রহস্যঘেরা বাংলো,(পর্ব_০২)
লাবিবা ওয়াহিদ
খোঁজ করতে করতে মাগরিবের আযান দিয়ে দেয় কিন্তু আফসোস কোনোরকম খবরই পায়নি। তবে এটা জানতে পেরেছি বাংলো টি কয়েক শত বছর পুরোনো। যাইহোক আরও এগোতে নিলাম আলভি হাত ধরে আটকে দেয়।
মিশু- কি হলো আলভি পথ আটকালি কেন?
আলভি- এখন আর খোঁজা ঠিক বলে মনে হচ্ছে না এমনিতেই কাল রাতে তোর উপর হামলা হয়েছে।
মিশু- হুম ঠিক বলেছিস। আচ্ছা চল ফিরে যাই তবে টিউশনি?
আলভি- ফোন করে বলে দিয়েছি দিনে গিয়ে পড়িয়ে আসবো কারণ রাতে পড়ানো টা তোর জন্য টাফ।
মিশু মুচকি হেসে বলে,”বাব্বাহ এতো কেয়ার? বাই দ্যা ওয়ে আই লাইক ইট।”
আলভিও হেসে বলে,”ইয়েস রানীসাহেবা।”
আলভির কথায় মিশু হেসে দিলো তারপর দুইজন একসাথে বাসায় ফিরলো। বাসায় ফিরে ফ্রেশ হয়ে খেয়ে দেয়ে কিছুক্ষণ আড্ডা দিলো বসে বসে। হঠাৎই আলভি বাইরের দিকে খেয়াল করলো। চাঁদের আলোয় চারপাশ টা আলোকিত হয়ে আছে। তা দেখে আলভি বললো,
আলভি- চল ছাদে যাই খুব মজা হবে।
মিশু- এই রাতে কি করতে যাবো?
আলভি- আরে বলদি বাইরে দেখছিস না কতো সুন্দর পরিবেশ চল তো।
বলেই মিশুকে টেনে ছাদের দিকে চললো আলভি। কিন্তু ছাদের দরজায় ইয়া বড় একটা ঝুলন্ত তালা। তালায় জম ধরে আছে দেখে বেশ মনে হচ্ছে এই তালা অনেক বছর হয়েছে খোলা হয়নি।
আলভি- তালার চাবি কই পাবো আর দেখে তো মনে হচ্ছে অনেক বছর কেউ খুলেনি।
মিশু- এখানেও রহস্য আছে আলভি চল আশেপাশে খুঁজি। চাবি পেলেও পেতে পারি।
আলভি- হ্যাঁ ঠিক বলেছিস চল দেখি।
তারপর দুইজন মিলে খুঁজতে শুরু করলো কিন্তু কিছুই পায়না। শেষে নিরাশ হয়ে দুজনই যে যার মতো রুমে শুয়ে পড়ে।
পরেরদিন,
দুইজন খুব ভোরে উঠে পুরো বাড়ি খোঁজ লাগায়। মানে পুরো বাড়ি ঘুরে ঘুরে দেখতে লাগে। কিন্তু ৭০% ঘরই তালাবদ্ধ। বিষয়টা আরও অবাক করালো মিশু আর আলভিকে। দেখতে দেখতে বাংলোর পশ্চিমের একবারে শেষ সীমান্তের রুমে চলে আসলো। রুমটায় তালা ছিলো না বলে ধাক্কা দিলো কিন্তু তবুও খুললো না।
আলভি- কি ব্যাপার ধাক্কা দিলাম খুললো না কেন?
