রাগী খালাতোভাই যখন বর ,পার্ট-১

0
9148

রাগী খালাতোভাই যখন বর
পার্ট-১
মাহমুদ

কীরে শরীর দেখাতে চাস,,,,,,তো এখানে কী করছিস,,,,,,গলিতো যা অনেক এ আছে,,,,,ভার্সিটির পরিবেশটা নষ্ট করিস না,,,,অবশ্য তোদের মতো মেয়েরা এ ছারা আর কী বা পারে,,,,,,??
হঠাৎ এমন কথা শুনে পিছনে তাকালম,,,,,,দেখলাম শুভ্র ভাইয়া কথাটা বলছে,,,,,,নিজের চোখকেউ বিশ্বাস করতে পারছিলাম না,,,,,তাই কান্না করে দিলাম,,,,
(আমি শিশির আর যে আমাকে এতো গুলো কথা বললো সে শুভ্র ভাইয়া,,,উনি আমার খালাতো ভাই,,,ছোট বেলাই মা বাবা দূর্ঘটনায় মারা যায়,,,,,তার পর থেকেই আমি খালামুনি দের বাসাতে থাকি,,,,,
খালামুনি আর খালি আমাকে নিজের মেয়ের মতোই মানুষ করছে,,,,,,,,,,কারণ তাদের কোনো মেয়ে নাই,,,,,,,আমি এবার অনার্স ১ম বর্ষরে,,,,আর শুভ্র ভাইয়া ফাইনাল ইয়ারে
কীন্তু কোনো এক কারণে শুভ্র ভাইয়া আমাকে পছন্দ করে না,,,,,,,কেনো করে না সেটা আমি আজ ও জানি না,,,,,,)
এই একদম নেকা কান্না করবি না,,,,,,নিজের উড়না যখন শরীল এ রাখতে পারিস না,,,,তখন পরিস কেনো,,,,,??
শুভ্র ভাইয়ার কথা শুনে নিজের দিকে তাকালাম,,,,,আর দেখলাম,,,,,উড়নাটা সরে গেছে,,,,,,,
আসলে ভাইয়া আমি খেয়াল করিনি,,,,,,,,?
চুপ একদম চুপ আর একটা কথা বললে গাল লাল করে দেবো বেয়াদব মেয়ে???
শুভ্র থাক ছেরে দে বুজতে পারেনি,,,,,আর বকা বকি করিস না,,,,,(কথাটা রাকিব ভাইয়া বললো,,,,,,,,,,শুভ্র ভাইয়ার বন্ধু)
শিশির তুমি ক্লাস এ যাও,,,,,,
আর এম মূহুর্ত ওখানে দারালাম না,,,,,ক্লাস এ চলে আসলাম,,,,,একটা ক্লাস করে বাড়িতে চলে আসলাম,,,,ভালো লাগছিলো না ক্লাস করতে,,,
কীরে মা আজ এতো তারা তারি চলে আসলি,,,,,,,
শরীল ঠিক আছে তো,,,,,??
খালামুনি আমি ঠিক আছি,,,,,কীছু হয়নি এমনি ক্লাস করতে ভালো লাগছিলো না তাই চলে আসলা,,,,,,
ওও আচ্ছা যা তুই ফ্রেস হয়ে নে আমি খাবার দিচ্ছি,,,,খেয়ে একটু ঘুমা ঠিক হয়ে যাবে,,,,,
ঠিক আছে খালামুনি,,,,বলে রুমে চলে আসলাম,,,,,,খাওয়া দাওয়া করে সুয়ে থেকে ফোন ঘাটছিলাম,,,,,,,,,,
এমন সময় একটা অচেনা আইডি থেকে এসএমএস আসলো,,,,,
ছেলেটা:hi,,,,?
আমি:hi…..
কেমন আছো??
ভালো আপনি?
ভালো,,, তো আজ ক্লাস না করেই চলে গেলে কেনো???
জানো তোমাকে কতো মিস করছিলাম?রিপ্লে দিতে যাবো,,,,তখন দেখি আমাকে আমার আইডি থেকে লাথি দিয়ে বের করে দিলো?
অনেক চেষ্টা করেও আর ঠুকতে পারলাম না বুজতে পারলাম না কী হলো এটা,,তাই ঘুমিয়ে গেলাম,,
শুভ্র ভাইয়ার চিৎকারে ঘুম থেকে উঠলাম,

উঠে দেখি বিকাল ৪:০০ টা বাজে,
এর মাঝেই শুভ্র ভাইয়া আবার ডাকালো
শিশিররররররররররররররর
দৌড়ে ভাইয়ার কাছে গেলাম,, গিয়ে দেখি খালামুনিও সেখানে আছে,।
আমি এক কণে চুপ করে দারিয়ে আছি,খালামুনি ভাইয়াকে জিজ্ঞাস করলো কী হয়েছে।
ভাইয়া খুব শান্ত গলাই বললো।
শিশির তোর ফোন কোথাই?
ঘরে ভাইয়া,কিন্তু কেনো?
তোকে এতো প্রশ্ন করতে বলেছি আমি? বেশি কথা না বলে যা ফোনটা নিয়াই৷
হুম,ভাইয়া এই যে ফোন।
ভাইয়া কোনো কথা না বলেই আমার ফোনটা নিয়ে আছার মারলো।
শুভ্র কী শুরু করছো কী হে,,কী শুরু করছো,,নিজের যখন যা মনে হবে তাই করবে তুমি।
শিশির এর ফোনটা কেনো ভাঙ্গলে?বলো কেনো ভাঙ্গলে?(খালামুনি খুব রেগে কথা গুলো বললো।আমি আগের মতোই চুপ চাপ দাড়িয়ে আছি।আসলে এখানে কী হচ্ছে আমি কীছুই বুজতে পারছি না সব মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে)
নিরাবতা ভেঙে শুভ্র ভাইয়া বললো।
আজ থেকে ও কোনো ফোন ব্যবহার করবে না।আমার যখন মনে হবে,ও ফোন ব্যবহার এর যোগ্য তখন আমি নিজেই ওকে ফোন কিনে দিবো।
কিন্তু ভাইয়া, আমার তো ল্যাপটপ নাই।
আমি আমার ফোনেই সব প্রোজেক্টের কাজ করতাম।
যখন যেটা তরকার হয়, আমার ফোন বা ল্যাপটব থেকে করে নিবি(বলেই চলে গেলো)
আমি আর খালামুনি তো অবাক যে কী না তার ঘরেই আমাকে যেতে দেই না।আজ তার কী হলো তার জিনিস আমাকে ব্যবহার করতে দেবে বলে গেলো,,
রাতের খাবার খেয়ে পড়তে বসলাম।পড়া শেষ এ ভালো লাগছিলো না তাই ছাদে গেলাম
দোলনায় বসে থাকতে থাকতে কখন ঘুমিয়ে পড়েছি যানি না।
সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি আমি আমার রুমে,
অনেক ভেবেও বের করতে পারলাম না আমি রুমে কী ভাবে এলাম।
ওদিকে খালামুনি বকা বকি করছে কলেজ এর দেরি হয়ে যাবে বলো।

চলবে………

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here