“রূপগঞ্জের রূপসী” পর্ব- ২০

0
3441

“রূপগঞ্জের রূপসী”
পর্ব- ২০
(নূর নাফিসা)
উৎসর্গে – Imran Mahmudul
.
.
ফ্যামিলি ট্যুরে বিয়ের চতুর্থ দিন রাতে কক্সবাজার এসে পৌছেছে তারা সকল ভাইবোনেরা। রাতে পৌছানোর কারণে আর ঘুরা হয়নি। তবে পরের দিন সকালে ব্রেকফাস্ট শেষ করে সবাই ঘুরতে বের হয়েছে। সমুদ্রের তীরে ঘুরাফেরা ,নোনা পানিতে গোসল সবমিলিয়ে খুব মজা হয়েছে। তবে বাচ্চাদের নিয়ে সতর্ক থাকতে হয়েছে। গোসল শেষ করে রিসোর্টে ফিরে আবার বাথরুমে ভালোভাবে গোসল করে নিয়েছে। সমুদ্রের তীর ঘেষে হাটার জন্য বিকেলে আবার বের হয়েছে সবাই একসাথে। কিছুক্ষণ তারা বড়রাসহ বাচ্চাদের সাথে বালিতে দৌড়াদৌড়ি করেছে, আয়াশের এইটুকু ফুটবল নিয়ে খেলেছে তারপর সমুদ্রের তীর ঘেঁষে পানিতে হেটেছে আর গল্পগুজব করেছে। অত:পর সূর্যাস্ত দেখে রিসোর্টে ফিরে এসেছে আবার। রাতেও রিসোর্টে তাদের আড্ডা চলেছে। বহুদিন পর পরিবারের সাথে ঘুরাফেরা সকলেই খুব উপভোগ করছে।
তারপর দিন খুব সকালে আযান শুনে নাফিসার ঘুম ভাঙলো। ঘুমঘুম চোখে তাকাতেই ইমরানকেও ঘুমঘুম চোখে তাকিয়ে আড়মোড়া ভাঙতে দেখলো। তারও মাত্রই ঘুম ভেঙেছে। দুজনের ঘুম একসাথে ভাঙায় তারা একে অপরের দিকে তাকিয়ে হেসে উঠলো। ইমরান সকালটা সুমধুর করতে নাফিসার কপালে উষ্ণ ছোয়া দিয়ে কপালে কপাল ঠেকিয়ে চোখ বুজে রইলো কিছুক্ষণ। অত:পর দুজনেই উঠে ফজরের নামাজ আদায় করলো। নাফিসার নামাজ শেষ হতেই ইমরান বললো,
“দ্রুত তৈরি হয়ে নাও। সূর্যোদয় দেখবো।”
“ওকে।”
“শাড়ি পড়বে আজ।”
“ওকে।”
নাফিসা লাল জর্জেট শাড়ি পড়লো আর ইমরানকেও লাল শার্ট পড়তে দিলো সাথে কালো জ্যাকেট। স্ট্যান্ডার্ডভাবে শাড়ি পড়তে দেখে ইমরান বললো,
“শাড়িটা গ্রাম্য স্টাইলে পড়লে না!”
“সমুদ্রের তীরে কি সেটা মানাবে? রূপগঞ্জ গিয়ে ওভাবে পড়বো।”
“শুধু রূপগঞ্জ না, বাসায়ও পড়বে মাঝে মাঝে।”
“ওকে।”
“চলো।”
“দাড়াও, আপুদের ডেকে নেই।”
“কিহ!”
“আপু ভাইয়াদের ডাকবো না! তারা দেখবে না!”
