“রূপগঞ্জের রূপসী”
পর্ব- ১৭
(নূর নাফিসা)
উৎসর্গে – Imran Mahmudul
.
.
সকালে নাফিসা ড্রয়িং রুমে আসতেই দেখলো ইমরানকে তার মা খায়িয়ে দিচ্ছে আর ইমরান ফোনে কাজ করছে। প্রথমে একটু ঢং মনে হলেও এবার মনে হলো তার হাতে যে ব্যান্ডেজ! নাফিসাকে দেখে মিসেস হক ইশারায় তার পাশে বসতে বললেন। নাফিসা ইমরানের বিপরীতে আন্টির পাশে সোফায় বসতে বসতে ইচ্ছাকৃত ইমরানকে বিদ্রুপস্বরূপ বললো,
“হুহ! ঢং! এতো বড় হয়ে গেছে এখনো খায়িয়ে দিতে হয়!যেনো ছোট বাচ্চা! ছোট তো আমাকে বলা যায়, তাই না মা?”
মিসেস হক হাসিমুখে তার মুখেও এক লোকমা দিতে দিতে বললো,
” হুম।”
নাফিসা খাবার মুখে নিয়ে ইমরানের দিকে তাকাতেই দেখলো সে ঠোঁটের কোনে হাসি নিয়ে অদ্ভুত দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে! নাফিসা তার চাহনি বুঝতে না পেরে ব্রু কুচকে তাকালো। মিসেস হক তার মুখে আরেক লোকমা খাবার দিতে দিতে বললেন,
“পরবর্তীতে যেন আর আন্টি ডাক না শুনি।”
সাথে সাথেই নাফিসা জিভ কাটলো যেটা তার স্বভাব! কথায় কথায় যে আন্টিকে মা বলে ফেলেছে তার খেয়ালই নেই। সে তো তার মাকে “তাই না মা” কথাটা বলে বেশি অভ্যস্ত। তাই হয়তো মুখে এসে গেছে। আর ইমরান এখন আবার ফোনে তাকিয়ে মিটিমিটি হাসছে। ইশ কি লজ্জাটাই না পেল! নাফিসা আর বসে নেই এখানে! দ্রুত বসা থেকে উঠে সোজা রুমে চলে গেলো।
.
দুপুরে ল্যাব থেকে ফিরে দেখলো শান্তা কিচেনে চটপটি বানাচ্ছে। নাফিসা তিন আঙুলে তার গাল টেনে বললো,
“ওয়াও কিউটি, তুমি চটপটি বানাচ্ছো আজ! আমি এখনি ভাইয়াদের কল করে বলে দেই আজ তাড়াতাড়ি আসতে।”
সুমি পাশে থেকে জবাব দিলো,
“চটপটির গন্ধে কি সোজা কিচেনে চলে এসেছিস?”
” হুম, একদম ঠিক ধরতে পেরেছো।”
শান্তা বললো,
“ভাইয়ারা বিকেলে বাসায় ফিরলেই খাবি। এখন গোসল করে আগে লাঞ্চ কর।”
“হুম তা তো অবশ্যই।”
নাফিসা গোসল করে নামাজ পড়ে লাঞ্চ করে নিলো। ৩টা বেজে গেছে। সে শান্তার উদ্দেশ্যে বললো,
“আপু, নীলা আপু কি চলে গেছে?”
“না। বাচ্চাদের নিয়ে ছাদে গেছে। যা, তারা বেলুন নিয়ে গেছে।”
“ওকে। কিউটি, তুমি চটপটি নিয়ে ছাদে এসো কিন্তু।”
“এতো ঠেকা পড়েনি।”
নাফিসা ছাদে এসে দেখলো নীলা আপু দোলনায় বসে বেলুন ফুলিয়ে দিচ্ছে আর আরোহী, আরোশী ও আয়াশ বেলুন নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করছে। সেও যোগ দিলো তাদের সাথে। পানির ট্যাংকের সাথের কল থেকে ছোট ছোট বেলুনে পানি ভরে নিলো নাফিসা। এভাবে খেলতে অনেক ভালো লাগে তার। প্রায় অনেকগুলো বেলুনে পানি ভরে বেধে নিয়েছে সে। কিছুক্ষণ পর শান্তা আপু , সুমি আপু, পাবেল ভাইয়া আর পারভেজ ভাইয়া ছাদে চলে এলো। পারভেজ ভাইয়া এসেই নাফিসার মাথার চুলে হাত নেড়ে এলোমেলো করে দিলো। সে ভাইয়ার দিকে তাকাতেই আবার আগের মতো ঠিক করে দিয়ে বললো, “না থাক। ঠিক করে দিয়েছি।”
আর পাবেল ভাইয়া তার বেধে রাখা পানির বেলুন থেকে একটা বেলুন নিয়ে নাফিসার মাথায় ঠুসে ফাটিয়ে দিলো। নাফিসা রেগে তাকালো আর পাবেল হাসতে লাগলো। সেই সুযোগে পারভেজ পাবেলের মাথায় আরেকটা বেলুন ফাটালো। এবার নাফিসার হাসি দেখে কে!
