রাখালের_বউ_যখন_বিসিএস_ক্যাডার,১৪পর্ব,১৫

0
688

#রাখালের_বউ_যখন_বিসিএস_ক্যাডার,১৪পর্ব,১৫
লেখক:-রাসেল (কালো ভূত)
১৪পর্ব

রাসেলের প্রতি বিশ্বাস টা আরো বেরে যায়,সেই লুকিয়ে থাকা ব্যক্তি টা হলো জেরিন,
আপনাদের মনে তো আবার অবশ্যই প্রশ্নের জন্ম নিচ্ছে ধীরে ধীরে তাইনা,এটা ভেবে যে এই সময় জেরিন এখানে কিভাবে আসলো,চলেন এই প্রশ্নের উত্তরটি ও শুনে নেই,আসলে রাসেল বাসা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার কিছু সময় পরে জেরিন একটা জরুরি কাজে থানায় আসে,আর সেখান থেকে বাসাই ফেরার পথেই রাসেলের এই ঘটনা টা লক্ষ্য করে যেটা দেখে জেরিন অনেকটাই মুগ্ধ হয়,রাসেল ঐছেলেটার কাছ থেকে বাসাই চলে আসে,এইদিকে জেরিন রাসেলের আগেই এসেছে,

জেরিন:-সেই কখন বাসা থেকে বেরিয়েছো আর এখন আশার সময় হলো,জানো বাসাই আমার একা থাকতে অনেক কষ্ট হচ্ছিলো,

কথা টা বলতে বলতেই জেরিন মাথা ঘুরে ফ্লোরে পরে যায়,রাসেল অবাক হয়ে দৌড়ে জেরিনের কাছে আসে,

রাসেল:-এই জেরিন তোমার আবার কি হলো,এইভাবে পরে গেলে কেনো, সারাদিন খাবার খাওনি নাকি,

কিন্তু জেরিন কোনো কথায় বলছেনা দেখে রাসেল দ্রুত কাছের একটা হাসপাতালে নিয়ে যায় আর রহিমা চৌধুরী কে ফোন করে আসতে বলে,
হাসপাতালে আসলেই ডাক্তার জেরিন কে নিয়ে যায়,পরিক্ষা করে দেখতে পায় জেরিনের তেমন কিছুই হয়নি,প্রেগনেন্ট থাকার কারণে এমন টা হয়েছে,তার উপরে শরীর টাও অনেক দুর্বল, রাসেল আর জেরিন প্রেগনেন্টের কথা তো আগে থেকেই জানে,তাই আর কোনো চিন্তা করলোনা বরং খুসি হলো,এইদিকে রহিমা চৌধুরী ও চলে আসে,

রহিমা:-রাসেল কি হয়েছে জেরিনের,
এইভাবে হটাৎ মাথা ঘুরে কেনো পরে গেছে,

রাসেল:-মা তেমন কিছু হয়নি,
জেরিন তো প্রেগনেন্ট আর না খেয়ে থাকার কারণে মাথা ঘুরে পরে গেছিলো,ডাক্তার কিছু ওষুধ লিখে দিছে,এগুলো খেলেই সব ঠিক হয়ে যাবে,

জেরিন রহিমা চৌধুরীর পায়ে ধরে সালাম করে,
যেটা দেখে রহিমা চৌধুরী অনেকটাই খুসি হয়,

রহিমা:-মা তোমার জায়গা পায়ে না আমার বুকে,
আর শোনো আমার বংশের প্রদিপের যেনো কোনো ক্ষতি না হয়,তুমি নিজের যত্ন নিবে মনে থাকবে তো আমার কথা,

জেরিন:-হুম আম্মা আপনার কথা আমি অবশ্যই মনে রাখবো,আজ যদি আমার শাশুড়ি থাকতো তাহলে হয়তো আপনার মতোই অনেক টা খুসি হতো,

এই কথা শুনে রহিমা চৌধুরী রাসেলের মুখের দিকে তাকিয়ে আছে,কিছু বলবে কিন্তু রাসেল তো আগেই মানা করেছে তাই আর বলা হয়না রহিমা চৌধুরীর মনের কথাটা,

রাসেল:-মা আমরা তাহলে যায় কেমন,

রহিমা:-আমি বলি কি এখন জেরিন কে নিয়ে আমাদের বাসাই চল রাত হয়ে এসেছে,
তোর বাসাতো ভালোই দূরে আবার রান্না করাটাও ঝামেলা,

রাসেল:-না মা সেটার কোনো দরকার নেই,

রহিমা:-আমি বলেছি সেইটা কর বুজলি,এতো বেশি কথা বলস কেনো,জানস না মুরুব্বিরা যা বলে তা সন্তানের ভালোর জন্যই বলে,

রাসেল আর বেশি কিছু না বলে মায়ের গাড়ি করে বাড়িতে চলে আসে,জেরিন এতো বড়ো বাড়ি দেখে তো অনেক টাই অবাক হয়,

