রাত_যখন_গভীর Season:02,Part :49,50 last part
জান্নাতুল_মাওয়া_মহুয়া
Part :49
কামাল বলেঃ ঘুমন্ত অবস্থায় আরও পিচ্চি লাগছে রিনি মা।কিন্তু তোই তো দুনিয়ায় চোখে পিচ্চি নেই।হুহ কাল তোকে বিদায় দিতে হবে।
তখনই, কামাল হাউমাউ করে কান্না করে উঠে। নিজের পিচ্চি মেয়ে টা কখন যে বিয়ের যোগ্য হয়ে গেছে কামাল নিজে ও বুঝতে পারে নি।কামাল কান্না করতে করতে রিনির বিছানার পাশে লুটিয়ে পড়লো। অঝোর ধারায় কান্না করছে। খুব কষ্ট হচ্ছে কামালের।
হঠাৎ কামাল তার কাঁধে কারুর স্পর্শ অনুভব করল। কামাল কিছু টা চমকে উঠে।কারণ সবাই তো ঘুমিয়ে পড়লো। কে হতে পারে!!!
কামাল বলেঃ কে?
কামাল পিছনে ফিরে দেখে, রাবেয়া ঘুম থেকে উঠে গেছে। রাবেয়া করুন দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে কামালের দিকে।
রাবেয়া বলেঃ কামাল এটাই নিয়ম।আমার যেমন আমার মা বাবা কে ছেড়ে চলে আসতে হয়েছে। ঠিক তেমনই আমার মেয়ে টার ও আমাদের ছেড়ে যেতে হবে। তুমি এভাবে ভেঙ্গে পড়লে কেমনে হবে?
তুমি তো তোমার মেয়ের শক্তি। কাল যদি ও তোমার চোখে এক ফোটা অশ্রু দেখে তাহলে রিনি নিজেকে সামলাতে পারবে না।সামলা ও নিজেকে।
কামাল বলেঃ রাবেয়া, মনটা যে মানছে না।নিজের পিচ্চি মেয়ে টার জন্য ঘরটা আলোকিত ছিলো। তাকে ছাড়া ঘর টা সম্পূর্ণ ফাঁকা হয়ে যাবে।কেমনে থাকবো আমরা?
কেনো ও বড় হয়ে গেছে?
সেই পিচ্চি পাকনা বুড়ী হয়ে থাকতে পারেনি?
কতো যে পাকনা পাকনা কথা বলতো।
রাবেয়া বলেঃ কামাল,আমরা অভ্যস্ত হয়ে যাবো।মেয়ে মানুষ কে চাইলে ও ঘরে রাখা যায় না।কোন এক সময় ঠিকই তার পাড়ি জমিয়ে নিতে হয় শ্বশুর বাড়ি উদ্দেশ্যে।
সময় তো থেকে থাকে না।
মানুষ তো সময়ের সাথে সাথে শারীরিক ও মানসিক ভাবে বেড়ে উঠে। হুহ এটাই নিয়তি।
কামাল বলেঃ হুহ বুঝতে পারছি সব।নিজেকে সামলে নিবো। তবে সময় লাগবে।
কেমন যেনো অসহায় লাগছে নিজেকে।
মেয়ের বাবা হয়ে, নিজের কলিজার ধন কাউকে দিয়ে দেয়া কতো কষ্টের তা শুধু। আমার মতো মেয়ের বাবা রাই জানে।
সাথে অনুভব ও করতে পারে।
রাবেয়া বলেঃ আমি সবসময় তোমার পাশে আছি।ভেঙে পড়ো না।
আমরা ঠিক এই কষ্টের সময় টা সামলে নিবো।
কামাল বলেঃ ইনশাআল্লাহ।
রাবেয়া বলেঃ ঘুমিয়ে পড়ি।কাল কে যে রেস্ট নেয়ার পুরসত পাবে না।
কামাল বলেঃ আচ্ছা চলো।তবে কিছু একটা বাকী আছে।
কামাল রাবেয়ার হাত ধরে রিনি কপালের কাছাকাছি যায়। দুজন এক পলক তাকিয়ে ছিলো রিনির দিকে।
অতঃপর,
রাবেয়া ও কামাল রিনির কপালে একটা একটা করে চুমু দেয়। রিনির ঘুমন্ত মুখ টা খুব হাসিখুশি লাগছে। রাবেয়া ও কামাল সকাল থেকে অনেক ব্যাস্ত।অনেক মেহমান চলে আসে।
খাবার, মেহমান দের আপ্যায়ন।কতো শত যে ব্যাস্ততা।জান্নাত,সুমি,ঐশী মিলে রিনি কে সাজিয়ে দিচ্ছে। রিনি আজ লাল রঙের শাড়ি পড়েছে। গাঁ ভর্তি জুয়েলারি। খুব সুন্দর একটা সাজ।মাথার চুল গুলো খোপা করে দেয়। বেশ মানিয়েছে।
জান্নাত বলেঃ মাশাল্লাহ রিনি।অসাধারণ লাগছে।
রিনি বলেঃ ধন্যবাদ।
সুমি বলেঃ নাজার না লাগে।
রিনি বলেঃ আচ্ছা, সুমি খালামণি তোমার ননদ তাসনিয়া কোথায়?
