রুম নাম্বার ১০১,পর্বঃ- ০৯,১০

0
1152

গল্পঃ- রুম নাম্বার ১০১,পর্বঃ- ০৯,১০
লেখা:- Rafsan Sydul
পর্বঃ- ০৯

“আমি সোহেল। ১০১ নাম্বার রুমের রহস্যে কেন্দ্রিক ১০১ তম ধর্ষিতা শায়লার ছেলে।..”
কিছুই বুঝছে না মহিমা। ছেলেটার কথায় কিছু রহস্য নিশ্চয়ই আছে। রমিজ চাচা তো বললো এ মহলে তেমন কেউ আসেনি আমি ছাড়া তাহলে ছেলেটা ১০১ নাম্বার রুমের কথা কী করে জানলো? আর এই শায়লা কে? আর ১০১ তম ধর্ষনের সাথে এ রুমের কী সম্পর্ক? প্রশ্নগুলো নিজের মাথার মধ্যে প্রচন্ড পরিমানে জালাতন করছে, তখন সোহেল বললো.
“আপনি যা ভাবছেন, তা আপনার মনের মাঝেই লুকানো। একটু খুঁজুন পেয়ে যাবেন। আজ চললাম আবার আসব সেদিন এমন ছোট কাপড়ে দাঁড়াবেন না, নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করা মুশকিল হয়।”
মহিমা তাকিয়ে আছে ছেলেটার দিকে। কিসব বলে গেলো কিছুই বুঝতে পারছে না। যদি খারাপ মন-মানসিকতা নিয়ে আসত তাহলে নিশ্চয়ই ওর এমন অর্ধনগ্ন দেহের উপর শুরুতেই ঝাপিয়ে পড়ত। কিন্তু তা তো হয়নি। তবে কি উদ্দেশ্য ছিল তার? দেখা করতে হবে তার সাথে, জানতে হবে সবকিছু। ভেবেই রান্না করায় মনোযোগ দেয় মহিমা।

সন্ধ্যা ছুঁইছুঁই। অন্তুর কোনো খোঁজ নেই। ফোনটাও রেখে গেছে বাসায়। আগে কখনো এমন হয়নি। সবসময় ওর সাথে আর কিছু না থাকলেও মোবাইলটা থাকত, আজ এমন কেনো? বিছানার একপাশে বসে আছে মহিমা, মোবাইল টিপছিল। অন্ধকার নেমে আসছে পুরো শহরে। মহলের চারদিকে নানান রকমেন বাতি জ্বলছে, শুধু ওদের রুমেই জ্বলছে না কিছুই। ভাবছে মহিমা বাতিটা হয়তো নষ্ট হয়ে গেছে, রমিজ চাচাকেও পায়নি নতুন বাতি আনাবার জন্য। মোমবাতি এখন একমাত্র ভরসা এ অন্ধকার মোচনে।
তারা রাতের আঁধারে বের হয়। দিনের আলোয় তাদের জ্বলন হয়। মহিমা একা সে রুমে একটা মোমবাতি নিয়ে। মোবাইলের আলো কতক্ষণ আস থাকবে? ফোন স্ক্রিনে “Inner Sanctum” মুভিটা চলছিলো, এডাল্ট মুভি। যা সবসময় মহিমার প্রিয়। রোমান্টিক মুভিগুলোতে আজগুবি সব কাহিনি, এডাল্ট মুভি গুলোয় একটা আলাদা থ্রিল আর উত্তেজনা থাকে, সে মুহূর্তগুলো সবচেয়ে বেশি উপভোগ করে মহিমা। একটা সময় থমকে যায় মোবাইল। মোবাইলের স্ক্রিনে থাকা দৃশ্যটা বেরিয়ে আসতে চাইছে। চারটি ঠোঁট এক হয়ে আছে হাতদুটো বেহায়া নারীর স্পর্শে, কেউ একজন পিছন থেকে ঝাপটে ধরেছে মহিমাকে। খুব ভারি কিছু, সমস্ত শক্তি দিয়েও তিল পরিমাণ নড়াচড়া করতে পারছে না মহিমা। চোখ বুঝে আসছিল তখন মনে হলো ছেড়ে দিয়েছে তাকে। ভারি কিছু শরীর থেকে নেমে গেছে, স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতেই, কচকচ করে কড়া নড়তে শুরু করে। জানালাগুলো আচমকা লেগে গেছে। কাচুমাচু হয়ে বসে পড়ে মহিমা। দরজা জানালা সব বন্ধ মোমবাতির আলোয় রক্তচোষা কিছু চলছে সমস্ত রুমে। ওর দেহের পশম গুলো কাঁটায় কাঁটায় দাঁড়িয়ে গেছে, গলা শুকিয়ে গেছে সে দৃশ্য দেখে। উলঙ্গ সে নারী। ছায়ার মত উজ্জ্বল দেহ। স্তনের উপর শকুনের থাবার চিহ্ন স্পষ্ট। কান্না করছে দেয়ালের একপাশে বসে। মহিমার দম বন্ধ হয়ে আসছে, তবুও সাহস তার কমেনি। যেদিন অন্ধকার ছায়ার সঙ্গে যৌনতার মিলন ঘটিয়েছে সেদিন এসবের ভয় কেটে গেছে। তবুও মানুষ! মানুষের দূর্বলতা মানুষের সাহসকে ক্ষয় করে। মহিমার দূর্বলতা নগ্ন দেহে।

