রাজকুমারী__নীনা(ভৌতিক_গল্প) #লেখিকা__ফিহা_আহমেদ #পর্ব_০২

0
603

#রাজকুমারী__নীনা(ভৌতিক_গল্প)
#লেখিকা__ফিহা_আহমেদ
#পর্ব_০২

চোখ খুলতেই সবাই ভয় পেয়ে গেল।
এনা ভয় জড়িত কন্ঠে বললো,, ম,,,,মহিলাটা কই গেলো।এ,,,,এখানেই তো ছিলো।

মৃওিকাঃ আমি তখনই বলেছিলাম কেউ শুনলি না তো।এখন ভয় পাচ্ছিস কেন।যদি খারাপ কোনো আত্মা হয়ে থাকে তাহলে আমাদের পিছু ছাড়বে না।

জয়ঃ রাহুল তাড়াতাড়ি গাড়ি চালা।এই রাস্তাটা যত দ্রুত সম্ভব পেরিয়ে বাংলোতে যেতে হবে।

তৌশিকঃ আমি এইটাই বুঝতে পারছি না,, ওই মহিলাটা হঠাৎ উধাও হলো কি করে।

মৃওি বলে উঠলো,,,, হয়তো কোনো আত্মা হবে।তাই উধাও হয়ে গেছে। একটা মানুষ তো আর হঠাৎ করে হাওয়া যাবে না।

তৌশিকঃ আমাদের মৃওির কথা শুনা উচিত ছিলো।রাস্তাটা আমার তেমন সুবিধার মনে হচ্ছে না।

কিছুক্ষণ যাওয়ায় পর……..

আবার সেই মহিলাকে দেখতে পেলো সবাই।
এইবার একদম রাস্তার মাঝ বরাবর শুয়ে আছে। মুখটা বুঝা যাচ্ছে না। সবাই আঁতকে উঠল। এখন কি হবে।

এবার ও কি ওপর দিয়ে গাড়ি উঠিয়ে দিবো।রাহুলের হাত পা কাঁপছে ড্রাইভ করতে।না জানি এখন কি হবে?
মহিলার কাছে আসতেই গাড়ি ওপর দিয়ে উঠিয়ে দিলো রাহুল।

যতদ্রুত সম্ভব গাড়ি চালাচ্ছে রাহুল।

মৃওির কথা শুনা উচিত ছিলো। শুধু শুধু জীবনের ঝুঁকি নিলাম।( মনে মনে ভাবছে রাহুল)

রাহুল ভিতরে ভিতরে খুব ভয় পাচ্ছে। কিন্তু ওপরে প্রকাশ করছে না। সবাইকে শান্ত রাখতে চেষ্টা করছে। এখন তো ভুল হয়ে গেছেই। পরিস্থিতি সামলানোই হলো এখন আসল কাজ।

নীরবতা ভেঙে রিদীমা বলে উঠলো,,,
মৃওিকা আর কতদূর।

মৃওিকাঃ আর এক ঘন্টা লাগবে।

এনাঃ কি,,,কি,,,,,,,,হ্। আরও এক ঘন্টা। এই এক ঘন্টায় না জানি আর কত কি হবে।

কিছুদূর যাওয়ার পর আবার,,,,,,,,,,

সেই মহিলাকে দেখতে পেলো। এনার তো এখন ভয়ে ভীষণ কান্না পাচ্ছে। ডান হাত দিয়ে মুখ চেপে কান্না আঁটকে রেখেছে। হয়তো জীবনের শেষদিন ও হতে পারে।কথা ভাবতেই এনার হাত পা কাঁপছে।এনার এই অবস্থা দেখে তৌশিক বা হাত দিয়ে শক্ত করে এনাকে জড়িয়ে ধরে।

জয়ঃ মনে হচ্ছে এইটা কোনো খারাপ আত্মা হবে। বার বার আমাদের পথ আটকাচ্ছে কেন।
সবাই সামনে দে,,দেখ এ,,,একবার আত্মা মশাই আবার এন্ট্রি নিয়েছে ।

মৃওিকা বিরক্ত নিয়ে বললো,,,এই অবস্থায় ও তোর মজা করতে ভালো লাগছে?।

সামনের দিকে তাকিয়ে সবার প্রানপাখিটা উড়ে যায় যায় অবস্থা।

এবার একদমই সামনে দাঁড়িয়ে আছে তাও আমাদের দিকে ফিরে চুল গুলো মুখের ওপর তাই মুখ বুঝা যাচ্ছে না।

রাহুল চোখ বন্ধ করে মহিলাটির ওপর দিয়ে এই তৃতীয়বার গাড়ি চালিয়ে দিলো।কিন্তু এইবার ভয়ানক ঘটনা ঘটলো।,,,
মহিলাটি গাড়ির ধাক্কা খেয়ে দূরে ছিটকে পরলো।রাস্তায় মহিলার শরীরের রক্ত গড়াগড়ি খাচ্ছে। একদম তাজা রক্ত। যেন মনে হচ্ছে জীবন্ত কোনো মানুষ পরে আছে। সাদা কাপড়টা রক্তে লাল হয়ে আছে।
সবার শরীররে পশম দাঁড়িয়ে গেছে ভয়ে।

রিদীমা ভয়ে চোখ বন্ধ করে ফেললো। এমনিতেই ভয় পেয়ে আছে তার ওপর রক্ত আর রক্ত দেখে সে জ্ঞান হারায়। জয় ওকে শক্ত করে বুকে জড়িয়ে ধরলো।

রাহুল গাড়ি না থামিয়ে আবার ও গাড়ি মহিলাটির রক্তে মাখা শরীরের ওপর দিয়ে চালিয়ে যত দ্রুত সম্ভব সামনে এগোচ্ছে। যত সামনে এগোচ্ছে গাড়ি ভয়ানক ভয়ানক আওয়াজ হচ্ছে। কেমন ভয়ানক কান্নার শব্দ।যা শুনে সবার শরীরের পশম দাঁড়িয়ে গেলো ভয়ে।

অবশেষে রাত একটায় এসে বাংলোতে পৌঁছালো সবাই। বাংলোর সামনে গেলো সবাই।
বেচারা জয় রিদীমাকে কোলে নিয়ে সবার সাথে দাঁড়িয়ে আছে। এখনও জ্ঞান ফিরে নাই।

মৃওিকা কলিং বেল চাপলো।

অনেকক্ষন ধরে কলিং বেল বাজানোর পর দরজা খুললো।
একজন বৃদ্ধ লোক দাঁড়িয়ে আছে ভিতরে।লোকটা কিছু বলতে যাবে তার আগেই সবাই লোকটিকে পাশ কাটিয়ে ধুরমুর করে বাংলোর ভিতরে ডুকে পরলো।
ওরা ঢুকার সাথে সাথে লোকটা বাংলোর দরজা বন্ধ করে দিলো।

তখনই বৃদ্ধ লোকটি মৃওিকাকে বলে ওঠলো………….

চলবে……………

[?ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন?]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here