সবাই তো এসেছে তোমার শ্বশুর বাড়ির।এবং বাকি দের আত্মীয় স্বজনরা তাদের ঘরের অন্যান্য সদস্য রা।
কিন্তু তোমার ননদী কে তো দেখে নি।
সুমি বলেঃ রিনি,কেউ জানে না।তাসনিয়া কোথায়। সে নাকি কিছু সময় একা থাকতে চাই। তাই কেউ আর খোঁজ করে নি।
তাছাড়া সে জানবে ও না অবশ্য।
তাই আসেনি।
রিনি বলেঃ আচ্ছা এই ব্যাপার তাহলে।
ঐশী বলেঃ দোস্ত সেই লাগছে তোকে।
রিনি একটা মুচকি হাসি দেয়।
অন্য দিকে, প্রিন্স ও পাঞ্জাবি পড়ে নেই। চুল গুলো জ্যাল দিয়ে ঠিক করেছে।ছাঁকছাক দাড়ি, চোখে সানগ্লাস, মাথা তে পাগড়ি বাহ বেশ হেন্ডসাম লাগছে। ইনতিয়াজ ও তার পরিবার গাড়ি নিয়ে রিনি ঘরের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়ে।
ইনতিয়াজ মাহমুদ রিনির ঘরে পৌঁছে গেল। সবাই মাহমুদ কে বরণ করে নেই। রিনি ও ইনতিয়াজ এর বিয়েতে অনেক মেহমান এসেছে। পিচ্চি অনেক খুশি। রিনি স্টেজের মধ্যে বসে আছে। রিনির পাশে ইনতিয়াজ মাহমুদ এসে বসে। জান্নাত, মুগ্ধ মেহমান সামলাতে সাহায্য করছে।হাবিব,শাম্মি, রহমান, সুমি মানুষ জনের খাবার দাবার এর বিষয় দেখছে।
রিনি ও ইনতিয়াজ বসে আছে। ইনতিয়াজ আস্তে করে রিনির কানে কানে
বলেঃ মিস মাহমুদ আজকে কিন্তু ভয়াবহ লাগছে দেখতে!!!
রিনি বলেঃ কিহ?
ইনতিয়াজ বলেঃ ভয়াবহ!!!
রিনি বলেঃ খুব খারাপ লাগছে নাকি?
ইনতিয়াজ বলেঃ আমার বউ কে ভয়াবহ সুন্দর লাগছে। আমি চোখ ই সরাতেই পারছি না।
রিনি বলেঃআমি তো মনে করেছি খুব বাজে লাগছে।
ইনতিয়াজ বলেঃ আমার রিনি আমার জন্য সবসময় সুন্দরী। তুমি সাজানো গোছানো না থাকলে ও তুমি সুন্দর।
রিনি বলেঃহয়েছে হয়েছে আর বলতে হবে না।
বেশ কিছু সময় পার হয়ে গেছে। ইনতিয়াজ হঠাৎ করে, হাটু গেরে বসে। একটা আংটি বের করে। সবাই চারপাশ ঘিরে চিৎকার করে দেয়। সবাই ভিডিও করছে।
হাবিব ও শাম্মি গোলাপের পাপড়ি ছোড়ে দেয়। সুমি ও রহমান গাদা ফুল ছড়িয়ে দিচ্ছে। জান্নাত ও মুগ্ধ একটা সুন্দর গান প্লে করে দেয়।
রিনি দাঁড়িয়ে আছে। রিনি নিজের হাতটা এগিয়ে দেয় ইনতিয়াজ এর দিকে। ইনতিয়াজ খুব যত্ন করে হাতে আংটি পড়িয়ে দেই।এর পরপর ই,ইনতিয়াজ রিনির এক পা ধরে।ইনতিয়াজ এর হাটুর উপর রাখে।ইনতিয়াজ পকেট থেকে একটা নুপুর বের করে। সবাই তো অবাক রিনি যে এতো সারপ্রাইজ পাচ্ছে।
অনেকে বলছে,ইস এমন রোমান্টিক বর যদি আমাদের হতো।ওফ।অনেক খুশি হতাম।ইসসসসসসসস।।।
ইনতিয়াজ, রিনির পায়ে নুপুর পড়িয়ে দেয়। রাবেয়া, কামাল,অর্ক,লাবু, রাহাত,রেশমি সবাই দাঁড়িয়ে আছে। দেখছে, ইনতিয়াজ এর ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ।
লাবু বলেঃ ইনতিয়াজ সত্যি অনেক ভালোবাসে রিনি কে।
রেশমী বলেঃ নিসন্দেহে সত্য কথা এটা।যে ইনতিয়াজ রিনি কে প্রচন্ড ভালোবাসে।
দেখতে দেখতে, রিনির বিদায় এর পালা।কামাল যেনো অনুভূতি হীন রোবট হয়ে গেছে। রিনি, কামাল কে জড়িয়ে ধরেছে।অনেক কান্না করছে। কিন্তু কামাল এক ফোটা অশ্রু ফেলছে না।কারণ, তার চোখের বর্ষণ হলে রিনি কে সামলানো দায় হয়ে যাবে।রাবেয়া শাড়ীর আঁচল দিয়ে নিজের চোখের জল লুকিয়ে রাখছে।
ঐশী জড়িয়ে ধরেছে রিনি কে।ঐশী অনেক কান্না করছে।আজ যেনো কান্না থামছেই না
।তখনই,
ঐশী বলেঃ আচ্ছা রিনি।এটা তো তোর জন্য খুশীর একটা জিনিস।বিয়ে হচ্ছে। সংসার করবি।খুশি থাকবি।
তবে আমাদের কেনো কান্না আসছে?