মিশু- আরে দেখছিস না দরজার মধ্যে কতো শেওলা আর জম ধরে আছে। আরও জোরে ধাক্কা দে সাথে আমিও হেল্প করছি।
তারপর দুইজন একসাথে কিছুটা জোরে ধাক্কা দিলো।সাথে সাথেই দরজাটি খুলে আর ১০ ৫টার মতো বাদুর বেরিয়ে আসে। সেগুলা মিশু আর আলভির মাথার উপর দিয়ে জানালা দিয়ে বাইরে চলে যায়। রুমটি একদম অগোছালো আর জঙ্গল জঙ্গল কিছুতা অন্ধকার। একদিক দিয়ে দেওয়াল ফুটো হয়ে গাছের ডাল ঢুকেছে। দেওয়া গুলাও বেশ পুরাতন আস্তর ভেঙ্গে সেখানে শত শত শেওলা জমেছে। কেমন ভুতুড়ে ভুতুড়ে লাগছে রুমটা মিশু আর আলভির কাছে। তারা ভয় না পেয়ে ভেতরে ঢুকলো। ঢুকেই তাদের কেন জানি ফিল হলো এই রুমে কাল রাতেও কেউ ছিলো।
মিশু- দোস্ত আমার কেন জানি মনে হচ্ছে এই রুমে কেউ ছিলো।
আলভি- আমারও তাই মনে হচ্ছে রে। কোনো কিছু তো অবশ্যই ছিলো নইলে দেখ ওই কোণায় কেমন আচড়ের দাগ। এই দাগ বেশি পুরোনো না দেখেই বোঝা যাচ্ছে।
মিশু- হুম ঠিক বলেছিস তবে আগে চাবিগুলো বের করতে হবে। আমার বিশ্বাস সেইসব তালাবদ্ধ রুম গুলোর চাবি এই বাংলোতেই আছে।
আলভি- হ্যাঁ।
বলেই তারা সেই রুম থেকে বেরিয়ে চারপাশ খুঁজতে লাগে। এভাবেই খুঁজতে খুঁজতে সকাল ৯টা বেজে গেলো। দুইজন নিরাশ হয়ে ব্রেকফাস্ট করে বেরিয়ে পরলো টিউশনির জন্য। টিউশনি শেষ করে দুপুর ১২:৩০ মিনিটে দুজন একসাথে ফ্রেশ হলো। তারপর ফ্রেশ হয়ে শাওয়ার নিয়ে খেয়ে নিলো। মিশু ক্লান্ত থাকায় আলভি কে বলে রুমে চলে আসে এবং বিছানায় গা এলিয়ে নিতেই ঘুমিয়ে পড়লো।
,
,
– চাঁদের আলো যেখানেই পড়বে সেখানেই অস্তিত্ব খুঁজে পাবে।
মিশু- বাবা তুমি??
– হুম মা আর দেরি করিস না সময় যে হাতে খুবই কম।
বলেই বাবা অন্ধকারে মিলিয়ে যাচ্ছে। আর মিশু বাবা বাবা বলে দৌড়াতে লাগলো। কিন্তু আফসোস তার বাবাকে খুঁজে পেলো না।
মিশু লাফ দিয়ে ঘুম থেকে উঠলো। ফ্যান চলছে তবুও মিশু ঘেমে পুরো একাকার হয়ে গেছে শীতের দিনেও।আশেপাশে ধ্যান দিতেই আযান শুনতে পেলো। মনে হচ্ছে মাগরিবের আযান। মিশু আর দেরি না করে ওযু করে এসে নামাজে দাঁড়িয়ে গেলো। নামাজ শেষে মোনাজাতে চোখ বন্ধ করে বলতে লাগলো,
মিশু- হে আল্লাহ আমায় শক্তি দাও আর জ্ঞান দান করো যাতে করে এই বাড়ির রহস্য খুব শীঘ্রই ভেদ করতে পারি। তুমিই আমার একমাত্র ভরসা। তোমার সাহায্য সহযোগীতাতেই যে আমি এই রহস্যের উদঘাটন করতে সফল হবো এবং বাবার মৃত্যুর বদলা তাও যে নিতে পারবো।
এগুলো বলেই “আমিন” বলে মোনাজাত শেষ করলো। তারপর রুম থেকে বেরিয়ে নিচে নেমে দেখে আলভি লিভিং রুমে বসে টিভি দেখছে আর হেহে করে হেসে যাচ্ছে। তা দেখে মিশুও গিয়ে আলভির পাশে বসে টিভি দেখতে লাগলো।
মিশু- তুই আমায় ডাকলি না কেন?
আলভি- তুই মরার মতো ঘুমোচ্ছিলি আর চেহারায় স্পষ্ট ক্লান্তি দেখা যাচ্ছিলো তাই আর ডাকিনি
মিশু- কিন্তু তোর ডাকা উচিত ছিলো এতো দেরি….
