রোবট প্রেম পর্ব : ৩,৪

0
389

রোবট প্রেম
পর্ব : ৩,৪
লেখক : শিশির আহমেদ (নীল)

– বাসার সব কাজের ভার মারিয়া কে দিয়ে শিশির ইউনিভার্সিটি তে চলে যেতো। আর বাসায় এসে যতটুকু সময় পেতো মারিয়ার সাথে সময় কাটাতো। শিশির ভুলে যেতো মারিয়া একটি রোবট। ওর সব ভাবনা,চিন্তা , ভবিষ্যৎ যেনো মারিয়াকে সাথে নিয়েই হচ্ছে। শিশিরের বাসায় একটি লাইব্রেরি রুম আছে। শিশির সেখানে অনেক ধরনের বই সংগ্রহ করে রাখছে। শিশির যখন বাসায় না থাকে তখন মারিয়া লাইব্রেরি রুমে বই পড়ে। বইগুলো সবই শিশিরের সাজেস্ট করা। আর লাইব্রেরীর প্রায় সব বই বলতে গেলে শিশির লক করে রাখে। কারণ শিশির চায় না মারিয়া কোনো science সম্পর্কে জানুক। শিশির কখনোই বলতে চায় না মারিয়াকে ও একটি রোবট। ও অন্য সবার থেকে আলাদা এই পর্যন্তই জানবে। আর সেজন্যই বিজ্ঞান সমন্ধে কোনো জ্ঞান যাতে না হয় এবং ওর মধ্যে যতটুকু আছে সেগুলোর মধ্যে সীমাবদ্ধ যেন থাকে শিশির সেই চেষ্টাই সবসময় করে। তাই ও যে বইগুলা পড়তে বলবে সেগুলোর বাইরে মারিয়া বই পরতে পারবে না। তাহলে শিশির রাগ করবে সেটা ওকে বলে দেয়া হয়েছে। মারিয়া নিদ্বিধায় সব মেনে নেয়। শিশির ও এগুলাতে অভ্যস্ত হয়ে যায়। ওর নিজের বিশ্বাস করতে কষ্ট হয় যে, একটা রোবটের সাথে ওর সবকিছুর ভাগ করে দিচ্ছে।
– মানুষ কত অদ্ভুত কিছুই করে। মন থেকে চাইলে নাকি সৃষ্টিকর্তা কে দেখা যায়। শিশির সেই মন থেকে চেয়ে এমন উপহার পেয়ে গেলো তার জীবনধারাই পাল্টে গেলো। নিজের তৈরি করা রোবটটির প্রেমে যেনো সারাদিন মগ্ন হয়ে থাকে। শিশির সবসময় মারিয়াকে নতুন কিছু শিখানোর মধ্যে ব্যস্ত হয়ে থাকে। ইদানিং ভাবছে মারিয়া না থাকলে ও কতটা অসুখী হয়ে পড়ত। মারিয়া পাশে থাকলে নিজেকে কেনো জানি অনেক বেশি সুখী ভাবতেই ইচ্ছে হয় ওর। ও চায় এই ভাবনাগুলো মারিয়ার মধ্যে একটু হলেও আসুক। শিশির: আচ্ছা মারিয়া, ভালোবাসা কি বলো তো? মারিয়া : এটা তো এক ধরনের chemical reaction! কারো যদি ব্রেইনে হরমোন …শিশির: তোমার কি উল্টাপাল্টা কথা না বললে ভালো লাগে না মনটাই খারাপ করে দিলো। মারিয়া : তাহলে কি হবে? শিশির: চুপ, আর যদি দেখছি আমাকে আজাইরা জ্ঞান দিয়েছো ধাক্কা দিয়ে উপর থেকে নিচে ফেলে দিবো। মারিয়া : আচ্ছা আর দিবনা।শিশির: হুম, আর এখন থেকে আমাকে ভালোবাসবে নাহলে প্রতিদিন থাপ্পড় খাবা। মারিয়া : কিহহ!!? না না,আমি থাপ্পড় খেতে চাই না শিশির: হু…জেনে ও না জানার ভান করে, কি যে অবুঝ সাধুনী!! মারিয়া: তুমি আমাকে এসব কি বলতাছো?? শিশির: আচ্ছা যাও,আমি সব শিখিয়ে দিব! তারপরও কুয়ারা করবা না। মারিয়া :আচ্ছা শিখিয়ে দিও..।
