করে রইলো।

রানা ভাবছে রিয়া জিবিত হলে লাশটা কি করে রিয়ার হয় রিয়া তার সামনে জিবিতই আছে।

রানাকে নিয়ে বাসায় চলে আসে রিয়া। বাসায় এসেও রিয়াকে কিছু বলছে না রানা।

বাসায় এসে রানা ফ্রেশ হয়ে ওই রুমে চলে গেলো যেখানে রিয়ার লাশ দেখেছে কফিনে। রানা ও রুমে গিয়ে কিছু দেখতে পেলো না। তখন রিয়াকে ডাক দিলো। রিয়া আসলে বলে এখানে একটা বক্স ছিলো ওটা কই।

রিয়া বলে সকালে এসে রানাকে এখানে পরে থাকতে দেখে আর কোন বক্স দেখে নি। রিয়া আবার বলে কিসের বক্স ছিলো। রানা আর কথা বাড়ালো না।

আজ আর অফিসে গেলো না রানা। সারাদিন বাসায় শুয়ে ছিলো আর ভাবছে রাতে ঘটে যাওয়া ঘটনাটা। রাতে তার মাথা প্রচুর ব্যাথায় ঘুম না আসলে ঘুমের ঔষধ খেয়ে শুয়ে পরে।

রাত অমেক হলে রিয়ার রক্ত খাওয়ার জন্য বেকুল হয়ে পরে। কিন্তু আজতো রানা ঘুমে কে এনে দিবে রক্ত। রিয়া আস্তে আস্তে বের হয়ে পরলো ঘর থেকে । রাস্তায় হাটছে রক্ত খাওয়ার নেশায়।

কিছুক্ষণ পর রিয়া দুরে একটা কি যেনো দেখতে পেলো। তাড়াতাড়ি করে ওখানে গেলো। গিয়ে দেখে একটা মহিলা। রিয়া বলে,,,কই যান এত রাত। মহিলা বলে,, আমার স্বামী বাসায় নাই আর এখানে পরিচিত কেউ নাই তাকে হাসপাতালে নিবে সে গর্ভবতী।

রিয়া মনে মনে বলছে অনেক দিনের শখ নবজাতকের রক্ত খাওয়ার। রিয়া মহিলার পেট ছিড়ে বাচ্চা বের করে তার রক্ত খেয়ে নিলো। মহিলা আর শিশুর লাশ রাস্তায় ফেলে বাসায় এসে শুয়ে পরে রিয়া।

রানা সকালে ঘুম থেকে উঠে নাস্তা করে অফিসে যাচ্ছে। পথের মাঝে মানুষের ভিড় দেখে এগিয়ে গেলো সেখানে। গিয়ে দেখে পুলিশ দুটা লাশ নিচ্ছে। রানা পুলিশ অফিসার সিয়ামকে বলে কি হয়েছে। সিয়াম বলে,,,, কোন জন্তু বা জানোয়ার এদের রক্ত খেয়ে নিয়েছে। রানার আর বুঝতে বাকি রইলো না।

তখন ছেলে হারানো মাও এসে হাজির। পুলিশকে বলে তার ছেলেকে পাওয়া গেছে কিনা। পুলিশ বলে পাওয়া যায় নি। মহিলা চলে গেলো। রানাও অফিসের দিকে চললো।

কিছুক্ষণ পর অফিসে চলে গেলো। সারাদিন ভালই কাটলো রানার। রাতে বাসায় ফিরার পথে রিয়ার জন্য ছোট একটা রক্তের প্রাণী আনলো।

বাসায় ফিরে রানা শুয়ে পরলো। রাতে রানার আনা প্রাণীটার রক্ত খেয়ে শুয়ে পরলো। রানা কখনো রিয়াকে রক্ত খেতে খেতে দেখেনি।

আজকেও রানা মাঝ রাতে উপর থেকে শব্দ পায়। রানা ঘুম ভেঙে গেলো। শুয়া থেকে উঠে চলতে থাকে উপর তলায়। উপর তলার দিকে যাওয়ার আগে রিয়াকে রুমে রেখে ভাল করে দরজা দিয়ে গেলো বাহির দিয়ে।

আগের দিনের সে রুমে গিয়ে দেখে আজকে সেখানে না অন্য রুম থেকে আসছে শব্দ। ওই রুমটায় অনেক পুরাতন মালে ভরা পুরো রুম। রানা সেই কফিনটা দেখতে ফেলো। আজকে রানা কফিনটা টেনে বাহিরে আনলো।

আগের মত আজকেও কফিন খুলে দেখে রিয়ার লাশ। আজকে সাহস নিয়ে খুলছে। রানা ভাল করে রিয়ার লাশের দিকে তাকিয়ে আছে। হঠাৎ লাশটা চোখ খুলে রানার দিকে তাকালো। রানা একটু ভয় পেয়ে দুরে চলে গেলো।

লাশটা উঠে দাড়ালো। আর রানার গলা টিপে ধরলো। রানা পুরো শক্তি দিয়ে ছুটার চেষ্টা করতেছে,,,,,,,,,

চলবে,,,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here