রহস্যময়_অদৃশ্য_ধর্ষন পর্বঃ-০৯

0
1328

রহস্যময়_অদৃশ্য_ধর্ষন পর্বঃ-০৯
লেখকঃ-কৌশিক আহমেদ

আমি আস্তে আস্তে নিস্তেজ হয়ে পরি,,মাটিতে লুটিয়ে পরি,,,,,ওরা আমাকে জ্যান্ত পুড়িয়ে মারবে,,আগুনের কাছে নিয়ে যায়,, জলন্ত আগুনে নিক্ষেপ করে,,,
সবাই মিলে অট্র হাসিতে ফেটে যাচ্ছে,, হো হো করে হাসছে সবাই মিলে,, তাদের হাসির সামনে সুমিতের কান্না স্থান পাচ্ছে না,,মিলিয়ে যাচ্ছে অতলগর্তে,,,
এমন সময় বিদ্যুৎ গতিতে পর্ব পাশ থেকে আগুনের গোলা আসছে,,মনে হচ্ছে কেউ বোমা মেরেছে,,এত দ্রুত আর এতটা প্রখর ভাবে আসছে যে সেখানে থাকা পিশাচ পিশাচী তান্ত্রিক আর দুষ্টু জীনেরা ভয়ে আতংকে একত্রিত হয়ে বিরবির করে কি যেন বলছে,,,
আগুন গোলাটা কুন্ডলী পাকিয়ে আস্তে আস্তে চারপাশে বৃত্তাকারে ঘুরছে,,
শয়তানের দল গুলো ভয়ে আহাজারি করছে,, কি হচ্ছে এসব কিচ্ছু মাথায় আসছে না।
আগুনের গোলাটা চারপাশে কয়েকবার বৃত্তাকারে ঘুরলো আর এ সময় আশেপাশের সব কিছু তুলার মতন উড়ছে তার সাথে।
সুমিতও ততক্ষণে অজ্ঞান হয়ে গেছে ভয়ে।
আমিও প্রায় মরে যাওয়ার অবস্থায় চলে এসেছি,,সারা শরীরে আগুন লেগে গেছে,,আগুনের গোলাটা প্রথমে আমাকে ফেলা আগুন ঝাপ দেয়,,,
ভয় পাবো নাকি সাহস,, বুঝতে পারছি না তখনো,, অদৃশ্য একটা হাত আমাকে আগুন থেকে আস্তে আস্তে উপরে তুলছে,,আমি কিচ্ছু বুঝতে পারছি না,,আগুনের গোলার ভিতর থেকে হাত আসলো কোথায় থেকে,, কিন্তু তখন শুধু এটাই মনে হচ্ছে, এ যেই হোক,,সে আমার উপকার করার জন্য এসেছে,,উনাকে বিশ্বাস করাই যায়,,আমিও ঝাপটে ধরি সেই অদৃশ্য হাত অনুসরণ করে,,আমাকে আস্তে আস্তে শূন্যে তুলছে আগুন থেকে,,যদিও সেটাও আগুনের লেলিহান শিখা কিন্তু আমি তার আগুনে পুড়ছি না,,আমার কাছে মনে হচ্ছে কোন শিতল হাত আমাকে উদ্ধার করছে আগুন থেকে।
আস্তে আস্তে শূন্যে ভাসিয়ে আমাকে সেভ জায়গায় রাখে,, আর এতক্ষণে পিশাচ, শয়তান তান্ত্রিক তাদের সবটা শক্তি প্রয়োগ করার জন্য প্রস্তুত,,
সবাই এক যোগে মন্ত্র উচ্চারণ শুরু করলো।
বিকট শব্দে মন্ত্র উচ্চারণ করছে,,পুরো পাহাড় কেপে উঠছে তাদের মন্ত্র উচ্চারণের শব্দে।
অর্ধেকের বেশি পিশাচ একত্রিত হয়ে বিশাল আকৃতি ধারন করলো,,,বুঝা যাচ্ছে সবার শক্তি মিলিয়ে আমাকে যে উদ্ধার করছে তার সাথে যুদ্ধে নামতে প্রস্তুত শয়তান গুলা।
সবাই এক যোগে আগুন নিক্ষেপ করছে আমাকে উদ্ধার করার আগুনে কুন্ডলীতে,,
কিন্তু প্রতিবার তারা ব্যার্থ হচ্ছে,, হঠাৎ আমাকে উদ্ধার করা সেই আগুনটা সামনের দিকে চলতে শুরু করলো,,এক নিমিষেই মাটির সাথে মিশিয়ে ফেললো পিশাচ গুলোকে,,পিশাচ গুলোর আহাজারি আত্বচিৎকার ভেসে আসছে কানে,,পুরে মরে যাচ্ছে আমার চোখের সামনেই।
