রক্ষিতা
Part -10
Writer – Taslima Munni
মামা-মামী, সুমনা, সাইফ সবাই এসেছে হাসপাতালে। মামা তো কাঁদতে কাঁদতে অস্থির হয়ে গেছেন।শুধু বলছেন
– আল্লাহ, তুমি আমাকে নিয়ে যাও।আমার মেয়েটারে রক্ষা করো।
মামী আমাকে সবসময় বকাঝকা করতেন। কিন্তু আজ বুঝতে পারছি এই বকাঝকার মাঝেও একটা অন্যরকম ভালোবাসা আছে। আমাকে জড়িয়ে ধরে সেকি কান্না- মা গো,তোকে কত কষ্ট দিছি।আর তুই কি না করেছিস আমাদের জন্য। তোর কিচ্ছু হবে না দেখিস, আমি নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করবো। তুই ভালো হয়ে যাবি রে মা।
মামা-মামীকে কাঁদতে দেখে আমারও ভীষণ কান্না পাচ্ছে।
সুমনা বলছে -আপু তোমার কিচ্ছু হবে না। তুমি একদম সুস্থ হয়ে যাবে।
কিন্তু চোখের পানি ধরে রাখতে পারছেনা সুমনা।
– আচ্ছা, তোমরা এভাবে কান্নাকাটি করলে আমার ভালো লাগবে বলো?একদম কাঁদবে না।ইনশাআল্লাহ আমি সুস্থ হয়ে যাবো।
কয়েকজন ডাক্তারের সাথে আকাশ আসলো। এতো লোক কেবিনে এলাউ করা হয় না।তবুও মামা-মামীদের আমার অনুরোধে এলাউ করেছে। কিন্তু আর বেশি সময় থাকতে দিলেন না। সবাই বিদায় নিয়ে বাইরে চলে যায়।
আকাশের মুখের দিকে তাকানো যাচ্ছে না।
ডাক্তার চলে গেছে। আকাশ আমার কাছে বসে আছে। কোনো কথা বলছে না।
– আকাশ।
– হুমম?
– খুব টেনশন হচ্ছে? আমি সুস্থ হয়ে যাবো। চিন্তা করবেন না।
আকাশ আমার দিকে তাকিয়ে মৃদু হাসার চেষ্টা করলো।কিন্তু আমি ঝাপসা চোখেও স্পষ্ট দেখতে পেলাম চোখ দুটো জলে ভরে আছে। আকাশ আমার হাত ধরে বসে আছে।
সারাক্ষণ আকাশ আমার কাছে কাছে থাকছে।রাতে আকাশ,সুমনা থাকে এখানে।সাইফ সকালে আসে,সেই রাত পর্যন্ত থাকে। দুদিন হয়ে গেছে। এরমধ্যে শোভা এসেছিল দুবার। মেয়েটা কান্নার জন্য কোনো কথা বলতে পারেনি। আকাশ-সাইফ সব দৌড়াদৌড়ি করছে- এই ঔষধ – এটা সেটা আনতে। আমাকে নিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন টেস্ট করাচ্ছে।
আকাশ ডাক্তারের সাথে কথা বলতে গেল।
– আকাশ সাহেব, সব রিপোর্ট আমরা হাতে পেয়ে বোর্ড মিটিং করেছি।আপনি উনাকে দেশের বাইরে নিতে চাচ্ছেন ঠিক আছে। কিন্তু আমরা এলাউ করছিনা রোগীর অবস্থা দেখে। উনাকে নিয়ে যাওয়াও এখন রিস্কি।
