রাঙিয়ে দিয়ে যাও,১৮ শেষ পর্ব
লেখনীতে – মাহি আফরোজ
আজ পুরো দিন সুর্যের অসহ্যকর তাপদাহ ছিলো।যদি এসিটা নষ্ট না হতো তবে এই তপ্ত আবহাওয়া টেরই পেতো না মাহি।যদিও সে কাজের সুবাদে বাড়ি থাকতে পারে না।দিনের প্রায় বেশিরভাগ সময়ই কাটিয়ে দেয় স্কুলে।শুক্রবারের এই ছুটির দিনে কই একটু আরাম আয়েশ করে থাকবে,ঘুমাবে তা আর সম্ভব হলো না।রৌদ্রের তাপ বোধহয় বিল্ডিং ভেদ করে শরীর সেদ্ধ করে ছাড়ছে।পুরোটা দিন গরমে এমন হাঁসফাঁস করেই কেটে গেলো মাহির।বিকেলের দিকে এসি ঠিক করতে একটা ছেলে এলো।পাতলা গড়নের অবয়ব।টেকনিক্যাল সমস্যা বেশি দেখে এসি খুলে নিয়ে চলে গেলো।আগে দিব্যি ফ্যানের নিচে ঘুমাতে পারতো।বিদ্যুৎ চলে গেলে বাতাসে কিংবা বারান্দায় শুয়ে বসে থাকত।কিন্তু শরীরটাকে বেশি আয়েস দিতে গিয়ে হিতে বিপরীত হয়েছে।
মাহি নিজের ভারী শরীরটা নিয়ে কিচেনে গিয়ে পানি খায়।তারপর ওখানেই চেয়ারে বসে পড়ে।আজকাল সে আর বেশি হাঁটাচলা করতে পারেনা।পা ঝুলিয়ে বসতে পারেনা।আর এক সপ্তাহ বাদেই মাতৃত্বকালীন ছুটি পাবে সে।বাবু হতে আরো একমাস দেরি আছে।কিন্তু ও কিছুটা জোড় করেই বেশি দিন স্কুলে গিয়েছে।বাড়িতে বসে থাকতে ইচ্ছে করে না তার।বুষরা ভার্সিটিতে যায়।তারপর ও চলে যায় অফিসে।শ্বশুরমশাইকে তো খুঁজেই পাওয়া যায় না সারাদিন।বাড়িতে শুধু শ্বাশুড়ি আর কাজের মেয়েটা।তারচেয়ে স্কুলে থাকলে সে বেশি ভালো থাকে।সে বরং একটু দেরি করে যায়।আর নির্দিষ্ট সময়ের আগেই আসে।বাচ্চাদের মাঝে সে থাকতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে।গর্ভবতী থাকাকালীন সময় মায়েদের একটু হাসিখুশি থাকা ভালো।তাই ওর হাজবেন্ড না করেনি।
কিচেনের সেল্ফে থাকা মাদার হরলিক্সের কৌটোটা যেনো মাহির দিকে লোভাতুর দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।মাহির ইচ্ছে করছে বসে থেকে পুরো কোটোর হরলিক্স সাবার করতে।কিন্তু উঁচুতে সে নাগাল পাবে না।মাহির এমন ভাবনার মাঝেই কিচেনে বুষরা আসে।হরিলিক্সের কোটৌর দিকে চেয়ে থাকা মাহিকে দেখে বলল,
“কি ব্যাপার ভাবি?এতো মনোযোগ দিয়ে কি দেখছো?”বুষরার চোখদুটো ঘোলা রঙের।ও যখন হেসে হেসে কথা বলে মাহির চমৎকার লাগে।মনে হয় সরোবরে ফুটে থাকা পদ্ম বলছে,
“ওহে মানবী,
তুমি কেনো আমায় দেখে আপ্লুত হও নি
কেনো আমায় নিয়ে ভাবোনি,
আর কেনই বা মুগ্ধ হওনি।”
নিজের দিকে তাকিয়ে থাকা মাহিকে বুষরা আবারও বলল,”হরলিক্সের কৌটো ছেড়ে কি এখন আমার প্রেমে পড়লে নাকি?”বুষরার মুখে কৌতুকের হাসি ফুটে ওঠে।সে চেয়ার চেয়ে মাহির পাশে বসে।মাহি গায়ের ওড়নার আঁচলে নিজের ঘেমে যাওয়া মুখটা মুছে আর বলে,”বুষরা তুমি কি জানো? তুমি মিমের মতো দেখতে?”বুষরা একটু চুপ করে ভাবার চেষ্টা করে মিমকে।স্মৃতি হাতড়ে যখন তেমন কাউকে পায়না তখন জিজ্ঞাসাসু কন্ঠে বলে,”কোন মিম?”
