রাগী_জেদী_মেয়েটি❣️?,১০ম পর্ব,১১

0
811

??রাগী_জেদী_মেয়েটি❣️?,১০ম পর্ব,১১
-Tahir Ahmed Dip
-১০ম পর্ব….
.
-আদ্রিতার কেন জানি বেশ রাগ হচ্ছে দ্বীপের সাথে ওকে দেখে।কেন এমন হচ্ছে ও নিজেও জানে না।বিশেষ করে সকালে ওর সামনে কবিতাকে লিফট দেয়ার পরেই ও কিছুতেই শান্ত হয়ে থাকতে পারছে না……..
.
-এদিকে দ্বীপ ও ইরা গাড়িতেই বসে ছিলো হটাৎ ইরা বলে ওঠে….
.
-এই মেয়েটাই আদ্রিতা তাই না….(ইরা)
.
-তুই কিভাবে বুঝলি?(দ্বীপ)
.
-ওকে দেখে তোর ফেইস পুরো অন্যরকম হয়ে গেছিলো।তোর চোখের চাহনি, কথা বলা সবকিছু দেখে মনে হচ্ছে এটাই আদ্রিতা রাইট…(ইরা)
.
-হুম…..(দ্বীপ)
.
-আচ্ছা শোন গাড়ি সাইডে দাড় করা…..(ইরা)
.
-কেন?(দ্বীপ)
.
-ফুচকা খাবো…..(ইরা)
.
-ওকে…..(দ্বীপ)
.
-দ্বীপ সাইডে গাড়ি দাড় করালে ইরা গিয়ে ফুস্কার দোকানে গিয়ে বেশি ঝাল দিয়ে দুই প্লেট ফুস্কা অর্ডার করে।ফুস্কা বানানো হয়ে গেলে ইরা গপগপ করে একটার পর একটা ফুস্কা খেতে শুরু করে আর দ্বীপ হা করে তাকিয়ে থাকে ওর দিকে….
.
-কি হলো খাচ্ছিস না কেন?(ইরা)
.
-তোর খাওয়া দেখছি।যে স্পীডে খাচ্ছিস মনে হচ্ছে পুরো দোকানটাই খেয়ে ফেলবি….(দ্বীপ)
.
-একদম নজর দিবি না ফুস্কা হলো জাতীয় খাবার।আমাকে যদি প্রধানমন্ত্রী বানানো হতো আমি ফুস্কা ডে নামে আলাদা একটা দিন তৈরি করতাম।সেদিন যে যতো ইচ্ছা ফুস্কা খেতে পারো পুরো ফ্রি…..(ইরা)
.
-থাক মহারাণী। আপনি খান, আপনাকে এতকিছু ভাবতে হবে না….(দ্বীপ)
.
-এই দাড়া হা কর…(ইরা)
.
-কেন?(দ্বীপ)
.
-এতো কথা বলিস কেন হু?হা কর চুপচাপ….(ইরা চোখ ছোট ছোট করে)
.
-দ্বীপ হা করলে ইরা ওকে ফুস্কা খাইয়ে দেয়।ইরার হাতে ফুস্কা খেতে যদিও অন্যরকম লাগছিলো তবুও দ্বীপ কিছু না বলে চুপচাপ খেয়ে নেয়,মুখে দেয়ার সাথে সাথেই ঝালে ওর মুখ পুরো জ্বলে ওঠে……
.
-আউউউউউ…..এত ঝাল…..(ঝালে পুরো নাকমুখ লাল হয়ে গেছে)
.
-এই নে পানি খা।এটা তো কিছুই না এর চেয়ে বেশি ঝাল খেতে পারি আমি….(ইরা)
.
-থাক তোর ফুস্কা তুই ই খা।আমি বিল পে করছি….(দ্বীপ)
.
-ইরা দ্বীপকে একটা ভ্যাঙচি দিয়ে ফুস্কা খাওয়াতে মন দেয়….
