#রাখালের_বউ_যখন_বিসিএস_ক্যাডার,১০পর্ব,১১
লেখক:-রাসেল (কালো ভূত)
১০পর্ব
রহিমা চৌধুরীর চোখ আটকে যায় রাসেলের গলার লকেট টার দিকে,কেননা এই লকেটটা যে তার চির চেনা,তারাতারি ঐ লকেট টা হাতে নিয়ে,
রহিমা:-রাসেল এই লকেট তোর কাছে কি করে আসলো,
রহিমা চৌধুরীর কথা শুনে রাসেল সহ সবাই অবাক,কেননা এই লকেটের কথা আবার কেনো বলছে,
রহিমা:-এই বলনা এই লকেট তোর কাছে কি করে আসলো,
রাসেল:-কি করে আসলো তা আমি জানি না তবে ছোট থেকেই এটা আমার গলাই আছে,
আমি যার কাছে ছিলাম সে বলেছিলো এটা যেনো কখনো না হারিয়ে ফেলি,
রহিমা:-কি এটা খুলে দেতো আমি একটু দেখতে চাই লকেট টা,
রাসেল তখন লকেট টা গলা থেকে খুলে দেই,
আর রহিমা চৌধুরী খুলে দেখে রাসেল কে জড়িয়ে ধরে কান্না করে দেই,সবাই তো অবাক এই ঘটনা দেখে,
রায়হান:-রাসেলের মা তুমি এইভাবে কান্না কেনো করতেছো,
রহিমা:-জানো ও আমাদের হারিয়ে যাওয়া রাসেল,
আমাদের সন্তান,
এই দেখো লকেট যেটা ওর নানা ওর গলাই পরিয়ে দিয়েছিলো,
রায়হান:-একটা লকেট দেখে কি করে বুঝলে তুমি,
রহিমা:-এই লকেটে একটা সিস্টেম আছে এই দেখছো একপাশে রাসেলের শিশু কালের ফটো আর অন্য পাশে তিনটা আর,এই তিনটা আর হোলো আমাদের তিনজনের নামের প্রথম অক্ষর,
আরো একটা রহস্য হলো এইতিনটা আর একসাথে করলে আমাদের পরিবারের ফটো দেখা যাবে,
সবাই অবাক এইভাবে নিজের ছেলে কে ফিরে পাবে কখনো কল্পনা ও করতে পারেনি,রাসেল তো কিছু ভাবতেই পারছে না কি হচ্ছে এই সব,
রাসেল:-মা কি বলছো এইসব,
আর এটা কি ভাবে সম্ভব বলো,এই লকেটের ভিতরে এতো কিছু লুকিয়ে আছে যা আমি কখনো বুঝতেই পারিনি,
রহিমা:-হ বাবা তোর নানা এইসব করে রেখেছিলো,সেটার জন্যই হয়তো আজ আমি তোকে আমার কোলে ফিরে পেলাম,
সবুজ:-আচ্ছা ভাবি রাসেল যে তোমার ছেলে সেইটা তো শুধু এটা দিয়েই প্রমাণ হয়না,আরো কিছু প্রমাণ তো লাগবেই তাইনা,
রাসেল:-হুম মা চাচ্চু একদম ঠিক কথা বলেছে,
এটা দিয়েই তো আর প্রমাণ হয় না আমি তোমাদের হারিয়ে যাওয়া ছেলে,
রহিমা:-সবুজ প্রমাণ চাই তাইনা,
তাহলে রাসেলে পিঠে দেখো চাঁদ এর মতো একটা লোগো আছে,
রাসেল:-চাচ্চু তখন আমার শার্ট খুলে দেখলো মা সত্যি বলছে,আমার পিঠে সেই চিহ্ন আছে,
রহিমা:-কি আমার কথা সাথে প্রমাণ মিললো তো,
সেই জন্যই রাসেল কে যেদিন প্রথম দেখেছি সেদিনা আমার কলিজাতে টান লেগেছিলো,যেনো আমার আপন কেউ,আজ আল্লাহ আমার ধারণা টাই সত্য করেছে,আল্লাহর দরবারে লাক্ষো কটি শুকরিয়া,
রাসেল খুশিতে কান্না করে দেয়,অবশেষে তার ও পরিবার হলো,তাকে কেউ আর এতিম বলে ছোট করতে পারবেনা,
রায়হান:-রাসেল জানিস তোকে আমরা কতো খুজেঁছি কিন্তু কোথাও পায়নি,
খোঁজার কোনো কমতি রাখিনি,সেটা মানুষ দিয়ে বল আর পুলিশ দিয়ে বল,কোনে টাই বাদ রাখিনি,
