রহস্যময়_অদৃশ্য_ধর্ষন সূচনা_পর্ব

0
3022

রহস্যময়_অদৃশ্য_ধর্ষন সূচনা_পর্ব
লেখকঃ-কৌশিক আহমেদ

[সম্পূর্ণ কাল্পনিক ভাবে লেখা]

ঘুম থেকে উঠে খেয়াল করি আমি বিছানা থেকে প্রায় তিন চার হাত উপরে শূন্যে ভেসে আছি।
আমার নগ্ন শরীরটাতে কোন একটা কিছু পেছিয়ে রেখেছে।
আমি কখনো নগ্ন অবস্থায় ঘুমাই নি,এরকম ভাজে অভ্যাস আমার কখনো ছিল না।
স্পষ্ট বুঝতে পারছি আমার নগ্ন শরীরে কোন একটা কিছু পেছিয়ে রেখেছে পিচ্ছিল জাতীয়।
ভয়ে গা শিউরে ওঠে।
রুমটা নিকশ কালো অন্ধকার।
রুমের লাইট না জ্বালানো থাকাতে কিচ্ছু দেখতে পারছি না।
ভয় আর আতংকে চিৎকার করে শব্দ করতে গিয়েও ব্যার্থ।
গলা দিয়ে কোন আওয়াজ বের হচ্ছে না।
নিজের চিৎকার নিজেই শুনতে পাচ্ছি না।
ভয় আরো ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে, কে কা কি আমাকে পচেছি রেখেছে তা জানি না তবে এতটুকু টের পাচ্ছি এটা সাপের মতন কিছু একটা হবে।
প্রথমে ভাবলাম হয়তোবা স্বপ্ন দেখছি,,কিন্তু সেই ভাবনায় ছেদ পড়ে কিছুক্ষণের মধ্যেই।
কিছু বুঝে উঠার আগেই আমার যৌনাঙ্গে কিছু একটা প্রবেশ করে যা অনেক মোটা আর লম্বা।
ব্যাথায় ধম বন্ধ হয়ে আসছে,,সঙ্গে সঙ্গেই রক্ত বেরিয়ে যায়।
ব্যাথা আর ভয়ে অনেক জোরে চিৎকার করে উঠি কিন্তু আমার মুখ কোন একটা অদৃশ্য হাত চেপে ধরে।
অসহ্য যন্ত্রণা হচ্ছে,, ক্ষনিকের জন্য মনে হল এখুনি মারা যাবো যন্ত্রণায় কাতরাতে কাতরাতে।
হঠাৎ করেই বাহিরে বিদ্যুৎ ঝলকানিতে রুমে কিছুটা আলো পরে আর তাতে স্পষ্ট দেখতে পাই আমার পুরো শরীরটা একটা বিশাল আকৃতির সাপ পেচিয়ে রেখেছে আর সেই সাপটাই আমার সাথে যৌন মিলন করছে।
এবার যতটা না ভয় তার চেয়ে বেশি কৌতূহল মনের ভিতর ভাসা বেঁধেছে,,একটা সাপ কি করে মানুষের সাথে যৌন মিলন করতে পারে, আর আমি কিভাবে বিছানা থেকে এতটা উপরে শূন্যে ভাসছি, কিভাবে সাপ আমার রুমে প্রবেশ করলো.?,কিভাবে আমার সারা শরীরের পোশাক খুলে গেল.??
এবার ভয়ের মাত্রা আরো কয়েক গুন বেড়ে গেছে, গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে যাচ্ছে।
নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারছি না।
এমনতা অবস্থায় কারোরই পক্ষে সম্ভব না নিজের হুশ ধরে রাখা,, একে তো এমন অস্বাভাবিক ঘটনা তার মধ্যে অসহ্য যন্ত্রণা।
জীবনে কখনো সেক্স নামক শব্দটার সাথে পরিচিত হই নি,,কিন্তু আজ প্রথম বার তাও এতটা মোটা আর লম্বা যা কোন মেয়ের পক্ষে সম্ভব নয়।
হিংস্র জানোয়ারটা নিজের সবটা শক্তি প্রয়োগ করে নিজের খাশ মেটাচ্ছে।
আমি আর নিজেকে কোন ভাবেই ধরে রাখতে পারলাম না।
চিৎকার করলে হয়তো কিছুটা শান্তি পেতাম কিন্তু তাও পারছি না মুখটা এখনো চেপে ধরে আছে,,ভয় ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়েই চলেছে,,যদি এটা সাপ ই হয় তাহলে এর হাত বা যৌনাঙ্গ আসলো কিভাবে।
সৃষ্টি কর্তার নাম নিয়ে নিজের জীবন বাঁচাতে নিজের সবটা শক্তি প্রয়োগ করে চিৎকার করে উঠলাম।
খুব জোরে শব্দ না হলেও কিছুটা শব্দ বের হয়েছে মুখ দিয়ে আর সাথে সাথে শূন্য থেকে নিচে পরে গেলাম,,নিজেকে কিছটা পাতলা লাগছে,, বুঝতে পারছি ছেড়ে দিয়েছে,,তড়িঘড়ি করে লাইট জ্বালালাম দৌড়ে গিয়ে,, ব্যাথায় যদিও উঠার মতন শক্তি ছিল না,,কিন্তু মনের শক্তি ছিল অনেক বেশি।
লাইট জ্বালানোর সাথে সাথে বাল্ব ফেটে গেল কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই,,আর ততটুকু সময়ের মধ্যে দেখতে পাই বিশাল আকৃতির মোটাতাজা একটা সাপ আমার রুমের জানালা দিয়ে বাহিরে চলে যাচ্ছে,,
পুড়ো শরীর শিউরে উঠে,এতবড় সাপ আমি জীবনে দেখি নি,,চিৎকার করে উঠি আরো বিকট শব্দে।
কোন মতে দৌড়ে জান নিয়ে পালিয়ে আসি রুম থেকে যদিও তখনো রক্ত বের হচ্ছে,, নগ্ন শরীরেই
বাহিরে আসতে বাধ্য হই,,কারন তখন জীবনের মায়াটা বড় ছিল,, তাছাড়া রুমটাকে নরক মনে হচ্ছিল,,চেনা জানা রুমটা বড্ড বেশি অচেনা লাগছে, রুমের প্রতিটা দেয়াল বা রুমের আসবাবপত্র মনে হচ্ছে একেকটা সাপ যা আমাকে ধর্ষন করে মেরে ফেলবে।তাই নিজের জীবন আর ভয় থেকে বাচতে নিজের ইজ্জতের কথা ভুলে গিয়েছিলাম আর এভাবে আপনাদের সাথেয়ে দেখা,,,