নিজের চোখ অজান্তেই কান্না করছে।
রিনি বলেঃ আমি ও জানি না।কেনো এমন হচ্ছে। হুহহহহহহ
রিনির কান্না দেখে, মুগ্ধ বলেঃ ইনতিয়াজ তোমার বউ কে কোলে তুলে নাও।না হয় আজ কান্না করতে করতে শেষ হয়ে যাবে।
ইনতিয়াজ রিনিকে কোলে তুলে গাড়ি তে বসিয়ে দেয়। ইনতিয়াজ নিজের ঘরে নিয়ে গেল। বাকী রা জিন রাজ্যে ফিরে গেছে। গাড়ি নিয়ে আসার সময়, ইনতিয়াজ রানী লোভা কে বলেঃ মা তোমরা জিন রাজ্যে ফিরে যাও।আমি একা থাকতে চাই।
রানী লোভা দ্বি মত করে নি।ঘর ফাঁকা, পিচ্চি এবং কাজের লোক রিনির ঘরে থাকতে বলে দিয়ে ছিলো ইনতিয়াজ।
রিনির হাতে হাত ধরে ইনতিয়াজ প্রবেশ করেছে তাদের সুইট ঘরে। কিন্তু একি,
সারা ঘর অন্ধকার।
রিনি বলেঃ আলো নেই কেনো?
ইনতিয়াজ আলো জ্বালিয়ে দেয়।
রিনি দেখে ঘরের মধ্যে কোন সাজসজ্জা নেই।একদম নরমাল।
রিনি বলেঃ এমন কেনো?
ফুল দিয়ে সাজানো হয়নি কেনো?
ইনতিয়াজ কিছু বলে নি। সোজা রুমে প্রবেশ করে। রিনি ও পিছনে পিছনে রুমে চলে গেল। রিনি দেখে রুমের মধ্যে ও ফুলের ছিটেফোঁটা নেই।
ইনতিয়াজ গিয়ে শোয়ে আছে।
রিনি বলেঃ সব কিছু এমন কেনো?
একটা ফুল নেই?
কোন আয়োজন নেই?
ইনতিয়াজ বলেঃ কিসের আয়োজন। কেনো ফুল আনবো?
আমার কি কোন কাজ নেই আর।যত্ত সব।
রিনি বলেঃ এমন করে বলছেন কেনো?
ইনতিয়াজ বলেঃ কি করলাম।যাও শুয়ে পড়ো।আমার ঘুম পাচ্ছে। গুড নাইট।
রিনি বলেঃ কিহ!!!
ইনতিয়াজ বলেঃঘুমা ও।
রিনির মনে কষ্টের মেঘের সৃষ্টি হয়েছে। কি চিন্তা করে ছিলো?
রিনি মনে করছে, ইনতিয়াজ মাহমুদ অনেক সুন্দর করে ঘর সাজাবে।তাদের শোবার ঘর অনেক সুন্দর করে ফুল দিয়ে সাজাবে।রিনি সাথে সুন্দর করে মিষ্টি মিষ্টি কথা বলবে।কিন্তু কি হলো?
কিছুই তো হলো না।
রিনি শোয়ে পড়েছে।রিনি চিন্তা করছে, কি হলো তাদের শর্তের?
সব ভালোবাসা কই গেছে?
হয়েছে টা কি?