তবুও তোর খবর কেউ দিতে পারেনি,
রাসেলের বাবা কান্না ভরা কণ্ঠে উপরের কথাগুলো বলে, আসলেই ছেলেরা খুব সহজে কান্নায় ভেঙে পরেনা কিন্তু অতিরিক্ত কষ্টের মাঝে কান্না কে লুকিয়ে রাখতে ও পারেনা,
নিধি:-আচ্ছা বড় আম্মু রাসেল কি ভাবে আর কোথায় হারিয়ে গেছিলো,কখনও তো সেটা বলো নাই,
রহিমা:-ঐ ঐ রাসেল কি তোর ছোট নাকি যে ওকে নাম ধরে বলতাছিস হুম,ভাইয়া বলে ডাকবি ও তোর অনেক বড় বুঝলি,
নিধি:-শোনো বড়ো আম্মু আমি ওকে ভাইয়া বলতে পারবো না,তার জন্য তোমরা যা খুশি বলতে পারো আমি কিছুই মনে করবো না, তবুও আমি রাসেল কে ভাইয়া বল ডাকতে পারবো না,
মেয়ের এইসব কথা শুনে নিধির বাবা বলে ওঠে,
সবুজ:-নিধি বড়োদের সাথে এইভাবে কথা বলতে আমরা তোমাকে শিখিয়েছি নাকি বলো,
তুমি তোমার বড় আম্মুর মুখে মুখে কথা বলতেছো হুম,
নিধি:-বাবা বড় আম্মু তো আমার বান্ধবী বলতে পারো তাহলে তোর সাথে আমি খারাপ ভাবে কথা কেনো বলবো,আমি কি ঠিক বলেছি বড় আম্মু বলো,
রহিমা:-সবুজ তুই থামতো আমার মেয়ে আমার সাথে যে ভাবে ইচ্ছা কথা বলুক সেটা তুই কেনো বলবি,
সবুজ:-ভাবি আরো বেশি বেশি আশকারা দিয়ে দিয়ে মাথায় তোলো,যখন মাথায় চরে বসবে তখন বুঝবে,
উপরের কথাগুলো বলেই নিধির বাবা মিস্টার সবুজ সেখান থেকে চলে যায়,রাসেল বেচারা তো সেই তখন থেকে এইসব চেয়ে চেয়ে দেখতেছে,
একটা পরিবারের সবার সাথে সবার কি মিল,অথচ তারা দুইজন মিলে এক পরিবার তবুও কারো সাথে কারো মিল নেই,ভাবতেই চোখে নোনা পানি এসে ভর কর, ডান হাত দিয়ে পানি মুছে নেয়,যেনো কেউ বুঝতে না পারে,
রহিমা:-শোন নিধি রাসেলের যখন পাচঁ বছর বয়স, তখন আমি আর তোর বড় আব্বু সিরাজগঞ্জ জেলাতে একটা কাজে গিয়েছিলাম,
কিন্তু আমি তো আর জানতাম না সেখানেই আমার কলিজাকে হারিয়ে ফেলবো,কেঁদে কেদেঁ,
নিধি:-কিভাবে হারিয়ে গেছিলো সেইটা বলো,
আমার না খুব শুনতে ইচ্ছা করতেছে,
রায়হান:-আমি বলতেছি শোন,আমি আর তোর বড় আম্মু একটা সপিং মলে কিছু কেনাকাটা করার জন্য গেছি,ঘুরে ঘুরে দেখছিলাম কি নিবো,
এরমাঝেই তোর বড় আম্মু কখন যে রাসেল কে কোল থেকে মাটিতে নামাইয়া দিছে সেইটা আমাদের খেয়াল নেই,কিছু সময় পরে দেখিরাসেল আমাদের কাছে নেই,পুরো সপিং মল সবাই মিলে তন্ন্য তন্ন্য করে খুজেছি কিন্তু কোথাও পাইনি,
যতো বার খোঁজার চেষ্টা করেছি শুধু বারবার না কামিয়াব হয়েছি,
রহিমা:-বাবা আমাকে ক্ষমা করে দিস,
সেদিন যদি আমি তোকে মাটিতে নামিয়ে দিয়ে ভুল টা না করতাম তাহলে তোকে হারিয়ে ফেলতে হতো না,
রাসেল:-মা তুমি কেদো না তো,
এতেকি তোমার হাত ছিলো বলো, সবটাই যে আল্লাহর লিলা খেলা,তার খেলা বোঝা বড় দায়,