কথা গুলো বলতে বলতে বার বার হাঁপিয়ে যাচ্ছে।
কয়েকবার ধম বন্ধও হয়ে যাচ্ছে মেয়েটার।
চোখে মুখে ভয়ের লেলিহান শিখা দাও দাও করে জ্বলছে,,
আতংক আর ভয় সব মিলিয়ে চোখ ইয়া বড় বড় করে তাকিয়ে আছে,,বারবার এদিক সেদিক তাকাতাকি করছে মেয়েটা।
হয়তো এখানেও নিজেকে সেভ মনে হচ্ছে না মেয়েটার,,ভয় আসলে এমন একটা জিনিস,, যদি একবার পেয়ে বসে তাহলে তা থেকে সহজে মুক্তি পাওয়া সম্ভব না।
মেয়েটার এত বড় চোখ করা দেখে আমি নিজেও ভয় পেয়ে গেলাম।
এমন টাইপের ভয় একটা সময় আমিও পেতাম তাই বুঝতে পারছি ভয়ের মাত্রাটা।
যখন স্নেহার খপ্পরে ছিলাম,,স্নেহা যখন ব্লাকমেজিকের শিকার ছিল।
যদিও সব কাহিনি আপনাদের জানা থাকার কথা।
আমার #পরী_দ্বারা_ধর্ষন গল্পের মধ্যে তো সব দেওযাই আছে,,
লাস্ট পর্ব থেকে শুরু করছি,,
আপনারা হয়তোবা চিন্তায় পরে গেছেন কিসের মধ্যে কি হচ্ছে,, ওয়েট ক্লিয়ার করি বিষয়টা,,,
আপনারা তো জানেনই তবুও বলছি,
আমি কৌশিক আহমেদ বাড়ি টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা।
আর শেষ পর্বে জেনেছেন আমি পরী বিয়ে করেছি আর তার নাম স্নেহা,,কি কি ঘটেছিল তা তো অজানা নয় আপনাদের।
আর এটাও বলেছিলাম আমি পুলিশের এস আই হিসেবে জয়েন করেছি পার্বত্য চট্টগ্রামের কোন এক পাহাড়ি এলাকায়।
আর যে মেয়েটার কথা শুনলেন সেই মেয়েটাকে আমি চিনি না,,রাস্তায় টহল দিতে গিয়ে রাতের অন্ধকারে রাস্তার মোড়ে মেয়েটাকে নগ্ন অবস্থায় অজ্ঞান অবস্থায় পাই।পরে থানার গাড়ি করে তুলে নিয়ে আসি থানায়।
প্রথমে যদিও ভয় পাচ্ছিলাম এভাবে একটা মেয়েকে কিভাবে তুলবো গাড়িতে,,যদি পরে আইনের লোক হয়েও কেস খেয়ে যাই.?
কিন্তু মানবতার দ্বায়ে নিজের গায়ের চাদর খুলে মেয়েটাকে জড়িয়ে দেই,,আমি আর আমার কনস্টেবল মিজান আর ড্রাইভার তিনজনে মিলে দড়াদড়ি করে গাড়িতে তুলি।
রাত তখন গভীর,, চারদিকে শুনসান নিরবতা।
আশেপাশে কোন মানুষের ছায়া পর্যন্ত নেই।
জায়গাটা এমনিতেই ভৌতিক আর খারাপ,,খারাপ বললাম এ জন্য, এখানে প্রায় প্রায়ই হত্যার ঘটনা ঘটে,,এর জন্য এখানে প্রতি রাতেই টহলের বেবস্থা করা হয়েছে।
এমন জায়গায় এভাবে একটা মেয়ে, তাও নগ্ন শরীরে,,সাথে কোন মহিলা কনস্টেবল নেই, এভাবে নগ্ন মেয়ের শরীরে টাচ করা কোন ভাবেই কাম্য নয়,,কনস্টেবল মিজান বারবার মানা করছিল কিন্তু আমি তার মানা শুনতে নারাজ।
ধমক দিয়ে ওদের সাহায্য নিয়ে গাড়িতে তুলি আর থানায় এসে পৌছাই,,চোখে মুখে পানির ছিটা দেওয়ার পর মেয়েটার জ্ঞান ফিরে আর এই কথা গুলো বলতে শুরু করে।

