রক্ত,পর্ব_৪

0
2231

রক্ত,পর্ব_৪
লেখক:সোলাইমান রানা

হঠাৎ রানা ছুটে গেলো রিয়ার হাত থেকে। রানার পুরো শক্তি লেগে গেলো রিয়ার হাত থেকে ছুটতে। কোন রকম উপর তলা থেকে নেমে আসলো। নিজের রুমে যেতে দেখে রিয়া একটা মানুষের রক্ত চুষে খাচ্ছে। রানা তাকিয়েই আছে। কিছুক্ষণ পর লাশটার কলিজাটাও বের করে চেটে লেগে থাকা রক্ত খাচ্ছে।

রানা এসব দেখে কোন রকম রুমে থেকে বের হয়ে রাস্তায় হাটছে আর ভাবছে কি হচ্ছে এ সব। প্রায় ২ঘন্টা ঘুরে বাসায় ফিরলো রানা। বাসায় এসে দেখে লাশটা এখনো পরে আছে রুমে আর রিয়া ঘুম যাচ্ছে খাটে। রানা উপর তলায় আবার গেলো ওখানে গিয়ে দেখে কফিনটা নাই।

রানা ভাবতে ভাবতে অস্হির কি হচ্ছে এত কিছু। রানা নয় ছয় ভেবে রুমের লাশটা টেনে নিয়ে রাস্তার পাশে ফেলে চলে আসলো। বাসায় এসে দেখে এখনো ঘুম রিয়া। রানা রিয়াকে ডেকে তুলে। রানা বলে এই সব কি করছে রিয়া। রিয়া বলে কি করলাম আমি।

রানা বলে,, আগের ছোট কোন প্রাণীর রক্ত খেতে এখখন মানুষের।। রিয়া বলে,,,দেখো আমার কাজে বাঁধা দিবে না। আর আমার যখন রক্ত খেতে মন চায় তখন খেলেই শান্তি। মানুষের রক্ত এত স্বাদ আগে জানতাম না। তাই এখন থেকেই মানুষের রক্ত খাবো। রক্তই আমার প্রিয় খাবার।

রানা আর কিছু না বলে বসে ভাবছে,,, এত বড় রহস্য কয়দিন লুকানো থাকবে। আর এটা থেকে বের হওয়ার উপায় কি। কম থাকতে রিয়াকে আটকানো না গেলো পুরো শহর একসময়ে জনশূন্য হয়ে যাবে। রানা এসব ভাবতে ভাবতে তার চোখে কখন ঘুম চলে আসে সে জানে না। চোখ মেলে দেখে সকাল ১০টা।

আজও আর অফিসে যাওয়া হলো না। রানা নাস্তা করে বের হলো। আজ সোজা চলে গেলো সিয়ামের কাছে। থানায় গিয়ে দেখে সিয়াম তার কেবিনে বসে কি সব ভাবছে। রানা সিয়ামের কেবিনে বসলো।

রানা বলে,,,আমাকে চিনতে পারছেন। সিয়াম বলে,,, হ্যা রানা সাহেব না। ওদিন কথা হলো যে সে তো। রানা বলে হুম। সিয়াম বলে তা কি মনে করে। রানা বলে আগে বলেন কি নিয়ে চিন্তায় আছেন। সিয়াম বলে শহরে এত লাশ কি করে তা নিয়ে। রানা বলতে এসেও কিছু বলেনি সিয়ামকে। কিছুক্ষণ পর থান। থেকে বাসায় চলে আসে রানা।

সারাদিব কেটে গেলো রানার। রাত হতেই রানার চিন্তা হতে লাগলো।আজ ও কারো না কারো প্রাণ নিবে রিয়া। রাতে একসাথে বসে রানা ও রিয়া খাওয়া দাওয়া করে শুয়ে পরে। মাঝ রাতে রানা দেখে রিয়া পাশে নাই। তাই রানা রিয়াকে খুজতে থাকে পরে দেখে বাসার বাহিরে রিয়া বসে আছে।

রানা রিয়ার কাছে গিয়ে দেখে একটা মুর্তির সামনে বসে কি যেনো পড়তেছে আর তার সামনে এককটা শিশুও আছে। তার গলায় ছুরি ধরে রাখছে রিয়া।

রানা বলে এসব কি করছো রিয়া। রিয়া বলে আমার কাজে বিরক্ত করো না। আজ আমাবস্যা আজ শিশুটার রক্ত খেলে আমি আরো শক্তিশালী হবো। রানা আর কিছু বলতে যাবে তখনই শিশুটার গলায় ছুরি চালিয়ে দিলো আর রক্ত খাচ্ছে রিয়া। রানা বাসায় ফিরতে যাবে তখন,,,,,,,

চলবে,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here