আর এটাতো জানোই আল্লাহ যা করে সকলের ভালোর জন্যই করে,আর আমার জন্য হয় তো এটা ভালো ছিলো কারণ আমি তোমাদের সাথে থাকলে গরিবদের যে কষ্ট সেটা কখনোই বুঝতাম না,
নিধি:-হুম একদম খাটি কথা বলেছো,
তাইতো তৈরি হয়েছো খাটি রাখাল,হাসতে হাসতে,
রাসেল:-আম্মু তুমি ওকে মানা করে দাও আমার সাথে না লাগতে,নাহলে ওর চুল কিন্তু একটাও রাখবো না,
নিধি:-এ আমি মনে হয়তোকে ছেড়ে কথা বলবো,
শোন আমার সাথে লাগিস না একদম ইনজেকশন দিয়ে দিবো হুম,
রহিমা:-এই তোদের টম জেরির ঝগড়া কি একটু থামাবি, একটু সময় পেলেই মনে হয় ঝগড়া করতে পিছুপা হস না,
আরো অনেক কথা বলে সবাই খাবার খেয়ে সেখান থেকে চলে যায়,এখন শুধু মা ছেলে বসেই গল্প করতেছে,মনের গহিনে জমে থাকা সকল কষ্ট নিয়ে,
রাসেল:-মা আজকে অনেক সময় হলো এসেছি,
আমি এখন যায় কি বলো,নাহলে আবার দেরি হয়ে যাবে,
রহিমা:-আমি তোকে আমার বুক থেকে কোথাও যেতে দিবো না বুঝেছিস না না বোঝার ভান করতেছিস,
রাসেল:-মা তুমি কিন্তু আমার সবকিছুই জানো কোনো কিছু অজানা নই,তবুও তুমি এই কথা বলতেছো,
রহিমা:-যেতে দিতে পারি তবে একটা শর্ত যদি মানতে পারিশ,
রাসেল:-শর্ত আবার কিসের এর মাঝে,
মা তুমি কিন্তু আমাকে আটকে রাখার চেষ্টা করতেছো,
রহিমা:-হুম আমি তো তোকে যেতেই দিবোনা,
আমার বুকেই তোকে আগলে রাখবো আর হারাতে দিবোনা,
রাসেল:-মা তুমি কিন্তু জানোই তোমার বউমা কতো রাগী,আমি দেরি করে গেলে না জানি কি করে বসে,
রহিমা:-ঐ গাধা সেই কথায় তো তোকে বলতেছি,
জেরিন তোকে দেখতে পারেনা,
আজ থেকে তুই ও একটু করে জেরিন কে ইগনোর করে চলবি, তারপর দেখবি ও এমনিতেই তোর জন্য পাগল হয়ে যাবে,
আপনেরা আবার এটা ভাবছেন যে এ আবার কেমন মা ছেলেকে এইসব বুদ্ধি দেয়,আসলে রাসেল আর রহিমা চৌধুরী একদম বন্ধুর মতো,
তাই সব কথায় শেয়ার করে,
রাসেল:-মা তুমি যেটা বলতেছো সেটা করে কি লাভ,সে তো আমাকে তার স্বামী হিসাবে মানতেই পারেনা,জেরিন এখন অন্য কাউকে ভালোবাসে,
রহিমা:-বাবা তুই শুধু আমার কথামতো কাজ কর দেখবি,সব ঠিক হয়ে যাবে বুঝলি,
আচ্ছা এখন তাহলে যাগা,আমার বউমা টা একা একা কষ্ট পাবে,
রাসেল তারপর সেখান থেকে অনেক টা সময় হাটার পরে বাসাই চলে আসে,বাসাই এসেই দেখে জেরিন বাসাই নেই হয়তো অফিসে আছে,
এটা ভেবে রাসেল রান্না করে বসে থাকে,কিন্তু জেরিনের আশার কোনো নাম গন্ধ নেই,এইদিকে রাত হয়ে যায়,রাসেল আর কিছু ভাবতে পারছেনা,
তাই উপর মহলে ফোন করে জেরিনের লোকেশন জেনে নেয়,জেরিন এখন একটা নাইট ক্লাবে আছে,
রাসেল:-ছি জেরিন ছি শেষ পযর্ন্ত নাইট ক্লাবে গেলে,তোমার বেবেগে একটু বাধলো না,
আর তোমাকে এইসব করতে দিবোনা,