বাকি যারা একত্রিত হয় নি তাদের দিকে ছুটতে শুরু করলো আমাকে উদ্ধার করা আগুনের গোলাটা,,চারপাশের ধুলাবালি একত্রিত হয়ে তার পিছনে ছুটছে,,এতটা দ্রুত আর অস্পষ্ট হওয়ার কারনে আমি কিচ্ছু দেখতে পাচ্ছি না তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই সব ধুলাবালি পরিষ্কার হতে শুরু করলো আর ততক্ষণে দেখি সব পিশাচদের মাথা মাটিতে পরে আছে আর পিশাচ গুলো ঠায় দাঁড়িয়ে।
এবার তান্ত্রিকের পালা,,
তান্ত্রিক কড়জোরে ক্ষমা চাচ্ছে,, কিন্তু আগুনের গোলাটার মধ্যে কোন মায়া বা ক্ষমা নেই,,সে নিজের আপন গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে,,মূহুর্তের মধ্যে চোখের পলকেই তান্ত্রিকের একদম কাছে গিয়ে পৌঁছাল আমি বা তান্ত্রিক কিছু বুঝে উঠার আগেই।
তান্ত্রিকের হাতে থাকা রাম দা নিয়ে নিয়েছে নিজের হাতে,যদিও আমি কোন হাত দেখতে পাচ্ছি না তবে মনে হচ্ছে হাতেই নিয়েছে।
সজোড়ে তান্ত্রিকের হাতে কুপ বসিয়ে কেটে ফেললো ডান হাত,,,ডান হাত মাটিতে পরে গেল,, জোরে চিৎকার করে উঠলো তান্ত্রিক,,,জিব বেরিয়ে আসলো তান্ত্রিকের,,,অদৃশ্য হাতটা জিব ধরে টেনে বের করলো প্রায় অর্ধেক হাত,,জিবটা কেটো ফেললো আমার চোখের সামনেই,, কি ভয়ংকর সেই দৃশ্য,, এমন ভাবে প্রতিশোধ নিচ্ছে মনে হচ্ছে কত জনমের শত্রুকে ধমন করছে আগুনের গোলাটা।নৃশংস ভাবে হত্যা করচে সবাইকে,,, আমি এটা দেখে নিজের সেন্স ধরে রাখতে পারলাম না,,সাথে সাথে অজ্ঞান হয়ে গেলাম।
জ্ঞান ফিরে আমার মুখের উপর পানির ছিটায়,, তখন কারোর কোলে করে আমি শূন্যে ভেসে নামছি পাহাড়ের চূড়ায় থেকে,,মানে খুব একটা সময় আমি অজ্ঞান ছিলাম না।কিন্তু কিসের পানি পড়লো সেইটা দেখতে ভালো করে তাকাতেই অবাক হয়ে গেলাম,,মাথাটা বনবন করছে।
কি করে সম্ভব এটা..?
না নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছি না।
কারন এটা স্নেহা,,,
পিঠে পরীদের মতন পাখা লাগানো,,আর একটু আগেই যা দেখলাম তাতে নিজের চোখকে কোন ভাবেই বিশ্বাস করাতে পারছি না,,
স্নেহা তো মানুষ হয়ে গেছে,, তাহলে কিভাবে পাখা আসলো,,কিভাবে এত শক্তিধর হল,,কিভাবে এত গুলা পিশাচকে একাই দমন করলো.??
নাহহহহ আমি ভুল দেখছি,,এটা কোন ভাবেই স্নেহা হতে পারে না,,হয়তোবা স্নেহার রুপ নিয়ে অন্য কেউ এসেছে।
কিন্তু মেয়েটির চোখ দিয়ে টপটপ করে পানি পড়ছে আর সেই পানির ছিটা লেগে আমি হুঁশে ফিরছি,,যদি অন্য কেউ হয় তাহলে আমার জন্য নিজের জীবন বাজি রেখে বাচাবে কেন.??
আর কান্নাই বা কেনো করবে,,,

