“রূপগঞ্জের রূপসী” পর্ব- ১৪

0
982

“রূপগঞ্জের রূপসী”
পর্ব- ১৪
(নূর নাফিসা)
উৎসর্গে – Imran Mahmudul
.
.
পরদিন,
সারাদিন পেরিয়ে গেলো ইমরানের কল আসেনি আজ। নাফিসাও তা নিয়ে মাথা ঘামালো না। যোগাযোগ বন্ধ রাখাটাই এখন ঠিক মনে হচ্ছে তার কাছে। এতে যদি ইমরানের প্রতি একটু টানটান অনুভব হয় তো সেটাই বোধহয় মঙ্গলজনক। তবে একদিনে এমন কিছুই প্রকাশ পায়নি তার মাঝে। হাতের রিংটা যতবার চোখে পড়েছে ততবার অন্যরকম এক যন্ত্রণা অনুভূত হয়েছে! ইচ্ছে করছিলো রিংটা খুলে ফেলতে। কিন্তু না, মায়ের চোখে পড়লেই মা মেয়ের সাথে বাপের গোষ্ঠী উদ্ধার করে ছাড়বেন!
গতরাতে ঘুম না হলেও আজ রাতে ভালো ঘুম হয়েছে নাফিসার। কিন্তু সকালে ঘুম থেকে উঠেই শুনলো দুঃসংবাদ! ইমরানের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না! গতকাল সকালে নাস্তা করে মায়ের কাছে বলে কোথাও গিয়েছে সে। কিন্তু তার ফোন বন্ধ! এমনিতেই অনেক জায়গায় ঘুরাফেরা করে তাই মা আর ডিটেইলস জিজ্ঞেস করেনি। তবে ইমরান নাকি বলে গিয়েছিলো, “ফিরতে দেরি হবে, টেনশন করো না৷”
কিন্তু দেরি বলতে যে দিনরাত পেরিয়ে যাবে এটা ধারণার বাইরে। তাছাড়া দেরি হোক যেমন তেমন, ফোন কেন বন্ধ থাকবে!
খবরটা শোনার পর নাফিসা সাথে সাথেই কল করে দেখলো ফোন বন্ধই আছে! পরিবারের সকলে দুশ্চিন্তায় পড়ে গেছে৷ আশেপাশে খোজখবর নিচ্ছে কিন্তু গতকাল থেকে আজ পর্যন্ত কারো সাথেই সাক্ষাৎ হয়নি।
সারাদিন খোঁজ নেওয়ার চেষ্টায় পরিবার ব্যস্ত। নাফিসা ল্যাবে গিয়েছিলো। বাসায় ফিরে শুনলো খোঁজ পাওয়া যায়নি। দিন গড়িয়ে রাত নেমে এলো। কিন্তু ঘুম নামেনি তার চোখে। অন্যরকম একটা ভয় কাজ করছে তার মাঝে। হঠাৎ এভাবে নিখোঁজ হয়ে গেলো কেন ইমরান! তা-ও আবার সেদিন সকালে! রাতের কথায় কষ্ট পেয়ে তার উপর রাগ করেই কি উধাও হয়ে গেছে সে!
পরদিন রাতে জানতে পারলো ইমরান আমেরিকা চলে গেছে! গতরাত টেনশনে নির্ঘুম কাটিয়ে নাফিসার আজ সারারাত কাটলো কেঁদে কেঁদে! এবার সে নিশ্চিত, তার জন্যই চলে গেছে। হয়তো নাফিসাকে মুক্তি দিতে বিয়ে ভেঙে দেওয়ার নতুন কৌশল খুঁজে নিয়েছে সে!
আজ চারদিন হলো ইমরান ঢাকায় নেই। এরমাঝে একদিন ল্যাবে আসা মিস দিয়েছে নাফিসা। আর প্রতিদিনই এসেছে৷ যদিও পড়াশোনায় মন বসেনা কিন্তু বাড়িতে থাকতেও ভালো লাগে না। সারাক্ষণ মাথায় ইমরান চেপে থাকে আর সে রাতের কথাগুলো বারবার তাকে কাঁদতে বাধ্য করে! আর কারো কাছে না বলে সে তার সাথে মনের ভেতর চাপা কষ্টগুলো শেয়ার করেছিলো। সে-ও বুঝলো না তাকে!
