রাগী_জেদী_মেয়েটি❣️?,৮ম পর্ব,০৯

0
806

??রাগী_জেদী_মেয়েটি❣️?,৮ম পর্ব,০৯
-Tahir Ahmed Dip

-৮ম পর্ব
.
-love u Adrita.I truely love you.will you be mine?? …. (দ্বীপ ফুলগুলো এগিয়ে দিয়ে)
.
-দ্বীপের বলা শেষ হবার সাথে সাথেই ঠাসসস করে একটা চর পড়ে ওর গালে।ও অবাক হয়ে আদ্রিতার দিকে তাকায়।দ্বীপের বিশ্বাস ই হচ্ছে না আদ্রিতা ওকে এভাবে চর মারবে…..
.
-কি ভেবেছিস এই আদ্রিতা তোকে ভালোবাসবে হা হা হা।তোর মতো থার্ডক্লাস একটা ছেলেকে আমার মতো একটা হাইক্লাস ফ্যামিলির মেয়ে ভালোবাসবে!!নিজের ফেইস দেখেছিস আয়নায়? আস্তো ক্ষ্যাত একটা এসেছে আমাকে প্রোপোজ করতে…..(আদ্রিতা হেসে হেসে)
.
-তুমি ফান করছো তাই না?প্লিজ এভাবে মজা করো না।আমার বড্ড কষ্ট হচ্ছে।…..(দ্বীপ চোখে পানি নিয়ে)
.
-চর খাবার পরেও শিক্ষা হয়নি তাই না…..আরো একটা খেতে না চাইলে চুপচাপ এখান থেকে যা।আসছে আমাকে প্রোপজ করতে।থার্ডক্লাশ কোথাকার…..(আদ্রিতা)
.
-দ্বীপ নিজের ফুলগুলো হাতে নিয়ে চুপচাপ ক্লাসরুম থেকে বেড়োয়।সবাই তাকিয়ে আছে ওর দিকে কারো চোখে হাসি কারো চোখে ওর জন্য সমবেদনা।দ্বীপ চোখ মুছতে মুছতে ভার্সিটি এরিয়া থেকে বেড়িয়ে যায়………
.
-রাস্তায় দ্বীপ একা একা হাটছেঁ আর কান্না করছে।কান্না করে শার্ট ও ভিজিয়ে ফেলেছে।আদ্রিতা ওকে ক্লাসের সবার সামনে এভাবে অপমান করেছে ভাবতেই বুকটা ফেটে যাচ্ছে ওর।তাহলে কি এগুলো ওর সাজানো নাটক ছিলো?কেন ও এটা করলো…..আমি তো কখনো কারো খারাপ চাইনি তবে ও কেন এটা করলো দ্বীপ জানে না….রাস্তার সবাই এভাবে ওকে কাদতেঁ দেখে অদ্ভুতভাবে তাকিয়ে থাকে।কিছুক্ষন পরেই ও বাসায় পৌঁছে যায়…..দ্বীপকে দেখেই ওর মা এগিয়ে আসে….
.
-দ্বীপ বাবা কি হয়েছে?কান্না করছিস কেন??(দ্বীপের মা)
.
-দ্বীপ নিজেকে সামলাতে পারে না।মাকে জড়িয়ে ধরে কান্না করে সব বলে দেয়…..
.
-কিহহহহ?তোকে চর মেরেছে!!এখনি আমাকে ওর কাছে নিয়ে যা… ও তোকে থার্ডক্লাস বলেছে!!ও জানে দ্বীপ কে?তোর বাবার সম্পর্কে কোনো আইডিয়া আছে?ওয়েট আমি তোর বাবাকে ফোন দিচ্ছি…..
.
-থাক মা দোষ আমার।আমিই ভুল ভেবেছিলাম ও আমাকে ভালোবাসে।ওর কোনো দোষ নেই….(দ্বীপ)
.
-তাই বলে তুই ওকে এভাবে ছেড়ে দিবি?(দ্বীপের মা)
.
-হুম।আমি রুমে যাচ্ছি আমার ভালো লাগছে না…..(দ্বীপ)
.
