#রাজকুমারী_নীনা(ভৌতিক_গল্প)
#পর্ব_০৪
#লেখিকা__ফিহা_আহমেদ
সবাই গেইট পেরিয়ে ভিতর ঢুকতেই আরেক ধপা অবাক হলো। এইটা কি করে সম্ভব। এত পুরোনো প্রাসাদটি হঠাৎ জীবন্ত হয়ে গেলো।লাল,নীল,হলুদ, সবুজ মরিচ বাতি জ্বলজ্বল করছে পুরো প্রাসাদ জুড়ে।
তৌশিকঃ বাহির থেকে যেরকম জঙ্গল মনে হয়েছে কিন্তু ভিতর থেকে এত সুন্দর। কিরে মৃওিকা তুই না বললি একশো পঞ্চাশ বছরের পুরানো প্রাসাদ এটা।কিন্তু দেখে তো তা মনে হচ্ছে না।
মৃওিকা কিছু বললো না।কেমন জানি মনে হচ্ছে এইসব আমাদের চোখের ভুল।আমার জানা মতে পুরো প্রাসাদটি পুড়ে গিয়েছিল।
রিদীমাঃ চল ভিতরে গিয়ে দেখি।না জানি আরও কত চমক অপেক্ষা করছে।
সবাই প্রাসাদটির দরজার সামনে যেতেই দরজাটা নিজে নিজে খুলে গেল।
এমন মনে হচ্ছে প্রাসাদটি যেন আগে থেকেই জানতো তারা আসবে।ওরা সবাই ভয় পেলো অবাকও হলো।
ভিতরে ঢুকে সবাই আরও বেশি অবাক হলো। অসম্ভব সুন্দর কারুকাজ দিয়ে তৈরি সব আসবাবপত্র। সবার চোখ ধাঁধিয়ে গেল।
এনাঃ চল আমরা পুরো প্রাসাদটা ঘুরে দেখি।
জয়ঃ রাহুল তুই আর মৃওিকা উওর দিকটা ঘুরে দেখ।…আমি আর রিদীমা দক্ষিণ দিকটা ঘুরে দেখি।….. এনা আর তৌশিক পূর্ব দিকটা ঘুরে দেখ।
সবাই মাথা নাড়িয়ে যে যার দিকটায় চলে গেল।
পূর্ব দিকে……..
এনাঃ আমার ভয় লাগছে তৌশিক। সবকিছু নিরব আর কেউ না থাকায় আরও বেশি ভয় লাগছে।সবাই একসাথে ঘুরলে কি এমন হতো।
তৌশিকঃ ভয় পেওনা এনা। কালকের ব্যপারটা নিয়ে ভয়ে আছো তাই এমন লাগছে।কিছু হবে না।
তৌশিক এনার ডান হাতটা ধরে সামনে এগোচ্ছে।
এনাঃ তৌশিক দেয়ালে টাঙানো ফ্রেমের ছবিটি দেখো। কত সুন্দর মেয়েটি।এত সুন্দর মেয়ে আমি কোথাও দেখি নাই।এনা গালে দুই হাত দিয়ে হা করে তাকিয়ে আছে।
হঠাৎ এনার মনে হলো ছবির মেয়েটি হেসে উঠলো।এনা একটা চিৎকার দিয়ে তৌশিককে জড়িয়ে ধরলো।
এনার এমন কান্ড দেখে তৌশিক কিছুটা ভয় পেয়ে গেল।
তৌশিকঃ এনা হঠাৎ কি হলো। এমনভাবে কেউ চিৎকার দেয় আমি তো ভয় পেয়ে গেছিলাম।
আরে কি হলো ছাড় প্রাসাদ ঘুরতে এসে জড়িয়ে ধরার পরিকল্পনা করছো না তো।
এনা ভয় পেলে ও এখন খুব রাগ হচ্ছে তৌশিক এর কথা শুনে আমি নাকি জড়িয়ে ধরার পরিকল্পনা করছি।
এনা রেগে গিয়ে বললো,, হ্যাঁ ঠিক বলেছো আমার তো কোনো কাজ নাই এইসব করা ছাড়া। যদি তুমি দেখতে তুমি ও ভয় পেতে।হঠাৎ করে ছবিতে থাকা মেয়েটি হেসে উঠলো আমি দেখলাম।
তৌশিক হো হো করে হেসে দিলো,,সিরিয়াসলি তুমি হাসতে দেখলে। ছবিটি কি জীবন্ত নাকি যে হাসবে আর তুমি ভয় পাবে।তুমি আবার পাগল হয়ে যাওনি তো কিসব আজে বাজে বকছ।
এনাঃ আমি সত্যি বলছি তৌশিক।
এনা আবার ও তাকালো ছবিটির দিকে,, ভালো করে দেখছে চোখের ভুল নয়তো।হঠাৎ করে আবার মেয়েটি আবার হেঁসে উঠলো।আবার এনা তৌশিককে জড়িয়ে ধরলো।
তৌশিকঃ আমি তো দেখছি সব ঠিকই আছে তুমি ভুলভাল দেখছো।চল সামনে এগোই। নাকি এইখানে আমাকে জড়িয়ে ধরে বসে থাকার ইচ্ছা আছে।
দুজন ছবিটির থেকে চার-পাঁচ হাত সামনে এগোনোর পরই পিছন থেকে কেউ হেসে ওঠলো।
দুজনেই চমকালো।দুজনে পিছনে ফিরলো কিন্তু কাউকে দেখতে পেলো না।হয়ত ভুল শুনেছে।
আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে যেতেই আবার কেউ হেসে ওঠলো।কন্ঠটা মেয়ের স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে।
আবার দুজনে পিছনে তাকালো এইবার ওরা একটা মেয়ের ছায়া দেখতে পেলো। যেইখানে মেয়েটা দাঁড়িয়ে আছে সেইখানটা অন্ধকার তাই মুখ আর শরীর কোনোটাই বুঝা যাচ্ছে না শুধু ছায়াতে দেখা যাচ্ছে,, মেয়েটির চুল গুলো খোলা, চুলগুলো উড়ছে। কাপড়ের আচলটা ফ্লোরে পরে আছে।
এনা ভয় মিশ্রিত কন্ঠে বললো,, কে,,,,,,কে,,ওখানে।
হঠাৎ করে ছায়াটি তাদের সামনে থেকে পিছনে চলে আসলো।তারা আবার পিছনে ফিরে দেখলো ছায়াটি হেঁটে হেঁটে সামনে এগোচ্ছে।
তৌশিকঃ চল আমরা ও ওর পিছু নেই।
এনাঃ তুমি কি পাগল হয়ে গেছো নাকি। আমি যাব না আর তুমি ও যাবে না। আমার ভীষন ভয় লাগছে চলো পালিয়ে যাই।
তৌশিকঃ আরে পাগল যদি আমাদের ক্ষতি করতো তখনই করতে পারতো।কিন্তু কিছুই করে নাই। চল দেখি কি হয়।
তৌশিক এনার হাত শক্ত করে ধরে ছায়াটির পিছু নিলো।
হঠাৎ করে ছায়াটি হাঁটা বন্ধ করে দাড়িয়ে গেলো।তৌশিক আর এনার পা ও থেমে গেল।
হঠাৎ করেই ছায়াটি তাদের সামনে এসে দাড়ালো প্রায় এক হাত সামনে।
এরপর ছায়াটি যা করলো তারা দুজন ঘুরে পরে গেল………..
চলবে………..
[?ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন?]
————————————
#ফিহা আহমেদ?