বলেই মিশু থেমে গেলো আর বাইরের দিকে তাকালো। আলভি মিশুর কান্ডে ভয় পেয়ে গেলো আর বারবার উত্তেজিত হয়ে জিজ্ঞেস করতে লাগলো, “কি হলো হঠাৎ চুপ হয়ে গেলি কেনো? তোর কোনো সমস্যা হয়নি তো? বাইরে কি হয়েছে আমায় বল কিরেএএএএএ????”
মিশু হাতের ইশারায় আলভিকে থামালো এবং চোখ দিয়ে ভরসা দিলো।
মিশু-(আচ্ছা বাবা তখন কি বলেছিলো যেনো? উম…..উফফফ এই দুপুরের স্বপ্ন এই এক ঝামেলা সহজে মনে থাকে না। কি করবো এখন বাবার সেই কথা গুলোতেই যে আমার উত্তর লুকিয়ে আছে। আল্লাহ সাহায্য করো।)
ভেবেই মাথায় হাত দিয়ে নিচের দিকে তাকিয়ে চুপ করে ভাবতে লাগলাম। আলভি আমার এমন অবস্থা দেখে অনেকটাই ঘাবড়ে আছে। আলভি আর চুপ করে থাকতে না পেরে আবার বলে ফেলে,
আলভি- আমায় বলবি না তোর কি হয়েছে?
মিশু একই অবস্থাতেই শান্ত গলায় বললো- আজ বাবা আমার স্বপ্নে এসেছে আলভি।
মিশুর কথা শুনে আলভি যেনো কারেন্টের শক খেলো।
আলভি- মানে কি বলছিস এসব কোনো খারাপ কিছু হয়েছে কি?
মিশু- না তবে কিছু কথা বলেছে যার মাঝে আমার কিছু প্রশ্নের উত্তর লুকিয়ে আছে।
আলভি- কি বলেছে?
মিশু- আরে সেটাই তো মনে পড়ছে না। তুই তো জানিসই দুপুরের স্বপ্ন মনে থাকে না কারোই হাতে গোণা কয়েকজন ছাড়া। এখন কিভাবে কি করবো কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না।
আলভি- মিশু রিলেক্স ঠান্ডা মাথায় ভাব তোর উপর আমার ভরসা আছে। তবে বেশি রাত করে ফেলিস না।
আলভির কথায় মিশুর হালকা কিছু কথা মনে পড়ে।
মিশু- আলভি মনে পড়েছে।
আলভি- কি…কি মনে পড়েছে??
মিশু- বাবা শেষে বলেছিলো সময় হাতে খুব কম আছে।
আলভি- আর? আর আগে পিছে কিছু বলেনি?
মিশু- হ্যা বলেছে কিন্তু কি ঠিক ভাবে মনে নেই এইটুকুই মাথায় আসছে চাঁদের আলো।
আলভি বাইরে তাকালো চাঁদের এখনো ভালোভাবে ছড়ায় নি।
আলভি- আমার সাথে জানালার কাছে চল তো তারপর দেখ কিছু মনে করতে পারিস কিনা যেহেতু চাঁদের আলোর কথা বলেছে।
মিশু- হুম সেই ভালো চল গিয়ে দাঁড়াই।
তারপর আলভি টিভি অফ করে মিশুকে নিয়ে গিয়ে দাঁড়ালো। মিশু চুপচাপ একবার চাঁদের দিকে আরেকবার বাইরের পরিবেশ দেখছে। হঠাৎই কানে এশারের আযান ভেসে আসলো। পিছে তাকাতেই চাঁদের আলোয় নিজের ছায়াটাকে মিশু দেখতে পেলো। তবে স্পষ্ট ভাবে দেখা যাচ্ছে না কারণ পুরো বাংলো লাইট জ্বালানো। তখনই মিশুর মনে পড়ে গেলো তার বাবার প্রথম কথা টা।
আলভি- কি কি বলেছিলো?