মাহি মুখে কৃত্রিম গম্ভীরতা টেনে বলে,”অভিনেত্রী বিদ্যা সিনহা মিম।”কথাটা শুনে যেনো বুষরা চুপসে যায়।সে অন্যকিছু আশা করেছিলো।ও নিরসমুখে উঠে গিয়ে সেল্ফ থেকে হরলিক্স এনে মাহিকে দেয় আর বলে,
“বললেই পারতে যে ওটা এনে দিতে হবে।আমি প্রথমেই বুঝেছিলাম। কেমন মনে মনে দুর থেকেই গিলে খাচ্ছিলে আমি দেখেছি।খামোখা আমার সাথে ঠাট্টা করছো কেনো।”
মাহি একটা চামচ দিয়ে শুকনো হরলিক্সের গুড়ো মুখে দেয়।এটার স্বাদ অন্যন্যা।দুধ দিয়ে গুলিয়ে খেলে এমন স্বাদ পাওয়া যায়না।মাহি বুষরার দিকে চেয়ে বলে,”শোনো ঠাট্টা নয়।বাহ্যিক সৌন্দর্যই আসল সৌন্দর্য নয়।তুমি কতটা সুন্দর দেখতে তা নির্ভর করবে আমি তোমায় কতটা ভালোবাসি তার ওপর।যাকে যতটা ভালোবাসার দৃষ্টিতে দেখা হবে, তাকে ঠিক ততটাই সুন্দর লাগবে।স্ট্রং পার্সোনালিটি আর খুব সুন্দর মুখাবয়ব একজন মানুষকে আমার নিতান্তই ফালতু আর বাজে দেখলে লাগে।ওকে দেখলে আমার শরীরটা জ্বলে যায়।কেনো জানো?এর কারণ তার জন্য আমার মনে চিনির ক্ষুদ্রাংশ পরিমাণও ভালোবাসা শ্রদ্ধাবোধ নেই।এটা একদম সত্যি কথা।”
বুষরা মাহির কথা শুনে ফ্ল্যাক্স থেকে গরম পানি এনে মাহিকে দিয়ে বলে,”অনেক বলেছো।এখন শুকনো হরলিক্স গুড়ো খেয়োনা।শরীর খারাপ করবে।”মাহি বুষরার একহাত টেনে তালুতে এক চামচ হরলিক্স দিয়ে বলে,”মাঝে মাঝে চিরচারিত রুটিন ভাঙাতে দোষের কিছু নেই।তাছাড়া আমি যখন আমার মায়ের পেটে ছিলাম,সবাই আমার মাকে নিষেধ করেছিলো নারকেল,হাঁসের মাংস খেতে।কেননা সবাই মনে করত নারকেল আর তার পানি খেলে বাচ্চার চোখের মণি ঘোলা হবে।হাঁসের মাংস খেলে কন্ঠস্বর ফ্যাসফ্যাসে হবে।কিন্তু আমার আব্বা কখনও এমন মানে নি।কিন্তু দেখো আমার কন্ঠ আর চোখ দুটোই ঠিক আছে।”মাহির কথায় বুষরাও একটু গুড়ো হরলিক্স খায়। নাহ্ খেতে মন্দ নয়।
________
মাগরিবের নামায পড়ে মাহি বিছানায় গিয়ে বসে।হাতে ডায়রী।আর ডায়রীর ফাঁকে উঁকি দিচ্ছে পুরোনো একটা সাদা কাগজ। যা সময়ের সাথে সাথে বিবর্ণ হয়ে গিয়েছে।এটা সেই চিরকুট যেটা রিয়াদ প্রায় দুইবছর আগে তাকে দিয়েছিলো। এই কাগজেই রিয়াদ মাহিকে নিজের করে চেয়েছিলো।সেদিন সন্ধালগ্নে মাহি আবিরকে ছাড়াই বাড়ি ফিরে এসেছিলে।আর নিজের জীবন সম্পর্কে অনেক ভেবেছে।আসলে আবির কখনওই মাহিকে ভালোবাসেনি।এখন যখন বিয়ে করতেই হবে তখন মাহি হোক বা রাহি।কিন্তু এতবছর পর মাহিকে দেখে তার ভালোলেগে যায়।কিন্তু ভালোলাগা আর ভালোবাসা এক নয়।রিয়াদ মাহির সবটা জেনেও তাকে ভালোবেসেছে।ওর বাবা সবটা শুনেও মেনে নিয়েছে।
