রাগী_জেদী_মেয়েটি❤️?,পর্ব-৩,৪

0
930

রাগী_জেদী_মেয়েটি❤️?,পর্ব-৩,৪
-Tahir Ahmed Dip
-৩য় পর্ব
.
-দ্বীপের বুকটা ধুকবুক করতে থাকে মেয়েটা আজকেও কালকের মতো কিছু করবে না তো?তাহলে দ্বীপের মান ইজ্জত সব শেষ হয়ে যাবে।কিন্ত ওকে অবাক করে দিয়ে আদ্রিতা হটাৎ ওর পাশের সীটে বসে পড়ে……
.
-যাক বাবা বাচঁলাম।বেশ ভয় পেয়ে গেছিলাম যেই পেত্নী টাইপের মেয়ে কোথা থেকে কি করে ফেলে কে জানে……(দ্বীপ মনে মনে)
.
-এদিকে আদ্রিতা দ্বীপের ফেইসের দিকে তাকিয়েই বুঝতে পেরেছে ও বেশ ঘাবরে গিয়েছে।আদ্রিতা মনে মনে হাসতে থাকে দ্বীপের অবস্থা দেখে….
.
-একটু পরেই স্যার ক্লাসে চলে এলে ক্লাস শুরু হয়।আজকে একটা ক্লাস টেস্ট আছে।আদ্রিতা পেন বের করতে গিয়ে লক্ষ করে ও তো কলম আনে নি।
.
-ওহ শীট পেন টা আনতে ভুলে গেছি এখন কি করি!!পাশে দ্বীপ রয়েছে কিন্ত আদ্রিতা দ্বীপের কাছে চাইবে না।ওর ইগো বারবার বাধা দিচ্ছে তাই চুপচাপ মন খারাপ করে বসে রইলো।এক্সাম টা না দিতে পারলে ফাইনালেও রেজাল্ট খারাপ হবে….
.
-দ্বীপ লক্ষ করে আদ্রিতা লেখা রেখে বসে আছে।প্রথমে না বুঝলেও পরে ঠিকি বুঝতে পারে আদ্রিতা কলম আনেনি তাই বসে আছে দ্বীপ কিছু একটা ভেবে ব্যাগ থেকে একটা কলম বের করে আদ্রিতার দিকে এগিয়ে দেয়…
.
-আদ্রিতা অবাক হয়ে দ্বীপের দিকে তাকায়। দ্বীপ ওকে হেল্প করছে এটা ভাবতেই আদ্রিতা পুরো অবাক হয়ে যায় কারণ দ্বীপ তো আজ অব্ধি ওর সাথে ভালো করে কথাও বলেনি….আদ্রিতা এসব ভাবছিলো হটাৎ ঘড়িতে লক্ষ করে বেশ অল্প সময় আছে।তাই ও আরকিছু না ভেবে চুপচাপ লিখতে শুরু করে…
.
-ক্লাস শেষ হবার আগেই আদ্রিতার লেখা শেষ হয়।ও উঠে গিয়ে খাতাটা জমা দিয়ে এসে নিজের সীটে বসে পড়ে।দ্বীপ হেল্প না করলে আদ্রিতা হয়তো আজকে এক্সাম দিতেই পারতো না।
.
-স্যার চলে গেলে আদ্রিতা দ্বীপের দিকে কলম এগিয়ে দেয়……
.
-এক্সকিউজ মি!I think i deserve a thanks…..(দ্বীপ)
.
-আদ্রিতা কাউকে কখনো থ্যাংকস বলে না…(ভাব নিয়ে)
.
-ওহ আচ্ছা।ইম্প্রেসিভ মিস পেত্নী….(আস্তে করে)
.
-এই কি বললে?(আদ্রিতা)
.
-কই কিছু নাতো….(দ্বীপ)
.
-আমার মনে হচ্ছে তুমি আমাকে কিছু বলেছো….(আদ্রিতা)
.
-নাহ আমি কিছুই বলিনি….(দ্বীপ)
.
– আদ্রিতা আর কথা বাড়ায় না।আজকে আর ক্লাস নেই তাই আদ্রিতা সীট দিয়ে উঠে যাবে এমন সময় আদ্রিতার ওড়না হটাৎ করে আটকে পড়ে…..
.
