#রাতের_কুয়াশা,পর্ব ০৭ সমাপ্ত
মুন্নী গভীর ঘুম থেকে জাগ্রত হয়ে কিছুক্ষণ চুপ করে আমার দিকে তাকিয়ে রইলো।
” বললাম, তাড়াতাড়ি সাবধানে উঠে বসে থাকো, আমি আমার পিস্তল রেডি করে রাখছি। কারা যেন গর্ত উন্মুক্ত করতে ব্যস্ত হয়ে গেছে তাই যেকোনো সময় আমরা ধরা পরে যাবো। ”
” সাজিদ কি তাহলে আমাদের সাথে বেঈমানী করে এখানে আটকে রেখেছে? ”
” সঠিক বুঝতে পারছি না, কিন্তু আমার মনে হয় সাজিদ সেটা করবে না কারণ সাজিদ এর উপর সেই বিশ্বাস আছে। ”
” তাহলে সাজিদ কোই? ”
” বুঝতে পারছি না, সাজিদ আমাকে অনেকবার কল করেছে কিন্তু আমরা ঘুমিয়েছিলাম তাই রিসিভ করতে পারি নাই। এখন সে কেন কল করেছে? আর সে কোথায় আছে কে জানে? ”
” সত্যি তো, সাজিদ এর কিছু হয়নি তো? ”
” আগে গর্ত থেকে জীবিত বের হই তারপর সবকিছু বোঝা যাবে। ”
” যদি তোমার সেই সর্দার আর তার দলবল আসে তাহলে কি হবে আমাদের? ”
” কি আর হবে? হয়তো দুজনকে মেরে এই গর্তের মধ্যে মাটি চাপা দিয়ে চলে যাবে। ”
” বাহহ তাহলে ঠিক আছে, মরার পরও তোমার সাথে একই কবরে থাকতে পারবো। ”
” মরার পরে সকলের আলাদা হয়ে যেতে হবে, মরার পরের জগতে কেউ কারো নয়। ”
” এত তাড়াতাড়ি আমরা মরে যাবো? এখনো তো পৃথিবীতে কতকিছু সাজানো বাকি ছিল। তুমি আমি বিয়ে করে সুন্দর একটা সংসার করবো, একসাথে পৃথিবীর বুকে হাঁটবো। ”
মুন্নীর মুখ বন্ধ হয়ে গেল কারণ গর্তের মুখ খোলা হয়েছে এবং দিনের আলো সম্পুর্ণ গর্ত আলোকিত করে দিল। সজীব হাতের পিস্তল তাক করে বসে আছে কিন্তু গুলি ছোড়া হলো না কারণ তাদের সামনে পুলিশ দাঁড়িয়ে আছে। সজীব একটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ছেড়ে মুন্নীর দিকে তাকিয়ে রইলো আর মুন্নী আনন্দে ঝিলমিল করতে লাগলো।
” একজন পুলিশ সামান্য ঝুঁকে বললো, আস্তে আস্তে বেড়িয়ে আসো তোমাদের আর ভয় নেই। ”
আমি প্রথমে আমাদের ব্যাগপত্র সবকিছু এক এক করে উপরে তুলে দিলাম তারপর মুন্নীকে ধরে উঠিয়ে দিয়ে নিজেও উঠে গেলাম। মোট সাতজন পুলিশ দাঁড়িয়ে আছে, আশেপাশে আর কাউকে দেখতে পাচ্ছি না। ঘন কুয়াশা ভেদ করে সূর্য এখনো সম্পুর্ণ আলো পৌঁছাতে পারে নাই। পুলিশের প্রত্যেকের গায় শীতের পোশাক পরিহিত তবে তাদের সবাইকে দেখে ফুরফুরে মনে হচ্ছে। কিন্তু একজনকে একটু সামান্য বিরক্ত মনে হচ্ছে কারণ তিনি বারবার হাই তুলছেন আর কটমট করে তাকিয়ে দেখছেন।
” একজন বললো, আপনারা আমাদের সাথে চলুন থানায় যেতে হবে। ”
” বললাম, আমাদের সাথে আরেকটা ছেলে ছিল তার নাম সাজিদ, তাকে না নিয়ে কীভাবে যাবো? ”