জেরিন:-আম্মা এতো বড়ো বাড়ি আপনাদের,
খুব সুন্দর করে সাজানো বাড়িটা,

রহিমা:-আরে মা এটাতো কিছুইনা এইরকম আরো অনেক বাড়ি আছে আমাদের,দেশের বাইরে ও অনেক গুলা বাড়ি আছে,

জেরিন:-ওহহহ আপনেরা তাহলে তো অনেক ধনী পরিবার,আচ্ছা আম্মা আপনাদের কোনো ছেলে সন্তান নেই,

রহিমা চৌধুরী রাসেলের মুখের দিকে তাকিয়ে আবার নিচের দিকে তাকিয়ে থাকে,কিছুই বলেনা কি বলবে সে,রাসেল তো বলতে মানাই করেছে,

রাসেল:-জেরিন এইসব এখন জানা কি তোমার খুব জরুরি হুম,এমনিতেই মার মন খারাপ দেখছো না,

জেরিন:-এই দেখো আম্মার মন খারাপ আমি সেই দিকে কোনো নজরি দেইনি এখনো,

রহিমা:-মা হয়েছে এখন চলো ভিতরে যায়,
এইভাবে বাইরে দাঁড়িয়ে তো আর কথা বলা যাবেনা তাইনা,

তারপর ওরা সবাই ভিতরে চলে আসে,
বাসাই এখন কেউ নেই সবাই কোথায় যেনো গেছে,
আর রাসেলের বাবা তো অফিসেই আছে,

রহিমা:-মা তুমি এইখানে চুপটি করে বসো আমি গিয়ে একটু তোমাদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করি,

জেরিন:-আম্মা আমি থাকতে আপনে কেনো যাবেন,আমি খাবার তৈরি করে আনি,

রহিমা:-কি বলছো এইসব হুম তোমার এখন সম্পূর্ণ রেস্ট থাকতে হবে কোনো কাজ করা যাবেনা বুঝেছো,

জেরিন:-আম্মা এখন রেস্ট নিতে হবেনা,
আর আমি তো তোমার মেয়ের মতোই তাইনা,
মায়ের সাথে কাজ করতেই পারি,
জানো মা আমি মায়ের আদর পাইনি,তোমাকে পেয়ে মনে হচ্ছে আমি আমার হারানো মাকে ফিরে পেয়েছি(কান্না ভরা কন্ঠে)

রহিমা:পাগলি মেয়ে একটা এইভাবে কান্না করছিস কেনো হুম আমি তো তোর মা তাইনা,

রাসেল:-ভাইরে এই মেয়ে এতো অভিনয় কবে থেকে শিখলো,আমার সাথে কতো খারাপ আচরণ করেছে আর মার সাথে লক্ষি বউয়ের আচরণ,
এর তো সিনেমায় অভিনয় করালে ভালো হতো,

এইভাবে তারা আরো অনেক কথা বলে,
কিছু সময় পরে সবাই বাসাই চলে আসে,

নিধি:-বড়আম্মু ছেলে বউকে পেয়ে আমাকে ভুলে গেলে,

সবাই তো অবাক ছেলে বউ শব্দটা শুনে,আর রাসেল তো আরো অবাক নিধি কি করে জানলো জেরিন ওর স্ত্রী,

সবুজ:-নিধি মা তুই এইসব কি বলছিস উনি তো রাসেলের ম্যাডাম,রাসেল তার বাসাই কাজ করে,

নিধি:-তুমি ভুল জানো বাবা উনি রাসেল ভাইয়ের স্ত্রী জেরিন,আমাদের এখানকার পুলিশ অফিসার,

রহিমা:-নিধি মামুনি তুই এটা কি করে জানলি,
আমি তো এটা কাউকে বলিনি,

নিধি:-বড়মা একটা কথা আছে না যেটা গুরুজনেরা সব সময় বলতো, সত্য কথা কখনো চাপা থাকেনা,

নিধির চোখে জল,
মনে হচ্ছে এখনি মেঘ ভেঙে বৃষ্টি নামবে,

রহিমা:-মামুনি তুই কান্না করতেছিস কেনো,
কি হলো তোর আবার হুম,

নিধি:-না বড়মা কিছু না এই মনে হয় চোখে পোকা পোড়েছে,

নিধি ওখানে আর দাঁড়িয়ে সোজা রুমে চলে যায়,
এইদিকে জেরিন তো নিধি কে এই বাড়িতে দেখেই অবাক হয়ে যায়,মনে মনে কিছু হারানোর ভয় তারা করে ভেরাচ্ছে,

রহিমা:-যা বাবা হটাৎ করে নিধির আবার কি হলো কিছুই তো বুঝলাম না,

রায়হান:-আমিও তো কিছুই বুঝলাম না,এইতো ভালো ছিলো হটাৎ আবার কি হলো রাসেল দের দেখে আল্লাহ ভালো জানে,