ক্লাস শেষ করে নাফিসা মীরার সাথে রাস্তায় হাটছে। পথে একটু হাটাহাটি করে তারপর বাসায় যাবে। হাটতে হাটতে হঠাৎই দেখতে পেল ইমরানের গাড়ি! ইমরান নেই তাহলে ইমরানের গাড়ি কে চালাবে! নাফিসা সাথে সাথেই শান্তা আপুর কাছে কল করলো।
“হ্যালো?”
“আপু, ইমরান ভাইয়া কি ফিরে এসেছে?”
“হ্যাঁ, একটু আগে নীলা আপু কল করে জানিয়েছিলো। বিকেলে আসবে মনে হয় আমাদের বাসায়।”
“ওহ্, আচ্ছা।”
নাফিসা আজ নিজ বাসায় না গিয়ে আপুর বাসায় চলে এলো। শান্তা তার চেহারা দেখে বেশ কিছুক্ষণ বকাঝকা করলো। তাদের ধারণা রাত জেগে পড়াশোনা করে এমন অবস্থা করেছে চেহারার! নাফিসার সেদিকে ভ্রুক্ষেপ নেই। সে কেবল অপেক্ষায় আছে ইমরানের। ইমরান আসবে আর তার সাথে দেখা করবে এবং কথা বলবে। অনেক বুঝাপড়া আছে তার সাথে।
শেষ বিকেলে ইমরান এলো আপুর বাসায়। নাফিসা তাকে দৃষ্টিতে গেথে রাখলেও ইমরান যেন তার দিকে তাকাচ্ছেই না। আপুদের সামনে “কেমন আছো?” শুধুমাত্র এইটুকুই জিজ্ঞেস করেছিলো তার দিকে তাকিয়ে। এছাড়া কথাবার্তা ও বাচ্চাদের সাথে দুষ্টুমিতে মেতে আছে। বিশ মিনিটও হয়নি আবার চলে যাওয়ার তাড়া! নাফিসা একটুও সুযোগ পেল না তার সাথে কথা বলার! চলে গেছে ইমরান! নাফিসার এখানে আসার উদ্দেশ্য ব্যর্থ!
শুক্রবার সারাদিন কাটলো আপুর বাসায়৷ ইচ্ছে করছিলো বাসায় চলে যেতে কিন্তু পারলো না। তবে ইমরান আজও আসবে এমন একটা অপেক্ষা নিয়ে বসেছিলো সে৷ কিন্তু এলো না! পরদিন নাফিসা এখান থেকেই ল্যাবে গেলো। আজ সে নিজ বাড়িতে চলে যাবে। রিকশা করে ল্যাবে যাওয়ার সময় পড়লো জ্যাম। পাঁচ-সাত মিনিট ধরে বসে আছে, জ্যাম ছুটার নাম নেই! হেটে গেলেও এতোক্ষণে পৌছে যেতো গন্তব্যে! এবার সে বিরক্ত হয়ে নেমেই গেলো। এইটুকু পথ হেটেই চলে যাবে। রাস্তার মাঝখান থেকে জ্যামে আটকে পড়া গাড়ির পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় আশেপাশে তাকাতেই পেছন দিকে ইমরানের গাড়ি দেখতে পেল। সে পেছনের দিকে এগিয়ে এসে ইমরানের গাড়ির সামনে এলো। গাড়িতে ইমরান একা আছে। সে বামদিকের গ্লাসে নক করলো। ইমরান তাকে দেখেও কোনো প্রতিক্রিয়া করলো না। সে লম্বা জ্যামের দিকে তাকিয়ে আছে৷ নাফিসার বেশ রাগ হচ্ছে। গাড়ির সামনের দিকে জায়গা না থাকায় ডানপাশে যেতে পারছে না সে। তিন-চার মিনিট পর জ্যাম ছুটে গেছে কিন্তু নাফিসা এখনো বামপাশের গ্লাসের কাছে দাড়িয়ে আছে। ইমরান হর্ন বাজালো কিন্তু নাফিসার ভ্রুক্ষেপ নেই সেদিকে। ইমরান ডান পাশের গ্লাস খুলে বললো,
“এখানে দাড়িয়ে আছো কেন? রাস্তার সাইডে যাও। সামনের দিকে জ্যাম ছুটে গেছে। গাড়ি টানবো।”
নাফিসা নড়ছে না। সে সামনে তাকিয়ে দেখলো গাড়ি একে একে ছুটে চলেছে আর রাস্তা ফাঁকা পেলেই এই সারির গুলো ছুটবে। ইমরানের কথা না শোনায় ইমরান আরও জোর গলায় বললো,
“নাফিসা!”
