রাত_যখন_গভীর Season:02,Part :30,31
জান্নাতুল_মাওয়া_মহুয়া
Part :30
রিনি ছুটির দিন কাটাচ্ছে।একদিন সকালে,
রিনি বসে বসে টিভি তে ডোরেমন দেখছিলো।এমন সময়, রিনির মোবাইলে কল আসে।
রিনি মোবাইল হাতে নিয়ে দেখে.
ঐশী কল করেছে।
রিনি বলেঃ কি খবর তোর?
কলেজ এ আসিস নি কেন এতো দিন?
ঐশী বলেঃসেটা বড় কথা না।বড় কথা হচ্ছে, মাহমুদ স্যার আসছিল। আমার পরীক্ষার প্রস্তুতি কেমন জিজ্ঞেস করছিলো।
রিনি বলেঃ তো?
ঐশী বলেঃআমি ভালো বললাম।আমার রুমে তোর সাথে আমার একটা ছবি আছে। স্যার ছবির দিকে তাকিয়ে বলে,এই মেয়ে দেখবা আমার ভার্সিটি তে চান্স পাবে না।
আমি স্যার কে বলছি তোই অনেক ভালো। কিন্তু স্যার এর একটাই কথা। তোই চান্স পাবি না।
রিনির রাগ হচ্ছে বড্ড। রিনি বলেঃ ব্যাটার সাহস হয় কেমনে?
বাই।তোর সাথে পরে কথা বলবো।
রিনি কল কেটে দেয়। টিভি বন্ধ করে দেয়। বই নিয়ে বসে যাই। রাত দিন পড়া লেখা করছে।মোবাইল বন্ধ করে দিলো রিনি।
কামাল বলেঃ রাবেয়া আমাদের মেয়ের কি হলো?
এতো পড়তেছে কেন?
রাবেয়া বলেঃ থাক পড়োক।যতো পড়বে ততো ভালো নাম্বার আসবে।
এই ভাবে করে, রিনির পরীক্ষার দিন ঘনিয়ে আসে। রিনির প্রস্তুতি একদম পারফেক্ট।
অবশেষে পরীক্ষা শুরু হয়ে গেছে। রিনির সব পরীক্ষা ভালো হয়েছে।রিনির রেজাল্ট বেরিয়ে আসে। রিনি Golden a+ পেয়েছে। আজ রিনি ভার্সিটি পরীক্ষা। রিনি হলে প্রবেশ করে। কিন্তু পরীক্ষা তে গার্ড ছিল মাহমুদ স্যার।রিনির সামনে দাড়িয়ে ছিলো পরীক্ষা শেষ হওয়া অবধি। রিনির সব প্রশ্ন কমন আসছে তাই সমস্যা হয়নি।
ফল প্রকাশ হলো।রিনি ১ম হলো ভর্তি পরীক্ষাতে।রিনি অনেক খুশি।
রিনি ঐশী কে কল দিয়ে বলেঃ তোর স্যারকে রেজাল্ট দেখতে বলিস।
আজ রিনির প্রথম দিন ভার্সিটি তে।রিনি আজ কালো শাড়ী পড়েছে। আজ কামাল এবং রাবেয়া ও যাচ্ছে। জান্নাত ও আসবে।জান্নাত যেখানে মুগ্ধ তো সেখানে যাবেই। হাবিব যাবে না বললো।রহমান এবং সুমি ও উপস্থিত থাকবে।কারণ তারা সবাই এই ভার্সিটির প্রাক্তন শিক্ষার্থী।তাদের কে ভার্সিটি পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে।
রিনি ভার্সিটি তে পা দেয়।আজ ফ্রেশার দের জন্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
রিনির মা,বাবা কামাল, রাবেয়া এবং বাকিরা সবাই এক দিকে বসে । রিনি তার বান্ধুবী দের কাছে যাচ্ছে।
হঠাৎ করে, রিনি সামনে একটা ছেলে আসে। ছেলে টা বলেঃ এই যে, আপনার চোখে কি যেনো লেগে আছে।
ছেলে টা রিনির চোখ স্পর্শ করতে যাচ্ছি লো। তখন মাহমুদ স্যার চলে আসে।
মাহমুদ বলেঃ মিস্টার, নয়ন।
আপনার কি এটা নাকি কাজ?
