রূপগঞ্জের রূপসী”
পর্ব- ১৬
(নূর নাফিসা)
উৎসর্গে – Imran Mahmudul
.
.
“এটাও কি রুলস?”
ইমরান হেসে জবাব দিলো,
“ধরে নিন তাই!”
পারভেজ হাসলো। খাবার নিয়ে আসা হলে তারা পরস্পর কথাবার্তার সাথে খাবার খেয়ে যাচ্ছে। নাফিসা চুপচাপই আছে। ইমরানও তেমন গল্প করছে না। জিজ্ঞাসা পরিপ্রেক্ষিতে মাঝে মাঝে জবাব দিচ্ছে শুধু। চুপচাপ থাকা নাফিসার মাথায় দুষ্টুমি চাপলো। ইমরান যেহেতু তার বিপরীতে বসে খাচ্ছে, একটু দুষ্টুমি না করলে চলে! সে টেবিলের নিচে জুতা খুলে ডান পা টা বাড়িয়ে ইমরানের পা স্পর্শ করলো। স্পর্শ পাওয়ার সাথে সাথে ইমরান বিস্মিত হয়ে তার দিকে তাকালো এবং ঠোঁটের কোনে ফুটে উঠেছে সামান্য দুষ্ট হাসি। নাফিসা মুখ চেপে হেসে বৃদ্ধা আঙুল দিয়ে ইমরানের পায়ের নিচ থেকে সামান্য উপরের দিকে স্লাইড করে আস্তে করে পা টা সরিয়ে আনলো। ইমরান যদি আবার পা দেয় তার পায়ে সেই ভেবে তার পা চেয়ারের নিচের দিকে পিছিয়ে রাখলো। নাফিসা এইভাবে পায়ে স্লাইড করায় ইমরান তার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসলো। নাফিসা খাওয়ায় মনযোগ দিলো। একটু পর আবার তাকিয়ে দেখলো ইমরান তার দিকে ব্রু নাচিয়ে আবার হাসছে। হাসির কারণ বুঝতে একটু সময় লাগলো নাফিসার। সবার দিকে তাকিয়ে সে দেখলো পারভেজ ভাইয়া খাবারের দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসছে আর খাচ্ছে। এবার বুঝতে পারলো ইমরান নিশ্চয়ই তাকে পা লাগাতে গিয়ে ভাইয়ার পায়ে লাগিয়েছে। তার এখন ভীষণ হাসি পাচ্ছে। কিন্তু সবার সামনে যে হাসতেও পারছে না। স্টুপিডটা কি একটুও বুঝতে পারেনি তার পা কোনটা! বুঝবেই বা কিভাবে! সে তো পাম সো পড়ে পা লাগাতে গেছে।
ইমরান নাফিসার মুখভঙ্গি দেখে হয়তো বুঝতে পেরেছে যে, তার পা নাফিসার পায়ে লাগেনি! তাই সে জিভ কাটলো এবং নাফিসার দিকে সামান্য রাগী দৃষ্টিতে তাকালো। এদিকে নাফিসা না পারছে ভালো করে হাসতে, না পারছে হাসি থামাতে! পারভেজ ভাইয়াও হাসছে। সুমি তাদের দিকে লক্ষ্য করে বললো,
“কি ব্যাপার! তোমরা এভাবে হাসছো কেন?”
পারভেজ তাকে থামিয়ে দিতে বললো,
“কিছু না।”
নাফিসা হাসি চেপে রেখে কোন মতে খাওয়া শেষ করে নিলো। অত:পর বাড়ি ফেরার জন্য রেস্টুরেন্ট থেকে বেরিয়ে সিড়ি দিয়ে নিচে নামছিলো। ইমরান ও নাফিসা সবার পেছনে। নাফিসার মুখে এখনো চাপা হাসি। ইমরান তার পাশাপাশি হাটতে হাটতে বললো,
“ভাইয়ার কাছে আমাকে লজ্জায় ফেলে এখন খুব হাসি পাচ্ছে তোমার তাই না!”