মহিমা দেখছে সে ছায়াটাকে সরাসরি মহিমার সামনে দেয়াল ঘেষে বসে আছে হাঁটু গেড়ে। মহিমা বললো.
“কে আপনি? কেনোই বা আমাকে এ অন্ধকারে বন্ধ করে রাখছেন?”
চেচিয়ে ওঠে সে ছায়া। সমস্ত মহল কেঁপে ওঠে, কান থেকে রক্ত বেরিয়ে আসে মহিমার। একহাত দিয়ে কান চেপে আবার বলে.”কে আপনি?”
সে জবাবে বলে, “আমি মৃত্যুর ছায়া। তুই মুক্তি”
কিছুই বুঝছে না, ‘আমি মুক্তি’ মানে? এর আগেও আমি মুক্তি বলে গেছে সোহেল, এখন বলছে এ আত্মা। তাহলে আমি কে আসলে? মনের কথা বলার আগেই ছায়াটা বললো,
“উপরওয়ালা আমাদের মুক্তির জন্য তোকে পাঠিয়েছে শায়লা। অর্ধ-শতবছর পরে সেই একি নামে সম্পূর্ণ তার রূপে এসেছিস তুই”
“কেনো আপনাদের এ অবস্থা কেনো হয়েছে? আর কেই সে যে আমার মত ছিল আমার নামেই?”
“বোকা মেয়ে তোর মত সে ছিল না, তুই তার রূপে এসেছিস।”
“বুঝেছি! সে কে? তারজন্য আপনার এমন জঘন্য ভাবে ছায়ার রূপে আটকে আছেন?”
“তারজন্য আমরা এখানে মুক্ত আছি নয়তো আমাদের দাসত্ব করতে হতো এক জঘন্য ধর্ষকের। যার ছায়া রোজ ধর্ষণ করতো আমাদের। শায়লার জন্যই আমরা আজ মুক্ত, তবুও এ মহলের বাহিরে নয়।”
“আমাকে কি বলবেন আপনাদের সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনা?” ছায়াটা নিস্তব্ধ শীত লাগছে মহিমার শরীরে। আলমারি থেকে শাল বাহির করে শরীরে জড়িয়ে নেয়। ছায়াটাও হালকা করে মহিমার কোলে এসে বসে। দুটো নগ্ন দেহ এক, তখনি মনে পড়ে অন্তুর কথা। অন্তু কোথায়?