রিনির মনে অনেক অনেক চিন্তা কাজ করছে। রিনির মনে হচ্ছে, বিয়ে করার জন্য হয়তো ইনতিয়াজ এমন আচরণ করছে।
রিনি এসব ভাবতে ভাবতে,
রিনির চোখে অল্প অল্প ঘুম জড়িয়ে ধরেছে।
রিনির মনে হচ্ছে, তার শরীর কেউ স্পর্শ করছে। স্পর্শ বললে ভুল হবে।
রিনি কে কোলে তুলে নিচ্ছে। রিনি চোখ জোড়া খুলে দেখে, ইনতিয়াজ রিনিকে কোলে তুলে।
নেই।
রিনি বলেঃ ছাড়ুন।আমি নামবো।
ইনতিয়াজ মাহমুদ বলেঃ একদম চুপ।
রিনি চুপ হয়ে গেছে। রিনি একদম নিস্তেজ হয়ে গেছে ইনতিয়াজ এর কোলে।
ইনতিয়াজ রিনিকে কোলে তুলে নিয়ে ছাদের উপর নিয়ে যাচ্ছে। রিনি নাকের মাঝে একটা সুঘ্রাণ ভেসে আসছে।
রিনি দেখে, ছাদের মাঝে চাঁদ এর আলো পড়ছে। ইনতিয়াজ রিনিকে ছাদের উপর নামিয়ে দেয়। ইনতিয়াজ তালি দেয় সাথে সাথে ছাদের উপর আলো জ্বালে উঠে।
ছাদের উপর, হরেক রকম ফুলের পাপড়ি দিয়ে খুব সুন্দর করে হার্ট বানিয়েছে। রিনি দেখে অবাক। তার ঠিক সামনে, একটা খুব সুন্দর খাট সাজিয়েছে।সেখানে হরেক রকমের ফুল দিয়ে সাজানো।
ইনতিয়াজ বলেঃ তোমাকে একটু খেপাচ্ছিলাম।সরি বউ।বলে মিষ্টি হাসি।
রিনির তো রাগে গাঁ জ্বলে যাচ্ছে। রিনি বলেঃ আপনাকে আমি দেখেন কি কি করি!!!
ইনতিয়াজ বলেঃ আরে বউয়ের সাথে একটু মজা করছি আরকি।
রিনি বলেঃ করা যায়। তবে এতো মারাত্মক আমি তো মনে করছি, বিয়ে করে ভুল হয়ে গেছে।
ইনতিয়াজ বলেঃ নাহ রিনি।ঠিকই করে ছি।আসো নিচে যায়।
রিনি নিচে গিয়ে দেখে, সারা ঘর ফুল দিয়ে সুসজ্জিত।
ইনতিয়াজ বলেঃ ইচ্ছে করে সাজানো হয়নি।তুমি যখন হালকা ঘুমের মধ্যে পড়েছো।তখন করেছি।
রিনি বলেঃ অনেক সুন্দর লাগছে। সত্যি ওয়াও।
ইনতিয়াজ বলেঃ চলো ছাদে যায়। চলো আজ সারা রাত গল্প করবো।
রিনি,ইনতিয়াজ এর হাত ধরে ছাদের উপর উঠে গেছে। ইনতিয়াজ ফুল দিয়ে বানানো হার্টের মাঝে শোয়ে আছে।
ইনতিয়াজ বলেঃ রিনি আসো।
রিনি বলেঃ কেনো?
ইনতিয়াজ বলেঃ আমার আবদার ভুলে গেলে নাকি?
রিনি বলেঃ কোনটা?
ইনতিয়াজ বলেঃ ওমা।আমার বুকের ওপর তুমি মাথা রাখবে।
রিনি বলেঃ হি হি মনে আছে।
রিনি ইনতিয়াজ এর বুকের ওপর মাথা রেখেছে। দুজন ফুল দিয়ে বানানো হার্টের মাঝে আছে। বেশ লাগছে দুজন কে। ইনতিয়াজ তাকিয়ে আছে রিনির দিকে।অপলক দৃষ্টিতে।
রিনি বলেঃ এই সময় এখানে থেমে যাক!
এই রাত যেনো আমাদের জন্য শ্রেষ্ঠ রাতের মধ্যে একটা হয়।সারাজীবন যেনো আমাদের ভালোবাসা এমনই থাকে।
ইনতিয়াজ বলেঃ রিনি,…..
চলবে….
রাত_যখন_গভীর
জান্নাতুল_মাওয়া_মহুয়া
Season:02
Part :50 এবং শেষ অংশ।
************
রিনি বলেঃ এই সময় এখানে থেমে যাক!
এই রাত যেনো আমাদের জন্য শ্রেষ্ঠ রাতের মধ্যে একটা হয়।সারাজীবন যেনো আমাদের ভালোবাসা এমনই থাকে।
ইনতিয়াজ বলেঃ রিনি,সব সময় এমনি থাকবে।এবং একে অপরের পাশে থাকবো এভাবেই। ভালোবাসি।
জীবনের সব টুকু ভালোবাসা তোমার জন্য।
রিনি চোখ জোড়া বন্ধ করে ইনতিয়াজ এর বুকের ওপর মাথা দিয়ে শুয়ে আছে। তাদের দু’জন এর ভালোবাসার সাক্ষী হচ্ছে আকাশের চাঁদ টা ও।চাদের আলো এসে পড়েছে তাদের উপর।
সকালে পাখির কলরবে রিনির খুব ভেঙ্গে গেলো। রিনি নিজেকে ইনতিয়াজ এর উপর আবিস্কার করে।ইনতিয়াজ এর সারা শরীর জোরে রিনির এলোমেলো চুল ছড়িয়ে আছে। রিনি চুলের খোপা করে নেই। রিনি দেখে ইনতিয়াজ এখনো ঘুমাচ্ছে। একদম নিষ্পাপ লাগছে।
রিনি বলেঃকালকে সত্যি ভয় পেয়ে গেছিলাম প্রিন্স। আমি মনে করেছি, আপনি আমার উপর রেগে আছেন।সত্যি নিজে নিজে অবাক হয়ে গেছিলাম।হুহ।কিন্তু আমার ধারণা ভুল ছিলো।আপনার ভালোবাসা তে কোন সন্দেহ নেই।আপনি সত্যি কারের আমাকে ভালোবাসেন। আমি ও আপনাকে ভালোবাসি। তবে আপনি যতটা ভালোবাসেন তার সামনে আমার টা কিছু ই না।
রিনি গোসল করতে চলে গেল। ইনতিয়াজ এর শরীরে রোদ এসে পড়েছে। রোদের জন্য ঘুম ভেঙ্গে গেলো।ইনতিয়াজ পাশে হাত দিয়ে দেখে রিনি নেই।ইনতিয়াজ সারা ঘর হন্য হয়ে খুঁজেই যাচ্ছে। তখনই, কানের মধ্যে পানির শব্দ শুনতে পেল। ইনতিয়াজ ওয়াশরুমের দরজা টা টোকা দিচ্ছে।
রিনি বলেঃ কি হলো?