প্রতিদিন শিশির মারিয়া কে বারান্দায় অথবা ছাদে নিয়ে যেত। একসাথে চাঁদ দেখতো। আর যেদিন চাঁদ দেখা যেত না সেদিন অনেক গল্প করতো ওরা। শিশির গল্পের মধ্যেই মারিয়া কে অনেক দূরের কোথাও ঘুরতে নিয়ে যেত। তবে বেশিক্ষন রাত জাগতো না। মাঝে মাঝে মারিয়া বারান্দায় দিয়ে দেখা আশেপাশের মানুষদের প্রতি জানার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করতো। কিন্তুু শিশির বেশি উত্তর দিত না আর নাহলে রাগ দেখাতো। মারিয়া : ওইখানে কি হচ্ছে,শিশির? শিশিরঃ ওরা ওদের কাজ করতাছে। আর তোমাকে ওইসব দেখতে বলেছি? মারিয়া : নাহ,বলো নি তো। শিশির: তাহলে দেখছো কেনো? না করেছি না?? মারিয়া : সরি, আর দেখবো না। শিশির : সরি রাখো, বেশি দেখতে ইচ্ছে হলে ঔইখানে দিয়ে আসব। না না দিয়ে আসবো না। একদম এখান থেকে নিচে ফেলে দিবো,তখন বুঝবা কেমন লাগে!! মারিয়া : এহহ,একদম না। এই তুমি রাগ করলে..আর বলব না বলছি তো….ভালবাসি শি…শি…র। শিশির:’ঘুমাবো এখন’। মারিয়াঃ ঘুম কি!,কিসের জন্য.. এত ঘুমাতে কেনো হয়!!? এই অর্থহীন প্রক্রিয়ার জন্য আমাকে রেখে চলে যাবে!!? শিশির: আহা!!, ঘুম মনে হয় আমি একাই ঘুমাই, উনি মনে হয় ঘুমায় না,আর তোমার ও এখন ঘুমের সময়!! মারিয়া : কিইই!!আমি কবে ঘুমাইছি!! আমি একদম ই ঘুৃম… আর তখনি মারিয়ার চোখে লাল আলো টি টি শব্দ করে জ্বলছে। তারমানে ওর চার্জ প্রায় শেষ। মারিয়া : আমার মনে হচ্ছে আমি ক্লান্ত!! শিশিরঃআমার থেকে বেশি ঘুমায় আর বলে ‘আমি ঘুমাই না ‘…এখন তারাতারি উঠো, ‘তোমার ঘুম যেতে হবে নাহলে আমি ভালো করে ভালবাসি শুনতে পারব না’। এই বলে মারিয়াকে নিয়ে গেলো রুমের ভিতর। শিশির চার্জ কানেক্ট করতে করতে বলছে:–ভালোবাসি বলতে থাকো আমি তোমায় ঘুম পাড়িয়ে দেই। মারিয়া বলছে তো বলছে এর মধ্যে শিশির চার্জ দিয়ে পাওয়ার বাটন অফ করে দিলো। আর তখনি মারিয়া একদমই নিস্ক্রিয় হয়ে গেলো। শিশির ও ভালবাসি বলে একটু হেসে ঘুমাতে গেলো…

চলবে

রোবট প্রেম ..
