রহস্যময়_অদৃশ্য_ধর্ষন পর্বঃ-০৫

0
1402

রহস্যময়_অদৃশ্য_ধর্ষন পর্বঃ-০৫
লেখকঃ-কৌশিক আহমেদ

হুট করেই থানার সামনে এত মানুষ আর মিডিয়া থাকার কারনটা কি.?
যদিও প্রতি দিন একটা করে মেয়ে গায়েব হয়ে যাচ্ছে এটা ঠিক,,কিন্তু তাই বলে এত মানুষের মিছিল.?? কম করে হলেও ২ হাজার মানুষ হবে।
কাহিনী তো ভিন্ন কিছু আছেই,, তা জানার জন্য চলে গেলাম ডিউটিরত সিনিয়র কনস্টেবলের কাছে,,
আর যা জানতে পারলাম এমনিতেই গত কয়েকদিন যাবদ থানায় মেয়েদের মিসিং কমপ্লেনের অভাব নাই,, কিন্তু প্রশাসনের কোন ভ্রূক্ষেপ নেই,, তারমধ্যে গত রাত থেকে উপজেলা চেয়ারম্যানের মেয়েকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না,, গত রাতেও সে তার রুমেই ছিল,, অনেক রাতে চেয়ারম্যানের Wife তার মেয়ের রুমে গিয়ে দেখেন বিছানায় তার মেয়ে নেই,,ওয়াশরুমে গিয়েছে ভেবে অনেকক্ষণ বসে ওয়েট করেও যখন বের হতে দেখেন নি তখন ওয়াশরুমে চেক করতে গিয়ে দেখেন সেখানেও নেই,,প্রথমে ভেবেছিলেন হয়তো মেয়ের সাথে কারোর রিলেশন আছে আর তার হাত ধরে পালিয়ে গেছে গভীর রাতে,, তাই বিষয়টা নিজের মধ্যে রেখে দামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেছিলেন,,কিন্তু সকালে কাজের মেয়ে রুম গুছাতে গিয়ে খেয়াল করে বিছানায় ছোপছোপ রক্তের দাগ যা দেখে পুরো বাড়ির সবাই শিউরে উঠে,,
বিষয়টা ততক্ষণে সবার কিছুটা হলেও ক্লিয়ার হয় যে এটা কোন দূর্ঘটনা ছাড়া আর কিচ্ছু না,,মেয়ে পালিয়ে গেলে রক্তের দাগ লেগে থাকতো না,,চলে আসেন থানায়,, কিন্তু এসে দেখেন উনাদের মতন আরো অনেকেই আসছে সেম কেস নিয়ে।
আর আমরা নিরব ভূমিকা পালন করছি,,কোন পদক্ষেপ না নিয়ে,,, তারপর চেয়ারম্যান তার দলবল নিয়ে,, এলাকার সকল মানুষ নিয়ে,, সাংবাদিক ডেকে বিষয়টা এতদূরে টেনে এনেছেন,,
অলরেডি মিডিয়ার লোকেরা লাইভে এসে সরাসরি সম্প্রচার করছেন বর্তমানের পরিস্থিতি আর থানার অবস্থা,, আমাদের ওসি সাহেব এখনো বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন না,,জানি না কিসের জন্য।
এদিকে উপর মহল পর্যন্ত ছড়িয়ে গেছে খবরটা,
একের পর এক ফোন আসছে,,কি করবো আমরা দিশেহারা হয়ে গেছি।
স্যার আপনি কিছু একটা পদক্ষেপ নিন,,না হয় লোকজন থানায় আগুন লাগিয়ে দিবে বলে হুমকি দিচ্ছে,, জনগণের কেলানির হাত থেকে বাঁচান প্লিজ,,
কোন একটা কিছু করে উনাদের শান্ত করার চেষ্টা করুন প্লিজ,,