নাফিসা এবার নিচু শব্দে খিলখিলিয়ে হেসে উঠলো। হাসতে হাসতে যেই সম্পূর্ণ সিড়ি অতিক্রম করে নিচে পা বাড়ালো অমনি স্লিপার জুতা টাইলস বসানো ফ্লোরে স্লিপ খেয়ে ধপাস করে পিছলে পড়লো! আবারও হাতে ছিল শপিং ব্যাগ! কিন্তু ব্যাথা পায়নি। পড়ে যাওয়ার সময় ইমরান তাকে ধরার জন্য হাত বাড়িয়েও ধরতে পারলো না। ধরবেই বা কিভাবে! সে তো হুট করেই পড়ে গেছে! কিন্তু এখন উঠার জন্যও হেল্প করছে না। করবে কিভাবে! সে তো তাকে নিষেধ করেছে স্পর্শ করতে!
এদিকে নাফিসা পিছলে পড়ে অট্ট হাসিতে ফেটে পড়েছে। আপু ভাইয়াসহ আশেপাশে কয়েকজন ছিলো তারা সবাই তার দিকে তাকিয়েছে। কিন্তু হাসছে শুধু সে একা। এক পড়ে যাওয়া, আর এক কিছুক্ষণ আগের ঘটনা। চেপে রাখা হাসি উন্মুক্ত করে দিয়েছে এবার। এমনিতেই তার পিছলে পড়ার অভ্যাস আছে, তারউপর কাউকে পড়ে যেতে দেখলেও সে হেসে উঠে। কিন্তু তাকে দেখে এখন কেউ হাসছে না। হয়তো সে নিজে হাসছে বলেই! সবাই হয়তো এটাই ভাবছে মেয়েটা পাগল, পড়ে গিয়েও এভাবে হাসে! আর ইমরান দাঁড়িয়ে শুধু তার দিকে রাগান্বিত দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। এটা সেই দুষ্ট রাগ নয়! এটা প্রকৃত ও ভয়ংকর রাগ! যেন তার চোখে আগুন ঝড়ছে! নাফিসাকে পড়ে যেতে দেখে আপু ভাইয়ারা সকলেই দ্রুত এগিয়ে এলো। সুমি আপু তাকে ধরে তুলতে লাগলো আর ইমরানকে বকা দিতে লাগলো।
“তুই পাশে থাকতে আবার নাফিসা পড়ে কিভাবে! আবারো না ধরে এভাবে চুপচাপ দাড়িয়ে আছিস!”
শান্তা নাফিসাকে বললো,
“কিরে! পড়লি কিভাবে!”
নাফিসা হাসতে হাসতে বললো,
” আবার পড়ে দেখাই?”
এমন সময়ও দুষ্টুমি দেখে শান্তা বিরক্ত বোধ করলো। আর ইমরান কোনো কিছু না বলে রেগেমেগে দ্রুত পায়ে বেরিয়ে গেলো। নাফিসা হেসেই যাচ্ছে। সুমন বললো,
“ব্যাথা পাওনি তো!”
“না।”
পাবেল বললো,
“হাসি থামাও! লোকজন তাকিয়ে আছে আর সে পাগলের মতো হাসছে! পড়ে গিয়ে এভাবে হাসে কেউ!”
নাফিসা হাসতে হাসতেই বললো,
“হাসি না থামলে আমি কি করবো!”
পারভেজ বললো,
“হাসুনির মায়ের হাসি তো আগামী সাতদিনেও থামবে না। চলো।”
নাফিসা সাবধানে হাটতে হাটতে মিটিমিটি হেসেই যাচ্ছে। কিন্তু শপিং মলের বাইরে এসে যে সবাই শকড!