-আদ্রিতা ভাবে দ্বীপ হয়তো ওর ওড়না টেনে ধরেছে তাই ও “উফফ ওড়না টেনে ধরছো কেন” বলেই পিছনে তাকিয়ে দেখতে পায় ওর ওড়নাটা বেঞ্চের এক কোণে আটকে আছে…. (আদ্রিতা)
.
-আমার কারো কিছু ধরার শখ নেই গট ইট…..(আদ্রিতার খুব কাছে এসে)
.
-আদ্রিতা আর কিছুই বলতে পারে না।দ্বীপ ওর দিকে তাকিয়ে একটা মুচকি হাসি দিয়ে ক্লাস থেকে বেড়িয়ে যায়।
.
-দ্বীপ চলে গেলে আদ্রিতাও ক্লাসরুম থেকে বেড়িয়ে নিজের গাড়িতে করে বাড়িতে চলে যায়।বাড়িতে গিয়ে আদ্রিতা দেখতে পায় বাসায় কেউ নেই।ওর বাবা অফিসে গিয়েছে।আদ্রিতার কাছে এই মুহুর্ত টা বড্ড বিরক্ত লাগে একা একা বাসায় কিছুতেই ভালো লাগে না তাই ও বোরিং টাইম টা কাটানোর জন্য টিভি অন করে টিভি দেখতে থাকে….
.
-এদিকে দ্বীপ বাসায় গিয়ে নিজের রুমে চলে যায়।রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে লাঞ্চ করে একটু রেষ্ট নিয়ে বিকেলে গিটারটা নিয়ে চলে যায় ছাদে।আজকে ছাদে অনেক বাতাস বইছে।দ্বীপ গিটার নিয়ে টুংটাং বাজাতে থাকে আর গান গাইতে থাকে ওর বড্ড প্রিয় একটা গানের দুই লাইন গাইতে থাকে….
.
– Mohabbat barsa dena tu, saawan aaya hai?
.
Tere aur mere milne ka, mausam aaya hai❣️
.
Sabse chhupa ke tujhe seene se lagaana hai?
.
Pyar mein tere hadd se guzar jaana hai?
.
Itna pyar kisi pe, pehli baar aaya hai❤️
.
Mohabbat barsa dena tu, sawan aaya hai.?
.
– দ্বীপ চোখ বন্ধ করে গান গাচ্ছিলো হটাৎ ওর সামনে আদ্রিতার ফেইস টা ভেসে ওঠে।দ্বীপ বুঝতে পারছে না হটাৎ আদ্রিতার ফেইস টা কেন দেখতে পেলো।এমন আগে কখনো হয়নি…..
.
-এদিকে ভার্সিটিতে বসে দ্বীপ ও আদ্রিতা প্রতিদিন ই একে অন্যের পিছনে লেগে থাকে। এভাবেই বেশ কয়েকদিন চলে যায়।আজকে দ্বীপ ভার্সিটি থেকে বেড়িয়ে চুপচাপ রাস্তায় হাটছিলো হটাৎ ওর চোখে কিছু একটা চলে যায়।দ্বীপ চশমাটা খুলে চোখ মুছতে মুছতে কখন যে মাঝ রাস্তায় চলে আসে সেটা ও খেয়াল ই করেনি…
.
-এদিকে আদ্রিতা ভার্সিটির গেটে দাঁড়িয়ে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছে।ওর গাড়ি এখনো আসেনি।আদ্রিতার হটাৎ লক্ষ করে দ্বীপ রাস্তার মাঝে চলে এসেছে আর উল্টোদিক থেকে একটা ট্রাক বেশ স্পীড নিয়ে এগিয়ে আসছে।আদ্রিতা হটাৎ কিছু না ভেবে দৌড়ে গিয়ে দ্বীপকে একটা ধাক্কা দেয়….
.
-ধাক্কা খেয়ে দ্বীপ রাস্তার পাশে ছিটকে পড়ে।আর আদ্রিতাও রাস্তার অন্য পাশে পড়ে যায়। একটুর জন্য দ্বীপ অ্যাক্সিডেন্ট হওয়া থেকে বেচেঁ যায়…
.
-দ্বীপ মাথায় বেশ ব্যাথা পেলেও উঠেই চশমাটা চোখে লাগিয়েই দৌড়ে আদ্রিতার কাছে চলে যায়…আদ্রিতার কাছে যেতেই…
.
-চোখে দেখো না হু?এখন যদি অ্যাক্সিডেন্ট হয়ে যেত তখন কি হতো ভেবে দেখেছো?ভাগ্যিস আমি এসে পড়েছিলাম…..(আদ্রিতা রাগী চোখে)
.