রাসেল তো ঠিকই বুঝতে পেরেছে নিধির এমন আচরণ করার কারণ,নিধি যে রাসেল কে পছন্দ করতো আর জেরিন কে দেখে সহ্য করতে পারেনি,

তারপর কেউ কোনো কথা না বলে খাবার খেয়ে নেয়,জেরিন তো এই বাড়িতে থাকবেই না চলে যাবে,কিন্তু রহিমা চৌধুরী কিছুতেই যেতে দিবে না,
জেরিন রাসেলের কানে কানে বলে,

জেরিন:-ঐ চলোনা আমরা বাসাই চলে যায়,
এখানে আমার থাকতে ভালো লাগতাছে না,

রাসেল:-তোভার জে কি কারণে ভালো লাগছে না সেটা তো আর আমার অজানা নয়,মনে মনে,
শুনলে না মা কড়া গলাই কি বলে দিলো,

জেরিন:-হুম সেটা তো শুনলাম কিন্তু আমার তো ভালো লাগতাছে না,

রাসেল:-আচ্ছা চলো ছাদে গিয়ে বসে থাকি হয়তো তোমার একটু হলেও ভালো লাগবে,

জেরিন:-আচ্ছা চলো তাহলে,যদি মনটা একটু ভালো হয়,

তারপর রহিমা চৌধুরী কে বলে রাসেল আর জেরিন ছাদে চলে আসে,কি ছাদে এসেও বাধে আরেক ঘটনা,কারণ ছাদে নিধি বসে আছে,দেখেই বোঝা যাচ্ছে নিধির মনটা খুব খারাপ,

জেরিন:-তুমি আমাকে মন ভালো করার জন্য এখানে নিয়ে আসলে বলো,

রাসেল:-দেখো জেরিন আমি বুঝতে পারতাছি তুমি নিধি কে মানতে পারতাছো না,
কিন্তু তুমি এটা কেনো বোঝো না হয়তো নিধি আমাকে ভালোবাসে কিন্তু আমি তো নিধি কে ভালোবাসি না,

জেরিন:-হুম মনটা ছোট করে বললাম,

তারপর ধিরে ধিরে রাসেল আর জেরিন নিধির কাছে আসে,ওদের দেখেই নিধি উঠে চলে যেতে নে,অমনি জেরিন নিধির হাত ধরে ফেলে,

জেরিন:-আচ্ছা আপু তোমার কি হয়েছে বলোতো,নাকি তোমাদের বাসাই এসেছি বলে তুমি আমাদের সহ্য করতে পারতেছো না কোনটা বলো,

নিধি এই কথা জবাবে কি বলবে কিছুই বুঝে উঠতে পারতাছেনা,

রাসেল:-দেখো নিধি তোমার মনের অবস্থা আমি বুঝতে পারছি,কিন্তু কিছু করার নেই তুমি না বুঝে হয়তো আমাকে ভালোবাসতে শুরু করেছো,
যদি একটা বারের জন্য আমাকে জিগ্গেস করতে আমি তোমাকে ভালোবাসি বা পছন্দ করি কিনা,তাহলে আজকে হয়তো এমন কষ্ট পেতে হতো না,

জেরিন:-হুম আপু আমি তোমার মনের অবস্থা বুঝতে পারছি,তুমি যদি একটি বারের জন্য তোমার ভাইয়ের সম্পর্কে খবর নিতে তাহলে এমন হতো না,

রাসেল:-দেখো নিধি তোমার জন্য অনেক ভালো ছেলে ডির্জাব করে,আর তুমি কিনা আমার মতো একটা রাখালের জন্য এমন মন খারাপ করে আছো,দেখবে আমার থেকেও অনেক ভালো ছেলে তোমার জিবনে আসবে,

নিধি:-ভাইয়া কি করবো বলো,
আমি জীবনে কাউকে ভালোবাসিনি,কিন্তু তোমাকে দেখেই আমার মনে ঘন্টা বাজতে শুরু করে,আস্তে আস্তে তোমাকে ভালোবাসতে শুরু করি,কিন্তু আমি মানতে পারতাছিনা তুমি বিবাহিত,

জেরিন:-নিধি আপু এটা নিয়ে কষ্ট পেয়ো না তো,
মনে করো এটা তোমার জীবনে একটা দূর স্বপ্ন ছিলো,যা কল্পনাতেই মানাই বাস্তবে কখনোই রুপ নেয় না,

নিধি:-হুম ভাবি আমি এতো সময় কিছু বুঝতে পারিনি,কিন্তু এখন তোমরা এতো সুন্দর করে বুঝালে,যা শুনে আমি সব বুঝতে পেরেছি,
ভাবি তোমার কাছে একটা জিনিস চাইবো,কখনো ভাইয়াকে কষ্ট দিয়ো না,ভাইয়ার মনটা খুব ভালো,