নীলা তাদের কর্মকাণ্ডে বিস্মিত হয়ে বললো,
“তারাও তো দুষ্ট কম না!”
সুমি হেসে জবাব দিলো,
“এই বাড়িতে শুধু আমরা বউরা ছাড়া বাকি সবাই বাচ্চা।”
” তা-ই তো দেখছি!”
নাফিসাও বেলুন নিয়ে পাবেলের উপর নিক্ষেপ করলো। ব্যাস! ভাইয়ার গায়ে লেগেও বেলুন ফেটে গেলো। পাবেল কয়েকটা বেলুন নিয়ে নাফিসা ও পারভেজকে আবার বেলুন দিয়ে ঢিল মেরে দৌড় দিলো। এলো আড্ডা দিতে আর মেতে উঠলো খেলাধুলায়! নাফিসা, পারভেজ, পাবেলের সাথে আরোশী, আরোহী, আয়াশও বেলুন নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করছে। ইমরান আর সুমন ভাইয়া ঘুরতে বেরিয়েছিলো। সুমি ছাদে আসার পূর্বে তাদের কল করে এসেছিলো। তারা এখন বাসায় ফিরে ছাদে এসে গেছে। নাফিসা পারভেজ ভাইয়াকে পানি ভর্তি বেলুন দিয়ে ঢিল মারতে গেলে সুমন ভাইয়ার গায়ে লেগে বেলুন ফেটে যায়! এবং শার্ট কিছুটা ভিজে যায়। পিছনে ইমরানও ছিলো। মাত্রই তারা ছাদে পা রাখলো, আর অমনি নাফিসার এই কাজ! আর নাফিসা থতমত! পারভেজ ও পাবেল ভাইয়ার সাথে তো সে অনেক ফ্রি। কিন্তু সুমন ভাইয়ার সাথে তো তেমন কথাবার্তাও বলে না। এখন ভাইয়া যদি কিছু মনে করে! বাকিরাও থেমে গেছে! নাফিসা ভেজা বেড়াল বনে গেছে! অপরাধী ভঙ্গিতে বললো,
“সরি ভাইয়া।”
সুমন হাসিমুখে বললো,
“ইট’স ওকে। খেলো তোমরা।”
বললেই কি আর খেলা যায়। তারা খেলা বন্ধ করে দিলো। কিন্তু বাচ্চারা মেতে আছে।
শান্তা নিচে গিয়ে চটপটি ও মাদুর নিয়ে এলো। তারা যারা খেলেছে সবাই একটু একটু ভিজে গেছে। শান্তা তাদের পোশাক চেঞ্জ করে আসতে বললো। কিন্তু কেউই গেলো না। এইটুকুতে তেমন সমস্যা হবে না। তারা এভাবেই মাদুর বিছিয়ে বসে পড়লো ফ্লোরে। আয়াশের শরীর পুরো ভিজে গেছে শান্তা মুছে দিলো। আরোহী,আরোশীর জামাও একটু ভিজেছে। তারাও চেঞ্জ করেনি। চটপটি খেতে খেতে নীলা বললো,
“শান্তা, চটপটি কিন্তু অনেক মজা হয়েছে।”
“শুকরিয়া আপু।”
নাফিসা বললো,
“হুম, সুমি আপুর বিরিয়ানি আর শান্তা আপুর চটপটি বেস্ট।”
নাফিসার কথার পরপর খেতে খেতে ইমরান বলে উঠলো,
“আর নাফিসার পায়েশ বেস্ট।”
নাফিসা ইমরানের দিকে এক পলক তাকিয়ে আবার নিজের খাওয়ায় মনযোগ দিলো। পারভেজ ইমরানের কথায় সহমত পোষণ করে বললো,
“রাইট। কিন্তু তুমি জানো কিভাবে?”
“আপনার আগেই আমি খেয়েছি।”
রূপগঞ্জের কথা যাতে না তুলতে পারে সেজন্য নাফিসা কথার মোড় ঘুরিয়ে বললো,
“আমি ভাবছি চটপটির ব্যবসা শুরু করবো। আপুর হাতের চটপটি একবার খেয়ে সবাই বারবার খেতে আসবে। দারুণ লাভজনক হবে বিজনেস!”
সবাই হেসে উঠলো আর শান্তা গেলো রেগে।
“কিহ! আমি গিয়ে চটপটি বিক্রি করবো!”