” আপনাদের সাজিদ নামের ছেলেটা হাসপাতালে ভর্তি আছে, আপনারা আমাদের সাথে চলুন। ”
” হাসপাতালে কেন? কি হইছে তার? ”
” আরে মহা মুশকিল হচ্ছে তো, এতকিছুর বৃত্তান্ত খোলাসা করার ইচ্ছে নেই। এমনিতেই সারারাত ধরে ডিউটি করতে হয়েছে তাই বড্ড ক্লান্ত এখন আমরা তাড়াতাড়ি করে থানায় গিয়ে তোমাদের রেখে বাসায় যাবো। ”
কথা না বাড়িয়ে দুজনেই তাদের সাথে হাঁটতে শুরু করে দিলাম, ভেবেছিলাম একটা মাত্র ব্যক্তি বিরক্ত হয়ে আছে কিন্তু এই লোকটার কথা শুনে আমার মনটা খারাপ হয়ে গেল। চারিদিকে তাকিয়ে দেখি কুয়াশা ঘেরা চরের সমাহার, তবে এখন একটু আস্তে আস্তে কমতে শুরু করেছে। হালকা মিষ্টি রোদ গায়ে লেগে লজ্জা পাচ্ছে, মুন্নী আমার হাত ধরে হাঁটছে। তার মুখটা শুকনো লাগছে, মনে হয় যেন কিছু একটা বলতে চায় চায় অবস্থা। বেচারির জন্য খুব মায়া হচ্ছে, বড়লোক বাপের কন্যা হয়ে আজ সে কতবড় একটা ভয়ংকর রাত্রি পার করলো।
আমাদের সর্দার এর কি হইছে? সাজিদ হাসপাতালে ভর্তি কেন? এই প্রশ্নের জবাব গুলো খুব জরুরি কিন্তু কে দেবে সেই জবাব?
হঠাৎ করে মুন্নী আমার হাতে চিমটি দিল, আমি তার দিকে তাকিয়ে চোখের ইশারায় জিজ্ঞেস করলাম কি হইছে?
” মুন্নী আস্তে আস্তে ফিসফিস করে বললো, আমার তো খুব চেপেছে, তুমি একটা ব্যবস্থা করবে প্লিজ? ”
” কি চেপেছে? ”
” মুন্নী হাতের কনুই আঙ্গুল দেখিয়ে বললো, ছোট চাপ। ”
” বললাম, মাত্র তো চাপ এসেছে তাহলে আরো কিছুক্ষণ চাপ সামলে রাখো। থানায় গিয়ে তোমার জন্য সুন্দর ওয়াশরুমের ব্যবস্থা করা হবে। ”
” মাত্র আসে নাই, গর্তের মধ্যে ঘুম থেকে উঠেই তো বুঝতে পারছি চাপ এসেছে। ”
” তাহলে তখন বললে না কেন? ”
” আমি কি বোকা নাকি? ”
” চাপের কথা বলতে আবার বোকা বুদ্ধিমানের মধ্যে সম্পর্ক কি? ”
” তখন যদি বলতাম তাহলে তুমি ভাবতে আমি মনে হয় ভয় পেয়েছি তাই ভয়ে চাপ এসে গেছে। ”
” হিহিহি কত বুদ্ধি তাই না? ”
” নয় তো কি? আচ্ছা তখন যদি বলতাম তাহলে তুমি কি করতে শুনি? ”
” সেখানেই কাজ সরাতে বলতাম। ”
” ছি ছি তোমার সামনে? ”
” কেন অসুবিধা আছে? ”
” চোপ শয়তান, শালা লুচ্চা কোথাকার। ”
★★
তিন কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে আমরা পুলিশের গাড়িতে উঠলাম তারপর সরাসরি থানায় না গিয়ে হাসপাতালে চলে আসলাম কারণ থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি সাহেব হাসপাতালে আছেন। থানায় গিয়ে সকল প্রশ্নের জবাব পেয়ে গেলাম, সাজিদ এর ডান হাতের বাহুতে গুলি লেগেছে।