নাফিসা তার দিকে তাকালো। চোখে পানি চিকচিক করছে। আজ সে এখান থেকে নড়বে না। এদিকে সামনের গাড়ি এগিয়ে যাওয়াতে এই সারির গাড়িও এগিয়ে যাচ্ছে কিন্তু ইমরানেরটা থেমে! যার ফলে পেছনের গুলো হর্ন বাজাতে শুরু করলো। নাফিসার কান্ড দেখে ইমরানের কিছুটা রাগ হলো! তাই এবার সে দ্রুত বাম পাশের দরজা খুলে দিয়ে বললো,
“দ্রুত উঠো।”
নাফিসা তারাহুরো না করে স্বাভাবিকভাবেই উঠে বসলো। কিন্তু সে উঠে বসা মাত্র ইমরান তারাহুরো করে দরজা আটকে গাড়ি টানলো। নাফিসা চুপচাপ বসে আছে। ইমরানও চুপচাপ গাড়ি চালাচ্ছে। ল্যাবের সামনে এসে ইমরান ব্রেক করলো কিন্তু নাফিসা নামছে না! সে গাল ফুলিয়ে বসে আছে! চোখে অশ্রু দেখা দিলেই বারবার মুছে নিচ্ছে। ইমরান তাকে মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য বললো,
“তোমার ল্যাবের সামনে এসেছি।”
নাফিসা তার কথায় কোনো প্রতিক্রিয়া জানালো না। সোজা সামনে তাকিয়ে আছে। ইমরান হাত বাড়িয়ে নিজেই দরজা খুলে দিলো তবুও নামছে না বিধায় জিজ্ঞেস করলো,
“নামবে না?”
“এভাবে পালিয়ে গেছেন কেন আপনি?”
“তোমার ল্যাবের কাছে এসেছি। নামো।”
নাফিসা রাগান্বিত স্বরে বললো,
“নামবো না আমি।”
ইমরান ঠাস করে দরজা লাগিয়ে সামনে টানলো গাড়ি। ল্যাব থেকে একটু এগিয়ে এসে কোনো এক বাড়ির দেয়ালের কাছে নিরিবিলি জায়গায় গাড়ি থামিয়ে বললো,
“সমস্যা কি তোমার? ল্যাবে আসার জন্য বের হওনি বাসা থেকে?”
নাফিসা জবাব দিলো না। জবাব না পেয়ে ইমরান একই স্বরে আবার বললো,
“অন্য কোথাও যাওয়ার হলে অন্য গাড়িতে যাও। আমার কাজ আছে।”
“আপনি আমাকে ইগনোর করছেন কেন? যেখানেই যাই না কেন, আমি আমার জবাব নিয়েই যাবো। এভাবে পালিয়ে চলে গেলেন কেন আপনি? আমি সেদিন ওসব বলার জন্য? আমি সেসব কেন বলেছি তার কারণটা কি জানাইনি আপনাকে? কারো সাথে শেয়ার না করে আপনার সাথে শেয়ার করেছি তবুও আপনি এমন করছেন কেন?”