– ডক্টর, আপনারা যেভাবেই হোক ওকে সুস্থ করে তুলুন। যা লাগে তাই ব্যবস্থা করুন। আপনারা বললে এক্ষুনি দেশের বাইরে নিয়ে যেতে আমি প্রস্তুত।প্লিজ নিয়ে যাবার ব্যবস্থা করুন।
– আপনি শান্ত হোন,মি. আকাশ। আপনাকে রোগীর অবস্থা বুঝতে হবে।
শুনুন, আমরা বোর্ড মিটিং শেষ করে আপনাকে ডেকেছি। আপনি মনোযোগ দিয়ে শুনুন।
ব্রেইন টিউমার দুই ধরনের হয়।এক ধরনের টিউমার এমন যায়গায় হয় যে সহজে অপারেশন করা গেলেও পরবর্তীতে রেডিওথেরাপি দিতে হয়।কারণ জীবাণু পুরোপুরি ধ্বংস হয় না। এখানে টিউমার আবারও হতে পারে। এটা ক্যান্সার পর্যন্ত হয়।আরেক ধরনের টিউমার অপারেশন করলে আবার হবার সম্ভাবনা না থাকলেও এটা এমন যায়গা হয় যে অপারেশন করা অনেক রিস্কি। তার উপর অপারেশন পরবর্তী রক্তক্ষরণের ঝুঁকি থেকে যায়।
আপনার স্ত্রীর যে টিউমার সেটা অপারেশন করলে ভালো হতে পারে,তবে এই অপারেশন করা খুবই কঠিন হলেও আমাদের দেশেই এখন এর উন্নত চিকিৎসা আছে। কিন্তু বললাম না, দেশেই হোক আর বিদেশেই এই রিস্ক নিয়েই অপারেশন করতে হবে। অপারেশন ভালো ভাবে শেষ হলে, যদি রক্তক্ষরণ না হয় তবে উনি সুস্থ হয়ে যেতে পারেন।
আপনি উনার স্বামী।রিস্ক যদি নিতে চান আমরা অপারেশন করতে প্রস্তুতি। আর আমাদের সাথে একজন বিদেশী স্পেশালিষ্ট আছেন। উনি একটা সেমিনার উপল্লক্ষে এসেছেন। আপনার ওয়াইফ খুব লাকি, কারণ অনেক আগে থেকে চেষ্টা করেও উনার শিডিউল মিলে না৷
এখন আপনি সিদ্ধান্ত নিন। নিয়ে আমাদের জানান। তবে দ্রুত জানাবেন। অপারেশন করতে হলে রোগীকে আগে থেকেই তৈরি করতে হবে।
আকাশ কিছুসময় দু’হাতে মুখ ঢেকে বসে থাকে। ডাক্তার তারাও আকাশের মনের অবস্থা বুঝতে পারছে। কারণ তারাও রক্তে-মাংসে গড়া মানুষ।
– আকাশ সাহেব, ভেঙে পড়বেন না।এটা লাইফ রিস্ক। দুটো পথ আছে আপনার সামনে।হয় রোগী এভাবে কষ্ট পেয়ে মারা যাবে, না হয় অপারেশন। আর অপারেশন টা একমাত্র আল্লাহ ভরসা। আল্লাহ চান তো উনি আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবেন।
আকাশ নিজেকে স্থির করে নিয়েছে।
– অপারেশন কখন করবেন?