শহর থেকে অনেকটা দূরে সাওঁতাল গ্রাম। গ্রামের চারপাশে তারকাঁটা দিয়ে ঘেরা। প্রবেশ পথ একটাই। অন্তু প্রবেশ করতেই পুরো গ্রামে নিস্তব্ধতা ছেয়ে গেছে, সন্ধ্যার আকাশ কালো মেঘ হয়ে কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে তখন। অন্তু হাসছে সে সময়। গ্রামের শেষ প্রান্তে সে লক্ষ। এ শহরের সবচেয়ে সুন্দর সে মেয়ে ও ঘরে বন্দী। চামড়ার ভাজে লাল রক্তের ছাপ দেখা যায় সে মেয়েটির। অন্তু হাঁসছে সে ঘরের সামনে দাঁড়িয়ে। মৃত্যুর পরে অমরত্ব প্রতিষ্ঠা করার হাসি। এ হাসি সমস্ত পৈশাচের। দরজা খোলা কোনো প্রকার বাঁধা নেই সেখানে। অন্তু প্রবেশ করছে সে ঘরে। চারদিকে সাজানো গুছানো ঘরের মাঝে নগ্ন অবস্থায় বসে আছে সামাপ্রু সোহেলের বোন সামাপ্রু। নামটা সাওঁতালী হলেও তাদের ধর্ম আলাদা। মুখে লালা চলে আসছে অন্তুর পুরুষত্ব জেগে উঠেছে বুকের উপর লাল রঙের তিলটাতে। হালকা করে পা বাড়াতেই সামাপ্রু নিজের স্তন নিজেই কেটে ফেলছে ধারালো ছুরি দিয়ে. বাকরুদ্ধ হয়ে অন্তু হাত বাড়ায়,

“চলবে”

গল্পঃ- রুম নাম্বার ১০১
লেখা:- Rafsan Sydul
পর্বঃ- ১০

কাঁচা আতরের গন্ধে ভরে যাচ্ছে রুম। সামাপ্রুর সম্পূর্ণ দেহ রক্তে ভেজা। নিস্তব্ধ অন্তু। সামাপ্রু নিজের ভবিষ্যৎ বাণী তার মায়ের কাছে শুনে গেছে বহুবছর আগেই। নিজের মৃত্যুর কথা। ঠিক এমনি এক দিনের কথা বলে গেছে তার মা। যেদিন এ গ্রামে সন্ধ্যা নামার পরে ঘন অন্ধকারে ছেয়ে যাবে। নিস্তব্ধতা ঘিরে ধরবে এ গ্রামকে। কেউ কারো চিৎকার শুনতে পারবে না। আসবেনা তখন কেউ কারো উপকারে, সেদিন ই তার মৃত্যু হবে। চোখের সামনে অন্তুর ক্ষিপ্ত দেহ! মায়ের শেষ কথা মনে পড়ছে সামাপ্রুর সে বলেছিলো “যদি সে ছেলে তোকে ছুয়ে ফেলে জীবন্ত তাহলে রক্ষা পাবেনা কেউ। তুই নিজেই তার শিকার, জ্যান্ত লাশ হয়েও মরতে পারবি না তখন। রোজ তোর সতিত্ব হরন হবে, ব্লেডের মত ধারালো নখ দিয়ে তোর যোনিপথ ছিদ্র করা হবে, ভয়ানক সে মৃত্যু। তুই যদি এ ভয়ানক মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পেতে চাস তাহলে তার সামনেই নিজেকে শেষ করতে হবে, নয়তো সে অন্য উপায় বের করবে নিজের অমরত্ব লাভের। আমি তোর ভাইকে বুঝিয়ে দিয়েছি তার মৃত্যুর উপায়, তুই হাতিয়ার। তোর মৃত্যুটা তোর নিজের হাতেই হওয়া অত্যন্ত জরুরি, সবচেয়ে জরুরি নিজের স্তন আলাদা করা। মনে রাখবি যার সামনে তোর মৃত্যু হবে সে তোর পিতার ছায়া হবে অন্য কারো শরীরে”