ইনতিয়াজ বলেঃ খোল।
রিনি বলেঃকেনো?
ইনতিয়াজ বলেঃ একটা জরুরি কাজ আছে প্লিজ খোল।
রিনি তাড়াতাড়ি খুলে দেয়। রিনির এখনো সম্পূর্ণ গোসল করা হয়নি।ইনতিয়াজ আস্তে করে দরজাটা বন্ধ করে দেয়।
রিনি বলেঃ এটা কি হলো!
আপনার কাজ করে চলে জান।
ইনতিয়াজ বলেঃ মিস মাহমুদ আমার কাজ ই তো করছি।
এই বলে, ওয়াশরুমের বাথটবে ফেলে দেয় রিনি কে।সাথে ঝর্ণা ও চালু করেছে। রিনি একদম হাবুডুবু খাচ্ছে। ইনতিয়াজ রিনিকে স্পর্শ করছে। রিনি কেঁপে ওঠে।। দুজন ভিজে বিড়াল হয়ে গেছে। দুজন গোসল করে নেই। ইনতিয়াজ রিনিকে একটা গামছা পেচিয়ে দেয়। রিনি কে কোলে তুলে রুমে প্রবেশ করে।
প্রথমে একটা গেঞ্জি ইনতিয়াজ পড়ে নেই। কিন্তু রিনি এখনো গামছা পেচিয়ে বসে আছে। ইনতিয়াজ এর গেন্জিতে রিনি ও ডুকে পড়ে। রিনির কান্ড দেখে ইনতিয়াজ হাসতে হাসতে শেষ।
ইনতিয়াজ বলেঃ তোমার জন্য ড্রেস আছে তো।সামনে বিছানা তে দেখো।
রিনি দেখে একটা খুব সুন্দর শাড়ি বিছানা তে পরিপাটি করে রাখা আছে। ইনতিয়াজ নিজ হাতে রিনিকে শাড়ি পড়িয়ে দেই। রিনির চুল গুলো খোলে দেয়। ইনতিয়াজ রিনির চুলের মধ্যে নাক ডুবিয়ে দিল। রিনি চোখ বন্ধ করে ইনতিয়াজ এর ভালোবাসা অনুভব করছে।
ইনতিয়াজ বলেঃ রিনি,আজ আমরা কুয়াকাটা যাবো।
রিনি বলেঃ সত্যি!
তবে কি জার্নি করে?
নাকি হঠাৎ করে তোমার জাদু দিয়ে।
এটা আমাদের সুইট হানিমুন হবে।
ইনতিয়াজ বলেঃ জার্নি করে।
আমাদের বিয়ের উপহার হিসেবে পেয়েছি অফারটা।
অনেক সুইট হানিমুন হবে বউ।
রিনি বলেঃ ওয়াও।
দুজন যাত্রা শুরু করে। বিকেলে দিকে পৌঁছে যায়। রিনি অনেক ক্লান্ত হয়ে গেছে। ইনতিয়াজ রিনি কে কোলে তুলে নেই।
ইনতিয়াজ বলেঃ আমার পিচ্চি বউ ক্লান্ত হয়ে গেছে, ইস।
কোলে চুপটি করে শুয়ে থাকো।
রিনি কে ইনতিয়াজ অনেক্ক্ষণ ধরে কোলে তুলে হেঁটেছে।অনেকটা পথ পাড়ি জমিয়েছে। সমুদ্রের তীরে এসে রিনি দেখে।
একটা খুব সুন্দর বিছানা। বিছানার চারপাশে সাদা রঙের কাপড় দিয়ে সাজানো হয়েছে। পাশাপাশি করে মোমবাতি জ্বলানো আছে। দেখতে অসম্ভব সুন্দর লাগছে।
রিনি দেখে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে। সমুদ্রের জলের শব্দ শুনতে পাচ্ছে তারা।সমুদ্রের তীরে বাতাস বইছে। সেই বাতাস এসে পড়েছে রিনির চুলে।রিনির খোলা চুল গুলো উড়ছে। আর ইনতিয়াজ রিনির চুলের মাঝে নাক ডুবিয়ে দিলো।সাথে তার হাত রিনির কোমরে স্পর্শ করে রিনিকে জড়িয়ে ধরে আছে।
ইনতিয়াজ তখন কানে কানে বলেঃকেমন লাগলো সারপ্রাইজ।
আজ সারারাত সমুদ্র দেখবো।
আমাদের ভালোবাসার জন্ম হয় সমুদ্রের তীরে। তাই ভালোবাসা পূর্ণতা পাওয়ার পর সমুদ্রের তীরে এসে ভালোই লাগছে।
তোমার কেমন লাগছে???