– আগামীকাল আমাদের ও.টি আছে। আমরা চাইছি প্রথম অপারেশন আপনার স্ত্রীর টা করতে। সময় নষ্ট করতে চাচ্ছি না আমরা। রোগীর অবস্থা নিজেই তো বুঝতে পারছেন।
– ঠিক আছে ডক্টর। আপনারা অপারেশনের ব্যবস্থা করেন।
আকাশ টলতে টলতে বের হয়ে আসে।
আমি কখন ঘুমাচ্ছি কখন জেগে উঠছি বুঝতে পারিনা। মাথা অসহ্য যন্ত্রনা করে।হাসপাতালের চার দেয়ালের বাইরে যেতে খুব ইচ্ছে করছে।
আমি যখন থাকবো না তখন তো আর কিছুই দেখতে পাবো না। আমি আকাশ দেখতে পাবো না। আকাশের বাড়িতে পাশাপাশি দুটো শিউলি ফুলের গাছ আছে। যখন গাছে ফুল ফুটতো আমি প্রতিদিন সকালে গাছের নিচে যেতাম। সবুজ ঘাসে যখন শিউলি ফুলগুলো ছড়িয়ে থাকতো, আমার প্রাণ ভরে যেত।আমি বুক ভরে নিঃশ্বাস নিতাম। আর কখনো আমি সেই শিউলি তলায় যেতে পারবো না।
কষ্ট হচ্ছে। ভীষণ কষ্ট। আমার দিন ফুরিয়ে আসছে। ছাদে খোলা বাতাসের দাঁড়িয়ে মেঘ দেখতে পারবো না।
এই পৃথিবীর নিয়ম এতো নিষ্ঠুর কেন?
আকাশ কি করবে যখন আমি থাকবো না? ওর কি খুব বেশি কষ্ট হবে? আমি জানি আকাশ কান্না করবে আমার জন্য। মামার আদর,মামির বকুনিঝকুনি আর শুনতে পাবো না। সাইফ- সুমনা মামিকে লুকিয়ে এটা সেটা আবদার করবে না।
আমার পছন্দের বইগুলোতে ধুলো পড়ে যাবে।সুমনার বিয়ে হয়ে যাবে। কে মুছে রাখবে সেই ধুলো?
আর ভাবতে পারছিনা। মাথা ফেটে যাচ্ছে! উফফ! এতো অস্থির লাগছে কেন আমার?
তখনই একজন নার্স এসে আবারও একটা ইনজেকশন দিয়ে দেয়।
আমার চোখে আস্তে আস্তে ঘুম নেমে আসে।
যখন ঘুম ভাঙলো দেখি আকাশ আমার হাত ধরে বসে আছে।
– আকাশ?
– বলো কাজল।
– আপনি সারাক্ষণ এখানে পড়ে আছেন।ঠিক মতো খাওয়াদাওয়া কিছুই করছেন না।
– আমি সব করছি।তুমি এসব নিয়ে চিন্তা করো না।
আকাশ আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে।
আমি মৃদু হেসে বললাম – আমি জানি আপনি নাওয়া-খাওয়া ফেলে এখানে পড়ে আছেন।
আচ্ছা, ডাক্তার কি বলেছে? আর কতদিন সময় আছে আমার?
এক মাস না এক সপ্তাহ? নাকি আরও কম?
– চুপ,কিসব বলছো তুমি? একদম এসব বাজে কথা বলবা না।
– আকাশ, আপনি ওই গান টা শুনেছেন?
যখন পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ন এই বাটে…..
গানটা বোধ আমার মতো যাদের সময় ফুরিয়ে যায় তাদের জন্য লিখা হয়েছে।
দেখুন আমার সব লেনা-দেনা চুকিয়ে যাচ্ছি।
আকাশ আমার গালে হাত রেখে বললো – কোথাও যাচ্ছো না তুমি। সব লেনা-দেনা বাকি আছে। সব বাকি আছে।
আকাশ কাঁদছে। শব্দ যাতে না হয় অনেক কষ্টে চেপে রাখছে কান্না, কিন্তু চোখ ভেসে যাচ্ছে।
আকাশ কেবিন থেকে বেরিয়ে যায়।।
আকাশ কাঁদছে। কাঁদুক।
কান্না চেপে রাখতে নেই।ভেতর টা চৌচির হয়ে যাবে। আকাশ বাইরে বেরিয়ে পাগলের মতো কাঁদছে!