ভোর পাঁচটার দিকে ডাকাত দলের সাথে পুলিশের গোলাগুলি শুরু হয়। প্রায় আধা ঘণ্টার বেশি সময় ধরে অভিযান চালিয়ে পুলিশ ডাকাতদের আক্রমণ প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছে। সর্দার মারা গেছে এবং তাকে নিজের হাতে সাজিদ গুলি করেছে। তবে সেও সাজিদকে গুলি করেছে কিন্তু সেটা লক্ষ্যভেদ হয়ে বাহুতে লেগেছে।
” আমি সাজিদের কাছে গিয়ে বললাম, এখন কেমন আছো তুই? ”
” ভালো আছি মামা, তোমরা দুজনে ঠিক আছো? ”
” আমরা ঠিক আছি। ”
” আমি কল করেছিলাম কিন্তু অনেকবার। ”
” মাফ করিস রে, আমরা দুজনেই ক্লান্তিতে ঘুমিয়ে গেছিলাম তাই ধরতে পারি নাই আর তাছাড়া তখন মোবাইল তো সাইলেন্ট করা ছিল। ”
” সমস্যা নেই মামা, আমি তোমাদের কল করেছি তখন আমাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হচ্ছে। আমি বলতে চেয়েছিলাম যে সবাই ধরা পরেছে তোমরা নিজ দায়িত্বে বেরিয়ে আসো। কিন্তু তোমরা যখন মোবাইল রিসিভ করলে না তখন চিন্তা ধরে গেল। ভাবলাম অক্সিজেনের অভাবে দুজনেই একসাথে মনে হয় অসুস্থ হয়ে গেছ। তাই দারোগা সাহেবের কাছে আপনাদের কথা বললাম আর কীভাবে রাখা হয়েছে আপনাদের, সেটাও বললাম। ”
” খুব ভালো হয়েছে, এখন তুই বিশ্রাম কর পরে কথা হবে তোর সাথে! ”
” একটা বড় ভুল হয়েছে সজীব মামা। ”
” কি হইছে? ”
” আপনাদের কথা পুলিশের কাছে বলা উচিৎ ছিল না মামা। ”
” কেন সাজিদ? ”
” পুলিশ এখন মামিকে ছেড়ে দিয়ে আপনাকে আর আমাকেও জেলে নিয়ে যাবে কারণ যেহেতু আমরা অপরাধী। কিন্তু আপনি যদি ধরা না পরতেন আর মামিকে নিয়ে ঢাকা শহরে চলে যেতেন তাহলে কেউ আর আপনার কথা জানতো না। জানলেও আর আপনাকে খুঁজে বের করা এত সহজ ছিল না। কিন্তু আপনাদের তো কল দিয়ে পেলাম না, যদি পেতাম তাহলে বলতাম আপনারা বেরিয়ে শহরে চলে যান। বিশ্বাস করো মামা, আমি ভেবেছিলাম গর্তের মধ্যে তোমরা অসুস্থ হয়ে গেছো তাই তোমাদের কথা ভেবে পুলিশকে জানানো হয়েছে। নাহলে জানাতাম না মামা বিশ্বাস করুন। ”
” সমস্যা নেই সাজিদ, অপরাধ যেহেতু করেছি তাই সামান্য হলেও শাস্তি ভোগ করা উচিৎ নাহলে মনের মধ্যে অপরাধবোধ অনুভব করতে হবে। তাছাড়া দুই মামা ভাগ্নে একসাথে থাকবো কোনো সমস্যা হবে না আশা করি। ”
মুন্নীর দিকে তাকিয়ে দেখি সে মুখ কালো অন্ধকার করে দাঁড়িয়ে আছে।
★★
হাসপাতাল থেকে বের হলাম বিকেলে তারপর পুলিশ এর সাথে থানায় আসলাম। সন্ধ্যার একটু আগে আমাদের দারোগার সামনে নেয়া হলো।
