#রাজকুমারী_নীনা( ভৌতিক_গল্প)
#পর্ব_০৬
#লেখিকা__ফিহা_আহমেদ
উওর দিকে……….
রাহুল আর মৃওিকা দুজন ঘুরতে ঘুরতে একটা রুম চোখে পরলো। মনে হচ্ছে ওই রুমটা ওদের টানছে। দুজন রুমের ভিতর প্রবেশ করলো।রুমে ঢুকতে প্রথমেই একটি মেয়ের ছবি চোখে পরলো। অসম্ভব সুন্দর মেয়েটি।মৃওিকা ছবিটি হাতে নিল।
মৃওিকাঃ এত সুন্দর মেয়ে আমি কখনো দেখিনি।
এইদিকে রাহুল রুমটার ডানপাশে একটা বড় লোহার বাক্স দেখতে পেলো। বাক্সটার ভিতর থেকে আলো বের হচ্ছে।
রাহুলঃ মৃওিকা ডানপাশের ওই বাক্সটার দিকে দেখ কেমন আলো বের হচ্ছে।
মৃওিকাঃ হ্যাঁ। তাই তো। চল খুলে দেখি।
রাহুলঃ চল।কিন্তু সাবধানে বাক্সটার মুখ খুলবো।
মৃওিকা আর রাহুল দুজনেই বাক্সটার সামনে গিয়ে দাঁড়ালো।
মৃওিকাঃ খুলে দেখা ঠিক হবে কি। যদি খারাপ কিছু হয়।
রাহুলঃ কিছু হবে না। চল দুজনে মিলে বাক্সটার মুখ খুলে দেখি।
মৃওিকা আর রাহুল লোহার বাক্সটির মুখ অনেক কষ্ট করে খুললো।বাক্সটার মুখ এত ভারী দুজনেই হাতে অনেক ব্যাথা পেয়েছে।
বাক্সের মুখটা খুলতেই বাক্সটার ভিতর থেকে হলুদ রঙের আলো বের হয়ে পুরো রুম জুড়ে আলো জ্বলজ্বল করতে লাগলো।
বাক্সটার ভিতরে তাকাতেই তারা রুপার কারুকাজ দিয়ে তৈরি একটি বোতল দেখলো।
রাহুল বোতলটিতে হাত দিতেই দূরে ছিটকে পরলো। হাত ও কিছুটা ঝলসে গেছে।
মৃওিকা দৌড়ে রাহুলের কাছে গিয়ে….. বেশি ব্যাথা পেয়েছো।সাবধানে ধরতে পারলে না।ইস হাতটা কিছুটা ঝলসে গেছে।….. আরো কিছু বলতে যাবে তখনই বোতলটা নিজ থেকে লাফানো শুরু করলো।
বোতলটিকে এইভাবে লাফাতে দেখে মৃওিকা আর রাহুল দুজনেই ভীষণ ভয় পেয়ে গেল।
রাহুলঃ হঠাৎ বোতলটা লাফাচ্ছে কেন…..
বোতলটা নিজ থেকে মৃওিকার সামনে এসে মৃওিকার হাতের ওপর স্থির হলো।
মৃওিকা ভীষণ ভয়ে আছে না জানি কি করে এইটা।
কিন্তু দুজনেই অবাক হলো মৃওিকার কিছুই করলো না
বোতলটা।
মৃওিকা কাঁপা কাঁপা কন্ঠে….. খু…খুুলে দেখবো কি বোতলটা।
রাহুলঃ দেখো।হয়ত কিছু না কিছু পেয়ে যাব।
মৃওিকা কাঁপা কাঁপা হাতে বোতলটির মুখ খুলে দিলো।বোতলটির মুখ খোলার সাথে সাথে বোতলটি থেকে সাদা ধোঁয়া বের হতে লাগলো।
সাদা ধোঁয়া একটি মেয়েতে রুপান্তরিত হলো।
রাহুলঃ ছবির মেয়েটির মতো লাগছে না মৃওিকা।
মৃওিকাঃ হ্যাঁ।তাই তো দেখছি।
মেয়েটি কিছু বলতে যাবে তার আগেই খারাপ আত্মাটি চলে আসলো।
খারাপ আত্মাঃ না…আ…আ এটা কি করে সম্ভব। রাজবংশধর ছাড়া কেউ তোকে মুক্তি দিতে পারবে না। তবে কি এই ছয়জনের মধ্যে কেউ একজন………….