এইসব ভাবতে ভাবতে রাসেল সেই নাইট ক্লাবে চলে আসে, কিন্তু এইখানে কোথাও জেরিন কে দেখতে পায় না,কিন্তু কারো কথা শুনে বুঝতে পারে জেরিন কোথায় আছে,আপনাদের তো আবার কি এমন কথা শুনলো সেটা জানার আগ্রহ হচ্ছে তাইনা তাহলে চলে শুনে আসি,আমি আবার আপনাদের কষ্ট একদম দিতে পছন্দ করিনা,
শিখা:-জানিস নিলা আমাদের শুভো আছেনা,
ওতো পুলিশ অফিসার জেরিন কে ভুলিয়ে ভালিয়ে পটিয়েছে,আজ তাকে ভোগ করার জন্যই এই পার্টির ব্যবস্থা করেছে,মত খেয়ে আমাদের পুলিশ ম্যাডাম তো পুরাই মাতাল হয়ে গেছে আর শুভো ঐ রুমে নিয়ে গেলো,বেচারি পুলিশ তো শেষ,
রাসেল আর এক মূহুর্ত দেরি না করে সেখানে চলে আসে,এসেই দেখতে পায় দরজা বন্ধ,আর জেরিন শুধু বলতাছে,
জেরিন:-আমাকে বাসাই যেতে দে,
এইসব কি তুই কি করতেছিস হুম,
শুভো:-বেবি দিবো তো বাসাই যেতে,আগে তোমার ঐ রুপের শুধা আমাকে একটু প্রাণ করতে দাও,
তাহলেই তো হলো,
জেরিন:-দেখ আমার সাথে কিন্তু অসভ্যতামি করবিনা,আমাকে যেতে দে বলতাছি,
উপরের কথাগুলো বলতে বলতেই জেরিন অজ্ঞান হয়ে যায়,
শুভো:-যাহ শালা এ তো অজ্ঞান হয়ে গেলো,
তাই কি আমি তো আমার কাজ করবোই,এটাই সুযোগ নাহলে আর সুযোগ পাবনা,
রাসেল:-সালা আমার বউ আমি কখনো তাকে মন দিয়ে দেখতে পারলাম না,আর শালা হারামির বাচ্চা তুই চেখে দেখতে চাস তোকে দেখাচ্ছি,
বলেই সিআইডি অফিসার দয়ার মতো দরজা ভেঙে ভিতরে গিয়ে দেখতে পারে,জেরিন বিছানায় আর শুভো ওর শার্ট খুলতেছে,
রাসেল:-ব্রো এভাবে একায় যদি ওকে তুমি ভোগ করো তাহলে আমাদের কি হবে,আমাদের কি একটু ইচ্ছা হয় না এদের টেস্ট করতে,
শুভো:-আচ্ছা ভাই তুই যখন এসেই পরেছিস তাহলে তুই নে আগে টেস্ট করা,আর এমনিতেই এমন মাতাল করেছি সেই মজা হবে,
বস শালা মাগি একদম জাক্কাস মাল, খেলে শুধু খেতেই মন চাইবে,
রাসেল:-শালা আমার বউ নিয়ে এই সব বাজে কথা বলিস দাঁড়া বের করছি তোর টেস্ট করা,
বলেই উরাদুরা মাইর শুরু করে দেয়,
মারতে মারতে অজ্ঞান হবার মতো অবস্থা করে ফেলে,
শুভো:-ভাই আমাকে ছেড়ে দে আমি আর জীবনে কোনো মেয়ের দিকে কু নজরে তাকাবো না প্লিজ মাফ করে দে ভাই,
রাসেল চিন্তা করে দেখলো এইসব তো জেরিন কিছুতেই বিশ্বাস করবেনা,বরং ওকেই দোষারোপ করবে তাই ভাবে শুভোর থেকে জবানবন্দি নিয়ে ভিডিও করে রাখবে,সেইটাই করে পুলিশ কে ফোন করে সবগুলারে ধরে নিয়ে যেতে বলে,রাসেল জেরিন কে কোলে কোরে নিয়ে বাইরে চলে আসে,
জেরিনের একটু একটু হুস ফিরছে,
জেরিন:-আমাকে কোলে নিছো কেনো,আমার না শিত করতেছে জড়িয়ে ধরো,বোকা তুমি কিছু বোঝনা,
রাসেল:-যদি জ্ঞান ফিরে জানতে পারো তুমি আমার কোলে তাহলে আমার কি অবস্থা হবে সেইটাই ভেবে পাচ্ছি না,তাহলে জড়িয়ে কিভাবে ধরবো,
এইসব ভাবতে ভাবতে গাড়ি করে বাসাই নিয়ে আসে,পুরো রাস্তায় জেরিন রাসেল কে নেশার ঘোরে আবোলতাবোল বলে একদম জ্বালিয়ে মেরেছে,রাসেল রুমে এনে জেরিন কে ওর বিছানায় শুয়ে দিয়ে উঠতে নিছে,কিন্তু উঠতে পারেনা জেরি ওকে টানদিয়ে বুকে সাথে জড়িয়ে ধরে,