কার চোখে কি পড়েছে তা দেখা?
এখনই এই জায়গা ছেড়ে স্টেজ এ যান।ওইখানে অনেক কাজ আছে।কি যাবেন নাকি
অন্যথায় খারাপ কিছু হয়ে যাওয়ার অপেক্ষা করছেন?
নয়ন হচ্ছে, ইতিহাস এর লেকচারার। মাহমুদ, নয়নের সিনিয়র। তাই মাহমুদের কথা মেনে নিলো।
মাহমুদ বলেঃ মিস আপনি কি দাঁড়িয়ে থাকবেন?
রিনি বলেঃ যাবো তার আগে আপনার সাথে একটা বুঝাপড়া আছে।
কি জানি বলছিলেন?
আমি চান্স পাবো না!
এখন কেমনে পেলাম?
আর ১ম ও হলাম।
মাহমুদ বলেঃ প্রশ্ন সহজ ছিলো তাই।
মাহমুদ আর কিছু না বলে পাশ কাটিয়ে চলে যাচ্ছি লো। তখন ই একটা শাড়ী পড়ে একটা মেয়ে আসে। তাকে দেখে মাহমুদ একটা মিষ্টি হাসি দেয়।
মেয়ে টা মাহমুদ এর হাত ধরে। দুজন একসাথে চলে গেল। রিনি তাকিয়ে আছে তাদের দিকে। রিনির মনে অস্থিরতা কাজ করছে।
রিনি বলেঃ কেনো এমন হচ্ছে এমনটা হওয়ার কথা তো ছিলো না।
রিনির মন বলছে,যারে তুমি নিজ হাতে দিয়েছো বিসর্জন,তার তরে কেন এতো আয়োজন? যারে তুমি ফেরায়াছো অনাদরে তারে কেন মনে রাখো অগোচরে।
অতীত ভুলিয়ে স্মৃতি হয়ে কাঁদাও।তার নামে কেন পূজার ফুল সাজাও?
যে ফুল পূজিবে না চরণ,সে ফুল কেন করো বক্কে ধারণ।।।
রিনি আর কিছু ভাবতে পারছে না।রিনি দাড়িয়ে আছে। তখন একজন বলেঃ সবাই এদিকে আসো।গ্রুপ ছবি তুলতে হবে।
ভাগ্য ক্রমে।রিনি ও মাহমুদ স্যার একপাশে দাঁড়িয়ে যায়। রিনি আড় চোখে তাকিয়ে দেখে মাহমুদ কে।
রিনি বলেঃ কেনো এতো কষ্ট পাচ্ছি?
কেনো মনের মাঝে মেঘ জমে আছে?
মাহমুদ তো প্রিন্স না তাহলে কেনো এমন হচ্ছে?
আর প্রিন্স এর তো খবর ই নেই।
আচ্ছা, প্রিন্স কি মাহমুদ?
সে কি ইচ্ছে করে কষ্ট দিচ্ছে।
হুহ আমি তো সত্যি সত্যি কষ্ট পাচ্ছি। কিন্তু কেন যে কষ্ট পাচ্ছি।
তখনই,পাশ থেকে কে জানি বলে উঠেঃ
“কষ্ট নিয়ে জীবন শুরু,
কষ্ট নিয়ে শেষ।
কষ্ট কে ভালোবেসে কষ্টে আছি বেশ।
কষ্ট নিয়ে সুখী
আমি কষ্ট নিয়ে দুঃখী।
কষ্ট গুলো বুকের মাঝে
জমা করে রাখি।
(কবিতা লেখিকাঃ উর্মি).
ছবি তুলে সবাই যার যার মতো মজা করছে। রিনি তাকিয়ে আছে দূরে একটা নদীর দিকে।
?
?
মুগ্ধ বলেঃ
জান্নাত প্লিজ সরি তো?
জান্নাত বলেঃ তুমি তো এই ভার্সিটির না?
তুমি তো মেডিকেল এর তাহলে আসলে কেন?
মিথ্যা বলা আমি পছন্দ করি না।তাই কোন মাফ নেই।
মুগ্ধ বলেঃ জান্নাত কেনো এতো অবাধ্য তুমি?