-কিন্ত বাবা…..(দ্বীপের মা)
..
-দ্বীপ কিছু না বলে চুপচাপ রুমে চলে যায়।রুমে প্রবেশ করে ওয়াশরুমে গিয়ে শাওয়ার টা ছেড়ে দেয়।বড্ড কষ্ট হচ্ছে বিশেষ করে আদ্রিতার করা অপমানের জন্য দ্বীপের বুকটা ফেটে চৌচির হয়ে যাচ্ছে….
.
-এদিকে বাসায় এসে আদ্রিতা বেশ খুশি।দ্বীপকে একটা উচিত শিক্ষা দিতে পেরেছে।খুশিতে ও গান বাজিয়ে একা একা ড্যান্স করছে……
.
-মামনি আজকে তোকে বড্ড হ্যাপি মনে হচ্ছে…..(আদ্রিতার বাবা)
.
-হুম বাবা আজকে আমি বড্ড হ্যাপি।আমার সবচেয়ে বড় শত্রুকে একটা চরম শিক্ষা দিতে পেরেছি….. (আদ্রিতা)
.
-“দেখ মা যাই করিস না কেন কখনো কারো মনে কষ্ট দিবি না।কারো মনে কষ্ট দিলে কিন্ত আল্লাহ ও ক্ষমা করেন না “এইটুকু বলে আদ্রিতার বাবা চলে যায়……
.
-আদ্রিতাও আরকিছু না বলে চুপচাপ খাটের উপর শুয়ে পড়ে।দ্বীপকে শাস্তি দিতে পেরে ও খুশি হয়েছে কিন্ত তখন দ্বীপের চোখে ওভাবে পানি দেখে ওর নিজের ও কিছুটা খারাপ লেগে যায়।আচ্ছা ওকে শাস্তি দিতে গিয়ে একটু বেশি করলাম নাতো?আদ্রিতা নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করে কিন্ত কোনো উওর পায় না……
.
-প্রায় ১ সপ্তাহ কেটে গিয়েছে।দ্বীপ এই কদিনে একবারের জন্য ও রুম থেকে বের হয়নি।দ্বীপকে এভাবে মনমরা থাকতে দেখে ওর মা নানাভাবে ওকে হ্যাপী করার চেষ্টা করলেও দ্বীপ কিছুই বলে না।শুধু চুপচাপ অন্ধকার রুমটাতে শুয়ে থাকে…..
.
-আজ প্রায় ১ মাস পর দ্বীপ ক্লাসে এসেছে।সবাই ওকে দেখে একটু অবাক হয়ে তাকাচ্ছে আবার কেউ কেউ সেদিনের ঘটনাটা আস্তে করে ওকে শুনিয়ে শুনিয়ে অন্যজনের সাথে বলছে।আদ্রিতা ক্লাসরুমে এলেও দ্বীপ একবার ও ওর দিকে তাকায়নি।চুপচাপ ক্লাসের পড়া শেষ করে ক্লাসরুম থেকে বেড়োবে এমন সময় কিছু ছেলে এসে ওর সামনে দাঁড়ায়……
.
-আহা এ কে ডাবল ব্যাটারি নাকি?তোর মতো ক্ষ্যাত ভার্সিটিতে কিভাবে চান্স পায় কে জানে…..(একটা ছেলে)
.
-দেখতো আমাকে কেমন লাগছে ডাবল ব্যাটারির চশমাটা পড়ে… (দ্বিতীয় ছেলেটা দ্বীপের চশমা কেড়ে নিয়ে)
..
-আরে তোকে তো ফুল হিরো আলমের মতো লাগছে বলে তিনটা ছেলেই হাসাহাসি শুরু করে দেয়….
.
-আরে তোমরাও বা কার সাথে কথা বলছ এই ভাল্লুকটার সাথে?ওর সাথে কথা বলে টাইম ওয়েস্ট করার কোনো মানেই হয় না…..(আদ্রিতা এসে)
.
-ঠিক ই বলেছো।এই চল ছাড় একে….(ছেলেগুলো)
.