.
-ফুস্কা খাওয়া হয়ে গেলে ওরা দুজনে বাসায় চলে যায়।বাসায় যেতেই দেখে দ্বীপের মা আর ফুপি দুজনেই গল্প করছে….
.
-কোথায় ছিলি তোরা?আয় খেতে আয়….(দ্বীপের মা)
.
-আমি খাবো না খেতে ইচ্ছে করছে না তাই রুমে গেলাম।বায় এভ্রিওয়ান।গুড নাইট…..(দ্বীপ)
.
-আদ্রিতাও খেয়ে এসেছে তাই ও নিজেও দ্বীপেএ পিছন পিছন উপরে রুমে চলে যায়।দ্বীপ রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে একটা কালো ট্রাউজার আর সাদা টিশার্ট পড়ে গল্পের বই পড়ছিলো হটাৎ দরজায় কেউ টোকা দেয়।দ্বীপ অবাক হয় ১২.০০ টা বাজে এখন কে আসলো!!ও দরজা খুলতেই দেখে ইরা দাঁড়িয়ে…..
.
-কিরে এতো রাতে এখানে কি করছিস….(দ্বীপ)
.
-তার আগে বল তুই এতো রাত জেগে কি করছিস?(ইরা)
.
– গল্পের বই পড়ছিলাম…. (দ্বীপ)
.
-আচ্ছা, ছাদে চলনা প্লিজ প্লিজ প্লিজ!!….(ইরা)
.
-এতো রাতে গেলে সবাই কি ভাববে??(দ্বীপ)
.
-চল না প্লিজ প্লিজ প্লিজ প্লিজ প্লিজ সবাই ঘুমিয়ে পড়েছে প্লিজ চল…(ইরা)
.
-ওকে বাবা চল….(দ্বীপ)
.
-দুজনে মিলে ছাদে চলে যায়।ইরা বেশ খুশি ও রেলিং এর ধার ঘেসে দাঁড়িয়ে থাকে।বাতাসে ওর চুল উড়ছে।ও একমনে চাঁদটা দেখছে।আজকে পুর্ন চাঁদ উঠেছে।ইরার কাছে দেখতে বেশ ভালো লাগছে…
.
-দেখ চাঁদ টা সুন্দর না….(ইরা)
.
-হুম…..(দ্বীপ)
.
-আমার চাঁদ দেখতে খুব ভালো লাগে।Queen of the sky…. (ইরা)
.
-ওহ আচ্ছা।প্লিজ নিচে চল আমার বেশ ঘুম পেয়েছে….(দ্বীপ)
.
-তুই যা আমি পরে আসবো….(ইরা)
.
-একা একা তোর ভয় করবে না?(দ্বীপ)
.
-নাহ আমার একা থাকার অভ্যাস আছে তুই যা….(ইরা)
.
– দ্বীপের বেশ ঘুম পেয়েছিলো তাই ও কিছুক্ষন দাঁড়িয়ে চলে যায়।এদিকে ইরা একা একা দাড়িয়ে চাদের দিকে তাকিয়ে কিছু ভাবতে থাকে।….
.
-পরদিনঃ-
.
-দ্বীপ আজ একটা কালো শার্ট পড়েছে সাথে ব্লু জিন্স আর কালো লোফার।কালো শার্ট টাতে ওকে বেশ মানিয়েছে।দ্বীপ চুলে জেল দিয়ে চুলগুলো ঠিক করে নেয় এরপর গাড়ির চাবি আর ব্যাগ নিয়ে ভার্সিটির উদ্দেশ্যে চলে যায়…..
.
-দ্বীপকে কলেজে ঢুকতে দেখেই কবিতা এগিয়ে আসে ওর কাছে…..
.
-হায়….(কবিতা)
.
-হ্যালো….(দ্বীপ)
.
-আজকে তোমাকে দেখতে তো বেশ হ্যান্ডসাম লাগছে…..(কবিতা)
.