এটা শেষ মিথ্যা আর কখনো বলবো না।
জান্নাত বলেঃ আচ্ছা মাফ করে দিলাম।
মুগ্ধ বলেঃ ধন্যবাদ প্রিয়।
মুগ্ধ জান্নাত এর হাতটা ধরতে যাচ্ছি লো। তখন,
জান্নাত বলেঃ শুক্রবার আমার engagement। আপনি অবশ্যই আসবেন।
মুগ্ধ বলেঃ মজা করছো কেন?
জান্নাত বলেঃ আমি সিরিয়াসলি বলছি।কয়েক দিন আগে আমাকে পছন্দ করে গেছে। সো,মিস্টার মুগ্ধ অবশ্যই আসবেন।আমি কিন্তু খুশী হবো আপনি আসলে।
মুগ্ধ রাগে মুখ লাল রঙের করে ফেলে। জান্নাত এর হাত দুটো শক্ত করে ধরে।
একটা গাছের সাথে চেপে ধরে। মুগ্ধ বলেঃ তাই না?
আমাকে এখনো চিনো নাই
মিস জান্নাত।
এটা বলে, মুগ্ধ জান্নাত এর হাত দুটো শক্ত করে ধরে গাড়ির মধ্যে নিয়ে গেল।
দুজন গাড়ি তে বসে আছে।
মুগ্ধ গাড়ি start করে। মুগ্ধ খুব স্পিড এ গাড়ি চালাচ্ছে। জান্নাত বলেঃ আহিসতা আহিসতা চালাও। মুগ্ধ আমার ভয় লাগছে।
তখনই,
?
সুমি বলেঃ রহমান,আমরা ওদের সাথে আড্ডা দি না?
রহমান বলেঃ তোমার জোড়াজুড়ি তে আসলাম। সো আর কোন কথা না।একটু পর চলে যবো।
সুমি বলেঃ প্লিজ, আমরা ওদের সাথে আস্তে আস্তে ইজি হয়ে গেলে ভালো হয়।
রহমান জিন বলেঃ হুম। চলো।
কামাল,রাবেয়া সবার পাশে এসে সুমি ও রহমান বসে।
তখনই, সুমির মোবাইলে একটা কল আসে।
সুমি একদম অবাক হয়ে গেছে।
কামাল বলেঃ কি হয়েছে?
তখনই, সুমি…..
?
হাবিব বসে আছে একা তার রুমে। ভালো লাগছে না তার কিছু।
পাশের বাসার আয়ান আবার কবিতা আবৃত্তি করছে।
কবিতাটা ছিলো,
“একটি পাখি গাছের ডালে।
তোমার কথা আমায় বলে
বলছে সে তার শুরে শুরে
তুমি আছো অনেক দূরে,
বন্ধু তুমি কেমন আছো?
আমায় কি ভুলে গেছ?
খুব যে মনে পরে তোমায়,
তোমার কি মনে পরে আমায়?
হাবিব বলেঃ আচ্ছা, সত্যি কি শাম্মির আমাকে মনে পরে না?
হাবিব এর চোখ জোড়া অশ্রুতে টলটল করছে।
এমন সময়, হাবিব দেখে,…….
চলবে…..
রাত_যখন_গভীর
জান্নাতুল_মাওয়া_মহুয়া
Season:02
Part :31
************
জান্নাত বলেঃ আহিসতা আহিসতা চালাও। মুগ্ধ আমার ভয় লাগছে।
তখনই, গাড়ি টা একটা গাছের সাথে ধাক্কা খেয়ে গাড়ির থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে।
তখনই, পুলিশ আসে সাথে সাথে। পুলিশ বলেঃ আপনাদের সিগনাল দিচ্ছি লাম।দেখেননি?
আপনাদের কে গাড়ি দ্রুত গতিতে চালানোর জন্য এরেস্ট করা হয়েছে।
মুগ্ধ ও জান্নাত এখন কারাগারে বন্দী। দুজন মুখ ফুলিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
নিরবতা ভেঙ্গে,
মুগ্ধ বলেঃ ব্যথা পাইছো প্রিয়?