-দ্বীপ চশমাটা চোখে পড়ে হাটা শুরু করে।রাগে ওর চোখ দিয়ে আগুন বেড়োচ্ছে।মাথার শিরার রগগুলো ফুটে উঠেছে কিন্ত ও নিজেকে শান্ত করে বাসায় চলে যায়…..
.
-দ্বীপ বাবা এসেছিস আয়।দেখ তোর জন্য কি এনেছি?গেস এটা কি?তোর জন্য একটা নিউ গিটার……(দ্বীপের বাবা)
.
-বাবা আমার একটা নিউ কার চাই….(দ্বীপ)
.
-তুই কার দিয়ে কি করবি?আমাদের তো অলরেডি ৩ টা কার আছে…..(দ্বীপের বাবা)
.
-আমার নিজের একটা কার চাই ব্রান্ডেড কার….(দ্বীপ)
.
-তুই এই ফার্স্ট টাইম আমার কাছে কিছু চাইলি।আমি এখনি অর্ডার দিচ্ছি….হ্যাপি তো?(দ্বীপের বাবা)
.
-হুম……(দ্বীপ)
.
-দ্বীপ রুমে চলে যায়।রুমে গিয়ে শার্ট টা খুলে ছাদে চলে যায়।ছাদে গিয়েই একটা ম্যাচলাইট দিয়ে নিজের শার্ট আর চশমাটা জ্বালিয়ে দেয়।আজ একটা নতুন দ্বীপের আবির্ভাব হতে যাচ্ছে।অনেক অপমান সহ্য করেছি আর না।দ্বীপের চোখ রাগে জ্বলে ওঠে।…..
.
-পরদিন সকালে গাড়ির হর্নের সাউন্ড শুনে দ্বীপের ঘুম ভেঙে যায়।ও বারান্দায় গিয়ে তাকিয়েই দেখতে পায় নিচে একটা কালো রং এর ফুল নিউ গাড়ি পার্ক করা।ও দৌড়ে নিচে চলে যায়….
.
-Come on my son.দেখতো গিফট টা কেমন লেগেছে?(দ্বীপের বাবা)
.
-সত্যিই এটা অনেক সুন্দর।থ্যাংক ইউ বাবা….(জড়িয়ে ধরে)
.
-তুই খুশি তো….(দ্বীপের বাবা)
.
-হুম অনেক হ্যাপি…(দ্বীপ)
.
-ওকে।যা ফ্রেশ হয়ে খেতে আয়…..
.
-দ্বীপ ফ্রেশ হয়ে নেয় কিন্ত তার আগে আয়নায় লক্ষ করে ওর গোফটা একটু বেড়ে গিয়েছে।ট্রিমার বের করে ও ভালোভাবে দাড়ি ও গোফগুলো ট্রিম করে নেয়।এরপর চোখে লেন্স লাগিয়ে নেয়। এখন থেকে আর চশমা পড়তে হবে না।দ্বীপ আয়নার দিকে তাকায়।এখন দেখতে বেশ ভালো লাগছে চাপ দাড়িগুলো।দ্বীপ ড্রয়ার খুলে শাদা শার্ট আর কালো জিন্স টা পড়ে নেয় সাথে কালো ঘড়ি আর চোখে সানগ্লাস।বেশ সুন্দর লাগছে ওকে।এরপর কালো জুতো পড়ে রুম থেকে বেড়িয়ে নিচে চলে যায়….
.
-বাবাহ আজকে আমার রাজপুত্র কে তো বেশ হ্যান্ডসাম লাগছে…(দ্বীপের মা)
.
-ছেলে কার দেখতে হবে তো… (দ্বীপের বাবা)
,.
-হু আমার ছেলে.. (দ্বীপের মা)
.
-উহ বাবা মা তোমরা প্লিজ থামো….মা তুমি খাবার দাও….(দ্বীপ)
.