জেরিন:-হুম ননোদিনি তোমার রাখাল ভাইকে আমি আমার জিবনের থেকেও বেশি ভালোবাসি,কখনো কষ্টের ছিটাফোঁটা ও ওর কাছে আসতে দিবো না,

নিধি:-ভাবি তুমি কি বলো এইসব হুম,
ভাইয়া আগে রাখাল ছিলো, কিন্তু ভাইয়া এখন এই বাড়ির হারিয়ে যাওয়া সন্তান,

জেরিন:-কি বলছো এইসব,তাহলে আম্মা আব্বা আমার আসল শশুর শাশুড়ি,

নিধি:-হুম বড়আম্মু আর বড়আব্বু তোমার আসল শশুর শাশুড়ি,

জেরিন:-কিন্তু তোমার ভাই এটা আমাকে কখনো বলে নাই,যাও তোমার ভাইয়ের সাথে আমার কোনো কথা নেই,এতো বড় একটা আনন্দময় কথা আমার থেকে লুকিয়েছে,

তখনি পিছন থেকে রাসেলের মা রহিমা চৌধুরী এসে বলে,

রহিমা:-মারে এতে রাসেলের কোনো দোষ নেই,
কারণ ও চাইতো তুমি ওকে রাখাল হিসাবেই ভালোবাসো,ধনী ছেলে এটা যেনে না,

জেরিন রহিমা চৌধুরীকে জড়িয়ে ধরে কান্না করে দেয়,

জেরিন:-আচ্ছা আম্মা বুঝলাম সে আমাকে এই জন্য বলেনাই,কিন্তু আমাকে যে তোমাদের আদর ভালোবাসা পাওয়া থেকে বঞ্চিত করেছে,সেটার কি হবে,আর দেখো উনি নিজে এসে ঠিকই তোমাদের আদর ভালোবাসা নিয়েছে,

জেরিনে এমন কথা শুনে সবাই ফিক করে হেসে দেয়,

রহিমা:-হাহাহা ওহহহহ তাহলে এই বেপার,
তোমার জন্য অনেক ভালোবাসা এইবুকে আছে বঝলে?কখনো ফুরাবে না,

নিধি:-ভাবি একটা কথা বলবে,
তুমি বিসিএস ক্যাডার হয়ে ভাইয়ার মতো একটা মূর্খ রাখাল কে জিবন সঙ্গী হিসাবে বেছে নিলে কেনো,

জেরিন:-নিধি শোনো,
আমি যখন ছোট তখন আমার মা মারা যায়,
তারপর আমার বাবা আমাকে বড় করে,আমি পড়াশোনায় খুবই মেধাবী ছিলাম,আর তোমার ভাইকে আমার বাবা খুব ভরসা করতো আর ভালোও বাসতো,বাবা মারা যাওয়ার সময় আমাকে তোমার ভাইয়ের সাথে বিয়ে দেয়,কিন্তু আমি তোমার ভাইকে মেনে নিতে পারছিলাম না,
খুব কষ্ট দিয়েছি তোমার ভাইকে,তবুও তোমার ভাই আমার সাথে কখনো রাগ দেখিয়ে কথা বলেনি,
নিজে না খেয়ে আমার পড়াশোনার খরচ চালিয়ে আমাকে বিসিএস ক্যাডার বানিয়েছে,আমি বিসিএস হওয়ার পরে তোমার ভাইকে কাজের লোকের মতো রেখেছি তবুও কখনো প্রতিবাদ করেনি,আজ আমি তোমার ভাইয়ের মতো এতো ভালো মনে একটা মানুষ কে জীবন সঙ্গী হিসাবে পেয়ে নিজেকে পৃথিবীর সবচেয়ে ভাগ্যবতি মেয়ে মনে করি(কেদে কেদে)

নিধি:-ভাবি তুমি যেটা করেছো সেটা হয়তো আমি থাকলে ও করতাম,কারণ কোনো শিক্ষিত মেয়েই চাইবে না এমন রাখালের মতো মুর্খ জামাই,

রাসেল:-মা দেখছো এরা দুইজন আমাকে নিয়ে কতো কি বলতাছে তুমি কিন্তু কিছুই বলতেছো না,
অভিমানী শুরে বললাম,

রহিমা:-হয়েছে অনেক আর সব কথাই শুনলাম আমার ছেলের জিবনে এমন কোনো দিন হয়তো যায়নি যেটাই কষ্ট করতে হয়নি,

রাসেল:-মাগো যখন জানতে পারবে তোমার এই রাখাল ছেলেটাই আজকে সমাজের সবার মুখে মুখে যেই পুলিশ অফিসার কে নিয়ে কথা সেই অফিসার তোমার ছেলে,তখন নিজেকে গর্বিত মনে করবে মনে মনে,

