রোমান্টিক সিনিয়র চাচাত বোন পর্বঃ১

0
2941

গল্পঃ রোমান্টিক সিনিয়র চাচাত বোন
পর্বঃ১
লেখকঃ শাওন আহমেদ নীল

গুমিয়ে আছি মনে হয় কেউ আমাকে জড়িয়ে দরে শুয়ে আছে। আমি চোখ মেলে তাকিয়ে দেখি একটা মেয়ে আমার বোকে মাথা রেখে জড়িয়ে দরে শুয়ে আছে।। আমি সপ্ন ভেবে আবার শুয়ে পড়লাম। এবার আমার নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে। দম আটকে যাচ্ছে,,আমি চোখ মেলে তাকিয়ে দেখি নিধী আপু আমার ঠোঁটের সাথে তার ঠোঁট লাগিয়ে শুয়ে আছে।।

আমি লাথি দিয়ে আপুকে খাট থেকে ফেলে দিলাম।
আপু খাট থেকে পড়ে গিয়ে চেঁচানো শুরু করে দিছে, আপুর চেঁচানোর শব্দ শুনে আম্মু বড় আম্মু দাদু দৌড়ে আমার রুমে আসলো। রুমে এসে দেখে নিধী আপু নিচে পড়ে আছে। আর চিৎকার করছে।

আম্মুঃ কি হয়েছে মামনি?

নিধী আপু কিছু বলছে লাল চোখে রাগি লুকে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আপুকে দেখে আমি এমনিতে অনেক ভয় পাই।।

আম্মুঃ নীল ও নিচে পড়ে আছে কেন?
আমিঃ জানি না।
আম্মুঃ সত্যি করে বল বলছি।
আমিঃ বলব আপু(আপুর দিকে তাকিয়ে বললাম)
নিধীঃ আমিই বলছি, আগে আমাকে উঠাও,।

তারপর আম্মু আর বড় আম্মু মিলে নিধীকে উঠিয়ে, খাটে বসিয়ে দিলো,, আমি একবারে খাটের এক কোনায় দাদুর কাছে গিয়ে বসলাম। কারণ বাসার একমাত্র দাদুই আমার সাপর্টে আর সবাই বিপক্ষে। নিধী আপু আম্মু কে জড়িয়ে দরে বলতে শুরু করল।

নিধীঃ ছোট আম্মু তোমার ছেলে অনেক খারাপ,
আম্মুঃ কি করছে ওই বাদরটা।।
নিধীঃ আম্মু বলল যে নীলা এখন গুম থেকে উঠে নি, যা ত মা নীল কে একটু ডেকে তুলে দে, কলেজে যেতে হবে ত তদের।
আম্মুঃ তারপর।
নিধীঃ আমি এসে দেখি নীল গুমিয়ে আছে। আমার প্রচন্ড গুম পেয়েছিলো, আমি নীলের বোকে শুয়ে পড়ি। তাই ও গুম থেকে উঠে আমাকে লাথি মেরে উপড় থেকে নিচে ফেলে দেয়।।
আম্মুঃ নীল নিধী যা বলছে তা কি সত্যি।
আমিঃ আসলে হয়েছে কি।
আমিঃ যা বলছি তার উত্তর দে।
আমিঃ দাদু দেখো তোমার নাতিকে কেমন করতেছে।
দাদুঃ ছোট বউমা তুমি চুপ থাকো।

দাদুর কথা শুনে আম্মু চুপ হয়ে গেলো। দাদুকে সবাই ভয় পায় আব্বু বড় আব্বু বাসার সবায় দাদুর কোনো কথা ফেলে না।

দাদুঃ কি হয়েছে নীল তুই আমাকে বল।
আমিঃ তোমার নাতনি আমাকে কিস করেছে।
আম্মুঃ এই বিষয়ের জন্য তুই ওকে খাট থেকে ফেলে দিবে,, ও ত অন্য কাউকে করে নি নিজের জামাইকেই ত করেছে।।
আমিঃ ওমা আমাদের বিয়ে হয়েছে জানতাম না ত
আম্মুঃ ফাজলামো করবি না।
দাদুঃ নীল ত ঠিকি বলেছে বিয়ে ত আর হয়নি।
এটা নিয়ে নীল কে আর কেউ কিচ্ছু বলবে না।
নিধীকে ঔষধ লাগিয়ে দাও তাই হবে।
বড় আম্মুঃ আচ্ছা আম্মু আপনি নিচে জান।
দাদুঃ হুম আমি গেলাম আর একটা কথা ও জানি না হয়।