সেদিন সে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো আবির নয় বরং রিয়াদকেই সে বিয়ে করবে।লোকে হয়ত বলবে যে পয়সা দেখে আবিরকে ছেড়ে দিয়েছি।কিন্তু লোকের কথায় কি আসে যায়।জীবনে ভালো ঘটুক বা মন্দ ঘটনা লোকে তা নিয়ে হাসাহাসি করবেই।মুলত কিছু মানুষকে হেয় করাই তাদের কাজ।আর তাদের বাজে অভ্যাসে নিজেকে ভালোকিছুর থেকে বঞ্চিত করা অর্থহীন।বিয়ের পর শ্বশুরবাড়ির সবাইকে ভালো রাখার দায়িত্ব বাড়ির বউয়ের ওপর আসে।সেখানে যদি নিজেই অসুখী থাকি,তবে বিষাদে ছেয়ে যাবে পুরো পরিবার।
প্রায় দুইবছর আগে রিয়াদ আর মাহির বিয়েটা হয়।খুবই সাধারণভাবে বিয়েটা অনুষ্ঠিত হয়।আজ মাহি একজন গর্ভবতী মহিলা।জীবনে আর কি চাই।সাথের মানুষের ভালো ব্যাবহার আর সৎকর্মই অপরজনকে সুখে রাখে।
__________
অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহ।জলবায়ুর একি পরিবর্তন। সারাদিন গরমে মানুষ সেদ্ধ হয়েছে আর এখন কি ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি।বৃষ্টির পানি মাথায় নিয়ে বাড়ি আসে রিয়াদ।শুক্রবারেও সে একটা জরুরি কাজে গিয়েছিলো।শহর ছাড়িয়ে যে গ্রামগুলো আছে।ওখানকার লোকদেরকে বাল্যবিবাহ সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয়ে কথা,আলোচনা হয়।এই অবদি অনেক মেয়েকেই ওদের সংগঠন বাল্যবিবাহের হাত থেকে বাঁচিয়েছে।জানালার গাঁ বেয়ে গড়িয়ে পড়ছে পানি।আগের তুলনায় তিনগুন স্বাস্থবান হওয়া মাহি আনাড়ির মতো তেয়ালে হাতে মুছে দিচ্ছে রিয়াদের মাথা। এক পর্যায়ে রিয়াদ তোয়ালে নিয়ে নিজেই মাথা মুছে ফেলে।
রুমের একদিকের হাফ দেওয়াল কাচের তৈরি।সেখান থেকে স্পষ্ট বাহিরের বাগানটা দেখা যায়।তবে এই বৃষ্টির সময়ে অন্ধকার ছাপিয়ে বাহিরের গাছগুলো দেখা যাচ্ছে না।বৃষ্টি আর মাহির মাঝে দুরত্ব এই ধাতব কাঁচ।রিয়াদ জামা চেন্জ করে এসে মাহিকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে।খুলে দেওয়া চুলের গন্ধ সে খুবই আয়েশী ভঙ্গিতে নেয়।তারপর বলে,”কি ভাবছো? একা একা।”