মিজান আর ড্রাইভারকে দেখে বুঝা যাচ্ছে এরা কেউ মেয়েটার কথা বিন্দু মাত্র বিশ্বাস করে নি।
আর ওদেরো কোন দোষ নেই।
আমার সাথে আগের ঘটনা না ঘটলে হয়তোবা আমিও বিশ্বাস করতাম না।
যাইহোক মেয়েটাকে জিগ্যেস করলাম তার নাম কি বাড়ি কই..?
মেয়েটা উত্তরে অনেক ভয়ার্ত গলায় শুধু এতটুকুই বলতে পারলো তার নাম মিথিলা,,
বলতে বলতেই আবার অজ্ঞান হয়ে যায়।
আমি আমার কনস্টেবল আর ড্রাইভারকে বললাম গাড়িতে উঠতে,, মেয়েটাতে হসপিটালে ভর্তি করতে হবে।
মেয়েটার অবস্থা খুবই আশংকাজনক।

মিজানঃ- স্যার আমার মনে হচ্ছে আগে আমাদের মানে পুলিশ কেস করা বেটার হবে।
মেয়েটার কথা আমার সন্দেহ লাগছে।

আমিঃ- আগে হাসপাতালে ভর্তি করি বাকিটা পরে দেখা যাবে।

মিজানঃ- স্যার আপনি বুঝতে পারছেন না,,এটার পিছনে বড় কোন সন্ত্রাসীর হাত আছে,,হয়তো তারা মেয়েটাকে জোর করে তুলে নিয়ে রেপ করছে না হয় মেয়েটা নিজেই কারোর সাথে মানে বয়ফ্রেন্ডের সাথে ইটিশপিটিশ করতে গিয়ে সহ্য করতে না পেরে পালিয়ে এসেছে।এখন বিপদে পড়ে পুলিশের হাতে ধরা পরে নিজেকে বাঁচাতে আবোলতাবোল বলছে।
তাই আগে কেস করে পরে হাসপাতালে ভর্তি করাটাই বেটার হবে।

আমিঃ- ফালতু কথা বাদ দিয়ে আগে হাসপাতালে ভর্তি করার বেবস্থা কর।
পরেরটা পরে দেখা যাবে।

সবাইকে ধমক দিয়ে মেয়েটাকে নিয়ে থানা থেকে অদুরে সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করালাম।
এতক্ষণ অনেক চেষ্টা করেছি জ্ঞান ফিরানোর,,কিন্তু আমি ব্যর্থ।
এবার নার্স ডাক্তার তাদের ব্যবস্থা নেক।
রাত অনেক হওয়ায় হাল্কা পাতলা নার্স আর একজন ডাক্তার ছিল।
মেয়েটার শরীরের কন্ডিশন আর দাগ গুলো দেখেই আঁতকে ওঠে সবাই।
ভয়ে কেউ কাছে যেতে চাচ্ছে না,, এদেরকেো ধমক দিয়ে ট্রিটমেন্ট করানোর ব্যাবস্থা করলাম।
জরুরি বিভাগে ঢুকিয়ে দিয়ে বাহিরে অধির আগ্রহে দাড়িয়ে আছি,,
মনের ভিতর হাজারো কৌতূহল, যদি সত্যি হয়ে থাকে মেয়েটার কথা,, তাহলে সামনে বড়সড় বিপদ অপেক্ষা করছে মেয়েটার জন্য।

প্রায় ঘন্টা খানেক পরে ডাক্তার আর নার্স বেরিয়ে আসলো।
অদির আগ্রহ নিয়ে সামনে এগিয়ে গেলাম।
ডাক্তার নার্সদের চোখে মুখে আতংক আর ভয়ের ছাপ স্পষ্ট।
তাদের এমন অবস্থা দেখে আমি নিজেও ভয় পাচ্ছি।
ডাক্তার জানালো তারা অনেক চেষ্টা করেও মেয়েটাকে বাঁচাতে পারে নি।??
আর রিপোর্টে যা যা এসেছে তা শুনে পায়ের নিচ থেকে মাটি সড়ে গেল।
উনারা জানালেন,,,,,,..??

#চলবে…?
।।
।।।
।।।।
।।।।।
।।।।।।।
।।।।।।।।

গল্পের প্রথম পর্ব ছোট করেই দিলাম।
আপনাদের মতামত জানিয়ে পাশে থাকবেন,,
আর গল্পের সার্থে কিছু ভাষা অন্য রকম হইছে,,ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here