-খাওয়া শেষ করে দ্বীপ ভার্সিটিতে চলে যায়।আজকে সবাই ভার্সিটিতে এতো সুন্দর একটা গাড়ি ঢুকতে দেখে অবাক হয়।বেশ দামী কার।সবাই অপেক্ষা করে গাড়িটা কার দেখার জন্য হটাৎ দরজা খুলে দ্বীপ ভেতর থেকে বেড়িয়ে আসে।ওকে দেখতেই সবাই অবাক হয়ে যায়।আদ্রিতাও অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে ওর দিকে….ওর চোখ যেন বিশ্বাস ই করতে পারছে না এটা দ্বীপ।আদ্রিতার মনে হচ্ছে এটা কোনো স্বপ্ন…..
.
-To Be Continued…..

??#রাগী_জেদী_মেয়েটি❣️?
.
-Tahir Ahmed Dip
.
-৯ম পর্ব….
.
-আজকে সবাই ভার্সিটিতে এতো সুন্দর একটা গাড়ি ঢুকতে দেখে অবাক হয়।বেশ দামী কার।সবাই অপেক্ষা করে গাড়িটা কার দেখার জন্য হটাৎ দরজা খুলে দ্বীপ ভেতর থেকে বেড়িয়ে আসে।ওকে দেখতেই সবাই অবাক হয়ে যায়।আদ্রিতাও অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে ওর দিকে….ওর চোখ যেন বিশ্বাস ই করতে পারছে না এটা দ্বীপ।আদ্রিতার মনে হচ্ছে এটা কোনো স্বপ্ন….
.
-দ্বীপ গাড়ি পার্ক করে বেড়িয়ে আদ্রিতার পাশ কাটিয়ে চুপচাপ ক্লাসে চলে যায় আর সবাই ওখানে স্তব্ধ হয়ে থাকে।কারোর ই যেন এসব কিছুই বিশ্বাস হচ্ছে না……
.
-দ্বীপ ক্লাসে গিয়ে চুপচাপ নিজের জায়গায় বসে পড়ে।আজকে সবাই এগিয়ে এসে ওর পাশে বসার ট্রাই করছে বিশেষ করে মেয়েগুলো…..
.
-একটু পরেই ক্লাসে স্যার চলে আসেন কিন্ত তিনি দ্বীপকে দেখে অবাক হন না শুধু মুচকি হাসেন।স্যার ভালো করেই জানে এই শহরের সেরা বিজনেসম্যান হলো দ্বীপের বাবা আর ভার্সিটির বোর্ড মেম্বার ও তিনি…..
.
-আসসালামু আলাইকুম স্যার….(সবাই মিলে)
.
-ওয়ালাইকুমুস সালাম।সবাই বসো।আজকের পড়া সবাই পড়ে এসেছো তো??(স্যার)
.
-জ্বী স্যার…..(সবাই একসাথে)
.
-স্যার এক এক করে সবার পড়া নিতে শুরু করেন এদিকে আদ্রিতা তখন থেকে অবাক হয়ে দ্বীপের দিকে তাকিয়ে আছে।এটা যেন অন্য কোনো দ্বীপকে দেখছে ও।বিশেষ করে আজকে ওর হেয়ার স্টাইল আর সাদা শার্ট পড়াতে বেশ সুন্দর লাগছে।ও হা করে তাকিয়েই থাকে দ্বীপের দিকে….
.
-ক্লাস শেষ হলে দ্বীপ বাসায় যাচ্ছিলো এমন সময় কেউ ওকে পিছন থেকে ডাক দেয়….
.
-দ্বীপ……।
.
-দ্বীপ পিছনে তাকিয়ে দেখে কবিতা ওর দিকে দৌড়ে আসছে…..
.
-কিছু বলবে?(দ্বীপ সানগ্লাস খুলে)
.
-তুমি তো আমাদের ওদিকেই যাবে। আমাকে একটু লিফট দিবে প্লিজ…..(কবিতা)
.
-দ্বীপ কবিতাকে কিছু বলবে এমন সময় দেখে আদ্রিতা ওদের দিকে তাকিয়ে আছে তাই দ্বীপ কবিতার দিকে তাকিয়ে একটা মুচকি হাসি দেয়….
.
-হুম অবশ্যই আসতে পারো নো প্রব্লেম….(দ্বীপ)
.
-থ্যাংক ইউ….(কবিতা খুশি হয়ে)
.