আত্মাটি ভীষন রাগান্বিত হয়ে মৃওিকা আর রাহুলকে একটি বিশাল রুমে ছুড়ে মারলো।
মৃওিকা আর রাহুল একসাথে রুমটাতে পরলো।আর গুরুতর আহত হলো।
এইদিকে দুই আত্মাই শক্তি প্রয়োগ করে দু-জনের মধ্যে যুদ্ধ করছে।
তাদের যুদ্ধে পুরো প্রাসাদটি কেঁপে উঠল।
……………………..???…………………………..
মৃওিকা আর রাহুল যেই রুমটায় পরে আছে সেই বিশাল রুমে এনা,তৌশিক, জয়,রিদীমা… আরো কয়েকজন পরে আছে।
রাহুলঃ ওরা এইখানে কি করে আসলো।তাহলে কি ওদেরও……….
মৃওিকাঃ রাহুল আস্তে আস্তে উঠে দাঁড়াও প্লিজ। ওরা বেঁচে আছে কিনা আমরা চেক করে দেখি।
রাহুল আর মৃওিকা আহত শরীর নিয়ে ধীরে ধীরে ওদের কাছে গিয়ে ওদের পাল’স চেক করে।
মৃওিকাঃ সবাই বেঁচে আছে। অতিরিক্ত আহত হওয়ার কারণে জ্ঞান হারিয়েছে।
রাহুলঃ এখানে কোথাও জল আছে কিনা খুঁজে দেখি চলো।
ওরা দুজন জল খুঁজাখুঁজি করছে।
হঠাৎ ওদের দু’জনের কানে কিছুর শব্দ আসলো।
মৃওিকাঃ জলের শব্দ মনে হচ্ছে।
রাহুলঃ হ্যাঁ।আমিও শুনতে পাচ্ছি।
দুজন দেয়ালের সাথে ভালো করে কান দিয়ে শুনলো।হ্যাঁ সত্যিই জলের শব্দ।
মৃওিকাঃ কিন্তু কিভাবে জল অব্দি পৌছাঁবো।
রাহুলঃ উপায় একটা আছে।
রাহুল পুরো রুম খুঁজে একটি কুড়াল পেলো।
রাহুলঃ এইটা দিয়ে কাজ হয়ে যাবে।
রাহুল কুড়াল দিয়ে জোরে জোরে দেয়ালে আঘাত করছে। আস্তে আস্তে দেয়াল ফাটা শুরু করলো। দেয়ালের কিছু অংশ ফেটে পরে গেলো।
ওই ফাটা অংশ দিয়ে দুজনে ভিতরে ঢুকলো।ঢুকতেই দুজনে অবাক হলো।
মৃওিকাঃ রাহুল এটা কি করে সম্ভব। প্রাসাদে জলপ্রপাত আসবে কোথা থেকে। মোটামুটি অনেক বড় জলপ্রপাতটি।
রাহুলঃ আমি ও বুঝতে পারছি না।
মৃওিকাঃ যাই হোক জল তো পাওয়া গেলো।চলো তাড়াতাড়ি জল নিয়ে ওদের জ্ঞান ফিরাতে হবে।
দুজনে দুটি মাটির পাএে জল ভরছে।
হঠাৎ করেই মৃওিকার চোখ পরলো………………
চলবে………
[?ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন?]
…………………………..???………………………
[কার্টেসী ছাড়া কপি করা নিষেধ]
#ফিহা আহমেদ?