জেরিন:-যানো মা তোমার ছেলে গরিব হলে কি হবে কিন্তু তার মনটা না খুবই বড় মাপের ছিলো,
কাউকে টাকা দিয়ে হয়তো সাহায্য করার ক্ষমতা ছিলোনা তবে কথা বা কাজ দিয়ে ঠিকই সাহায্য করতো সব সময়,যার জন্য আমাদের গ্রামের সবাই ওকে নিজের সন্তানের থেকে বেশি ভালোবাসতো,,,,,,,

চলবে……

#রাখালের_বউ_যখন_বিসিএস_ক্যাডার
লেখক:-রাসেল (কালো ভূত)
______১৫পর্ব______
?
?
রহিমা:-দেখতে হবেনা ছেলেটা কার,রহিমা চৌধুরী ও রায়হান চৌধুরীর একমাত্র ছেলেও,ওর শরীরে যে উপকারি মানুষের রক্ত বইছে বুঝলে বউমা,

জেরিন:-হুম বুঝেছি আম্মা,
তাই যদি না হতো তাহলে কি আর নিধি আপুর ভাই অমন ন্যায়পরায়ণ হতো নাকি,

নিধি:-ভাবি তুমি কিন্তু একদম আমাকে আপু বলবেনা,আমি ভাইয়ার ছোট না বলো,
তুমি আমাকে আদর করে নিধি বলে ডাকবে,
আবার হবু ডাক্তারনি বলেও ডাকতে পারো,

জেরিন:-আচ্ছা নিধি বলেই ডাকবো কেমন,
এখন খুশিতো নাকি,

নিধি:-খুশি কি করে থাকবো বলো,আমার খুসির কারণ টা যে তুমি অনেক আগেই নিজের নামে দলিল করে নিছো মনে মনে

রাসেল:-হাহাহা পেত্নি এখন হবু ডাক্তারনি,
আরো কতো নাম আছে সেটা একটু বল মেমরিতে সেইভ করে রাখি ঝগড়া করার সময় মনে পরবে,

নিধি:-বড়মা দেখছো তোমার ছেলে আমার সাথে পায়ে পারা দিয়ে ঝগড়া করতে চাইতাছে,
এমনিতেই আমার এখন ঝগড়া করার মুড নেই,

রহিমা:-এইতোরা একটু থামতো,
জানো বউমা রাসেল হারিয়ে গেলে অনেক খুঁজেছি ওকে,এই দেশের একটা কোনাও বাধ রাখিনি,
নিজেরা সাথে পুলিশ দিয়েও খুঁজেছি, কিন্তু কোনো কিছুতেই কাজ হয়নি,

নিধি:-বড়আম্মু আমার ভালো লাগতাছে না তোমরা থাকো আমি বরং রুমে গেলাম কেমন,

রহিমা বেগম খুব ভালো করেই বুঝতে পারে নিধির কেনো ভালো লাগছেনা,রাসেল আর জেরিন যতই বুঝাক না কেনো নিধি তো কোনো কিছু বোঝার মতো মেয়ে না,

রাসেল:-মা অনেক তো হলো এখন চলো নিচে যাওয়া যাক,এমনিতেই সন্ধ্যা নেমে এসেছে,
হালকা হালকা শিত পরতে শুরু করেছে,

জেরিন:-আম্মা আপনার ছেলে ঠিকই বলেছে এখন চলে নিয়ে যায়,এইখানে থাকলে শিতে কাঠ পুতুলের মতো হয়ে যাবো,

রহিমা:-হুম মা চলো,অনেক তো গল্প করা হলো এখন নিচে যাওয়াই ভালো,

তারপর সবাই একসাথে নিচে নেমে আসে,
নিধি ওর রুমে চলে যায়,এইদিকে রাসেল আর জেরিন কে রহিমা চৌধুরী একটা রুম দেখিয়ে ফ্রেস হওয়ার জন্য বলে সে নিচে চলে যায়,

জেরিন:-তুমি এতো বড়লোকের ছেলে আর সেই কথাটা আমাকে একটি বারের জন্য জানানোর প্রয়োজন মনে করোনি,

রাসেল:-তোকে কোনো কিছু বলার প্রয়োজন মনে করিনা,কেনো বলবো তুই তো বলেছিস আমার মতো রাখাল তোর স্বামী হওয়ার কোনো যোগ্যতা নেই,

জেরিন:-তুমি রাখাল হও আর যাই হও না কেনো তুমি আমার স্বামী এটাই সব থেকে বড় পরিচয় আমার কাছে,আর তুমি জানো না স্বামী সব সময় স্ত্রীর সাথে সব কিছু শেয়ার করে,হোক না তার মনে জমানো কষ্টের পাহাড়,

রাসেল:-শোন যে স্ত্রী স্বামী কে স্বামী বলে মনেই করে না তার জন্য এইসব মিথ্যা মায়া রেখে কি লাভ বল,আর তুই তো নিজে মুখেই বলেছিস আমার এই সংসারে তুই কিছু দিন থাকবি,আমাকে তোর নাকি সহ্য হয় না তাহলে আজকে এইসব কেনো বলতাছিস হুম,