পর্ব : ৪
লেখক : শিশির আহমেদ (নীল)
– পরের দিন শিশির ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে মারিয়ার পাওয়ার বাটন অন করে দিল। এরপর শিশির বিশ্ববিদ্যালয়ের শিট তৈরি করার জন্য লিখতে বসে গেলো। এরমধ্যে মারিয়া শিশিরের জন্য ব্রেকফাস্ট বানিয়ে ফেলল। শিশির খেয়ে মারিয়ার কখন কি করতে হবে সেগুলা বুঝিয়ে দিয়ে ইউনিভার্সিটি তে চলে গেলো। সেখানে সব কাজ শেষ করতে ওর একটু দেরি হয়ে গেলো। মারিয়া চিন্তা করছে নাকি করছে না এসব ভাবতে ভাবতে ও গাড়ি তে উঠলো। একটু দূর যাওয়ার পর ভালই জ্যামে আটকালো। এই জ্যাম ওকে বিরক্তির শেষ পর্যায়ে নিজে যাচ্ছে। বিরক্ত কাটানোর জন্য ও বাইরের দৃশ্য দেখতে লাগল। ও দেখছে বাইরের ব্যস্ত মানুষগুলো কে , দুই-একটা পথচারী নিঃশব্দে হাটছে! বিক্রেতা ঝালমুড়ি নিয়ে বসে আছে। এগুলো দেখে ওর মনে হচ্ছে সবকিছু যেনো নিদিষ্ট একটা গতিতে থমকে আছে। দেখতে দেখতে ওর দৃষ্টিটাও থমকে গেলো। দূরের ছোট্ট একটা মেয়ে কে দেখে। তিন কিংবা চার বছর হবে। একা একা মেয়েটা কাঁদছে। মেয়েটার আশেপাশে কেউই নেই। শিশির বুঝার চেষ্টা করল কেন কাঁদছে। মেয়েটা কি তাহলে হারিয়ে ফেলছে ওর বাবা-মাকে!!শিশি
রের যেতে ইচ্ছে করছিল আবার মনে একটু দ্বিধাও করল। অনেক ভেবে চিন্তে শেষ পর্যন্ত মেয়েটার কাছে গেলো। শিশির কি বলবে না বলবে ভেবে পাচ্ছিলো না।অনেকক্ষন পর বলল,’তুমি কাঁদছ কেনো? তোমার আব্বু-আম্মু কোথায়?…. তোমার সাথে কে এসেছে? ‘মেয়েটি কিছুই বলল না। আবার জিজ্ঞেস করল ‘তোমার নাম কি বাবু?’মেয়েটি ওর দিকে তাকালো আর বলল ‘জানি না’ এই বলে ভেঁউ ভেঁউ করে কান্না শুরু করলো। ও এবার মহা সমস্যায় পড়ল। কি করবে বুঝতে পারছিল না। মেয়েটিকে নিয়ে ও ঝালমুড়ি বিক্রেতার কাছে গেলো।”আচ্ছা মামা,এই বাচ্চাটা কে এবং কে নিয়ে আসছে বলতে পারেন। কিছুই বলতে পারছে না। একা একা কান্না করছে”। বিক্রেতা:কি জানি স্যার,সকাল থেকেই দেখতাসি এখানে ঔইখানে ঘুরতাসে। আমিও কিছু বলিনি। কার না কার বাচ্চা ফেলে রেখে গেছে। শিশির: কি বলেন, ফেলে রেখে যাবে কেনো? বিক্রেতা: তাহলে মনে হয় হারিয়ে গেছে, এজন্যই কানতাসে। শিশির: সেরকমই হতে পারে। বিক্রেতা: আপনি এক কাজ করেন,বাচ্চাটারে আপাতত নিয়ে যান,এই রাস্তাঘাট নিরাপদ না,কখন কি হয়ে যায় বলা যাইত না। শিশির চিন্তায় পড়ে গেলো ও এই বাচ্চা মেয়েকে নিয়ে কি করবে। হটাৎ মনে হলো পুলিশের হেফাজতে দিয়ে আসা যেতে পারে। তারাই যা করার করবে। এসব ঝামেলা যত এড়ানো যায় তত ভালো ওর জন্য। আর এদিক দিয়ে জ্যাম ও ছেড়ে