মিশু- আগে হাতে দুটো চার্জার লাইট নিয়ে পুরো বাড়ির লাইট অফ কর তারপর বলছি।
আলভি- ঠিক আছে।
বলেই ২টা টর্চ লাইট মানে চার্জার লাইট নিয়ে পুরো বাড়ির লাইট অফ করে দিলো। বুয়া বিকালেই চলে যায় কাজ সেরে তাই সে এখানে নেই। বাড়িতে শুধুই আলভি আর মিশু আছে। চারপাশে ঘুটঘুটে অন্ধকার। মিশু টর্চ লাইট জ্বালিয়ে সব দরজা জানালা খুলে দিলো।
আলভি- তুই ইক্সেকলি কি করতে চাচ্ছিস বলতো।
মিশু- কিছু না আমি যা যা করছি আমায় তাতে হেল্প কর এগুলা অনেক শক্ত।
আলভি- সারাজীবন ওই মুরগি খেলে গায়ে শক্তি হবে কেমনে?
মিশু- ওই তুই কাজের সময় এসে আমায় খোঁটা দিচ্ছিস?
আলভি- খোঁটা কেন দিতে যাবো যা সত্যি তাই বলসি। এই দুনিয়ায় সত্যের কদর নাই।(মুখ বাঁকিয়ে)
মিশু- তোর সত্যি গুলা গায়ে লাগার মতো তাই চুপ থাক তাতেই তোর কদর বাড়বে।
আলভি- ?
মিশু- আচ্ছা এখন দেখ তো কোথায় চাঁদের আলো বেশি পড়ছে?
আলভি- কেন?
মিশু- বাবা বলেছে, “চাঁদের আলো যেখানেই পড়বে সেখানেই অস্তিত্ব খুঁজে পাবে।” এর মানে যেখানে বেশি চাঁদের আলো পড়বে সেখানে নিশ্চয়ই কোনো না কোনো উত্তর পাবো।
আলভি- হ্যা ঠিক বলেছিস। চল উপরে যাই উপরেই হয়তো আলো বেশি পেতে পারি।
মিশু- ওকে।
বলেই দুজন মিলে উপরে গেলো। মিশু দক্ষিণ দিকের একটা রুমের সামনে যেতেই দেখলো সেখানেই চাঁদের আলো সবচেয়ে বেশি। মিহু দরজাটার দিকে তাকালো। দেখে অনেকটাই অবাক হয় কারণ সেই দরজায় অনেক রকমের কারুকাজ করা। এতো সুন্দর কারুকাজ করা দরজা মিশু বা আলভি কখনো চোখেই দেখেনি। আজ সকালেও যখন তালাশি করছিলো তখন দুইজনের কেউই এই রুম খেয়াল করেনি। দরজা ভালো ভাবে খেয়াল করতেই দেখলো সেখানেও তালা। আপাতত সেগুলা খেয়াল না করে দেখলো চাঁদের আলো টা সেই দরজার সামনের পুরোনো পাপশ টায় গিয়ে পড়েছে। তাই পাপশ টা সরালো। পাপশটা সরিয়ে সেই জায়গায় কয়েকটা টোকা দিলো আর বোঝার চেষ্টা করলো এখানে কোনো খালি জায়গা আছে কিনা। টোকা দিয়ে বেশ ভালো বুঝেছে যে নিচে কিছু আছে।
মিশু- আলভি দেখ তো এটা খোলা যায় কিনা।
আলভি- হ্যা দেখছি।
বলেই আলভি কোনো ভাবে সেই সুরঙ্গ টা খোলার চেষ্টা করে এবং সফলও হয়। সেটাতে একটা চাবির গুচ্ছ আছে। সেটা দেখতেই মিশু চাবিটার গুচ্ছ টা হাতে নিলো। তখনই মেঘের বজ্রপাত শুনলো। সেটা শুনে দুজনই প্রচন্ড ভয় পেয়ে যায়। তাই আলভি আর মিশু চাবিটা আবার সেই জায়গায় রেখে সব ঠিকঠাক করে পুরো বাংলোতে আবার সব লাইট জ্বালিয়ে দেয়। এতে যেনো দুজনই হাফ ছেড়ে বাচলো।
মিশু- আই থিংক এখন কিছু করাটা বোকামি হবে তাই এখন এগুলো না এগোনোই ভালো বাইরে বৃষ্টি হবে মনে হচ্ছে।
আলভি- হ্যা সেই ভালো এখন কিছু করলে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলেও ঘটতে পারে।
মিশু- হুম।
বলেই ঘড়ির দিকে তাকালো এবং অনেক অবাক হয়ে গেলো। ১২:১৬ বাজে কি করে সম্ভব?