আমি আর মুন্নী এখন থানায় দারোগার সামনে বসে আছি, দারোগা সাহেব কিছু ফাইল নিয়ে বিজি আর কিছুক্ষণ পর পর একটা করে প্রশ্ন করছেন। একটু পরে হাতের কাজ শেষ করে তিনি সম্পুর্ন আমাদের সাথে কথা বলার প্রস্তুতি নিল।
” দারোগা বললো, আপনাদের দলটা দীর্ঘ দিন যাবৎ অপরাধ করে এসেছে। আজকে মোটামুটি আপনার আর সাজিদের সাহায্য পুরো চক্রটা গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। কিন্তু যেহেতু আপনারাও তাদের সাথে অপরাধে জড়িত ছিলেন তাই আপনাদেরও হাজতে যেতে হবে। তবে আদালত আপনাদের উপকারের কথা বিবেচনা করে শাস্তি কমিয়ে দিবে আশা করি। ”
” বললাম, শাস্তি ভোগ করতে কোন আফসোস নেই আমার আমি সর্বদা প্রস্তুত। কিন্তু আমার জেলের মধ্যে ঢুকানোর আগে আমার একটা অনুরোধ আছে আপনার কাছে। ”
” জ্বি বলেন। ”
” আমি মুন্নীকে দেখিয়ে বললাম, ওকে আজকে রাতের বাসে ঢাকা পাঠানোর ব্যবস্থা করতে চাই। ”
” ঠিক আছে তাই হবে, আপনি নিশ্চিত থাকতে পারেন তাকে ঢাকার বাসে উঠানোর দায়িত্ব আমার নিজের। ”
” না স্যার, আমি নিজে বা স্টেশন গিয়ে তাকে বাসে তুলে দেবো আর যতক্ষণ বাস না ছাড়বে ততক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকবো। আপনি আমার সাথে চলুন আর যদি না পরেন তাহলে দু তিনজন পুলিশ আমার সাথে পাঠিয়ে দেন। ”
” বাহহ কত ভালবাসা তাই না? দোয়া রইল তোমার আর তার ভালবাসা পূর্ণতা পাক। সমস্যা নেই আমি নিজেই তোমাদের সঙ্গে স্টেশনে যাবো। ”
” ধন্যবাদ স্যার। ”
দারোগা সাহেব মোবাইল করে ঢাকার বাস কখন ছাড়বে সেটা জিজ্ঞেস করে জেনে নিলেন। তারপর আমাদের নিয়ে সাথে সাথে বেড়িয়ে পরলেন কারণ বাস নাকি আর পয়তাল্লিশ মিনিট পর ছাড়বে।
পুলিশের গাড়িতে উঠে মুন্নী ঝরঝর করে কান্না শুরু করলো। আমি কিছু না বলে নিস্তব্ধ হয়ে বসে আছি।
বাসের সামনে টিকিট কেটে দাঁড়িয়ে আছি, হাতে এখনো মিনিট দশেক সময় আছে। আমি তখন মুন্নীর দিকে তাকিয়ে বললাম, ” সাবধানে যেও, আর কোন চিন্তা করো না। ”
” তুমিও সাবধানে থেকো, আমি ঢাকা গিয়ে আবার আসবো, আর দারোগা সাহেবের নাম্বার নিজের কাছে রাখবো যেন সবকিছু খবর রাখতে পারি। ”
” আমাদের দুজনের গল্পটা হয়তো অন্যরকম হয়ে যেতে পারে। ”
” মানে কি? ”
” আজ থানায় নিয়ে যাবে, দুদিন পর আদালত আমাকে সাজা দেবে। আমি তখন হয়ে যাবো জেল খাটা দাগী আসামি, একটা জেল খাটা ডাকাত দাগী আসামির সাথে তোমার মা-বাবা বিয়ে দেবে? ”
” জানিনা আমি। ”
” কোনদিন দেবে না মুন্নী, তোমরা অনেক বড়লোক তাই এমন সম্পর্ক কোনদিন মানবে না তারা। ”
