রাগী খালাতো ভাই যখন বর পার্ট-৪

0
5887

রাগী খালাতো ভাই যখন বর
পার্ট-৪
মাহমুদ

ওনার কথাই খালু বললো।
শুভ্র কী হচ্ছে এই সব?বড় দের সম্মান করতে ভুলে গেছো নাকী?
খালুর কথাই কোনো উওর না দিয়ে উনি আমাকে বললো।
কীরে তুই এখানে এখন ও সং সেজে বসে আছিস কেনো? যা নিজের রুমে যা ।
(আমি এখন ও চুপচাপ বসে আছি দেখে উনি দাঁতে দাঁত চুপে বললো)
কীরে যাবি তুই, নাকী কোলে করে রুমে দিয়ে আসতে হবে
তুই যাবি নাকী কোলে করে দিয়ে আসতে হবে রুমে?
উনার এমন কথাই দৌড়ে নিজের রুমে চলে আসলাম।
কীরে শিশির শুভ্র ভাইয়া এমন করছে কেনো বলতো?(নিশি)
আমি কেমনে বলবো?উনি কেনো এমন করছে?
আমার মনে হয় আমি জানি বুজলি শিশির।
কী জানিস বলে ফেল।
আমার মনে হয় শুভ্র ভাইয়া আর তোর মাঝে সামথিং সামথিং।
মানে?
মানে আমার মনে হয় শুভ্র ভালো তোকে পছন্দ করে,, তাই তোর বিয়ে হতে দেবে না।
সত্যি বলছি তুই(খুশি হয়ে) উম্মম্মম্মম্মম্মা
বিশ্বাস কর মাই জান তোর কথা যদি সত্যি হয় আমি তোকে,,,,তেলাপোকার সুপ খাওয়াবো,টিকটিকির মালাইকারি খাওয়াবো,ইঁদুরের ডিম খাওয়াবো।
ওয়া, ছি “””‘” তুই এই সব কী বলছিস মাথা ঠিক আছে তোর?এই গুলো কেউ খাই ছি।
বলেই ও রুম থেকে চলে গেলো।
আমি মনে হয় ভুল যায়গাতে ভুল কথা বলে ফেলেছি।
সে যায় হক তাতে আমার বাপের কী??
পরের দিন যানতে পারলাম উনি নাকী ওদের বলেছে,,,,যা হবার আমার অনার্স কমপ্লিট এর পর হবে,
এখন যেনো এ বাড়িতে কারো কোনো বিয়ের কথা না বলা হয়।
বলেই চলে গেছেন।তাই রাফি ভাইয়ারাও চলে গেছে।
রাতে ডিনার করার সময় খালামুনি বললো?
রাফি বাড়িতে গিয়ে ফোন দিয়েছিলো,
ওরা শিশিরের পড়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবে।
আর এতো দিন রাফি শিশিরের সাথে টুক টাক কখা বলতে চাই।
আমি বলে দিয়েছি কোনো সমস্যা নেই কথা বলতে পারে।আমি তো শিশিরের নাম্বারটাও দিয়েছি রাফিকে।
ছেলেটাকে আমার খুব ভালো লেগেছে।
তাই আমিও চাই আমার মেয়েটাকে ওর হাতে তুলে দিতে।
শুভ্র ভাইয়া শুধু বললো
মা তুমি তো বিদুৎ এর গতিতে ছুটছো,
