রাত_যখন_গভীর,part :04,05

0
1789

#রাত_যখন_গভীর,part :04,05
writer:#জান্নাতুল_মাওয়া_মহুয়া
part :04

ঠিক তখনই লালচে বৃত্তটির প্রবেশ ঘটে রুমে। অর্কের মুখে যেন হাসি ফুটে উঠে।সে মনে করেছি যে সে নিমিষেই লালচে বৃত্তটিকে নিজের অধীনে আনতে পারবে। কিন্ত একটু পর, হাসি মুখটা যেন নিমিষেই কালো হয়ে গেছে। লালচে বৃত্তটির তীব্রতা অনেক বেশি যার ফলে অর্ক,লাবু,রাবেয়া, রাহাত হুজুর, কামাল সবারই তাকিয়ে থাকতে কষ্ট হচ্ছে। এক পর্যায়ে তাদের সবার চোখ জোড়া জ্বলতে শুরু করে ।আর যার ফলে সবাই চোখের জ্বালা সহ্য করতে না পেরে সেন্সলেস হয়ে যাই।
রাত যখন শেষের পথে সবার প্রথমে অর্কের চোখ খোলে।তখনই দেখে রিনি ঘুমাচ্ছে তবে তারা যে বৃত্তের ভেতরে রিনিকে আবদ্ধ করে রেখেছিল সেই বৃত্তের অস্তিত্ব আর নেই। তাহলে তাদের সবার চোখের আড়ালে আবার সেই এসে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছে।অথচ রিনি বেচারি কিছুই জানেনা।কিন্তু রিনিকে দেখে একদম বুঝা সম্ভব হচ্ছে না যে তার সাথে কেউ কাল রাতে অবিশ্বাস্য কিছু করেছে।অথচ মেয়ে টি যেভাবে ঘুমিয়ে ছিল ঠিক একইভাবে এখনো শুয়ে আছে। অর্ক যেন আর কিছু ভাবতেই পারছে না।
এর কিছু সময় পর সবাই জেগে ওঠে। অর্ক লাবুকে নাস্তা রেডি করতে বলে। আর কামাল আর রাবেয়া কে রেস্ট নিতে বলে। আর রিনি কে ঘুম থেকে না জাগাতে বলে।
আর অর্ক বলেঃ রাহাত হুজুর আসেন।আমাদের ওয়ার্কিং রুমে যাই।খুব গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে হবে।
অর্ক আর রাহাত হুজুর এখন বসে আছে। একটা অন্ধকার রুমে।যেটা তাদের কাজ করার রুম।
তারা ধ্যান করছে।অর্ক বিড়বিড় করে মন্ত্র উচ্চারণ করেছে। আর রাহাত হুজুর কুরআন শরীফ পড়ে।তার অনুগত জীনকে ডাক দিচ্ছে।
অর্ক তার শক্তি দিয়ে বুঝার চেষ্টা করছে কি হয়েছে।
আর রাহাত হুজুর জীনকে উপস্থিত করার চেষ্টা করছে। অতঃপর রাহাত হুজুরের জীন হাজির হয়।
আর রাহাত হুজুর জিগ্যেস করলো ঃ রিনির সাথে এমন কেন হচ্ছে? আর কি হচ্ছে?
আর আমরা কিছু করতে পারছিনা কেন?এই এত বছর হলো এই পেশাতে যুক্ত আছি ।এমন কখনো হয়নি বরং সব কেইস আমি আর অর্ক খুব ভালো ভাবে সমাধান করতে পেরেছি ।তাহলে রিনির কেইসের ক্ষেত্রে এমন হচ্ছে কেন?
জীন বলেঃ হুজুর মাপ চাই।আমি কিছু বলতে পারবোনা। তবে আমি জানি কি হয়! কে করছে এসব।তবুও বলতে পারবোনা।
যদি আমি মুখ খুলে ফেলি।জীন রাজ্যে প্রবেশ বন্ধ হয়ে যাবে আমার জন্য।
রাহাত হুজুর বলেঃ তুই ও এমন করলে।আমরা রিনি কে কেমনে বাঁচাবো?