ইমরান হাত মুঠো করে গাড়িতে হেলান দিয়ে দাড়িয়ে আছে, তার ডান হাতে কিছু আছে, আর হাত থেকে রক্ত পড়ছে। তার যেন সেদিকে কোন খেয়ালই নেই। মাটিতে কয়েক ফোটা পড়ে লাল হয়ে আছে যা লাইটের আলোতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। সবাই দৌড়ে এলো তার কাছে। গাড়িতে শপিং ব্যাগ রেখে নীলা তার হাত ধরে বললো,
“এই তোর হাতে কি হয়েছে?”
পাবেলও তার হাত টেনে বললো,
” দেখি হাত দেখাও।”
ইমরান হাত ছাড়িয়ে নিয়ে বললো,
“কিছু হয়নি, গাড়িতে উঠো।”
পাবেল তার হাত দেখার চেষ্টায় বললো,
“কিছু হয়নি মানে! হাত খুলো।”
নাফিসা তড়িঘড়ি করে গাড়ি থেকে পানির বোতল নিয়ে ইমরানের কাছে এলো। তার হাত টানলো পানি ঢালার জন্য। কিন্তু সে হাত সরিয়ে নিয়ে বিরক্তিকরভাবে বললো,
“বললাম না কিছু হয়নি। সবাই গাড়িতে উঠো।”
পাবেল ও নাফিসা জোর করেই হাত সামনে এনে পানি ঢালা শুরু করলো। কিন্তু মুঠো ছাড়ছে না সে। সকলেই নানান প্রশ্ন করে যাচ্ছে কিন্তু ইমরান নিশ্চুপ! এদিকে রক্ত দেখে নাফিসার শরীর কাপা শুরু কয়েছে! তার চোখে নিরবে অশ্রু ধারা বইছে। গলা দিয়ে যেন কথা বের হচ্ছে না। তবুও ধাধানো কন্ঠে বললো,
“হাত খুলোন।”
ইমরান মোটেও শুনছে না তার কথা! এবার নাফিসা তার চোখে তাকিয়ে, ধমক দিয়ে বললো,
” হাত খুলতে বলেছি!”
সকলের উপর বিরক্ত হয়ে এবার মুঠো ছেড়ে দিলো ইমরান। জেদ করে হাতের মুঠোয় সানগ্লাস ভেঙে গুড়ো করে ফেলেছে। কয়েক টুকরো এখনো বিধে আছে। পারভেজ ফোনের টর্চ ধরলো আর নাফিসা আস্তে আস্তে টেনে তুললো ভাঙা সানগ্লাস। তারপর পানি দিয়ে হাত পরিষ্কার করলো। রক্ত এখনো বের হচ্ছেই কিন্তু আগের চেয়ে একটু কম। নীলা ইমরানের উপর রেগে বললো,
“এসব কি করেছিস!”
সুমন বললো,
“ডাক্তারের কাছে চলো। ড্রেসিং করে দিবে।”
“না ভাইয়া আমি ঠিক আছি। গাড়িতে উঠুন সবাই, রাত অনেক হয়েছে বাসায় যাবো।”
এবং পারভেজকে উদ্দেশ্য করে বললো,
” ভাইয়া আপনি ড্রাইভ করুন আমি পাশে বসছি।”
নাফিসা কথায় স্পষ্ট জেদ নিয়ে তাকে সামনে বসতে নিষেধ করে পেছনে বসতে বললো। ইমরান আর কিছু না বলে চুপচাপ পেছনের সিটে বসলো।
নাফিসা পাবেলের কাছে সুতি রুমাল খুজলো কিন্তু পেল না। পারভেজ সাদা রুমাল এগিয়ে দিলে নাফিসা পেছনে ইমরানের ডান পাশ দিয়ে গাড়িতে উঠে বসলো। সামনে বসলো সুমি ও পারভেজ। আর তারা চার জন এক গাড়িতে। সবাই ইমরানের কর্মে রাগান্বিত ও চিন্তিত! তাদের ভাবনা নাফিসা পড়ে যাওয়ার পর সে ধরেনি বিধায় তারা তাকে বকেছে বলে রাগ করেছে সে। এইটুকু বিষয় নিয়ে ইমরান এমন কান্ড করে বসবে সেটা তাদের ধারণার বাইরে ছিলো! যদিও ইমরান এমন কান্ড ঘটিয়েছে কেবল নাফিসার নিষেধাজ্ঞা ও লোকেদের সামনে এভাবে পড়ে গিয়ে পাগলের মতো হাসার কারণে! তার এই হাসি ইমরানের খারাপ লাগে না, বরং বেশ ভালো লাগে। কিন্তু তার এই হাসি অচেনা লোকজন দেখবে কেন! তাছাড়া এমন পরিস্থিতিতে এভাবে হাসার কোনো মানে হয়! আর নাফিসার নিষেধাজ্ঞা না থাকলে তো আজ অসাবধানতা বশত এমন কিছু ঘটতোও না! প্রতিটি মুহুর্তে ইমরান তার হাত ধরেই হাটতো!