-দ্বীপ কি বলবে কিছুই বুঝতে পারেনা।আদ্রিতার হাতের বেশ কয়েকটা স্থান ছিলে গেছে।সেখান থেকে চুইয়ে রক্ত পড়ছে……
.
-দেখছো কি আমাকে ধরো……(আদ্রিতা হাত বাড়িয়ে )
.
-দ্বীপ হাতটা ধরবে কিনা ভাবছিলো হটাৎ কিছু একটা ভেবে হাতটা ধরে ফেলে।আদ্রিতাকে টেনে তোলে কিন্ত ও কিছুতেই দাড়াতে পারছিলো না…..
.
-আউউউউ…..কোমড়েও বেশ ব্যাথা পেয়েছি কিছুতেই দাড়াতে পারছি না……(আদ্রিতা)
.
-দ্বীপ আরকিছু না ভেবে সোজা আদ্রিতাকে কোলে তুলে নেয়।
.
-হটাৎ কোলে তুলে নেয়াতে আদ্রিতা অবাক হয়ে দ্বীপের চোখের দিকে তাকিয়ে থাকে।ওর চোখে এক রাজ্যের বিষ্ময়…..কিন্ত পড়ে যাবার ভয়ে ও দ্বীপের গলা শক্ত করে জড়িয়ে ধরে…
.
-দ্বীপ ওকে কোলে নিয়ে একটা রিক্সা করে আগে হস্পিটালে চলে যায়।আদ্রিতাকে ড্রেসিং করিয়ে দ্বীপের ও মাথায় ও আঘাত পেয়েছিলো সেখানে ব্যান্ডিজ করে আদ্রিতাকে বাসায় পৌঁছে দিয়ে দ্বীপ চলে আসবে এমন সময়…..
.
-এই হ্যালো…আমি বাসার ভিতরে যাবো কিভাবে??(আদ্রিতা)
..
-দ্বীপ ওকে রিক্সা থেকে নামিয়ে কোলে করে আদ্রিতার রুমে নিয়ে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে চুপচাপ চলে আসে।দ্বীপ নিজের বাসায় আসতেই….
.
-দ্বীপ তোর মাথায় কি হয়েছে? মাথায় ব্যান্ডিজ করা কেন?(চিন্তিত হয়ে এক নিশ্বাসে)
.
-রিল্যাক্স মা আমার কিছুই হয়নি।সামান্য চোট পেয়ছি….(দ্বীপ)
.
-আমার একটা কথাও শুনিস না তুই।এতবার বলেছি সাবধানে চলাচল কর তারপর ও তুই শুনবি না। দেখি কি হয়েছে….(দ্বীপের মা)
.
-উফফ মা এই দেখো আমার কিছুই হয়নি ওকে।আই অ্যাম ফাইন ওকে।বেশ ক্ষিদে পেয়েছে তুমি খাবার রেডি করো আমি আসছি….(দ্বীপ)
.
-ওকে…..(দ্বীপের মা)
.
-এভাবে রাত হয়ে যায়।দ্বীপ আজকের কথাটা ভাবছিলো।আদ্রিতা ওকে এসে ধাক্কা না দিলে দ্বীপ হয়তো কঠিন কোনো বিপদে পড়তো।এদিকে দ্বীপকে বাচাঁতে গিয়ে আদ্রিতা নিজেও বেশ চোট পেয়েছে।দ্বীপ ভাবে আদ্রিতা কাল ভার্সিটিতে এলে আগের বিহেভিয়ার গুলোর জন্য ওর কাছ থেকে ক্ষমা চেয়ে নিবে….এসব ভাবতে ভাবতেই রাত পেরিয়ে যায় দ্বীপের চোখে আজ কেন জানি কিছুতেই ঘুম ধরা দিচ্ছে না বারবার আদ্রিতার ফেইস টাই চোখের সামনে ভেসে উঠছে!!
.
-পরদিন….
.
-দ্বীপ ক্লাসে গিয়ে দেখে আদ্রিতা আসেনি।দুটো ক্লাস পরেও আদ্রিতাকে আসতে না দেখে দ্বীপ বুঝতে পারে আদ্রিতা হয়তো আজকে আসবে না হটাৎ ই কেন জানি ওর মন খারাপ হতে শুরু করে…….
.
-To Be Continued…

??#রাগী_জেদী_মেয়েটি❤️?
.
-Tahir Ahmed Dip
.