তারপর দাদু চলে গেলো। বড় আম্মু গিয়ে ঔষদ নিয়ে আসল।

নিধীঃ যে আমাকে ব্যথা দিছে সেই ঔষধ লাগিয়ে দিবে।
আমিঃ হ আমাকে ত কামলা পাইছ তোমার?
নিধীঃ ছোট আম্মু আমি কিন্তুু ঔষধ লাগাব না।
আম্মুঃ মামনি তোমাকে নীল ই ঔষধ লাগিয়ে দিবে।
নীল ঔষধ লাগিয়ে দে।
আমিঃ পারব না।
বড় আম্মুঃ বাবা বাচ্চাদের মতো জেদ করিস না।
একটু লাগিয়ে দে প্লিজ,, যানস ই ত নিধী এক বার বলেছে তুই মলম টা না দিয়ে দিলে ও দিবেই না।।
আমিঃ ওকে তুমি বললে দেখে শুদু লাগিয়ে দিবো।
বড় আম্মুঃ আমার সোনা ছেলে এই বলে আমার কপালে একটা চুমু দিয়ে আম্মু আর বড় আম্মু চলে গেলো।।।

তারপর নিধী আপু আমার কাছে এসে বসল।
নিধী আপু আমার দিকে একভাবে তাকিয়ে আছে। নিধী আপুর এই লোকটা দেখে আমি পাগল হয়ে যায়,সে কি বুজে না নাকি বুজতে চায় না।

আমিঃ আপু কোথায় ব্যথা পেয়েছো।।
আপুঃ কোমরে।
আমিঃ ছি ছি আপু আমি তোমার কোমরে হাত দিতে পারব না।
আপুঃ কেন?
আমিঃ আমার লজ্জা করে।
আপুঃ আহারে লজ্জাবতী রে, বিয়ের পড়ে ত সব ই দেখবি।
আমিঃ প্লিজ এসব কথা বলিও না আমার অনেক লজ্জা করে।।।
আপুঃ বলব না তাহলে ঔষদ লাগিয়ে দে।।

তারপর আমি পিছন থেকে আপুর জামাটা একটু উপড়ের দিকে তুলে দিলাম।। দেখি কালো জখম হয়ে আছে মনে হয় অনেক ব্যথা পেয়েছে।।। দেখে আমার ই মায়া লাগতে লাগলো। লাথি টা মারা ঠিল হয় নি,, আমিই বা কি করব আমি ত প্রচন্ড ভয় পেয়ে গেছিলাম।। আপনারাই বলেন গুম থেকে উঠে হঠাৎ করে এ রকম দেখলে যে কেউ ভয় পেয়ে যাবে।।

তারপর আমি আপুর কোমরে হাত রাখলাম আপু কেঁপে উঠলো।। আমি আপু কোমরে ঔষদ লাগিয়ে দিলাম।

আমিঃ অনেক ব্যথা পেয়েছ তাই না।
নিধীঃ তেমন একটা না।
আমিঃ স্যরি। গুম থেকে উঠে এমন কিছু দেখে ভয় পেয়ে গেছিলাম।।
নিধীঃ তর হাতের ছোঁয়া পেয়ে সব ব্যথা ঠিক হয়ে গেছে।
আমিঃ আজকে ত তাহলে তুমি কলেজে যাবে না।
নিধীঃ না।
আমিঃ তাহলে আপু তোমার রুমে গিয়ে রেস্ট করো, আমি ফ্রেশ হয়ে কলেজে যায়।।

তারপর আপু এমন একটা কথা বললা যা শুনে আমার মাথা গুড়ে গেলো৷ জানি না আজকে কপালে কি আছে।

#চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here