কি হচ্ছে তা সব বুঝতে পারছি কিন্তু আমার কি করার সেইটা মাথায় ঢুকছে না।
কিন্তু এতটুকু টের পাচ্ছি আপাতত যদি জনগণকে শান্ত না করা যায় তাহলে অনেক বড় বিপদে পড়ে যাবো।
এদিকে উপর মহল থেকে ফোনের উপর ফোন আসছে,,,পুরো এলাকা কেপে উঠছে,,একদিকে বিদ্রোহীদের স্লোগানে,,আরেকদিকে আত্মীয় স্বজনদের আহাজারিতে,, এদিকে মিডিয়া তো আছেই,, তারা যেভাবে পারছে সেভাবেই নিউজ করছে,,পুরো চাপ প্রয়োগ করছে প্রশাসনের দিকে,,আঙুল তুলছেন তারা,,কিন্তু আসল কাহিনি তো কেউ জানেও না,,বলাও যাচ্ছে না।
নিউজের এমন চাপ পড়ছে যে সারাদেশে মূহুর্তের মধ্যে তোলপাড় শুরু হয়ে গেছে,, মিডিয়া থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, কোন জায়গায় বাদ নেই,,দেশ থেকে এখন দেশের বাহিরেও ঘটনা ছড়িয়ে পড়েছে,,সবটা দোষ যাচ্ছে প্রশাসন মানে আমাদের দিকে,,আমরা কি করছি.?
কেনো পদক্ষেপ নিচ্ছি না..?আমরাও কি জড়িত নাকি.??,এ ঘটনার মুল হোতা কে.?? আমরা কি ঘুস খেয়ে নিরব ভূমিকা পালন করছি নাকি.?
নাকি আমাদের ক্ষমতার বাহিরে কেউ এ বিষয়ে জড়িত,,ইত্যাদি হাজার প্রশ্ন।
তারমধ্যে উপর মহল তো আছেই,,,
অলরেডি ডিসি এসপি এমনকি মন্ত্রী মহোদয় সাহেব পর্যন্ত ফোন করে পরিস্থিতি সামলে নিয়ে পদক্ষেপ নিতে ফোর্স দিচ্ছেন,,এই ঘটনার পিছনে কে বা কারা,, সে যেই হোক না কেনো,,যতটা পাওয়ার ফুল হোক নন কেনো তাকে ইমিডেটলি গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য নির্দেশ দিচ্ছেন,, নির্দেশ বললে ভুল হবে,,রীতিমত ফোর্স করা হচ্ছে।
কিন্তু এদেরকেই বা কি করে বুঝাই যে এটা তো কোন মানুষের কাজ নয় যে চাইলেই তাকে গ্রেফতার করবো।
এদিকে থানার এসির কোন খোজ খবর পাচ্ছি না,,উনার ফোনটাও অফ দেখাচ্ছে,,
এতকিছু ঘটে যাচ্ছে উনি কি কিছুই জানেন না.??
কোন খবর কি পান নাই.??
নাকি খবর পেয়েও নিজে ইচ্ছে করেই নিজেকে আড়ালে রাখছেন..?
থানায় আমার বস থাকতে তো আমি কোন পদক্ষেপ নিতে পারি না,,এটা রুলসের বাহিরে।
কিন্তু পরিস্থিতি সামলাতেই হবে,,
তাই মিডিয়ার সামনে গিয়ে উনাদের আস্বস্ত করার চেষ্টা করলাম,,,

আমিঃ- অত্যন্ত দুঃখের সাথে ভারাক্রান্ত মন নিয়ে সকলের কাছে ক্ষমা চাচ্ছি,,বিশেষ করে যে সমস্ত পরিবার তাদের মেয়ে সন্তান কে হারিয়েছেন।
আমি কয়দিনের জন্য ছুটিতে ছিলাম,,এদিকে ওসি সাহেব এখনো আসেন নি,,উনার কোন খোজ পাওয়া যাচ্ছে না।
তবে আমি আপনাদের কথা দিচ্ছি,, আমি এবং আমার প্রশাসন নিজেদের সব শক্তি প্রয়োগ করে হারানো মেয়েদের খোজ নেওয়ার চেষ্টা করবো।
জানি না উনাদের কি করা হয়েছে,, তবে যদি বেঁচে থাকেন তাহলে অবশ্যই জীবিত অবস্থায় ফিরিয়ে আনার আপ্রাণ চেষ্টা করবো।
আর এমন কোন সমস্যার সৃষ্টি যাতে না হয় সে দিকেও তীক্ষ্ণ দৃষ্টি থাকবে প্রশাসনের।
তবে আমি আপনাদের (মিডিয়া) সাহায্য কামনা করছি,,দয়া করে উল্টো পাল্টা কোন নিউজ না করে আমাদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আসুন নিখোঁজ মেয়েদের খোঁজার চেষ্টা করি,,এবং সামনে একরকম পরিস্থিতি সামলাতে নিজেরা সচেতন হই,,অন্যকে সচেতন করতে পদক্ষেপ নেই।

মিডিয়ার এক সাংবাদিকঃ- খোঁজাখুজি আমাদের কাজ না,,,সরকার কি আপনাদের বিনা বেতনে রাখছেন যে আমাদের সাহায্য চাচ্ছেন.??
আপনরা কি জন্য আছেন যদি এই সামান্য কাজটা না করতে পারেন.??

