রক্ত,পর্ব_৫ শেষ
লেখক:সোলাইমান রানা
রানা যখন বাসায় ফিরবে তখন শুনে রিয়া কি সব মন্ত্র বলছে। মুর্তিটার সামনে। রানা আর রিয়াকে আটকানোর সাহস পেলো না। রিয়া তার কাজ করে যাচ্ছে। রানা ঘরে এসে ভাবছে রিয়াকে ডাক্তার দেখানো দরকার। রানা তা সিদ্ধান্ত নিলো যে করে হউক রিয়াকে সকালে নিয়েই যাবে ডাক্তারের কাছে।
রানা শুয়ে পরছে। কিছুক্ষণ পর রানার ঘুম চলে আাসছে এমন সময় কিসে শব্দ পেয়ে চোখ মেলে দেখে রিয়াও ঘরে আসছে। রিয়ার পুরো শরীরে রক্ত লেগে আছে। রানা চুপ করে সব কিছু দেখছে।
রিয়া ফ্রেশ হয়ে এসে রানার পাশে শুয়ে পরলো রানার পাশে। রানা বলে,, তোমার কি শক্তি আসবে বলছো। রিয়া বলে কিছু না পরে বুঝবে। রানা বলে,,,মানুষ মারার শক্তি নাকি। রিয়া বলে,,,দেখো রানা তুমি আমার কোন কিছুতে নাক গলাতে এসো না। রানা আর কিছু বললো না।
রানা ভাবছে হয়তো রিয়ার মাথায় সমস্যা। তা না হলে মানুষ হয়ে কি করে মানুষের রক্ত খায়। অন্য প্রাণীর গুলো মেনে নেওয়া যায় তাই বলে,,,,। রানা এসব ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে গেলো। সকালে ঘুম ভাঙলো রিয়ার ডাকে।
রানা ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করলো। তারপরর রিয়াকে বলে চলো ঘুরে আসি। রিয়াকে নিয়ে চলে আসে রানা হাসপাতালে। রিয়া জানতে চাইলে বলে কাজ আছে।
রানা ডাক্তারকে বলে রিয়ার মাথায় কোন সমস্যা আছে কিনা দেখতে। রিয়ার কি সমস্যা দেখার জন্য এক্সরে পরীক্ষা করে বুঝতে নিয়ে গেলো অন্য রুমে। রানাও গেলো তাদের সাথে।
রিয়াকে এক্সরে মেশিনের সামনে বসিয়ে। রানাও ডাক্তার কম্পিটারে দেখার চেষ্টা করছে। কিন্তু তারা কিছু দেখছে না সব সাদা। রিয়াকে ভাল ভাবে বসিয়েও দেখলো কিছুই আসছে না।
রানা ডাক্তারকে বলে আপনার মেশিনে সমস্যা। তারপর রানা গেলো রিয়াকে ভাল করে বসাতে। ডাক্তার তাকিয়ে আছে কম্পিটারে। ডাক্তার দেখছে রানা কে কিন্তু রিয়াকে না। এটা দেখার পর ডাক্তারের পুরো শরীরের লোম কুপ দিয়ে ঘাম বের হচ্ছে।
রানা এবার বুঝতে পারছে সব কিছু। রিয়াকে বলে চলো যাই। রানা আসার আগে ডাক্তার কে বলে আপনার মেশিনে সমস্যা। ডাক্তার অভাগ হয়ে তাকিয়ে আছে রিয়ার দিকে।
হাসপাতাল থেকে বের হয়ে রানা রিয়াকে নিয়ে চলে আসে বাসায়। রিয়াকে রেখে রানা চলে আসে সিয়ামের কাছে।আর সব কিছু বলে সিয়ামকে
সিয়াম এই সব কিছুই বিশ্বাস করছে না। রানা বলে তাহলে আজ রাতেই দেখাবো। রানা বাসায় চলে আসে।
রাত একটু গভীর হলে রানা ঘর থেকে বের হয়। আর একটা খরগোশ দিয়ে রাখছে রিয়ার পাশে। রিয়া তখন ঘুমের ভিতর। রানা সিয়ামকে কল দিয়ে বলে চলে আসতে। কিছুক্ষণ পরই সিয়াম চলে আসে। রানা সিয়ামকে নিয়ে পাশের রুমে লুকিয়ে আছে রিয়ার ঘুম থেকে উঠার দেখতে। প্রায় ১ঘন্টা অপেক্ষার পর তারা দেখলো রিয়া ঘুম থেকে উঠলো।
রিয়া ঘুম থাকে উঠে আগে রক্ত খেলো। সিয়াম এসব দেখে নিজের। চোখকে বিশ্বাস করতে পারছে না। এবার রানা বলে লাশের কথাটা। রানা আর সিয়াম ঘর থেকে বের হয়ে রাস্তায় এসে বলছে এখন কি করা যায়।