জান্নাত বলেঃ না।আমি ঠিক আছি।তবে আমার একটা কথা ভেবে খারাপ লাগছে,
আমার হবু বর জানলে কষ্ট পাবে।
মুগ্ধ বলেঃ বাল পাবে।শালার জন্য রাগ উঠছে।না হয় আমি এভাবে কখনো গাড়ি চালাইতাম না।শালাকে পাইলে হবে।আমার কলিজা কে আমার কাছ থেকে নেয়ার সাহস কারো নেই।
জান্নাত একটা কথা মিলিয়ে নিও।তুমি শুধু মুগ্ধের।আর কারো না।আমার ছিলে,আমার আছো,আমারই থাকবে।যতোই, তাল বাহানা করো না কেন?
বউ তো হবে ডাক্তার মুগ্ধের!!
তোমার নসিবে আমি ই আছি।
জান্নাত বলেঃ আমার মনে হচ্ছে, কেউ একজন জেলাস।শুক্রবারে আসবেন কিন্তু মিস্টার মুগ্ধ
আপনি আমার বিশেষ অতিথি। আমার হবু বরের সঙ্গে পরিচয় করে দিবো।
মুগ্ধ বলেঃ এইখান থেকে বেরিয়ে বুঝাচ্ছি মিস জান্নাতুল মাওয়া মহুয়া। তুক্কু মাই ডিয়ার জান্নাত কত ধানের কত চাল। দেখবো কে আলাদা করে, আমাকে তোমার থেকে।
তখনই,
পুলিশ অফিসার এসে বলেঃ এরা এমন এক জাত,সব সময় তর্ক করে।ভাই, তুমি কথাই পারবে না।ব্যর্থ চেষ্টা করিও না।
মুগ্ধ বলেঃভাই বুঝে না সে যে।
পুলিশ বলেঃ আহ ভাই। কিছু কিছু এমন অবুঝ থাকে।তবে,তাদের হাসিল করতে হয়।জোর করে।
আরেকটা, মহিলা পুলিশ অফিসার এসে বলেঃ কি হচ্ছে টা কি?
আপনাদের,
দুজনের ঝগড়া তে পুলিশরা সবাই ও বিরক্ত। কখন যে আপনারা বিদায় হবেন।উফ।
?
হাবিব এর চোখ জোড়া অশ্রুতে টলটল করছে।
এমন সময়, হাবিব দেখে,
কেউ একজন তার রুমে প্রবেশ করেছে।
হাবিব আবছা আলো তে দেখে একটা মেয়ে। মেয়ে টা শব্দ করে বলে উঠেঃ
“যদি দেখা না হয়,
ভেবো না দূরে আছি।
যদি কথা না হয়,
ভেবো না অভিমান করেছি।
যদি না ফিরে তাকাই,
ভেবো না ঘৃণা করি।
আমি তো শুধু চাই আমার না, থাকার কষ্ট টা,
তুমি অনুভব করো।।
(কবিতা লেখিকাঃ উর্মি)
হাবিব এবার ভালো ভাবে লক্ষ্য করে এটা আর কেউ না।এটা শাম্মি।
হাবিব আবেগে আপলোত হয়ে যাই।
হাবিব বলেঃ শাম্মি। তুমি এসেছো।আজ হঠাৎ করে আমাকে চমকে দিলে।কেনো আসলে?
সেদিন তো চলে গেলে কিছু না বলে।।
শাম্মি বলেঃ আপনাকে খুব দেখতে ইচ্ছে করছিলো।হুম গিয়ে ছিলাম কিছু না বলে।
তবে আজ কেন জানি বড্ড ইচ্ছে ছিলো,আপনাকে দেখবো তাই চলে আসলাম।
হাবিব বলেঃআমার ও মাঝে মাঝে এমন লাগে। যখন কাউকে খুব মিস করি।তখন মন চাই তাকে একবার দেখতে। কিন্তু পুরা কপাল ইচ্ছে বুকে পাথর দিয়ে রাখি।জানি পারবো না দেখতে তাকে।জানো সে আমার অনেক কাছে।তবুও অনেক দূরে।
জানো,সে আর আমি এক চাঁদ এর নিচে, একই সূর্যের আলো তে দুজন আলোকিত।
তবুও সে অনেক দূরে।
শাম্মি বলেঃ আচ্ছা, কেমন আছেন?