রিনি বলেঃ আমি ভাষাহীন আমার এই বিতৃষ্ণা অনুভূতি প্রকাশ করার শব্দ হারিয়ে ফেলেছি।মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে আছি।
অনেক অনেক ভালো লাগছে।
ইনতিয়াজ বলেঃ বসো।আমি ও বসছি।
তারা দুজন বসে আছে বিছানার উপর। সামনে সমুদ্র। কানে ভেসে বেড়াচ্ছে সমুদ্রের জলের ঢেউ। রিনির খোলা চুল গুলো উড়ছে কিছু কিছু ইনতিয়াজ এর মুখের উপর উড়ে পড়ছে। দুজন তাকিয়ে আছে সমুদ্রের জলে দিকে।
?
মুগ্ধ ও জান্নাত এর সংসার যেনো রুপকথার গল্পের মতো।তাদের মাঝে আছে শুধু ভালোবাসা। মুগ্ধের মা বাবা জান্নাত কে অনেক ভালোবাসে।মুগ্ধ চেম্বার থেকে আসার সময় জান্নাত এর জন্য চকলেট কিংবা ফুচকা নিয়ে আসে।
মুগ্ধ যেটুকু সময় পাই তার সবটুকু জান্নাত কে দেয়। তারা বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাই মাঝে মাঝে। জঙ্গলে গিয়ে ক্যাম্পিং করে।
আজ রাতে জান্নাতের মন খারাপ। এবং সেটা মুগ্ধ চেম্বার থেকে এসে বুঝতে পারে।
মুগ্ধ চুপচাপ করে জান্নাত এর পাশে আসে। জান্নাত একটা টপস পড়ে ছিলো। মুগ্ধ হঠাৎ করে জান্নাত কে কোলে তুলে নেই।
জান্নাত বলেঃ আরে কি করছেন?
মুগ্ধ বলেঃ চুপ একদম।
মুগ্ধ, জান্নাত কে কোলে তুলে নিয়ে গাড়ি তে উঠে পড়ে।জান্নাত কিছু বলছে না। কারণ, মুগ্ধ যে বারণ করছে চুপ হয়ে থাকতে।
মুগ্ধ বেশ কিছুক্ষণ গাড়ি ড্রাইভ করে।তাদের গাড়ি থেমেছে একটা পাহাড়ের উপর।
মুগ্ধ বলেঃ জান্নাত আমরা সাজেকে চলে এসেছি।
জান্নাত বলেঃ সত্যি।
জান্নাত এর চোখ মুখে হাসি ফুটে উঠেছে। জান্নাত এর অনেক ইচ্ছে ছিলো সাজেকে ঘুরতে আসার।সেটা মুগ্ধ পূর্ণ করে দেয়।
মুগ্ধ ও জান্নাত দাঁড়িয়ে আছে। পাহাড়ের উপর। রাত যখন গভীর তখন মেঘেরা খেলা করছে। জান্নাত অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে। মুগ্ধ জান্নাত এর ঠিক পাশে বসে আছে।
দুজনের মাঝে যেনো একে অপরের মন বুঝতে পারার আলদা শক্তি আছে। দুজনের টুনটুনির সংসার এভাবে পার করে দিতে পারবে তারা একে অপরের মনের খবর জানতে পারার জন্য।
?
রহমানের কলেজ বন্ধ তাই অবসর সময় কাটাচ্ছে।সুমি আনমনে কি জানি ভাবিতেছিলু?
তাকে দেখে বুঝতে পারছে রহমান, সুমির মাঝে কি জানি ভাবনা কাজ করছে।
রহমান ভালো ভাবে জানে সুমিকে কিভাবে খুশি করা যায়। রহমান সাথে সাথে হরেক রকম এর বই অর্ডার দেয়।আজকে ডেলিভারি দেয়। সাথে রহমান একটা ফুলের তোড়া অর্ডার দেয়। একটাল বই সাথে ফুলের তোড়া।আস্তে করে সুমিকে গিয়ে পিছনে থেকে জড়িয়ে ধরে রহমান।
সুমি চমকে উঠে। সুমি বলেঃ আপনি!!!!