জীন বলে ঃ হুজুর গোস্তাকি মাফ করবেন। আমি আজ আসি।
রাহাত হুজুর জীন যাওয়ার পর আরো বেশ কয়েক বার ডাকলো তাকে কিন্তু জীন কোন সারা দিলো না।
রাহাত হুজুর চিন্তায় পড়ে যায়। কি করবে তারা এখন? কামাল অনেক আশা নিয়ে সাহায্য চাইলো! কিন্তু তারা কি না কিছুই করতে পারছে না।
অর্ক বলেঃ রাহাত হুজুর আমি কিছু তথ্য সংগ্রহ করতে পেরেছি! আমি কিছু দেখতে পাচ্ছি।
অর্ক চোখ জোড়া বন্ধ অবস্থাই এসব বলছে।
রাহাত হুজুরের মুখে যেন হাসি ফুটে উঠেছে।
অর্ক বলেঃ যে রিনির সাথে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হচ্ছে। সে খুব শক্তি শালী।আর সে হচ্ছে জীন রাজ্যের রাজার একমাত্র ছেলে ইনতিয়াজ।আর তার কাছে জীন রাজা আর রানীর উভয়ের শক্তি আছে। যার ফলে সে সব কিছু করতে পারে। রাহাত হুজুর আমি আর কিছু তথ্য দেখতে পাচ্ছি কিন্তু মুখ খুলে বলতে পাচ্ছি না।এমন কেন হচ্ছে!!!আর আমার শরীর অবস হয়ে যাচ্ছে।
তখনই অর্ক সেন্সলেস হয়ে পড়ে যাই। রাহাত হুজুর অর্ককে কোলে করে ড্রইং রুমে নিয়ে গেল। আর সবাইকে ডাক দিলো। এভাবে অর্কের নিথর শরীরটা বেশ কিছুক্ষণ পড়ে ছিলো।গ্রামে ডাক্তার ও তেমন নেই। কিন্তু আরও কিছু সময় পর অর্ক একটু সুস্থ হয়ে উঠলো ।
রাহাত হুজুর এখন বুঝতে পারছে। এই কারণে তার জীন তাকে কিছু বলতে নারাজ ছিল। অর্কের এই অবস্থা না জানি জীনের কি হতো!!
আর এই জন্য হয়তো পরে বেশ কয়েক বার ডেকে ও সারা দিলো না জীনটা।
অর্ক বলেঃ রাহাত হুজুর একাজে সাহায্য লাগবে। খুব জটিল একটা কাজ।আমি আর আপনি একা কিছু করতে গেলে প্রাণ যাবে নিশ্চিত।
রাহাত হুজুর বলেঃ কার থেকে সাহায্য নিবে? কে করবে সাহায্য???
অর্ক বলেঃ মনে আছে। আমার ২ টা বান্ধুবীর কথা বলছিলাম। সুমি আর জান্নাত!!!!
আর একটা বন্ধু হাবিব!!!
রাহাত হুজুর বলেঃ আরে মনে আছে। কিন্তু ওদের এমন কি power’s আছে যে আমাদের সাহায্য করতে পারবে?
অর্ক বলেঃ ওদের Powers আছে শুধু আমি জানি। তবে কেউ কে না বলতে বলেছিলো।এখন এই পরিস্থিতিতে না বলে পারলাম না।
শুনেন তাহলে ওদের ৩ জনের মধ্যে কি power’s আছে।১.সুমির কাছে প্যারানরমাল জিনিসের অবস্থান কোথায় তা চোখ জোড়া বন্ধ করতেই দেখার ক্ষমতা আছে। ২.জান্নাত এর কাছে জীন রাজ্যের সাথে যোগাযোগ করার ক্ষমতা আছে। আর জীন রাজার বিশেষ অতিথি।
৩.হাবিব এর কাছে একটা স্ফটিক আছে। যার দ্বারা অতীত দেখা যাই।
কামাল রিতিমত আশ্চর্য। একসাথে তাদের সাথে ভার্সিটি শেষ করেও এই বিষয়ে একদম অবগত ছিলোনা। আর লাবু তো একদম নিরব হয়ে আছে। এটা শুনে।।
রাহাত হুজুর বলেঃ আর দেরি না করে ওদের ডেকে আনো।কালকে সেই প্রিন্স অনেক রেগে ছিলো। তাই লালচে বৃত্তটির রশ্মি বেশি ছিল আমি যতোটুকু বুঝতে পারলাম । সে রাগের মাথায় রিনি মার ক্ষতি করতে পারে।
অর্ক বলেঃ আমি ওদের সকাল ৮ টার দিকে কল দিবো।তার আগে চলো সবাই কিছু খেয়ে নি।আর লাবু রিনি কে একটু ডেকে আনো। একসাথে নাস্তা করে একটু গল্প করি সবাই মনটা একটু ভালো হবে।
বিকাল ৪ টার দিকে দরজার মধ্যে কে যেন কড়া নাড়ে?
