রাগী_জেদী_মেয়েটি❣️?,১২ তম পর্ব,১৩

0
1084

??রাগী_জেদী_মেয়েটি❣️?,১২ তম পর্ব,১৩
-Tahir Ahmed Dip
-১২ তম পর্ব…
.
-দ্বীপ ইরার রুমে গিয়ে দেখে ইরা ওয়াশরুমে আছে। ও রুম দিয়ে বেড়িয়ে যাচ্ছিলো হটাৎ ও ইরার টেবিলের উপরে একটা নীল ডাইরি দেখতে পায়।দ্বীপ কৌতুহলী হয়ে ডায়রিটা খুলে বেশ অবাক হয়।প্রথম পৃষ্ঠায় ওর আর ইরার একটা ছবি পাশাপাশি লাগানো।দ্বীপ পরের পৃষ্ঠা উল্টেও একিভাবে দুজনার ছবি দেখতে পায়। এভাবে সপ্তম পৃষ্ঠায় দ্বীপ কিছু লেখা দেখতে পায়।ও চমকে ওঠে লেখাটা দেখে।এটা কিভাবে হতে পারে?দ্বীপ লেখাগুলো পড়তে শুরু করে…..
.
-প্রিয় ডাইরি আমি তোমাকে একটা সত্তি কথা বলবো যেটা কেউ জানে না।জানো আমি একজনকে খুব ভালোবাসি।সে আর কেউ না সেটা হলো দ্বীপ।ওকে সেই ছোটবেলা থেকে আমি ভালোবাসি কিন্ত কখনো বলতে পারিনি।ওর সামনে এলে আমি কিছুই বলতে পারি না।জানি না কেন এমন হয়….এটাও জানি হয়তো কোনোদিন আমার ভালোবাসার কথা ওকে জানাতে পারবো না।তবুও ওকে বড্ড ভালোবাসি আমি তাই তোমাকেই জানিয়ে রাখছি!!
.
-“এই কি করছিস”বলেই ইরা দৌড়ে এসে ডায়েরিটা কেড়ে নেয়।
.
-কিছুই না তোর ডায়েরিটা দেখছিলাম…..(দ্বীপ)
.
-কারো ঘরে ঢোকার আগে পারমিশন নিতে হয় সেটা জানিস না?……(ইরা)
.
-হু এটা আমার রুম ছিলো তুই আসার আগে হু….(দ্বীপ)
.
-তো কি হয়েছে এটা এখন থেকে আমার রুম।যা বের হ….(ইরা)
.
-হু যাচ্ছি বলে দ্বীপ বেড়িয়ে যায়।দ্বীপ বেড়িয়ে গেলে ইরা টেনশনে পড়ে যায়।দ্বীপ আবার ভিতরের দিকে পড়ে ফেলেনি তো…..
.
-এদিকে দ্বীপ চুপচাপ ছাদে গিয়ে এক কোনায় বসে পড়ে।ঠান্ডা বাতাস মনটাকে শান্ত করে দিচ্ছে।আদ্রিতার ফেইস টা বড্ড মনে পড়ছে ওর।দ্বীপ ওকে অনেক ভালোবাসে হয়তো কলেজের সবার সামনে অপমানে কষ্ট পেয়েছে তবুও আদ্রিতাকে চর মেরে বড্ড কষ্ট হয়েছিলো দ্বীপের।বিশেষ করে চর খেয়ে আদ্রিতার ঠোঁট ফেটে রক্ত বেড়োচ্ছিলো তখন দ্বীপের ও অনেক কষ্ট হয়েছিলো দ্বীপ চুপচাপ আকাশের দিকে তাকিয়ে আদ্রিতার কথা ভাবতে থাকে।আদ্রিতাকে ছাড়া এক মুহুর্ত কাটানো অসম্ভব মনে হয় ওর কাছে……
.
-অন্যদিকেঃ-
.
-আদ্রিতা সিংগাপুর এসেছে ১ বছর পেরিয়ে গেছে। সত্যিই সময় কতো দ্রুত চলে যায়।ওর গ্রাজুয়েশন শেষ তাই দেশে ফিরেছে।দেখতে আগের চেয়েও অনেক বেশি সুন্দরী হয়েছে।আদ্রিতা এয়ারপোর্টের সামনে দাড়িয়ে আছে।হটাৎ কাউকে দেখে আদ্রিতা দৌড়ে গিয়ে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে…..