রহমান তখন বই এবং ফুল গুলো বের করে দেয়। সুমির চোখ জোড়া খুশী তে নেচে উঠে। সুমি রহমানের সারা গালে হাজারটা চুমু দেয়। সুমির মুখের সেই উদাসীনতা চলে গেল।
বেলকনিতে দোলনায় রহমান বসে আছে। পাশে টেবিলে ফুল গুলো যত্নে রেখেছে। খুব সুন্দর সুঘ্রাণ ভেসে আসছে। রহমানের কোলে মাথা রেখে , ফুলের সুগন্ধী নিচ্ছে সুমি।সাথে গল্পের বই পড়ছে। ইস এ যেনো এক সুখ কর মুহূর্ত তাদের জন্য।
?
শাম্মি সকাল থেকে অনেক ধরনের রান্না করছে।তাদের ঘরে মেহমান আসছে।অন্য দিকে, হাবিব পড়ে পড়ে ঘুমাচ্ছে। শাম্মির অবস্থা একদম কাহিল। রাতে মেহমান চলে গেল। শাম্মি তো মেহমানদের চলে যাওয়া অবধি কাজ করছে। রাতে মেহমান রা ভাত খেয়ে চলে গেল। শাম্মি বসে আছে ক্লান্ত হয়ে। তখন,হাবিব রুমে প্রবেশ করে একটা প্লেট নিয়ে।
হাবিব বলেঃ বউ খিদা লাগলো তোমার নাও খেয়ে নাও।
শাম্মি তো একদম গাল ফুলিয়ে কপাল সংকুচিত করে বসে আছে। শাম্মি সারাদিন কাজ করলো কিন্তু হাবিব একটু ও খবর নেই নি শাম্মির।
হাবিব এক লোকমা ভাত হাতে তোলে নেই। এবং শাম্মির গালের সামনে নিয়ে গেল। শাম্মি এতক্ষণ গাল ফুলিয়ে থাকলে ও হাবিব নিজ হাতে খাইয়ে দেয়াতে একদম বাধ্য মেয়ের মতো সব খাচ্ছে। আসলে হাবিব রাত করে কাজ করছে তাই ঘুমাচ্ছি লো।শাম্মি অবশ্য তা জানে তবুও অভিমান করে ছিলো।
এখন সব অভিমান মুছে গেছে।
শাম্মির খাওয়া শেষ। হাবিব দুকাপ কোল্ড কফি বানিয়ে নিল। শাম্মি কে বলে কফি গুলো হাতে রাখো।শাম্মি কফি গুলো হাতে রাখে।সাথে সাথে হাবিব তার প্রিয়তমা কে কোলে তুলে নেই। দুজন মিলে ছাদে চলে গেল।
শাম্মি কফি হাতে বসে আছে। সাথে হাবিব ও বসে আছে। শাম্মি, হাবিবের কাঁধে মাথা রাখে।
হাবিব বলেঃ খুব কাজ করতে হচ্ছে নাকি?
মহলের রাজকন্যা আজ নিজহাতে সব করছে।
কষ্ট হচ্ছে তাই না???
শাম্মি বলেঃ আহা।আমার সমস্যা হচ্ছে না। আমার ভালো লাগছে এসব করতে। তবে আপনার ভালোবাসা না ফেলে সব কিছু অসহ্য লাগে। তাই সব সময় ভালোবাসা দিবেন।কখনো যেনো ভালোবাসার কমতি না হয়।
হাবিব বলেঃ কথা দিলাম। কখনো ভালোবাসা কমতি হবে না।
দুজন বসে বসে কফির কাপে চুমুক দিচ্ছে। সাথে থেমে থেমে ধমকা হাওয়া এসে ছোঁয়ে দিচ্ছে তাদের। একটা সুখী দাম্পতী বসে আছে। রাতের আধারে সাথে আছে অসীম ভালোবাসা।
?
রাবেয়া ও কামাল আস্তে আস্তে নিজেদের সামলে নেই। রিনি প্রতিদিন ভিডিও কল করে খোঁজ খবর নেই। মেয়ের হাসি মাখা মুখ দেখে তাদের কষ্ট মিলিয়ে যায়। রাবেয়া ও কামাল রোজ বিকালে নদীর তীরে হাটতে বের হয়।তারা দুজন
দুজনকে প্রচুর সময় দিচ্ছে।
তাদের মাঝে সেই হারিয়ে যাওয়া ভালোবাসা ফিরে এসেছে। সময়ের সাথে সাথে যে ভালোবাসার ঘারতি ছিলো টা পূর্ণ হচ্ছে। একে অপরের সময় দেয়ার মাধ্যমে।
আসলে সব সম্পর্কে সময় দিতে হয়। সময়ের আধলে সব সম্পর্ক ঠিক হয়ে যাই।
?
লাবু ও অর্ক তাদের ছোট্ট সংসারে অনেক খুশি। সাথে রাহাত ও রেশমী তারা ও অনেক সুখে। তারা চারজন প্রায় আড্ডা দেয়। মাঝে মাঝে, রাত যখন গভীর হয়ে যাই।
তখন চার জন মিলে, বারান্দায় আড্ডা দিয়ে দিয়ে চা খাই।হঠাৎ বৃষ্টি আসলে।চার জনে মিলে বৃষ্টির আনন্দ নেই।
?