জেরিন:-প্লিজ এইসব কথা বইলোনা আমি আগে ঐসব কথা বলেছি,কারণ সংসারের যে একটা মানে আছে সেইটা বুজতাম না, স্ত্রীর উপরে যে স্বামী নামক গাছ টা কতো বড়ো নিরাপত্তার ছায়া সেটা কখনোই ভাবিনি,কিন্তু এখন এইসব বুঝতে শিখেছি,সব থেকে বড়ো কথা আমি এখন তোমার সন্তানের মা হতে চলেছি,আমি তোমার সন্তানের মা হয়েই সারাজীবন তোমার বুকে মাথা রেখে থাকতে চাই,বিধাতা মরনকালে ও যেনো আমাদের আলাদা না করে,

এইসব কথা শুনে রাসেলের মনে মনে খুবই ভালো লাগে কিন্তু এতো সহজে তো মেনে নিলে চলবে না,ওকে বুঝতে হবে আপনজনের দেওয়া কষ্ট কতটা ভয়ংকর হয়,

রাসেল:-শোন মা যেনো বুঝতে না পারে তোর সাথে আমার কোনো মিল নেই,তাহলে মা অনেক কষ্ট পাবে কিন্তু আমি সেটা চাইনা,তাই মা যেনো কোনো ভাবেই বুঝতে না পারে,যদি বোঝে তাহলে তোর খবর আছে বলে দিলাম,

জেরিন:-এমন করিও না,মায়ের কষ্ট হবে সেটা তুমি ঠিকই বুঝতেপারছো,আর আমার ও যে একটা মন বলে জিনিস আছে,সেখানে যে হাজার গুণ বেশি কষ্ট হচ্ছে সেটা কেনো তুমি বুঝতে পারছো না,

রাসেল:-এতো কিছু বোঝার সময় আমার হাতে নেই,আমার মন বলতে কিছুই নেই যেটুকু ছিলো সে টুকু তোর দেওয়া আগাতে পাথর হয়ে গেছে,যদি তোর ভালোবাসার বফর দিয়ে মনটাকে গলাতে পারিস তো চেষ্টা করে দেখ,

জেরিন:-তোমার মন যতই পাথর হোকনা কেনো আমার ভালোবাসা ফুল তোমার মনে ফুটাবই ইনশাআল্লাহ্,

রাসেল:-দেখা যাক কতটা সম্পূর্ণ করতে পারিস,
বেস্ট অফ লাক পুলিশ ম্যাডাম,এখন দয়াকরে এইসব কথা বন্ধ কর আমার মাথা ধরিয়ে ফেলেছিস,তুই কি মাইরি বিরতিহিন রেডিওর মতো বাজতেই আছিস তো বাজতেই আছিস বন্ধ হবার কোনো নামই নিচ্ছিস না,

জেরিন:-আমার এইসব কথা তোমার কাছে রেডিওর মতো মনে হয়,এতটা ঘৃণা করো আমাকে যে আমার কথাটা পযর্ন্ত তোমার ভালো লাগেনা,

রাসেল:-আমাকে তোর যদি ভালো না লাগে তাহলে তোকে শুধু শুধু আমার একা ভালো লেগে কি হবে বল,ফল শরুফ শুধু কষ্ট টাই পাবো তারছে বড় মায়া কাটানোর কোর্চ টাই করি,তাও যদি তোর দেও কষ্ট টা আমার এই অবুঝ মনটা সহ্য করতে পারে,

জেরিন:-তুমি আমাকে কষ্ট দিয়ে কি খুব শান্তি পাও বলো,আমার যে কষ্ট হয় সেটা কেনো বোঝনা,

রাসেল:-আমার তোর মন বোঝার মতো শক্তি নেই তাই তোর মনে কষ্টের বই আমি পড়তে পারিনা বুঝেছিস তুই,এখন চুপ থাক,তোর কথার জন্য আমার তিন কেজি মাথা ধরেছে,

জেরিন:-তুমি বিছানায় আমার কোলে মাথা রেখে শুয়ে পরো আমি বরং তোমার মাথায় হাত বুলিয়ে দেই দেখবে অনেক ভালো লাগবে,তোমার মাথা ব্যাথা একটুও মনে হবেনা,

রাসেল:-না না এটাতো হবে না,
আমি মিথ্যে মায়া কাটানো শিখতে চাই কোনো মিথ্যে মায়াই আর নিজেকে জড়াতে চাইনা,কি হবে এতো কষ্ট সহ্য করে যদি শেষে শুখের ছোঁয়া টুকুও না পায়,