“কোথায় ভাবলাম দুজন একা ঘুরবো! এর মধ্যে আপু ভাইয়া! একটু তো রোমান্টিক হও রূপসী।”
নাফিসা ব্রু কুচকে মুখ চেপে হাসলো। অত:পর দুজন বেরিয়ে এলো। সমুদ্রের তীরে এসে দেখলো সূর্যোদয় দেখার জন্য অনেক লোকই আছে এখানে। বেশিরভাগই মনে হচ্ছে কাপল। বাচ্চাকাচ্চাও আছে সাথে। অন্ধকার কাটিয়ে ভুবনে আলো ফুটতে শুরু করেছে৷ সূর্য উদয় হতে মনে হচ্ছে আরো মিনিট পাচেক লাগবে। কয়েকটা ছেলে এসে ইমরানকে ঘিরে ধরেছে ছবি তোলার জন্য। নাফিসা একপাশে এসে দাড়িয়ে রইলো। নাফিসার সাথেও সেলফি নিতে চাইছিলো কিন্তু নাফিসা মোটেও রাজি না। ইমরানও নিষেধ করলো। তারা আর ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর করলো না। তবে আফসোস করলো বটে! এদিকে ইমরানের অবস্থা দেখে নাফিসার হাসি পাচ্ছে খুব! যেন মধুচাকে মৌমাছি ভিড় জমিয়েছে। সূর্যোদয় কি আর দেখা হবে না দুজনে মিলে! কতক্ষণ লাগবে তাদের সেলফি তুলতে!
ইমরান তাদের সাথে ছবি তোলার পূর্বে শর্ত জারি করলো।
“ছবি তুলবো এক শর্তে, আমার ওয়াইফের সাথে সূর্যোদয়ের সময় কিছু ছবি তুলে দিতে হবে আমাকে।”
তারা রাজি হয়ে গেল। অত:পর সূর্যোদয়ের সময় ইমরান আর নাফিসা জনশূন্য জায়গায় দাড়িয়েছে। দুজনেই পাশাপাশি দাড়িয়ে আছে। ইমরান তাকে একহাতে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে অন্যহাত পকেটে রেখে দাড়িয়ে আছে। প্রিয় জনের সাথে সূর্যোদয় দেখতে খুব ভালো লাগছে নাফিসার। তার জন্য এই অনুভূতিটা প্রথম ছিলো। মনে হচ্ছিলো জীবনটা এই মুহুর্তেই থেমে থাকুক আজীবন! ইশ! অসম্ভব ভালো লাগার মুহূর্ত!
সূর্য সম্পূর্ণ উদয় পর্যন্ত তারা এভাবেই ছিলো। ছেলেগুলো তাদের দুজনের বেশ কিছু ছবি তুলে দিলো। অত:পর ইমরান তাদের কাছে থেকে ফোন নিয়ে নিলো এবং দুজনে হাতে হাত রেখে সমুদ্রের তীর ঘেঁষে হাটতে লাগলো। ইমরান প্যান্ট ফোল্ড করে নিয়েছে। সমুদ্রের ঢেউ একটু পরপর তাদের পা ভিজিয়ে দিচ্ছে। নাফিসার শাড়িও ভিজিয়ে দিয়ে যাচ্ছে নোনা জল! সে ও যে অসম্ভব ভালো লাগারই মুহূর্ত! সমুদ্র থেকে উত্তোলিত তীব্র বাতাস নাফিসার চুলগুলো সব উল্টেপাল্টে দিচ্ছে। নাফিসা চুলগুলো খোপা করে নিলে ইমরান সাথে সাথেই খোপা খুলে দিলো। নাফিসা বললো,
“বাতাসে মুখে এসে পড়ছে তো।”
“পড়ুক।”
দুজন আবার হাটতে লাগলো।নাফিসা তার দিকে তাকিয়ে হাটতে হাটতে বললো,
“জ্যাকেট টা খুলে ফেললে কি হয়! বাতাসটা তো খুবই ভালো লাগছে।”
ইমরান মুচকি হেসে চুপচাপ জ্যাকেট খুলে হাতে নিয়ে নিলো। নাফিসা হাত বাড়িয়ে তার কাছ থেকে জ্যাকেট নিজের হাতে নিয়ে হাটতে লাগলো। ইমরান নাফিসার দিকে তাকিয়ে হাটছে। এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে নাফিসা জিজ্ঞাসা সূচক ব্রু নাচাতেই ইমরান বললো,
“তুমি রেড শাড়ি, আমি রেড শার্ট।আমরা রেড কাপল।”
নাফিসা খিলখিলিয়ে হেসে উঠলো। ইমরান ফেরি থেকে এক প্যাকেট চিপস কিনে তার হাতে দিলো। প্যাকেট খুলে ইমরানের সামনে ধরলে সে বললো খাবে না। নাফিসা একাই খাচ্ছে। একটুপর আবার একটা চিপস নিয়ে ইমরানের মুখের সামনে ধরলে সে মুচকি হেসে বিনা দ্বিধায় আজ মুখে নিয়ে নিলো। বিপরীতে নাফিসাও মুচকি হেসে বললো,
“বালিতে বসবো।”
“ওকে, চলো।”
অত:পর তারা সমুদ্রের তীর থেকে কিছুটা দূরে সরে এসে বালিতে দুজন পাশাপাশি বসলো।
পাশাপাশি বসে মাথা ঠাঁই দিয়েছে কাধ,
নেই যে আজ কোনো সংশয়ের বাধ!