গাড়িতে লাইট জ্বলিয়ে ইমরানের হাতটা কোলে নিয়ে টিস্যু দিয়ে মুছে রুমালটা ভালো ভাবে হাতে পেচিয়ে দিলো নাফিসা। ইমরান শুধু তার দিকে তাকিয়ে ছিলো। প্রথমে রাগ থাকলেও এখন নাফিসার চোখের পানি তার মাঝে দুর্বলতা এনে দিয়েছে!
সে বাঁঁ হাতে পকেট থেকে নিজের রুমাল বের করে নাফিসার দিকে এগিয়ে দিলো। নাফিসা প্রথমে একটু বিস্মিত হলেও এবার বুঝতে পারলো তার চোখের পানি মুছার জন্য দিয়েছে এটা। কিন্তু নাফিসা এর যথাযথ ব্যবহার না করে রুমাল ইমরানের দিকেই ছুড়ে মারলো। অত:পর ওড়না দিয়ে চোখ মুছে বাইরে তাকিয়ে রইলো। একরকম নিরবতা কাটিয়ে সবাই আপুর বাসায় ফিরে এলো। ঘরে প্রবেশ করে নাফিসা দেখতে পেল আন্টিরা ড্রয়িং রুমেই বসে আছে। সে গেস্ট রুমে যেতে যেতে মিসেস হকের উদ্দেশ্যে বললো,
“আন্টি, বিয়ে ক্যান্সেল করে দিন। আপনার ছেলে একটা সাইকো। আমি কোন সাইকোকে বিয়ে করতে পারবো না।”
কথার আগাগোড়া বুঝতে না পেরে তারা অবাক হলেন। নাফিসা রুমে এসে জানালার পাশে দাড়িয়ে আছে। রাগে তার সমস্ত শরীর ঝিমঝিম করছে! একটু পর তার সাইকোটাও এলো। রুমে প্রবেশ করেই রাগান্বিত গলায় বললো,
“এই মেয়ে, তোমার সমস্যা কি! হ্যাঁ? মন তো চাইছে…!”
নাফিসার গলা চেপে ধরার ভঙ্গিতে হাত বাড়িয়ে আবার নামিয়ে নিলো ইমরান। নাফিসাও রাগান্বিত দৃষ্টি নিক্ষেপ করলো তার দিকে। ইমরান জেদি কণ্ঠে বলতে লাগলো,
“আমাকে প্রেশারে না রাখলে তোমার ভালো লাগে না? তিন বছর ধরে আমাকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে শেষ করে দিচ্ছো! দেশের বাইরে থেকেও শান্তি পাইনি, দেশে ফেরার পরও দৌড়ের ওপরে রাখছো! এখন আবার মাকে বলছো বিয়ে ক্যান্সেল করে দিতে! আর কতো কষ্ট দিবে আমাকে? বলো….! সবার সাথেই তো খুব ভালো আচরণ করো, আমাকে কেন সবসময় অবহেলা, আঘাত করে যাও এভাবে?বলো?”