নাহহ কিচ্ছু মাথায় আসছে না,,যতই ভাবি ততই চক্কর দিচ্ছে মাথায়।
আমাকে মাটিতে রেখে আবার উড়াল দিলো,,
এবার সুমিত সাগরকে নিয়ে আসলো,,ওদেরো আমার মতন নিচে নামার সময় হুঁশ আসছে,,ওরাও অবাক,,আমার দিকে তাকাচ্ছে একবার আরেকবার স্নেহার দিকে,,সরি স্নেহা নাকি কে তা তো জানি না।
গাড়ি করে বাসার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলাম,,কারোর মুখে কোন কথা নেই,,সবাই নির্বাক নিস্তব্ধ।
আশ্চর্য হয়ে ওরা দুইজন তাকিয়ে আছে স্নেহার রুপ নিয়ে থাকা পরী বা কি বলবো জানি না ঐটার দিকে,,আমি এক দৃষ্টিতে রাস্তার দিকে তাকিয়ে গাড়ি চালিয়ে আসছি,,এমনিতেই শরীরের বিভিন্ন জায়গায় পুড়ে গেছে,, কিন্তু স্নেহার রুপ দেখে যে অবাক হইছি তাতে পুড়ার কষ্টটা মনেই হচ্ছিল না।

বাসার সামনে এসে গাড়ি ব্রেক করলাম,,এতক্ষণ কোন ধান্দায় গাড়ি চালিয়ে এসেছি জানি না কিছুই।
তখনো সকাল হয় নি,,,
গাড়ি থেকে নেমে রুমের উদ্দেশ্য পা বাড়ালাম,, স্নেহার রুপ নেয়া মেয়েটা তখনো আমাদের সাথেই,, আমাদের সাথেই রুমে গেল,,একদম আমার বেড রুমে,,,সুমিত সাগর ওরাও আমার সাথে,, বেড রুমে গিয়ে জানালার পাশে গিয়ে বাহিরের দিকে তাকিয়ে আছে মেয়েটা,,
সুমিত সাগর আমার কাছে এসে ফিসফিস করে বলছে,,
সুমিতঃ- ভাইয়া,, এটা কে.??
দেখতে তো হুবহু ভাবির মতন,,,

সাগরঃ- ভাইয়া ভাবির কি জমজ কোন বোন ছিল.??

আমিঃ- আরে ধুর,, না,,থাকলে তো জানতে নাকি.?
কিন্তু কে তা তো আমিও জানি না।

সুমিতঃ- জিগ্যেস কর না কেন কে এটা.??
এমনিতেই যা দেখেছি তাতে কিন্তু ভয়ে গলা শুকিয়ে গেছে আজ,,আবার না জানি কোন নতুন বিপদে পড়তে হয়,,এমনো তো হতে পারে যে এটা আমাদের শত্রু,,আর ভাবির রুপ নিয়ে আমাদের বাঁচানোর ছলনা করে নিজের কাজ হাছিল করবে।

কথায় তো যুক্তি আছে কিন্তু জিগ্যেস করি কিভাবে,, মানে শুরুটা করাবো কিভাবে..?
ভয়ের চেয়ে আমার মধ্যে কৌতুহলটা বেশি কাজ করছে,,কৌতুহল নিয়ে জিগ্যেস করতে যাবো,, শুধু জাস্ট বলেছি তুমি,,,,, এতটুকু বলার সাথে সাথে বাঘের মতন গর্জন দিয়ে উঠে পিছনে ফিরে তাকায়,,
ওর চোখ দেখে আর গর্জন শুনে ভয়ে বিছানা থেকে পরে যাই তিনজনেই,,
,,
মেয়েটাঃ- ঐ তোর কত্ত বড় সাহস সামান্য একটা এস আই এর চাকরি পেয়ে তুই এত ভয়ংকর পিশাচ দমন করতে যাস,,ঐ তোর কি এমন শক্তি আছে যে তুই ঐখানে গিয়েছিলি.??
তুই কি ওদের গুন্ডা মাস্তান মনে করিস যে তোর কোমড়ের পিস্তল দিয়ে কাবু করবি.??
ওরা কেমন তা না জেনেই হিরো সাজতে গেছিস,,
এটা কোন নাটক সিনামা না যে হিরো জিতবেই।
কিছু না থাকলেও হিরোকে পরাজিত করতে পারবে না।???
আজ যদি তোর কিছু হয়ে যেতো তাহলে আমি কাকে নিয়ে বাঁচতাম ???
বলতে বলতে কান্নায় ভেসে গেল,, চোখের জ্বলে ফ্লোর ভিজে টইটম্বুর হয়ে গেছে।
কাঁদতে কাঁদতে ফ্লোরে হাঁটু গেড়ে বসে পরলো।
আবার বলতে শুরু করলো,,,
মেয়েটাঃ- তোরে আমি কত বার জিগ্যেস করেছি কোন সমস্যার মধ্যে পরেছিস নাকি,,কোন সমস্যা বা বিপদ আছে নাকি সামনে,,কিন্তু তুই আমার কোন কথার উত্তর দেস নি,,???
আজ যদি আমি না থাকতাম???
,,
এতক্ষণে শিওর হলাম এটা স্নেহাই হবে,,
কিন্তু ওর রাগের কারনটা যদিও বুঝতে পারছি তাতে পাত্তা না দিয়ে কৌতূহল মিটাতে,,,