হাবিব বলেঃ এটা উত্তর তুমি জানার কথা। কেমন রেখেছো?
সেদিন যাওয়ার সময় আল্লাহ হাফেজ ও বলো নি।খুব বেশি অন্যয় করে ফেলেছি নাকি
ভালোবাসি কথা টা বলে?
শাম্মি বলেঃ সব কথা কি বলতে হয় নাকি?
কিছু কথা কি বুঝে নেয়া যায় না!!!
হাবিব বলেঃ মাথা খারাপ কিছু বুঝতে পারছি না। বুঝিয়ে দাও।
শাম্মি বলে, আসেন আমার সাথে। একটা জায়গায় নিবো
হাবিব বলেঃ কোথায়?
শাম্মি বলেঃ আসেন তারপর, জানবেন।।।
দুজন চলেছে, কোন এক অজানা জায়গার উদ্দেশ্যে।কি হতে চলেছে তাদের সাথে!!!
?
সুমি একদম অবাক হয়ে গেছে।
কামাল বলেঃ কি হয়েছে?
তখনই, সুমি বলেঃ জান্নাত এর কল ছিলো?
কামাল বলেঃ এখানে থেকে কেন কল দিচ্ছে?
সুমি বলেঃ ও এখানে নেই।
রাবেয়া বলেঃ তাহলে কোথায়?
রহমান জিন বলেঃ আরে বলো না কেনো কল দিয়েছে?
চুপ হয়ে আছো কেন???
আজব।আমার শালির কি হলো??
সুমি বলেঃ জান্নাত, পুলিশ স্টেশন এ।তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর,,
রহমান জিন বলেঃ আর কি?
সুমি বলেঃ আর সাথে মুগ্ধ ভাই ও আছে। আমাকে জান্নাত এর মোবাইল থেকে পুলিশ অফিসার কল দিয়েছে। জান্নাত দে নাই।
রহমান জিন বলেঃ চল তাহলে সবাই যায়।
রাবেয়া বলেঃ রিনি কে কি করবো?
ওর তো অনুষ্ঠান শেষ হয়নি।ওরে কি করবো?
সুমি বলেঃ রাবেয়া ভাবি,রিনি থাকুক।ওর বান্ধুবী ঐশী আছে না।তার সাথে বাসায় যেতে পারবে।গাড়ি তো আপনাদের টা রেখে যাচ্ছি।
রাবেয়া বলেঃ আচ্ছা, চলো তাহলে। আমি ঐশী ও রিনি কে মেসেজ করে দিচ্ছি। তাদের বলে দি,আমরা কাজে যাচ্ছি।
সুমি বলেঃ আচ্ছা।
সবাই চলছে, পুলিশ স্টেশন এর দিকে। কিন্তু রিনিকে রেখে গেছে ভার্সিটি তে।
?
ঐশী বলেঃ আবে,রিনি,এখানে দাড়িয়ে কি করস?
আই,ওইদিকে যায়। আর তোরে কিছু ছবি তুলে দিবো। চল।
রিনি বলেঃ আরে মেরি জান।তোই কই ছিলি?
একা একা কিছু করতে পারছিলাম না।
ভালো লাগছিল না।তাই এখানে দাঁড়িয়ে নদীর দিকে তাকিয়ে ছিলাম।
চল যায়। দুজন ই প্রচুর ছবি তুলবো।।
রিনি ও ঐশী দুজন ছবি তুলছে।এমন সময় দুজনের মোবাইলে মেসেজ আসে।
ঐশী বলেঃ রিনি,তোর মা মেসেজ দিলো।
রিনি বলেঃ আমিও পেলাম।
সমস্যা নাই।আজকে চিল হবে।
আজকে একটু তারি খাবো।মনটা বড্ড জ্বালাচ্ছে। সব কষ্ট নেশা করে ভুলতে চাই।
ঐশী বলেঃ মেরি জান, প্রথম বার খেয়ে যদি মাতাল হয়ে যাই তখন কে সামলাবে?
রিনি বলেঃ আন্না জানি না। আমি খাবো।
ঐশী বলেঃ ওকে মেরি মা খাবো।রিনি একটা জিনিস লক্ষ্য করছি?
রিনি বলেঃ কি?