অর্ক দরজা খুলে দেখে হাবিব, জান্নাত, সুমি হাজির
সবাই মিলে রাতের খাবার শেষ করে। কাজে নেমে যাই।
তবে আজ রিনিকে আবদ্ধ করে রাখা হয়।রাহাত হুজুরের নামাজ আদায় করার ঘরে। আর সামনের জায়গায় ৩ টি বৃত্ত। একটাতে আছে কামাল,রাবেয়া, লাবু।অন্যটিতে আছে অর্ক,রাহাত হুজুর, জান্নাত, হাবিব, সুমি।আর অন্য টি খালি রাখা হয়েছে। ঘরের প্রত্যেক কোনায় কোনায় দোয়ার পানি দিয়ে সুরক্ষিত করা হলো যাতে কাউকে কোনভাবে ক্ষতি করতে না পারে।আর ঘরের কোন কোনায় যাতে লুকিয়ে না থাকে।
কিন্তু খালি বৃত্ত টিতে দোয়ার পানি দেয় নি।কারণ প্যারানরমাল যে কোন কিছু এসে ওইটাতে অবস্থান করতে পারে মতো ।
হাবিব বলেঃ আগে একটু অতীতে গিয়ে দেখে আসি প্রিন্সের(ইনতিয়
াজের) দূর্বলতা কি?না হয়।ইনতিয়াজকে(প্রিন্সকে) এখানে আনা সম্ভব হবে না।
তখই দেখে,,,,,,,,

চলবে,,,,,,,

#রাত_যখন_গভীর
writer:#জান্নাতুল_মাওয়া_মহুয়া
Part :05

তখন দেখে একটা খুব সুন্দর মেয়ে। সম্ভব প্রিন্সের চেয়ে বয়সে ৩,৪ বছরের ছোট হবে।
হাবিব বলেঃ এটা হলো ইনতিয়াজ(প্রিন্স) এর বোন।আর প্রিন্সের সবচেয়ে বড়ো দূর্বলতা! জীন মেয়ে টির নাম হচ্ছে শাম্মি। জান্নাত আর সুমি আবার খেয়াল করে দেখে। আরে এই মেয়েকে কলেজ এ দেখে ছিলাম। ইন্টারমিডিয়েট এ মেয়েটি বিজ্ঞান বিভাগের ছাএী ছিল।
লাবু বলেঃ আরে এ কি কান্ড,
জীন ও দেখি মানুষের লগে পড়া লেখা করা শুরু করছে।
অর্ক বলেঃ তাহলে এখন আমারা জেনে গেছি প্রিন্সকে আমাদের কাছে আনতে হলে তার প্রাণের প্রিয় বোন শাম্মি ই যথেষ্ট। সুমি শোন হাবিব এর কাজ কমপ্লিট। এবার কিন্তু সুমি তোর পালা!
সুমি বলে ঃ ওকে লিডার।
অর্ক বলেঃ ভালো করে দেখ।শালার প্রিন্স আসে পাশে আছে নাকি?
সুমি চোখ জোড়া বন্ধ করতেই দেখার চেষ্টা করছে আশেপাশে অশরীর বা প্যারানরমাল কিছু আছে নাকি? সুমি হঠাৎ দেখতে পেল কেউ একজন খুব চেষ্টা করছে ঘরের ভেতর প্রবেশ করার।কিন্তু সে আগন্তুক চাইছে না সে সাজিয়ে রাখা বৃত্তে তার প্রবেশ হোক!
অন্য দিকে এদের সবার কান্ড দেখতে দেখতে রিনি ঘুমিয়ে পড়লো।
রাবেয়া বলেঃ রিনি এই রিনি!!!!ঘুমাই গেলি নাকি? সারাদিন শুধু ঘুম।আমরা আছি তুর চিন্তায়। আর তুই পড়ে পড়ে ঘুমাচ্চিস?তুরে তো ঘুমের মধ্যে পানিতে ফেলে দিলে ও তুই জানবি না।
কামাল বলেঃআহ! রাবেয়া। মেয়ে টা কে কেন বকাবকি করছো?রিনি মা তুই ঘুমিয়ে পড়।তুর মার স্বভাব ই এমন জানস তো।সারাদিন খালি বকবক করা। তুমি যে বলছো পানিতে ফেলে দিলে ও রিনি জানতে পারবেনা। ওর সাথে এর চেয়ে মারাত্মক কিছু হয়েছিল এবং হচ্ছে সে তো তার ও কিছু জানে না।
না জানি আমার কোন পাপের শাস্তি আল্লাহ এইভাবে আমার আদরের মেয়ে কে দিচ্ছে।
কথায় আছে, মা বাবা কোন দোষ করলে নাকি তার প্রভাব সন্তানের উপর পড়ে।
কামার আবার বলেঃ আর রাবেয়া, একটা জিনিস লক্ষ্য করু,রিনি কিন্তু আগের মতো গুলুমুলু নেই। আমার সুন্দর দেখতে মেয়ে টার শরীর অার স্বাস্থ্য কেমন জানি হয়ে গেছে। শালা,জীন ইনতিয়াজ(প্রিন্স) কে হাতের কাছে পাইলে হবে।শেষ করে দিবো শালা কে।রাতের পর রাত, রাত যখন গভীর হয় আমার মেয়ে সাথে সে, আমার মেয়ে রিনির অজান্তেই এক নষ্টামি খেলায় মেতে উঠে। আমি না রাবেয়া একটা জিনিস কিছু তেই মিলাতে পারছিনা।রাতে এতকিছু হয় কিন্তু রিনি কিছুই জানে না কেন?