.
-বাবা কেমন আছো তুমি??(আদ্রিতা)
.
-হুম ভালো। তুই কেমন আছিস মা?(আদ্রিতার বাবা)
.
-খুব ভালো।বাবা তুমি তো দেখতে একেবারে শুকিয়ে গেছো……(আদ্রিতা)
.
-তুই এসেছিস এখন আবার ঠিক হয়ে যাবো।(আদ্রিতার বাবা)
.
-আচ্ছা চলো যাওয়া যাক….(আদ্রিতা)
.
-হুম চল….(আদ্রিতার বাবা)
.
-আদ্রিতা ওর বাবার সাথে গাড়িতে চড়ে বাসায় চলে যায়।বাসায় গিয়ে খেয়ে একটা ঘুম দিয়ে আদ্রিতা একটু ঘুরতে বেড়োয়।গাড়ি নিয়ে একটা পার্কের কাছে এসে হাটতে হাটতে পার্কের মাঝে চলে যায়।আদ্রিতা আনমনে হাটছিলো।এই পার্কে দ্বীপের সাথে অনেকবার এসেছে সেই স্মৃতিগুলো ভাবছিলো।দূরে গিয়েও দ্বীপের প্রতি ভালোবাসা একবিন্দুও কমেনি ওর।আদ্রিতা এসব ভাবছিলো হটাৎ কারো সাথে জোরে ধাক্কা খায় ধাক্কা খেয়ে দুজনেই পড়ে যায় ও যার সাথে ধাক্কা খায় সেটা আর কেউ না দ্বীপ ছিলো………
.
-স্টুপিড দেখে চলতে পারেন না নাকি??(আদ্রিতা উঠতে উঠতে)
.
-দ্বীপ পরিচিত একটা গলা শুনে সামনে তাকাতেই চমকে ওঠে….
.
-তুমি……(দ্বীপ)
.
-দ্বীপ…..(আদ্রিতা)
.
-দুজনেই কিছু বলতে পারে না শুধু অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে একে অন্যের দিকে।দুজনার ই হৃদস্পন্দন কয়েকগুন বেড়ে গিয়েছে।কারো মুখে কোনো কথা আসছে না দুজনেই শক টা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে।নিরবতা ভেঙে আদ্রিতা প্রশ্ন করে….
.
-কেমন আছো?(আদ্রিতা)
.
-ভালো তুমি।….(দ্বীপ)
.
-এইতো ভালো….(আদ্রিতা)
.
-তা দেশে কবে ফিরলে…(দ্বীপ)
.
-এইতো আজকেই….(আদ্রিতা)
.
-আচ্ছা চলো এখানে বসে কথা বলা যাক….(দ্বীপ)
.
-ওকে চলো…..(আদ্রিতা)
.
-দুজনে গিয়ে একটা বেঞ্চে বসে পড়ে।অনেকদিন পর এই পার্কে দুজন একসাথে এলো।দ্বীপ প্রতিদিন পার্কে এসে একা একা বসে থাকতো কিন্ত আজকে হটাৎ আদ্রিতার সাথে দেখা হয়ে যাবে ভাবেনি…..
.
-আচ্ছা তুমি এখন কি করছ?(আদ্রিতা)
.
-বাবার বিজনেস দেখাশুনা করছি…..(দ্বীপ)
.
-ওহ আচ্ছা।(আদ্রিতা)
.
-হুম….. (দ্বীপ)
.
-দুজনেই আবার চুপ হয়ে যায়।কেউ ই কথা গুছিয়ে উঠতে পারছে না।দুজনেই হতভম্ব হয়ে এদিক ওদিক তাকাচ্ছে।
.
-আদ্রিতা আই অ্যাম সর‍্যি।সেদিন শপিংমলে আমি তোমার সাথে এতো খারাপ বিহেভ করেছি!!!!…(দ্বীপ)
.
-তোমার কোনো দোষ নেই।আমি তোমাকে অনেক কষ্ট দিয়েছি তাই সর‍্যি তো আমার বলা দরকার…..(আদ্রিতা)
.