চোখ দিয়ে জ্বল গড়িয়ে পড়ছে সামাপ্রুর। ৫০ বছর তার সম্পূর্ণ যৌবন যুবতী। এ ৫০ বছরে তার শরীরে একটুও পরিবর্তন আসেনি, সে এক পূর্ণ যুবতীর রূপে আজও ছিলো, মায়ের অসম্পূর্ণ শক্তির স্পর্শে। অন্তুর ক্ষিপ্ত চোখের সামনেই রক্তাক্ত দেহে বসে আছে সামাপ্রু। চোখ বেয়ে জ্বল গড়িয়ে পড়ছে সামনেই তার না দেখা পিতা। হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে ওর নগ্ন দেহের উপর সামাপ্রু আর সহ্য করতে পারছে না ছুরিটা নিজের গলায় চালিয়ে দিতেই ঢলে পড়ে মাটিতে, হাঁটু গেড়ে বসে পড়ে অন্তু, রক্ত জমাট বাঁধছে সাথে সাথেই, তৃষ্ণার্ত ঠোঁট ওর কাঁটা গলায় মিশিয়ে দিয়েছে, লাল হয়ে আসছে সে চোখ দুটো মিটেছে তার তৃষ্ণা। মিটেনি তার দেখের খুদা। মাটিতে পড়ে আছে সামাপ্রুর দেহের কাটা অংশ। নিথর দেহের পাশেই, পা দিয়ে লাথি মেরে চলে আসছে বাহিরে, প্রচন্ড ঝড় বইছে। বজ্রপাতে জ্বলছে গ্রামের বাহিরের গাছগুলো। কেউ নেই রাস্তায়। একাই তারকাঁটা পেড়িয়ে রাস্তায় উঠেছে অন্তু। এখানে কোনো বজ্রপাত কিংবা ঝড় নেই, একটি সাধারণ রাতের মতই স্বাভাবিক যানবাহন চলাচল করছে, উঠে পড়ছে এক গাড়িতে। নামবে শহরের মাঝে। যেখানে অপেক্ষা করছে এক কলঙ্কিত মায়াবতী ‘মহিমা’