-দ্বীপ গাড়ির দরজা খুলে কবিতাকে সামনে বসিয়ে নিজে গিয়ে ড্রাইভিং সীটে বসে গাড়ি স্টার্ট দেয়।দ্বীপ যখন ভার্সিটির ভিতর দিয়ে গাড়ি নিয়ে বেড়োচ্ছিলো তখন সাইড মিররে তাকিয়ে দেখে আদ্রিতা এখনো তাকিয়ে আছে।ও চশমাটা চোখে লাগিয়ে গাড়িতে গিয়ার বাড়িয়ে দিয়ে ভার্সিটি দিয়ে বেড়িয়ে যায়।কিছুদুর গিয়ে কবিতাকে ড্রাইভ করে নামিয়ে দিয়ে নিজের বাসায় চলে যায়…….. বাসায় যেতেই দ্বীপ অবাক। ওর ফুফু এসেছে……
.
-ফুফি তুমি…..!!লন্ডন থেকে কখন এলে??(দ্বীপ)
.
-সবেমাত্র এলাম।কেমন আছিস বাবা?বেশ বড় হয়ে গিয়েছিস আর সাথে হ্যান্ডসাম ও…..(দ্বীপের ফুপি)
.
-আলহামদুলিল্লাহ ভালো।আর হ্যান্ডসাম তো হবো ই তোমার ছেলে তাই তো….(দ্বীপ)
.
-হুম।তোকে সেই ছোটো থাকতে দেখেছি আর এখন এতোবড় হয়ে গিয়েছিস….(দ্বীপের মাথায় হাত বুলিয়ে)
.
-আচ্ছা ফুপি ইরা আসেনি…..(দ্বীপ)
.
-হুম ও তোর রুমে গিয়ে অপেক্ষা করছে।যা গিয়ে ওর সাথে কথা বল…. (দ্বীপের ফুপি)
.
-ওকে আমি এখনি যাচ্ছি….(দ্বীপ)
.
-দ্বীপ দৌড়ে গিয়ে রুমে দেখে ইরা ওর খাটে বসে আছে।দ্বীপ চুপিচুপি গিয়ে ওর চোখ চেপে ধরে….
.
-মিষ্টার দ্বীপ আমি জানি এটা আপনি….(ইরা)
.
-তুই বুঝলি কি করে…..(দ্বীপ অবাক হয়ে)
.
-তোর প্রতিটা স্পর্শ ই আমি বুঝতে পারি….(ইরা)
.
-তা কেমন আছিস?আর পড়াশোনা কেমন চলছে?(দ্বীপ)
.
-বেশ ভালো….তা তুই এতো স্মার্ট কবে থেকে হলি?(ইরা)
.
-আজকে থেকে…. (দ্বীপ)
.
-আচ্ছা আদ্রিতা কে?(ইরা)
.
-তুই আদ্রিতার কথা জানলি কিভাবে?(দ্বীপ)
.
-এইযে এই পৃষ্ঠায় কম করে হলেও ১০০ বার ওর নাম লিখেছিস…..(ইরা)
.
-কিছুনা বাদ দে….(দ্বীপ)
.
-তুই আমার কাছ থেকে লুকাবি….(ইরা সরু চোখে তাকিয়ে)
.
-দ্বীপ ওর দিকে তাকিয়ে আর না করতে পারলো না।ইরাকে সব ঘটনা খুলে বলে…
.
-কিহহ?তোর সাথে এমন করেছে আমি তো ওকে সামনে পেলে খুন করবো….(ইরা)
.
-বাদ দে আমার ভালো লাগছে না ওসব ভাবতে চকলেট খাবি??(দ্বীপ)
.
-হুম…..(ইরা)
.
-ওকে আমি নিয়ে আসছি তুই এখানে বস….(দ্বীপ)
.
-ওহ ইরা হলো দ্বীপের ফুপুর একমাত্র মেয়ে।ওর পুরো নাম জান্নাতুল ফেরদৌস ইরা। দ্বীপের চেয়ে ১ দিনের ছোটো তাই একে অপরকে তুই বলে ডাকে।ইরা লন্ডনে পড়াশোনা করে, আজকেই মায়ের সাথে দেশে ফিরলো।ইরা দেখতে ওর মায়ের মতো হয়েছে অসম্ভব পরিমানে সুন্দরী।……
.