দিচ্ছে। ও মেয়েটিকে অনেক গুলো চকোলেট কিনে মেয়েটাকে সাথে করে গাড়ি তে উঠে গেলো। ড্রাইভার মেয়েটাকে দেখে ফিক করে হেসে বলল : ‘স্যার এই বাচ্চা আবার কই থেকে নিয়ে আসলেন? ‘শিশির ধমকে উঠে বলল : ”এই বেশি কথা না বলে গাড়ি চালাও। আর থানার দিকে যাও। ড্রাইভার আর কথা না বলে কাছের একটা পুলিশ স্টেশনে নিয়ে গেলো। শিশির ভেতরে ঢুকার আগে বাসার ফোনে একটা মেসেজ দিলো। মারিয়া দেখবে কিনা কে জানে ।
– ও থানায় গিয়ে একটা জেনারেল ডায়েরি করলো। একটা পুলিশ অফিসার বলল: আমরা যদি মেয়েটার পরিচয় না পাই তাহলে নার্সিং হোমে দিয়ে আসতে হবে। শিশির :“আচ্ছা যেটাই করেন, আমাকে ইনফর্ম করবেন। কারন বাচ্চা টাকে আমি খুজে পেয়েছি। ” আসলে বাচ্চা মেয়েটার উপর অল্প সময়ের মধ্যে মায়া জন্মে গেছে। মেয়েটা চকোলেট খাওয়া মুখটা নিয়ে শিশিরের দিকে শুন্য দৃষ্টিতে তাকালো। বাচ্চাটাকে প্রয়োজনীয় কিছু কিনে দিয়ে বাসার উদ্দেশ্য রওনা হলো। বাসায় যেতে সন্ধ্যা হয়ে গেলো। যেতে যেতে ভাবছিল মারিয়ার কথা। বাসায় গিয়ে ওকে কি অবস্থায় পাবে কে জানে। এত দেরী কোনো দিন ও হয় নি। দরজা লক খোলার পরই দেখে মারিয়া কিছুদূরে দাড়িয়ে আছে। ফাইটিং একটা ভাব বুঝাই যাচ্ছে। শিশির কখন আসবে দাড়িয়ে দাঁড়িয়ে সেই অপেক্ষা করছিল বোধহয়। শিশির কোনো কথা না বলে বেডরুমে যেতে নিয়েছিলো। মারিয়া অনেক জোরে বললঃ এত দেরি করে আসতে হলো!!শিশির : একটু কাজ ছিল। মারিয়া : কি এমন কাজ যে দেরী হলো!? শিশির :আগে ফ্রেশ হই,খাওয়াদাওয়া করি,তারপর বলি। মারিয়া : এখন বলতে বলছি এখনি বলতে হবে। শিশির: এই না,আমি সেই সকালে খেয়েছি,এখন আমি ক্ষুধায় শেষ। প্লিজ তুমি খাবার নিয়ে আসো। মারিয়া :না বলা পর্যন্ত কোনো খাবার না,এমনকি ফ্রেশ হতেও পারবে না। আমি কিছু করতে দিব না। শিশির : না খেলে যদি কিছু হয়ে যায় আমার তখন কি করবা? হা করে বসা ছাড়া তোমার কোনো উপায় থাকবে না। মারিয়া চলে গেলো। শিশির তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে নিলো। খাবার রুমে গেলে দেখলো কোন খাবার নেই। মারিয়াকে বলল: এই খাবার কই?? মারিয়া : বলছি না একবার…না বলা পর্যন্ত কোনো খাবার আনব না। শিশির: এইগুলা কিন্তুু ভালো হচ্ছে না। মারিয়া : তোমার জন্য এইগুলাই ঠিক আছে। শিশির : এখন কি তুমি আমার জন্য খাবার নিয়ে আসবা নাকি বাইরে গিয়ে খেয়ে নিব? মারিয়া : এই না না,তোমার জন্য স্পেশাল খাবার রান্না করছি। তুমি যেটা একদমই মিস করতে পারবে না। শিশির :কি এমন স্পেশাল রান্না করেছো? মারিয়া : এই তো টিকটিকি ভুনা,পিপড়ার ডিম ভাজা, তেলাপোকার ঝোল,মাকড়সা ফ্রাই..। শিশির : ঔই তুমি থামবা..