আসলে রাবেয়া মেয়ে র স্বাস্থ্যের দিকে একদম খেয়াল করেনি।কামাল বলার পর লক্ষ্য করে দেখে। আসলেই কামাল যা বলছে ভুল কিছু বলেনি। এরপর
রাবেয়া বলেঃ ওগো। আসল ব্যাপার হচ্ছে, আমরা সবাই টেনশনে আছি।খাওয়া,দাওয়া রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে।আর নবাবজাদি ঘুমাচ্ছে তাই দেখে বকে দিছিলাম।আর একটা কথা কি জানো,রিনির ও জেগে থাকতে হবে, রিনির ও জানা দরকার কি হয় ওর সাথে রাতে আঁধারে।আর রাত যখন ঠিক গভীর হয়ে আসে।কামাল তুমি একটা জিনিস বুঝতে পারছো না আর আমাকে দেখ!
আমি আরও হাজার টা প্রশ্নের উত্তর পাচ্ছি না।
রাহাত হুজুর বলেঃ আরে তোমরা বউ জামাই ঝগড়া বিবাদ কেন বাধাচ্ছো?রিনি এখন ঘুমাক।প্রিন্স আসলেই।এমনিতে ও স্বজাগ হবে।আর তোমাদের সব প্রশ্নের উত্তর প্রিন্স কে হাতের মুঠোয় করে নিতে পারলে পেয়ে যাবে।আর কামাল আপনি আর ভাবি আর ঝামেলা করিয়েন না।লাবু ভাবির মত চুপ করে বসে থাকেন।
লাবু বলেঃ হুহ্ কি করবো?কি বলবো? বুঝতে না পেরে চেয়ে আছি। আপনাদের সবার দিকে।
অর্ক বলে উঠলো ঃসুমি তোর কাজ শেষ। জান্নাত তোর কাজের পালা।কাজ শুরু করে দে।
জান্নাত বলেঃতাহলে তুরা সবাই চুপ থাক।আমি জীন রাজা কে ডাকার চেষ্টা করি।
জান্নাত অনেকক্ষণ চোখ জোড়া বন্ধ করে জীনের রাজার নাম ধরে ডাকে। জীনের রাজা রশিদ। আপনি কি আমাকে শুনতে পারছেন?
শুনতে পেলে আমার ডাকে সাড়া দিন।আমার খুব জরুরি কাজে আপনাকে দরকার। বেশ কিছু সময় চলে গেল ।আর জান্নাত হতাশ হয়ে যাই। কেন সাড়া দিচ্ছে না জীন রাজা।
রাহার হুজুর বলেঃ ধৈর্য রাখতে। তিনি আরও বলেছেন,
কথায় আছে, আল্লাহ পাক ধৈর্য শীল ব্যক্তিকে বেশি পছন্দ করে।
জান্নাত আবার ধৈর্য ধরে আবার ডাকতে শুরু করে।
আলহামদুলিল্লাহ বলে উঠে জান্নাত।
রাহাত হুজুর বলেঃ আপনার ডাকে কি সাড়া দিচ্ছে?
জান্নাত বলে ঃ উনি এখন আমাদের সামনে আসবেন। আর যথা সম্ভব সাহায্য করবেন বলেছে।
একটু পর জীন রাজা।উপস্থিত হয়ে গেল।
জীন রাজা রশিদ বলে ঃ কী হলো জান্নাত?সমস্যা টা বলো?আর কি করতে পারি তোমার জন্য?
জান্নাত একে একে সব বলে।
আর হাবিব বলেঃ ওই জীন প্রিন্স এর ছবি আমার স্ফটিকে আছে। দেখেন যাহা পনা????