মাথাটাই দিলো বিগরিয়ে,,,সালার মিডিয়া,, যা মন চায় তাই বলে,,এদের কি সামান্য কমন সেন্স নেই.??
আমরা পুলিশ বলে সব আমাদেরকেই সামলাতে হবে,,.??

আমিঃ- আপনি কি এটাকে সামান্য কাজ বলে মনে করছেন.??
একটা যুবতী মেয়ে,, ঘর থেকে উদাও,,সে এখন পালিয়ে গেছে নাকি তাকে কেউ কিডনাপ করেছে.?
সে কি বেঁচে আছে নাকি মারা গেছেন,,সেইটা বের করা এতটাই সহজ.??
আমরা পুলিশ কি প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে মেয়েদের পাহাড়া দিবো.??
একটা থানায় কতজন পুলিশ থাকে.??
সবার বাড়ি গিয়ে কি পাহাড়া বসানো সম্ভব..?
অলরেডি ছয় জন মেয়ে নিখোঁজ,, প্রতিটা মেয়ের খোজার পিছনে যদি পাঁচ জন করেও পুলিশ নিয়োগ দেওয়া হয় তবুও তো পুলিশ কম পরে যাবে।

মিডিয়াঃ- এই ছয় জন কে তো আর ছয় জায়গার গুন্ডারা কিডনাপ করে নি নাকি.??
যে কোন একটা চক্রই তো করেছে..?
তাহলে আপনারা সেই চক্রকে ধরলেই তো বের হয়ে আসবে সব।

আমিঃ- হুমম আপনি রাইট,,তবে বিষটা যতটা সহজ ভাবে নিচ্ছেন ততটা সহজ নয়,,
যদি কোন চক্র বা মানুষের কাজ হতো তাহলে এতক্ষণে তাদের বের করে ফেলতাম,,কিন্তু বিষয়টা অন্য রকম,,,

আরেকজনঃ- মানুষের কাজ হতো মানে.??
আপনি কি এখন বুঝাতে চাচ্ছেন এটা কোন মানুষের কাজ নয়.??

আরে আল্লাহ গো,,কোন বিপদে ফেঁসে গেলাম।
এরা তো পুলিশের চেয়েও বেশি প্রশ্ন করে,,,
আমার এখানে কথা বলতে আসাই ঠিক হয় নি,,
উল্টো একেকটা প্রশ্নে নিজেই ফেঁসে যাচ্ছি।
যাইহোক এখান থেকে আপাতত সরতে হবে,,না হয় আরো বেশি সমস্যা হবে,,,,

আমিঃ- আমি বুঝাতে চাচ্ছি যারা বিনা অপরাধে এমন কাজ করতে পারে তারা নিশ্চয়ই মানুষের কাতারে পরে না,,এরা সব অমানুষ,,
আর যাইহোক নিজের মধ্যে কথা-কাটাকাটি না করে বরং জাতি দেশ এর ক্লান্তির এমন সময় সবাই মিলে আসুন নিখোঁজ মেয়েদের খোজার চেষ্টা করি,,আর হে আমি আপনাদের মিডিয়ার কাছে একটাই সাহায্য চাইবো,,মানুষের মধ্যে বিব্রতকর কোন নিউজ না করে,,সবাইকে এক হওয়ার আহ্বান করুন,,যার যার যুবতী মেয়ে আছে সবাইকে তাদের মেয়েদের সাথে, কাছাকাছি রাখার পরামর্শ দেন,,আর ইনশাআল্লাহ অতিতাড়াতাড়ি যত দ্রুত সম্ভব আমরা সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করবো।
প্রশাসনের যতটা সম্ভব ততটা সামর্থ্য দিয়ে কাজকে দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যাবো।