-না ভুলটা আমার ছিলো…..(দ্বীপ)
.
-আচ্ছা বাদ দাও ওসব।বিয়ে করেছো??(আদ্রিতা)
.
-নাহ…..(দ্বীপ)
.
-কেন?সেই শপিংমলের মেয়েটা??(আদ্রিতা)
.
-আদ্রিতা,ইরা মারা গেছে….(দ্বীপ)
.
-কিহহহ?কিভাবে??…(আদ্রিতা)
.
-To Be Continued…..

??#রাগী_জেদী_মেয়েটি❣️?
.
-Tahir Ahmed Dip
.
-১৩ তম পর্ব…
.
-কিহহহ?? ইরা মারা গেছে মানে কিভাবে??(আদ্রিতা)
.
-একটা অ্যাক্সিডেন্টে…… (দ্বীপ)
.
-মানে?কিভাবে হলো…..??(আদ্রিতা)
.
-তুমি চলে যাবার পরেরদিন বিকালে আমি আর ইরা ঘুরতে বেড়িয়েছিলাম।ইরা ফুস্কার দোকান দেখে গাড়ি থেকে নেমে রাস্তা পাড় হচ্ছিলো হটাৎ খুব জোরে একটা গাড়ি এসে ওকে ধাক্কা দেয়।ইরা রাস্তার অপরপাশে ছিটকে পড়ে।অনেক রক্ত বেড়িয়েছিলো,হস্পিটালে নিতে নিতে ও এই দুনিয়া ছেড়ে চলে যায়…..(দ্বীপ আকাশের দিকে তাকিয়ে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে)
.
-আদ্রিতাও চুপচাপ বসে থাকে।ঘটনাটা শুনে ওর ও বেশ খারাপ লাগছে।আসলে কার কখন মৃত্যু এসে যায় কেউ জানে না…..
.
-স্যার আপনি এখানে…..(হটাৎ একটা মেয়ে এসে)
.
-হুম কিন্ত তুমি এখানে কি করছো??(দ্বীপ)
.
-এইতো একটু ঘুরতে এলাম……(স্পর্শ)
.
-সাথে কেউ আসেনি…..(দ্বীপ)
.
-না স্যার কেউ আসেনি।তা এই আপুকে তো চিনলাম না ইনি কে??(স্পর্শ)
.
-এ হলো আদ্রিতা আমার ভার্সিটির ফ্রেন্ড আর আদ্রিতা ও হলো স্পর্শ আমার অফিসের পিএস….(দ্বীপ)
.
-হ্যালো ম্যাম….(স্পর্শ)
.
-হুম হাই…..(আদ্রিতা)
.
(-আদ্রিতার মেয়েটাকে দেখে কিছুতেই সুবিধার মনে হলো না।মেয়েটা বারবার দ্বীপের দিকে তাকাচ্ছে।আর এমন একটা ড্রেস পড়েছে শরীরের ৭০% দেখা যাচ্ছে। ওর এভাবে তাকানো দেখে আদ্রিতার বেশ রাগ হচ্ছে।ইচ্ছা করছে ঠাটিয়ে দুটো চর দিতে কিন্ত পারছে না তাই নিজেকে কোনোমতে শান্ত করে রেখেছে…..)
.
-আচ্ছা স্যার আমি চলি বায়…..(স্পর্শ)
.
-ওকে…..(দ্বীপ)
.
-স্পর্শ চলে যাবার কিছুক্ষন পর আদ্রিতা ও দ্বীপ দুজনেই উঠে চলে যায়।বাসায় গিয়ে আদ্রিতা বারবার দ্বীপের কথা ভাবতে থাকে। একেবারে হুবহু একিরকম আছে।এতদিন পর আদ্রিতা দ্বীপের কাছ থেকে দূরে থেকেও ভালোবাসা একটুও কমেনি…..
.
-এদিকে দ্বীপ ও একিভাবে বাসায় এসে আদ্রিতার কথা ভাবছে।আদ্রিতা দেখতে আগের থেকেও বেশি সুন্দরী হয়ে গিয়েছে।দ্বীপ ওকে নিয়ে ভাবতে থাকে।আদ্রিতাকে নিয়ে ভাবতে ওর ভালোই লাগে কারণ ওর লাইফের ফার্স্ট লাভ ছিলো আদ্রিতা।
.