-৪র্থ পর্ব
.
–দ্বীপ ক্লাসে গিয়ে দেখে আদ্রিতা আসেনি।দুটো ক্লাস পরেও আদ্রিতাকে আসতে না দেখে দ্বীপ বুঝতে পারে আদ্রিতা হয়তো আজকে আসবে না হটাৎ ই কেন জানি ওর মন খারাপ হতে শুরু করে…….
.
-ক্লাস করতে ভালো লাগছিলো না তাই দ্বীপ ক্লাসরুম থেকে চুপচাপ বেড়িয়ে পড়ে।ক্লাস থেকে বেড়িয়ে একটা রিক্সা নিয়ে আদ্রিতাদের বাসায় চলে যায়……
.
-আদ্রিতাদের বাসায় গিয়ে কলিংবেল দিতেই একজন লোক দরজা খুলে দেয়…..
.
-কে তুমি বাবা?কাকে চাই…..(লোকটা)
.
-আসসালামু আলাইকুম আংকেল আমি দ্বীপ,আদ্রিতার ফ্রেন্ড।আদ্রিতা কি বাসায় আছে?(দ্বীপ)
.
-ওহ আসো।আমি আদ্রিতার বাবা….তাহলে তুমিই দ্বীপ…..(আদ্রিতার বাবা)
..
-হ্যা আংকেল…..(দ্বীপ)
.
-আচ্ছা আদ্রিতা ওর রুমে আছে তুমি গিয়ে ওর সাথে কথা বলো……(আদ্রিতার বাবা)
.
-জ্বী আচ্ছা আংকেল…….(দ্বীপ)
.
-দ্বীপ সিড়ি বেয়ে চুপচাপ আদ্রিতার রুমের সামনে চলে যায়।ওখানে গিয়ে দেখে দরজা খোলা আর আদ্রিতা চুপচাপ শুয়ে আছে।
.
-আসতে পারি??(দ্বীপ)
.
-আদ্রিতা দরজার দিকে তাকিয়ে দ্বীপকে দেখে অবাক হয়।
.
-তুমি…..(অবাক হয়ে)
.
-হুম….. আসতে পারি/?(দ্বীপ)
.
-হুম আসো…..(আদ্রিতা)
.
-দ্বীপ গিয়ে একটা চেয়ার টেনে আদ্রিতার পাশে বসে পড়ে।
.
-কেমন আছো??(দ্বীপ)
.
-ভালো…… (আদ্রিতা)
.
-ব্যাথা কমেছে??(দ্বীপ)
.
-হুম….তোমার মাথার কি অবস্থা….(আদ্রিতা)
.
-হুম ভালো ব্যাথা কমেছে।(দ্বীপ)
.
-ওহ আচ্ছা……(আদ্রিতা)
.
-এরপর দুজনেই চুপ করে যায়।কি বলবে দুজনার কেউ ই খুজে পাচ্ছিলো না হটাৎ আদ্রিতার বাবা রুমে প্রবেশ করে….
.
-মামনি এখন শরীর কেমন লাগছে?(আদ্রিতার বাবা)
.
-এইতো বাবা ভালো…..(আদ্রিতা)
.
-এই নে তোদের জন্য নাস্তা নিয়ে এসেছি খেয়ে নে….(আদ্রিতার বাবা)
.
-হুম……(আদ্রিতা)
.
-আদ্রিতার বাবা নাস্তার ট্রে টা রেখে চুপচাপ চলে যায়।আদ্রিতার বাবা চলে গেলে দ্বীপ নিজেই বলতে শুরু করে…..
.
-আচ্ছা আই অ্যাম সর‍্যি।এতদিন হয়তো তোমার সাথে বাজে বিহেভ করেছি..(দ্বীপ)
.
-আদ্রিতা আবারো অবাক হয়ে ওর দিকে তাকায়……কিছু একটা ভেবে আদ্রিতা নিজেও বলতে শুরু করে…
.
-আমিও সর‍্যি।আসলে আমি রাগ টা কন্ট্রোল করতে পারিনা তাই হয়তো একটু বেশিই খারাপ বিহেভ করে ফেলেছি।আমরা কি ফ্রেন্ড হতে পারি??(আদ্রিতা)
.
-আমার ফ্রেন্ড?(দ্বীপ সরু চোখে তাকিয়ে)
.
-হুম……(-আদ্রিতা)
.
-ওকে নো প্রবলেম…..(দ্বীপ)
.