আর কোন কথা না বলেই উনাদের সামনে থেকে চলে আসলাম।
কেউ কেউ আমার কথা বুঝতে পেরে ভালো নিউজ করছেন,,কেউবা আবার এমন ভাবে পচাচ্ছেন যা ভাষায় প্রকাশ করার মতন না।
উপস্থিত জনতাকে কোন মতে সামলে নিলাম।
এদিকে ডিসি এসপি দুইজনেই নাকি থানায় আসছেন,,পরিস্থিতি নিজেদের চোখে দেখতে।
বিপদের উপর বিপদ,,
এদিকে এখনো ওসি সাহেবের কোন খোজ নেই,,
না এমতাবস্থায় বসে থাকলে চলবে না।
থানার গাড়ি নিয়ে সোজা চলে গেলাম ওসি সাহেবের বাসায়।
বাসায় গিয়ে বড়সড় ধাক্কা খেলাম,,
রুম ভিতর থেকে লক করা আর এত ধাক্কা-ধাক্কি
করার পরেও কেউ দরজা খুলছে না।
আরেক টেনশনে পড়ে গেলাম।
এক পর্যায়ে কনস্টেবলদের সাহায্য নিয়ে দরজা ভাঙার প্লান করলাম,,কি জানি কোন সমস্যা হল নাকি।

দরজা ভেঙে ভিতরে গিয়ে দেখি সব রুম অন্ধকার।
কোথাও কোন আলোর চিন্হ পর্যন্ত নেই।
দরজা জানালা বন্ধ থাকার কারনে আর লাইট নিভিয়ে রাখার জন্য রুমটা নিকোশ কালো অন্ধকারে আচ্ছন্ন।
আগেও কয়েকবার এই বাড়িতে এসেছি তাই আশপাশটা চিনা ছিল,, সেই ভাবে আস্তে আস্তে পা ফেলছি,,পকেটে থেকে মোবাইলটা বের করে ফ্লাশ অন করলাম,,কেউ নেই,,কিন্তু ঘর তো ভিতর থেকে লক ছিল.??
আস্তে আস্তে পুরো বাসাটা খুজতে শুরু করলাম।
হঠাৎ করেই পাশের রুম থেকে ভেসে আসে বিকট চিৎকার,, দৌড়ে গেলাম সে দিকে,,মূলত চিৎকারটা ছিল আমার এক কনস্টেবলের।
আর সেই রুমে ঢুকে যা দেখতে পেলাম তাতে চোখ চরখগাছ,,নিজের চোখকেই বিশ্বাস করতে পারছি না।
রুমটা ছিল স্টোর রুম,,আর স্টোর রুমের যেখানে ফ্যান ঝুলানোর লাইন করা সেই রডে এক দড়িতে ওসি সাহেব ও উনার সহধর্মিণী দুইজনেই একত্রে ঝুলছেন গলায় ফাঁস লাগিয়ে,, জিব্বা দুইটা দুইজনের বের হয়ে প্রায় বুক পর্যন্ত এসে গেছে।
কি নির্মম সেই দৃশ্য,, চোখ দুইটা প্রায় বেরিয়ে এসেছে,, না আর সহ্য করতে পারছি না।
নিজের আপন বা কাছের মানুষের এমন মৃত্যু কেউ মানতে পারে না,,আগের যে দুইটা মেয়ের মৃত্যু দেখেছিলাম তখনো এতটা খারাপ লাগে নি,,কারন যদিও তাদের মৃত্যুটা বেশি ভয়ংকর ছিল তবুও তাদের কাউকে চিনতাম না,,কিন্তু এরা দুইজনেই পরিচিত, আপন জন কাছের মানুষ।
দেয়ালে হেলান দিয়ে মাথা থেকে ক্যাপটা খুলে বসে পড়লাম ফ্লোরে,,না কি হচ্ছে এসব.?
আমার জানা মতে ওসি সাহেবের কোন শত্রু ছিল না,,তিনি ছিলেন নির্ভেজাল মানুষ।
শত্রুতা থেকে দূরে থাকতেন, সবার সাথে ভালো ব্যবহার করতেন,,,এমনকি কোন অপরাধীর সাথেও।
যে অপরাধীই থানায় আসতো,,কয়েকদিনের মধ্যেই উনার সাথে বন্ধুত্ব পুর্ন সম্পর্ক হয়ে যেতো।
তাছাড়া ব্যাক্তি জীবনেও ছিলেন সুখি,,দুইজনেই সুখি,,সংসার জীবনের গল্প উনার থেকে শুনেছি বহুবার,,কোন দিন দুই কথা হয় নি উনার স্ত্রীর সাথে। দুইজনেই ছিলেন পরহেজগার,, পাচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতেন,,