-আদ্রিতা সারারাত একটুও ঘুমাতে পারেনি।দ্বীপের কাছ থেকে দুরত্ব আর সহ্য হচ্ছে না ওর কিছুতেই।সকালে ও উঠে সুন্দর করে একটা কালো সিল্কের শাড়ি সাথে ম্যাচিং হাফ হাতার কালো ব্লাউজ,চুলগুলো খুলে এক সাইডে করে চোখে গাড় করে কাজল আর ঠোটেঁ লাল লিপ্সটিক দিয়ে নেয়।কানে পুথি বসানো দুটো দুল অনেক সুন্দর মানিয়েছে।আদ্রিতা আয়নায় নিজেই নিজেকে দেখে অবাক হয়। ওকে বেশ সুন্দরী লাগছে।ও গাড়ি নিয়ে দ্বীপের অফিসের দিকে যেতে থাকে কাল দ্বীপের অফিসের ঠিকানা জেনে নিয়েছিলো তাই যেতে কোনো প্রবলম হয়নি…
.
-অফিসে গিয়ে আদ্রিতা জানতে পারে দ্বীপ একটা মিটিং এ বিজি তাই ও দ্বীপের কেবিনে ওয়েট করতে থাকে।হটাৎ করে স্পর্শ রুমে এলে আদ্রিতা অবাক হয়ে ওর দিকে তাকায়…..
.
-এগুলো কি হু?এতো ড্রেস পড়ে অফিসে কেন এসেছো?লজ্জা লাগে না এত ছোট ড্রেস পড়ে চলাচল করতে??(আদ্রিতা)
.
-কেন?সেই কৈফিয়ত আপনাকে দিতে বাধ্য নই আমি।স্যারের ফ্রেন্ড তাই কিছু বললাম না নাহলে এখনি ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দিতাম…..(স্পর্শ)
.
-কিহহ?আমাকে বের করে দিবি তাই না?,আদ্রিতা রাগ সামলাতে না পেরে স্পর্শ কে দুটো ঠাস করে চর লাগিয়ে দেয়।
.
-কি হচ্ছে এখানে?(দ্বীপ এসে)
.
-কি হচ্ছে তাই না?স্টাফরা এতো ছোট ড্রেস পড়ে অফিসে আসার সাহস পায় কিভাবে?ওদের পড়ে দেখছি আগে তুমি আমার সাথে চলো বলেই আদ্রিতা দ্বীপের হাত টেনে অফিস থেকে বেড়িয়ে যায়।
.
-অফিস থেকে বেড়িয়ে আদ্রিতা দ্বীপকে নিয়ে সোজা কাজী অফিসে চলে যায়।সবকিছু এতো দ্রুত হচ্ছিলো দ্বীপ কিছু বুঝতেই পারেনি। একটু পরেই ওদের দুজনার বিয়ে পড়ানো শেষ হয়ে যায়। আদ্রিতা ওর বাবাকে সব ফোন করে জানায়।তিনি কোনো আপত্তি করেন নি।আদ্রিতার খুশিতেই তিনি খুশি…
.
-চলো….(আদ্রিতা)
.
-কোথায়?(দ্বীপ)

-কোথায় মানে আমার শ্বশুড়বাড়িতে….. (আদ্রিতা)
.
-তোমার শ্বশুরবাড়ি আমি কেন যাবো?(দ্বীপ)
.
-চুপচাপ চলো…..(আদ্রিতা চোখ লাল করে)
.
-দ্বীপ আর কিছু বলার সাহস পেল না।ও আদ্রিতাকে নিয়ে নিজের বাড়িতে চলে গেলো।দ্বীপের মা দরজা খুলতেই অবাক……
.
-দ্বীপ এটা কে?চেনা চেনা লাগছে….(দ্বীপের মা)
.
-আসসালামু আলাইকুন আন্টি।আমি আপনার ছেলের বউ।…..(আদ্রিতা)
.
-কিহহহ?নিজে নিজে বিয়ে করলি আমাকে একবার জানালি ও না…..??(দ্বীপের কান টেনে ধরে)
.
-আউউ আম্মু লাগছে।প্লিজ ছাড়ো….(দ্বীপ)
.