আমি চোখ বন্ধ করে বুঝতে চেষ্টা করছি। তীব্র যন্ত্রণা হচ্ছে মাথায়। আমি সহ্য করার চেষ্টা করছি।
অনেক টা সময় কেটে যায়। আমার চোখে ভাসছে সেই সে নদীর পাড়,যেখানে আমি রোজ বিকালে বসে থাকতাম। যে নদীর পানিতে পা ডুবিয়ে দিতাম। আকাশের হাতের স্পর্শ পেলাম। কিন্তু চোখ খুললাম না।আমার কষ্ট হয় চোখ খুলে রাখতে।
– জানেন আমাদের বাড়ির পাশেই একটা বড় নদী ছিলো। খুব ইচ্ছে করতো প্রতিদিন একটা বার সাঁতার কেটে নদী পাড় হয়ে ওপাড়ে যাই,কিন্তু আমি যে সাঁতার জানি না। বাবার কড়া নিষেধ ছিলো যাতে পানিতে না নামি।
আর আমি সাঁতার জানি না, তাই পানিতে নামতেও ভয় লাগতো। প্রতিদিন নদীর পানিতে পা ভিজিয়ে বসে বসে দেখতাম। ‘
আমার কথা বলতে খুব কষ্ট হচ্ছে, তবুও ইচ্ছে করছে আকাশের সাথে কথা বলতে।
হয়তো আর কখনো সুযোগ পাবো না। কিন্তু যা বলতে চাইছি সে কথাটাই বলা হচ্ছে না।
সুমনা ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে। আমি শুনতে পাচ্ছি।
কিন্তু কিছু বলিনি ওকে।কাঁদুক।
আকাশ আমার হাত টা ধরে বসে আছে। পাগল লোক একটা। যতক্ষণ আমার কাছে থাকে আমার হাত ধরে বসে থাকে, যেন হাতটা ছাড়লেই আমি অতল গহ্বরে তলিয়ে যাবো।
আসলেই তলিয়ে যাচ্ছি একটু একটু করে।।
দিন ফুরিয়ে আসছে আমার।
আকাশ বুঝতে পারছে আমার কথা বলতে খুব কষ্ট হচ্ছে।কথা জড়িয়ে আসছে মুখে।
– তুমি কথা বলো না। চুপ করে শুয়ে থাকো।আমি তোমার পাশে বসে আছি। তুমি ঘুমাতে চেষ্টা করো।
আমি চেষ্টা করছি ঘুমাতে, কিন্তু ভীষণ যন্ত্রণা করছে মাথায়। এদিকে ঔষধ খাওয়ানোর সময় হয়েছে। নার্স এসে ঔষধ দিলো। আকাশ আমাকে ঔষধ খায়িয়ে দেয়।
আর কথা বলতে পারছিনা, কথা জড়িয়ে যাচ্ছে মুখে।। তাই চুপ করে আছি।
কখন যেন ঘুমিয়ে পড়লাম।
যখন ঘুম ভেঙে যায়, দেখি আজকেও মামা-মামী
এসেছেন। দুজনেই আমার পাশে বসে আছেন। মামা সামনে হুইলচেয়ারে আর মামি আমার হাত ধরে আমার সিটেই বসে আছেন আর বারবার চোখ মুছেন।।
আজ বেশি কথা বলেননি আমার সাথে। যাবার সময় আমার কপালে মামি একটা চুমু দিয়ে যান।আমার চোখে পানি চলে আসে। মামিকে এই প্রথম এভাবে জড়িয়ে ধরলাম। মামিও ধরে রাখলেন উনার বুকের সাথে মিশিয়ে। মনে হচ্ছে কত বছর পরে মায়ের স্পর্শ পেলাম।
মামা-মামী চলে গেছেন।
আকাশ এখানেই ছিলো।
কাছে এসে বসে হাত ধরলো। সে যেন একটা মুহূর্তের জন্য আমার হাত ছাড়াতে চাইছে না।
– কাজল?
– হুম?