ইয়াক..এগুলা কি বলতাছো.. বাসায় তো কোনো প্রাণীই রাখো নি। মারিয়া হেসে খাবার নিয়ে আসতে গেলো। নিয়ে আসার পর শিশির বলল: এহ হে সব শাকসবজি সিদ্ধ করে রাখছে। মারিয়া : কোথায়! কত সুন্দর করে রান্না করছি। শিশির : তা তোমার ঔই খাবার কোথায়?? মারিয়া: কোন খাবার? শিশিরঃ ঔই যে পিপড়া ফ্রাই,তেলাপোকার ডিম..না কিসব!! মারিয়া : মজা করে বলছিলাম। শিশিরঃ তোমার উপর বিশ্বাস নেই এই খাবারগুলার মধ্যেও দিয়ে রাখতে পারো। মারিয়া : কি বললা,!!বিশ্বাস করো না!! ঠিক আছে… তোমার খেতে হবে না..যাও বাইরে গিয়ে খেয়ে নাও। শিশির : আরে আমি সেটা বুঝিয়েছি নাকি..আমিও মজা করেছি। মারিয়া : কিসের মজা!!তোমার খেতে হবে না। শিশিরঃ না না খাবো।..রাগ করে না.. তোমাকে আমি কত ভালোবাসি..তোমার রান্না আমি আরো বেশি ভালোবাসি…। মারিয়া : উম,আচ্ছা খাও। শিশির এসব কারনে মারিয়ার উপর বেশি প্রভাবিত হচ্ছে। কারন অন্যসব রোবটের শব্দকোষ নিদিষ্ট থাকে ও নির্দেশনা দেয়া হয়ে থাকে। কিন্তুু মারিয়াকে সেসব কিছুই দেয়া হয় নি। ও নিজের মতো করে শব্দ বানিয়ে বুঝিয়ে বলতে পারে। এটাই শিশিরকে বেশি অবাক করে। নিজে যে ওকে বানিয়েছে বিশ্বাস হয় না। এসব ভাবনার অবকাশ হলো মারিয়ার কথা শুনে।’এই তুমি খাচ্ছো না কেনো? খাওয়ার অনুমতি তো দিয়ে দিয়েছি’। শিশির :ওহ হ্যা, খাচ্ছি। খেয়ে দেখে লবণ একদমই হয় নি।-‘বাসায় কি লবন নেই? ‘। মারিয়া : এগুলো আমি দিতে পারি না, বেশি কম হয় বলে আমি দেই নি। শিশির : হায়রে তুমি যদি বুঝতে কেমন লাগে খেতে। তাহলে এরকম করতে না। মারিয়া: আমি না দিতে পারলে আমার কি দোষ!! শিশির : আমি শিখিয়ে দিবো। মারিয়াঃবললে না কেন দেরী করছো? তারপর সারাদিনের ঘটনা গুলো বলল শিশির। মারিয়া: তারপর?? শিশির : তারপর আর কি!!বেবি টা ঔইখানে থাকবে। মারিয়া : আমি দেখতাম। শিশির: তুমি দেখে কি করবে? মারিয়া : কখনো বেবি দেখি নি তো। শিশির : ওহ বেবিটার আম্মু আব্বু কে খুজে পেলে দেখানোর চেষ্টা করব। তারপর শিশির নিজের কিছু কাজ করে মারিয়া কে নিয়ে বারান্দায় গেলো। আজকের চাঁদ টা ভালো করে দেখা যাচ্ছিল না। তাই শিশির অন্য কিছু তে মনোযোগী হলো। মারিয়ার চুলের ঘ্রান নিচ্ছিল,চুল গুলো আলতো করে টান দিয়ে দিল,কিছুক্ষন পর পর আকা বাকা পথে বিনুনি করছিল। মারিয়া ও অবুঝের মতো সেগুলো দেখছিল। হয়তো শিশিরের মতো করে উপস্থাপন করবে নিজেকে।
চলবে ….?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here