-ওহ থ্যাংকস….. (দ্বীপ কিছু ভেবে হেসে)
.
-আচ্ছা তুমি ক্লাসে যাও আমি আসছি….(কবিতা)
.
-ওকে বলে দ্বীপ চলে যায় এদিকে দ্বীপ যেতেই আদ্রিতা এসে কবিতার সামনে দাঁড়ায়….
.
-কিরে কি বলছিলি ওর সাথে….(সরু চোখে)
.
-এইতো নরমাল হায়,হ্যালো…..(কবিতা)
.
-ওহ….(আদ্রিতা)
.
-আমার মনে হয় জানিস?আমি দ্বীপের প্রেমে পড়ে গেছি……….(কবিতা)
.
-কিহহ?(আদ্রিতা চোখ বড়বড় করে)
.
-হুম।ওর ফেইস ওর অ্যাটিটিউড সবকিছুর প্রেমে পড়ে গেছি আমি। আর ও এমনিতেও ক্লাসের সবচেয়ে ব্রিলিয়ান্ট স্টুডেন্ট তাই সবকিছু মিলিয়ে ওকে আমার খুব ভালো লাগে।আই জাস্ট লাভ হিম….(কবিতা)
.
-আদ্রিতা কিছু না বলে চুপচাপ হেটে ভার্সিটি থেকে বেড়িয়ে যায়।কেন জানি কবিতার কথাগুলো ওর কিছুতেই সহ্য হচ্ছিলো না।কালকে দ্বীপ ওকে বাচানোর পর থেকে ও একটা বার ও দ্বীপের কথা ভুলতে পারছে না বিশেষ করে দ্বীপের সাথে কাটানো প্রতিটা মুহুর্ত ওকে বারবার দ্বীপের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে একই সাথে দ্বীপকে এভাবে অপমান করাতেও বেশ অনুতপ্ত হয়েছে। আদ্রিতা বুঝতে পেরেছে এভাবে সবার সামনে ওকে অপমান করাটা ঠিক হয়নি,,……
.
-বাসায় গিয়েও আদ্রিতার কিছুই ভালো লাগছিলো না।বারবার দ্বীপের ফেইস টা চোখের সামনে ভাসছে।দ্বীপের চোখের পানি গুলোর কথা ভেবে ওর বেশ খারাপ লাগছে।দ্বীপের চোখে ও সেদিন অনেক ভালোবাসা দেখেছিলো কিন্ত ও নিজেই দ্বীপকে কত কষ্ট দিলো ভাবতেই ওর একটা খারাপ লাগা কাজ করছে।…..দুদিন আদ্রিতা বাসায় ই কাটিয়ে দিলো তৃতীয় দিন ও মন ভালো করতে শপিং মলে গিয়ে ড্রেস দেখছিলো হটাৎ ওর চোখ আটকে যায় সামনে।দ্বীপ আর সেদিনের গাড়িতে থাকা মেয়েটা পাশাপাশি হাটছেঁ। আদ্রিতা আর নিজেকে সামলে নিতে পারছে না।ও দ্বীপের কাছে এগিয়ে গেল…..
.
-দ্বীপ তোমার সাথে আমার কিছু কথা আছে….(আদ্রিতা)
.
-দ্বীপ না শোনার ভান করে চলে যাচ্ছিলো এর মাঝে আদ্রিতা ওর হাত টেনে ধরে।
.
-কি হচ্ছে এটা?হাত ছাড়ো। শপিংমলে কোনো সীন ক্রিয়েট করতে চাই না আমি৷… (দ্বীপ হাত ছাড়িয়ে)
.
-আদ্রিতার রাগ চরমে পৌঁছে গেল ও গিয়ে দ্বীপের কলার চেপে ধরে…..
.
-আমার কথা শুনতেই হবে তোমাকে…..(আদ্রিতা)
.