-আচ্ছা চলো তোমাকে মিষ্টির সাথে পরিচয় করিয়ে দেই…..(আদ্রিতা)
.
-মিষ্টি কে?(দ্বীপ)
.
-চলো গেলেই দেখতে পাবে….(আদ্রিতা)
.
-ওকে…..(দ্বীপ)
.
-আদ্রিতা বিছানা দিয়ে উঠতে গিয়েও উঠতে পারলো না।কোমড়ে এখনো বেশ ব্যাথা আছে।
.
-আমি হেল্প করি…..??(হাত বাড়িয়ে)
.
-আদ্রিতা কিছু না বলে দ্বীপের হাত ধরে উঠে দাঁড়ায়।আস্তে আস্তে হাটতে হাটতে দ্বীপকে নিয়ে ছাদে চলে যায়…..
.
-মিষ্টি কেমন আছো/?(আদ্রিতা)
.
-মিষ্টি, মিষ্টি. ভালো আছে।….(আদ্রিতার দিকে তাকিয়ে)
.
-মিষ্টি এটা হলো দ্বীপ।(আদ্রিতা)
.
-দ্বীপ,দ্বীপ….(মিষ্টি)
.
-হায় মিষ্টি….. (দ্বীপ)
.
-মিষ্টি,মিষ্টি…..(মিষ্টি)
.
-এটাই তাহলে তোমার মিষ্টি…..(দ্বীপ)
.
-হুম।ছোটবেলায় মা মারা যাবার পর বাবা ওকে আমার কাছে এনে দেয়।এখন ও ই আমার সবচেয়ে ভালো বন্ধু…..(আদ্রিতা)
.
-ওহ।আচ্ছা চলো তোমাকে রুমে দিয়ে আসি….(আদ্রিতা)
.
-নাহ আমি এখন ওর কাছেই কিছুক্ষন থাকবো….(আদ্রিতা)
.
-বাট তুমি একা একা রুমে যেতে পারবে তো….(দ্বীপ)
.
-হুম……(আদ্রিতা)
.
-ওকে আমি চলি।বায়……(দ্বীপ)
.
-ওকে…..(আদ্রিতা)
.
-দ্বীপ আদ্রিতার বাসা থেকে বেড়িয়ে যায়।এখন বেশ ভালোই লাগছে ওর সাথে কথা বলতে পেরে…..
.
-এভাবে সাতদিন কেটে যায়।দ্বীপ আদ্রিতাকে প্রায় প্রতিদিন ই দেখতে যেত।একসপ্তাহ পরে আদ্রিতা সুস্থ হয়ে ভার্সিটিতে চলে আসে।দ্বীপ ও আদ্রিতা এখন বেশ ভালো বন্ধু।দুজনেই পড়াশোনার ব্যাপারে একে অন্যকে হেল্প করে,একসাথে ক্যাম্পাসে বসে আড্ডা দেয়,মাঝে মাঝে ঘুরতে যায় ওদের ফ্রেন্ডশিপ দেখে ক্লাসের সবাই অবাক কারণ কিছুদিন আগেও ওরা একে অন্যকে কিছুতেই সহ্য করতে পারতো না।
.
-দ্বীপ এই দ্বীপ….(খোচা মেরে)
.
-হুম…..(দ্বীপ)
.
-চলোনা কোথাও ঘুরতে যাবো প্লিজ প্লিজ প্লিজ….(আদ্রিতা)
.
-কিহ স্যার তো ক্লাসে….(দ্বীপ আস্তে করে)
.
-তো কি হয়েছে চলো না পিছনের দরজা দিয়ে বেড়িয়ে যাই প্লিজ প্লিজ প্লিজ…..(আদ্রিতা)
.
-ওকে বাবা ফাইন চলো….(দ্বীপ)
.
-দুজনে পিছনের গেট দিয়ে বেড়িয়ে যায়। আদ্রিতা গাড়ির কাছে গিয়ে ড্রাইভারকে বিদায় করে নিজেই গাড়ি চালাতে থাকে আর দ্বীপ পাশের সীটে বসে পড়ে। দুজনেই কথা বলছিলো কিন্ত হটাৎ ই একটা গাড়ি বেশ স্পীড নিয়ে ওদের দিকে এগোতে থাকে। আদ্রিতা প্রথমে লক্ষ করেনি হটাৎ ই গাড়িটা জোরে ওদের গাড়িকে ধাক্কা……
.
-To Be Continued…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here