মহিমা বসে আছে চাদরে ঢেকে, ভিতরে এক নগ্ন দেহের ছায়া, মহিমার ভালো লেগে যায় সে ছায়ার কোমল দেহ। মায়াবী ঠোঁট আলতো করে ছুয়ে যাচ্ছে সে সময়। ছায়াটা ছিটকে আলাদা হয়ে যায় মহিমার কাছ থেকে। চমকে যায় মহিমা। ছায়াটার মুখে বিষন্ন ছাপ। সে বলছে,
“তুমি ভুল করছ শায়লা। আমি চাইলেও তোমার সাথে মিলিত হতে পারব না। আমি অসহায়। আমি যে একা নই। আমার সাথে আরও নিরানব্বই আত্মার বাস এ মহলে। আটকে আছে তারা দুষ্টু বাহাদুরের কবলে। তার লাশের পচন নেই। তাকে যে শেষ করে হবে। মুক্তি দিবি বইন আমাদের মুক্ত করবি.?”
মহিমা ততোক্ষণ আতরের গন্ধ পাচ্ছে রুমের মধ্যে। তীব্র গন্ধে পাগল৷ হচ্ছিলো মহিমা ছায়াটা বললো,
“মৃত্যুর গন্ধ! আমরা রোজ অনুভব করি সেই ভয়ংকর রাতের কথা। শায়লার বুদ্ধিমত্তা তার মুক্তি মিলেছিলো, ফেঁসে গেছি আমরা। ফেঁসে গেছে বাহাদুর শাহর মৃত আত্মা। তার অমরত্ব লাভ হয়নি।”
“কি হয়েছিলো সেদিন বলবেন আমাকে?” মহিমার অনিচ্ছায় ও প্রশ্নটা করে বসে। ছায়াটা ওর মনের মধ্যে বসে বলছিলো করো এ প্রশ্নটাই করো।
থমকে যায় ছায়াটা, থমকে যায় মহলের প্রতিটি সময়,
“কতটা সময় ছিলো মনে নেই। এমন এক সন্ধ্যার সময় আমাদের রাখা হয় এ মহলের জলসা ঘরে। একশো জন ছিলাম সবাইকেই কাজের লোভ দেখি নিয়ে আসছিলো, আমাকে নিয়ে আসা হয় একশো তম মেয়ে হিসেবে। মেহমানখানায় একটা আলিশান চেয়ারে বসানো হয় আমাকে। কতরকমের যে ফলের জুস, নানা ধরনের নতুন নতুন ফল খেতে দেওয়া হয় আমায়। খুদার জ্বালায় দু’হাতেই খাওয়া শুরু করি, এক হাতে জুসের গ্লাস অন্য হাতে ফল। তখনি মেহমানখানায় প্রবেশ করে বাহাদুর। একে একে সকল দাসদাসী সে ঘর থেকে প্রস্থান করে ঘরের দরজা বন্ধ করে দেয়। সেদিকে খেয়াল নেই আমার কতদিন পর যে খাওয়া পেয়েছি জানা নেই। বাহাদুর আমার পাশে এসে বসে, একটু সরে বসি আমি, আবারও গাঁ ঘেসে বসে, কিছু বলার আগেই সে আমার গায়ে থাকা হালকা পেচিয়ে রাখা কাপড় ধরে ফেলে। আমি ভয়ে আঁতকে উঠি। শরীরে শুধু ওই হালকা কাপড় ছাড়া আর কিছুই নেই। হেঁচকা টানে খুলে যায় শরীরের সম্পূর্ণ কাপড়। মুহূর্তেই সরে যাই আমি শরীরের দূর্বলতা ঢাকার চেষ্টা করি কিন্তু শকুনের নজর আর বাহুবলে তার সাথে পেরে উঠতে পারিনি দূর্বল শরীর নিয়ে। হাত-পা বেঁধা নরম বিছানার উপর রেখে আমার যোনি পথ ধারালো সুচের মত ধাতু দিয়ে ছিদ্র করা হয়। অসহ্য যন্ত্রণায় চিৎকার দিয়ে উঠি। কেউ আসেনি সে সময়। এ মহল কাঁপছিল আমার চিৎকারে বাহাদুর হাঁসছিলো বুক মেলে আমার দেহের উপর তার ভারি দেহ রেখে, হিংস্র পশুর মত খাবলে ধরে। সেই সময়টায় আমাকে সে বলেছিলো ‘তোর মৃত্যুর পরে তোকে সুখ দিব। আমার অমরত্বে তোদের পাশে রাখব। জীবন ভর।’ তারপর আর কিছু মনে নেই। চোখ খুলতেই নিজেকে একটা বদ্ধ রুমে আবিষ্কার করলাম আরো নিরানব্বই অসহায় মেয়ের সাথে।
তাদের সাথেও একি রকম অত্যাচার করা হয়েছে, কান্না করছিলাম সবাই একসাথে তখনি বিকট চিৎকারের শব্দে সবাই চুপ। সমস্ত মহলের পাথরগুলো নেড়ে উঠছে, আর সে শব্দে আমাদের সবার হৃদয়ে কম্পন সৃষ্টি করছে এ কোন মেয়ের সাথে হচ্ছে এত নিরীহ মেয়ের সাথে। প্রায় আধঘন্টা এ চিৎকার বয়ে চলে পুরো মহল। যতক্ষণ মেয়েটা অজ্ঞান না হচ্ছে ততোক্ষণই মিলন ঘটিয়েছে বাহাদুর। পাশ থেকে একজন বললো, আজ এ কোন মেয়ে? যার চিৎকার এত বেশি শোনা যাচ্ছে? এত কষ্ট আজ পর্যন্ত কেউ পায়নি।
ঠিক তখনি শায়লাকে এ বদ্ধ ঘরে নিয়ে আসা হয়। সে সময়ে তার বয়স দেখে সত্যিই অবাক হয়েছি, ১১ বছরের এক কিশোরী….

“চলবে”

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here