ইমরান রেগে কথা বলায় নাফিসা দৃষ্টি নিচের দিকে নামিয়ে শান্ত গলায় বললো,
“আপনি যে একটা সাইকো, তার প্রমাণ এখনো দিয়েই যাচ্ছেন।”
“হ্যাঁ আমি সাইকো। তোমার জন্য এমন হয়েছি। তুমি বানিয়েছো আমাকে সাইকো।”
তারপর ইমরান জানালার গ্রিল ধরে বাইরে তাকিয়ে রইলো। রাগে যেন তার শরীর কাপছে। অতি রাগলেও বাইরে মানুষ থাকায় সে নিচু স্বরে রাগ প্রকাশ করেছে। নয়তো চিৎকার করে কথা বলতো নাফিসার সাথে! নাফিসা কি বলবে কিছুই বুঝতে পারছে না। দুজনেই রেগে থাকলে বিষয়টা জটিল হয়ে যাবে। রাগের এবার নিষ্পত্তি করা দরকার। সে তো নিজেকে স্বাভাবিক করে নিলো কিন্তু ইমরানের রাগ ভেনিস করবে কিভাবে! দুমিনিট ভেবে নাফিসা নিজের মধ্যে অনেকটা সাহস যুগিয়ে পেছন দিক থেকে জড়িয়ে ধরলো ইমরানকে। ইমরান ভাবতেও পারেনি এমন কিছু করবে নাফিসা! এবার যেন নিমিষেই তার রাগ শূণ্যে মিশে গেছে। এভাবে কিছুক্ষণ নিরবে থাকার পর নাফিসা ই প্রথম শুধালো,
“এমন পাগলামো কেন করেন? হাতের কি অবস্থা করেছেন আপনি! কষ্ট হয়না আমার? আমিই তো ডাক্তার। এই সাইকোটাকে আমিই ঠিক করবো।”
ইমরান এবার স্বাভাবিক ভাবে শান্ত গলায় বললো,
“নাফিসা, আমি কিন্তু নিজের উপর কন্ট্রোল হারিয়ে ফেলবো।”
নাফিসা দ্রুত তাকে ছেড়ে দিয়ে বিড়বিড় করতে লাগলো,
“ছি! স্টুপিড একটা। নিজের উপর নাকি কন্ট্রোল হারিয়ে ফেলবে! খাটে এসে বসুন, ওষুধ লাগিয়ে দেই।”
ইমরান ঠোঁটের কোনে মৃদু হাসি ফুটিয়ে খাটে এসে বসলো। নাফিসা চোখ মুছে ড্রয়ার থেকে মলম নিয়ে তার পাশে বসলো। অত:পর রুমাল খুলে হাতে মলম লাগিয়ে ব্যান্ডেজ করে দিলো। এমনি মিসেস হক এলো রুমে। এতোক্ষণ যাবত ড্রয়িং রুমে বসে তারা সংঘটিত ঘটনা শুনেছে। এখন দুজনকেই পাশাপাশি বসে শান্ত মনোভাবে দেখে তিনি প্রশান্তির হাসি হাসলেন। নাফিসা ব্যান্ডেজ করতে ব্যস্ত আর ইমরান তাকিয়ে দেখছে নাফিসার কাজ। মাত্রই শেষ করলো আর মিসেস হক নাফিসার উদ্দেশ্যে বললেন,
“কি নাফিসা মনি, বিয়ে ক্যান্সেল করে দিবো?”
নাফিসা ড্রয়ারে ফাস্ট এইড বক্স রাখতে রাখতে মুচকি হেসে ইমরানের দিকে একবার তাকিয়ে বললো,
“না থাক! ভেবে দেখলাম এই সাইকোকে আমিই ঠিক করবো।”
মিসেস হক হাসলেন আর ইমরান ঠোঁটের কোনে হাসি রেখে বেরিয়ে গেলো রুম থেকে।