আমিঃ- কিন্তু তুমি এখানে কিভাবে,, কে বললো আমার কথা,, কিভাবে জানলে আমি ঐ জায়গায়,, আর তুমি তো তোমার সব শক্তি হাড়িয়ে ফেলেছিলে,,তাহলে ফিরত পেলে কিভাবে,, আর আমার জানা মতে তো তোমার এতটা শক্তি ছিল না,,কই পেলে এত শক্তি????

স্নেহাঃ-আমি তোমাকে ভালবেসে আমার নিজের শক্তি নষ্ট করছি,,,আবার তোমাকে ভালবেসেই নিজের শক্তি কয়েকগুণ বেশি করে ব্যাক করছি।
আমি তোমার কোন ক্ষতি হতে দিবো না,,আমি বেঁচে থাকতে তোমার বিন্দু মাত্র ক্ষতি কেউ করতে পারবে না,,,যতবার কেউ ক্ষতি করতে আসবে ততবারই আমি ব্যাক করবো,,,

বাহ বাহহ আমার বউটা তো বাংলা সিনামার ডায়লগ মুখস্থ করে ফেলছে রে,হিহিহিহি হাসি পাচ্ছে,, কিন্তু কৌতুহল তো এখনো মিটে নি,,

আমিঃ- আমি কিন্তু আমার প্রশ্নের উত্তর পাই নি..?

স্নেহাঃ- তুমি আমার আব্বুর সহচরকে সব জানাইছো,,,উনার থেকে সাহায্য নিয়েছো তাই তো.??

আমিঃ- হুমমম তা তো হাল্কা পরামর্শ নিছিলাম।

স্নেহাঃ- উনি জানেন তুমি কতটা বোকামি কাজ করতে যাচ্ছিলে,,তোমাকে তো মানাও করেছিল কিন্তু তুমি শুনো নি,,,তাই উনি আমার কাছে চলে জান,,সব খুলে বলেন,,আমি আগেই সন্দেহ করেছিলাম কোন একটা সমস্যা হচ্ছে তোমার,, তাই উনার থেকে শুনে শিওর হলাম,, আব্বুকে ডাকি,,উনি উনার দলবল সহ বাসায় আসেন,,
উনার কাছে সব বলার পর পরামর্শ দেন,,একজনের পক্ষে বা সবাই মিলেও এসে তান্ত্রিক বা ঐ পিশাচটার ক্ষতি করতে পারো বনা,,উল্টো নিজেরাই ক্ষতিতে পরবো।
উপায় খুজতে গিয়ে বৃদ্ধ এক জ্বীন দাদু বলেন,,আমাদের রাজ্যে নাকি অনেক শক্তিধর একটা শক্তি আছে যা হাজারটা জ্বীন পরীর সমতূল্য।
সেইটা সযত্নে রেখে দেওয়া হয়েছিল,, কেউ কখনো ঐটা ট্রাই করে নি,,,ঐ শক্তিটা যদি প্রয়োগ করা হয় তাহলে হয়তো-বা সম্ভব হবে পিশাচটা দমনের,,কিন্তু ঐটা অনেক মূলবান,,আর সব চেয়ে বড় কথা হচ্ছে কেউ চাইলেই ঐটা প্রয়োগ করতে পারবে না,,এমন কেউ পারবে যে তার জ্বীন বা পরী শক্তি হারিয়ে ফেলেছে,,একমাত্র সেই ঐটার যোগ্য,, অন্য কেউ প্রয়োগ করলে সঙ্গে সঙ্গেই মৃত্যু হবো।
তবুও তারো ক্ষতি হতে পারে,,সেও মারা যেতে পারে,,
আর আমাদের ঐখানে শুধু মাত্র আমিই ছিলাম যে পরী শক্তি হারিয়ে ফেলেছি,,,তাই তোমাকে বাঁচাতে,, এই পৃথিবীতে শান্তি ফিরিয়ে আনতে আমি ঐটা প্রয়োগ করতে রাজি হই,,কিন্তু বাকিরা অনেক মানা করে,,যেহেতু সেখানে মৃত্যুর ভয় আছে,,কিন্তু আমি কারোরই কথা শুনি নি,,শেষে বাধ্য হয়ে উনারা আমার হাতে তুলে দেন ঐ শক্তিটা,,আর আল্লাহর রহমতে আমার কোন ক্ষতি হয় না।