জেরিন:-কৈ জাও আমাকে একা রেখে,
আমার না খুব ভয় করতেছে আর শিত করতেছে,
আমাকে জড়িয়ে ধরোনা,
মাতাল অবস্থায় এইসব আবোলতাবোল বলছে,এইদিকে তো রাসেলের অবস্থা খারাপ এই রকম অবস্থায় কোনো পুরুষ তাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেনা,হোকনা সে মহাপুরুষ,এদের মাঝেও শেটাই হয়ে গেলো,সকালে জেরিনের আগেই রাসেলের ঘুম ভাঙে আর রাসেল উঠে পরে, রাতের কথা ভেবেই হাসি পাচ্ছে সেই,জেরিনের কপালে একটা ভালোবাসার পরশ দিয়ে ফ্রেস হতে চলে যায়,এইদিকে জেরিনের ঘুম ভেঙে যায়,
নিজের দিকে তাকিয়েই,,,,
চলবে……
#রাখালের_বউ_যখন_বিসিএস_ক্যাডার
লেখক:-রাসেল (কালো ভূত)
______১১পর্ব______
?
?
সকালে জেরিনের ঘুম ভেঙে যায়,
ঘুম ঘুম চোখে নিজের দিকে তাকিয়েই অবাক,কেননা শরীরে তখন কোনো পোশাক ছিলো না,একটু একটু করে রাতের কথা মনে পরতে থাকে,আর জেরিন চিৎকার করে ওঠে,
জেরিন:-আ (চিল্লাই বলতে হবে)
জেরিন এতো জোরে চিৎকার করেছে যে রাসেল শব্দ শুনেই দৌড়ে ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে আশে,
রাসেল:-কি হয়েছে এইভাবে চিৎকার করেছো কেনো,মনে হয় তোমার চিৎকার শুনে এই শহরের প্রায় মানুষ ঘুম থেকে জাগ্রত হয়ে গেছে,
জেরিন কিছুই বলছেনা রাগে ফুলতাছে আর চোখের পানি মুছতেছে,
রাসেল:-কি হলো কিছু না বললে আমি বুঝতে পারবো কেমনে যে তোমার কি হয়েছে,
জেরিন আর চুপ না থেকে ঠাসসসসস ঠাসসসসস করে রাসেলের গালে থাপ্পড় লাগিয়ে দেয়,রাসেল তো বোকা বোনে যায় এটা কি হলো ভেবে,
জেরিন:-আমার সাথে তুই কি করেছিস ল,
আমার অসহায়তার সুযোগ নিয়ে এইভাবে আমার সর্বনাশ করলি, একটি বার ও ভাবলিনা,আসলে তোদের মতো কাপুরুষরা তো এটাই করতে পারিস,
রাসেল কাপুরুষ কথাটা শুনে আর কেনো জানি চুপ থাকতে পারলো না,সোজা জেরিনের গালে ঠাসসসস ঠাসসসস করে কয়েকটা থাপ্পড় লাগিয়ে দিয়ে,
রাসেল:-কি বললি তুই আমি কাপুরুষ,তোর অসহায়তার সুযোগ নিয়ে সত ব্যবহার করেছি তাইনা,আরে যদি এটাই হতো তাহলে তোর নারীত্ব অনেক আগেই ভোগ করতে পারতাম,আমার তোর উপরে সম্পূর্ণ অধিকার থাকা সত্বেও কখনো করিনি কারণ কি জানিস, আমি চাইনি তোর অনুমতি না পেয়ে তোর সাথে কিছু করতে,আর কাল রাতে তুই আমাকে বাধ্য করেছিস তোর প্রতি আকৃষ্ট হতে,এই দেখ
রাসেল জেরিনের হাতে ভিডিও করা মোবাইল টা দিয়ে রাগে নিচে চলে যায়,দেখলেন রাসেল বলেছিলো না এই ভিডিও টা ওর অনেক কাজে লাগবে,এখন ঠিকই কাজে লাগলো,
জেরিন:-রাসেল তো ঠিকই বলেছে,যদি ও সুযোগের শত ব্যবহার করতো তাহলে অনেক আগেই পারতো,কিন্তু কখনো তো সেটা করেনি,