ঐশী বলেঃ নয়ন স্যার তোর দিকে অনেক্ক্ষণ ধরে তাকিয়ে আছে।
রিনি বলেঃ কোন নয়ন স্যার?
ঐশী বলেঃওই যে ইসমাইল হোসেন নয়ন।ইতিহাস এর।যে তোর চোখে কিছু পড়েছে বলে ছিলো।
রিনি বলেঃ মনে পড়ছে। চল তাইলে এখান থেকে।
রিনি পেছনে পিছিয়ে ঘুরতেই,কার যেনো বুকে ধাক্কা খেয়ে পড়ে যাচ্ছি লো।
তখন কে জানি,রিনির হাতটা ধরে টান দেয়। রিনি এক ঝটকায় তার বুকে গিয়ে পড়লো।
রিনি মুখ গুঁজে আছে।অজানা একজনের বুকে।
রিনি একটা মিষ্টি ঘ্রাণ পাচ্ছে।রিনি মন ভরে ঘ্রাণ টা নিচ্ছে। এই ঘ্রাণ টা খুব পরিচিত রিনির। কিন্তু এখন মনে পড়ছে না। কোথায় পেয়েছি লো সে ঘ্রাণ টা।
রিনির চিন্তা তে ছেদ পড়ে যখন কেউ একজন বলে উঠেঃ কি ছাড়বে না নাকি?
সরো।
আজকাল কারো উপকার করতে নেই।গায়ে পড়তে চাই।
রিনি মুখ তুলে দেখে, এটা মাহমুদ স্যার।
রিনি বলেঃ মা মা…
মাহমুদ বলেঃ মা মা করছো কেন?কি বলবে স্পষ্ট করে বলো।
রিনি বলেঃ মাহমুদ স্যার আপনি?
কিন্তু আপনি কেন এখানে?
মাহমুদ বলেঃ ওই যে, ফুচকা দেখচো?
রিনি বলেঃ জি।
মাহমুদ বলেঃ গুড।চোখে তাহলে ঠিকঠাক দেখো।আমি ফুচকা আনতে যাচ্ছি লাম।আর হঠাৎ করে,মিস রিনি পিছনে ফিরে গেলেন।যার ফলে এই ঘটনা ঘটছে।
রিনি বলেঃ ওহো সরি স্যার।
স্যার একটা কথা বলি?
মাহমুদ বলেঃ হুম বলো।
রিনি বলেঃ আপনি ফুচকা খান নাকি? ইয়ে মানে ছেলে রা তো ফুচকা খাই না।তাই আরকি।
মাহমুদ বলেঃ আরে আমি তেমন খাইনা।ওই যে ওইদিকে দেখো,একটা বিউটিফুল লেডি আছে। তার জন্য নিচ্ছি।
রিনি বলেঃ ওহ।
মাহমুদ বলেঃ হুম।
মাহমুদ চলে গেল। রিনি বলে,বিউটিফুল লেডি।বদমেজাজি কোথাকার।আচ্ছা, যদি প্রিন্স আমার সাথে থাকতো তাহলে কি?
আমাকে ও এভাবে ফুচকা খাওয়া তো?
আচ্ছা, প্রিন্স কে আপন করে নিলে কি হতো?
এমন সময়, ঐশী বলে,গুন্ডি কই আছিস?
কই হারালি?মাঝে কই হারিয়ে যাস?
রিনির চিন্তা জগতের ইতি টানতে হলো ঐশীর জন্য।
তখন, রিনি বলেঃ ঐশী!!!
ঐশী বলেঃ হুম বল?
রিনি বলেঃ চল ফুচকা খাই।একদম জাল দিয়ে। দেখি কে কতটা খেতে পারে।পানি খাবো না কেউ। তারপর, একদম, তারী খাবু।টাকা সব আমি পে করবো?
রাজী!
ঐশী বলেঃ ওকে ডিল ডান।চল।
দুজন চলেছে, ফুচকার দোকানের দিকে। কি করতে বসেছে রিনি?
রিনির পাগলামি তে সঙ্গ দিচ্ছে বেচারি ঐশী!!
কি হবে তাদের??
চলবে…..
গল্প কেমন হচ্ছে কমেন্ট করে জানাবেন??