রানা বলে রিয়াকে যতটা দিনের আলোয় ভাল দেখে রাতে তার বিপরীত হয়। সিয়াম বলে আমার পরিচিত এক খ্রিষ্টান পাদরি আছে ওনি অনেক কিছু জানেন। রানা বলে তাহলে সকালে যাই তার কাছে।
সকালে রানাও সিয়াম চলে গেলো পাদরীর কাছে। রানা সব কিছু বললো পাদরীকে। পাদরী শুনে বলে এটা শয়তানের আসার লক্ষন। আর আমিও তাকে দেখতে চাই।
রানা বলে শয়তানের কাজ মানে,,। পাদরী বলে শয়তান কারো উপর ভর করে তার রক্ত খাবে তারপর সেই মানুষটার লাশ না ফেলে রেখে দিবে। আর ওই মানুষটার রুপ নিয়ে রক্ত খাবে। একদিন শক্তিশালী হবে।
তারপর লাশটা পুতে দিবে মাটিতে। রানা বলে আর কি করবে। পাদরী বলে দিনের আলোতে রুপ নিয়ে থাকলেও কোন শক্তি কাজ করবে না। আমাবস্যায় শয়তানের মুর্তি বানিয়ে পুজা করবে। রানা বলে এ সব কিছু রিয়া করে ফেলছে। পাদরী বলে কয়েকটা আমাবস্যা করবে এটা।
রানা বলে সব কিছুই মিলতেছে। কি করা যায় এখন। পাদরী বলে এটা শুধু অনুমান বাকিটা দেখতে হবে গিয়ে।
রানা, সিয়াম ও পাদরী চলে আসলো রানার বাসায়। এসে দেখে তারা রিয়া ঘুমাচ্ছে। রিয়াকে ডাকতে মানা করে পাদরী। রানাকে বলে ওই লাশটা কোথায়। রানা বলে,,, জানি না রাতে দেখা যায়।
তারা উপর তলায় গিয়ে কফিনটা খুজতে থাকে পরে একদম কোনার রুমে অনেক পুরাতন জিনিস দিয়ে ঢেকে রাখছে দেখতে পায়।। তারা কফিনটা বের করে দেখে রিয়ার লাশ পরে আছে। এখন আর উঠে দাড়ায় না।
রানা বলে এটা কিছু করবে না। পাদরী ভাল করে লাশটা দেখে বলে। তার সব কথাই ঠিক শয়তানই এসব করতেছে। পাদরী বলে। রাতে যখন ওই রুপ নেওয়া রিয়া রক্ত খায় তখন এটা জেগে উঠে আর। শক্তিশালী হয় শয়তান। যখন পুরো শক্তি পাবে এটা পুতে দিলে শক্তি কেউ নষ্ট করতে পারবে না।
এখন কি করতে হবে বলে রানা। পাদরী বলে লাশটা জ্বালিয়ে দিতে হবে। আর এই লাশ অনেক দিনের। পাদরী তার জ্ঞান দিয়ে বাড়িটা দেখে বলে এই বাড়িতেই কেউ আগে শয়তানকে পুজা করে পৃথিবীতে আনছে। আর শয়তানকে পুরোপুরি আনার আগে পুজা করা বন্ধ করে। তাইতো শয়তান এসব কররতেছে শক্তিশালী হতে।
রানা বলে,,, আমি কিছু জানি না। যেভাবে হউক রিয়াকে ভাল করেন। পাদরী বলে রিয়াতো বেচে নাই। রানা একথা শুনার পর কাদতে থাকে।
পাদরী মন্ত্র পড়ে লাশ পড়াতে অনেক কিছু দিলো কফিনে। যখনই আগুন দিয়ে দিলো লাশে। অন্য রুমে ঘুমিয়ে থাকা রিয়া জেগে উঠলো আর চিৎকার করতে থাকলো। রানা দৌড়ে যেতে চাইলে সিয়াম তাকে ধরে ফেলে।
লাশটায় ভাল করে আগুন লাগগতেই রিয়াও চলে আসে এখানে। তারর পুরো শরীর কালো হয়ে যাচ্ছে যেমনটা লাশটা হচ্ছে। পাদরী তার মন্ত্র বলেই যাচ্ছে। লাশটা বেশি পুড়ে গেলে রিয়াও মাটিতে পরে গেলো। পুরো লাশটা পুরে গেলে। রিয়াও মরে গেলো।
পাদরী বলে এই শয়তানের একটাই শক্তি রক্ত খাওয়া আর রক্তত খেতে খেতে সব মানুষই মেরে ফেলতো। আর কয়েক দিনন গেলেই শয়তান অমর হয়ে যেতে। রানা চিৎকার করে কাদতেছে রিয়ার জন্য।
সিয়ামও রানার কান্না দেখে চোখ বেয়ে পানি পরছে।
পাদরী বলছে যাক সব শেষে রক্ত খাওয়া শয়তান পৃথিবী থেকে দুর করলাম।।।
সমাপ্ত,,,,,,