মাহি বৃষ্টির পানিকে কাঁচের এপাশ থেকেই ছোঁয়ার অব্যার্থ চেষ্টা করে।অতঃপর বলে,”রঙ,বর্ণহীন এই বৃষ্টির পানি কতটা সুন্দর লাগে দেখেছো তুমি।এই যে বৃষ্টির পানি পতিত হওয়ার দৃশ্য কতটা মনোমুগ্ধকর। আমার ইচ্ছে করছে এই বর্ণহীন পানিতে নিজেকে ভেজাতে।”
মাহির ঠোঁটের কোণে হাসির আভা।মুখে পরিতৃপ্তির ছাপ স্পষ্ট। রিয়াদ কাচের এপাশে পর্দা টানিয়ে আড়াল করে দিলো বৃষ্টিকে।বর্ষায় মেঘযুক্ত আকাশের মতো ঘোর অন্ধকার নেমে এলো মাহির মুখে।যেন সে বাস্তবে বৃষ্টিতে ভিজছিলো আর রিয়াদ ওকে টেনে নিয়ে এসেছে।মাহি মুখটা কালো করে বিছানায় গিয়ে বসে।রিয়াদ পাশে এসে বসে ওকে জড়িয়ে ধরে।মাহি ওর হাতদুটো সরিয়ে দেয়।রিয়াদ মাহির চুলগুলো মিছিমিছি আচড়ানোর নাম করে ফিসফিস করে বলে,
“আমার রাজকন্যার আম্মু কি রাগ করেছে আমার ওপর?” মাহি আগের মতোই নিশ্চুপ।রিয়াদ ওর ফুলো গালদুটো আলতো টেনে বলে,”এই অক্টোবর রেইন এ স্নান করলে আমার প্রাণপ্রিয় সুলতানা আর একমাত্র রাজকন্যার অসুখ হবে।আমি কথা দিচ্ছি পরের বছর আমরা দুজন না তিনজন মিলে খুব করে বৃষ্টিতে ভিজবো।”
মাহি মাঝে মাঝে নিজের ব্যাবহারে নিজেই অবাক হয়। ও জানে এসময় বৃষ্টিতে ভেজা কেনো অসময়ে গোসল করা একদম উচিত নয়।তবুও বাচ্চাদের মতো ওর জেদ করতে ইচ্ছে করছে।বলতে ইচ্ছে করছে এখন বৃষ্টিতে ভিজতে না দিলে রাতে ভাত খাবো না।কি অদ্ভুত মনোভাব।
পরেরদিন বিকেল আড়াইটার দিকে হঠাৎ রিয়াদ অফিস থেকে বাড়ি ফিরে আসে।যদিও এসময় সে প্রতিনিয়ত আসে না।এদিকে আবার সকাল থেকেই প্রকৃতি কেমন জানি গুমোট ভাব ধরে আছে।বৃষ্টিও হচ্ছে না আবার রোদও বের হচ্ছে না।সময় গড়ার সাথে সাথে আকাশে মেঘ জমতে শুরু করল।মনোরম হালকা বাতাস ক্রমশ ভারী হয়ে যেতে লাগল।শ্বাশুড়িমা তখন নিজের ঘরে ঘুমিয়ে আর বুষরাও নিজের ঘরে।রিয়াদ তখন মাহির হাতটা ধরে নিয়ে আস্তে আস্তে ছাদে উঠে যায়।মাহি সাবধানে পা ফেলে ছাদে উঠে।অনেকদিন পর সে আজ ছাদে এলো।তাও আবার এমন সময়।যদি রিয়াদের মা দেখে নিতো তবে কখনওই সিঁড়ি বেয়ে ছাদে উঠতে দিতো না।