-যা বৌমাকে নিয়ে রুমে যা আমি একটু পরে আসছি……(দ্বীপের মা)
.
-এখন রাত ১০ টা।দ্বীপ ছাদে দাঁড়িয়ে আছে।সবাই নিচে ওর রুম সাজাচ্ছে।কোথা থেকে কি হয়ে গেল দ্বীপের মাথায় কিছুই কাজ করছে না।একটু পরে ও রুমের সামনে এসে ঢুকতেই দেখে আদ্রিতা ঘোমটা দিয়ে বসে আছে। দ্বীপ কাছে আসতেই আদ্রিতা ঘোমটা সরিয়ে চোখ ছোটছোট করে তাকায় ওর দিকে….
.
-কোথায় ছিলে এতোক্ষন হু??(আদ্রিতা)
.
-ছাদে গিয়েছিলাম…..(দ্বীপ)
.
-বাহ আমাকে একা বসিয়ে রেখে স্যার ছাদে গিয়ে বসে আছেন।চুপচাপ এসে বিছানায় শুয়ে পড়ো।খবরদার এই কোলবালিশের এপারে কিছুতেই আসবে না….(আদ্রিতা একটা কোলবালিশ রেখে)
.
-দ্বীপ কিছু না বলে চুপচাপ এসে শুয়ে পড়ে।এই মেয়েটা যে ওর জীবন তামা করে ছাড়বে সেটা ও খুব ভালোই বুঝতে পারছে।
.
-এভাবে রাতটা কেটে যায়। শেষরাতে দ্বীপ অবাক হয়ে দেখতে পায় আদ্রিতা নিজেই ওর বুকের মাঝে এসে গুটিশুটি মেরে শুয়ে আছে।দ্বীপ একটু মুচকি হেসে ওকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে।…..
.
-সকালে দ্বীপ ঘুম থেকে উঠে দেখতে পায় আদ্রিতা ড্রেসিংটেবিলের সামনে বসে চুল আছড়াচ্ছে।গোলাপি শাড়ি আর সাথে ম্যাচিং ব্লাউজে ওকে বেশ মোহময়ী লাগছে।দ্বীপ ওর দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে এসে দেখে আদ্রিতা বিছানা ঠিক করছে।কোমড়ের কাছ থেকে ওর শাড়ি সরে যাওয়াতে ওর স্পল্প মেদযুক্ত কোমড় দ্বীপের সামনে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে,বিশেষ করে কালো তিলটা স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে।দ্বীপ নিজেকে সামলাতে না পেরে আদ্রিতাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে….
.
-এই কি হচ্ছে সকাল সকাল?ছাড়ো আমাকে….(আদ্রিতা)
.
-দ্বীপ কিছু না বলে আলতো হাতে আদ্রিতার ঘাড়ের কাছ দিয়ে চুলগুলো সরিয়ে আদ্রিতার ঘাড়ে একটা ডিপ কিস করে….
.
-দ্বীপের ঠোটের ছোয়া পেয়ে আদ্রিতার সারা শরীরে একটা শিহরণ বইতে শুরু করে।ও চোখ বন্ধ করে চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকে……
.
-দ্বীপ আদ্রিতার পেটের উপর থেকে কাপড় সরিয়ে ওর পেটে হাত বুলাতে থাকে আর আদ্রিতার কানের লতিতে মৃদু চুমু দিতে থাকে…..এদিকে আদ্রিতা কিছু না বলে দ্বীপের আদর নিতে থাকে…..
.
-হটাৎ এক পর্যায়ে দ্বীপ আদ্রিতাকে কোলে তুলে বিছানায় শুইয়ে দেয় আর আদ্রিতা লজ্জায় চোখ বন্ধ করে রাখে।দ্বীপ ওদের চারঠোট এক করে দেয়।এরপর আস্তে আস্তে মিশে যেতে থাকে দুটি দেহ।সবকিছু ভুলে এই সময়টাকে দুজনেই প্রান ভরে উপভোগ করতে চাইছে।একে অন্যের মাঝে বারবার হারিয়ে যাচ্ছে।হারিয়ে যাচ্ছে ভালোবাসার অন্য সাগরে….
.
-To Be Continued ……

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here