#রাত_যখন_গভীর,Part:10 শেষ
#জান্নাতুল_মাওয়া_মহুয়া
কিন্তু সেদিন প্রিন্স বাসায় প্রবেশ করতে ব্যর্থ হয়েছে কারণ, রিনি সেদিন নারী হিসেবে পূর্ণতা পাই।আর তাই আমি হুজুরের সাথে কথা বলে রিনিকে আলাদা ঘরে রাখি।আর ৭ দিন পর রিনি যখন সুস্থ হয়ে গেছে। তখন পুরো ঘর বাঁধাই করা হয়।যার ফলে জীন,খারাপ জীন কেউ আমার বাড়ি তে প্রবেশ করতে পারতো না।
তবে ২ বছর পর প্রিন্স বাসায় প্রবেশ করতে সফল হওয়ার একটা কারণ আছে। তা আমি এখন বুঝতে পারছি।
কামাল তোমার মনে আছে, তোমার বোন শারমিন আমাদের বাসায় আসছিল।বাচ্চা প্রসবের জন্য?
কামাল বলেঃ হা মনে থাকবেনা। আমি একটা পরীর মত ভাগিনী পাই ছিলাম।
রাবেয়া বলেঃ হম।শারমিন এর বাচ্চা আমাদের বাসায় প্রসব করার কারণে আমি যে হুজুর দিয়ে ঘর বাঁধাই করে ছিলাম তার গুণাগুণ নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে,প্রিন্স কোন বাঁধা ছাড়াই আমার বাসায় প্রবেশ করতে পারে।
এসব বলে রাবেয়া চুপ হয়ে গেছে।
কামাল অবশ্য রাগে ঘচঘচ করছিলো।
ঠিক তখনই,
রাহাত হুজুর বলেঃ রাজা মশাই, আপনার ছেলে কে আমি বোতল বন্দী করতে চাচ্ছি। আর বন্দী করে সাগরে ফেলে দিতে চাইছি?
রাজা মশাই বলেঃ বেশ,তবে তাই করেন! আমার কিছু বলার নেই।
শাম্মি বলেঃ ভাই, তুই যা করছস তা অন্যায়।
যারা অন্যায় করে তাদের শাস্তি দিতে হয়।তুই যদি এখন শাস্তি না পাইতি তবুও জীবন এর এক পযার্য়ে গিয়ে ঠিকই শাস্তি পাইতিস।আর,
সত্যি কখনো লুকিয়ে রাখা যায় না।যতই মিথ্যার আশ্রয় নিক না কেন সত্যি একদিন না হয় একদিন প্রকাশ হয়ে যেতো। আর আমাকে আগে সব কিছু বললে হয়তো আমি তোকে এত বড় ভুল করতে দিতাম না।
তবে আশা করছি, কোন এক সময় তুর সাথে আবার দেখা পাবো!!!
অন্য দিকে,
রিনি যেন প্রাণ হীন হয়ে গেছে। একদম চুপচাপ হয়ে বসে আছে সেই নামাজ ঘরে।
রাহাত হুজুর বলেঃ রিনি,মা আমারা যে শাস্তি দিচ্ছি তুই কি সহমত?
অনেক জিজ্ঞেস করার পর ও কোন লাভ হয়নি।
চুপচাপ বসেই আছে তখনও।
তখন অর্ক আর রাহাত হুজুর ফুঁ দিয়ে দিলেন প্রিন্সের শরীরে। আর প্রিন্সকে বিভিন্ন ধরনের দোয়া পড়ে বোতল বন্দি করে। এরপর,
রাহাত হুজুর বললোঃ আমি যাচ্ছি,সাগরে ফেলে দিতে এই বোতল টা!
এরপর জীন রাজা রাজা তার মেয়ে শাম্মি তাদের রাজ্যে ফিরে গেল।
জান্নত বলেঃ উচিত শাস্তি হয়েছে।
সুমি অবশ্য কিছু বলেনি।
হাবিব বলেঃAll is well, the end is well.
লাবু বলেঃ সত্যি, অদ্ভুত অবিজ্ঞতা ছিল।
রাহাত হুজুর প্রিন্স কে সাগরে ফেলে দেয় আর রাতে ফিরে আসে। সবাই বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসে।
অতপর,সব কাজ শেষ হয়ে যাই রাত ১১ টার দিকে।
রিনিকে নামাজ ঘরের থেকে বের করে চেয়ারে বসালো। সবাই রাতের খাবার শেষ করে নেই।
আজ সবাই চিন্তা মুক্ত।কারণ তাদের মেয়ে রিনি আর রাত যখন গভীর হতো যে অঘটন এর স্বীকার হতো, আজ থেকে এমন কিছু হবে না।
অবশেষে প্রিন্সের কাছ থেকে মুক্তি পেল তাদের মেয়ে রিনি।
সবাই বসে আড্ডা দিচ্ছে।
রিনি ও তাদের থেকে একটু দূরত্ব রেখে বসে আছে। চুপচাপ হয়ে।
লাবু কফি বানিয়ে আনে।সবাই কফি খাচ্ছে।
রাত যখন গভীর হচ্ছে, সবার ঘুম পেতে লাগলো।রিনি তখন ও চুল গুলো এলোমেলো রেখে বসে আছে। বেলকনির পাশে। কিন্তু, যখন সবাই ঘুমাতে যাবে, ভাবছিল ঠিক তখনই,
ঘরের সব লাইটগুলো মুহূর্তের মধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে। সবাই আর কিছু দেখতে পাচ্ছে না। মোবাইল গুলো তাদের পাশে ছিল না।
তখনই,
রাবেয়া বলেঃ সবার আওয়াজ শুনতে পারছি। কিন্তু রিনির আওয়াজ শুনতে পারছি না কেন?রিনি তো অন্ধকারে ভয় পাই। অন্য দিন হলে চিৎকার দিয়ে বাসা পুরো মাথায় তুলে ফেলতো?
কিন্তু আজকে অন্ধকারে কেন ওর সাড়া পাচ্ছি না!!!!
একটু পর, লাইটগুলো মুহূর্তের মধ্যে জ্বলে উঠে। আর সবাই দেখে আসে পাশে কোথাও রিনি নেই।
বেলকনিতে ও ভালো ভাবে দেখে।কিন্তু সেখানে ও নেই। অর্ক আর রাহাত হুজুর তাদের শক্তি দিয়ে খুঁজে দেখে।তার ফলাফল ও ছিল শূন্য। সুমি,জান্নাত, হাবিব ও কিছু করতে পারেনি।অনেক চেষ্টা করছে। কিন্তু
কোন খুঁজ মিলেনি।।।
সব জায়গায় খুঁজে ও রিনি কে পাওয়া যায় নি।ফলাফল শূন্য।
একদিকে প্রিন্স গভীর সমুদ্রের জলে ভেসে বেড়াচ্ছে বোতল বন্দী হয়ে। আর অন্য দিকে রিনি নিখোঁজ।
আসলে,
সমাপ্ত
কিছু গল্পের পরিনতি সুখের হয়না।পূর্ণতা মিলে না সব গল্পের। এই গল্প টা ও ঠিক তেমনই একটা গল্প। গল্প টা ঠিক অসম্পূর্ণ রেখে শেষ করলাম ।
আপনারাই বলেন ঃ আসলে রিনি কোথায়??
সবার মন্তব্য আশা করছি।
[ আমার লিখা গল্প ” রাত যখন গভীর ” আপনাদের কাছে কেমন লাগলো?
অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন কিন্তু!