আজকে তাহলে কেনো এইসব করলো,নাহ আমার মাথায় কিছুই আসতেছেনা,আর আমি তো কালকে ক্লাবে ছিলাম তাহলে এখানে আসলাম কি ভাবে,নাহ মাথাটা কেমন ঝিমঝিম করতেছে,
এসব কিছু ভাবতে ভাবতে মোবাইল টা না দেখেই জেরিন উঠে ফ্রেস হতে চলে যায়,
এইদিকে রাসেল নিচে বসে ভাবতাছে,
রাসেল:-ও নিজেকে কি ভেবেছে,
নিজেই মত খেয়ে মাতাল হয় পাগলামো করবে,আর কেউ কিছু করলেই সেটা তার দোষ তাইনা,ওর এই সব আমি আর সহ্য করবো না,
জেরিন ওয়াশরুম থেকে বের হতেই খাটের উপরে একটা ফোন দেখতে পাই,
ফোনটা দেখেই চমকে ওঠে কেননা ফোন আসলো কিভাবে এইখানে,তখনি মনে পরে এই ফোন তো রাসেল দিয়ে গেলো,
জেরিন:-ঐ ফোন কোথায় পেলো ওর তো কোনো ফোন নেই,আচ্ছা সেটা পরে দেখা যাবে আগে তো দেখি ফোন টা কেনো দিলো আর কি বা দেখতে বলল,
জেরিন খাটে বসে আস্তে করে ফোন টা নিয়ে পাওয়ার বাটুন চাপ দিয়ে অন করার চেষ্টা করে কিন্তু কিছুতেই ফোন টা অপেন করতে পারেনা,
কারণ পোনে লক করা,
জেরিন:-এইরে এটাতো লক করা এখন পাসওয়ার্ড পাবো কিভাবে,তখন হয়তো পাসওয়ার্ড খুলেই দিছিলো,না আগে ওর কাছে শুনে আসি,
জেরিন নিচে চলে আসে আর দেখতে পায় রাসেল ছোফায় বসে আছে,আনমনে কিছু একটা ভাবতাছে,
জেরিন:-ঐ তোর তো কোনো ফোন নেই তাহলে এই ফোন কোথায় পেলি আর তুই ফোনের কি বুঝিস,
রাসেল:-এইরে খুজেঁ খুজেঁ আসল জায়গায় তিরটা মারছে এখন কি বলি, মনৃ মনে,
না আসলে হয়েছে কি আমি এই ফোন টা নিতে চাইনি আম্মু আব্বু জোর করে দিছে যেনো তারা আমার সাথে কথা বলতে পারে,আমি তো কিছুই বুঝিনা এটার,একটু বোকা সেজে কথাগুলো বললাম,
জেরিন:-ওহ তাই আচ্ছা এর পাসওয়ার্ড বল দেখি কি এমন আছে যেটা দেখলে আমি বুঝতে পারবো তুই সু পুরুষ,
রাসেল:-আই লাভ ইউ
রাসেলের কথা শুনে জেরিনে অনেক রাগ ওঠে,
কি বলছে ও এই সময়ে মজা করতেছে,
জেরিন:-এই তুই কি পাগল হয়েছিস,এই সময় আই লাভ ইউ বলতেছি,একদম মেরে বালি চাপা দিয়ে দিবো,
রাসেল:-তোকে আই লাভ ইউ বলতে আমার বয়েই গেছে,ঐটা আমার ফোনের পাসওয়ার্ড,
জেরিন:-কি পাসওয়ার্ড মাইরি,আর একটু হলেই তো আমি গেছিলাম,
জেরিন পাসওয়ার্ড খুলতেই অবাক হয়ে যায় কেননা সামনে ও মিষ্টি মাখা মুখটাই ভেসে ওঠে,
তবুও তেমন রিয়াক্ট না করে ভিডিও দেখতে থাকে,
ভিডিও দেখে তো পুরোটা সকর্ড খেয়ে যায় শুভ তার সাথে এইটা করতে পারলো,
রাসেল:-কি মাথা নষ্ট হলো কেনো,
মত খেয়ে পর পুরুষের সাথে ফোসটিনষ্টি করলে কিছুই না,
জেরিন:-না শুভ এটা আমার সাথে করতে পারে না, ওকেআমি খুব ভালো মনে করেছিলাম
রাসেল:-ও তোর শরীর টা ভোগ করার জন্যই ক্লাবে ডেকেছিল,যদি ঠিক সময়ে আমি না পৌঁছাতাম তাহলে এই সুন্দর মুখটা আর সুন্দর থাকতো না,
জেরিন:-সুন্দর থাকলো কোথায় তুই তো ওর মতো কাজ করেছিস তাহলে ওর সাথে তোর পার্থক্য কোথায় হলো,সুযোগের শত ব্যবহার তো তুই ও করেছিস,