মাহি জলঢালাই করা ছাদের মেঝেতে দাড়িয়ে আছে।পা দুটো কেমন জানি ফ্যাসফ্যাসে আর ফোলা ফোলা।খোলা এলোমেলো চুলগুলোতে তাজা বেলি ফুলের মালা।তার মিষ্টি সুবাস এসে বিঁধছে নাকে।রিয়াদ মাহির পাশে এসে দাড়িয়ে যায়।পাশে রিয়াদকে দেখে সে হাতদুটো দুদিকে মেলে দেয়।চোখদুটো বন্ধ করে শোনার চেষ্টা করে প্রকৃতি কথোপকথন। মনে প্রাণে আহ্বান করল বৃষ্টিকে।অতঃপর বৃষ্টি এলো।বহুপ্রতীক্ষিত বৃষ্টি। বৃষ্টির প্রথম ফোঁটা যেন এসে পড়ল মাহির মুখে।তাতে সে চোখ খুলে আশেপাশে ওকে দেখলো না।পানিতে জমিন ভিজলো,ছাদ ভিজলো,রশিতে মেলে দেওয়া কারো কাপড় ভিজলো,এই পাতা,ফুল,জমি,সব সবকিছু ভিজিয়ে দিলো বৃষ্টি।আর ঠিক এই সময়ে বৃষ্টিভেজা পায়ে সে এলো।এ যেনো দ্বিগুণ খুশির জোয়ার।সে এসে মাথার ওপর মেলে ধরল ছাতা।বৃষ্টি আর পারল না তাকে ছুঁতে। শেষ হয়ে গেলো মাহি আর বৃষ্টির আলিঙ্গন। মাহির মুখে ছড়িয়ে থাকা বৃষ্টির পানিকে মুক্তোর দানা বলে মনে হলো রিয়াদের।মাহির মুখ বিচ্ছুরিত মায়ার ফোয়ারা যেনো আবারও মুগ্ধ করতে বাধ্য করল তাকে।ছাদঘরে নিয়ে গিয়ে বসালো মাহিকে।তারপর বলল,
“মাহি আমরা মনে করি এই পৃথিবীতে রঙই একমাত্র রাঙিয়ে দিতে পারে।আমরা বলি রংধনুর সাতরং আমায় #রাঙিয়ে_দিয়ে_যাও। অথচ তুমি কি জানো ওই বিশাল নীল আকাশের আদৌতে কোনো রঙ নেই।মনের ভেতর পুষে রাখা ভালোবাসার কোনো রঙ নেই।এদের গন্ধ নেই,আকার নেই।তবুও মনকে রাঙিয়ে দিতে এই রঙহীন -গন্ধহীন ভালোবাসাই যথেষ্ট।কেই আমাদের কাছে থেকে সবকিছু কেড়ে নিতে পারলেও ভালোবাসা কখনও কেড়ে নিতে পারবে না।ভালোবাসার বাহ্যিক কোনো রঙ নেই মাহি।কিন্তু কল্পনায় আমরা একে রঙধনুর সাতটি রঙেরও অধিক রঙ দিয়ে রাঙিয়ে তুলি।তাই তো প্রিয়জনের ভালোবাসার রঙ আমাদের রাঙিয়ে দিয়ে যায়।”
টিনের চালের ওপর মৃদু আওয়াজে বৃষ্টি পড়ার শব্দ যেনো ভায়োলিনের সুর হয়ে বাজছে।আর মাহি অবাক নয়নে চেয়ে আছে বাহিরের বৃষ্টির দিকে।সে খুব বেশি ভালোবাসে এই মানুষটাকে।যার কথা-বার্তা য় আর চালচলন অভ্যাসে সে বরাবরই মুগ্ধ। আজ যদি সে ওই বিদেশিনীকে কাছে পেতো তবে বলতো,”শোনো আমিও এমন কাউকে পেয়ে গেছি যার আমার চোখের পানিতে কষ্ট হয়।আমার মনকে রাঙিয়ে দেওয়ার মতো সেই তার কাঁধে মাথা রেখেই আমি বৃষ্টিবিলাস করছি।”রিয়াদ মাহিকে জড়িয়ে রাখে বুকের ভেতর।সময়টাকে সে চলে দিতে চায়না। আটকে রাখতে চায় বুকের ভেতর।যেমন শরীরটা বুকের ভেতর আটকে রাখে হৃদয় কে।
সমাপ্ত