জেরিন আর কোনো কথা বলে না,নিরবে শুধু কান্না করতেছে এটা ছাড়া তার তো করার কোনো রাস্তা ও নেই,সেও যে আর এর থেকে হাজার গুণ বেশি করেছে,আজ তাকে তো রাসেলের দেওয়া সামান্য কষ্ট সহ্য করতেই হবে,

জেরিন:-শুনে রাখো তোমার দেওয়া সকল কষ্টের আগুনে নিজেকে পুরিয়েই নিজেকে তোমার মনের মতো তৈরি করবো,তুমি যতো খুসি কষ্ট দাও তবে দিন শেষে তোমার ঐ মিষ্টি হাসি টা দেখার একটা সুযোগ দিও তবুও কষ্ট টা অন্তত মনে হবেনা,
তোমার ঐ হাসি দেখেই একদিন হারিয়ে যাবো কোনো এক গভীর নিধরাই,

রাসেল:-না এখানে যদি আরো কিছু সময় থাকি তাহলে জেরিনের ইমোশনাল কথা শুনে নিজেকে আর শক্ত রাখতে পারবোনা,কিন্তু আমি এতো সহজে নিজে কে কাবু করতে চাইনা ওকে যে বুঝতেই হবে সবারি কষ্ট হয় মনে মনে,

রাসেল আর কোনো কথা না বলেই নিচে চলে যায়,
এইদিকে জেরে চোখের পানিতে বুক ভাসিয়ে ফেলছে,চোখটাও ফুলে গেছে যেটা স্পষ্ট বোঝাই যাচ্ছে,এইভাবে অনেক সময় কান্না করে ওয়াশরুমে গিয়ে ফ্রেস হয়ে নেই কেউ যেনো বুঝতে না পারে,

রহিমা:-রাসেল তুই একা নাচতে নাচতে নিচে আসলি আমার বউমা কে কোথায় রেখে এসেছিস হুম,তুই যানিস না বউমা কে এখন কোনো ভাবেই একা রাখা উচিৎ না,

রাসেল:-মা ও কোনো ছোট বাচ্চা না যে ওর খেয়াল সারাক্ষণ রাখতে হবে,ওর খেয়ার ও নিজেই রাখতে পারবে সেই টুকু বুঝ ওর হয়েছে,

রহিমা:-কি বললি এটা হুম,
বুঝলাম ও কোনো ছোট বাচ্চা না কিন্তু ওর ভিতরে তো ধিরে ধিরে বৃদ্ধি পাচ্ছে তোর সন্তান তাইনা,
যদি মেয়ে হয়ে একবার এই কষ্ট টা বুঝতে পারতি তাহলে এটা কখনোই বলতি না,

রাসেল:-হ মা আমি তো কিছুই বুঝিনা,
তুমি আমাকে বুঝিয়ে দেওয়া বাদ দিয়ে আমার মাথা ব্যাথা করতেছে,তোমার স্পেশাল থেরাপি দাও,

তখনি সিড়ি থেকে নামতে নামতে নিধি বলে ওঠে,

নিধি:-ভাইয়া মাথা ব্যথার ওষুধ কিন্তু তোমার এই ডাক্তার বোনের কাছে আছে কি ভাই লাগবে নাকি,

রাসেল:-নারে বোইন তোর ঐ মগা মার্কা ওষুধে আমার কিছুই হবে না,আমার মায়ের স্পেশাল থেরাপি একটু পেলেই আমার মাথা ব্যথা ঠিক হয়ে যাবে বুঝিস পেত্নি ডাক্তার,

নিধি:-কি আমি পেত্নি,
বড়মা তোমার ছেলের গাড় মটকাইতে কিন্তু আমি একটুও সময় নিবো না হুম আমাকে পেত্নি বলে,
তোর বউ পেত্নি,তোর চোদ্দ গুস্টি পেত্নি,এ না চোদ্দ গুস্টি হলে তো আমিও,না এটা হবে না শুধু তোর বউ পেত্নি,

রাসেল:-হাহাহা তুই পেত্নি আর দেখগা আমার বউ পরীদের রাণী,তোর মতো পেত্নিনা,
তুইতো মেকআপ করে আল্টা সুন্দরী,আর আমার বউ কোনো মেকআপ ছাড়াই স্টার্নডাড লেভেলের সুন্দরী বুঝলি শাকচুন্নি,শাওরা গাছের ভূতনি,

রহিমা:-এই তোরা একটু থামতো,
দুটা একসাথে হলেই শুরু করে দিস টম এন্ড জেরির মতো লড়াই,

এইদিকে জেরিন দোতলায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে এইসব দৃশ্য দেখছে আর মুছকি মুছকি হাসতেছে,
দেখেই মনে হচ্ছে ওর মনে এখন কোনো কষ্ট জমে নেই,

নিধি:-তাহলে তোমার এই মূর্খ রাখাল ছেলে কে বলে দাও আমার মতো মর্ডাণ শিক্ষিত হবু ডাক্তার মেয়েকে পেত্নি না বলতে,