রাজা রশিদ যেন অবাকের চূড়ান্ত সীমাই পৌঁছে যায়।
রাজা বলেঃ এটা আমার ছেলে প্রিন্স ইনতিয়াজ।সে এত নিচু কাজ করতে পারে আমি ভাবতেই পারছিনা
আমি ওকে সুশিক্ষা দিয়েছি।নিশ্চয়ই কোন কারণ আছে না হয় সে এমন করার কথা নয় বরং প্রশ্ন ও উঠে না।
রাজা রশিদ বেশ কয়েক বার তার ছেলে কে ডাক দেই। কিন্তু সাড়া দিচ্ছে না।
তখনই হাবিব বলেঃজীন যাহা পনা গোস্তাকি মাফ করবেন। আমরা আপনার ছেলের দূর্বলতা জানি।আর তার দূর্বলতা তার আদরের বোন শাম্মি।শাম্মি তো আপনার মেয়ে।যদি আপনার মেয়ে কে এখানে আনা হয় তাহলে প্রিন্স নিজে থেকে ধরা দিবে।
রাজা রশিদ বলেন ঃ আমি ও চাই সে তোমাদের কাছে আসুক।
রাজা রশিদ তার মেয়ে শাম্মি কে ডাক দেই। সাথে সাথে চলে আসলো।
হাবিব মনে মনে বলে বাহ! মেয়ে টা দেখি বাবার বাধ্য মেয়ে। হাবিব আরেক পলকে শাম্মির দিকে ফিরে তাকাই।
হাবিব মনে মনে বলছে ঃবাহ! বেশ সুন্দর জীন মেয়ে টা।কোমর অবধি ছুয়ে আছে কালো কালো চুল। আর গাঁয়ের রং হালকা গোলাপি। যেন আল্লাহ ওকে বানানোর সময় দুধের সাদা রঙের মধ্যে হালকা গোলাপি রঙ ডেলে দিয়ে ছিল ।বেশ সুন্দর। আর নীল রঙের শাড়িতে আরও আকৃষ্ট করেছে। এককথায় মেয়ে টা যেন একটা অপরূপা সুন্দরী।
তখনই,
জান্নাত কে দেখে শাম্মি অবাক।
শাম্মি বলেঃবাবা উনি তো আমার কলেজ এর batchmate।!!! আমি বিজ্ঞানে ছিলাম আর জান্নাত ব্যবসায়ি বিভাগে।
উনি কেন এখানে?আর তোমার না এখন রেস্ট নেওয়ার কথা ছিল। তুমি কেন এখানে? আর এই মানুষ গুলো কারা?আর আমরা এই বৃত্তের ভেতরে ঢুকে আছি কেন?
রাজা রশিদ বলেন ঃ মা তুই এতগুলো প্রশ্ন করতে থাকলে উত্তর কেমনে দিবো?
হঠাৎ অর্ক বলেঃ আমি বলছি আপনাকে পুরো ব্যাপার।পুরো ব্যপার শুনে,
শাম্মি যেন অবাক হয়ে যাই। আমার ভাই ইনতিযাজ এমন করতেই পারেনা।It’s just impossible….
অর্ক বলেঃ আপনার ভাই এমনটাই করেছে। তাই আমাদের মেয়ে রিনির এই পরিস্থিতির স্বীকার।
শাম্মি বলেঃwait wait… আপনারা এতক্ষণ মেয়ে মেয়ে বলে কাহিনী টা বুঝালেন? নামটা বলেননি কেন?রিনি আমার পরিচিত। মেয়ে টা অনেক ভালো। আমি মাঝে মধ্যে ওকে দেখতেই আমার রাজ্য থেকে এখানে আসতাম। রিনি আমাকে একদিন বিপদ থেকে রক্ষা করে ছিলো।তাই রিনির প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।আমি ওকে সাহায্য করবো।আর আমিও জানতে চায় আমার ভাই কেন এমন করছে? আমি ভাইকে ডাক দিচ্ছি।
রাজা বলেঃ আমি ডাকলাম। তুর বজ্জাত, হতচ্ছাড়া, কেয়ার লেস,বান্দর ভাই সাড়া দেয় নি।
শাম্মি অনেকক্ষণ ডাকলো।সে জানে তার ভাই কারো ডাকে সাড়া না দিলে ও তার ডাকে সাড়া দিবে। কারণ প্রিন্স তার বোনকে তার প্রাণের ছেয়ে বেশি ভালবাসে। আসলে ভাই বোনের ভালোবাসা গুলো এমনই হয়ে থাকে।
তখনই সবাই দেখে……….

চলবে…..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here