রাসেল:-আগে নেক্সট ভিডিও টা দেখ আমি তোর সাথে জোর জবরদস্তি করেছি নাকি তুই বাধ্য করেছিস এইসব করতে,
জেরিন তখন বাসাই আসার ভিডিও টা দেখে একদম অবাক হয়ে যায়,সে নিজেই তো রাসেল কে জোর করেছে ঐসব করতে,
রাসেল:-কিরে এখন তোর চোখ কপালে কেনো,
শোন তোকে নিজের করে পাওয়ার জন্য অনেক অত্যাচার সহ্য করেছি আর না,
তুই ভাবিস না যে বিসিএস ক্যাডার বলেই যা ইচ্ছা তাই করবি,আর হ্যা তুই যদি চাস আমাকে ডিভোর্স দিতে পারিস,
রাসেল কথাটা বলেই বাইরে চলে যায়,এইদিকে জেরিন তো স্থির দাঁড়িয়ে আছে একটু ও নরছে না সে,
জেরিন:-রাসেল কি বলে গেলো ডিভোর্স দেওয়ার কথা, আর রাতে যা করেছে তাতে তো ওর কোনো দোষ নেই সবটাই তো আমার দোষ,আর ওর তো পুরো অধিকার আছেই আমার সাথে এইসব করার,তাহলে আমি কেন মানতে পারছি না,
রাসেল বাজার থেকে এক প্যাকেট পিল কিনে আবার বাসাই চলে আসে,
বাসাই এসে দেখে জেরিন ছোফায় বসে আছে,
রাসেল:-এই নে ধর,
এই ওষুধ টা খেয়ে নে তাহলে রাতের সবকিছু মুছে যাবে তোর ভিতর থেকে,কিন্তু আমি দুঃখিত স্বামী হওয়া সত্বেও তোকে কলঙ্কিত করেছি,সেটা মুছতে পারবো না,
ওষুধ টা দেওয়ার জন্য জেরিন অনেক টাই অবাক হয়,কেননা ভুল করে হোক বা যেমন করেই হোক,
হয়েছে তো নাকি,আর তারা তো স্বামী স্ত্রী,
জেরিন:-তুমি আমাকে এই সব দিতে পারলে বিবেকে একটু ও বাধলো না,নিজের স্ত্রীর গর্বে যেই সন্তান এখনো আকৃতি ধারণ করেনি তাকে এইভাবে গলা টিপে হত্যা করতে বলতে,
রাসেল:-আমি চাইনা আমার পাপের ফসল তুই সারাজীবন বয়ে বেরা,আমি তোর স্বামী সেটা শুধু কাগজে,মন থেকে কখনো মেনেছিস আমি তোর স্বামী কথাটা,
জেরিন:-সেটা মানিনি,কিন্তু জাই বলো না কেনো আমি এই সন্তান নষ্ট করতে পারবো না,
রাসেল:-সেটা তোর ইচ্ছা আমার কিছু বলার নেই,
মনে মনে রাসেল তো মহা খুশি যে জেরিন তার সন্তান গর্বে রাখবে,রাসেল এতো পরিমাণে খুসি যে বলে বুঝানো দায়,
জেরিন:-আচ্ছা তুমি তো আমার সাথে কখনো তুই করে কথা বলোনি,তাহলে আজকে কেন তুই করে বলতেছো,
রাসেল:-এই ব্যবহার তুই নিজেই শিখিয়েছিস,
তাই সেই ব্যবহার টা করতেই আমি বাধ্য হচ্ছি,
জেরিন:-আচ্ছা তোমার বাবা মায়ের সাথে আমার পরিচয় করিয়ে দিবেনা,অভিমানি শুরে বললাম,
রাসেল:-আমাকেই মানতে পারস না সেখানে আমার বাবা মা কে কিভাবে মেনে নিবি সেইটা বল আগে,
জেরিনের মুখে কোনো কথা নেই,সে জা করেছে রাসেলের সাথে তার সাথে তুলনায় এইসব কথা তো কিছুই না,
রাসেল:-আমার একটু বাইরে কাজ আছে গেলাম আমি,
রাসেল কথাটা বলেই বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যায়,
এইদিকে জেরিন ভাবে রাসেল কোথায় যায় সেটা সে দেখবে তাই পিছু নেই,রাসেল হেটে হেটে অনেক দূরে আসে,জেরিন তো হাপিয়ে গেছে,