কিছু সময় চুপ করে থেকে আকাশ বললো – কাল সকালে তোমার অপারেশন।
আমার অজান্তেই একটা দীর্ঘশ্বাস বাতাসে মিলিয়ে যায়।
– আরও দু’একটা কি সময় পেতাম না আকাশ? অপারেশন করে কি হবে? করলে তো সেই সময় টুকুও পাবো না।
– অপারেশন করলে তুমি ভালো হয়ে যাবে।
আকাশের কথা শুনে মৃদু হেসে বললাম – আর যদি…..
বাক্য টা সম্পূর্ণ করলাম না।
সব কিছু তো পূর্নতা পায় না। অনেক কিছুই অসম্পূর্ণ থেকে যায়। এই বাক্যটাও অসম্পূর্ণ থাকুক।
আহা জীবন! এ যেন কচুপাতায় টলমল করা পানি। একটু এদিক ওদিক হলেই ঝরে পড়বে!
আকাশ আজ অনেক বেশিই চুপচাপ। হয়তো ভয় পাচ্ছে, পাছে ওর মুখের কথায় ওর ভয়, আশঙ্কা আমার কাছে প্রকাশ হয়ে যায়! নয়তো কিছু বলার মতো খুঁজে পাচ্ছে না।
দুপুর গড়িয়ে যাচ্ছে। দুপুরেই কিছু ঔষধ পাল্টে দিয়েছে।অপারেশন এর জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে আগে থেকেই।
আমার এখন যেন কোনো অনুভূতি কাজ করছে না। জানি অপারেশন টেবিলেই হয়তো আমি মারা যাবো। কিন্তু এখন কেন জানি অনুভূতি গুলো কেমন অসার হয়ে গেছে।
আকাশ সুমনাকে বললো – সুমনা, তুমি বাসায় গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আসো।সাইফ সন্ধ্যায় তোমাকে নিয়ে আসবে।
আকাশের গাড়িতেই সুমনাকে বাসায় পাঠালো।
এখন শুধু আকাশ আমার কাছে।। আমি জানি আকাশ সুমনাকে কেন পাঠিয়েছে।
আকাশ চাইছে এখন ও একা কিছুটা সময় শুধু আমার কাছে থাকতে।
আকাশ আমার হাতে ওর মুখ চেপে ধরে আছে।
– কাজল।
– হুম ?
– ‘ তোমার চোখ দুটো ভীষণ সুন্দর। ‘
এই প্রথম আকাশের মুখ থেকে এই কথাটা শুনলাম।
– যেদিন অফিসে জয়েন করেছিলে, সেদিন তোমার চোখের মায়ায় পড়ে যাই। আমার আশেপাশে এতো মেয়ে ছিলো, কিন্তু কেন জানি তোমার চোখ দুটো আমার মনে দাগ কেটে গেছে। আমি তখন বড্ড বেপরোয়া ছিলাম। দাদুর অনুপস্থিতিতে আমি ভীষণ একা হয়ে যাই।তাই এসবে দিন রাত ডুবে থেকেছি।কিন্তু তারপরও আমি সবার চোখে একটা আশ্রয় খুঁজতাম। কিন্তু সবার চোখ জ্বলজ্বল করতো আমার যশ,নাম আর টাকার জন্য।
সেদিন যখন ডেইজির সাথে এমন করলে, তখন আমার ভেতরে আরও নাড়া দিয়ে গেছো।তোমার মুখ সেই প্রথম দিন থেকে ভুলতে পারিনি। আর অইদিন আরো আন্দোলিত করে দিয়েছিলে।
তোমাকে আমার পি.এ. করেছিলাম কেন জানো?
তোমার বিষয়ে সব খোঁজ নিয়েছিলাম। তোমাকে আরও কাছ থেকে জানার জন্য পি.এ. করেছিলাম।
আকাশ একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে – সেই দিন পার্টিতে…
– থাক না আকাশ। কেন পুরনো কথা তুলছেন? বাদ দিন এসব কথা।
– না কাজল, তোমাকে শুনতে হবে।
চলবে…