মনে মন যে হয়েছে বিনিময়,
উথাল-পাথাল ঢেউয়ে শান্তির প্রণয়।
ইমরানের কাধে মাথা রেখে নাফিসা শুধায়,
“জানো, আজ এই মুহূর্ত গুলো আমার জীবনের সর্বোত্তম মুহুর্ত।”
“যেমন?”
“প্রিয়জনের সাথে সূর্যোদয় দেখা, হাতে হাত রেখে সমুদ্রের তীর ঘেঁষে হাটা, বিশাল আকাশের নিচে সমুদ্রের বিশালতা অনুভব করা। তোমার স্পর্শ মাখা মিষ্টি বাতাস। মনে হচ্ছে জীবনের সবকিছু আমি পেয়ে গেছি। তুমি না থাকলে হয়তো কখনো এই মুহুর্তটা আসতো না।”
“রূপসী, এই দিনটার জন্য আমি অনেক অপেক্ষা করেছি। আজ তোমাকে কাছে পেয়ে তা পূর্ণ হলো।”
নাফিসা কিছু বলতে যাচ্ছিলো, হঠাৎ একটা ছেলে দৌড়ে এলো। তারা দুজনেই একটু অবাক হলো। ছেলেটি ইমরানের ফোনে আরো কিছু ছবি দিয়ে তারপর আবার দৌড়ে চলে গেলো। ছবিগুলো হচ্ছে তাদের কাছ থেকে পূর্বের ছবিগুলো নিয়ে চলে এসে এতোক্ষণ ধরে যে মুহুর্তগুলো তারা উপভোগ করছিলো তার সব। হাত ধরে হাটা, চুল খুলে দেয়া, চিপস খায়িয়ে দেয়া, কাধে মাথা রেখে বসে থাকা সব। তারমানে এতোক্ষণ ধরে ছেলেগুলো তাদের ফলো করে ছবি তুলেই যাচ্ছিলো! বিষয়টা ভেবে দুজনের মুখেই প্রশান্তির সুখ নেমে এসেছে। নাফিসা আবার ইমরানের কাধে মাথা রেখে দুজনে ছবিগুলো দেখতে লাগলো। হঠাৎই নাফিসা বললো,
“এই শুনো, তোমাকে কিছু বলার আছে।”
“কি?”
“বিশাল আকাশ আর অথৈ সাগর, কিছুই চাইনা আমি….
সারাটি জীবন বুকের ভেতর, থেকো শুধু তুমি….”
ইমরান তার উক্তির বিপরীতে মুচকি হেসে সুর টানলো,
” বিশাল আকাশ আর অথৈ সাগর, কিছুই চাইনা আমি….
সারাটি জীবন বুকের ভেতর, থেকো শুধু তুমি….”
কক্সবাজার থেকে ফিরে পরবর্তী সপ্তাহে হঠাৎই একদিন ইমরান নাফিসাকে বললো,
“শাড়ি পড় আজ। বেড়াতে যাবো আমরা।”
“কোথায়?”