-জাস্ট লিভ মি সবাই দেখছে….(দ্বীপ আগুন চোখে তাকিয়ে)
.
-আমার কথা তোমাকে শুনতেই হবে নাহলে আমি ছাড়ছি না….(আদ্রিতা)
.
-দ্বীপ আর নিজেকে সামলে রাখতে না পেরে সর্বশক্তি দিয়ে আদ্রিতার গালে একটা চর মারে।চরটা এতো জোরে মেরেছে -আদ্রিতার ঠোট ফেটে রক্ত বেড়োচ্ছে। চর খেয়ে আদ্রিতা গালে হাত দিয়ে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে দ্বীপের দিকে!!
.
-কি ভেবেছিস নিজেকে….
.
-To Be Continued…..

??#রাগী_জেদী_মেয়েটি❣️?
.
-Tahir Ahmed Dip
.
-১১ তম পর্ব….
.
-ঠাসসস……
.
-চর খেয়ে আদ্রিতা অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে ওর দিকে।পুরো শপিং মলের লোকজন ওদের দিকে তাকিয়ে আছে।আদ্রিতার ঠোঁট থেকে রক্ত পড়ছে কিন্ত সেদিকে ওর কোনো খেয়াল নেই ও শুধু দ্বীপের দিকে তাকিয়ে আছে….
.
-লজ্জা করে না আমাকে স্পর্শ করতে?একটা ছোটলোক কে টাচ করতে তোর লজ্জা করে না।সেদিন আমাকে কি বলেছিলি থার্ডক্লাস তাই না তুই নিজেই তো একটা থার্ডক্লাস মেয়ে।তোদের হয়তো টাকা আছে কিন্ত মন টা থার্ডক্লাশ লোকেদের থেকেও নিকৃষ্ট। সেদিন ক্লাসের সবার সামনে আমাকে অপমান করেছিলি শুধুমাত্র তোকে সত্তিকারে ভালোবাস তাম বলে তাই না….জানিস কত কষ্ট পেয়েছি সেদিন?সেদিন আঘাত টা পাবার পরেই আমি আজকে এই চেঞ্জ টা হয়েছি সো ভুলেও আমার সাথে কথা বলার ট্রাই করবি না। আর ছোটলোক আমি না, ছোটলোক হলি তুই।তুই শুধু নাটক করতে জানিস ভালোবাসতে না।আসলে সত্তি কি জানিস তুই কারো ভালোবাসার যোগ্য ই না।তোর এই ফেইস আমি কখনো দেখতে চাই না আর কখনো না…..এটা বলে দ্বীপ ইরাকে নিয়ে শপিংমল থেকে বেড়িয়ে যায়।এদিকে আদ্রিতা দৌড়ে ওখান থেকে কাদঁতে কাদঁতে বেড়িয়ে যায়।
.
-দ্বীপ গাড়ি ড্রাইভিং করছিলো আর ইরা ওর পাশের সীটে বসে ছিলো হটাৎ ইরা বলে ওঠে….
.
-দ্বীপ এটা ঠিক হয়নি।ও নাহয় তোকে অপমান করেছে তাই বলে তুই ওকে এভাবে শাস্তি দিবি….(ইরা)
.
-বেশ করেছি। ও আমাকে ক্লাসের সবার সামনে অপমান করেছিলো শুধুমাত্র ওকে ভালোবাসি তাই তখন আমার ও বড্ড কষ্ট হয়েছিলো।….(দ্বীপ)
.
-ইরা আরকিছু না বলে হেডফোন দিয়ে গান শুনতে থাকে আর হেলান দিয়ে চুপচাপ বসে থাকে একটু পরেই ওরা বাড়িতে পৌঁছে যায়।…..
.
-এদিকে বাসায় এসে আদ্রিতা কান্না করেই চলেছে।ওর মায়ের মৃত্যুর সময় ও এতো কান্না করেনি।আজকে বড্ড কষ্ট হচ্ছে ওর…..