এতো তারা কিসের? নাকী এখন ওকে তোমাদের বোঝা মনে হচ্ছে?
হতেই পারে,সারা জীবন তো আমাদের বাড়িতেই কাটিয়ে দিলো।
কথাটা শুনে খুব মন খারাপ হয়ে গেলো,মাথা নিচু করে বসে আছি।
তখনই ফোন টা বেজে উঠলো, খুব বিরক্ত লাগছিলো,ফোন এর দিকে তাকিয়ে দেখি রাফি ভাইয়া ফোন দিয়েছে।
কে ফোন দিয়েছে(খালামুনি)
রাফি ভাইয়া।
ওওও আচ্ছা যা রুমে গিয়ে কথা বল।
আমি ও রুমে চলে আসলাম।
রাফি:কেমন আছো বিন্দুশিশির?
আমি:ভালো।বাট ভাইয়া আমার নাম শিশির।
আমার কথাই উনি হাসলেন।
তারপরে বললেন
রাফি:জানি তোমার নাম নৌশিন আহমেদ শিশির,কিন্তু আমি তোমাকে ভালোবেসে বিন্দু শিশির ডাকতে চাই মানা করো না।
আমি আর কথা বারালাম না।
টুক টাক কথা বলে ঘুমিয়ে গেলাম।
এভাবে প্রায়ই রাফি ভাইয়া ফোন দিতো,
কথা বলার ইচ্ছা না থাকা সত্যেও কথা বলতে হতো।পরের পর্ব প্রো-ফাইলে দেওয়া আছে। দয়া করে পড়ে নিন।
একদিন রাতে সুয়ে থেকে রাফি ভাইয়ার সাথে কথা বলছিলাম।
লোকটা এদম খারাপ না।মানুষ কে খুব হাসাতে জানে।
আমিও তার কথাই হাসছিলাম এমন সময় শুভ্র ভাইয়া আমার হাত থেকে ফোন টা কেরে নিয়ে ভেঙে ফেললেন।
ওনাকে দেখে খুব ভয় পেয়ে গেলাম,
উনার চোখ দুটো আগুন এর মতে হয়ে আছে এমন ভাবে চেয়ে আছে যেনো এখনই আমাকে কাচা গিলে খাবে(আচ্ছা আমাকে যদি রান্না না করেই খাই তাহলে কী ওনার পেটে সমস্যা হবে,,,
হলে আমার বাপের কী?)
কথা গুলো ভাবছিলাম এসন সময়
শুভ্র ভাইয়া আমার হাত দেয়ালের সাথে চেপে ধরে বলে উঠলেন?
আর কোনো দিন যদি কারো সাথে ফোনে কথা বলা দেখি তাহলে সেই দিনই হবে তোর শেষ দিন।
খুব সাহস করে বললাম।
কীন্তু ভাইয়া আমি তো আমার হবু স্বামীর সাথেই কথা বলছিলা।
কথাটা শেষ করার আগেই উনি আমার ঠোঁট দুটো দখল করে নিলেন।
আর সব রাগ যেনো আমার ঠোঁট এর উপর এ ছেরে দিচ্ছে।
উনি হঠাৎ এমন করবে কখন ও ভাবতে পারিনি।
কান্না করে দিলাম।।।।।
কীছু সময় পরে উনি আমাকে ছেরে দিয়ে চলে গেলো।
আর যাওয়ার আগে বলে গেলো শুভ্র শিশিরের গল্পের পাতাই থাকবে অন্য কেউ না।
কথাটা যেনো মাথাই থাকে।
বলেই চলে গেলেন।