“প্লেস জানাটা মূখ্য বিষয় না। তোমার শাড়ি পড়াটা মূখ্য বিষয় আর আমাদের বেড়াতে যাওয়াটা মূখ্য বিষয়।”
“ওকে। নাস্তা করবে, এসো।”
অত:পর নাস্তা করে নাফিসা শাড়ি পড়ে তৈরি হয়ে গেলো। ইমরান তাকে নিয়ে নিজের গাড়িতে রওনা হলো। ইমরান ড্রাইভ করছে আর নাফিসা তার পাশে অবস্থান করেছে। দুজনের মধ্যেই চলছে নিজেদের নিয়ে শত আলাপন। পথঘাট যত পাড়ি দিচ্ছে নাফিসার ভেতর ততই উথাল-পাথাল ঢেউ খেলছে! যখন ডেমরা ছেড়ে গাড়ি রূপগঞ্জের রাস্তায় নেমে পড়লো তখন নাফিসা চোখের পাতা বন্ধ করে ফেললো। ভাবতেও পারেনি আজ বিনা পূর্বাভাসে রূপগঞ্জের উদ্দেশ্যে পাড়ি জমাবে ইমরান! সে যেহেতু জায়গাকে মুখ্য বিষয় হিসেবে চিহ্নিত করেনি সেহেতু নাফিসার ধারণা ছিলো ইমরান সেদিনের মতো তাকে নিয়ে গাড়িতে শহরের পথঘাট ভ্রমণ করবে। হানিমুনের কথা বললে না সে বুঝে নিতো রূপগঞ্জ যাচ্ছে! কেননা, ইমরান বলেছিলো, হানিমুনে তারা রূপগঞ্জ যাবে।
নাফিসার মুখে ফুটে উঠেছে প্রশান্তির সুখ আর বন্ধ চোখের পাতার ফাঁকে উঁকি দিচ্ছে নোনা জল! গড়িয়ে পড়বে পড়বে ভাব! আর তা দেখে ইমরানের ওষ্ঠে ফুটে উঠেছে মিষ্টি হাসির রেখা। সে বাঁ হাত বাড়িয়ে নাফিসার ডান হাত মুঠোয় ধরে ফিসফিসিয়ে বললো,
“স্বপ্ন ঘুমিয়ে নয়, জেগে দেখতে হয় রূপসী। তোমার আমার স্বপ্নের জগতে আমরা পদার্পণ করেছি, এই মুহুর্তে তুমি দৃষ্টি লুকালে আমি হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়বো!”
নাফিসা ছলছল দৃষ্টি ইমরান পানে নিক্ষেপ করে বললো,
“এতো সুখ কেন আপনার মাঝে? প্রতি মুহূর্তে আপনার সুখেই ভাসিডুবি। আপনার সুখের রানি আপনাকে হতাশ হতে দিবেনা যে।”
বিপরীতে ইমরান মুচকি হেসে আবার গাড়ি চালাতে লাগলো। সাথে উপভোগ রূপসীর সাথে রূপগঞ্জের দৃশ্য। তারা সরাসরি চলে এসেছে রাজবাড়ীতে। রাজবাড়ী ভ্রমণের পরে তারা ছোট নৌকায় শীতলক্ষ্যার বুকে। একপাশে মাঝি আর অন্যপাশে নব দম্পতি। চলছে মনে মনকথন। কখনো হাত কখনো পা, শীতল জলে ফেলছে দুজন। মেঘলা আকাশ, মৃদু বাতাস আর উথাল-পাথাল ঢেউ। দোলছে নৌকা, হেলছে তারা তবুও তৃপ্ত হয়নি তো কেউ! অত:পর শুরু হলো ঝিরিঝিরি বৃষ্টি। ঝিরিঝিরিও বলা যায় না, একদমই হালকা। বৃষ্টি আসবে কি আসবে না বুঝা দায় হয়ে পড়েছে। তবুও তারা অনেক্ক্ষণ নৌকায় থাকায় এবার নেমে গাড়িতে এসেছে। বাতাসের বেগে কখনো একটু বেশি ঝিরিঝিরি বৃষ্টি