“কেমন করছি আমি? তুমি যখন যা চাইছো তার সবটাই হয়েছে। এবার যা চাইছো তা-ও হবে। আমি নিজেই বিয়ে ক্যান্সেল করে দিবো কোনোভাবে। আর কখনো এই সম্পর্কটা নিয়ে ভাবতে দিবো না কাউকে। ওসব নিয়ে তুমি আর ভেবো না। নিশ্চিন্তে থাকো এবার। যাও।”
কথাটা বলে ইমরান সানগ্লাস পড়লো চোখে। নাফিসার কান্না এবার কথার সাথে কড়া কণ্ঠে উচ্চারিত হয়েছে,
“নিশ্চিন্তে থাকবো? থাকতে পেরেছি এতোদিন? এভাবে কাউকে না জানিয়ে আপনি উধাও হয়ে গেলেন কেন? কতটা টেনশনে ছিলাম আপনি জানেন? চারটা রাত নির্ঘুম কেটেছে আমার। পাঁচটা দিন অন্যজগতে অবস্থান করেছিলাম আমি৷ খেয়েছি কি খাইনি সেই খেয়ালটা পর্যন্ত ছিলো না! কোথাও একটু শান্তিতে সময় কাটাতে পারিনি! আর আপনি এখন বলতে এসেছেন আমি নিশ্চিন্তে থাকবো? এই! সানগ্লাস পড়বেন না একদম, খুলুন! খুলুন!”
ইমরান সামান্য বিরক্তির সাথে ডানপাশের গ্লাস দিয়ে বাইরে তাকিয়ে আছে। নাফিসা নিজের রাগ কন্ট্রোল করে এবার নরম গলায় বলতে লাগলো,
“আ’ম সরি। আপনি কষ্ট পাবেন সেটা জানতাম বাট এতোটা কষ্ট পাবেন আর এভাবে রাগ করে আমেরিকা চলে যাবেন সেটা জানলে কখনোই শেয়ার করতাম না আপনার সাথে। আমি বিয়েটা ভাঙতে চাইছি না। বিয়ে হোক তাতে আমার কোনো সমস্যা নেই। আর কখনো ওসব নিয়ে কিছু বলবো না।”
ইমরান এবার সানগ্লাস খুলে তার দিকে তাকিয়ে অতি শান্ত গলায় জিজ্ঞেস করলো,
“এই পাঁচ দিনে একটুও কি আমার অভাব অনুভব করতে পারোনি, রূপসী?”
নাফিসা দু’হাতে চোখের পানি মুছতে মুছতে মাথা ঝাকিয়ে বললো,
“অনেক অভাবে কেটেছে আমার সময়গুলো। শুধু আপনার অভাব ছিলো।”
“এখনো কি মানবে না যে, তুমি আমাকে ভালোবাসো।”
নাফিসা বাম পাশে গ্লাসের বাইরে তাকিয়ে বললো,
“মানবো কেন!”
ইমরান ঠোঁটের কোনে হাসি ফুটিয়ে গাড়ি পেছনে নিতে নিতে বললো,
“আমেরিকা যাইনি আমি। তোমাকে একটু টেনশনে ফেলার জন্য কাউকে কিছু না জানিয়ে চলে গিয়েছিলাম কুয়াকাটা। আউট অফ ঢাকা দুজন ফ্রেন্ডের সাথে ছোটখাটো ট্যুর এনজয় করে এলাম।”
নাফিসা আশ্চর্য হয়ে তাকিয়ে রইলো ইমরানের মুখের দিকে! ইমরান গাড়ি টানা থামিয়ে তার দিকে তাকিয়ে মুখের হাসিটা আরেকটু প্রশস্ত করে বললো,
“আসলে তুমি নিজেই জানো যে তুমি আমাকে কতটা ভালোবাসা। এমনকি ডিপলি ফিলও করো, বাট রিয়েলাইজ করতে পারো না। ডিপ্রেশনে পড়ে তুমি বেখেয়ালি হয়ে পড়েছো। যার ফলে তুমি কোনো কূল আঁকড়ে ধরতে পারছিলে না। ডিপ্রেশন থেকে বেরিয়ে নিকটস্থ তীরে যেন ঠাঁই নিতে পারো সেজন্যই এই কাজটা করেছি আমি। এবার হলো তো তোমার কূল বাছাই!”