রাসেল:-Hei future doctor, don’t call me stupid cowherd,,,,
এইরে এটা আমি কি বলে ফেললাম এখন তো আমার সব শেষ হয়ে গেলোরে মনে মনে,

রাসেলের এইরকম ইংরেজি শুনে রহিমা বেগম আর নিধি তো অবাক আর জেরিন তো এমন ভাবে হা করে তাকিয়ে আছে যে মুখে মসা গেলেও বুঝবে না,

নিধি:-ভাইয়া তুই তো সামান্য মূর্খ রাখাল তাহলে আমি যেনো তোকে মূর্খ রাখাল না বলি সেইটা ইংরেজিতে কিভাবে বললি শুনি অনেকটাই অবাক হয়ে,

রহিমা:-হুম রাসেল নিধি ঠিকই বলেছে,
তুই তারাতাড়ি বল এমন ভাবে ইংরেজি কি করে বলতে পারলি,

রাসেল:-এইরে এখন আমি কি কথা বলমু,
আমার প্রিয় পাঠক ভাইয়েরা একটু বলেদেন কি করা উচিৎ,না আপনাদের বলতে হবে না আমি নিজেই পাইছি মনে মনে,আসলে হয়েছে কি মা তোমরা তো জানোই তোমার বউমা কতো শিক্ষিত,আর আমি তার সাথে অনেক বছর হলই এক সাথে আছি,সে অনেক সময় ইংরেজি বলতো যেটা শুনে আমি এটা মুখোস্ত করে রেখেছিলাম এটাই,

জেরিন:-না এটা তো ঠিকনা,
কারণ ও যদি মুখোস্ত করতো তাহলে যেই লাইন মুখোস্ত করেছে সেটা বলতে পারবে এটা মানলাম কিন্তু নিধির বাংলা কথার উত্তর ইংরেজিতে কিভাবে দিলো,এটাই তো আমাকে অবশ্যই ভাবিয়ে তুলছে,

নিধি:-ওহহহহ তাই বল,
তাইতো বলি গবরে পদ্ম ফুল কি আর সবার ভাগ্যেই ফোটে নাকি,আর মূর্খ কখনো শিক্ষিত হয় নাকি,

রাসেল:-দেখ পেত্নি তুই কিন্তু আমার সাথে ঝগড়া করে আমার মাথা ব্যথা বাড়িয়ে দিচ্ছিস,
আমি কিন্তু তোর চুল একটাও আস্ত রাখবো না,

নিধি:-আমার বাবা মার টাকা খরচ করে শিক্ষিত মুখ নিয়ে যা ইচ্ছা বলমু তাতে তোর কি হুম,

রাসেল:-দ্বারা তুই তোকে শিক্ষিত গিরি বের করছি,
ছোটআম্মু ছোটআম্মু,

নিধির মা:-হা রাসেল বল, এইভাবে চিল্লাস কেনো,

এইদিকে নিধি তো এক দৌড়ে রুমে চলে গেছে কেননা নিধি ওর মাকে অনেক টাই ভয় পাই,আর এইখানে রাসেল কে তো নিধির মা অনেক ভালোবাসে তাই ভয় না পেয়ে উপায় আছে,

রাসেল:-তোমার এই পাগলি মেয়েকে তারাতাড়ি বিয়ে দিয়ে এই বাড়ি থেকে তারাও আমার সাথে শুধু শুধু পায়ে পারা দিয়ে ঝগড়া করে,

তখনই আবার নিধি দোতলা থেকে জোরে চিল্লান দিয়ে বলে,

নিধি:-তোকে আগে এই বাড়ি থেকে তাড়াবো বুঝলি আমি কোথাও যাবোনা,

রাসেল:-দেখলে ছোটাআম্মু তোমার সামনে তোমার মেয়ে আমাকে বাড়ি ছাড়া করতে চাই এ্যা এ্যা এ্যা,

নিধি:-আরে ভাই রাসেল তুই পার্ফেক্ট সময়ে এতো সুন্দর মনমাতানো ন্যাকা কান্নার অভিনয় কিভাবে করতে পারোস হুম,তোকে তো সিনেমায় রাখা উচিৎ ছিলো পরিচালক মনে হয় তোকে দেখতে পাইনি,

নিধির মা:-এই নিধি এইসব কি হচ্ছে হুম রাসেল তোর বড় ভাই হয়না,

নিধি:-বড়ভাই তো কি হয়েছে হুম,
তাই বলে কি আমি ওর সাথে মজা করবোনা এটা কি হয় নাকি সেইটা বলো,

নিধির কথার জবাবে দরজার কাছ থেকে কেউ একজন বলে ওঠে,যেটা দেখার জন্য সবাই পিছনে ফেরে তাকিয়ে দেখতে পায় দরজার কাছে থাকা মানুষ টা হলো,,,,,

চলবে……

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here