“আরে, তুমি বিক্রি করবে কেন! তুমি শুধু তৈরি করে দিবে। বিক্রি তো করবে পারভেজ ভাইয়া ও পাবেল ভাইয়া।”
পারভেজ ও পাবেল দুজনেই বিস্মিত! পাবেল বললো,
” দোকান দিবে তুমি আর আমরা বিক্রি করবো! তাহলে তুমি কি করবে?”
“আমি থাকবো ক্যাশিয়ার, আর সুমি আপু থাকবে ব্যাংক।”
সুমি হাসতে হাসতে বললো,
“আমার পোস্ট টা ভালো।”
পারভেজ বললো,
“ভালোই তো! ইমরানকেও কোনো কাজে লাগাও।”
নাফিসা প্রত্যুত্তরে বললো,
“সবাই কাজ করলে কাস্টোমার হবে কে!”
ইমরান বিস্মিত হয়ে বললো,
“আমি কাস্টোমার!”
“নিশ্চয়ই! আপনি যেহেতু একজন আর্টিস্ট। বিশেষ ধনী লোকও বটে। এক প্লেট খেয়ে দু প্লেটের দাম দিবেন। আপনাকে দেখে আপনার ভক্তরাও ছুটে আসবে। মাঝে মাঝে নীলা আপু আর সুমন ভাইয়া ইউএসএ থেকে ভিজিটর পাঠাবে। আর আমাদের ব্যাবসায়ে নীল আর সবুজ বাতি জ্বলবে।”
সবাই একজোটে হেসে উঠলো। নাফিসার দুষ্টুমিতে ইমরান মৃদু হেসে বললো,
“ভালোই তো! আমার সুনাম দিয়ে আপনারা ব্যবসা চালাবেন!”
“তো কি হয়েছে! আপনার মান তো আর নষ্ট করছি না।”
সুমি বললো,
“বাহ! আইডিয়া তো অনেক ভালো। এতো টাকা দিয়ে করবেন কি, শুনি!”
“সেই চিন্তা আমার উপর ছেড়ে দাও আপু। টাকা বেশি হলে একটা এতিমখানা দিয়ে দিবো। কেমন হবে?”
সবাই অবাক! ইমরান নাফিসাকে যত দেখে ততই মুগ্ধ হয়। তার সবকিছু তাকে মুগ্ধ করে। নাফিসার ইচ্ছের কথা শুনে সে মনে মনে দোয়া করলো,” আল্লাহ তোমার সব ইচ্ছে পূরণ করুক।”
নাফিসার প্রশংসায় নীলা বললো,
“সত্যিই তুমি অসাধারণ। আল্লাহ তোমার সকল ইচ্ছে পূরণ করুক।”
নাফিসা মুচকি হাসলো এবং বললো,
” উহুম, আপু। দোয়া করো আল্লাহ যেন আমার মূল ইচ্ছে গুলো পূরণ করেন। তা না হলে আবার ভাইয়াদের সত্যিই চটপটি বিক্রি করতে হবে।”
সবাই আবারও একজোটে হেসে উঠলো। বড়রা বুঝে আর বাচ্চারা না বুঝে। নাফিসার কথার প্রেক্ষিতে সুমনের জিজ্ঞাসা,
“তাহলে ইনকাম করবে কিভাবে তুমি?”
“যদি একজন ভালো বিশেষজ্ঞ বা ডাক্তার হতে পারি ইনশাআল্লাহ তাতেই করতে পারবো।”
“হুম, শুভকামনা রইল।”
“ধন্যবাদ।”
কথা বলতে বলতে তারা খাওয়া শেষ করলো। আরোশী এসে পাবেলের কাছে বেলুন দিয়ে বললো,
“চাচ্চু বেলুন ফুলিয়ে দাও।”
পাবেল বেলুন ফুলিয়ে দিলো। আরোশীর দেখাদেখি আবার আয়াশ এসেও পাবেলকে একটি বেলুন ফোলানোর জন্য বলতে লাগলো,
“চাচ্চু,বল।”
পাবেল মুখটা ফ্যাকাসে বানিয়ে বললো,
“বাপ, বল তো আমার সাথে তোর কি শত্রুতা? বাবা না ডেকে তুইও চাচ্চু ডাকিস!”
সবাই হেসে উঠলো। শান্তা বিদ্রুপ স্বরূপ বললো,
” ডাকবে না! বাবার মতো আদর করোনা হয়তো।”
“বউও আজ এই কথা বলে! জানি তো, তোর আম্মুই আমার সাথে শত্রুতা বাড়িয়ে দিচ্ছে।”
আয়াশ তার বাবার কথায় পাত্তা না দিয়ে বেলুনের জন্য আবারও বলতে লাগলো,
“চাচ্চু…. বল..”
“বাবা বল আগে। তারপরে দিবো বেলুন।”
আয়াশ এবার ব্রু কুচকে বললো,
” বাবা, চকলেত।”
“সেয়ানা বেটা আমার! বাবা ডেকে এবার বেলুন বাদ রেখে চকলেত!”