.
-মা তুমি আমাকে একা রেখে কেন চলে গেলে?আমাকে সাথে করে কেন নিয়ে গেলে না?আমি অনেক খারাপ।দ্বীপ ঠিক ই বলেছে আমি কারো ভালোবাসা পাবার যোগ্য না।দ্বীপ সেদিন কতোটা কষ্ট পেয়েছে আমি আজ তা ভালোভাবে বুঝতে পারছি।আমি ভাবিনি এমন কোনো সিচুয়েশনে পড়তে হবে প্লিজ তুমি আমাকে নিয়ে যাও প্লিজ বলে আদ্রিতা আরো জোরে জোরে কান্না করতে থাকে……
.
-এদিকে বাসায় এসে দ্বীপের ও খারাপ লাগছে। আদ্রিতাকে তো ও এখনো ভালোবাসে। আদ্রিতার ঠোট থেকে রক্ত বেড়োচ্ছে এটা দেখে দ্বীপের বুকের বা পাশে একটা চিনচিনে ব্যাথা হচ্ছিলো কিন্ত ও রাগে নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারেনি কিছুতেই।আজ দ্বীপের কাছে নিজের ই নিজেকে অপরাধী মনে হচ্ছে।আদ্রিতা হয়তো ওর সাথে খারাপ বিহেভ করেছে কিন্তু ও নিজেও তো সেটাই করলো দ্বীপ এসব ভাবছে হটাৎ ই ইরা রুমে এসে হাজির……….
.
-কি করছিস?(ইরা)
.
-বসে বসে মুড়ি খাচ্ছি আয় খাবি….(দ্বীপ)
.
-তুই কি কোনোদিন ঠিক হবি না?সেই ছোট থেকেই অল টাইম আমার সাথে ঝগড়া করতি এখনো তেমন ই আছিস….(ইরা শান্ত চোখে)
.
-হুম পেত্নী টা…..(দ্বীপ)
.
-আবারো পেত্নী বললি দাড়া আজ তোকে বলেই ইরা চারদিকে তাকিয়ে দ্বীপের খাটের উপর থেকে বালিশ নিয়ে দ্বীপকে মারতে থাকে।ওর হাত থেকে বাচার জন্য দ্বীপ বালিশে টান দেয় কিন্ত ভুলবশত ইরা ওর গায়ের উপর এসে পড়ে আর দুজনেই বিছানায় শুয়ে পড়ে।ইরা নিচে আর দ্বীপ ওর উপরে……
.
-ইরার নরম তুলতুলে শরীরটা দ্বীপের নিচে স্পষ্ট টের পাচ্ছে।ইরা বড়বড় চোখে তাকিয়ে আছে দ্বীপের দিকে আর দ্বীপ ও তাকিয়ে আছে ওর দিকে।আজকে দ্বীপের কেন জানি মনে হচ্ছে ইরার চেহারাটা বেশ সুন্দর।বড্ড সুন্দরী ইরা। ও অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে ইরার দিকে….
.
-এদিকে ইরা ও তাকিয়ে আছে দ্বীপের দিকে।ইরার ফেইসের চুলগুলো দ্বীপ ফু দিয়ে দুরে সরিয়ে দেয়।দুজন একে অপরের খুব কাছাকাছি।দুজনে একে অন্যের নিশ্বাস ও স্পষ্ট টের পাচ্ছে।দ্বীপ আরো এগোতে যাবে
হটাৎ পাশ থেকে দ্বীপের ফোন টা বেজে উঠলে দ্বীপের ধ্যান ভঙ্গ হয় আর ও চুপচাপ ইরার গায়ের উপর থেকে উঠে পড়ে…..
.
-ইরা উঠে নিজের ওড়নাটা ঠিক করে নেয়।এরপর কিছু না বলে চুপচাপ দ্বীপের রুম থেকে বেড়িয়ে যায়।কেন জানি বেশ লজ্জা লাগছে ওর।….