রিনি ও ইনতিয়াজ অনেক্ক্ষণ ধরে বসে ছিলো।তখনই, ইনতিয়াজ বলেঃ রিনি,তোমার মাঝে কি এমন আছে?
তুমি এতো সুন্দর কেনো?
রিনি বলেঃ সুন্দর তো সবার চোখে।আমি আপনার চোখে সুন্দর কেউ তাই আমাকে সুন্দর লাগে।
ইনতিয়াজ বলেঃ রিনি,তোমার মাঝে যেনো প্রতিদিন আমি নতুন করে ভালোবাসা অনুভব করি।
সমুদ্রের তীরে বসে আছি। অথচ প্রত্যেকটা ঢেউ আমাকে জানান দিচ্ছে আমাদের ভালোবাসার অনুভূতির ।
জানো আমি প্রতিদিন তোমার প্রেমে পড়ে যায়।
রিনি বলেঃ ভালোবাসা গুলো পাওয়ার মাঝে যে প্রশান্তি আছে। তা জানান দিচ্ছে প্রকৃতি ।প্রকৃতি ও জানে কিভাবে মনের অনুভূতির জানান দিতে হয়।
রিনি নিজের হাতটা সামান্য তোলে ধরে। হাতের আঙুল গুলো অর্ধেক হার্ট এর মতো করে ধরে। তখনই, ইনতিয়াজ নিজের হাতটা রিনির হাতের আঙুলের সাথে মিলিয়ে দেয়।
তাদের সেই আঙুল গুলো মিলিতভাবে একটা হার্ট এর মতন হয়ে গেছে।এভাবে বেচে থাকুক আজীবন ভালোবাসা গুলো।
ইনতিয়াজ ও রিনি একে অপরের দিকে তাকিয়ে এক স্বরে বলে উঠেঃ
“রাতের আঁধার নেমে আসোক,
ভালোবাসার মাঝে পূর্ণতা আসুক,
আজীবন মনে মাঝে ভালোবাসার নেশা জমে থাকুক,
আমার মাঝে তোমার ভালোবাসার বিরাজমান থাকুক,
রাত যখন গভীর তোমার আমার মিলনের সাক্ষী থাকুক।
ভালোবাসি, ভালোবাসি বলে জীবন কাটুক।”””
(কবিতা লেখিকাঃ জান্নাতুল মাওয়া মহুয়া)
দুজনের ভালোবাসা যেনো কখনো কমতি না হয়। আসলে,আজীবন জয় হয়ে থাকে সত্যি কারের ভালোবাসা গুলোর।
সবাই সবার ভালোবাসা পেলো।তাদের সবার মনে ছিলো সত্যি কারের ভালোবাসা। তাদের ভালোবাসা গুলো পূর্ণ হল।ভালোবাসা তে যদি নিয়তি সঙ্গী হয়। আল্লাহ পাক ও যদি সহায়ক হয় তাহলে সেই ভালোবাসাতে পূর্ণতা আসে।
ভালোবাসা কে পেয়ে গেলে তার প্রতি অবহেলা করবেন না।কারণ, ভালোবাসা হচ্ছে এমন জিনিস আপনি যতটা সময় ততটা গভীর হবে।
ভালোবাসা হচ্ছে, পুকুরের মতো যতই গভীর হবে পুকুরের গভীরতা ততই পানি বেশী হবে।
ঠিক তেমনই ভালোবাসার ক্ষেত্রে ঘটে থাকে।ভালোবাসা টা কে সময় দিবেন।এবং
একে অপরের পছন্দ, অপছন্দ কে প্রাধান্য দিবেন।
এবং প্রিয়জন কে সবসময় আপনার জীবনের প্রথমে প্রধান্য দিবেন।কারণ, ভালোবাসা পেয়ে গেলে যেনো অবহেলা না আসে।অবহেলা এমন একজিনিস যা অনেক গভীর ভালোবাসা কে হারিয়ে ফেলে জীবন থেকে। তাই কদর করেন ভালোবাসার।
রিনি + ইনতিয়াজ,
শাম্মি +হাবিব
জান্নাত + মুগ্ধ
সুমি+ রহমান
তাদের সবার মতো আপনাদের ভালোবাসা গুলো ও যেনো পূর্ণতা পাই।সেই দোয়া রইলো।
ভালোবাসা কে দূরে যেতে দিয়েন না।একবার হারিয়ে গেলে ফিরে পাওয়া যায় না।
চার সুখী দাম্পত্যের আজ রাত যখন গভীর তখন সবার মুখে হাসি ফুটে।এই হাসি টা হচ্ছে,
প্রিয় জন কে প্রাপ্তির কারণে।ভালোবাসা থাকুক আজীবন। জয় হোক সব ভালোবাসার।
সমাপ্ত
মিস লেখিকা আপনার কাছে তো দেখি জিনের সমাহার, আমার জন্য একটা পাঠাই দিয়েন,,,আর আপনার গল্পের মধ্যে দুনিয়ার সব কবি আর শায়ের এসে গেছে ??