-বিকেলে দ্বীপ আর ইরা গাড়িতে ঘুরতে বেড়িয়েছিলো। এখন সন্ধ্যা হয়েছে।সূর্য অনেক আগেই ডুবে গেছে।দ্বীপ ড্রাইভিং করছিলো হটাৎ একটা মেয়েকে দৌড়ে আসতে দেখে দ্বীপ গাড়ি কষে ব্রেক করে…..
.
-প্লিজ আমাকে হেল্প করুন প্লিজ….(মেয়েটা)
.
-দ্বীপের কাছে মেয়েটাকে বেশ পরিচিত মনে হওয়াতে ও গাড়ির দরজা খুলে বেড়োতেই দেখে এটা আদ্রিতা।এতোক্ষন অন্ধকারে ঠিকভাবে দেখা যাচ্ছিলো না কিন্ত এখন দ্বীপ শিওর এটা আদ্রিতা…
.
-দ্বীপ লক্ষ করে আদ্রিতার পিছনে কতোগুলো ছেলেও দৌড়ে আসছে…
.
-ওকে তাড়া করছিস কেন?(দ্বীপ)
.
-ও আমার বন্ধুকে চর মেরেছে।আমার বন্ধু ওর গায়ে হাত দিতে চেয়েছিলো তাই।এতো সুন্দরী একটা জিনিস কে টাচ করতে কে না চায় বল।…(লোকটা)
.
-দ্বীপ আর কোনো কথা বলে না গাড়ি থেকে রেঞ্জ টা বের করে সেটা দিয়ে ইচ্ছেমতো বাড়ি দিতে থাকে।মার খেয়ে ওরা সবাই ছুটে পালায়।দ্বীপের এই রূপ দেখে আদ্রিতা নিজেও অবাক।দ্বীপকে এতোটা রাগতে ও কখনো দেখেনি….
.
-গাড়িতে বসো… (দ্বীপ)
..
-আদ্রিতা মাথা নিচু করে চুপচাপ দাঁড়িয়েছিলো।দ্বীপ আবার জোরে ধমক দিতেই চুপচাপ গাড়িতে উঠে বসে পড়ে।আদ্রিতা গাড়িতে ওঠার সাথে সাথে দ্বীপ সামনে গিয়ে ড্রাইভিং সীটে বসে গাড়ি স্টার্ট দেয়।
.
-দ্বীপের সাথে এতো সুন্দরী একটা মেয়েকে দেখে আদ্রিতা কিছুটা অবাক হয়।মেয়েটা বেশ সুন্দরী। ওর কেন জানি একটু জেলাস ফিল হতে থাকে….
.
-দ্বীপ আদ্রিতাকে বাসার সামনে নামিয়ে দিয়ে চুপচাপ চলে যায়।একবার ফিরেও তাকায়নি।আদ্রিতা নিজের রুমে গিয়ে বিছানায় শুয়ে পড়ে।আজকে দ্বীপের জন্য অনেক বড় একটা বিপদের হাত থেকে ও রক্ষা পেয়েছে।দ্বীপ ওর হেল্প করবে আদ্রিতা ভাবতে পারেনি।সেদিন ও কতো অপমান করলো ওকে আর সেই দ্বীপ ই ওর প্রান বাচালো।আদ্রিতা বেশ অনুতপ্ত হতে লাগলো। ওর চোখের সামনে পুরোনো দিনগুলো ভেসে উঠতে থাকে।দ্বীপের বোকাশোকা চাহনি,ওর কেয়ারিং সবকিছু আদ্রিতা আবার ভাবতে থাকে।হটাৎ দ্বীপের সাথে গাড়িতে দেখা ওই মেয়েটা ওর চোখের সামনে ভেসে ওঠে।আদ্রিতার কেন জানি বেশ রাগ হচ্ছে দ্বীপের সাথে ওকে দেখে।কেন এমন হচ্ছে ও নিজেও জানে না….
.
-To Be Continued…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here