.
-দ্বীপ ফোনটা হাতে নিয়ে দেখে একটা ম্যাসেজ এসেছে।ও ফোনটা রেখে চুপচাপ বিছানায় শুয়ে পড়ে।ইরাকে ও কখনো অন্যরকম কিছু ভাবেনি কিন্ত আজকে একটু আগের ঘটনাটা বারবার ওর মাথায় ঘুরছে আর দ্বীপ ভেবেই বেশ লজ্জা পাচ্ছে……..
.
-এদিকে আদ্রিতা সারাদিন কান্না করেছে।কান্না করতে করতে ওর চোখমুখ ফুলে একাকার।রাতে ওর বাবা এলে আদ্রিতা তার কাছে চলে যায়…..
.
-বাবা আসবো……??(আদ্রিতা)
.
-হুম মা আয়।কিছু বলবি?(আদ্রিতার বাবা)
.
-বাবা আমি সিংগাপুর চলে যেতে চাই।ওখানে থেকে স্টাডি করবো….(আদ্রিতা)
.
-কিন্ত মা কি হয়েছে সেটা তো বল….(আদ্রিতার বাবা)
.
-কিছু না বাবা….(আদ্রিতা)
.
-মামনি তোর চোখমুখ এভাবে ফুলে আছে কেন?তুই কি কান্না করছিলি?সত্তি বল কি হয়েছে??(আদ্রিতার বাবা)
.
-আদ্রিতা নিজেকে সামলাতে পারে না।ও ফুপিয়ে ফুপিয়ে কান্না করে ওর বাবাকে সব ঘটনা বলে দেয়….
.
-মামনি এটা তুই কি করেছিস?কারো মন নিয়ে কখনো খেলতে নেই।আচ্ছা আমি একবার ওর সাথে কথা বলে দেখবো…??(আদ্রিতার বাবা)
.
-না বাবা।আমি ওর সাথে অনেক অন্যায় করেছি।ও আমার ফেইস ও দেখতে চায় না তাই আমি ঠিক করেছি আর যাবো না ওর সামনে।নিজেকে দূরে সরিয়ে নিবো ওর কাছ থেকে….(আদ্রিতা)
.
– মামনি তুই ভেবে বলছিস তো?(আদ্রিতার বাবা)
.
-হুম….(আদ্রিতা)
.
-ওকে আমি সব ব্যাবস্থা করছি….(আদ্রিতার বাবা)
.
-পরদিনঃ-
.
-আদ্রিতা সকালের ফ্লাইটে করে সিংগাপুর চলে যায়।যাবার আগে দ্বীপকে বড্ড দেখতে ইচ্ছে করছিলো কিন্ত সেই সুযোগ আর হয়নি।একরাশ কষ্ট নিয়েই ওকে দেশ ছেড়ে চলে যেতে হয়…..
.
-এদিকে দ্বীপ ইরার রুমে গিয়ে দেখে ইরা ওয়াশরুমে আছে। ও রুম দিয়ে বেড়িয়ে যাচ্ছিলো হটাৎ ও ইরার টেবিলের উপরে একটা নীল ডাইরি দেখতে পায়।দ্বীপ কৌতুহলী হয়ে ডায়রিটা খুলে বেশ অবাক হয়।প্রথম পৃষ্ঠায় ওর আর ইরার একটা ছবি পাশাপাশি লাগানো।দ্বীপ পরের পৃষ্ঠা উল্টেও একিভাবে দুজনার ছবি দেখতে পায়। এভাবে সপ্তম পৃষ্ঠায় দ্বীপ কিছু লেখা দেখতে পায়।ও চমকে ওঠে লেখাটা দেখে।এটা কিভাবে হতে পারে?দ্বীপ লেখাগুলো পড়তে শুরু করে…..
.
-To Be Continued…..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here