” পুলিশের কাছে তুমি ধরা পড়ে সবকিছু গোলমাল হয়ে গেল তাই না সজীব? ”
” হ্যাঁ কিছুটা, তবে এটা আমার প্রাপ্য ছিল তাই আফসোস নেই। তোমাকে একটা বড় দায়িত্ব নিতে হবে পারবে না? ”
” কি দায়িত্ব? ”
” আমার বাড়িতে প্রতি মাসে পাঁচ তারিখের মধ্যে কিছু টাকা পাঠাতে হবে, কতদিন সাজা হবে তা তো জানিনা আমি। তবে চেষ্টা করবো যতদিন সম্ভব ততদিন গোপন রাখতে তারপর যদি জেনে যায় সেটা ভিন্ন কথা। তবে আমি যেভাবেই হোক মাঝে মাঝে বাড়িতে মোবাইলে কথা বলার চেষ্টা করবো। আর তুমি টাকা পাঠিয়ে দেবে, পারবে না? ”
” হ্যাঁ পারবো। ”
” নিশ্চিত হলাম, বাস ছাড়বে একটু পরে তুমি এখন সিটে গিয়ে বসো। ”
” আমার খুব কষ্ট হচ্ছে সজীব! ”
” নিজেকে শক্ত করো তাছাড়া আমার তোমার ফাঁসি হয়ে যাচ্ছে না তাই না? ”
” এমনটা না হলেও পারতো আমার সাথে। ”
” বিপদ সবসময় সুখের রাস্তা দেখায়। ”
” আমি কিন্তু তোমার জন্য ব্যস্ত শহরের একটা কোনে বসে অপেক্ষা করবো। ”
” আমিও ফিরে আসবো, আর তখন সবকিছু বাঁধা বিপত্তি উপেক্ষা করে তুমি আমি একটা সুখের রাজ্য স্থাপন করবো। ”
” তাই যেন হয় গো। ”
” অবশ্যই হবে। ”
বাস স্টার্ট দিল, মুন্নী বাসে উঠে বসে জানালা দিয়ে বাহিরে তাকিয়ে রইলো। রাত এখনো বেশি হয়নাই কিন্তু তাতেই চারিদিকে রাতের কুয়াশা ছড়িয়ে পরেছে। মুন্নীকে নিয়ে বাস চলতে আরম্ব করলো, আমি এক দৃষ্টিতে সেদিকে তাকিয়ে আছি। ব্যস্ত গাড়ি চোখের সামনে থেকে মুন্নীকে নিয়ে হারিয়ে গেল ঢাকার উদ্দেশ্যে। পিছন থেকে দারোগা বললো, চলো সজীব আমরা এবার চলে যাই।
আমি দারোগা সাহেবের সাথে গাড়িতে উঠে বসে আছি, বুকের মধ্যে একটা অজানা ব্যথা বাসা বেধে ফেলেছে। জীবনের মধ্যে মনে হয় এখন রাতের কুয়াশার মতো ঘন আবরণ তৈরি হয়েছে। রাত শেষে যেমন সূর্য উঠবে এবং সবকিছু আলোকে করে, ঠিক তেমন করে আমার জীবনে একটা সূর্য ওঠার অপেক্ষা করতে হবে। সেই সূর্যের আলোকে আমি আর মুন্নী আমাদের দুজনের পৃথিবী আলোকিত করে চলবো দুনিয়ায়।
দুটো মন পাশাপাশি
বুক ভর্তি আশা।
দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়ে আছে
রাতের কুয়াশা।
কাটবে কবে আধার মোদের
আসবে কবে ভোর?
সেই আশাতেই কাটছে যেন
অপেক্ষার প্রহর।
ফুরিয়ে যাবে অপেক্ষা একদিন
আসবে নতুন দিন।
রংধনুতে সাজিয়ে ভুবন
করবো যে রঙিন।
কত বিচিত্র জীবন মোদের
কত শত নেশা।
সব নেশার পূর্ণতা নাই
কারণ রাতের কুয়াশা।
#সমাপ্ত
লেখাঃ-
মোঃ সাইফুল ইসলাম (সজীব)
ভাই গল্পটা পড়ে সত্যি চোখে পানি এসে গেছে