আলভি- অবাক হওয়ার কিছুই নেই সময় অনেক লেগেছে এমনিতেও।
মিশু- হ্যা আচ্ছা রুমে যা আমিও যাই কাল আবার তাড়াতাড়ি উঠতে হবে।
আলভি- ওকে গুড নাইট।
মিশু- গুড নাইট।
রাতে,,
মিশু ঘুমোচ্ছে এমন সময় তার মনে হচ্ছে সে শূণ্যে ভাসছে কিন্তু অতিরিক্ত ঘুমের জন্য চোখ মেলতে পারছে না। শেষে অনেক কষ্টে চোখ মেললো এবং দেখলো সে স্বাভাবিক ভাবেই নিজের রুমে আর নিজের বেডেই আছে।তবে ঠান্ডা ঠান্ডা ভাব আছে। মিশু আশ পাশ টা চেক করলো।
মিশু- দরজা লক জানালা বন্ধ তবুও এতো ঠান্ডা কেন?গিয়ে দেখি তো কোনো জানালা ফাঁকা আছে কিনা?
মিশু ল্যাম্প জ্বালিয়ে খাট থেকে নেমে আস্তে আস্তে জানালার পাশে যেতে লাগলো। পর্দা সরাতেই এক বিভস্ব চেহারার প্রতিচ্ছবি ভেসে উঠলো থাই গ্লাসে। সেটা আমার দিকে কেমন চাহনীতে তাকিয়ে খিলখিলিয়ে হাসছে। আমি এমন চেহারা দেখে ভয়ে চিৎকার দিলাম আর এই অবয়ক টার হাসির আওয়াজ এতোটাই তীব্র আর ভয়ংকর যে আমার সারা রুমের ফ্লোর,দেওয়াল বারবার কাপছে আর আমার কানের পর্দা ফেটে যাচ্ছে এমন অবস্থা। আমি দুকদম পিছিয়ে পেছনের দিকে দৌড়ে দরজা খুলতে চাইলাম কিন্তু দরজার সামনে আরও কয়েকটা অবয়ক এসে দাঁড়ালো যার কারণে আর সামনে এগোতে পারলাম না। তারা মিশুর দিকে এগোতে লাগলো আর মিশু পিছাচ্ছে আর কাপা কাপা গলায় বলছে,
“সমস্যা কি আপনাদের? আপনারা আমার পিছে কেন লেগেছেন?”
একজন বললো,”বেশি সাহস দেখিয়েছিস তাই আজ তোর শেষ দেখে ছাড়বো। এই বাংলো নিয়ে বেশি বাড়বাড়ি করিস না এটা আমাদের বাংলো এখানে যারা দখল নিতে আসছে তাদের সবাইকে এক এক করে শেষ করেছি। এবার তোর পালা তারপর ওই ছেলেটাকে প্রাণে মারবো।
মিশু- মানে কি আমার বাবা এই বাংলো কিনেছে তাই অবশ্যই আমাদের অধিকার আছে এখানে।
– ভুল করলি এখন তোকে আমরা কাচা চিবিয়ে তোর হাড্ডি গুলো কে আমরা শ….
আর বলতে পারলো না আলভি দরজায় নক করা শুরু করেছে আর মিশু মিশু বলে চিল্লাচ্ছে। অবয়ক গুলা তৎক্ষণাৎ গায়েব হয়ে গেলো। মিশু তাড়াতাড়ি দরজা খুললো আর আলভি কে জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কেঁদে দিলো।
,
,
,
,
,
,
চলবে!!!
(রাতে কেউ ভুলেও আয়নায় তাকাবেন না নইলে ভূতে কামড়াবে।?? কেমন লাগলো অবশ্যই জানাবেন❤️❤️)