জেরিন:-এই খাট্টাস বেটা কি মাইরি এতো হাটলো তাও একটুও হাপিয়ে গেলোনা আর আমি একটু হাটতেই তো শেষ,তা ও যাচ্ছে কোথায়,
রাসেল হাটতে হাটতে একটা লোকের সাথে কথা বলে আবার চলে আসে,কিন্তু জেরিন তো অবাক ঐ লোকের সাথে কথা বলা দেখে,কারণ ঐ লোকটা ছিলো একটা গুন্ডা,
জেরিন:-রাসেল একটা গুন্ডার সাথে দেখা করতে এতো দূরে আসলো,তা ঐ গুন্ডার সাথে ওর কি কাজ, নাকি রাসেল কোনো খারাপ কাজের সাথে জড়িত,
রাসেল ধিরে ধিরে হাটতে হাটতে বাসার দিকে আসতাছে তখন সামনে থেকে নিধি ডেকে ওঠে,
নিধি:-এই রাসেল কোথায় যাও এতো হন হন করে,
রাসেল:-আরে কোথাও না এইতো একটু বাইরে এসেছিলাম,তা তুমি এমন সময়ে এইখানে কি করো,
নিধির সাথে কথা বলা দেখে জেরিনের অনেক রাগ হচ্ছে,
জেরিন:-শাকচুন্নি অন্যের বরের সাথে কথা বলতে খুব মজা লাগে তাইনা,
মনে হয় এখনি গিয়ে গলা টিপে দেয়,
নিধি:-ঐ চলো কফি শোপে বসে একটু কথা বলি,তোমার সাথে কয়েক দিন হলো কথায় হয় না,
জেরিন:-রাসেল না না ঐ শাকচুন্নির সাথে কথা বলতে একটু ও রাজি হবে না,
রাসেল:-না আমার এখন সময় নেই,
আমাকে এক জায়গায় জেতে হবে বাই নিধি,
ভালো থেকো,
বলেই রাসেল জেরিনের আর কোনো কথা না শুনেই হন হন করে চলে যায়,
নিধি:-রাসেল রাসেল কথা টা তো শুনে যাও,নাহ চলেই গেলো দ্যাত কিছুই ভালো লাগেনা,
জেরিন:-পেত্নি টিকটিকি কালো ভূতনি,দেখেছিস এটাই হলো আমার স্বামী,আমার মনেরকথা ঠিকই বুঝতে পারে,সক কতো আমার স্বামীর সাথে কফিসপে বসে আড্ডা দিবে হু,
রাসেল সোজা বাড়িতে চলে আসে, কিন্তু বাসাই এসে জেরিন কে কোথাও দেখতে পাইনা,
একটু পরে জেরিন ও বাসাই চলে আসে,
রাসেল:-এই তুই কোথায় গেছিলি,
আমি বাসাই তোকে পেলাম না,
জেরিন:-বাইরের মেয়েদের সাথে ফস্টিনষ্টি করলে কি আর ঘরের বউ কোথায় থাকে সেটার খেয়াল পাওয়া যায় নাকি,
রাসেল:-ফাল্টু কথা একদম বলবিনা,
আর আমি যার সাথে মন চাই কথা বলবো তাতে তোর কি,
জেরিন দৌড়ে গিয়ে রাসেলের কলার ধরে,
জেরিন:-আমার কি মানে তুমি আমার স্বামী সেটা কি ভুলে গেচো, কোনো মেয়ের সাথে দেখলে একদম খুন করে ফেলবো,
জেরিনের চোখ দিয়ে মনে হচ্ছে রাগের জন্য আগুন বের হচ্ছে এখনি সব পুরে তছনছ হয়ে যাবে,
রাসেল:-কি বললি আমি তোর স্বামী সেটা কি তুই মানস,আর আমি যার সাথে মন চাই কথা বলবো তাতে তোর এতো জ্বলে কেনো,
জেরিন:-শোনো আমি আগে যা করেছি সব ভুল করেছি,এখন আমাদের সন্তানের কথা চিন্তা করে আমাকে মাফ করে দাও,কেদে কেদে,
রাসেল কিছু বলতে যাবে ঠিক তখনই দরজার কলিং বেলটা বেজে ওঠে,আর জেরিন গিয়ে দরজা খুলতেই অবাক হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে কেননা দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছে,,,
চলবে……