তাহলে কেনো তিনি আত্মহত্যার মতন জগন্য পথ বেছে নিলেন.?? ?
আর মার্ডার..???
সেইটা অসম্ভব,, যেহেতু কোন শত্রু নেই তাহলে তাকে মার্ডার করবে কে.??
বিষয়টা ডিসি এসপি পর্যন্ত পৌছে গেল,,উনারা থানা না এসে সরাসরি চলে আসলেন ওসি সাহেবের বাসায়,, এদিকে মিডিয়া ভিন্ন নিউজ ছাপাতে শুরু করলো।
কেউ বলছে নিজের দ্বায়িত্বের অবহেলার জন্য এতগুলো মেয়ের নিখোঁজ হয়েছে আর সেই বিষয় প্রচার হওয়ায় লজ্জায় ঘৃনায় আত্মহত্যা করেছেন উনি ও উনার স্ত্রী।
আবার কেউবা বলছেন পারিবারিক সমস্যার জের ধরে আত্মহত্যা করেছেন,,
কেউবা আবার বলছেন মার্ডার হয়েছেন।
তবে আত্মহত্যার কথাটাই বেশি প্রকাশ পাচ্ছে।
এটা আমাদের পুলিশ প্রশাসনের জন্য লজ্জা জনক।
কিন্তু আমাদের কিচ্ছু করার নেই,,
লাশ দুইটা দ্রুত ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হল হসপিটালে,,এদিকে ডিসি এসপি সহ উর্ধতন কর্মকর্তা সকলেই হাসপাতালে উপস্থিত হলেন,
দ্রুত গতিতে প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দিলের ডাক্তার আর তাতে স্পষ্ট যে এটা সম্পূর্ণ নিজ ইচ্ছায় আত্মহত্যা তবে আত্মহত্যা করার আগে উনারা দুইজনেই অনেক টেনশনে ছিলেন,,প্রাথমিক পর্যায়ে এই রিপোর্টটাই আসে।
এই নিউজ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে,,
পুরো মিডিয়া এখন আত্মহত্যার নিউজ নিয়ে পড়ে আছে।
এসপি সাহেব মিডিয়ার সামনে গিয়ে হাল্কা পাতলা কথা বলে আস্বস্ত করলেন দ্রুত কেসের সমাধান হবে।
আর লাশ পাঠিয়ে দিলেন দাফনের জন্য।
এদিকে ওসি সাহেবের এক মাত্র মেয়ের কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
এ নিয়ে আরো টেনশনে পড়ে গেলাম,,
উর্ধতন কর্মকর্তা সকলেই মিলে সেই রাতেই একটা মিটিং এর আয়োজন করলেন থানায়,, ওসি না থাকাতে সব দ্বায়িত্ব আপাতত আমাকেই পালন করতে হবে,,
স্যারেরা ডিনার করতে একটা রেস্টুরেন্টে গেলেন আর আমি কনস্টেবলদের দিয়ে গোছগাছ করাচ্ছি।
একটা চেয়ারে হেলান দিয়ে বসে আছি।
মাথায় শুধু একটাই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছিলো কিভাবে শয়তানটাকে বদ করা যাবে।

কিভাবে বুঝাবো স্যারদের যে এটা কোন মানুষের কাজ নয়,,এটা কোন অশরীরীর কাজ যে কিনা অনেক ভয়ংকর,, যাকে অন্য সব জ্বীনেরাও ভয় পায়।আপাতত তো শয়তন ধমনের আগে মেয়েদের নিখোঁজ হওয়া আটকাতে হবে,কিন্তু কিভাবে.??
আরেকটন প্রশ্ন,, ওসি কেনো আত্মহত্যা করবে??
হঠাৎ করেই একটা বিষয় মাথায় আটকে গেল,,
যদি এরকমই হয়ে থাকে তাহলে অন্তত পক্ষে আটকানোর চেষ্টা করা যাবে,, বিষয়টা হচ্ছে…?
।।।
।।।।।
।।।।।।।
।।।।।।।।।
।।।।।।।।।।।।
।।।।।।।।।।।।।।।
গল্পের পরের পর্ব আগামীকাল দেওয়া হবে ইনশাআল্লাহ।
মতামত জানিয়ে পাশে থাকবেন ধন্যবাদ সবাইকে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here