যাওয়ার সময় বলে গেলে শুভ্র শিশিরের গল্পের পাতাই থাকবে অন্য কেউ না। কথাটা বলেই চলে গেলো।
আর আমি সেখানেই বসে পড়লাম।কখনও ভাবতে পারিনি শুভ্র ভাইয়া এমন করবে।
খুব কষ্ট হচ্ছিলো, কান্না করতে করতে কখন ওখানেই ঘুমিয়ে গেছি মনে নেই।
সকালে কীছুই খাইনি,আজ থেকে শুভ্র ভাইয়ার পরিক্ষা শুরু।
উনি সকালে নাস্তা করে পড়তে বসেছে।
আমি চুপটি করে ঘরের মাঝে বসে আছি।
কীছুই ভালো লাগছে না,
মাথার মধ্যে কীছু প্রশ্নও ঘুরছে।
উনি কী আমাকে ভালোবাসে,নাকী উনার বাড়িতে থাকি বলে ওনার সম্পত্তি ভাবে।
খালামুনি রান্না করছে আমি টিভি দেখছে,শুভ্র ভাইয়াও পরিক্ষা দিয়ে বাড়ি চলে আসছে, মনে হয় সুয়ে আছে।
খালামুনির কাছে শুনলাম ওনার পরিক্ষা খুব ভালো হয়েছে।
এই ভাবে দেখতে দেখতে উনার পরিক্ষা শেষ হয়ে গেলো,এর মাঝে রাফি ভাইয়া মাঝে মাঝে আমাদের বাড়িতে আসতেন,
আমাকে খালু ফোন কিনে দিতে চাইছিলো,আমি নেইনি।
আজ শুভ্র ভাইয়ার রেজাল্ট দেবে কিন্তু ওনার মাঝে বিন্দু মাত্র চিন্তা নেই।
খুব নরমালি চলা ফেরা করছে।
খালামুনি তো টেনশনে শেষ।
মা এমন করছো যে আমি প্রতি বছর ফেল যায়, এবার ও যাবো আজিব।
একটু শান্ত হও।
হঠাৎ রাফি ভাইয়া আসলো হাতে মিষ্টি নিয়ে।
রাফি ভাইয়া ফাস্ট ক্লাস পাইছে।সেটা শুনে তো খালামুনি আরো চিন্তাই পড়ে গেলো।
একটু পড়ে ভাইয়ার ও রেজাল্ট জানা গেলো।
ভাইয়াও খুব ভালো রেজাল্ট করছে,,উনি ও ফাস্ট ক্লাস পাইছে।
এই খুশিতে খালামুনি আজ রাতে বাড়িতে একটা ছোট খাটো পাটির আয়োজন করে সেখানে আমাদের কাছের কীছু কীছু আপন জন,আর শুভ্র ভাইয়ার ক্লাস মেটরা সকলেই।
সন্ধার সময় আমি রেডি হচ্ছিলাম,এমন সময় দরজার কাছ থেকে কেউ বলে উঠলো সং সেজে কাকে দেখাবি।আর কোথাই যাবি।
আর হে আজকের পাটিতে যেনো তোকে না দেখি।
কোথা থেকে খালামুনি এসে এই কথার জন্য বকা বকি করছে।
মা আমি কোনো কথা শুনতে চাই না এই পাটিতে ও থাকবে না ব্যস।
খালামুনি কীছু বলার আগেই আমি বলরাম।ভাইয়া চিন্তা করেন না আমি যাবো না।
খালামুনি প্লিজ কথা বাড়িও না ভালো লাগছে না।
খুব অপমানিত লাগছে,আজ আমার মা,বাবা বেঁচে থাকলে হয়তো শুভ্র ভাইয়া আমার সাথে এমন করতে না।
ওদিকে পাটি শুরু হয়ে গেছে।
আমি ঘরে সুয়ে আছি একটুও ভালো লাগছে না।
এমন সময় খালু আর খালামুনি আসলো আমার রুমে খালু আমার মাথাই হাত রাখতেই তাকে জোরিয়ে ধরে কান্না করে দিলাম।
আচ্ছা তোমরাই বলো তো আমি কী এতো আমি কী খুব খারাপ যে আমাকে একটুও ভালোবাসা যাই না।
খালামুনি তুমি তো সেদিন বললে তোমার কাছে একটা প্লেন আছে(আমি যদি ভাইয়ার সামনে অন্য কারো সাথে মিশি কথা বলি তাহলে ভাইয়াও তার মনের কথা আমাকে বলে দেবে।কিন্তু দেখো উনি আমাকে দেখতেই পারে না)
শিশির আমরা একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আশা করি তুই আমাদের সিদ্ধান্ত মত দিবি।

চলবে………

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here