আবার কখনো উধাও। তাই আর এখন গাড়িতে বন্দী হতে ইচ্ছে হলো না নাফিসার। শীতলক্ষ্যা ব্রিজের কাছে গাড়ি থামিয়ে নেমে গেলো উভয়েই। বৃষ্টির পূর্বাভাসের কারণে পরিবেশ সম্পূর্ণ জনশূন্য। ইমরান গাড়ির দরজা লক করে ব্রিজের উপর উঠছে৷ নাফিসা এবার শাড়ির আঁচল কোমড়ে গুজে দিয়েছে যেমনটা ইমরানের পছন্দ। আরও আগেই দিতো কিন্তু জনবহুল স্থান হওয়ায় তা করেনি। ইমরান তাকে পাশে না পেয়ে পেছনে ফিরে তাকালো এবং দেখতে পেল সেই রূপসীকে। নাফিসা হেয়ার ব্যান খুলে চুল এলোমেলো করতে করতে এগিয়ে এলো ইমরানের কাছে। অত:পর তার হাত ধরে ব্রিজে উঠতে লাগলো মুচকি হেসে। ইমরান পুরোটা সময়ই তার দিকে তাকিয়ে ছিলো। নাফিসা লজ্জিত কণ্ঠে অন্যদিকে তাকিয়ে বললো,
“আপনে বিখ্যাত গায়ক নাকি? তো একটা গান শুনান দেখি। টাকা কড়ি নাই কিন্তু আগেই বলে রাখি। এমনে তাকান ক্যা আমার দিকে? জীবনে দেখেন নাই নাকি! হু, আমিই আপনার সেই রূপসী। চিনলে ভালা না চিনলে আরও ভালা বেশি। তবুও আমি সেই রূপসীই আছি।”
ইমরান শরীর কাপিয়ে হেসে উঠলো এবং বললো,
“আমার রূপসীকে আমি চিনবো না, তা কি করে হয়? রূপে মুগ্ধ, তুমি স্নিগ্ধ, তুমি আমারই মনের মত। মেঘ বর্ষনে, ভেজা বৃষ্টিতে, সর্বদা তুমি এলোকেশী হয়ে থেকো।”
কথা বলতে বলতে তারা ব্রিজের রেলিঙের পাশে এসে দাড়িয়েছে। নাফিসাকে রেলিঙে পিঠ ঠেকিয়ে দাড় করিয়ে ইমরান তার মুখোমুখি দাড়িয়েছে দুপাশে হাত রেখে। এবং চোখ বুলাচ্ছে রূপসীর রূপে। লজ্জা লাগছে তবুও দৃষ্টিতে দৃষ্টি রেখে নাফিসা বললো,
“ভীষণ ভালোবাসি মিস্টার।”
প্রত্যুত্তরে ইমরান মুচকি হাসিটা আরও প্রশস্ত করে বললো,
“প্রতি মুহুর্তে ভালোবাসি, রূপগঞ্জের রূপসী।”
.
(শুভ সমাপ্তি)
.
[আগেও বলেছি, এখনো বলছি….
গল্পটি বাংলাদেশী আর্টিস্ট, ইমরান মাহমুদুলকে নিয়ে লেখা। তিনি আমার প্রিয় গায়কও বটে। তবে গল্পটির প্রেক্ষাপট সম্পূর্ণ কাল্পনিক। অর্থাৎ আমার চিন্তাধারা থেকে লেখা। ইমরান মাহমুদুল এর বাস্তব জীবনে রূপসী বলতে কেউ নেই।
আপনারা জানেন যে, গল্পটা অনেক আগেই লিখেছিলাম। মূল প্রেক্ষাপট ঠিক থাকলেও ইমুজি ও লেখার ধরণ আমার নিজের কাছেই কিছুটা বিরক্তিকর মনে হয়েছিলো। তাই লেখার মান আরেকটু ভালো করার প্রচেষ্টায় গল্পটায় সামান্য পরিবর্তন এনে পুনরায় পোস্ট করলাম।
হেপি রিডিং… ❤]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here