“এসব করে করে আর বলে বলে কি খুব বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিচ্ছেন? আমার সাথে যে আপনি কতগুলো প্রাণকে টেনশনে জড়িয়েছেন, সেটা কি মোটেও ঠিক হয়েছে!”
“বেঠিকের তো কিছু দেখছি না! বরং ভালো হয়েছে আরও! অন্তত এটা তো বুঝতে পেরেছি আমি তাদের কাছে কতটা আপন।”
নাফিসা সামান্য বিরক্তির সাথে বললো,
“এটা কেমন কথা! পরিবারের একমাত্র ছেলে আপনি। সকলের কাছে আপনি কতটা আপন হতে পারেন সেটা এভাবে পরীক্ষা করে দেখার কোনো মানে হয়!”
ইমরান শরীর কাপিয়ে হেসে আবার গাড়ি পেছনের দিকে নিতে নিতে বললো,
“আরে পাগলি! বলেছি বলে কি আমি সত্যিই এমনটা করেছি! উদ্দেশ্য কেবল তুমি ছিলে। আমার পরিবার না। আমি সেটা জানি যে, আমার পরিবারে আমি কতটা স্নেহের। তাইতো আমি নিয়মিত সবার সাথেই কথা বলেছি তবে আমেরিকা যাওয়া নিয়ে মিথ্যে বলেছি। যার ক্ষমাও পেয়ে গেছি ইতোমধ্যে। ক্লাস মনে হয় শুরু হয়ে গেছে। ল্যাবে যাও।”
ইমরান গেইটের কাছে গাড়ি থামালেও নাফিসা বসেই রইলো। ইমরান বললো,
“এখন আবার কি হলো!”
“যাবো না আমি।”
“কেন?”
“এমনি। আপনি কোথায় যাচ্ছেন? আমি আপনার সাথে যাবো।”
“আমার একটা জরুরি কাজ আছে। আমাকে যেতে হবে। ল্যাবে যাও।”
“না। আমি আপনার সাথেই যাবো।”
“সত্যিই জরুরি কাজ আছে। আমার রেকর্ডিং স্টার্ট হবে৷ তা নিয়ে একটা মিটিং আছে।”
“তো আমি গেলে সমস্যা কি? আমি ডিস্টার্ব করবো না আপনার মিটিংয়ে। শুধু সাথে যাবো।”
বাচ্চাদের মতো জেদ দেখে ইমরান শান্ত গলায় জিজ্ঞেস করলো,
“ক্লাস করবে না আজ?”
নাফিসা ব্যাগের চেইন নিয়ে খেলা করতে করতে গোমড়া মুখু হয়ে বললো,
“না।”
ইমরান ফোন বের করে কারো নম্বরে ডায়াল করে লাউড স্পিকারে রেখে স্লো স্পিডে গাড়ি চালাতে লাগলো। রিসিভ হতেই বললো,
“ভাই, এসে গেছেন?”
“এইতো মাত্র এলাম।”
“আমি যে এখন আসতে পারছি না। বিকেল পর্যন্ত থাকবেন না?”
“হ্যাঁ, আছি সন্ধ্যা পর্যন্তই।”
“তাহলে বিকেলে দেখা করি আপনার সাথে।”
“আচ্ছা, সমস্যা নেই।”
“আচ্ছা।”
ইমরান কল কেটে এবার গাড়ির স্পিড সামান্য বাড়িয়ে স্বাভাবিকে এনে ড্রাইভ করছে। নাফিসা দৃষ্টি অন্যদিকে রেখে বিড়বিড় করে বললো,
“জরুরি কাজ হলে এখন সমস্যা নেই কেন! হুহ্!”
ইমরান মৃদু হেসে বললো,
“মোটামুটি জরুরি তাই সমস্যা নেই। কোথায় যাবে বলো?”
“জানি না।”
“জানো না? তাহলে চলো কাজি অফিসে গিয়ে বিয়ে করে আসি।”

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here