বাকিটা তো তোমাদের চোখের সামনেই ঘটলো।

স্নেহার কথা শুনে সুখের অশ্রু টলটল করছে আমাদের সকলের চোখে।
স্নেহার প্রতি ভালবাসা আরো কয়েকগুণ বেড়ে গেল।
সত্যি ভাগ্যক্রমে এত সুন্দর বউ পাইছি,,হিহিহিহি পরী বউ???
স্নেহাকে জড়িয়ে ধরলাম শক্ত করে,, ঠোঁটে মুখে কপালে কিস করলাম খুশিতে ইচ্ছে মতন।
লজ্জায় স্নেহা লাল হয়ে গেছে,,,
আমি তো ভুলেই গিয়েছিলাম যে এখানে সুমিত সাগর আছে,,ছিহহহহ কি লজ্জা ??
স্নেহা আমাকে সরিয়ে দিয়ে জানালার কাছে চলে মুখ ঘুরিয়ে নিলো লজ্জায়,, সুমিত সাগর লজ্জা পেয়ে রুমে থেকে দৌড়ে পালালো????
আমি দরজাটা কোন রকম আটকিয়ে দিয়ে পিছনে থেকে স্নেহাকে জড়িয়ে ধরলাম শক্ত করে,, স্নেহার ঘাড় থেকে বুক পর্যন্ত একটা হাত আরেক হাত স্নেহার পেটে দিয়ে টেনে বুকের ভেতর মিশিয়ে ফেললাম,,আর আরেক ঘাড়ে মুখ গজে দিলাম,,লজ্জায় স্নেহা চোখ বন্ধ করে ফেললো,,কিস করছি স্নেহার ঘাড়ে,,আস্তে আস্তে গাল টেনে এনে গালে,,,এক টানে আমার দিকে ঘুরিয়ে ফেললাম,,এবার স্নেহার দিকে তাকিয়ে পাগল হয়ে গেলাম,,লজ্জায় স্নেহার গোলাপের পাপড়ির মতন ঠোঁট দুইটা কাঁপছে,, আর সহ্য হল না,,নিয়ে নিলাম মুখের ভিতর,, উল্টো পাল্টা কিস শুরু করলাম,,স্নেহা কাঁপছে,, কেমন জানি শব্দ করছে যা আরো পাগল করে দিচ্ছে আমাকে,,কোলে করে বিছানায় শুয়ে দিলাম,,এরপর,,,,, ইতিহাস ????আর শুনতে হবে না,,,পরী বউটা লজ্জা পাচ্ছে।
এর মধ্যে আজান ভেসে আসলো,, গোসল সেরে নামাজ পড়ে নিলাম,,যদিও গোসল করতে খুবই কষ্ট হচ্ছিল,,কত কত জায়গায় পুড়ে গেছে আমার।
নামাজ শেষে স্নেহা কি জানি একটা গাছের পাতা ভেটে লাগিয়ে দিল ক্ষতস্থানে,, মূহুর্তের মধ্যেই ব্যাথা উদাও,,,আর আস্তে আস্তে দাগ মিশে যাচ্ছে।
এদিকে স্নেহা সকালের নাস্তা রেডি করলো,,
নাস্তা খাওয়ার সময় স্নেহা হুট করেই বলে বসলো,,
স্নেহাঃ- ওহহহ সিড,,আমি তো ভুলেই গিয়েছিলাম।
আমাদের আজকেই একটা হুজুরের সাথে দেখা করতে হবে,,আমাকে আব্বু বলে দিয়েছেন,,উনার নাম বললেই হুজুর চিনে জাবেন,,আর উনি আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে সাহায্য করবেন।

খাওয়া শেষ করে হুজুরের ঠিকানা অনুযায়ী চলে গেলাম,,,গিয়ে দেখি হুজুর বাড়িতেই বসে আছেন,,
স্নেহাকে দেখেই হুজুর কি জানি মন্ত্র বা সূরা পড়তে শুরু করলেন,,আমি কোন ভাবে আটকালাম।
বললাম স্নেহা পরী হলেও আমার বউ আর বাকি সব বললাম এবং পরিচয় দিতেই চিনে গেলেন হুজুরটা,,সব খুলে বলার পর উনি জানালের কিভাবে দমন করা যাবে পিশাচটাকে,,
উপায়টা হচ্ছে….???
।।।
।।।।।
।।।।।।।।
।।।।।।।।।।
।।।।।।।।।।।
।।।।।।।।।।।।।।।
গল্পের পরের পর্ব

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here