সবাই হাসতে লাগলো। আজকালকার বাচ্চারা যেন সর্বদা হাসাতে ওস্তাদ! আরোশিকে চাচ্চু ডাকতে শুনে আয়াশ প্রায়ই পাবেলকে চাচ্চু বলে ডাকে।
শেষ বিকেলে নীলা, সুমন ও মিসেস হক চলে গেলো নিজ বাড়িতে। আরোহীকে রেখে দিয়েছে সুমি। পারভেজের সাথে ইমরানের কিছু কথাবার্তা ও কাজ থাকায় সে রাতে যাবে।
সন্ধ্যায় মাগরিবের নামাজ পড়ে ইমরান একা সোফায় বসে ফোন দেখছে। যখন ফ্রি থাকে তখনই তাকে ফোনে ব্যস্ত দেখা যায়। বাচ্চারা এখানেই ছুটাছুটি আর চেচামেচি করছে। বাচ্চাদের সাথে ইমরানকে এখানে একা দেখে নাফিসা এসে পাশে বসলো। ইমরান তাকে একবার দেখে আবার নিজের কাজে মনযোগ দিলো। এবং ফোনের দিকে দৃষ্টি রেখেই জিজ্ঞেস করলো,
“কিছু বলবে?”
“আপনি না বলেছেন পরে বিয়ের শাড়ির ছবি দেখাবেন। তাহলে এখন দেখান।”
“আমি তো ছবি তুলিনি, দেখাবো কিভাবে!”
নাফিসা ব্রু কুচকে বললো,
“তাহলে বলেছেন কেন পরে দেখাবেন!”
“পরে বলতে বুঝিয়েছি বিয়ের দিন যখন পড়বে তখন দেখবে।”
নাফিসা রেগে তার পাশের সিট থেকে উঠে বিপরীতে গিয়ে বসলো রিমোর্ট হাতে নিয়ে। তার কান্ডে ইমরান নিরবে হাসলো। পারভেজ, পাবেল বাইরে থেকে এলে ইমরান সহ সবাই গেস্ট রুমে চলে গেলো। যাওয়ার সময় পাবেল বলে গেলো,
“নাফিসা, তোমার আপুদের নিয়ে রুমে এসো।”
“ওকে।”
টিভি বন্ধ করে একটু পর নাফিসা আপুদের নিয়ে রুমে যাচ্ছে। সে সামনে আর আপুরা একটু পিছনে। দরজা চাপানো ছিলো। দরজা ঠেলে নাফিসা যেই ভেতরে প্রবেশ করতে গেলো, সাথে সাথে উপর থেকে বড় পর্দার কংকালের ছবি ঝুলে পড়লো! আর নাফিসা ভয় পেয়ে জোরে চিৎকার করে উঠলো। তার চিৎকারে আপুরাও ভয় পেয়ে গেছে! আর রুমের ভেতরে বাচ্চারা সহ বাকি তিনজন অট্টহাসিতে ফেটে পড়েছে। তাদের হাসিতে নাফিসা রেগে এই পর্দা টেনে হাতে নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করলো। পাবেলের দিকে রেগে তাকাতেই পাবেল হাসতে হাসতে বললো,
“তুমি না ডাক্তার! বাস্তব কংকাল নিয়ে কাজ করো অথচ ছবি দেখেই ভয় পাও! তাহলে ডাক্তার হবে কিভাবে!”
পাবেলের সাথে যুক্ত হয়ে ইমরান বললো,
“হুহ! ডাক্তার! সামান্য রক্ত দেখেই কাপাকাপি শুরু হয়ে যায়। কখনো রোগীর রক্তাক্ত চেহারা দেখলে এই ডাক্তার নিজেই হার্ট অ্যাটাক করবে। চিকেন হার্ট।”
নাফিসা বুঝতে পেরেছে ইমরান সেদিনের কথা বলেছে। তবুও ব্রু কুচকে তাকালো এবং বললো,
“চিকেন হার্ট? এমন ভাবে ভয় দেখালে কে ভয় না পাবে! এটা তো আমার ব্যাগে ছিল! বের করেছে কে!”
পাবেলের দিকে তাকানোর কারণে পাবেল বললো,
“আমি কি জানি! বাচ্চারা খেলছিলো আমি তাদের থেকে নিয়েছি।”
নাফিসা পর্দা পেচিয়ে রাখতে রাখতে বাচ্চাদের উদ্দেশ্যে বললো,
“পাকা বুড়িরা, ভয় পাওনি এটা দেখে?”
আরোহি জবাব দিলো,
“না, আন্টি। এটা অনেক সুন্দর।”
নাফিসা এবার তার কথায় হেসে উঠলো।
“এটা দেখতে তোমার কাছে সুন্দর মনে হয়!”